Ajker Patrika

কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া
জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

সরকারি কাজে বাধা ও বেআইনি সমাবেশের অভিযোগে ২০১৭ সালের পল্টন থানার নাশকতার এক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুলকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজ্জামানের আদালতে আত্মসমর্পণের পর তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।

২০২৩ সালে ২৩ নভেম্বর এ মামলায় দণ্ডবিধির পৃথক দুই ধারায় শহিদুলকে সাড়ে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। রায় ঘোষণার সময় তিনি পলাতক ছিলেন। তখন তাঁর বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা ইস্যু করা হয়।

আজ সকালে শহিদুল ইসলাম বাবুল আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আপিলের শর্তে তাঁর জামিনের আবেদন করেন আইনজীবী নিহার হোসেন ফারুক। শুনানি শেষে আদালত তাঁর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এই আদেশের বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে আপিল করবেন বলে জানান আসামিপক্ষের আইনজীবী। এ সময় আইনজীবী বলেন, মিথ্যা ও সাজানো মামলায় বাবুলকে সাজা দেওয়া হয়েছিল। উচ্চ আদালতে ন্যায় বিচার পাবেন বলে আশা করেন তিনি।

২০২৩ সালের ২৩ নভেম্বর শহিদুল ইসলাম বাবুলকে এ মামলার রায়ে এক ধারায় ২ বছর ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি দুই হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে সাত দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আরেক ধারায় এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, দুই হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে সাত দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৭ সালের ৩১ অক্টোবর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কক্সবাজার সফর শেষে গুলশান যাওয়ার পথে দলের নেতা–কর্মীরা পল্টন এলাকায় সরকারবিরোধী স্লোগান দেয়। ভিআইপি রোড বন্ধ করে ভাঙচুর চালায়। পুলিশের কর্তব্যে বাধা সৃষ্টি করে। ওই ঘটনায় পল্টন মডেল থানার এসআই মোহাম্মদ ইব্রাহিম খলিল এ মামলা দায়ের করেন।

তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ১৯ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা একই থানার এসআই আতাউর রহমান। পরে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে রায় ঘোষণা করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত