ঢামেক প্রতিবেদক
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ট্রেনের ভেতরে আগুনে পুড়ে মারা যাওয়া অজ্ঞাত আরও এক ব্যক্তির পরিচয় মিলেছে। তার নাম খোকন মিয়া (৩৫)। নারায়ণগঞ্জের বিসিক এলাকায় একটি টেক্সটাইল মিলে চাকরি করতেন তিনি। এর মাধ্যমে নিহত চারজনেরই পরিচয় শনাক্ত হলো। আজ বুধবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে তাঁর স্বজনেরা খোকনের পরিচয় শনাক্ত করেন।
খোকনের চাচাতো ভাই মো. জিলহজ্জ আজকের পত্রিকাকে জানান, নিহত খোকনের বাড়ি সুনামগঞ্জ জেলার মধ্যনগর উপজেলার জলুশাহ গ্রামে। বাবার নাম মৃত নুর ইসলাম। স্ত্রী সাজন আক্তার এবং এক ছেলে ও এক মেয়েসহ নারায়ণগঞ্জের বিসিক এলাকায় থাকতেন তিনি। অবন্তি কালার টেক্সটাইল লিমিটেডের অ্যাসিস্ট্যান্ট অপারেটর হিসেবে চাকরি করতেন খোকন। একই কারখানায় চাকরি করেন খোকনের স্ত্রীও।
তিনি আরও জানান, খোকনের বড় ভাইয়ের মেয়ের বিয়ে উপলক্ষে গত বৃহস্পতিবার নিজের দেড় বছরের মেয়ে শারমিন ও মা বকুল বেগমকে (৫৫) নিয়ে গ্রামে গিয়েছিলেন তিনি। বিয়ের অনুষ্ঠান শেষ করে সোমবার দিবাগত রাতে মা ও মেয়েকে নিয়ে খোকন ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন। নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ থেকে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে উঠেছিলেন। একই বগিতে ছিলেন তিনজন।
জিলহজ্জ জানান, ট্রেনটিতে যখন আগুন ধরে, তখন জানালা দিয়ে খোকন তাঁর মাকে বাইরে বের করেন। এরপর জানালা দিয়েই তাঁর মেয়েকে মায়ের কোলে দেন। কিন্তু ধোয়ায় বগিটি আচ্ছন্ন হয়ে যাওয়ায় নিজে আর বের হতে পারেননি। তাঁর বৃদ্ধ মাও তাঁকে আর বের করার কোনো সুযোগ পাননি। এরপরে আগুন ছড়িয়ে পড়লে বাইরে দাঁড়িয়ে থেকে দেখা ছাড়া আর কিছুই করার ছিল না তার মায়ের।
খোকনের স্বজনেরা জানান, খোকনের মা এই দুর্ঘটনা কাউকে জানাতে পারছিলেন না। মঙ্গলবার সকালে টেলিভিশনে খোকনের মায়ের আহাজারি দেখে তারা বিষয়টি বুঝতে পারেন। পরে গ্রাম থেকে তেজগাঁও রেলস্টেশনে এসে খোকনের মায়ের সন্ধান পান। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে সবশেষ ঢাকা মেডিকেলে খোকনের লাশের সন্ধান পান।
এদিকে ঢাকা রেলওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সেতাফুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গতকাল (মঙ্গলবার) পর্যন্ত নিহত ব্যক্তির পরিচয় জানা যায়নি। আজ স্বজনেরা এসে প্রাথমিকভাবে তাঁর পরিচয় শনাক্ত করেছেন। আমরাও বিষয়টি কিছুটা নিশ্চিত হয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ ছাড়া আর কোনো পরিবার লাশের দাবিদার না থাকায় নিশ্চিত হওয়া গেছে এটি খোকনেরই লাশ। তবু ময়নাতদন্তের মাধ্যমে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করার পর স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে।’
এসআই সেতাফুর রহমান বলেন, ‘নিহত চারটি লাশেরই পরিচয় শনাক্ত করা হলো। গতকাল পরিচয় নিশ্চিত হওয়া রশিদ ঢালী ও আজ শনাক্ত হওয়া খোকনের মরদেহের ময়নাতদন্ত চলছে। ময়নাতদন্ত শেষ হলে দুটি লাশই হস্তান্তর করা হবে।’
গতকাল মঙ্গলবার ভোর ৫টার দিকে রাজধানীর তেজগাঁও রেল স্টেশনে ঢাকা-নেত্রকোনা রুটে চলাচল করা মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসের তিনটি বগিতে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এতে দগ্ধ হয়ে চারজনের মৃত্যু হয়। ঘটনার দিনই নিহত দুজনের পরিচয় শনাক্ত হয়। তারা হলেন নাদিরা আক্তার পপি ও তাঁর তিন বছরের ছেলে ইয়াসিন।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ট্রেনের ভেতরে আগুনে পুড়ে মারা যাওয়া অজ্ঞাত আরও এক ব্যক্তির পরিচয় মিলেছে। তার নাম খোকন মিয়া (৩৫)। নারায়ণগঞ্জের বিসিক এলাকায় একটি টেক্সটাইল মিলে চাকরি করতেন তিনি। এর মাধ্যমে নিহত চারজনেরই পরিচয় শনাক্ত হলো। আজ বুধবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে তাঁর স্বজনেরা খোকনের পরিচয় শনাক্ত করেন।
খোকনের চাচাতো ভাই মো. জিলহজ্জ আজকের পত্রিকাকে জানান, নিহত খোকনের বাড়ি সুনামগঞ্জ জেলার মধ্যনগর উপজেলার জলুশাহ গ্রামে। বাবার নাম মৃত নুর ইসলাম। স্ত্রী সাজন আক্তার এবং এক ছেলে ও এক মেয়েসহ নারায়ণগঞ্জের বিসিক এলাকায় থাকতেন তিনি। অবন্তি কালার টেক্সটাইল লিমিটেডের অ্যাসিস্ট্যান্ট অপারেটর হিসেবে চাকরি করতেন খোকন। একই কারখানায় চাকরি করেন খোকনের স্ত্রীও।
তিনি আরও জানান, খোকনের বড় ভাইয়ের মেয়ের বিয়ে উপলক্ষে গত বৃহস্পতিবার নিজের দেড় বছরের মেয়ে শারমিন ও মা বকুল বেগমকে (৫৫) নিয়ে গ্রামে গিয়েছিলেন তিনি। বিয়ের অনুষ্ঠান শেষ করে সোমবার দিবাগত রাতে মা ও মেয়েকে নিয়ে খোকন ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন। নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ থেকে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে উঠেছিলেন। একই বগিতে ছিলেন তিনজন।
জিলহজ্জ জানান, ট্রেনটিতে যখন আগুন ধরে, তখন জানালা দিয়ে খোকন তাঁর মাকে বাইরে বের করেন। এরপর জানালা দিয়েই তাঁর মেয়েকে মায়ের কোলে দেন। কিন্তু ধোয়ায় বগিটি আচ্ছন্ন হয়ে যাওয়ায় নিজে আর বের হতে পারেননি। তাঁর বৃদ্ধ মাও তাঁকে আর বের করার কোনো সুযোগ পাননি। এরপরে আগুন ছড়িয়ে পড়লে বাইরে দাঁড়িয়ে থেকে দেখা ছাড়া আর কিছুই করার ছিল না তার মায়ের।
খোকনের স্বজনেরা জানান, খোকনের মা এই দুর্ঘটনা কাউকে জানাতে পারছিলেন না। মঙ্গলবার সকালে টেলিভিশনে খোকনের মায়ের আহাজারি দেখে তারা বিষয়টি বুঝতে পারেন। পরে গ্রাম থেকে তেজগাঁও রেলস্টেশনে এসে খোকনের মায়ের সন্ধান পান। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে সবশেষ ঢাকা মেডিকেলে খোকনের লাশের সন্ধান পান।
এদিকে ঢাকা রেলওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সেতাফুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গতকাল (মঙ্গলবার) পর্যন্ত নিহত ব্যক্তির পরিচয় জানা যায়নি। আজ স্বজনেরা এসে প্রাথমিকভাবে তাঁর পরিচয় শনাক্ত করেছেন। আমরাও বিষয়টি কিছুটা নিশ্চিত হয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ ছাড়া আর কোনো পরিবার লাশের দাবিদার না থাকায় নিশ্চিত হওয়া গেছে এটি খোকনেরই লাশ। তবু ময়নাতদন্তের মাধ্যমে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করার পর স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে।’
এসআই সেতাফুর রহমান বলেন, ‘নিহত চারটি লাশেরই পরিচয় শনাক্ত করা হলো। গতকাল পরিচয় নিশ্চিত হওয়া রশিদ ঢালী ও আজ শনাক্ত হওয়া খোকনের মরদেহের ময়নাতদন্ত চলছে। ময়নাতদন্ত শেষ হলে দুটি লাশই হস্তান্তর করা হবে।’
গতকাল মঙ্গলবার ভোর ৫টার দিকে রাজধানীর তেজগাঁও রেল স্টেশনে ঢাকা-নেত্রকোনা রুটে চলাচল করা মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসের তিনটি বগিতে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এতে দগ্ধ হয়ে চারজনের মৃত্যু হয়। ঘটনার দিনই নিহত দুজনের পরিচয় শনাক্ত হয়। তারা হলেন নাদিরা আক্তার পপি ও তাঁর তিন বছরের ছেলে ইয়াসিন।
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় আজ বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে এমন দৃশ্য দেখা যায়। রেস্তোরাঁয় প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে খাওয়াদাওয়া, খুনসুটির ভিডিওটি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। পুলিশ বলছে, এটি অনেক পুরোনো ভিডিও। অন্তত দেড় মাস আগে অভিযুক্ত ওই যুবককে চাঁদাবাজির মামলায়
৩ মিনিট আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলা মামলায় মৌলভীবাজারের জুড়ীতে আব্দুল আলীম শেলু (৪৫) নামের এক ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় মামলার বাদী ও সাক্ষী থানায় উপস্থিত হয়ে গ্রেপ্তারের বিরোধিতা করেন। তাঁদের অভিযোগ, পুলিশ মামলাকে বাণিজ্যের হাতিয়ার বানিয়েছে।
৫ মিনিট আগেবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আমরা আশঙ্কাজনকভাবে দেখলাম, সম্প্রতি দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকায় ‘‘মব’’ তৈরি করে উদ্যোক্তাদের উচ্ছেদ ও দাবি আদায়ের চেষ্টা হয়েছে। কর্মীদের কোনো দেনা-পাওনার বিষয় থাকলে তা শ্রম আদালতের মাধ্যমে মীমাংসা হওয়ার কথা। সংবাদ বা কনটেন্ট-সংক্রান্ত কোনো বিরোধ মীমাংসায় বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলে
২৮ মিনিট আগেচট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে দ্রুতগতির মাইক্রোবাসচাপায় ইমন সাহা (৩০) নামের এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন।
২৯ মিনিট আগে