Ajker Patrika

যানজট নিরসনে পরামর্শ চেয়ে ফেসবুকে ট্রাফিক পুলিশের পোস্ট, সমাধান দিলেন রাজধানীবাসী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৭ আগস্ট ২০২৩, ১৯: ০৮
যানজট নিরসনে পরামর্শ চেয়ে ফেসবুকে ট্রাফিক পুলিশের পোস্ট, সমাধান দিলেন রাজধানীবাসী

রাজধানী ঢাকার গুলশান বিভাগের ট্রাফিকের উপকমিশনার আব্দুল মোমেন গতকাল রোববার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন। তাঁর পোস্ট ঘিরে চলছে আলোচনা। পোস্টে ট্রাফিক সমস্যা নিয়ে পরামর্শ চাইলে সেখানে অনেকেই বিভিন্ন মতামত দেন। 

গতকাল বিকেল ৩টা ৪৭ মিনিটে উপকমিশনার আব্দুল মোমেন ফেসবুকে পাবলিক গ্রুপ ‘ট্রাফিক অ্যালার্ট’–এ লিখেন, ‘সম্মানিত নাগরিকবাসী, আমি গুলশান ট্রাফিক বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার। ঢাকা শহরে আমাদের প্রতি দিনের অফিস গমনে যানজট সব থেকে বড় সমস্যা, আমরা সেটা সবাই জানি। এ বিষয়ে আর বিস্তারিত আলোচনার প্রয়োজন নেই। গুলশান, বনানী, প্রগতিসরণী, মহাখালী বাস টার্মিনাল এ গুলোতে একেক জায়গার সমস্যা একেক ধরনের। উপরিউক্ত সমস্যা সমূহের মধ্যে যেগুলো পুলিশের পক্ষে সমাধানযোগ্য বা অন্য কারও ওপর নির্ভরশীল নয়, পুলিশ নিজেরাই বাস্তবায়ন করতে পারে, এই বিষয়ে আপনাদের যদি কোনো বাস্তবভিত্তিক পরামর্শ থাকে তাহলে আমাদের জানানোর জন্য অনুরোধ করা হলো। হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করতে পারেন। ফোন: ০১৩২০০৪৪৩৬০। সবার জন্য শুভকামনা।’ 

তাঁর এই পোস্টে আজ সোমবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত লাইক পড়েছে ১ হাজার ৪০০টি। মন্তব্য করেছেন ২৬৭ জন। 

ট্রাফিকের উপকমিশনারের এই পোস্টে ব্যাপক সাড়া দিয়েছেন ওই অঞ্চল দিয়ে চলাচলকারী রাজধানীবাসী। বিভিন্নভাবে তাঁরা গুলশান অঞ্চলের ট্রাফিকের সমস্যা নিয়ে কথা বলেছেন মন্তব্যের সেকশনে। 

বেশির ভাগ ভুক্তভোগীরা বাসের যত্রতত্র যাত্রী ওঠানামাকে যানজটের সবচেয়ে বড় কারণ বলে মনে করেছেন। একই সঙ্গে মহাখালী এলাকায় বাস টার্মিনাল ও রাস্তায় অতিরিক্ত মোটরচালিত রিকশা ও পার্কিংকেও দায়ী করেছেন অনেকে। কেউ কেউ একসঙ্গে অনেকগুলো পরামর্শ দিয়েছেন। 

অর্ঘ পাল নামে এক ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেন, মহাখালী বাস টার্মিনাল অপসারণ এবং শাহীন স্কুল অ্যান্ড কলেজের পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা। বনানীর আগে একটা বাড্ডার মতো ইউলুপ করা এবং মিরপুর-১৪ থেকে ক্যান্টনমেন্টের ওপর দিয়ে বনানী মহাখালী ও জাহাঙ্গীর গেট পার করে ফ্লাইওভার নির্মাণ করা। বিজয় সরণিতে ক্রসিং ফ্লাইওভার নির্মাণ ইত্যাদি। 

নাজমুল হোসেইন শুভ লিখেন, শুধু বাস স্টপেজে বাস দাঁড়ানো এবং যাত্রী ওঠা-নামা নিশ্চিত করা, অবৈধ অটোরিকশা বন্ধ করা (অবশ্য এটা পুলিশের পক্ষে সমাধানযোগ্য কিনা জানা নেই, কারণ অটোরিকশার তো কিছুই লাগে না!), রাস্তার প্রতিটি লেন চলাচল যোগ্য রাখা (অবৈধ ফুটপাত দখল, ভ্যানগাড়ি দ্বারা ভাসমান বাজার, অবৈধ পার্কিং এবং দোকান কিংবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের রাস্তা দখল বন্ধ করা), কিছু রাস্তায় পার্কিংয়ের জন্য লেন নির্ধারণ করে দেওয়া। 

মাহামুদুল হাসান নামে আরেকজন লিখেন, সৈনিক ক্লাব থেকে কাকলি সিগন্যাল পর্যন্ত রাস্তা কম, বাস স্ট্যান্ড বেশি মনে হয়। পুলিশের সামনেই বাস থামিয়ে যাত্রী ওঠা–নামা করায়। এখানে বাস থামতে না দিলে ওই খানের জ্যাম অনেক কমে যাবে।

শিবাজি রয় নামের একজন লিখেন, ‘ধন্যবাদ এ রকম একটা ইনিশিয়েটিভ নেওয়ার জন্য। পাবলিক বাসগুলো যাতে স্টপেজ ছাড়া কোথাও না দাঁড়ায়, আপনারা নির্দিষ্ট স্টপেজ করে দিন। আর বাসগুলোকে বলুন স্টপেজ ছাড়া যাতে কোনো ওঠা–নামা না হয়। এই একটা কাজ করলে আমার মনে হয় এই লাইনে যানজট অনেক কমে যাবে।’ 

তবে অনেকেই ট্রাফিক পুলিশের সঠিকভাবে কাজ না করার কথাও তুলে ধরেছেন পোস্টের মন্তব্য সেকশনে। বদরুল হায়দার নামে একজন লিখেছেন, ‘পোস্ট দিয়েছেন ভালো। কিন্তু এই বিষয় বা কারণগুলো কারওরই অজানা নয় একটু কম আর বেশি। আপনার পদবি “ট্রাফিক বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার” সে অনুযায়ী এই যানজট বিষয়ে আপনার জ্ঞানটা আমি অন্য যারা বেশি জানে তাঁদের গ্রুপেই ধরে নেব। সমস্যা খোঁজা বা সমাধান খোঁজার থেকে আপনারা আপনাদের কাজ সৎভাবে পালন করেন সমস্যা এমনিই সমাধান হয়ে যাবে।’ 

হাবিব আকতারুল নামে একজন লিখেন, জনগণের মতামতকে কখনই গুরুত্ব দেওয়া হয় না। বাস রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে যাত্রী ওঠায় আর নামায়। হাত তুললেই দাঁড়িয়ে পড়ে। পুলিশ দেখেও দেখে না। তারা ব্যস্ত থাকে কখন পিকআপ যায় সেটির দিকে। 

ইমরানুর হক শাওন লিখেন, ট্রাফিক সার্জেন্ট, কনস্টেবল সবাই মিলে রাস্তায় বাইক আর গাড়ি থামিয়ে কাগজ চেকিং করা বাদ দিয়ে সবাইকে নিয়ম মেনে চলার নির্দেশনা দেওয়া আর যানজট নিরসনে মনোযোগী হওয়া বেশি জরুরি। এতে যানজট ৫০ ভাগ কমে যাবে। 

অনেকেই আবার এই অঞ্চলের বিভিন্ন রাস্তার ছবি ও ভিডিও যুক্ত করেছেন। সেখানে ফুটপাত ও রাস্তা দখল করে দোকান বসানোর চিত্র উঠে এসেছে। অনেকেই আবার রাস্তা ডাইভারশনের কথা বলেছেন। 

শাহারিয়ার শোভন নামে একজন লিখেন, মহাখালী বা আমতলী থেকে আসা গাড়িগুলোকে সরাসরি ডিওএইচএস ঢোকার ব্যবস্থা করতে পারলে ভালো হবে। এখন এই গাড়িগুলো সব জাহাঙ্গীরগেট ঘুরে আসে যার জন্য দুই পাশের রাস্তায় গাড়ির চাপ বেশি থাকে। যদি এগুলো সোজাসুজি এসকেএস টাওয়ারের পাশ দিয়ে বা রাওয়া গেটের পাশ দিয়ে ঢুকতে পারত তাহলে জাহাঙ্গীরগেট আর বিএএফ শাহিন কলেজের সামনে গাড়ির চাপ কিছুটা কমতো। 

মানিউল বাড়ই নামে একজন লিখেন, কারওয়ান বাজার, বিজয় সরণি, মহাখালী টার্মিনাল, কাকলি বনানী, আবুল হোটেল, উত্তর বাড্ডা প্রতিটি সিগনালে ইউলুপ দিতে হবে। 

এমন অনেকেই এসব এলাকায় রাস্তার সমস্যা নিয়ে লিখেছেন, কেউ কেউ পরামর্শ দিয়েছেন। 

এসব বিষয়ে জানার জন্য উপকমিশনার আব্দুল মোমেনের নম্বরে যোগাযোগ করা হলে তাঁকে পাওয়া যায়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভোটের সাত দিন আগেই কেন্দ্রে সেনা চায় বিএনপি

পিরোজপুর-২ আসন: বিএনপিতে প্রতিযোগিতা, মাঠে একা সাঈদীর ছেলে

সংশোধিত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ: স্বতন্ত্র প্রার্থীর ঘাড়ে ১ শতাংশ স্বাক্ষরের বোঝা থাকছেই

আজকের রাশিফল: তরকারিতে লবণ বেশি হলেই তুলকালাম বাধাবেন না

প্রতিবেশীদের ছাড়াই পরাশক্তি হওয়ার উচ্চাভিলাষ ভারতের, পারবে কি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশ নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই: শফিকুল আলম

মাগুরা প্রতিনিধি 
মাগুরা নবগঙ্গা নদীসংলগ্ন জুলাই স্মৃতিস্তম্ভে প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ছবি: আজকের পত্রিকা
মাগুরা নবগঙ্গা নদীসংলগ্ন জুলাই স্মৃতিস্তম্ভে প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ছবি: আজকের পত্রিকা

আগামী জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশ নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, গুম ও হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকায় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণের সুযোগ নেই।

আজ সকালে মাগুরা-ঢাকা রোড এলাকায় জুলাই স্মৃতিস্তম্ভে ফুলেল শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। শফিকুল আলম বলেন, ‘জুলাই শহীদদের যেন জাতি মনে রাখে, সে উদ্দেশ্যেই এই স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়েছে।’ তিনি আরও উল্লেখ করেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় মাগুরার কিছু শহীদের কথা মানুষ ভুলে গেছে। কারণ, তাঁদের স্মরণে এমন কোনো স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি হয়নি।

জুলাই সনদে কিছু রাজনৈতিক দলের স্বাক্ষর না করার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শফিকুল আলম বলেন, ‘এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ নয়। কারণ, অধিকাংশ দলই একমত পোষণ করে স্বাক্ষর করেছে।’ তিনি যোগ করেন, যারা স্বাক্ষর করেনি, তাদের মধ্যে কিছু মতপার্থক্য আছে, এর বাইরে সব বিষয়ে তারা একমত।

শফিকুল আলম আরও বলেন, ‘ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে সব দল একমত এবং তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণে প্রস্তুত। এবার দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে।’

আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে শফিকুল আলম বলেন, ‘তারা টাকার বিনিময়ে সব নির্বাচন করেছে, ভোট কারচুপি করেছে। কিন্তু এবার এর কোনোটি ঘটবে না। জনগণ ভোটকেন্দ্রে যাবে এবং উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দেবে।’

‘না ভোট’ প্রসঙ্গে শফিকুল আলম বলেন, ‘যদি কোথাও একজন প্রার্থী থাকে, তবে সেখানে “না ভোট” হবে। এটি আরপিওতে (RPO) উল্লেখ আছে। ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আর কেউ নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ নেই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভোটের সাত দিন আগেই কেন্দ্রে সেনা চায় বিএনপি

পিরোজপুর-২ আসন: বিএনপিতে প্রতিযোগিতা, মাঠে একা সাঈদীর ছেলে

সংশোধিত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ: স্বতন্ত্র প্রার্থীর ঘাড়ে ১ শতাংশ স্বাক্ষরের বোঝা থাকছেই

আজকের রাশিফল: তরকারিতে লবণ বেশি হলেই তুলকালাম বাধাবেন না

প্রতিবেশীদের ছাড়াই পরাশক্তি হওয়ার উচ্চাভিলাষ ভারতের, পারবে কি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনাকবলিত বাসে ট্রাকের ধাক্কা, দুই যাত্রী নিহত

ফরিদপুর প্রতিনিধি
দুর্ঘটনাকবলিত বাস। ছবি: আজকের পত্রিকা
দুর্ঘটনাকবলিত বাস। ছবি: আজকের পত্রিকা

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় গভীর রাতে দুর্ঘটনাকবলিত একটি যাত্রীবাহী বাসে পেছন থেকে দ্রুতগতির ট্রাকের ধাক্কায় দুই যাত্রী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছে অন্তত পাঁচজন। হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিহত ও আহত ব্যক্তিরা দুর্ঘটনাকবলিত বাস থেকে নেমে সামনে দাঁড়িয়েছিল। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের ভাঙ্গা উপজেলার তাড়াইল বাসস্ট্যান্ড এলাকার ভাঙ্গামুখী লেনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন পাবনার বেড়া থানার বনগ্রামের ফারজানা বেগম (৩০) এবং মাগুরা জেলার মিনহাজুল রহমান শাকিল (২৪)। এ সময় ফারজানা বেগমের কোলে থাকা দেড় বছরের শিশুকন্যা জান্নাতুল গুরুতর আহত হয়। শিশুটিকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, ঢাকা থেকে সাতক্ষীরাগামী ‘যমুনা লাইনের’ একটি যাত্রীবাহী বাস প্রথমে সামনে থাকা একটি ট্রাককে ধাক্কা দেয়। এতে বাসের সামনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এই সময় বাসের ১০ থেকে ১২ জন যাত্রী নেমে গাড়ির সামনে দাঁড়িয়েছিল। কিছুক্ষণ পর আরেকটি মালবাহী ট্রাক দ্রুতগতিতে এসে দাঁড়িয়ে থাকা বাসটির পেছনে সজোরে ধাক্কা দেয়। ফলে সামনে দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীরা চাপা পড়ে ও ছিটকে যায়।

ওসি জানান, ঘটনাস্থলেই মিনহাজুল নামে যুবক মারা যান। আহত ব্যক্তিদের ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক ফারজানা বেগমকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর কোলে থাকা শিশুটিকে তাৎক্ষণিকভাবে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এই ঘটনায় দুর্ঘটনাকবলিত বাস ও ট্রাক আটক করে থানায় নেওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভোটের সাত দিন আগেই কেন্দ্রে সেনা চায় বিএনপি

পিরোজপুর-২ আসন: বিএনপিতে প্রতিযোগিতা, মাঠে একা সাঈদীর ছেলে

সংশোধিত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ: স্বতন্ত্র প্রার্থীর ঘাড়ে ১ শতাংশ স্বাক্ষরের বোঝা থাকছেই

আজকের রাশিফল: তরকারিতে লবণ বেশি হলেই তুলকালাম বাধাবেন না

প্রতিবেশীদের ছাড়াই পরাশক্তি হওয়ার উচ্চাভিলাষ ভারতের, পারবে কি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খাগড়াছড়িতে শিক্ষিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি 
গ্রেপ্তার লিটন ত্রিপুরা। ছবি: সংগৃহীত
গ্রেপ্তার লিটন ত্রিপুরা। ছবি: সংগৃহীত

খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় এক স্কুলশিক্ষিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে লিটন ত্রিপুরা (২৪) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ওই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়।

‎মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে ওই শিক্ষিকা তাঁর বন্ধুকে নিয়ে খাগড়াছড়ি জেলা শহর থেকে ৬ কিলোমিটার দূরে আলুটিলা এলাকায় বেড়াতে যান। ওই সময় লিটন ত্রিপুরা তাঁদেরকে অনুসরণ করেন। আলুটিলায় তারেং এলাকায় পৌঁছানোর পর মোটরসাইকেলচালক লিটন অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ওই শিক্ষিকাকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন। ধর্ষণের পর ১০ হাজার টাকাও দাবি করেন। পরে ভুক্তভোগীর বন্ধু স্থানীয় সেনাক্যাম্পে খবর দিলে সেনাবাহিনী ও স্থানীয় বাসিন্দারা মিলে লিটন ত্রিপুরাকে আটক করে। এরপর তাঁকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। 

মাটিরাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তৌফিকুল ইসলাম বলেন, ‘গতকাল রাত সাড়ে ৯টার দিকে আমরা ধর্ষণের অভিযোগে মোটরসাইকেলচালক লিটন ত্রিপুরাকে গ্রেপ্তার করি। তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইন মামলা হয়েছে। তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভোটের সাত দিন আগেই কেন্দ্রে সেনা চায় বিএনপি

পিরোজপুর-২ আসন: বিএনপিতে প্রতিযোগিতা, মাঠে একা সাঈদীর ছেলে

সংশোধিত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ: স্বতন্ত্র প্রার্থীর ঘাড়ে ১ শতাংশ স্বাক্ষরের বোঝা থাকছেই

আজকের রাশিফল: তরকারিতে লবণ বেশি হলেই তুলকালাম বাধাবেন না

প্রতিবেশীদের ছাড়াই পরাশক্তি হওয়ার উচ্চাভিলাষ ভারতের, পারবে কি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

যমুনা রেলসেতুর পিলারে ফাটল, কর্তৃপক্ষ বলছে গঠনগত কোনো সমস্যা নয়

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি  
আপডেট : ২৪ অক্টোবর ২০২৫, ১২: ২৭
পিলারে দেখা যায় চুলের মতো সরু ফাঁকা। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া
পিলারে দেখা যায় চুলের মতো সরু ফাঁকা। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

যমুনা রেলসেতুর পিলারে দেখা দেওয়া কিছু ফাটলের ছবি সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে প্রকল্প কর্তৃপক্ষ বলছে, এগুলো আসলে ফাটল নয়, বরং প্রচণ্ড গরমের কারণে সৃষ্ট সূক্ষ্ম ‘হেয়ার ক্র্যাক’ বা সরু ফাটল। বৃহস্পতিবার থেকে একাধিক ফেসবুক পেজে এসব ফাটলের ছবি দেখা যাচ্ছে।

যমুনা রেলওয়ে সেতু প্রকল্পের সহকারী প্রধান প্রকৌশলী মো. নাইমুল হক বলেন, যমুনা রেলসেতুতে কোথাও কোনো ফাটল ধরেনি। কোনো পিলারে ফাটলের চিহ্নও নেই। একটি চক্র এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে ফাটলের ছবি তৈরি করেছে এবং সেগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করে গুজব ছড়িয়েছে।

যমুনা রেলসেতুর প্রকল্প ব্যবস্থাপক মার্ক হ্যাবি বলেন, রেলসেতুর পশ্চিম প্রান্তের ৮-১০টি পিলারের নিচে হেয়ার ক্র্যাক শনাক্ত হয়েছে। এসব জায়গায় ইতিমধ্যে রেজিন বা বিশেষ আঠার প্রলেপ দিয়ে মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে।

মার্ক হ্যাবি আরও বলেন, এটি কোনো নির্মাণ ত্রুটি নয়, এমনকি ‘হানিকম্ব’ সমস্যাও নয়। প্রচণ্ড গরম ও প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে কংক্রিটের নিচে শূন্য দশমিক ১ থেকে ৩ মিলিমিটার পর্যন্ত সূক্ষ্ম ফাঁক তৈরি হয়েছে। এতে সেতুর গঠন বা স্থায়িত্বে কোনো প্রভাব পড়বে না।

প্রকল্প ব্যবস্থাপক জানান, এসব হেয়ার ক্র্যাক ধীরে ধীরে ঘষে মেরামত করা হচ্ছে। সেতুর কাঠামো বা ট্রেন চলাচলে কোনো ঝুঁকি নেই। তিনি অভিযোগ করেন, কেউ কেউ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ছবি বড় করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়েছে, যা বিভ্রান্তিকর।

উল্লেখ্য, যমুনা সেতুর প্রায় ৩০০ মিটার ভাটিতে ১৬ হাজার ৭৮১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে দেশের দীর্ঘতম রেলসেতু। ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতুতে রয়েছে ৫০টি পিলার ও ৪৯টি স্প্যান। এটি ২০২৫ সালের ১৮ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়।

সেতুটিতে আসা-যাওয়ার দুটি লাইন (ডুয়েলগেজ ট্র্যাক) রয়েছে। গত ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে নতুন সেতুর একটি লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভোটের সাত দিন আগেই কেন্দ্রে সেনা চায় বিএনপি

পিরোজপুর-২ আসন: বিএনপিতে প্রতিযোগিতা, মাঠে একা সাঈদীর ছেলে

সংশোধিত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ: স্বতন্ত্র প্রার্থীর ঘাড়ে ১ শতাংশ স্বাক্ষরের বোঝা থাকছেই

আজকের রাশিফল: তরকারিতে লবণ বেশি হলেই তুলকালাম বাধাবেন না

প্রতিবেশীদের ছাড়াই পরাশক্তি হওয়ার উচ্চাভিলাষ ভারতের, পারবে কি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত