Ajker Patrika

হাসিনা-রেহানা-টিউলিপের তিন মামলায় সাক্ষ্য দিলেন আরও ৩ জন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা ও টিউলিপ সিদ্দিক। ছবি: সংগৃহীত
শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা ও টিউলিপ সিদ্দিক। ছবি: সংগৃহীত

পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ৩০ কাঠা প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, টিউলিপ সিদ্দিকসহ অন্যদের বিরুদ্ধে করা আরও তিন মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন আরও তিনজন। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ জজ-৪-এ সাক্ষ্য দেন তাঁরা।

যাঁরা সাক্ষ্য দিয়েছেন, তাঁরা হলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পৌর কর শাখা অঞ্চল-১-এর উচ্চমান সহকারী কাম হিসাবরক্ষক তৈয়বা রহিম, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক রেশমা ও রেভিনিউ সুপারভাইজার দেওয়ান মো. সাঈদ। তাঁরা প্রত্যেকে তিন মামলার প্রতিটি মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।

সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হওয়ার পর বিচারক রবিউল ইসলাম ৩০ অক্টোবর পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেন বলে জানান দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বিশেষ পিপি তরিকুল ইসলাম।

এর আগে গত ১৩ আগস্ট এ মামলাগুলোতে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। দুদকের উপপরিচালক সালাহউদ্দিন, সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া ও এস এম রাশেদুল হাসান—এই তিন কর্মকর্তা তিন মামলার বাদী। পরে চারটি তারিখে আরও ১৭ জন সাক্ষ্য দেন।

এ তিন মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর বোন শেখ রেহানা, রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক, আজমিনা সিদ্দিক ও ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক (ববি) আসামি। তাঁদের মধ্যে এক মামলায় শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, টিউলিপ সিদ্দিকসহ ১৭ জন; আরেক মামলায় শেখ হাসিনা, আজমিনা সিদ্দিকসহ ১৮ জন এবং অপর মামলায় শেখ হাসিনা, রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববিসহ ১৮ জন আসামি।

তবে প্রতিটি মামলায় শেখ হাসিনা ও রাজউকের কয়েকজন কর্মকর্তা আসামি। তাঁরা পলাতক থাকায় তাঁদের অনুপস্থিতিতে সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে।

গত ৩১ জুলাই একই আদালত এই তিন মামলায় শেখ হাসিনাসহ অন্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।

মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, সরকারের সর্বোচ্চ পদে থাকাকালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের ওপর অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহার করেন। তাঁরা বরাদ্দ পাওয়ার যোগ্য না হওয়া সত্ত্বেও অসৎ উদ্দেশ্যে পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরের ২০৩ নম্বর রাস্তার ছয়টি প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি, ১৮৬০-এর ১৬১/১৬৩/১৬৪/৪০৯/১০৯ ধারা তৎসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারার অভিযোগ আনা হয়েছে।

এর আগে গত ২৬ ডিসেম্বর শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ছয়টি প্লট বরাদ্দে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।

অনুসন্ধানের পর অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় গত ১২, ১৩ ও ১৪ জানুয়ারি দুদক এই মামলাগুলো করে। গত ২৫ মার্চ ছয় মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক। অভিযোগপত্রে শেখ হাসিনা, তাঁর পরিবারের সদস্যরাসহ ২৯ জন আসামি। ইতিমধ্যে প্রত্যেকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

শেখ হাসিনা, তাঁর ছেলেমেয়েসহ অন্যদের বিরুদ্ধে অন্য তিনটি মামলায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এ সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোদির গুজরাটে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়া সব মন্ত্রীর পদত্যাগ

চট্টগ্রামে অ্যাডামস ক্যাপস অ্যান্ড টেক্সটাইল কারখানায় ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ২৩ ইউনিট

এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ৫ শতাংশের বেশি বাড়ানো সম্ভব নয়: শিক্ষা উপদেষ্টা

তৃতীয় দফায় বাড়ল জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ

বিছানাভর্তি টাকা, বিলাসবহুল গাড়ি ও সোনাদানা মিলল পুলিশ কর্মকর্তার ঘরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত