ফরিদপুর প্রতিনিধি

ভারী বর্ষণের সঙ্গে আকস্মিক ঝড়ে বিধ্বস্ত হয়েছে ফরিদপুরের তিন উপজেলার অন্তত ১০টি গ্রাম। গ্রামগুলোর অধিকাংশ বসতঘর দুমড়ে-মুচড়ে গেছে। উপড়ে পড়েছে শত শত গাছপালা। অনেকে মাথা গোঁজার একমাত্র ঠাঁই হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর থেকে জেলায় শুরু হয় মুষলধারে বর্ষণ। চলে আজ শুক্রবার সকাল পর্যন্ত। জেলায় চলতি বছরের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে জেলা আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম জানিয়েছেন। তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ১২৯ দশমিক ৯ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। এতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে জনজীবন।
ভারী বর্ষণে জেলা শহরের পূর্ব খাবাসপুর ও দক্ষিণ ঝিলটুলীর বাসিন্দারা পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। শতাধিক পরিবার এখন পানিবন্দী। ওই এলাকার বাসিন্দা জিল্লুর রহমান রাসেল বলেন, বৃষ্টি হলেই এই এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। বারবার পৌর মেয়রকে জানানোর পরেও কিছুই করছেন না। গতকালের ভারী বর্ষণে যে পানি হয়েছে তা আগামী দুই দিনেও শুকাবে না।
এদিকে গতকাল সন্ধ্যায় আকস্মিক ঝড় হয় আলফাডাঙ্গা, সালথা ও ভাঙ্গা উপজেলায়। এতে উপজেলাগুলোর অন্তত ১০টি গ্রামের প্রায় ২০০ ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের হিসাবে ৭৬টি কাঁচা-পাকা ঘরের ক্ষতি হয়েছে। তাৎক্ষণিক ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়িয়েছে উপজেলা প্রশাসন। তবে সঠিক ক্ষতির পরিমাণ এখনো জানা যায়নি।
ঝড়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আলফাডাঙ্গা উপজেলার সদর ইউনিয়ন ও টগরবন্ধ ইউনিয়নের অন্তত ছয়টি গ্রাম। ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামগুলোর মধ্যে রয়েছে সদর ইউনিয়ন বিদ্যাধর, ব্রাহ্মণ-জাটিগ্রাম, বেজিডাঙ্গা ও টগরবন্ধ ইউনিয়নের মালা, কৃষ্ণপুর-টগরবান, তিতুরকান্দি।
গ্রামগুলোতে ঝড়ের স্থায়িত্ব ছিল মাত্র এক মিনিট। এতে শতাধিক কাঁচা-পাকা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে, উপড়ে পড়েছে কমপক্ষে তিন শতাধিক গাছপালা। এ ছাড়া তিনটি বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ে ওই এলাকায় বিদ্যুতের সংযোগ বন্ধ রয়েছে। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও ক্ষতিগ্রস্তরা অনেকেই খোলা আকাশের নিচে এবং আশপাশের বাড়ি ও এলাকায় অবস্থান নিয়েছে।
টগরবন্ধ ইউনিয়নের বাসিন্দা ও উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লায়লা বেগম বলেন, খবর পেয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে সাধ্যমতো সহযোগিতার চেষ্টা করা হয়েছে। টগরবন্ধ ইউনিয়নের তিনটি গ্রামের ৬০ থেকে ৭০টি কাঁচা-পাকা বাড়িঘর, কয়েক শ গাছপালা ভেঙে উপড়ে পড়ে।
আলফাডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রফিকুল হক বলেন, ঝড়ে উপজেলার দু-তিনটি গ্রামের ২০টি ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। বর্তমানে ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণে কাজ চলছে। গাছপালা সরানো হচ্ছে। তালিকা করে সহায়তা দেওয়া হবে।
এদিকে সালথা উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নের সোনাতন্দী নামে একটি গ্রামে ঝড় আঘাত হানে। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ঝড়টির স্থায়িত্ব ছিল মাত্র তিন মিনিট বলে জানান স্থানীয়রা। এতে ভেঙে গেছে ২১টি ঘরবাড়ি ও অসংখ্য গাছপালা।
সালথার ইউএনও আনিচুর রহমান বালি বলেন, উপজেলার শুধু একটি গ্রামেই ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গ্রামটির অন্তত ২১টি ঘরবাড়ির ক্ষতি হয়েছে এবং ১০-১২টি ঘরের বেশি ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে তাৎক্ষণিক সহায়তা হিসেবে ২৫ কেজি চাল, ডাল, তেল ও লবণ দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
অন্যদিকে ভাঙ্গা উপজেলার আজিমনগর, পুকুরিয়া ও নওয়াপাড়া গ্রামের ৩০-৩৫টি ঘরবাড়ির ক্ষতি হয়েছে বলে জানান ইউএনও আজিম উদ্দিন। ইউএনও বলেন, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো জানা যায়নি। তাৎক্ষণিকভাবে জেলা প্রশাসকসহ আমরা শুকনো খাবার নিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে যাচ্ছি।
জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, হঠাৎ করে ঝড়টি আঘাত হানে। স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের সর্বাত্মক সাহায্য সহযোগিতা করা হবে।

ভারী বর্ষণের সঙ্গে আকস্মিক ঝড়ে বিধ্বস্ত হয়েছে ফরিদপুরের তিন উপজেলার অন্তত ১০টি গ্রাম। গ্রামগুলোর অধিকাংশ বসতঘর দুমড়ে-মুচড়ে গেছে। উপড়ে পড়েছে শত শত গাছপালা। অনেকে মাথা গোঁজার একমাত্র ঠাঁই হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর থেকে জেলায় শুরু হয় মুষলধারে বর্ষণ। চলে আজ শুক্রবার সকাল পর্যন্ত। জেলায় চলতি বছরের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে জেলা আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম জানিয়েছেন। তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ১২৯ দশমিক ৯ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। এতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে জনজীবন।
ভারী বর্ষণে জেলা শহরের পূর্ব খাবাসপুর ও দক্ষিণ ঝিলটুলীর বাসিন্দারা পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। শতাধিক পরিবার এখন পানিবন্দী। ওই এলাকার বাসিন্দা জিল্লুর রহমান রাসেল বলেন, বৃষ্টি হলেই এই এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। বারবার পৌর মেয়রকে জানানোর পরেও কিছুই করছেন না। গতকালের ভারী বর্ষণে যে পানি হয়েছে তা আগামী দুই দিনেও শুকাবে না।
এদিকে গতকাল সন্ধ্যায় আকস্মিক ঝড় হয় আলফাডাঙ্গা, সালথা ও ভাঙ্গা উপজেলায়। এতে উপজেলাগুলোর অন্তত ১০টি গ্রামের প্রায় ২০০ ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের হিসাবে ৭৬টি কাঁচা-পাকা ঘরের ক্ষতি হয়েছে। তাৎক্ষণিক ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়িয়েছে উপজেলা প্রশাসন। তবে সঠিক ক্ষতির পরিমাণ এখনো জানা যায়নি।
ঝড়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আলফাডাঙ্গা উপজেলার সদর ইউনিয়ন ও টগরবন্ধ ইউনিয়নের অন্তত ছয়টি গ্রাম। ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামগুলোর মধ্যে রয়েছে সদর ইউনিয়ন বিদ্যাধর, ব্রাহ্মণ-জাটিগ্রাম, বেজিডাঙ্গা ও টগরবন্ধ ইউনিয়নের মালা, কৃষ্ণপুর-টগরবান, তিতুরকান্দি।
গ্রামগুলোতে ঝড়ের স্থায়িত্ব ছিল মাত্র এক মিনিট। এতে শতাধিক কাঁচা-পাকা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে, উপড়ে পড়েছে কমপক্ষে তিন শতাধিক গাছপালা। এ ছাড়া তিনটি বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ে ওই এলাকায় বিদ্যুতের সংযোগ বন্ধ রয়েছে। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও ক্ষতিগ্রস্তরা অনেকেই খোলা আকাশের নিচে এবং আশপাশের বাড়ি ও এলাকায় অবস্থান নিয়েছে।
টগরবন্ধ ইউনিয়নের বাসিন্দা ও উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লায়লা বেগম বলেন, খবর পেয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে সাধ্যমতো সহযোগিতার চেষ্টা করা হয়েছে। টগরবন্ধ ইউনিয়নের তিনটি গ্রামের ৬০ থেকে ৭০টি কাঁচা-পাকা বাড়িঘর, কয়েক শ গাছপালা ভেঙে উপড়ে পড়ে।
আলফাডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রফিকুল হক বলেন, ঝড়ে উপজেলার দু-তিনটি গ্রামের ২০টি ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। বর্তমানে ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণে কাজ চলছে। গাছপালা সরানো হচ্ছে। তালিকা করে সহায়তা দেওয়া হবে।
এদিকে সালথা উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নের সোনাতন্দী নামে একটি গ্রামে ঝড় আঘাত হানে। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ঝড়টির স্থায়িত্ব ছিল মাত্র তিন মিনিট বলে জানান স্থানীয়রা। এতে ভেঙে গেছে ২১টি ঘরবাড়ি ও অসংখ্য গাছপালা।
সালথার ইউএনও আনিচুর রহমান বালি বলেন, উপজেলার শুধু একটি গ্রামেই ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গ্রামটির অন্তত ২১টি ঘরবাড়ির ক্ষতি হয়েছে এবং ১০-১২টি ঘরের বেশি ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে তাৎক্ষণিক সহায়তা হিসেবে ২৫ কেজি চাল, ডাল, তেল ও লবণ দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
অন্যদিকে ভাঙ্গা উপজেলার আজিমনগর, পুকুরিয়া ও নওয়াপাড়া গ্রামের ৩০-৩৫টি ঘরবাড়ির ক্ষতি হয়েছে বলে জানান ইউএনও আজিম উদ্দিন। ইউএনও বলেন, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো জানা যায়নি। তাৎক্ষণিকভাবে জেলা প্রশাসকসহ আমরা শুকনো খাবার নিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে যাচ্ছি।
জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, হঠাৎ করে ঝড়টি আঘাত হানে। স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের সর্বাত্মক সাহায্য সহযোগিতা করা হবে।

রাজধানীর শাহবাগ থানাধীন হাইকোর্টের সামনে সড়ক দুর্ঘটনায় অজ্ঞাত পরিচয় (৩০) এক নারী নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। গুরুতর অবস্থায় পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক রাত আড়াইটার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
২ মিনিট আগে
মৌলভীবাজারের কৃষকেরা আমন ধানের ক্ষতিকারক পোকা দমনে কীটনাশকের পরিবর্তে পরিবেশবান্ধব ‘পাচিং’ পদ্ধতি ব্যবহারে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। জেলার হাওর এলাকা এবং সমতল ভূমিতে বাঁশ বা গাছের খুঁটি ব্যবহার করে এই ‘ডেথ পাচিং’ পদ্ধতি প্রয়োগ করে কৃষকেরা উল্লেখযোগ্য সুফল পাচ্ছেন।
৪ মিনিট আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় দুর্বৃত্তদের ছোড়া গুলিতে গুরুতর আহত হয়েছেন বিএনপি নেতা মফিজুর রহমান মুকুল। গতকাল শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে উপজেলার পৌর এলাকার আদালতপাড়ায় এই ঘটনা ঘটে। আহত মফিজুর রহমান ওরফে মুকুল (৫২) উপজেলার পৌর এলাকার পদ্মপাড়ার বাসিন্দা।
১১ মিনিট আগে
২০২২ সালে তাঁরা সীমান্তঘেঁষা বিজয়পুর জিরো পয়েন্ট এলাকায় ১ একর জমিতে মাল্টা চাষ শুরু করেন। প্রথমে স্থানীয় কৃষি অফিস থেকে ৩০০ চারা নিয়ে শুরু করলেও পরে আরও ২০০ চারা রোপণ করেন। বর্তমানে ৫০০ চারার বাগানে টসটসে মাল্টা ঝুলছে।
৩২ মিনিট আগেঢামেক প্রতিবেদক

রাজধানীর শাহবাগ থানাধীন হাইকোর্টের সামনে সড়ক দুর্ঘটনায় অজ্ঞাত পরিচয় (৩০) এক নারী নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। গুরুতর অবস্থায় পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক রাত আড়াইটার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হামিদুল ইসলাম জানান, রাতে ট্রিপল নাইনের মাধ্যমে খবর আসে হাইকোর্টের সামনে কোনো যানবাহনের ধাক্কায় এক নারী গুরুতর আহত হয়েছেন। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসক পরীক্ষা নিরীক্ষা করে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে জানা গেছে, ওই নারী ভবঘুরে প্রকৃতির। হাইকোর্ট এলাকায় থাকতেন। তাঁর পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।

রাজধানীর শাহবাগ থানাধীন হাইকোর্টের সামনে সড়ক দুর্ঘটনায় অজ্ঞাত পরিচয় (৩০) এক নারী নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। গুরুতর অবস্থায় পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক রাত আড়াইটার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হামিদুল ইসলাম জানান, রাতে ট্রিপল নাইনের মাধ্যমে খবর আসে হাইকোর্টের সামনে কোনো যানবাহনের ধাক্কায় এক নারী গুরুতর আহত হয়েছেন। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসক পরীক্ষা নিরীক্ষা করে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে জানা গেছে, ওই নারী ভবঘুরে প্রকৃতির। হাইকোর্ট এলাকায় থাকতেন। তাঁর পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।

ভারী বর্ষণের সঙ্গে আকস্মিক ঝড়ে বিধ্বস্ত হয়েছে ফরিদপুরের তিন উপজেলার অন্তত ১০টি গ্রাম। গ্রামগুলোর অধিকাংশ বসতঘর দুমড়ে-মুচড়ে গেছে। উপড়ে পড়েছে শত শত গাছপালা। অনেকে মাথা গোঁজার একমাত্র ঠাঁই হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছেন।
০৬ অক্টোবর ২০২৩
মৌলভীবাজারের কৃষকেরা আমন ধানের ক্ষতিকারক পোকা দমনে কীটনাশকের পরিবর্তে পরিবেশবান্ধব ‘পাচিং’ পদ্ধতি ব্যবহারে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। জেলার হাওর এলাকা এবং সমতল ভূমিতে বাঁশ বা গাছের খুঁটি ব্যবহার করে এই ‘ডেথ পাচিং’ পদ্ধতি প্রয়োগ করে কৃষকেরা উল্লেখযোগ্য সুফল পাচ্ছেন।
৪ মিনিট আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় দুর্বৃত্তদের ছোড়া গুলিতে গুরুতর আহত হয়েছেন বিএনপি নেতা মফিজুর রহমান মুকুল। গতকাল শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে উপজেলার পৌর এলাকার আদালতপাড়ায় এই ঘটনা ঘটে। আহত মফিজুর রহমান ওরফে মুকুল (৫২) উপজেলার পৌর এলাকার পদ্মপাড়ার বাসিন্দা।
১১ মিনিট আগে
২০২২ সালে তাঁরা সীমান্তঘেঁষা বিজয়পুর জিরো পয়েন্ট এলাকায় ১ একর জমিতে মাল্টা চাষ শুরু করেন। প্রথমে স্থানীয় কৃষি অফিস থেকে ৩০০ চারা নিয়ে শুরু করলেও পরে আরও ২০০ চারা রোপণ করেন। বর্তমানে ৫০০ চারার বাগানে টসটসে মাল্টা ঝুলছে।
৩২ মিনিট আগেমাহিদুল ইসলাম, মৌলভীবাজার

মৌলভীবাজারের কৃষকেরা আমন ধানের ক্ষতিকারক পোকা দমনে কীটনাশকের পরিবর্তে পরিবেশবান্ধব ‘পাচিং’ পদ্ধতি ব্যবহারে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। জেলার হাওর এলাকা এবং সমতল ভূমিতে বাঁশ বা গাছের খুঁটি ব্যবহার করে এই ‘ডেথ পাচিং’ পদ্ধতি প্রয়োগ করে কৃষকেরা উল্লেখযোগ্য সুফল পাচ্ছেন। কৃষিবিদেরা মনে করছেন, কৃষকদের মধ্যে সচেতনতা আরও বাড়ালে এই পদ্ধতির ব্যবহার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করা সম্ভব।
এই পদ্ধতিতে ধানখেতে বাঁশের খুঁটি বা ডাল পুঁতে দেওয়া হয়, যেখানে বিভিন্ন প্রজাতির শিকারি পাখি এসে বসে। এই পাখিগুলো ধানগাছের ক্ষতিকর পোকামাকড়, বিশেষ করে মাজরা পোকা খেয়ে ফেলে। ফলে ফসলে রোগবালাইয়ের আক্রমণ কমে যায়, কীটনাশকের ব্যবহার ও খরচ হ্রাস পায় এবং পরিবেশ সুরক্ষিত থাকে। পাখিদের মল থেকে জৈব সার তৈরি হওয়ায় জমির উর্বরতা শক্তিও বাড়ে।
সরেজমিনে জেলার কমলগঞ্জ, রাজনগর ও কুলাউড়া উপজেলার আমনখেত ঘুরে দেখা যায়, কৃষকেরা বিচ্ছিন্নভাবে এই পদ্ধতি ব্যবহার করছেন। প্রায় ১০০ শতক জমিতে ২৫-৩০টি ডেথ পাচিং দেওয়া হয়েছে। বাঁশের খুঁটি বা গাছের ডালের মাথায় খড় বেঁধে পাখির বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বেশির ভাগ কৃষক পরিবেশবান্ধব এই ডেথ পাচিং পদ্ধতি ব্যবহার করছেন।
কৃষকেরা জানান, জেলায় সবচেয়ে বেশি আমন ধান চাষ হয় এবং একটি নির্দিষ্ট সময়ে মাজরা পোকার আক্রমণ দেখা যায়। এই পোকা ধানের ডিগ পাতা কেটে দেওয়ায় অনেক সময় পচন রোগের সৃষ্টি হয়। এই আক্রমণ মোকাবিলায় কীটনাশক ব্যবহারের পাশাপাশি তাঁরা পাচিং পদ্ধতি ব্যবহার করছেন।
কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়নের কৃষক আনোয়ার মিয়া বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন ধরে আমার ধানখেতে পাচিং পদ্ধতি ব্যবহার করছি। এই পদ্ধতির কারণে পোকামাকড় কম আসে। আমরা ধানের চারা রোপণের কয়েক সপ্তাহ পর থেকে পাচিং পদ্ধতি ব্যবহার করি। কিছুদিন আগে জমির প্রায় পুরোটা মাজরা পোকার আক্রমণের শিকার হয়েছে। পোকা দমনে কীটনাশক ছিটানোর পাশাপাশি পাচিং পদ্ধতি ব্যবহার করছি।’
কৃষকদের মতে, বিশেষ করে শালিক ও ফিঙে—এই দুই ধরনের পাখি পাচিংয়ে বসে পোকা নিধনে প্রধান ভূমিকা রাখে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ৯৮ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ করা হয়েছে, যা লক্ষ্যমাত্রার শতভাগ পূরণ করেছে।
মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. জালাল উদ্দীন বলেন, পাচিং পদ্ধতির মাধ্যমে কৃষকেরা সুফল পাচ্ছেন। যারা এই পদ্ধতি ব্যবহার করেন, তাঁদের খরচ কম হয় এবং সুফল বেশি হয়। এটি পরিবেশ বান্ধব। কম খরচে বাঁশের খুঁটি দ্বারা সহজে এটি করা যায়। বিশেষ করে মাজরা পোকার আক্রমণ থেকে ধান রক্ষার জন্য এই পদ্ধতি ব্যবহার করা খুবই প্রয়োজন।

মৌলভীবাজারের কৃষকেরা আমন ধানের ক্ষতিকারক পোকা দমনে কীটনাশকের পরিবর্তে পরিবেশবান্ধব ‘পাচিং’ পদ্ধতি ব্যবহারে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। জেলার হাওর এলাকা এবং সমতল ভূমিতে বাঁশ বা গাছের খুঁটি ব্যবহার করে এই ‘ডেথ পাচিং’ পদ্ধতি প্রয়োগ করে কৃষকেরা উল্লেখযোগ্য সুফল পাচ্ছেন। কৃষিবিদেরা মনে করছেন, কৃষকদের মধ্যে সচেতনতা আরও বাড়ালে এই পদ্ধতির ব্যবহার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করা সম্ভব।
এই পদ্ধতিতে ধানখেতে বাঁশের খুঁটি বা ডাল পুঁতে দেওয়া হয়, যেখানে বিভিন্ন প্রজাতির শিকারি পাখি এসে বসে। এই পাখিগুলো ধানগাছের ক্ষতিকর পোকামাকড়, বিশেষ করে মাজরা পোকা খেয়ে ফেলে। ফলে ফসলে রোগবালাইয়ের আক্রমণ কমে যায়, কীটনাশকের ব্যবহার ও খরচ হ্রাস পায় এবং পরিবেশ সুরক্ষিত থাকে। পাখিদের মল থেকে জৈব সার তৈরি হওয়ায় জমির উর্বরতা শক্তিও বাড়ে।
সরেজমিনে জেলার কমলগঞ্জ, রাজনগর ও কুলাউড়া উপজেলার আমনখেত ঘুরে দেখা যায়, কৃষকেরা বিচ্ছিন্নভাবে এই পদ্ধতি ব্যবহার করছেন। প্রায় ১০০ শতক জমিতে ২৫-৩০টি ডেথ পাচিং দেওয়া হয়েছে। বাঁশের খুঁটি বা গাছের ডালের মাথায় খড় বেঁধে পাখির বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বেশির ভাগ কৃষক পরিবেশবান্ধব এই ডেথ পাচিং পদ্ধতি ব্যবহার করছেন।
কৃষকেরা জানান, জেলায় সবচেয়ে বেশি আমন ধান চাষ হয় এবং একটি নির্দিষ্ট সময়ে মাজরা পোকার আক্রমণ দেখা যায়। এই পোকা ধানের ডিগ পাতা কেটে দেওয়ায় অনেক সময় পচন রোগের সৃষ্টি হয়। এই আক্রমণ মোকাবিলায় কীটনাশক ব্যবহারের পাশাপাশি তাঁরা পাচিং পদ্ধতি ব্যবহার করছেন।
কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়নের কৃষক আনোয়ার মিয়া বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন ধরে আমার ধানখেতে পাচিং পদ্ধতি ব্যবহার করছি। এই পদ্ধতির কারণে পোকামাকড় কম আসে। আমরা ধানের চারা রোপণের কয়েক সপ্তাহ পর থেকে পাচিং পদ্ধতি ব্যবহার করি। কিছুদিন আগে জমির প্রায় পুরোটা মাজরা পোকার আক্রমণের শিকার হয়েছে। পোকা দমনে কীটনাশক ছিটানোর পাশাপাশি পাচিং পদ্ধতি ব্যবহার করছি।’
কৃষকদের মতে, বিশেষ করে শালিক ও ফিঙে—এই দুই ধরনের পাখি পাচিংয়ে বসে পোকা নিধনে প্রধান ভূমিকা রাখে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ৯৮ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ করা হয়েছে, যা লক্ষ্যমাত্রার শতভাগ পূরণ করেছে।
মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. জালাল উদ্দীন বলেন, পাচিং পদ্ধতির মাধ্যমে কৃষকেরা সুফল পাচ্ছেন। যারা এই পদ্ধতি ব্যবহার করেন, তাঁদের খরচ কম হয় এবং সুফল বেশি হয়। এটি পরিবেশ বান্ধব। কম খরচে বাঁশের খুঁটি দ্বারা সহজে এটি করা যায়। বিশেষ করে মাজরা পোকার আক্রমণ থেকে ধান রক্ষার জন্য এই পদ্ধতি ব্যবহার করা খুবই প্রয়োজন।

ভারী বর্ষণের সঙ্গে আকস্মিক ঝড়ে বিধ্বস্ত হয়েছে ফরিদপুরের তিন উপজেলার অন্তত ১০টি গ্রাম। গ্রামগুলোর অধিকাংশ বসতঘর দুমড়ে-মুচড়ে গেছে। উপড়ে পড়েছে শত শত গাছপালা। অনেকে মাথা গোঁজার একমাত্র ঠাঁই হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছেন।
০৬ অক্টোবর ২০২৩
রাজধানীর শাহবাগ থানাধীন হাইকোর্টের সামনে সড়ক দুর্ঘটনায় অজ্ঞাত পরিচয় (৩০) এক নারী নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। গুরুতর অবস্থায় পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক রাত আড়াইটার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
২ মিনিট আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় দুর্বৃত্তদের ছোড়া গুলিতে গুরুতর আহত হয়েছেন বিএনপি নেতা মফিজুর রহমান মুকুল। গতকাল শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে উপজেলার পৌর এলাকার আদালতপাড়ায় এই ঘটনা ঘটে। আহত মফিজুর রহমান ওরফে মুকুল (৫২) উপজেলার পৌর এলাকার পদ্মপাড়ার বাসিন্দা।
১১ মিনিট আগে
২০২২ সালে তাঁরা সীমান্তঘেঁষা বিজয়পুর জিরো পয়েন্ট এলাকায় ১ একর জমিতে মাল্টা চাষ শুরু করেন। প্রথমে স্থানীয় কৃষি অফিস থেকে ৩০০ চারা নিয়ে শুরু করলেও পরে আরও ২০০ চারা রোপণ করেন। বর্তমানে ৫০০ চারার বাগানে টসটসে মাল্টা ঝুলছে।
৩২ মিনিট আগেব্রাহ্মণবাড়িয়া ও নবীনগর প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় দুর্বৃত্তদের ছোড়া গুলিতে গুরুতর আহত হয়েছেন বিএনপি নেতা মফিজুর রহমান মুকুল। গতকাল শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে উপজেলার পৌর এলাকার আদালতপাড়ায় এই ঘটনা ঘটে। আহত মফিজুর রহমান ওরফে মুকুল (৫২) উপজেলার পৌর এলাকার পদ্মপাড়ার বাসিন্দা। তিনি নবীনগর উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক।
স্থানীয় বাসিন্দা ও দলীয় নেতা-কর্মীরা জানান, মফিজুর রহমান দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে দিনভর উপজেলার বিটঘর বাজারে দলীয় প্রচারপত্র বিতরণ করেন। সন্ধ্যায় উপজেলায় ফিরে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে যান। এরপর তিনি উপজেলার পৌর এলাকার পদ্মপাড়ার নিজের বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন। রাত ৮টা ১০ মিনিটে পৌর এলাকার আদালতপাড়া অতিক্রম করার পরপরই দুর্বৃত্তরা পেছন থেকে তাঁকে উদ্দেশ করে পরপর তিনটি গুলি করে। দুটি গুলি তাঁর পিঠে এবং একটি কোমরের নিচে লাগে। এতে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
দুর্বৃত্তরা কৌশলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। গুলির শব্দ শুনে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে মফিজুর রহমানকে উদ্ধার করে নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেন।
নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, মফিজুর রহমানের পিঠে দুটি এবং কোমরের নিচে একটি গুলি লেগেছে। তাঁকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীনুর ইসলাম বলেন, ‘বিএনপি নেতা গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা শুনেছি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে কোনো লাইট ছিল না। অন্ধকার থাকায় অপরাধীরা ওত পেতে বসে ছিল। আমরা তদন্ত করছি।’
এই ঘটনার পর রাত সাড়ে ১০টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার পুলিশ সুপার মো. সাখাওয়াত হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন, এই হামলার সঙ্গে কারা জড়িত, তা এখনো জানা যায়নি। তবে তদন্ত চলছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় দুর্বৃত্তদের ছোড়া গুলিতে গুরুতর আহত হয়েছেন বিএনপি নেতা মফিজুর রহমান মুকুল। গতকাল শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে উপজেলার পৌর এলাকার আদালতপাড়ায় এই ঘটনা ঘটে। আহত মফিজুর রহমান ওরফে মুকুল (৫২) উপজেলার পৌর এলাকার পদ্মপাড়ার বাসিন্দা। তিনি নবীনগর উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক।
স্থানীয় বাসিন্দা ও দলীয় নেতা-কর্মীরা জানান, মফিজুর রহমান দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে দিনভর উপজেলার বিটঘর বাজারে দলীয় প্রচারপত্র বিতরণ করেন। সন্ধ্যায় উপজেলায় ফিরে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে যান। এরপর তিনি উপজেলার পৌর এলাকার পদ্মপাড়ার নিজের বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন। রাত ৮টা ১০ মিনিটে পৌর এলাকার আদালতপাড়া অতিক্রম করার পরপরই দুর্বৃত্তরা পেছন থেকে তাঁকে উদ্দেশ করে পরপর তিনটি গুলি করে। দুটি গুলি তাঁর পিঠে এবং একটি কোমরের নিচে লাগে। এতে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
দুর্বৃত্তরা কৌশলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। গুলির শব্দ শুনে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে মফিজুর রহমানকে উদ্ধার করে নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেন।
নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, মফিজুর রহমানের পিঠে দুটি এবং কোমরের নিচে একটি গুলি লেগেছে। তাঁকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীনুর ইসলাম বলেন, ‘বিএনপি নেতা গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা শুনেছি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে কোনো লাইট ছিল না। অন্ধকার থাকায় অপরাধীরা ওত পেতে বসে ছিল। আমরা তদন্ত করছি।’
এই ঘটনার পর রাত সাড়ে ১০টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার পুলিশ সুপার মো. সাখাওয়াত হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন, এই হামলার সঙ্গে কারা জড়িত, তা এখনো জানা যায়নি। তবে তদন্ত চলছে।

ভারী বর্ষণের সঙ্গে আকস্মিক ঝড়ে বিধ্বস্ত হয়েছে ফরিদপুরের তিন উপজেলার অন্তত ১০টি গ্রাম। গ্রামগুলোর অধিকাংশ বসতঘর দুমড়ে-মুচড়ে গেছে। উপড়ে পড়েছে শত শত গাছপালা। অনেকে মাথা গোঁজার একমাত্র ঠাঁই হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছেন।
০৬ অক্টোবর ২০২৩
রাজধানীর শাহবাগ থানাধীন হাইকোর্টের সামনে সড়ক দুর্ঘটনায় অজ্ঞাত পরিচয় (৩০) এক নারী নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। গুরুতর অবস্থায় পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক রাত আড়াইটার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
২ মিনিট আগে
মৌলভীবাজারের কৃষকেরা আমন ধানের ক্ষতিকারক পোকা দমনে কীটনাশকের পরিবর্তে পরিবেশবান্ধব ‘পাচিং’ পদ্ধতি ব্যবহারে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। জেলার হাওর এলাকা এবং সমতল ভূমিতে বাঁশ বা গাছের খুঁটি ব্যবহার করে এই ‘ডেথ পাচিং’ পদ্ধতি প্রয়োগ করে কৃষকেরা উল্লেখযোগ্য সুফল পাচ্ছেন।
৪ মিনিট আগে
২০২২ সালে তাঁরা সীমান্তঘেঁষা বিজয়পুর জিরো পয়েন্ট এলাকায় ১ একর জমিতে মাল্টা চাষ শুরু করেন। প্রথমে স্থানীয় কৃষি অফিস থেকে ৩০০ চারা নিয়ে শুরু করলেও পরে আরও ২০০ চারা রোপণ করেন। বর্তমানে ৫০০ চারার বাগানে টসটসে মাল্টা ঝুলছে।
৩২ মিনিট আগেদুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি

নেত্রকোনার সীমান্তবর্তী উপজেলা দুর্গাপুরের পাহাড়, নদী ও সবুজ প্রকৃতির মধ্যেও বহু জমি দীর্ঘদিন ধরে পতিত থাকত। সেই পতিত জমিতে এক অনন্য সাফল্যের গল্প তৈরি করেছেন তিন মামা-ভাগনে রনি মিত্র, নিকঞ্জ মণ্ডল ও সুমন মল্লিক।
২০২২ সালে তাঁরা সীমান্তঘেঁষা বিজয়পুর জিরো পয়েন্ট এলাকায় ১ একর জমিতে মাল্টা চাষ শুরু করেন। প্রথমে স্থানীয় কৃষি অফিস থেকে ৩০০ চারা নিয়ে শুরু করলেও পরে আরও ২০০ চারা রোপণ করেন। বর্তমানে ৫০০ চারার বাগানে টসটসে মাল্টা ঝুলছে।
বাগান গড়তে এ পর্যন্ত প্রায় ১২ লাখ টাকা খরচ হয়েছে বলে জানান রনি মিত্র। তবে এ বছরের ফলন থেকে প্রায় ৪ লাখ টাকার মাল্টা বিক্রির আশা করছেন তাঁরা। আগামী মৌসুমে ফলন বাড়লে লাভের পরিমাণ কয়েক গুণ বৃদ্ধি পাবে বলে তাঁদের প্রত্যাশা।
তিন মামা-ভাগনে বলেন, স্থানীয় চাহিদা মেটানোই তাদের মূল লক্ষ্য। বর্তমানে দুর্গাপুরের হাটবাজার ছাড়াও পার্শ্ববর্তী উপজেলা, জেলা শহর এবং ময়মনসিংহ পর্যন্ত এই বাগানের মাল্টা বাজারজাত হচ্ছে। ইতিমধ্যে বাগানের অর্ধেকের বেশি মাল্টা বিক্রি হয়েছে।

পাইকারি ক্রেতারা জানান, গাছ থেকে সরাসরি বাজারে আসা এই ফরমালিনমুক্ত মাল্টার চাহিদা অনেক বেশি। তাঁরা এখান থেকে পাইকারি কিনে খুচরা বাজারে বিক্রি করে ভালো মুনাফা পাচ্ছেন। স্থানীয় বাসিন্দা কৃষ্ণ কর বলেন, ‘ফরমালিনমুক্ত মাল্টা পেয়ে আমরা খুব খুশি। এতে সহজে পূরণ হচ্ছে ভিটামিন সি-এর চাহিদা।’
উপজেলা ভারপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা মো. রায়হানুল হক বলেন, সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি থেকে অক্টোবরের মাঝামাঝি মাল্টা বাজারজাতের উপযুক্ত সময়। তিনি জানান, এই তিন মামা-ভাগনে যথাসময়ে ফল বাজারজাত করায় ভোক্তারা মাল্টার আসল স্বাদ পাচ্ছেন।
পতিত জমিকে কাজে লাগিয়ে মাত্র তিন বছরে এই তিন মামা-ভাগনে যে সফলতার গল্প তৈরি করেছেন, তা এখন দুর্গাপুরের অনেকের কাছে অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছে।

নেত্রকোনার সীমান্তবর্তী উপজেলা দুর্গাপুরের পাহাড়, নদী ও সবুজ প্রকৃতির মধ্যেও বহু জমি দীর্ঘদিন ধরে পতিত থাকত। সেই পতিত জমিতে এক অনন্য সাফল্যের গল্প তৈরি করেছেন তিন মামা-ভাগনে রনি মিত্র, নিকঞ্জ মণ্ডল ও সুমন মল্লিক।
২০২২ সালে তাঁরা সীমান্তঘেঁষা বিজয়পুর জিরো পয়েন্ট এলাকায় ১ একর জমিতে মাল্টা চাষ শুরু করেন। প্রথমে স্থানীয় কৃষি অফিস থেকে ৩০০ চারা নিয়ে শুরু করলেও পরে আরও ২০০ চারা রোপণ করেন। বর্তমানে ৫০০ চারার বাগানে টসটসে মাল্টা ঝুলছে।
বাগান গড়তে এ পর্যন্ত প্রায় ১২ লাখ টাকা খরচ হয়েছে বলে জানান রনি মিত্র। তবে এ বছরের ফলন থেকে প্রায় ৪ লাখ টাকার মাল্টা বিক্রির আশা করছেন তাঁরা। আগামী মৌসুমে ফলন বাড়লে লাভের পরিমাণ কয়েক গুণ বৃদ্ধি পাবে বলে তাঁদের প্রত্যাশা।
তিন মামা-ভাগনে বলেন, স্থানীয় চাহিদা মেটানোই তাদের মূল লক্ষ্য। বর্তমানে দুর্গাপুরের হাটবাজার ছাড়াও পার্শ্ববর্তী উপজেলা, জেলা শহর এবং ময়মনসিংহ পর্যন্ত এই বাগানের মাল্টা বাজারজাত হচ্ছে। ইতিমধ্যে বাগানের অর্ধেকের বেশি মাল্টা বিক্রি হয়েছে।

পাইকারি ক্রেতারা জানান, গাছ থেকে সরাসরি বাজারে আসা এই ফরমালিনমুক্ত মাল্টার চাহিদা অনেক বেশি। তাঁরা এখান থেকে পাইকারি কিনে খুচরা বাজারে বিক্রি করে ভালো মুনাফা পাচ্ছেন। স্থানীয় বাসিন্দা কৃষ্ণ কর বলেন, ‘ফরমালিনমুক্ত মাল্টা পেয়ে আমরা খুব খুশি। এতে সহজে পূরণ হচ্ছে ভিটামিন সি-এর চাহিদা।’
উপজেলা ভারপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা মো. রায়হানুল হক বলেন, সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি থেকে অক্টোবরের মাঝামাঝি মাল্টা বাজারজাতের উপযুক্ত সময়। তিনি জানান, এই তিন মামা-ভাগনে যথাসময়ে ফল বাজারজাত করায় ভোক্তারা মাল্টার আসল স্বাদ পাচ্ছেন।
পতিত জমিকে কাজে লাগিয়ে মাত্র তিন বছরে এই তিন মামা-ভাগনে যে সফলতার গল্প তৈরি করেছেন, তা এখন দুর্গাপুরের অনেকের কাছে অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছে।

ভারী বর্ষণের সঙ্গে আকস্মিক ঝড়ে বিধ্বস্ত হয়েছে ফরিদপুরের তিন উপজেলার অন্তত ১০টি গ্রাম। গ্রামগুলোর অধিকাংশ বসতঘর দুমড়ে-মুচড়ে গেছে। উপড়ে পড়েছে শত শত গাছপালা। অনেকে মাথা গোঁজার একমাত্র ঠাঁই হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছেন।
০৬ অক্টোবর ২০২৩
রাজধানীর শাহবাগ থানাধীন হাইকোর্টের সামনে সড়ক দুর্ঘটনায় অজ্ঞাত পরিচয় (৩০) এক নারী নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। গুরুতর অবস্থায় পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক রাত আড়াইটার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
২ মিনিট আগে
মৌলভীবাজারের কৃষকেরা আমন ধানের ক্ষতিকারক পোকা দমনে কীটনাশকের পরিবর্তে পরিবেশবান্ধব ‘পাচিং’ পদ্ধতি ব্যবহারে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। জেলার হাওর এলাকা এবং সমতল ভূমিতে বাঁশ বা গাছের খুঁটি ব্যবহার করে এই ‘ডেথ পাচিং’ পদ্ধতি প্রয়োগ করে কৃষকেরা উল্লেখযোগ্য সুফল পাচ্ছেন।
৪ মিনিট আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় দুর্বৃত্তদের ছোড়া গুলিতে গুরুতর আহত হয়েছেন বিএনপি নেতা মফিজুর রহমান মুকুল। গতকাল শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে উপজেলার পৌর এলাকার আদালতপাড়ায় এই ঘটনা ঘটে। আহত মফিজুর রহমান ওরফে মুকুল (৫২) উপজেলার পৌর এলাকার পদ্মপাড়ার বাসিন্দা।
১১ মিনিট আগে