নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রশাসনিক দুর্বলতার সুযোগে ঢাকায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার সংখ্যা ২ লাখ থেকে বেড়ে ১৫ থেকে ২০ লাখে উন্নীত হয়েছে বলে জানিয়েছে নিরাপদ সড়ক আন্দোলন (নিসআ)।
রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আজ বৃহস্পতিবার এক আলোচনা সভায় এ তথ্য জানায় সংগঠনটি।
সভায় নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের নেতারা জানান, মহাসড়কে সংঘটিত দুর্ঘটনার দু-তৃতীয়াংশই ঘটছে ধীর গতির অটোরিকশার জন্য। গত তিন বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা সরকারি হিসাবে ১৫ হাজার এবং বেসরকারি হিসাবে ২৫ হাজারের বেশি।
সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ অনুযায়ী গঠিত ট্রাস্টি বোর্ড থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত মাত্র এক শতাংশ ভুক্তভোগীই (৪৩৭ জন) ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন। বাকি ৯৯ শতাংশ ভুক্তভোগী প্রচারের অভাবে এই সুবিধা সম্পর্কে অজ্ঞ বলেও জানায় নিসআ।
সভায় অভিযোগ করা হয়, ২০২৪ সালের নভেম্বরে বাস রুট রেশনালাইজেশনের পরিকল্পনা গৃহীত হলেও এখন পর্যন্ত এর বাস্তবায়ন দৃশ্যমান নয়। বাসমালিকদের রেষারেষি এবং প্রতিযোগিতা অব্যাহত রয়েছে। ঢাকার ট্রাফিক সিগন্যাল আধুনিকায়নে ১৮ কোটি টাকা ব্যয় করা হলেও তা অকার্যকর। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা এখনো সনাতন হস্তচালিত পদ্ধতির ওপর নির্ভরশীল। এ ছাড়া টিআইবির প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিআরটিএ দেশের সর্বোচ্চ দুর্নীতিগ্রস্ত সেবা প্রতিষ্ঠান হিসেবে চিহ্নিত বলেও অভিযোগ তোলা হয়।
সড়ক ও পরিবহনব্যবস্থা ‘সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ’ করার লক্ষ্যে ৯ দফা প্রস্তাব পেশ করে নিসআ। প্রস্তাবগুলোর মধ্যে রয়েছে—সময়োপযোগী আইন প্রণয়ন ও কার্যকর কমিশন গঠন করতে হবে, যেটি বিআরটিএসহ সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম সমন্বয় ও পর্যবেক্ষণ করবে; আইন প্রয়োগ ও জবাবদিহি নিশ্চিতকরণ করতে হবে; স্বাধীন নিরাপত্তা কমিশনের অধীনে সব প্রতিষ্ঠানের জবাবদিহি স্পষ্ট করতে হবে এবং নিয়মিত অডিট, অভিযোগ ব্যবস্থার মাধ্যমে দুর্নীতি ও সিন্ডিকেট কমানো।
এ ছাড়া সম্মিলিত পরিবহন ও ট্রাফিক ব্যবস্থার আধুনিকায়ন করার প্রস্তাব করে নিসআ; যেখানে জাতীয় মানদণ্ড অনুযায়ী রুট রেশনালাইজেশন ও একীভূত গণপরিবহন নেটওয়ার্ক এবং বাস-রেল-নৌপথে ইন্টিগ্রেটেড মাস ট্রান্সপোর্ট প্ল্যানের বাস্তবায়নে গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়।
সড়কের নিরাপদ অবকাঠামো ও নিরাপত্তা বলয় তৈরিতে জাতিসংঘের ‘সেফটি সিস্টেম অ্যাপ্রোচ’ অনুসরণ বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব করে নিরাপদ সড়ক আন্দোলন।
সভায় সড়ক ব্যবহারকারীদের সচেতনতায় দীর্ঘমেয়াদি রোড সেফটি এডুকেশন প্রোগ্রাম গ্রহণ করার ব্যাপারে জোর দেওয়া হয়।
পরিবহনচালকদের দক্ষতা ঘাটতি লাইসেন্সিংয়ে অনিয়ম ও শ্রমিকদের নিরাপত্তা সচেতনতার অভাবকে দুর্ঘটনার প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করে পেশাগত প্রশিক্ষণ ব্যাপারে জোর দেওয়া হয়। একই সঙ্গে শনাক্তকরণে প্রত্যেক চালকের ট্রেনিং, দুর্ঘটনার ইতিহাস রেকর্ডে রাখার ব্যাপারে প্রস্তাব করে নিসআ।
সর্বজনীন গণপরিবহনব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে বলেও প্রস্তাব করা হয় সভায়।
দুর্ঘটনা-পরবর্তী সময়ে ভুক্তভোগীকে সহায়তার জন্য দ্রুত সাড়া প্রদানকারী রেসকিউ টিম, হাইওয়ে অ্যাম্বুলেন্স নেটওয়ার্ক এবং সমন্বিত ইমার্জেন্সি মেডিকেল সার্ভিস প্রণয়নে গুরুত্ব দেওয়ার প্রস্তাব করে হয়।
সড়কের নিরাপত্তা শুধু একটি প্রশাসনিক বা প্রযুক্তিগত বিষয় নয়, এটি রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি ও সিদ্ধান্তের বিষয় বলেও জানান নিসআর নেতারা। তাঁদের প্রস্তাব—পরিবহন খাতের বিশৃঙ্খলা ও অনিয়ম রোধে আইন প্রয়োগে রাজনৈতিক চাপ দূর করতে সর্বোচ্চ পর্যায়ে দৃঢ় রাজনৈতিক ইচ্ছাশক্তির প্রয়োজন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিসআর সভাপতি আবদুল্লাহ মেহেদি দীপ্ত।
এ ছাড়া বক্তব্য দেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ এস এম আহম্মেদ খোকন, রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের রিসার্চ কো-অর্ডিনেটর পাহাড়ি ভট্টাচার্য, বুয়েটের এআরআই বিভাগের শিক্ষক আরমানা সাবিহা হকসহ পরিবহন খাত-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীল ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতারা।

প্রশাসনিক দুর্বলতার সুযোগে ঢাকায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার সংখ্যা ২ লাখ থেকে বেড়ে ১৫ থেকে ২০ লাখে উন্নীত হয়েছে বলে জানিয়েছে নিরাপদ সড়ক আন্দোলন (নিসআ)।
রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আজ বৃহস্পতিবার এক আলোচনা সভায় এ তথ্য জানায় সংগঠনটি।
সভায় নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের নেতারা জানান, মহাসড়কে সংঘটিত দুর্ঘটনার দু-তৃতীয়াংশই ঘটছে ধীর গতির অটোরিকশার জন্য। গত তিন বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা সরকারি হিসাবে ১৫ হাজার এবং বেসরকারি হিসাবে ২৫ হাজারের বেশি।
সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ অনুযায়ী গঠিত ট্রাস্টি বোর্ড থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত মাত্র এক শতাংশ ভুক্তভোগীই (৪৩৭ জন) ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন। বাকি ৯৯ শতাংশ ভুক্তভোগী প্রচারের অভাবে এই সুবিধা সম্পর্কে অজ্ঞ বলেও জানায় নিসআ।
সভায় অভিযোগ করা হয়, ২০২৪ সালের নভেম্বরে বাস রুট রেশনালাইজেশনের পরিকল্পনা গৃহীত হলেও এখন পর্যন্ত এর বাস্তবায়ন দৃশ্যমান নয়। বাসমালিকদের রেষারেষি এবং প্রতিযোগিতা অব্যাহত রয়েছে। ঢাকার ট্রাফিক সিগন্যাল আধুনিকায়নে ১৮ কোটি টাকা ব্যয় করা হলেও তা অকার্যকর। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা এখনো সনাতন হস্তচালিত পদ্ধতির ওপর নির্ভরশীল। এ ছাড়া টিআইবির প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিআরটিএ দেশের সর্বোচ্চ দুর্নীতিগ্রস্ত সেবা প্রতিষ্ঠান হিসেবে চিহ্নিত বলেও অভিযোগ তোলা হয়।
সড়ক ও পরিবহনব্যবস্থা ‘সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ’ করার লক্ষ্যে ৯ দফা প্রস্তাব পেশ করে নিসআ। প্রস্তাবগুলোর মধ্যে রয়েছে—সময়োপযোগী আইন প্রণয়ন ও কার্যকর কমিশন গঠন করতে হবে, যেটি বিআরটিএসহ সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম সমন্বয় ও পর্যবেক্ষণ করবে; আইন প্রয়োগ ও জবাবদিহি নিশ্চিতকরণ করতে হবে; স্বাধীন নিরাপত্তা কমিশনের অধীনে সব প্রতিষ্ঠানের জবাবদিহি স্পষ্ট করতে হবে এবং নিয়মিত অডিট, অভিযোগ ব্যবস্থার মাধ্যমে দুর্নীতি ও সিন্ডিকেট কমানো।
এ ছাড়া সম্মিলিত পরিবহন ও ট্রাফিক ব্যবস্থার আধুনিকায়ন করার প্রস্তাব করে নিসআ; যেখানে জাতীয় মানদণ্ড অনুযায়ী রুট রেশনালাইজেশন ও একীভূত গণপরিবহন নেটওয়ার্ক এবং বাস-রেল-নৌপথে ইন্টিগ্রেটেড মাস ট্রান্সপোর্ট প্ল্যানের বাস্তবায়নে গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়।
সড়কের নিরাপদ অবকাঠামো ও নিরাপত্তা বলয় তৈরিতে জাতিসংঘের ‘সেফটি সিস্টেম অ্যাপ্রোচ’ অনুসরণ বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব করে নিরাপদ সড়ক আন্দোলন।
সভায় সড়ক ব্যবহারকারীদের সচেতনতায় দীর্ঘমেয়াদি রোড সেফটি এডুকেশন প্রোগ্রাম গ্রহণ করার ব্যাপারে জোর দেওয়া হয়।
পরিবহনচালকদের দক্ষতা ঘাটতি লাইসেন্সিংয়ে অনিয়ম ও শ্রমিকদের নিরাপত্তা সচেতনতার অভাবকে দুর্ঘটনার প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করে পেশাগত প্রশিক্ষণ ব্যাপারে জোর দেওয়া হয়। একই সঙ্গে শনাক্তকরণে প্রত্যেক চালকের ট্রেনিং, দুর্ঘটনার ইতিহাস রেকর্ডে রাখার ব্যাপারে প্রস্তাব করে নিসআ।
সর্বজনীন গণপরিবহনব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে বলেও প্রস্তাব করা হয় সভায়।
দুর্ঘটনা-পরবর্তী সময়ে ভুক্তভোগীকে সহায়তার জন্য দ্রুত সাড়া প্রদানকারী রেসকিউ টিম, হাইওয়ে অ্যাম্বুলেন্স নেটওয়ার্ক এবং সমন্বিত ইমার্জেন্সি মেডিকেল সার্ভিস প্রণয়নে গুরুত্ব দেওয়ার প্রস্তাব করে হয়।
সড়কের নিরাপত্তা শুধু একটি প্রশাসনিক বা প্রযুক্তিগত বিষয় নয়, এটি রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি ও সিদ্ধান্তের বিষয় বলেও জানান নিসআর নেতারা। তাঁদের প্রস্তাব—পরিবহন খাতের বিশৃঙ্খলা ও অনিয়ম রোধে আইন প্রয়োগে রাজনৈতিক চাপ দূর করতে সর্বোচ্চ পর্যায়ে দৃঢ় রাজনৈতিক ইচ্ছাশক্তির প্রয়োজন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিসআর সভাপতি আবদুল্লাহ মেহেদি দীপ্ত।
এ ছাড়া বক্তব্য দেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ এস এম আহম্মেদ খোকন, রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের রিসার্চ কো-অর্ডিনেটর পাহাড়ি ভট্টাচার্য, বুয়েটের এআরআই বিভাগের শিক্ষক আরমানা সাবিহা হকসহ পরিবহন খাত-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীল ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতারা।

রাজধানীর উপকণ্ঠে কেরানীগঞ্জের বাবুবাজার-সংলগ্ন এলাকায় একটি বহুতল ভবনের নিচতলায় ভয়াবহ আগুন লেগেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট বর্তমানে কাজ করছে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মিডিয়া সেল সূত্রে জানা যায়, আজ শনিবার ভোর ৫টা ৩৭ মিনিটে অগ্নিকাণ্ডের খবর পায় ফায়ার সার্ভিস।
১ ঘণ্টা আগে
গোপালগঞ্জের আদালতপাড়ায় পরপর দুটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনের সড়কে এই ঘটনা ঘটে। এতে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
১ ঘণ্টা আগে
বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার কবাই ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মোল্লার বাজার সংলগ্ন মরণ সাহার বাড়িতে চেতনানাশক স্প্রে করে পরিবারের সবাইকে অচেতন করে মালপত্র লুট করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় ঘরের মালিক মরণ সাহার মা অঞ্জলি রানী সাহা (৯০) মারা গেছেন। গুরুতর অবস্থায় অচেতন মরণ সাহা
২ ঘণ্টা আগে
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার লতাচাপলী ইউনিয়নের কালাচানপাড়ায় একটি রাখাইন পরিবারের প্রায় ৪০ একর জমি জবরদখল হয়েছে। গত ১৫ বছরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা, সরকারি কর্মকর্তাসহ প্রভাবশালীরা জালিয়াতির মাধ্যমে অধিকাংশ জমি দখলে নিয়ে বিক্রি করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর উপকণ্ঠে কেরানীগঞ্জের বাবুবাজার-সংলগ্ন এলাকায় একটি বহুতল ভবনের নিচতলায় ভয়াবহ আগুন লেগেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট বর্তমানে কাজ করছে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মিডিয়া সেল সূত্রে জানা যায়, আজ শনিবার ভোর ৫টা ৩৭ মিনিটে অগ্নিকাণ্ডের খবর পায় ফায়ার সার্ভিস।
সকাল ৯টা পর্যন্ত ভবনের ভেতর থেকে ৪২ জনকে উদ্ধার করে বিভিন্ন সিঁড়ি দিয়ে নিরাপদে নামিয়ে আনা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া বিভাগের পরিদর্শক আনোয়ারুল ইসলাম এক বার্তায় জানান, ১২ তলাবিশিষ্ট ‘জমেলো টাওয়ার’ নামে ওই ভবনের নিচতলায় আগুন লেগেছে। খবর পেয়ে কেরানীগঞ্জ, সদরঘাট ও সিদ্দিক বাজার ফায়ার স্টেশনের আটটি ইউনিট আগুন নেভাতে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
সকাল ৭টা ১০ মিনিটের দিকে ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া বিভাগের জ্যেষ্ঠ স্টাফ অফিসার শাহজাহান শিকদার নিশ্চিত করেন, আগুনের তীব্রতা বাড়ায় বর্তমানে ১২টি ইউনিট সম্মিলিতভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ করছে।
কেরানীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের কর্তব্যরত কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন জানিয়েছেন, ভবনটি ৯ তলা। নিচতলায় মূলত কাপড়ের এবং তারের গোডাউন ছিল। গোডাউনের দাহ্য বস্তুর কারণেই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস। এ ছাড়া এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসার পরই ক্ষয়ক্ষতি এবং ঘটনার কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে বলে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

রাজধানীর উপকণ্ঠে কেরানীগঞ্জের বাবুবাজার-সংলগ্ন এলাকায় একটি বহুতল ভবনের নিচতলায় ভয়াবহ আগুন লেগেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট বর্তমানে কাজ করছে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মিডিয়া সেল সূত্রে জানা যায়, আজ শনিবার ভোর ৫টা ৩৭ মিনিটে অগ্নিকাণ্ডের খবর পায় ফায়ার সার্ভিস।
সকাল ৯টা পর্যন্ত ভবনের ভেতর থেকে ৪২ জনকে উদ্ধার করে বিভিন্ন সিঁড়ি দিয়ে নিরাপদে নামিয়ে আনা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া বিভাগের পরিদর্শক আনোয়ারুল ইসলাম এক বার্তায় জানান, ১২ তলাবিশিষ্ট ‘জমেলো টাওয়ার’ নামে ওই ভবনের নিচতলায় আগুন লেগেছে। খবর পেয়ে কেরানীগঞ্জ, সদরঘাট ও সিদ্দিক বাজার ফায়ার স্টেশনের আটটি ইউনিট আগুন নেভাতে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
সকাল ৭টা ১০ মিনিটের দিকে ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া বিভাগের জ্যেষ্ঠ স্টাফ অফিসার শাহজাহান শিকদার নিশ্চিত করেন, আগুনের তীব্রতা বাড়ায় বর্তমানে ১২টি ইউনিট সম্মিলিতভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ করছে।
কেরানীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের কর্তব্যরত কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন জানিয়েছেন, ভবনটি ৯ তলা। নিচতলায় মূলত কাপড়ের এবং তারের গোডাউন ছিল। গোডাউনের দাহ্য বস্তুর কারণেই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস। এ ছাড়া এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসার পরই ক্ষয়ক্ষতি এবং ঘটনার কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে বলে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

সভায় অভিযোগ করা হয়, ২০২৪ সালের নভেম্বরে বাস রুট রেশনালাইজেশনের পরিকল্পনা গৃহীত হলেও এখন পর্যন্ত এর বাস্তবায়ন দৃশ্যমান নয়। বাসমালিকদের রেষারেষি এবং প্রতিযোগিতা অব্যাহত রয়েছে। ঢাকার ট্রাফিক সিগন্যাল আধুনিকায়নে ১৮ কোটি টাকা ব্যয় করা হলেও তা অকার্যকর।
২ দিন আগে
গোপালগঞ্জের আদালতপাড়ায় পরপর দুটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনের সড়কে এই ঘটনা ঘটে। এতে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
১ ঘণ্টা আগে
বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার কবাই ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মোল্লার বাজার সংলগ্ন মরণ সাহার বাড়িতে চেতনানাশক স্প্রে করে পরিবারের সবাইকে অচেতন করে মালপত্র লুট করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় ঘরের মালিক মরণ সাহার মা অঞ্জলি রানী সাহা (৯০) মারা গেছেন। গুরুতর অবস্থায় অচেতন মরণ সাহা
২ ঘণ্টা আগে
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার লতাচাপলী ইউনিয়নের কালাচানপাড়ায় একটি রাখাইন পরিবারের প্রায় ৪০ একর জমি জবরদখল হয়েছে। গত ১৫ বছরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা, সরকারি কর্মকর্তাসহ প্রভাবশালীরা জালিয়াতির মাধ্যমে অধিকাংশ জমি দখলে নিয়ে বিক্রি করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
৬ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

গোপালগঞ্জের আদালতপাড়ায় পরপর দুটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনের সড়কে এই ঘটনা ঘটে। এতে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি বা ব্যক্তিরা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে তিন রাস্তার মোড়ে পরপর দুটি হাতে তৈরি ককটেল নিক্ষেপ করে দ্রুত পালিয়ে যায়। ককটেল বিস্ফোরণে বিকট শব্দ হলেও এতে কেউ হতাহত হয়নি কিংবা কোনো ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি।
খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আলামত সংগ্রহ করে। ঘটনাস্থল ও আশপাশের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করে ককটেল নিক্ষেপকারীদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক মো. আরিফ-উজ-জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এই ঘটনায় আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে। প্রয়োজনে অভিযান চালানো হবে। পাশাপাশি সেনাসদস্যদের টহলও বাড়ানো হয়েছে। সার্বিক নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

গোপালগঞ্জের আদালতপাড়ায় পরপর দুটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনের সড়কে এই ঘটনা ঘটে। এতে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি বা ব্যক্তিরা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে তিন রাস্তার মোড়ে পরপর দুটি হাতে তৈরি ককটেল নিক্ষেপ করে দ্রুত পালিয়ে যায়। ককটেল বিস্ফোরণে বিকট শব্দ হলেও এতে কেউ হতাহত হয়নি কিংবা কোনো ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি।
খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আলামত সংগ্রহ করে। ঘটনাস্থল ও আশপাশের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করে ককটেল নিক্ষেপকারীদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক মো. আরিফ-উজ-জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এই ঘটনায় আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে। প্রয়োজনে অভিযান চালানো হবে। পাশাপাশি সেনাসদস্যদের টহলও বাড়ানো হয়েছে। সার্বিক নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

সভায় অভিযোগ করা হয়, ২০২৪ সালের নভেম্বরে বাস রুট রেশনালাইজেশনের পরিকল্পনা গৃহীত হলেও এখন পর্যন্ত এর বাস্তবায়ন দৃশ্যমান নয়। বাসমালিকদের রেষারেষি এবং প্রতিযোগিতা অব্যাহত রয়েছে। ঢাকার ট্রাফিক সিগন্যাল আধুনিকায়নে ১৮ কোটি টাকা ব্যয় করা হলেও তা অকার্যকর।
২ দিন আগে
রাজধানীর উপকণ্ঠে কেরানীগঞ্জের বাবুবাজার-সংলগ্ন এলাকায় একটি বহুতল ভবনের নিচতলায় ভয়াবহ আগুন লেগেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট বর্তমানে কাজ করছে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মিডিয়া সেল সূত্রে জানা যায়, আজ শনিবার ভোর ৫টা ৩৭ মিনিটে অগ্নিকাণ্ডের খবর পায় ফায়ার সার্ভিস।
১ ঘণ্টা আগে
বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার কবাই ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মোল্লার বাজার সংলগ্ন মরণ সাহার বাড়িতে চেতনানাশক স্প্রে করে পরিবারের সবাইকে অচেতন করে মালপত্র লুট করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় ঘরের মালিক মরণ সাহার মা অঞ্জলি রানী সাহা (৯০) মারা গেছেন। গুরুতর অবস্থায় অচেতন মরণ সাহা
২ ঘণ্টা আগে
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার লতাচাপলী ইউনিয়নের কালাচানপাড়ায় একটি রাখাইন পরিবারের প্রায় ৪০ একর জমি জবরদখল হয়েছে। গত ১৫ বছরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা, সরকারি কর্মকর্তাসহ প্রভাবশালীরা জালিয়াতির মাধ্যমে অধিকাংশ জমি দখলে নিয়ে বিক্রি করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার কবাই ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মোল্লার বাজার-সংলগ্ন মরণ সাহার বাড়িতে চেতনানাশক স্প্রে করে পরিবারের সবাইকে অচেতন করে মালপত্র লুট করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় ঘরের মালিক মরণ সাহার মা অঞ্জলি রানী সাহা (৯০) মারা গেছেন। গুরুতর অবস্থায় অচেতন মরণ সাহাকে (৫৫) বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে এবং তাঁর স্ত্রী সন্ধ্যা রানী সাহাকে (৪৮) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মোল্লার বাজার-সংলগ্ন ওই ঘরে বসবাস করেন প্রশান্ত কুমার ওরফে মরণ সাহা, তাঁর মা অঞ্জলি সাহা এবং স্ত্রী সন্ধ্যা রানী। প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাঁরা খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। দুপুর পর্যন্ত তাঁদের কাউকে বাইরে দেখা না যাওয়ায় এবং ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ অবস্থায় দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা ডাকাডাকি করেন। কোনো সাড়া না পেয়ে একপর্যায়ে তাঁরা দরজা ভেঙে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করেন। এ সময় ঘরের মেঝেতে তিনজনকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাঁদের মধ্যে অঞ্জলি সাহাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। এ সময় ঘরের মালপত্র এলোমেলো অবস্থায় পড়ে ছিল।
স্থানীয় লোকজন দ্রুত তাঁদের উদ্ধার করে বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক প্রশান্ত সাহাকে শেবাচিম হাসপাতালে পাঠান। সন্ধ্যা রানীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, মরণ সাহার স্ত্রী সন্ধ্যা রানীর অবস্থা অনেকটা ভালো। তবে মরণ সাহা বেশি অসুস্থ ও অজ্ঞান থাকায় তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম সোহেল রানা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানান, কারা কীভাবে ঘটনা ঘটিয়েছে তা নিশ্চিত নয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, চেতনানাশক ওষুধ দিয়ে চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে। দুষ্কৃতকারীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের জন্য কাজ চলছে এবং ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে।

বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার কবাই ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মোল্লার বাজার-সংলগ্ন মরণ সাহার বাড়িতে চেতনানাশক স্প্রে করে পরিবারের সবাইকে অচেতন করে মালপত্র লুট করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় ঘরের মালিক মরণ সাহার মা অঞ্জলি রানী সাহা (৯০) মারা গেছেন। গুরুতর অবস্থায় অচেতন মরণ সাহাকে (৫৫) বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে এবং তাঁর স্ত্রী সন্ধ্যা রানী সাহাকে (৪৮) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মোল্লার বাজার-সংলগ্ন ওই ঘরে বসবাস করেন প্রশান্ত কুমার ওরফে মরণ সাহা, তাঁর মা অঞ্জলি সাহা এবং স্ত্রী সন্ধ্যা রানী। প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাঁরা খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। দুপুর পর্যন্ত তাঁদের কাউকে বাইরে দেখা না যাওয়ায় এবং ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ অবস্থায় দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা ডাকাডাকি করেন। কোনো সাড়া না পেয়ে একপর্যায়ে তাঁরা দরজা ভেঙে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করেন। এ সময় ঘরের মেঝেতে তিনজনকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাঁদের মধ্যে অঞ্জলি সাহাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। এ সময় ঘরের মালপত্র এলোমেলো অবস্থায় পড়ে ছিল।
স্থানীয় লোকজন দ্রুত তাঁদের উদ্ধার করে বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক প্রশান্ত সাহাকে শেবাচিম হাসপাতালে পাঠান। সন্ধ্যা রানীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, মরণ সাহার স্ত্রী সন্ধ্যা রানীর অবস্থা অনেকটা ভালো। তবে মরণ সাহা বেশি অসুস্থ ও অজ্ঞান থাকায় তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম সোহেল রানা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানান, কারা কীভাবে ঘটনা ঘটিয়েছে তা নিশ্চিত নয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, চেতনানাশক ওষুধ দিয়ে চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে। দুষ্কৃতকারীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের জন্য কাজ চলছে এবং ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে।

সভায় অভিযোগ করা হয়, ২০২৪ সালের নভেম্বরে বাস রুট রেশনালাইজেশনের পরিকল্পনা গৃহীত হলেও এখন পর্যন্ত এর বাস্তবায়ন দৃশ্যমান নয়। বাসমালিকদের রেষারেষি এবং প্রতিযোগিতা অব্যাহত রয়েছে। ঢাকার ট্রাফিক সিগন্যাল আধুনিকায়নে ১৮ কোটি টাকা ব্যয় করা হলেও তা অকার্যকর।
২ দিন আগে
রাজধানীর উপকণ্ঠে কেরানীগঞ্জের বাবুবাজার-সংলগ্ন এলাকায় একটি বহুতল ভবনের নিচতলায় ভয়াবহ আগুন লেগেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট বর্তমানে কাজ করছে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মিডিয়া সেল সূত্রে জানা যায়, আজ শনিবার ভোর ৫টা ৩৭ মিনিটে অগ্নিকাণ্ডের খবর পায় ফায়ার সার্ভিস।
১ ঘণ্টা আগে
গোপালগঞ্জের আদালতপাড়ায় পরপর দুটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনের সড়কে এই ঘটনা ঘটে। এতে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
১ ঘণ্টা আগে
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার লতাচাপলী ইউনিয়নের কালাচানপাড়ায় একটি রাখাইন পরিবারের প্রায় ৪০ একর জমি জবরদখল হয়েছে। গত ১৫ বছরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা, সরকারি কর্মকর্তাসহ প্রভাবশালীরা জালিয়াতির মাধ্যমে অধিকাংশ জমি দখলে নিয়ে বিক্রি করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
৬ ঘণ্টা আগেমীর মহিবুল্লাহ, পটুয়াখালী

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার লতাচাপলী ইউনিয়নের কালাচানপাড়ায় একটি রাখাইন পরিবারের প্রায় ৪০ একর জমি জবরদখল হয়েছে। গত ১৫ বছরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা, সরকারি কর্মকর্তাসহ প্রভাবশালীরা জালিয়াতির মাধ্যমে অধিকাংশ জমি দখলে নিয়ে বিক্রি করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গত ২৩ নভেম্বর আইন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. খাদেম উল কায়েস ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে ওই জমির ১৫৫ শতাংশ দখলের লিখিত অভিযোগ করা হয়। প্রধান বিচারপতি, আইন উপদেষ্টা, আইনসচিবসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ পাঠিয়ে প্রতিকার চেয়েছেন জমির মালিক লাচাউ রাখাইন।
লাচাউ রাখাইনের স্বজনেরা জানান, লাচাউয়ের স্বামী অংশাচিং রাখাইন এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থায় (এফএও) কর্মকর্তা হিসেবে বহু বছর কর্মরত ছিলেন। ১৯৮৮ সালে তিনি চাকরিসূত্রে বদলি হন অস্ট্রেলিয়ায়। তারপর থেকে তিনি পরিবার নিয়ে সেখানে বসবাস শুরু করেন। লাচাউ রাখাইন ও তাঁর দুই ছেলে পরে সেখানকার নাগরিকত্বও পান। যদিও তাঁরা প্রতিবছর কলাপাড়ার কালাচানপাড়ায় নিজেদের বাড়িতে আসতেন। ২০১০ সালে অস্ট্রেলিয়ায় অংশাচিং অসুস্থ হয়ে পড়ায় সে বছর তাঁদের আর দেশে আসা সম্ভব হয়নি। দুই ছেলে সেখানকার সরকারি চাকরিতে থাকায় তাঁরাও দেশে ফিরতে পারেননি। এভাবেই কেটে যায় এক যুগ।
লাচাউয়ের স্বজনদের অভিযোগ, ২০২২ সালের জানুয়ারিতে লাচাউ রাখাইন দেশে এসে জানতে পারেন, তিনি ও তাঁর দুই ছেলের নামে ভুয়া আমমোক্তারনামা তৈরি করে একাধিক নকল খতিয়ান, জাল দলিল এবং ভুয়া উত্তরাধিকার সনদ বানানো হয়েছে। এসব নথির ভিত্তিতে তাঁদের জমি আত্মসাৎ করা হয়। আর এ দখলে নেতৃত্ব দিয়েছেন কুয়াকাটা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং ওই ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বারেক মোল্লা, তাঁর ভাই ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি হোসেন মোল্লাসহ অনেক নেতা। যাঁরা ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর থেকে পলাতক। এ ছাড়া রয়েছেন আইন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব খাদেম উল কায়েস, তাঁর ভাই মাওলানা হারুন ও বেয়াই ইউসুফ মুসল্লিসহ কয়েকজন।
এই চক্রের বিভিন্ন সদস্যের বিরুদ্ধে জালিয়াতির মামলা করায় লাচাউদের বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দেওয়া হচ্ছে।
সম্প্রতি দেশে এসেছিলেন লাচাউ রাখাইন ও তাঁর বড় ছেলে উয়েন চিং রাখাইনের স্ত্রী খেনমা ম্যা। লাচাউ রাখাইন (৮৬) বলেন, ‘আমি জমি উদ্ধার করতে গেলে আমাকে হুমকি-ধমকি দেয়; যাতে আমরা এলাকায় না যেতে পারি। এই অন্যায়ের সঙ্গে যারা জড়িত, আমি তাদের সবার বিচার চাই বাংলাদেশ সরকারের কাছে।’
অভিযোগে যা আছে
অতিরিক্ত সচিব খাদেম উল কায়েসের বিরুদ্ধে দেওয়া অভিযোগের বিবরণ অনুযায়ী, কলাপাড়ার আলীপুর মৌজার ৬৩ নম্বর বিএস খতিয়ানের ৪২০৪, ৫, ৬, ১১, ১২, ৭৪ ও ৪৪৪২, ৪৩৮৭ এবং ৪৬১০ নম্বর দাগের ৮.০৬ একর ভূমির মালিক লাচাউ রাখাইন ও তাঁর পরিবার। তবে তাঁরা অস্ট্রেলিয়ায় থাকাকালে লাচাউ রাখাইন ও তাঁর দুই ছেলে উয়েন চিং ও ম্যাওয়েন চিংয়ের নামে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ও অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনের সিল ও সই জাল করে ২০০০ সালের ৮ আগস্ট ক্ষমতাপত্র তৈরি করা হয়। ওই আমমোক্তারনামা মূলে জাল-জালিয়াতি, প্রতারণা ও দুর্নীতির মাধ্যমে খাদেম উল কায়েস তাঁর স্ত্রী মোসা. আইরিন জেসমিন ও বেয়াই মো. ইউসুফ মুসল্লির নামে ২০১০ সালের ১১ এপ্রিল কবলা দলিল তৈরি করে ১৫৫ শতাংশ জমি দখল করেন।
ওই আমমোক্তারনামার বিরুদ্ধে ২০২৪ সালের ১৬ জুন জ্যেষ্ঠ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের প্রথম আদালতে লাচাউ বাদী হয়ে মামলা করেন। বিচারক মামলাটি পটুয়াখালী সদর থানাকে এজাহার হিসেবে গ্রহণ ও সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দেন।
অনুসন্ধানে জানা যায়, আমমোক্তারনামার বৈধতা যাচাইয়ে সিআইডি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে তথ্য চাইলে ২০২৫ সালের ২৪ এপ্রিল রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর (আরডিসি) মো. তানজিল কবির স্বাক্ষরিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, ক্যানবেরায় অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন বা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ‘৪৩০ নম্বর আমমোক্তারনামা’ সম্পর্কে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। ২৭ এপ্রিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও আদালতকে এই আমমোক্তারনামা-সংক্রান্ত কোনো তথ্য না পাওয়ার কথা জানায়।
অনুসন্ধানে জানা যায়, কুয়াকাটা পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি বারেক মোল্লা আলীপুর মৌজার ১০৪২ এসএ খতিয়ান এবং ৩০৫ নম্বর বিএস খতিয়ানের জমি জাল কাগজ তৈরি করে কিছু দখল করেছেন। অন্যদিকে তাঁর ভাই এলাকার যুবলীগের সাবেক সভাপতি হোসেন মোল্লা একই ১০৪২ এসএ খতিয়ান ও ১৭৬১ নম্বর বিএস খতিয়ানের ২১৯ দাগ থেকে ১৮ শতাংশ, ৪৭৪ নম্বর খতিয়ান, ১০৮৬ ও ১০৮৮ খতিয়ান থেকে ৮.৫০ শতাংশ এবং ৬২ নম্বর খতিয়ানের ৪২০৬ দাগ থেকে ১২ শতাংশ জমি দখল করে বিভিন্ন স্থানে বসতবাড়ি ও মার্কেট নির্মাণ করেছেন। অভিযোগ রয়েছে, তাঁরা ৪৩০টি ভুয়া আমমোক্তারনামা নোটারি করে এসব জমি নিজেদের দখলে নেন।
এ বিষয়ে হোসেন মোল্লা মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এটা মিথ্যা কথা, ভুল কথা। আমরা অংশাচির কাছ থেকে দলিল নিয়েছি, তিনি আমাদের কাছে বিক্রি করেছেন, বসাইয়াও দিয়েছেন। ২০১০ সালের পর কিছু জমি দখল হয়েছে, সেটা তো আমরা করিনি।’
জানতে চাইলে বারেক মোল্লা মোবাইল ফোনে এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘দলিল ছাড়া আমার জমি নাই ১ শতাংশও। আমার জমি তাদের থেকে নিলে অল্প নেওয়া থাকতে পারে। কিন্তু আমার জমি অন্য মানুষের থেকে নেওয়া, মংচোবার থেকে নেওয়া। এ ছাড়া তাদের অনেক জমি আছে, তারা দলিল দেয় নাই। কিন্তু মানুষ দখল করে আছে। দলিল দেছে, আর না দেছে, সব অংশাচি বাবুর ডায়েরিতে লেখা আছে। সে যদি আসে এবং একদিন বসে কোটি কোটি টাকার জমি বের হয়ে যাবে।’
সরেজমিন চিত্র
সম্প্রতি এক বিকেলে আলীপুরের থ্রি পয়েন্টের পশ্চিম পাশে গিয়ে লাচাউয়ের অভিযোগে উল্লেখ করা দাগের ২১ শতাংশ জমির ওপর একটি মার্কেট দেখা যায়। সেখানে রয়েছে ৮টি দোকান এবং পেছনে নির্মিত হয়েছে ৫টি বসতঘর। এলাকাবাসীর ভাষ্য, এই মার্কেটটি ‘খাদেম উল কায়েস জজের মার্কেট’ নামে পরিচিত। এর আশপাশে অধিকাংশ জমি ইউসুফ মুসল্লি বিভিন্নজনের কাছ থেকে টাকা নিয়ে দখল বুঝিয়ে দিয়েছেন।
এ সময় কথা হয় ওই মার্কেটের ঝালাইয়ের দোকানদার মো. কালামের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমরা যতটুকু জানি, এটা জজ (খাদেম উল) সাহেবের জমি, তাঁর বউয়ের নামে। এখানে ৮টি দোকান ও ৫টির মতো ঘর আছে। এসবের ভাড়া তাঁর ভাই হারুন মাওলানা উঠান।’
এ সময় ওই এলাকার বাসিন্দা টাইলস দোকানের মালিক ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘ইউসুফ মুসল্লির সঙ্গে যুদ্ধ করে আমার আসতে হয়েছে, সে আমার থেকে ১০ লাখ টাকা নিয়েছে, বলেছে এ জমি সব তাঁর। স্ট্যাম্প আছে। সে এখানে অনেকের কাছ থেকে নিয়েছে। এখনো বলে জমি তাঁর।’ ইসমাইল আরও বলেন, ‘ইউসুফ মুসল্লি বহুত টাকা খাইছে। ১ কোটি টাকার মতো নেছে। উনি (খাদেম উল সাহেব) ওনার (ইউসুফ মুসল্লি) সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় এসে ঠ্যাক (সমর্থন) দিতেন।’
অতিরিক্ত সচিব যা বলেন
অভিযোগের বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব খাদেম উল কায়েস মোবাইল ফোনে বলেন, ‘আইন, নিয়ম সবার জন্য সমান। সেখানে যদি কোনো ঝামেলা থাকে সেটা কোর্ট দেখবে, অথরিটি দেখবে। কিন্তু কথা হলো, জমি তো সবাই কিনতে পারবে, আল্লাহ যদি সামর্থ্য দেয় আপনি কিনতে পারবেন, আমি ১ ইঞ্চি পারব। আইন আছে, সাবরেজিস্ট্রি অফিস আছে। কেউ যদি কারও প্রতি অন্যায় করে দেখার মতো এজেন্সিও আছে।’
ইউসুফ মুসল্লি ও মাওলানা হারুনের বিষয়ে জানতে চাইলে খাদেম উল কায়েস বলেন, ‘আমার বেয়াই বলে কথা না, আইনে যার জন্য যেটা প্রযোজ্য, তার জন্য সেটাই হবে। ইউসুফ মুসল্লির জবাব সে দেবে। আমার ভাই কিছু করলে তাঁর সাথে কথা বলেন, তাঁরা কী বলে শোনেন। নিয়মের বাইরে গেলে আমরা কেউ কিছু করতে পারব না, সাপোর্ট করি না, করবও না।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে ইউসুফ মুসল্লি ও মাওলানা হারুনের মোবাইল ফোনে কয়েকবার কল দিলেও তাঁরা রিসিভ করেননি।

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার লতাচাপলী ইউনিয়নের কালাচানপাড়ায় একটি রাখাইন পরিবারের প্রায় ৪০ একর জমি জবরদখল হয়েছে। গত ১৫ বছরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা, সরকারি কর্মকর্তাসহ প্রভাবশালীরা জালিয়াতির মাধ্যমে অধিকাংশ জমি দখলে নিয়ে বিক্রি করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গত ২৩ নভেম্বর আইন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. খাদেম উল কায়েস ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে ওই জমির ১৫৫ শতাংশ দখলের লিখিত অভিযোগ করা হয়। প্রধান বিচারপতি, আইন উপদেষ্টা, আইনসচিবসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ পাঠিয়ে প্রতিকার চেয়েছেন জমির মালিক লাচাউ রাখাইন।
লাচাউ রাখাইনের স্বজনেরা জানান, লাচাউয়ের স্বামী অংশাচিং রাখাইন এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থায় (এফএও) কর্মকর্তা হিসেবে বহু বছর কর্মরত ছিলেন। ১৯৮৮ সালে তিনি চাকরিসূত্রে বদলি হন অস্ট্রেলিয়ায়। তারপর থেকে তিনি পরিবার নিয়ে সেখানে বসবাস শুরু করেন। লাচাউ রাখাইন ও তাঁর দুই ছেলে পরে সেখানকার নাগরিকত্বও পান। যদিও তাঁরা প্রতিবছর কলাপাড়ার কালাচানপাড়ায় নিজেদের বাড়িতে আসতেন। ২০১০ সালে অস্ট্রেলিয়ায় অংশাচিং অসুস্থ হয়ে পড়ায় সে বছর তাঁদের আর দেশে আসা সম্ভব হয়নি। দুই ছেলে সেখানকার সরকারি চাকরিতে থাকায় তাঁরাও দেশে ফিরতে পারেননি। এভাবেই কেটে যায় এক যুগ।
লাচাউয়ের স্বজনদের অভিযোগ, ২০২২ সালের জানুয়ারিতে লাচাউ রাখাইন দেশে এসে জানতে পারেন, তিনি ও তাঁর দুই ছেলের নামে ভুয়া আমমোক্তারনামা তৈরি করে একাধিক নকল খতিয়ান, জাল দলিল এবং ভুয়া উত্তরাধিকার সনদ বানানো হয়েছে। এসব নথির ভিত্তিতে তাঁদের জমি আত্মসাৎ করা হয়। আর এ দখলে নেতৃত্ব দিয়েছেন কুয়াকাটা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং ওই ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বারেক মোল্লা, তাঁর ভাই ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি হোসেন মোল্লাসহ অনেক নেতা। যাঁরা ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর থেকে পলাতক। এ ছাড়া রয়েছেন আইন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব খাদেম উল কায়েস, তাঁর ভাই মাওলানা হারুন ও বেয়াই ইউসুফ মুসল্লিসহ কয়েকজন।
এই চক্রের বিভিন্ন সদস্যের বিরুদ্ধে জালিয়াতির মামলা করায় লাচাউদের বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দেওয়া হচ্ছে।
সম্প্রতি দেশে এসেছিলেন লাচাউ রাখাইন ও তাঁর বড় ছেলে উয়েন চিং রাখাইনের স্ত্রী খেনমা ম্যা। লাচাউ রাখাইন (৮৬) বলেন, ‘আমি জমি উদ্ধার করতে গেলে আমাকে হুমকি-ধমকি দেয়; যাতে আমরা এলাকায় না যেতে পারি। এই অন্যায়ের সঙ্গে যারা জড়িত, আমি তাদের সবার বিচার চাই বাংলাদেশ সরকারের কাছে।’
অভিযোগে যা আছে
অতিরিক্ত সচিব খাদেম উল কায়েসের বিরুদ্ধে দেওয়া অভিযোগের বিবরণ অনুযায়ী, কলাপাড়ার আলীপুর মৌজার ৬৩ নম্বর বিএস খতিয়ানের ৪২০৪, ৫, ৬, ১১, ১২, ৭৪ ও ৪৪৪২, ৪৩৮৭ এবং ৪৬১০ নম্বর দাগের ৮.০৬ একর ভূমির মালিক লাচাউ রাখাইন ও তাঁর পরিবার। তবে তাঁরা অস্ট্রেলিয়ায় থাকাকালে লাচাউ রাখাইন ও তাঁর দুই ছেলে উয়েন চিং ও ম্যাওয়েন চিংয়ের নামে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ও অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনের সিল ও সই জাল করে ২০০০ সালের ৮ আগস্ট ক্ষমতাপত্র তৈরি করা হয়। ওই আমমোক্তারনামা মূলে জাল-জালিয়াতি, প্রতারণা ও দুর্নীতির মাধ্যমে খাদেম উল কায়েস তাঁর স্ত্রী মোসা. আইরিন জেসমিন ও বেয়াই মো. ইউসুফ মুসল্লির নামে ২০১০ সালের ১১ এপ্রিল কবলা দলিল তৈরি করে ১৫৫ শতাংশ জমি দখল করেন।
ওই আমমোক্তারনামার বিরুদ্ধে ২০২৪ সালের ১৬ জুন জ্যেষ্ঠ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের প্রথম আদালতে লাচাউ বাদী হয়ে মামলা করেন। বিচারক মামলাটি পটুয়াখালী সদর থানাকে এজাহার হিসেবে গ্রহণ ও সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দেন।
অনুসন্ধানে জানা যায়, আমমোক্তারনামার বৈধতা যাচাইয়ে সিআইডি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে তথ্য চাইলে ২০২৫ সালের ২৪ এপ্রিল রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর (আরডিসি) মো. তানজিল কবির স্বাক্ষরিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, ক্যানবেরায় অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন বা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ‘৪৩০ নম্বর আমমোক্তারনামা’ সম্পর্কে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। ২৭ এপ্রিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও আদালতকে এই আমমোক্তারনামা-সংক্রান্ত কোনো তথ্য না পাওয়ার কথা জানায়।
অনুসন্ধানে জানা যায়, কুয়াকাটা পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি বারেক মোল্লা আলীপুর মৌজার ১০৪২ এসএ খতিয়ান এবং ৩০৫ নম্বর বিএস খতিয়ানের জমি জাল কাগজ তৈরি করে কিছু দখল করেছেন। অন্যদিকে তাঁর ভাই এলাকার যুবলীগের সাবেক সভাপতি হোসেন মোল্লা একই ১০৪২ এসএ খতিয়ান ও ১৭৬১ নম্বর বিএস খতিয়ানের ২১৯ দাগ থেকে ১৮ শতাংশ, ৪৭৪ নম্বর খতিয়ান, ১০৮৬ ও ১০৮৮ খতিয়ান থেকে ৮.৫০ শতাংশ এবং ৬২ নম্বর খতিয়ানের ৪২০৬ দাগ থেকে ১২ শতাংশ জমি দখল করে বিভিন্ন স্থানে বসতবাড়ি ও মার্কেট নির্মাণ করেছেন। অভিযোগ রয়েছে, তাঁরা ৪৩০টি ভুয়া আমমোক্তারনামা নোটারি করে এসব জমি নিজেদের দখলে নেন।
এ বিষয়ে হোসেন মোল্লা মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এটা মিথ্যা কথা, ভুল কথা। আমরা অংশাচির কাছ থেকে দলিল নিয়েছি, তিনি আমাদের কাছে বিক্রি করেছেন, বসাইয়াও দিয়েছেন। ২০১০ সালের পর কিছু জমি দখল হয়েছে, সেটা তো আমরা করিনি।’
জানতে চাইলে বারেক মোল্লা মোবাইল ফোনে এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘দলিল ছাড়া আমার জমি নাই ১ শতাংশও। আমার জমি তাদের থেকে নিলে অল্প নেওয়া থাকতে পারে। কিন্তু আমার জমি অন্য মানুষের থেকে নেওয়া, মংচোবার থেকে নেওয়া। এ ছাড়া তাদের অনেক জমি আছে, তারা দলিল দেয় নাই। কিন্তু মানুষ দখল করে আছে। দলিল দেছে, আর না দেছে, সব অংশাচি বাবুর ডায়েরিতে লেখা আছে। সে যদি আসে এবং একদিন বসে কোটি কোটি টাকার জমি বের হয়ে যাবে।’
সরেজমিন চিত্র
সম্প্রতি এক বিকেলে আলীপুরের থ্রি পয়েন্টের পশ্চিম পাশে গিয়ে লাচাউয়ের অভিযোগে উল্লেখ করা দাগের ২১ শতাংশ জমির ওপর একটি মার্কেট দেখা যায়। সেখানে রয়েছে ৮টি দোকান এবং পেছনে নির্মিত হয়েছে ৫টি বসতঘর। এলাকাবাসীর ভাষ্য, এই মার্কেটটি ‘খাদেম উল কায়েস জজের মার্কেট’ নামে পরিচিত। এর আশপাশে অধিকাংশ জমি ইউসুফ মুসল্লি বিভিন্নজনের কাছ থেকে টাকা নিয়ে দখল বুঝিয়ে দিয়েছেন।
এ সময় কথা হয় ওই মার্কেটের ঝালাইয়ের দোকানদার মো. কালামের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমরা যতটুকু জানি, এটা জজ (খাদেম উল) সাহেবের জমি, তাঁর বউয়ের নামে। এখানে ৮টি দোকান ও ৫টির মতো ঘর আছে। এসবের ভাড়া তাঁর ভাই হারুন মাওলানা উঠান।’
এ সময় ওই এলাকার বাসিন্দা টাইলস দোকানের মালিক ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘ইউসুফ মুসল্লির সঙ্গে যুদ্ধ করে আমার আসতে হয়েছে, সে আমার থেকে ১০ লাখ টাকা নিয়েছে, বলেছে এ জমি সব তাঁর। স্ট্যাম্প আছে। সে এখানে অনেকের কাছ থেকে নিয়েছে। এখনো বলে জমি তাঁর।’ ইসমাইল আরও বলেন, ‘ইউসুফ মুসল্লি বহুত টাকা খাইছে। ১ কোটি টাকার মতো নেছে। উনি (খাদেম উল সাহেব) ওনার (ইউসুফ মুসল্লি) সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় এসে ঠ্যাক (সমর্থন) দিতেন।’
অতিরিক্ত সচিব যা বলেন
অভিযোগের বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব খাদেম উল কায়েস মোবাইল ফোনে বলেন, ‘আইন, নিয়ম সবার জন্য সমান। সেখানে যদি কোনো ঝামেলা থাকে সেটা কোর্ট দেখবে, অথরিটি দেখবে। কিন্তু কথা হলো, জমি তো সবাই কিনতে পারবে, আল্লাহ যদি সামর্থ্য দেয় আপনি কিনতে পারবেন, আমি ১ ইঞ্চি পারব। আইন আছে, সাবরেজিস্ট্রি অফিস আছে। কেউ যদি কারও প্রতি অন্যায় করে দেখার মতো এজেন্সিও আছে।’
ইউসুফ মুসল্লি ও মাওলানা হারুনের বিষয়ে জানতে চাইলে খাদেম উল কায়েস বলেন, ‘আমার বেয়াই বলে কথা না, আইনে যার জন্য যেটা প্রযোজ্য, তার জন্য সেটাই হবে। ইউসুফ মুসল্লির জবাব সে দেবে। আমার ভাই কিছু করলে তাঁর সাথে কথা বলেন, তাঁরা কী বলে শোনেন। নিয়মের বাইরে গেলে আমরা কেউ কিছু করতে পারব না, সাপোর্ট করি না, করবও না।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে ইউসুফ মুসল্লি ও মাওলানা হারুনের মোবাইল ফোনে কয়েকবার কল দিলেও তাঁরা রিসিভ করেননি।

সভায় অভিযোগ করা হয়, ২০২৪ সালের নভেম্বরে বাস রুট রেশনালাইজেশনের পরিকল্পনা গৃহীত হলেও এখন পর্যন্ত এর বাস্তবায়ন দৃশ্যমান নয়। বাসমালিকদের রেষারেষি এবং প্রতিযোগিতা অব্যাহত রয়েছে। ঢাকার ট্রাফিক সিগন্যাল আধুনিকায়নে ১৮ কোটি টাকা ব্যয় করা হলেও তা অকার্যকর।
২ দিন আগে
রাজধানীর উপকণ্ঠে কেরানীগঞ্জের বাবুবাজার-সংলগ্ন এলাকায় একটি বহুতল ভবনের নিচতলায় ভয়াবহ আগুন লেগেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট বর্তমানে কাজ করছে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মিডিয়া সেল সূত্রে জানা যায়, আজ শনিবার ভোর ৫টা ৩৭ মিনিটে অগ্নিকাণ্ডের খবর পায় ফায়ার সার্ভিস।
১ ঘণ্টা আগে
গোপালগঞ্জের আদালতপাড়ায় পরপর দুটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনের সড়কে এই ঘটনা ঘটে। এতে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
১ ঘণ্টা আগে
বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার কবাই ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মোল্লার বাজার সংলগ্ন মরণ সাহার বাড়িতে চেতনানাশক স্প্রে করে পরিবারের সবাইকে অচেতন করে মালপত্র লুট করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় ঘরের মালিক মরণ সাহার মা অঞ্জলি রানী সাহা (৯০) মারা গেছেন। গুরুতর অবস্থায় অচেতন মরণ সাহা
২ ঘণ্টা আগে