শাহরিয়ার হাসান, ঢাকা
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের কাছে দেশ ও বিদেশ থেকে আর্থিক সহায়তা আসছে। ‘ফান্ড ফর সাস্ট’ নামের তহবিলে গত সাত দিনে অন্তত সাড়ে ১১ লাখ টাকা সহায়তার পেয়েছেন তারা। তবে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) কর্মকর্তাদের দাবি, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে অর্থ জোগান দেওয়ার পেছনে রাজনৈতিক ইন্ধনের প্রমাণ পেয়েছেন তাঁরা। এর পরিপ্রেক্ষিতেই প্রাক্তন পাঁচ শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. নিশারুল আরিফ আজকের পত্রিকাকে বলেছেন, প্রাক্তন এই শিক্ষার্থীদের ওপর নজর রাখছিলেন সিআইডির সাইবার ক্রাইম ইউনিট। অস্বাভাবিক অর্থায়নের প্রমাণ পাওয়ায় গত সোমবার দিবাগত রাতে রাজধানীর ফার্মগেট ও উত্তরা এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করে শাহজালাল থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
গ্রেপ্তার হওয়া পাঁচ সাবেক শিক্ষার্থী হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়টির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগ থেকে ২০১২ সালে পাস করা হাবিবুর রহমান স্বপন, একই বছর আর্কিটেকচার বিভাগ থেকে পাস করা রেজা নূর মঈন দীপ ও নাজমুস সাকিব। বাকি দুজন হলেন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার এ কে এম মারুফ হোসেন ও ফয়সাল আহমেদ। অবশ্য সিআইডির মুখপাত্র আজকের পত্রিকাকে বলেছেন, তাঁরা স্বপ্রণোদিত হয়ে গ্রেপ্তার করেননি বরং সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের গ্রেপ্তারের কাজে সহায়তা করেছেন।
সিআইডির পদস্থ এক কর্মকর্তা মঙ্গলবার বিকেলে আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলমান রাখতে ওই ফান্ডে মোট ১১ লাখ ৫০ হাজার টাকা লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। এসব টাকা এসেছে ২৩৭টি বিকাশ, ২৩টি রকেট, ১৭টি নগদ, ৪১টি ব্যাংক এবং ৩৯টি বিদেশি অ্যাকাউন্ট থেকে। এর মধ্যে গ্রেপ্তার হওয়া মারুফ হোসেন পাঠিয়েছেন ১০ হাজার ২৫০ টাকা, ফয়সাল আহমেদ ৫ হাজার ১০০ টাকা, হাবিবুর রহমান খান নামের এক শিক্ষার্থী ৫ হাজার ১০০ টাকা, রেজা নূর মঈন দীপ ২ হাজার ৫০০ টাকা এবং নাজমুস সাকিব পাঠিয়েছেন ৩ হাজার টাকা। তবে আজকের পত্রিকার পক্ষ থেকে নিরপেক্ষ সূত্রে এসব তথ্য যাচাই করার সম্ভব হয়নি।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে এসব অ্যাকাউন্টে আর কোনো লেনদেন করা যাচ্ছে না। এমনকি এই ফোন নম্বরগুলো থেকে কল দিতে পারছেন না এবং কোনো কলও ঢুকছে না। তবে কে বা কারা অ্যাকাউন্ট বন্ধ করতে পারে—সে বিষয়ে কেউ কিছু বলতে পারেননি।
শিক্ষার্থীদের মুখপাত্র সাদিয়া আফরিন বলেন, আমাদের আর্থিক লেনদেনের সব অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এসব ষড়যন্ত্রের অংশ। এভাবে ষড়যন্ত্র করে কেউ আমাদের আন্দোলন বন্ধ করতে পারবে না। সিআইডির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ওই সব অ্যাকাউন্ট বন্ধের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি।
শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সূত্রপাত ১৩ জানুয়ারি। ওই দিন রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ তুলে তাঁর পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন হলের কয়েক শ ছাত্রী।
গত ১৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় আন্দোলন চলাকালে ছাত্রীদের ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগ। ১৬ জানুয়ারি শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি ভবনে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করেন। তখন পুলিশ শিক্ষার্থীদের লাঠিপেটা করে এবং তাঁদের লক্ষ্য করে রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। ওই দিন রাতে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ। শিক্ষার্থীরা তা উপেক্ষা করে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।
অনশন ও অবস্থান কর্মসূচিসহ নানা কর্মকাণ্ডের মাধ্যমেই নিজেদের দাবিতে অনড় রয়েছেন শিক্ষার্থীরা। টানা ছয় দিনেরও বেশি সময় (প্রায় ১৫০ ঘণ্টা) ধরে চলা অনশনে বেশ কয়েকজন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ও কয়েকজন অনশনস্থলেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে শুরু থেকেই অবস্থান নিয়ে আছেন। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের কাছে দেশ ও বিদেশ থেকে আর্থিক সহায়তা আসছে। ‘ফান্ড ফর সাস্ট’ নামের তহবিলে গত সাত দিনে অন্তত সাড়ে ১১ লাখ টাকা সহায়তার পেয়েছেন তারা। তবে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) কর্মকর্তাদের দাবি, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে অর্থ জোগান দেওয়ার পেছনে রাজনৈতিক ইন্ধনের প্রমাণ পেয়েছেন তাঁরা। এর পরিপ্রেক্ষিতেই প্রাক্তন পাঁচ শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. নিশারুল আরিফ আজকের পত্রিকাকে বলেছেন, প্রাক্তন এই শিক্ষার্থীদের ওপর নজর রাখছিলেন সিআইডির সাইবার ক্রাইম ইউনিট। অস্বাভাবিক অর্থায়নের প্রমাণ পাওয়ায় গত সোমবার দিবাগত রাতে রাজধানীর ফার্মগেট ও উত্তরা এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করে শাহজালাল থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
গ্রেপ্তার হওয়া পাঁচ সাবেক শিক্ষার্থী হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়টির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগ থেকে ২০১২ সালে পাস করা হাবিবুর রহমান স্বপন, একই বছর আর্কিটেকচার বিভাগ থেকে পাস করা রেজা নূর মঈন দীপ ও নাজমুস সাকিব। বাকি দুজন হলেন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার এ কে এম মারুফ হোসেন ও ফয়সাল আহমেদ। অবশ্য সিআইডির মুখপাত্র আজকের পত্রিকাকে বলেছেন, তাঁরা স্বপ্রণোদিত হয়ে গ্রেপ্তার করেননি বরং সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের গ্রেপ্তারের কাজে সহায়তা করেছেন।
সিআইডির পদস্থ এক কর্মকর্তা মঙ্গলবার বিকেলে আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলমান রাখতে ওই ফান্ডে মোট ১১ লাখ ৫০ হাজার টাকা লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। এসব টাকা এসেছে ২৩৭টি বিকাশ, ২৩টি রকেট, ১৭টি নগদ, ৪১টি ব্যাংক এবং ৩৯টি বিদেশি অ্যাকাউন্ট থেকে। এর মধ্যে গ্রেপ্তার হওয়া মারুফ হোসেন পাঠিয়েছেন ১০ হাজার ২৫০ টাকা, ফয়সাল আহমেদ ৫ হাজার ১০০ টাকা, হাবিবুর রহমান খান নামের এক শিক্ষার্থী ৫ হাজার ১০০ টাকা, রেজা নূর মঈন দীপ ২ হাজার ৫০০ টাকা এবং নাজমুস সাকিব পাঠিয়েছেন ৩ হাজার টাকা। তবে আজকের পত্রিকার পক্ষ থেকে নিরপেক্ষ সূত্রে এসব তথ্য যাচাই করার সম্ভব হয়নি।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে এসব অ্যাকাউন্টে আর কোনো লেনদেন করা যাচ্ছে না। এমনকি এই ফোন নম্বরগুলো থেকে কল দিতে পারছেন না এবং কোনো কলও ঢুকছে না। তবে কে বা কারা অ্যাকাউন্ট বন্ধ করতে পারে—সে বিষয়ে কেউ কিছু বলতে পারেননি।
শিক্ষার্থীদের মুখপাত্র সাদিয়া আফরিন বলেন, আমাদের আর্থিক লেনদেনের সব অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এসব ষড়যন্ত্রের অংশ। এভাবে ষড়যন্ত্র করে কেউ আমাদের আন্দোলন বন্ধ করতে পারবে না। সিআইডির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ওই সব অ্যাকাউন্ট বন্ধের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি।
শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সূত্রপাত ১৩ জানুয়ারি। ওই দিন রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ তুলে তাঁর পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন হলের কয়েক শ ছাত্রী।
গত ১৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় আন্দোলন চলাকালে ছাত্রীদের ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগ। ১৬ জানুয়ারি শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি ভবনে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করেন। তখন পুলিশ শিক্ষার্থীদের লাঠিপেটা করে এবং তাঁদের লক্ষ্য করে রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। ওই দিন রাতে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ। শিক্ষার্থীরা তা উপেক্ষা করে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।
অনশন ও অবস্থান কর্মসূচিসহ নানা কর্মকাণ্ডের মাধ্যমেই নিজেদের দাবিতে অনড় রয়েছেন শিক্ষার্থীরা। টানা ছয় দিনেরও বেশি সময় (প্রায় ১৫০ ঘণ্টা) ধরে চলা অনশনে বেশ কয়েকজন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ও কয়েকজন অনশনস্থলেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে শুরু থেকেই অবস্থান নিয়ে আছেন। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
চট্টগ্রাম নগরীর রেয়াজউদ্দিন বাজার এলাকার মেসার্স জেকে ট্রেডার্স ক্রেতার কাছে বেশি দামে সুপার তেল বিক্রি ও বোতলজাত সয়াবিন তেল লুকিয়ে রাখার কারণে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়ের সমন্বয়ে নিয়মিত...
৩৩ মিনিট আগেঢাকার কেরানীগঞ্জে শিশুদের জন্য ডায়াপার তৈরির অনুমোদন নিয়ে অননুমোদিত ফিডার বোতল ও নিপল উৎপাদনের অভিযোগে একটি কারখানাকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন কালিন্দী ইউনিয়নের বরিশুর এলাকায় ‘অ্যাক্টিভ ফেয়ার কোম্পানি’তে এই অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী..
৩৫ মিনিট আগেনগরীর বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের অভিযানে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের ৩৩ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)। মঙ্গলবার (৪ মার্চ) রাত ১২টা থেকে বুধবার (৫ মার্চ) রাত ১২টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেচাঁদাবাজির অভিযোগ এনে মিঠামইন উপজেলা যুবদলের সভাপতি নৌশাদ শিকদারকে মারধর করেছে শহীদ জিয়া পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক টুটুল ও জিয়া প্রজন্ম দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সজীবের নেতৃত্বে ১০-১২ জন ব্যক্তি। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) দুপুরে মিঠামইন উপজেলার মিঠামইন বাজারের শিকদার গেস্টহাউসের নিচে এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে