Ajker Patrika

কর্মসূচির নামে জনভোগান্তি সৃষ্টি করলে প্রতিহত করবে আওয়ামী লীগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৮ অক্টোবর ২০২১, ১৪: ৪৬
কর্মসূচির নামে জনভোগান্তি সৃষ্টি করলে প্রতিহত করবে আওয়ামী লীগ

বিএনপি কর্মসূচির নামে কোনোরূপ সন্ত্রাস ও জনভোগান্তি সৃষ্টি করলে আওয়ামী লীগ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কঠোরভাবে প্রতিহত করবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবন এলাকার বাসভবনে ব্রিফিংকালে এ কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, সভা-সমাবেশ সবার সাংবিধানিক অধিকার। সমাবেশের অনুমতি না দিলে বিএনপি বলত সরকার গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না; আর অনুমতি দিলে হামলা, সন্ত্রাস সৃষ্টি করে জনগণের সম্পদ বিনষ্ট করে। বিএনপির কর্মসূচি মানেই জনগণের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি করা। 

ওবায়দুল কাদের বলেন, গত মঙ্গলবার নয়াপল্টনে পুলিশের ওপর হামলা এবং সন্ত্রাস সৃষ্টির মাধ্যমে বিএনপি প্রমাণ করেছে তারা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনে সক্ষম নয়, তাদের কর্মসূচি মানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা। মঙ্গলবারের কথিত সম্প্রীতি সমাবেশের আড়ালে বিএনপির ভিন্ন কোনো এজেন্ডা ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা দরকার। 

ওবায়দুল কাদের বলেন, তবে কি অপরাধীদের বাঁচানোর জন্যই সম্প্রীতি সমাবেশের নামে বিএনপির এই সন্ত্রাস? আসলে হামলা, সংঘর্ষ, ষড়যন্ত্র আর সন্ত্রাস বিএনপির রাজনীতি; সেটা পূজামণ্ডপে হোক আর নয়াপল্টনে হোক; বিএনপি এই বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসতে পারছে না। 

কাদের বলেন, শেখ হাসিনা সরকার কখনো খালি মাঠে গোল দিতে চায় না, সরকার চায় প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন, আর খালি মাঠে গোল দিতে আওয়ামী লীগ অভ্যস্তও নয়। বিএনপিই জন্মলগ্ন থেকে এই চর্চা করে আসছে। তিনি বলেন, ১৫ ফেব্রুয়ারির খালি মাঠে নির্বাচনের কথা বিএনপি ভুলে গেলেও জনগণ এখনো ভোলেনি। 

পূজামণ্ডপের ঘটনায় বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সরকারের মামলা দেওয়ার অভিযোগ সত্য নয় জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, কে কোন দল করে সেটা দেখে নয়, ভিডিও ফুটেজ দেখেই চিহ্নিতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার মাধ্যমে বিএনপি পরিস্থিতি ঘোলাটে করতে চেয়েছিল, কিন্তু সরকার তা শক্ত হাতে দমন করেছে। বিএনপি জাতিকে বিভ্রান্ত করছে এবং বিভেদ তৈরি করছে। 

কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করছে দেশকে উন্নয়নের সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিতে আর এটাই বিএনপির গাত্রদাহের কারণ।

স্থানীয় সরকার নির্বাচনের পরবর্তী ধাপে যেসব এলাকায় নির্বাচন হবে, সেসব এলাকার আওয়ামী লীগের প্রতিটি সাংগঠনিক ইউনিটকে এখন থেকেই প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ইউনিটসমূহকে এখন থেকেই মিটিং করে রেজল্যুশন প্রস্তুত করতে হবে। 

ওবায়দুল কাদের বলেন, যখন যে এলাকার জন্য নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হবে, তার পরপরই ইউনিয়ন থেকে উপজেলা ও জেলা হয়ে রেজল্যুশন কেন্দ্রে জমা দিতে হবে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই সংশ্লিষ্ট এলাকার রেজল্যুশন জমা দেওয়া নিশ্চিত করতে এখন থেকে সভা করে আগেই রেজল্যুশন তৈরির কাজ করার নির্দেশনা দেন। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাকা দিয়ে নারীর চাবুকের ঘা খাচ্ছিলেন পুরুষ, দুজন গ্রেপ্তার

ভারতের সঙ্গে সংঘাতে পাকিস্তানের ভাগ্যনিয়ন্তা সেনাপ্রধান জেনারেল মুনির

প্রবাসীর রেমিট্যান্সের অর্থ আত্মসাৎ, নারী ব্যাংক কর্মকর্তা কারাগারে

পাকিস্তানে কীভাবে হামলা চালাতে পারে ভারত, ইতিহাস যা বলছে

আইসিএক্স বাদ দিলে ঝুঁকিতে পড়বে দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব, বিশেষজ্ঞদের উদ্বেগ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত