শরীফ নাসরুল্লাহ, ঢাকা
বড় কড়াইয়ে টগবগ করে ফুটছে তেল। তাতে ছেড়ে দেওয়া হলো বেসনে চুবানো বেগুন। হয়ে গেল বেগুনি। গরম তেলে ভেজে ওঠানো হয়েছে ডিম চপ, পেঁয়াজু, পাকোড়া। পাশেই তৈরি হচ্ছে কাবাব। তেল, মসলা আর মাংসের ঘ্রাণে পূর্ণ চকবাজার শাহি জামে মসজিদের সামনের গলি।
পুরান ঢাকা মানেই খানদানি খাবারদাবার। উৎসব পড়ে গেলে তো কথাই নেই! আয়োজন আরও জমে ওঠে। পবিত্র রমজান ঘিরে তাই প্রথম দিন থেকেই একেবারে গা-ঘেঁষা ভিড়। ইফতারি কেনায় একটু-আধটু ঠেলাঠেলি হচ্ছে না বলা যাবে না। তবু রসনাবিলাসে পুরান ঢাকার ইফতারি কেনা চাই-ই চাই।
চকবাজারের ইফতারি আয়োজনে কী নেই—আস্ত মুরগির রোস্ট ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, হাঁস ৪৫০-৫০০ টাকা, কোয়েল ১০০ টাকা, কবুতরের আস্ত ঝাল ফ্রাই ২০০ টাকা আর খাসির রান ৯০০ টাকা।
প্রতিটি চিকেন কাকোজ ৪০, চিকেন শর্মা ৪০, চিকেন ফ্রাই ৪৫, ডিম চপ ১৫, ভেজিটেবল রোল ২৫, কিমা সমুচা ১৫, চিকেন অন্থন ২০, চিকেন সাসলিক ৩৫ টাকায় মিলবে।
পুরান ঢাকার দই বড়া ১০০ টাকা ৪ পিস, ১৫০ টাকায় পাওয়া যাবে ৬ পিস। মালপোয়া ১৫ টাকা আর শাহি পরোটা পাওয়া যাবে ৭০-১০০ টাকায়।
এ ছাড়া আছে বিশেষ নান, সুতি কাবাব, শাহি জিলাপি, ফালুদা, পেস্তা শরবত, মহব্বত শরবত, চিকেন বল, মুরগির কোপ্তা, এগ ভেজিটেবল, চিকেন রোল, তিলের রুটি, গরুর রুটি, বাদামের রুটি, ঘিয়ের রুটি, দুধ, ইসব গুলের ভুসি প্রভৃতি।
চকবাজারের ইফতারি কিনতে কিনতে কানে যাবে ‘বড় বাপের পোলায় খায়, ঠোঙায় ভইরা লইয়া যায়, ধনী-গরিব সবাই খায়, মজা পাইয়া লইয়া যায়’—এমন সব বাহারি স্লোগান। চকের ইফতার বাজারের একটি জনপ্রিয় পদ এই ‘বড় বাপের পোলায় খায়’। পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী এই খাবার তৈরিতে প্রধানত ব্যবহৃত হয় খাসির মাংস। এর সঙ্গে আরও রয়েছে ডিম, গরুর মগজ, আলু, ঘি, কাঁচা ও শুকনা মরিচ, গরুর কলিজা, মুরগির মাংসের কুচি, মুরগির গিলা-কলিজা, সুতি কাবাব, মাংসের কিমা, চিড়া, ডাবলি, বুটের ডাল, মিষ্টিকুমড়াসহ নানা ধরনের মসলা নিয়ে ১০০ পদ।
এই খাবার ঘিরে ইফতার বাজারে একটা জটলা লেগেই থাকে। বিক্রেতা মোহাম্মদ জাহিদ জানান, এবার ‘বড় বাপের পোলায় খায়’-এর কেজি ৮০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। তবে রমজানের প্রথম দিন যে ভিড় ছিল, তা আজ একটু কম।
পুরো ইফতার বাজার ঘুরে দেখা গেল, ভিড় বেশ আছে। কিনছেও মানুষ। পুরান ঢাকায় থাকেন ব্যবসায়ী মোহাম্মদ মিঠুন। তিনি বলেন, ‘এবার লোক বেশি। আইজক্যা প্রথম কিনলাম। খাইলে বোঝন যাইব মান ঠিক আছে কি না।
দেইখা মনে অইতাছে ঠিক আছে।’
দাম এবার বাড়ছে কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে বিক্রেতা শাওন বলেন, ‘খুব বেশি বাড়ে নাই। দু-একটা আইটেম দাম আগের থেকে একটু বেড়েছে। বিক্রি গতকালের (প্রথম রোজা) থেকে কম।’
শুধু পুরান ঢাকার লোকজনই রসনাবিলাসে আসেন, তা নয়; ঢাকার বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ ইফতারি কিনতে আসে এখানে। বেসরকারি চাকরিজীবী মেহেদী হাসান সুমন থাকেন বনশ্রীতে। বললেন, ‘ঐতিহ্যবাহী ইফতার পাওয়া যায়। তাই এখানে আসি। দাম ঠিকঠাকই লাগছে।’
বিকেল যতই মিলিয়ে যায়, বাড়ে রোজাদারের ভিড়। ধুম পড়ে ইফতারি কেনায়। রমজানের সঙ্গে পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ইফতারের বাজার যেন ঢাকার সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য হয়ে আছে।
বড় কড়াইয়ে টগবগ করে ফুটছে তেল। তাতে ছেড়ে দেওয়া হলো বেসনে চুবানো বেগুন। হয়ে গেল বেগুনি। গরম তেলে ভেজে ওঠানো হয়েছে ডিম চপ, পেঁয়াজু, পাকোড়া। পাশেই তৈরি হচ্ছে কাবাব। তেল, মসলা আর মাংসের ঘ্রাণে পূর্ণ চকবাজার শাহি জামে মসজিদের সামনের গলি।
পুরান ঢাকা মানেই খানদানি খাবারদাবার। উৎসব পড়ে গেলে তো কথাই নেই! আয়োজন আরও জমে ওঠে। পবিত্র রমজান ঘিরে তাই প্রথম দিন থেকেই একেবারে গা-ঘেঁষা ভিড়। ইফতারি কেনায় একটু-আধটু ঠেলাঠেলি হচ্ছে না বলা যাবে না। তবু রসনাবিলাসে পুরান ঢাকার ইফতারি কেনা চাই-ই চাই।
চকবাজারের ইফতারি আয়োজনে কী নেই—আস্ত মুরগির রোস্ট ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, হাঁস ৪৫০-৫০০ টাকা, কোয়েল ১০০ টাকা, কবুতরের আস্ত ঝাল ফ্রাই ২০০ টাকা আর খাসির রান ৯০০ টাকা।
প্রতিটি চিকেন কাকোজ ৪০, চিকেন শর্মা ৪০, চিকেন ফ্রাই ৪৫, ডিম চপ ১৫, ভেজিটেবল রোল ২৫, কিমা সমুচা ১৫, চিকেন অন্থন ২০, চিকেন সাসলিক ৩৫ টাকায় মিলবে।
পুরান ঢাকার দই বড়া ১০০ টাকা ৪ পিস, ১৫০ টাকায় পাওয়া যাবে ৬ পিস। মালপোয়া ১৫ টাকা আর শাহি পরোটা পাওয়া যাবে ৭০-১০০ টাকায়।
এ ছাড়া আছে বিশেষ নান, সুতি কাবাব, শাহি জিলাপি, ফালুদা, পেস্তা শরবত, মহব্বত শরবত, চিকেন বল, মুরগির কোপ্তা, এগ ভেজিটেবল, চিকেন রোল, তিলের রুটি, গরুর রুটি, বাদামের রুটি, ঘিয়ের রুটি, দুধ, ইসব গুলের ভুসি প্রভৃতি।
চকবাজারের ইফতারি কিনতে কিনতে কানে যাবে ‘বড় বাপের পোলায় খায়, ঠোঙায় ভইরা লইয়া যায়, ধনী-গরিব সবাই খায়, মজা পাইয়া লইয়া যায়’—এমন সব বাহারি স্লোগান। চকের ইফতার বাজারের একটি জনপ্রিয় পদ এই ‘বড় বাপের পোলায় খায়’। পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী এই খাবার তৈরিতে প্রধানত ব্যবহৃত হয় খাসির মাংস। এর সঙ্গে আরও রয়েছে ডিম, গরুর মগজ, আলু, ঘি, কাঁচা ও শুকনা মরিচ, গরুর কলিজা, মুরগির মাংসের কুচি, মুরগির গিলা-কলিজা, সুতি কাবাব, মাংসের কিমা, চিড়া, ডাবলি, বুটের ডাল, মিষ্টিকুমড়াসহ নানা ধরনের মসলা নিয়ে ১০০ পদ।
এই খাবার ঘিরে ইফতার বাজারে একটা জটলা লেগেই থাকে। বিক্রেতা মোহাম্মদ জাহিদ জানান, এবার ‘বড় বাপের পোলায় খায়’-এর কেজি ৮০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। তবে রমজানের প্রথম দিন যে ভিড় ছিল, তা আজ একটু কম।
পুরো ইফতার বাজার ঘুরে দেখা গেল, ভিড় বেশ আছে। কিনছেও মানুষ। পুরান ঢাকায় থাকেন ব্যবসায়ী মোহাম্মদ মিঠুন। তিনি বলেন, ‘এবার লোক বেশি। আইজক্যা প্রথম কিনলাম। খাইলে বোঝন যাইব মান ঠিক আছে কি না।
দেইখা মনে অইতাছে ঠিক আছে।’
দাম এবার বাড়ছে কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে বিক্রেতা শাওন বলেন, ‘খুব বেশি বাড়ে নাই। দু-একটা আইটেম দাম আগের থেকে একটু বেড়েছে। বিক্রি গতকালের (প্রথম রোজা) থেকে কম।’
শুধু পুরান ঢাকার লোকজনই রসনাবিলাসে আসেন, তা নয়; ঢাকার বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ ইফতারি কিনতে আসে এখানে। বেসরকারি চাকরিজীবী মেহেদী হাসান সুমন থাকেন বনশ্রীতে। বললেন, ‘ঐতিহ্যবাহী ইফতার পাওয়া যায়। তাই এখানে আসি। দাম ঠিকঠাকই লাগছে।’
বিকেল যতই মিলিয়ে যায়, বাড়ে রোজাদারের ভিড়। ধুম পড়ে ইফতারি কেনায়। রমজানের সঙ্গে পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ইফতারের বাজার যেন ঢাকার সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য হয়ে আছে।
বরিশালের হিজলায় প্রায় দেড় কোটি টাকার হাট-বাজার ইজারা কার্যক্রম প্রস্তুত করতে গিয়ে শিডিউল জমাই দিতে পারেনি ঠিকাদারেরা। স্থানীয় বিএনপির একটি পক্ষ উপজেলার ২০টি হাট-বাজারের শিডিউল প্রস্তুত প্রক্রিয়ায় নামে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে পারেনি তারা।
৪ ঘণ্টা আগেবিভাগীয় শহর রংপুরে গত দেড় দশকে মানুষের পাশাপাশি বেড়েছে যানবাহনের চাপ। কিন্তু ট্রাফিক ব্যবস্থার তেমন উন্নতি হয়নি। এতে তীব্র যানজটে দুর্ভোগে পড়তে হয় নগরবাসীকে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে তিন বছর আগে ৩৪ লাখ টাকা ব্যয়ে নগরীতে ডিজিটাল ট্রাফিক সিগন্যাল স্থাপন করা হলেও তা কাজে আসছে না।
৪ ঘণ্টা আগেএককালে ছিলেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি। বিএনপির সমর্থন নিয়ে হয়েছিলেন নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানও। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ভিড়তে শুরু করেন শামীম ওসমানের সঙ্গে। ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেওয়ায় তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করে বিএনপি।
৪ ঘণ্টা আগেবিশাল সমুদ্রসৈকত। তারই এক পাশের মাটি কেটে বানানো হচ্ছে বাড়ি। কেউ আবার বাড়ির আদলে পুকুর কেটে রেখেছে। অনেকে মাটি কেটে নিজেদের সীমানা তৈরি করেছে। গত ৫ আগস্ট রাজনীতির পটপরিবর্তনের পর পর্যটন সম্ভাবনাময় এলাকা নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার নিঝুম দ্বীপ সৈকতের চিত্র এটি। সেখানে চলছে সৈকতের জায়গা দখলের
৪ ঘণ্টা আগে