আমানুর রহমান রনি, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ভোররাতে একজনকে, ভোর হতেই আরও একজনকে একই কায়দায় রাস্তায় পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এরপর রটানো হয়, ছিনতাইকারী সন্দেহে গণপিটুনিতে দুই তরুণের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশও একই সুরে গণপিটুনির তথ্য ছড়িয়ে দেয় গণমাধ্যমে। আজকের পত্রিকার অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ছিনতাইয়ের সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ কেউ তোলেনি। দুই তরুণকে পূর্বপরিকল্পনা করে তাঁদের বাসার কাছে একই জায়গায় দুই ঘণ্টার ব্যবধানে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। যাঁরা পিটিয়েছেন এবং যাঁরা নিহত হয়েছেন সবাই পূর্বপরিচিত, একই এলাকার বাসিন্দা।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত সারা দেশে ১২৪ জনকে গণপিটুনিতে হত্যা করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মো. তৌহিদুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খুঁজলে দেখা যাবে প্রতিটি গণপিটুনির ঘটনাই পরিকল্পিত। ব্যক্তিগত শত্রুতা, রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব ও বিভিন্ন মতবিরোধকে ঘিরে গণপিটুনির নামে এসব হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। শুরুতে যদি জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তির আওতায় আনা হতো, তাহলে এ রকম ঘটনা বারবার ঘটত না।’
গত ১০ সেপ্টেম্বর ভোররাত ও সকালে মোহাম্মদপুরের নবীনগর হাউজিংয়ের ১৬ নম্বর সড়কের মাথায় সাঁকোরপাড় এলাকায় দুই দফায় চার তরুণকে পেটানো হয়। ভোররাত সাড়ে ৪টায় মারধরের শিকার হন মো. সুজন ওরফে বাবুল ও মো. শরীফ।
পরে সকাল সাড়ে ৬টায় একই স্থানে আবারও মারধর করা হয় মো. হানিফ ও মো. ফয়সালকে। এতে সুজন ও হানিফ নিহত হন। গুরুতর আহত শরীফ ও ফয়সালকে ছিনতাই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।
নিহত সুজনের গ্রামের বাড়ি ভোলার বোরহানউদ্দিনে। ঢাকার মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যানের বি-ব্লকের ৪ নম্বর সড়কের একটি ভাড়া বাসায় বাবা টাইলস মিস্ত্রি জাহাঙ্গীর আলম, মা শাহনাজ বেগমের সঙ্গে থাকতেন। মাঝেমধ্যে বাবার সঙ্গে টাইলসের কাজও করতেন তিনি।
সুজন ৯ সেপ্টেম্বর রাতে নবীনগর হাউজিংয়ে চাচাতো বোনের বাসায় খাওয়ার পর বন্ধু শরীফের সঙ্গে স্থানীয় সাদিক অ্যাগ্রোর গরুর খামারে যান। খামারকর্মী মনিরুলের কক্ষে তাঁরা ঘুমান। ভোররাত ৪টার পর নৈশপ্রহরী মালেক, হাবীবসহ সাত-আটজন তাঁদের খামার থেকে তুলে নবীনগরের ১৪ নম্বর সড়কের মাথায় সাঁকোরপাড় এলাকায় নিয়ে যান।
এই প্রতিবেদক ২৩ সেপ্টেম্বর ওই গরুর খামারে গেলে কর্মচারী মো. মিলন বলেন, খামারে থাকতে দেওয়ার কারণে মনিরুলকেও মারধর করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী সোনিয়া আক্তার সুমি জানান, নবীনগর ১৬ নম্বর সড়কে তাঁর বাসা। তিনি চিৎকার শুনে বাইরে এসে দেখেন, কয়েকজন লোক সুজন ও শরীফকে ১৪ নম্বর সড়কের মাথায় নিয়ে যাচ্ছে। সেখানে নৈশপ্রহরী হাবীব, মালেক, শাহাবুদ্দিন, আক্তার, নুরু, হাসনাইন, শাহীন, চা-দোকানি জহিরুল ওরফে জাহিদ ও আল আমিন মিলে তাঁদের মারধর করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনার পাশাপাশি সুজন ও শরীফকে মারধরের তিনটি ভিডিও আজকের পত্রিকার হাতে এসেছে। স্থানীয়দের নিয়ে ভিডিও বিশ্লেষণে দেখা গেছে, হামলাকারীদের মধ্যে রয়েছেন বাঁশ ব্যবসায়ী আক্তার হোসেন, নৈশপ্রহরী হাবীবুর রহমান হাবীব ও মালেক, মুরগি ব্যবসায়ী আল আমিন ও তাঁর কর্মচারী শাহীন, মকবুল, চা-দোকানি জহিরুল ওরফে জাহিদ, কবির, নূরু মিয়া, শামসু ও তাঁর ছেলে শাহাবুদ্দিন।
সেদিন খবর পেয়ে ভোররাতে মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আক্তারুজ্জামান প্রথম ঘটনাস্থলে যান। তিনিই হামলাকারীদের গণপিটুনির কথা শিখিয়ে দেন বলে অভিযোগ করেছেন আহত শরীফের ভাই। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে এসআই আক্তারুজ্জামান বলেন, ভোররাতে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান। সেখানে থাকা কেউ মারধরের কথা স্বীকার করেননি। পরে তিনি দুজনকে হাসপাতালে নিয়ে যান।
সকাল সাড়ে ৬টার দিকে মো. ফয়সাল ও মো. হানিফ নামের আরও দুজনকে একই জায়গায় মারধর করা হয়। তাঁরা দুজনে একটি হোটেলে নাশতা করতে যাচ্ছিলেন—এ সময় একই লোকজন আকবরের চায়ের দোকানের সামনে তাঁদের আটকায়। ভিডিওতে দেখা গেছে, ফয়সালকে পাঁচজন এবং হানিফকে তিনজন মিলে পেটাচ্ছে।
কবির, নৈশপ্রহরী মালেক ও হাবীব মিলে হানিফকে পিটিয়ে ফুটপাতে অচেতন অবস্থায় ফেলে রাখেন। এ ঘটনার সময় পোশাকশ্রমিকেরা কারখানায় যাচ্ছিলেন। তাঁদের একজন শিউলী বেগম। তিনি বলেন, সেদিন তাঁরা কারখানায় যাওয়ার সময় দেখেন, দুই ব্যক্তিকে ৮-৯ জনে মিলে মারধর করছেন। ঠেকানোর চেষ্টা করেন ফয়সালের ভাই মো. রবিউল ও তাঁর স্ত্রী সোনিয়া আক্তার সুমি। সোনিয়া ঘটনার সময়ের একটি ভিডিওতে নিজেকে দেখিয়ে বলেন, পিটুনি ঠেকাতে গেলে তাঁর স্বামী রবিউলকেও মারধর করে আল আমিন, মালেক, নূরু, হাবীব, শাহাবুদ্দিন, শাহ আলম।
নিহত হানিফ নবীনগর হাউজিংয়ের ১৪ নম্বর সড়কের শেষ মাথার একটি বাসায় মা-বাবা ও স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন। তিনি একটি পাম্পের কর্মচারী ছিলেন। তাঁকে হত্যার ১৭ দিন আগে গ্রামের বাড়ি বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জে তাঁর স্ত্রী ঝুমু প্রথম কন্যাসন্তানের মা হন। হানিফ সেই সন্তানকেও দেখে যেতে পারেননি বলে স্ত্রী আফসোস করেন।
হানিফের বাবা সাদেক হাওলাদার বলেন, প্রথম ঘটনার পর পুলিশ যদি হামলাকারীদের ধরত, জেরা করত, তাহলে দ্বিতীয় ঘটনা ঘটত না। তিনি বলেন, হানিফকে হত্যায় অভিযুক্ত আক্তার তাঁর ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী। সরকার পরিবর্তনের পর সে বিএনপির রাজনীতি শুরু করেছে, হাউজিংয়ের নিরাপত্তার দায়িত্ব পেয়েছে। চার-পাঁচ দিন আগে থেকে পরিকল্পনা করে তারা দুজনকে পিটিয়ে মারছে।
নিহত ব্যক্তিদের পরিবার অভিযোগ করেছে, চারজনকে পিটুনির নেতৃত্বে ছিলেন আক্তার হোসেন। যাঁরা হামলায় অংশ নিয়েছেন, তাঁরা সবাই আক্তারের লোক হিসেবেই পরিচিত। মূল অভিযুক্ত আক্তার হোসেনকে নবীনগর হাউজিংয়ের ১২ নম্বর সড়কের বাসায় গিয়ে পাওয়া যায়নি। তাঁর স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ঘটনার দিন ভোরে নৈশপ্রহরীরা ফোন দিয়ে তাঁর স্বামীকে (আক্তার) বাসা থেকে ডেকে নেন। এরপর থেকে তিনি আর বাসায় নেই।
নিহত হানিফের বড় ভাই আক্তার হোসেন বলেন, যারা মেরেছে, তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে চাইলে পুলিশ মামলা নেয়নি। ২০-২৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে পুলিশ তাঁর স্বাক্ষর নিয়েছে।
মোহাম্মদপুর থানার ভরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী রফিক বলেন, গণপিটুনিতে নিহত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে তথ্য ছিল। নিহত একজনের ভাই অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেছেন। তদন্তে যাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যাবে, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। তিনি আরও বলেন, নিহত দুজনের বিরুদ্ধে চারটি করে মাদক ও ছিনতাইয়ের মামলা ছিল।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ভোররাতে একজনকে, ভোর হতেই আরও একজনকে একই কায়দায় রাস্তায় পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এরপর রটানো হয়, ছিনতাইকারী সন্দেহে গণপিটুনিতে দুই তরুণের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশও একই সুরে গণপিটুনির তথ্য ছড়িয়ে দেয় গণমাধ্যমে। আজকের পত্রিকার অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ছিনতাইয়ের সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ কেউ তোলেনি। দুই তরুণকে পূর্বপরিকল্পনা করে তাঁদের বাসার কাছে একই জায়গায় দুই ঘণ্টার ব্যবধানে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। যাঁরা পিটিয়েছেন এবং যাঁরা নিহত হয়েছেন সবাই পূর্বপরিচিত, একই এলাকার বাসিন্দা।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত সারা দেশে ১২৪ জনকে গণপিটুনিতে হত্যা করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মো. তৌহিদুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খুঁজলে দেখা যাবে প্রতিটি গণপিটুনির ঘটনাই পরিকল্পিত। ব্যক্তিগত শত্রুতা, রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব ও বিভিন্ন মতবিরোধকে ঘিরে গণপিটুনির নামে এসব হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। শুরুতে যদি জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তির আওতায় আনা হতো, তাহলে এ রকম ঘটনা বারবার ঘটত না।’
গত ১০ সেপ্টেম্বর ভোররাত ও সকালে মোহাম্মদপুরের নবীনগর হাউজিংয়ের ১৬ নম্বর সড়কের মাথায় সাঁকোরপাড় এলাকায় দুই দফায় চার তরুণকে পেটানো হয়। ভোররাত সাড়ে ৪টায় মারধরের শিকার হন মো. সুজন ওরফে বাবুল ও মো. শরীফ।
পরে সকাল সাড়ে ৬টায় একই স্থানে আবারও মারধর করা হয় মো. হানিফ ও মো. ফয়সালকে। এতে সুজন ও হানিফ নিহত হন। গুরুতর আহত শরীফ ও ফয়সালকে ছিনতাই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।
নিহত সুজনের গ্রামের বাড়ি ভোলার বোরহানউদ্দিনে। ঢাকার মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যানের বি-ব্লকের ৪ নম্বর সড়কের একটি ভাড়া বাসায় বাবা টাইলস মিস্ত্রি জাহাঙ্গীর আলম, মা শাহনাজ বেগমের সঙ্গে থাকতেন। মাঝেমধ্যে বাবার সঙ্গে টাইলসের কাজও করতেন তিনি।
সুজন ৯ সেপ্টেম্বর রাতে নবীনগর হাউজিংয়ে চাচাতো বোনের বাসায় খাওয়ার পর বন্ধু শরীফের সঙ্গে স্থানীয় সাদিক অ্যাগ্রোর গরুর খামারে যান। খামারকর্মী মনিরুলের কক্ষে তাঁরা ঘুমান। ভোররাত ৪টার পর নৈশপ্রহরী মালেক, হাবীবসহ সাত-আটজন তাঁদের খামার থেকে তুলে নবীনগরের ১৪ নম্বর সড়কের মাথায় সাঁকোরপাড় এলাকায় নিয়ে যান।
এই প্রতিবেদক ২৩ সেপ্টেম্বর ওই গরুর খামারে গেলে কর্মচারী মো. মিলন বলেন, খামারে থাকতে দেওয়ার কারণে মনিরুলকেও মারধর করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী সোনিয়া আক্তার সুমি জানান, নবীনগর ১৬ নম্বর সড়কে তাঁর বাসা। তিনি চিৎকার শুনে বাইরে এসে দেখেন, কয়েকজন লোক সুজন ও শরীফকে ১৪ নম্বর সড়কের মাথায় নিয়ে যাচ্ছে। সেখানে নৈশপ্রহরী হাবীব, মালেক, শাহাবুদ্দিন, আক্তার, নুরু, হাসনাইন, শাহীন, চা-দোকানি জহিরুল ওরফে জাহিদ ও আল আমিন মিলে তাঁদের মারধর করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনার পাশাপাশি সুজন ও শরীফকে মারধরের তিনটি ভিডিও আজকের পত্রিকার হাতে এসেছে। স্থানীয়দের নিয়ে ভিডিও বিশ্লেষণে দেখা গেছে, হামলাকারীদের মধ্যে রয়েছেন বাঁশ ব্যবসায়ী আক্তার হোসেন, নৈশপ্রহরী হাবীবুর রহমান হাবীব ও মালেক, মুরগি ব্যবসায়ী আল আমিন ও তাঁর কর্মচারী শাহীন, মকবুল, চা-দোকানি জহিরুল ওরফে জাহিদ, কবির, নূরু মিয়া, শামসু ও তাঁর ছেলে শাহাবুদ্দিন।
সেদিন খবর পেয়ে ভোররাতে মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আক্তারুজ্জামান প্রথম ঘটনাস্থলে যান। তিনিই হামলাকারীদের গণপিটুনির কথা শিখিয়ে দেন বলে অভিযোগ করেছেন আহত শরীফের ভাই। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে এসআই আক্তারুজ্জামান বলেন, ভোররাতে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান। সেখানে থাকা কেউ মারধরের কথা স্বীকার করেননি। পরে তিনি দুজনকে হাসপাতালে নিয়ে যান।
সকাল সাড়ে ৬টার দিকে মো. ফয়সাল ও মো. হানিফ নামের আরও দুজনকে একই জায়গায় মারধর করা হয়। তাঁরা দুজনে একটি হোটেলে নাশতা করতে যাচ্ছিলেন—এ সময় একই লোকজন আকবরের চায়ের দোকানের সামনে তাঁদের আটকায়। ভিডিওতে দেখা গেছে, ফয়সালকে পাঁচজন এবং হানিফকে তিনজন মিলে পেটাচ্ছে।
কবির, নৈশপ্রহরী মালেক ও হাবীব মিলে হানিফকে পিটিয়ে ফুটপাতে অচেতন অবস্থায় ফেলে রাখেন। এ ঘটনার সময় পোশাকশ্রমিকেরা কারখানায় যাচ্ছিলেন। তাঁদের একজন শিউলী বেগম। তিনি বলেন, সেদিন তাঁরা কারখানায় যাওয়ার সময় দেখেন, দুই ব্যক্তিকে ৮-৯ জনে মিলে মারধর করছেন। ঠেকানোর চেষ্টা করেন ফয়সালের ভাই মো. রবিউল ও তাঁর স্ত্রী সোনিয়া আক্তার সুমি। সোনিয়া ঘটনার সময়ের একটি ভিডিওতে নিজেকে দেখিয়ে বলেন, পিটুনি ঠেকাতে গেলে তাঁর স্বামী রবিউলকেও মারধর করে আল আমিন, মালেক, নূরু, হাবীব, শাহাবুদ্দিন, শাহ আলম।
নিহত হানিফ নবীনগর হাউজিংয়ের ১৪ নম্বর সড়কের শেষ মাথার একটি বাসায় মা-বাবা ও স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন। তিনি একটি পাম্পের কর্মচারী ছিলেন। তাঁকে হত্যার ১৭ দিন আগে গ্রামের বাড়ি বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জে তাঁর স্ত্রী ঝুমু প্রথম কন্যাসন্তানের মা হন। হানিফ সেই সন্তানকেও দেখে যেতে পারেননি বলে স্ত্রী আফসোস করেন।
হানিফের বাবা সাদেক হাওলাদার বলেন, প্রথম ঘটনার পর পুলিশ যদি হামলাকারীদের ধরত, জেরা করত, তাহলে দ্বিতীয় ঘটনা ঘটত না। তিনি বলেন, হানিফকে হত্যায় অভিযুক্ত আক্তার তাঁর ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী। সরকার পরিবর্তনের পর সে বিএনপির রাজনীতি শুরু করেছে, হাউজিংয়ের নিরাপত্তার দায়িত্ব পেয়েছে। চার-পাঁচ দিন আগে থেকে পরিকল্পনা করে তারা দুজনকে পিটিয়ে মারছে।
নিহত ব্যক্তিদের পরিবার অভিযোগ করেছে, চারজনকে পিটুনির নেতৃত্বে ছিলেন আক্তার হোসেন। যাঁরা হামলায় অংশ নিয়েছেন, তাঁরা সবাই আক্তারের লোক হিসেবেই পরিচিত। মূল অভিযুক্ত আক্তার হোসেনকে নবীনগর হাউজিংয়ের ১২ নম্বর সড়কের বাসায় গিয়ে পাওয়া যায়নি। তাঁর স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ঘটনার দিন ভোরে নৈশপ্রহরীরা ফোন দিয়ে তাঁর স্বামীকে (আক্তার) বাসা থেকে ডেকে নেন। এরপর থেকে তিনি আর বাসায় নেই।
নিহত হানিফের বড় ভাই আক্তার হোসেন বলেন, যারা মেরেছে, তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে চাইলে পুলিশ মামলা নেয়নি। ২০-২৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে পুলিশ তাঁর স্বাক্ষর নিয়েছে।
মোহাম্মদপুর থানার ভরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী রফিক বলেন, গণপিটুনিতে নিহত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে তথ্য ছিল। নিহত একজনের ভাই অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেছেন। তদন্তে যাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যাবে, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। তিনি আরও বলেন, নিহত দুজনের বিরুদ্ধে চারটি করে মাদক ও ছিনতাইয়ের মামলা ছিল।
আমানুর রহমান রনি, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ভোররাতে একজনকে, ভোর হতেই আরও একজনকে একই কায়দায় রাস্তায় পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এরপর রটানো হয়, ছিনতাইকারী সন্দেহে গণপিটুনিতে দুই তরুণের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশও একই সুরে গণপিটুনির তথ্য ছড়িয়ে দেয় গণমাধ্যমে। আজকের পত্রিকার অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ছিনতাইয়ের সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ কেউ তোলেনি। দুই তরুণকে পূর্বপরিকল্পনা করে তাঁদের বাসার কাছে একই জায়গায় দুই ঘণ্টার ব্যবধানে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। যাঁরা পিটিয়েছেন এবং যাঁরা নিহত হয়েছেন সবাই পূর্বপরিচিত, একই এলাকার বাসিন্দা।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত সারা দেশে ১২৪ জনকে গণপিটুনিতে হত্যা করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মো. তৌহিদুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খুঁজলে দেখা যাবে প্রতিটি গণপিটুনির ঘটনাই পরিকল্পিত। ব্যক্তিগত শত্রুতা, রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব ও বিভিন্ন মতবিরোধকে ঘিরে গণপিটুনির নামে এসব হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। শুরুতে যদি জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তির আওতায় আনা হতো, তাহলে এ রকম ঘটনা বারবার ঘটত না।’
গত ১০ সেপ্টেম্বর ভোররাত ও সকালে মোহাম্মদপুরের নবীনগর হাউজিংয়ের ১৬ নম্বর সড়কের মাথায় সাঁকোরপাড় এলাকায় দুই দফায় চার তরুণকে পেটানো হয়। ভোররাত সাড়ে ৪টায় মারধরের শিকার হন মো. সুজন ওরফে বাবুল ও মো. শরীফ।
পরে সকাল সাড়ে ৬টায় একই স্থানে আবারও মারধর করা হয় মো. হানিফ ও মো. ফয়সালকে। এতে সুজন ও হানিফ নিহত হন। গুরুতর আহত শরীফ ও ফয়সালকে ছিনতাই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।
নিহত সুজনের গ্রামের বাড়ি ভোলার বোরহানউদ্দিনে। ঢাকার মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যানের বি-ব্লকের ৪ নম্বর সড়কের একটি ভাড়া বাসায় বাবা টাইলস মিস্ত্রি জাহাঙ্গীর আলম, মা শাহনাজ বেগমের সঙ্গে থাকতেন। মাঝেমধ্যে বাবার সঙ্গে টাইলসের কাজও করতেন তিনি।
সুজন ৯ সেপ্টেম্বর রাতে নবীনগর হাউজিংয়ে চাচাতো বোনের বাসায় খাওয়ার পর বন্ধু শরীফের সঙ্গে স্থানীয় সাদিক অ্যাগ্রোর গরুর খামারে যান। খামারকর্মী মনিরুলের কক্ষে তাঁরা ঘুমান। ভোররাত ৪টার পর নৈশপ্রহরী মালেক, হাবীবসহ সাত-আটজন তাঁদের খামার থেকে তুলে নবীনগরের ১৪ নম্বর সড়কের মাথায় সাঁকোরপাড় এলাকায় নিয়ে যান।
এই প্রতিবেদক ২৩ সেপ্টেম্বর ওই গরুর খামারে গেলে কর্মচারী মো. মিলন বলেন, খামারে থাকতে দেওয়ার কারণে মনিরুলকেও মারধর করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী সোনিয়া আক্তার সুমি জানান, নবীনগর ১৬ নম্বর সড়কে তাঁর বাসা। তিনি চিৎকার শুনে বাইরে এসে দেখেন, কয়েকজন লোক সুজন ও শরীফকে ১৪ নম্বর সড়কের মাথায় নিয়ে যাচ্ছে। সেখানে নৈশপ্রহরী হাবীব, মালেক, শাহাবুদ্দিন, আক্তার, নুরু, হাসনাইন, শাহীন, চা-দোকানি জহিরুল ওরফে জাহিদ ও আল আমিন মিলে তাঁদের মারধর করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনার পাশাপাশি সুজন ও শরীফকে মারধরের তিনটি ভিডিও আজকের পত্রিকার হাতে এসেছে। স্থানীয়দের নিয়ে ভিডিও বিশ্লেষণে দেখা গেছে, হামলাকারীদের মধ্যে রয়েছেন বাঁশ ব্যবসায়ী আক্তার হোসেন, নৈশপ্রহরী হাবীবুর রহমান হাবীব ও মালেক, মুরগি ব্যবসায়ী আল আমিন ও তাঁর কর্মচারী শাহীন, মকবুল, চা-দোকানি জহিরুল ওরফে জাহিদ, কবির, নূরু মিয়া, শামসু ও তাঁর ছেলে শাহাবুদ্দিন।
সেদিন খবর পেয়ে ভোররাতে মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আক্তারুজ্জামান প্রথম ঘটনাস্থলে যান। তিনিই হামলাকারীদের গণপিটুনির কথা শিখিয়ে দেন বলে অভিযোগ করেছেন আহত শরীফের ভাই। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে এসআই আক্তারুজ্জামান বলেন, ভোররাতে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান। সেখানে থাকা কেউ মারধরের কথা স্বীকার করেননি। পরে তিনি দুজনকে হাসপাতালে নিয়ে যান।
সকাল সাড়ে ৬টার দিকে মো. ফয়সাল ও মো. হানিফ নামের আরও দুজনকে একই জায়গায় মারধর করা হয়। তাঁরা দুজনে একটি হোটেলে নাশতা করতে যাচ্ছিলেন—এ সময় একই লোকজন আকবরের চায়ের দোকানের সামনে তাঁদের আটকায়। ভিডিওতে দেখা গেছে, ফয়সালকে পাঁচজন এবং হানিফকে তিনজন মিলে পেটাচ্ছে।
কবির, নৈশপ্রহরী মালেক ও হাবীব মিলে হানিফকে পিটিয়ে ফুটপাতে অচেতন অবস্থায় ফেলে রাখেন। এ ঘটনার সময় পোশাকশ্রমিকেরা কারখানায় যাচ্ছিলেন। তাঁদের একজন শিউলী বেগম। তিনি বলেন, সেদিন তাঁরা কারখানায় যাওয়ার সময় দেখেন, দুই ব্যক্তিকে ৮-৯ জনে মিলে মারধর করছেন। ঠেকানোর চেষ্টা করেন ফয়সালের ভাই মো. রবিউল ও তাঁর স্ত্রী সোনিয়া আক্তার সুমি। সোনিয়া ঘটনার সময়ের একটি ভিডিওতে নিজেকে দেখিয়ে বলেন, পিটুনি ঠেকাতে গেলে তাঁর স্বামী রবিউলকেও মারধর করে আল আমিন, মালেক, নূরু, হাবীব, শাহাবুদ্দিন, শাহ আলম।
নিহত হানিফ নবীনগর হাউজিংয়ের ১৪ নম্বর সড়কের শেষ মাথার একটি বাসায় মা-বাবা ও স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন। তিনি একটি পাম্পের কর্মচারী ছিলেন। তাঁকে হত্যার ১৭ দিন আগে গ্রামের বাড়ি বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জে তাঁর স্ত্রী ঝুমু প্রথম কন্যাসন্তানের মা হন। হানিফ সেই সন্তানকেও দেখে যেতে পারেননি বলে স্ত্রী আফসোস করেন।
হানিফের বাবা সাদেক হাওলাদার বলেন, প্রথম ঘটনার পর পুলিশ যদি হামলাকারীদের ধরত, জেরা করত, তাহলে দ্বিতীয় ঘটনা ঘটত না। তিনি বলেন, হানিফকে হত্যায় অভিযুক্ত আক্তার তাঁর ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী। সরকার পরিবর্তনের পর সে বিএনপির রাজনীতি শুরু করেছে, হাউজিংয়ের নিরাপত্তার দায়িত্ব পেয়েছে। চার-পাঁচ দিন আগে থেকে পরিকল্পনা করে তারা দুজনকে পিটিয়ে মারছে।
নিহত ব্যক্তিদের পরিবার অভিযোগ করেছে, চারজনকে পিটুনির নেতৃত্বে ছিলেন আক্তার হোসেন। যাঁরা হামলায় অংশ নিয়েছেন, তাঁরা সবাই আক্তারের লোক হিসেবেই পরিচিত। মূল অভিযুক্ত আক্তার হোসেনকে নবীনগর হাউজিংয়ের ১২ নম্বর সড়কের বাসায় গিয়ে পাওয়া যায়নি। তাঁর স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ঘটনার দিন ভোরে নৈশপ্রহরীরা ফোন দিয়ে তাঁর স্বামীকে (আক্তার) বাসা থেকে ডেকে নেন। এরপর থেকে তিনি আর বাসায় নেই।
নিহত হানিফের বড় ভাই আক্তার হোসেন বলেন, যারা মেরেছে, তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে চাইলে পুলিশ মামলা নেয়নি। ২০-২৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে পুলিশ তাঁর স্বাক্ষর নিয়েছে।
মোহাম্মদপুর থানার ভরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী রফিক বলেন, গণপিটুনিতে নিহত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে তথ্য ছিল। নিহত একজনের ভাই অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেছেন। তদন্তে যাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যাবে, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। তিনি আরও বলেন, নিহত দুজনের বিরুদ্ধে চারটি করে মাদক ও ছিনতাইয়ের মামলা ছিল।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ভোররাতে একজনকে, ভোর হতেই আরও একজনকে একই কায়দায় রাস্তায় পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এরপর রটানো হয়, ছিনতাইকারী সন্দেহে গণপিটুনিতে দুই তরুণের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশও একই সুরে গণপিটুনির তথ্য ছড়িয়ে দেয় গণমাধ্যমে। আজকের পত্রিকার অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ছিনতাইয়ের সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ কেউ তোলেনি। দুই তরুণকে পূর্বপরিকল্পনা করে তাঁদের বাসার কাছে একই জায়গায় দুই ঘণ্টার ব্যবধানে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। যাঁরা পিটিয়েছেন এবং যাঁরা নিহত হয়েছেন সবাই পূর্বপরিচিত, একই এলাকার বাসিন্দা।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত সারা দেশে ১২৪ জনকে গণপিটুনিতে হত্যা করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মো. তৌহিদুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খুঁজলে দেখা যাবে প্রতিটি গণপিটুনির ঘটনাই পরিকল্পিত। ব্যক্তিগত শত্রুতা, রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব ও বিভিন্ন মতবিরোধকে ঘিরে গণপিটুনির নামে এসব হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। শুরুতে যদি জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তির আওতায় আনা হতো, তাহলে এ রকম ঘটনা বারবার ঘটত না।’
গত ১০ সেপ্টেম্বর ভোররাত ও সকালে মোহাম্মদপুরের নবীনগর হাউজিংয়ের ১৬ নম্বর সড়কের মাথায় সাঁকোরপাড় এলাকায় দুই দফায় চার তরুণকে পেটানো হয়। ভোররাত সাড়ে ৪টায় মারধরের শিকার হন মো. সুজন ওরফে বাবুল ও মো. শরীফ।
পরে সকাল সাড়ে ৬টায় একই স্থানে আবারও মারধর করা হয় মো. হানিফ ও মো. ফয়সালকে। এতে সুজন ও হানিফ নিহত হন। গুরুতর আহত শরীফ ও ফয়সালকে ছিনতাই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।
নিহত সুজনের গ্রামের বাড়ি ভোলার বোরহানউদ্দিনে। ঢাকার মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যানের বি-ব্লকের ৪ নম্বর সড়কের একটি ভাড়া বাসায় বাবা টাইলস মিস্ত্রি জাহাঙ্গীর আলম, মা শাহনাজ বেগমের সঙ্গে থাকতেন। মাঝেমধ্যে বাবার সঙ্গে টাইলসের কাজও করতেন তিনি।
সুজন ৯ সেপ্টেম্বর রাতে নবীনগর হাউজিংয়ে চাচাতো বোনের বাসায় খাওয়ার পর বন্ধু শরীফের সঙ্গে স্থানীয় সাদিক অ্যাগ্রোর গরুর খামারে যান। খামারকর্মী মনিরুলের কক্ষে তাঁরা ঘুমান। ভোররাত ৪টার পর নৈশপ্রহরী মালেক, হাবীবসহ সাত-আটজন তাঁদের খামার থেকে তুলে নবীনগরের ১৪ নম্বর সড়কের মাথায় সাঁকোরপাড় এলাকায় নিয়ে যান।
এই প্রতিবেদক ২৩ সেপ্টেম্বর ওই গরুর খামারে গেলে কর্মচারী মো. মিলন বলেন, খামারে থাকতে দেওয়ার কারণে মনিরুলকেও মারধর করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী সোনিয়া আক্তার সুমি জানান, নবীনগর ১৬ নম্বর সড়কে তাঁর বাসা। তিনি চিৎকার শুনে বাইরে এসে দেখেন, কয়েকজন লোক সুজন ও শরীফকে ১৪ নম্বর সড়কের মাথায় নিয়ে যাচ্ছে। সেখানে নৈশপ্রহরী হাবীব, মালেক, শাহাবুদ্দিন, আক্তার, নুরু, হাসনাইন, শাহীন, চা-দোকানি জহিরুল ওরফে জাহিদ ও আল আমিন মিলে তাঁদের মারধর করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনার পাশাপাশি সুজন ও শরীফকে মারধরের তিনটি ভিডিও আজকের পত্রিকার হাতে এসেছে। স্থানীয়দের নিয়ে ভিডিও বিশ্লেষণে দেখা গেছে, হামলাকারীদের মধ্যে রয়েছেন বাঁশ ব্যবসায়ী আক্তার হোসেন, নৈশপ্রহরী হাবীবুর রহমান হাবীব ও মালেক, মুরগি ব্যবসায়ী আল আমিন ও তাঁর কর্মচারী শাহীন, মকবুল, চা-দোকানি জহিরুল ওরফে জাহিদ, কবির, নূরু মিয়া, শামসু ও তাঁর ছেলে শাহাবুদ্দিন।
সেদিন খবর পেয়ে ভোররাতে মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আক্তারুজ্জামান প্রথম ঘটনাস্থলে যান। তিনিই হামলাকারীদের গণপিটুনির কথা শিখিয়ে দেন বলে অভিযোগ করেছেন আহত শরীফের ভাই। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে এসআই আক্তারুজ্জামান বলেন, ভোররাতে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান। সেখানে থাকা কেউ মারধরের কথা স্বীকার করেননি। পরে তিনি দুজনকে হাসপাতালে নিয়ে যান।
সকাল সাড়ে ৬টার দিকে মো. ফয়সাল ও মো. হানিফ নামের আরও দুজনকে একই জায়গায় মারধর করা হয়। তাঁরা দুজনে একটি হোটেলে নাশতা করতে যাচ্ছিলেন—এ সময় একই লোকজন আকবরের চায়ের দোকানের সামনে তাঁদের আটকায়। ভিডিওতে দেখা গেছে, ফয়সালকে পাঁচজন এবং হানিফকে তিনজন মিলে পেটাচ্ছে।
কবির, নৈশপ্রহরী মালেক ও হাবীব মিলে হানিফকে পিটিয়ে ফুটপাতে অচেতন অবস্থায় ফেলে রাখেন। এ ঘটনার সময় পোশাকশ্রমিকেরা কারখানায় যাচ্ছিলেন। তাঁদের একজন শিউলী বেগম। তিনি বলেন, সেদিন তাঁরা কারখানায় যাওয়ার সময় দেখেন, দুই ব্যক্তিকে ৮-৯ জনে মিলে মারধর করছেন। ঠেকানোর চেষ্টা করেন ফয়সালের ভাই মো. রবিউল ও তাঁর স্ত্রী সোনিয়া আক্তার সুমি। সোনিয়া ঘটনার সময়ের একটি ভিডিওতে নিজেকে দেখিয়ে বলেন, পিটুনি ঠেকাতে গেলে তাঁর স্বামী রবিউলকেও মারধর করে আল আমিন, মালেক, নূরু, হাবীব, শাহাবুদ্দিন, শাহ আলম।
নিহত হানিফ নবীনগর হাউজিংয়ের ১৪ নম্বর সড়কের শেষ মাথার একটি বাসায় মা-বাবা ও স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন। তিনি একটি পাম্পের কর্মচারী ছিলেন। তাঁকে হত্যার ১৭ দিন আগে গ্রামের বাড়ি বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জে তাঁর স্ত্রী ঝুমু প্রথম কন্যাসন্তানের মা হন। হানিফ সেই সন্তানকেও দেখে যেতে পারেননি বলে স্ত্রী আফসোস করেন।
হানিফের বাবা সাদেক হাওলাদার বলেন, প্রথম ঘটনার পর পুলিশ যদি হামলাকারীদের ধরত, জেরা করত, তাহলে দ্বিতীয় ঘটনা ঘটত না। তিনি বলেন, হানিফকে হত্যায় অভিযুক্ত আক্তার তাঁর ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী। সরকার পরিবর্তনের পর সে বিএনপির রাজনীতি শুরু করেছে, হাউজিংয়ের নিরাপত্তার দায়িত্ব পেয়েছে। চার-পাঁচ দিন আগে থেকে পরিকল্পনা করে তারা দুজনকে পিটিয়ে মারছে।
নিহত ব্যক্তিদের পরিবার অভিযোগ করেছে, চারজনকে পিটুনির নেতৃত্বে ছিলেন আক্তার হোসেন। যাঁরা হামলায় অংশ নিয়েছেন, তাঁরা সবাই আক্তারের লোক হিসেবেই পরিচিত। মূল অভিযুক্ত আক্তার হোসেনকে নবীনগর হাউজিংয়ের ১২ নম্বর সড়কের বাসায় গিয়ে পাওয়া যায়নি। তাঁর স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ঘটনার দিন ভোরে নৈশপ্রহরীরা ফোন দিয়ে তাঁর স্বামীকে (আক্তার) বাসা থেকে ডেকে নেন। এরপর থেকে তিনি আর বাসায় নেই।
নিহত হানিফের বড় ভাই আক্তার হোসেন বলেন, যারা মেরেছে, তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে চাইলে পুলিশ মামলা নেয়নি। ২০-২৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে পুলিশ তাঁর স্বাক্ষর নিয়েছে।
মোহাম্মদপুর থানার ভরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী রফিক বলেন, গণপিটুনিতে নিহত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে তথ্য ছিল। নিহত একজনের ভাই অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেছেন। তদন্তে যাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যাবে, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। তিনি আরও বলেন, নিহত দুজনের বিরুদ্ধে চারটি করে মাদক ও ছিনতাইয়ের মামলা ছিল।

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে পুকুরে ডুবে শাহবাব মন্ডল (আড়াই বছর) ও আবু তোহা মন্ডল (৩) নামের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের যাদুরচর নতুন গ্রাম এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
ভবনের ভেতরের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, হত্যাকাণ্ডের পর এক নারী স্কুলড্রেস পরে কাঁধে ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন। চার দিন আগে আয়েশা পরিচয় দিয়ে ওই বাসায় গৃহকর্মীর কাজ নেওয়া তরুণী (২০) এই জোড়া খুনে জড়িত বলে সন্দেহ স্বজনদের। ঘটনার পর থেকে ওই তরুণী পলাতক।
২ ঘণ্টা আগে
জীবন আছে যার, তার মৃত্যু অনিবার্য। মৃত্যুর পর মানুষের শেষ ঠিকানা কবর। মৃতদেহ গোসল করিয়ে কাফন পরানো হয়, জানাজা শেষে তাকে শায়িত করা হয় চিরনিদ্রার ঘরে। এই কবর খোঁড়ার দায়িত্বটি গ্রামের কিছু মানুষ বহু বছর ধরে স্বেচ্ছায়, বিনা পারিশ্রমিকে পালন করে আসছেন, যাঁরা সবার কাছে ‘গোরখোদক’ নামে পরিচিত। আল্লাহর
৩ ঘণ্টা আগে
গাজীপুরের শ্রীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে কারখানার ফটকের সামনে বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকেরা। আন্দোলনের মুখে কারখানা কর্তৃপক্ষ প্রধান ফটক তালাবদ্ধ করে সটকে পড়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে শিল্প ও থানা-পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসেছেন। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের সাইটালিয়া গ্রামে
৩ ঘণ্টা আগেকুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে পুকুরে ডুবে শাহবাব মন্ডল (আড়াই বছর) ও আবু তোহা মন্ডল (৩) নামের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের যাদুরচর নতুন গ্রাম এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
শাহবাব মন্ডল উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের ধনারচর নতুন গ্রামের শাহজাহান মন্ডলের ছেলে এবং আবু তোহা মন্ডল একই গ্রামের আবু তালেবের ছেলে। এই দুই শিশু সম্পর্কে মামা-ভাগনে।
পরিবারের বরাত দিয়ে যাদুরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সরবেশ আলী জানান, বুধবার সকালে ওই দুই শিশু তালেব মন্ডলের বাড়িতে খেলা করছিল। এ সময় সবার অজান্তে তারা বাড়ির পাশে পুকুরের পানিতে পড়ে যায়। স্বজনেরা পুকুর থেকে দুই শিশুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। দায়িত্বরত চিকিৎসক তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক একই এলাকার বাসিন্দা ও কুড়িগ্রাম-৪ আসনের বিএনপির মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী আজিজুর রহমান ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তিনি শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
রৌমারী থানার উপপরিদর্শক শাহনেওয়াজ হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। সহকারী কমিশনার (ভূমি) ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। দুই শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে পুকুরে ডুবে শাহবাব মন্ডল (আড়াই বছর) ও আবু তোহা মন্ডল (৩) নামের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের যাদুরচর নতুন গ্রাম এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
শাহবাব মন্ডল উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের ধনারচর নতুন গ্রামের শাহজাহান মন্ডলের ছেলে এবং আবু তোহা মন্ডল একই গ্রামের আবু তালেবের ছেলে। এই দুই শিশু সম্পর্কে মামা-ভাগনে।
পরিবারের বরাত দিয়ে যাদুরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সরবেশ আলী জানান, বুধবার সকালে ওই দুই শিশু তালেব মন্ডলের বাড়িতে খেলা করছিল। এ সময় সবার অজান্তে তারা বাড়ির পাশে পুকুরের পানিতে পড়ে যায়। স্বজনেরা পুকুর থেকে দুই শিশুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। দায়িত্বরত চিকিৎসক তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক একই এলাকার বাসিন্দা ও কুড়িগ্রাম-৪ আসনের বিএনপির মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী আজিজুর রহমান ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তিনি শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
রৌমারী থানার উপপরিদর্শক শাহনেওয়াজ হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। সহকারী কমিশনার (ভূমি) ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। দুই শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ভোররাতে একজনকে, ভোর হতেই আরও একজনকে একই কায়দায় রাস্তায় পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এরপর রটানো হয়, ছিনতাইকারী সন্দেহে গণপিটুনিতে দুই তরুণের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশও একই সুরে গণপিটুনির তথ্য ছড়িয়ে দেয় গণমাধ্যমে।
০৫ অক্টোবর ২০২৫
ভবনের ভেতরের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, হত্যাকাণ্ডের পর এক নারী স্কুলড্রেস পরে কাঁধে ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন। চার দিন আগে আয়েশা পরিচয় দিয়ে ওই বাসায় গৃহকর্মীর কাজ নেওয়া তরুণী (২০) এই জোড়া খুনে জড়িত বলে সন্দেহ স্বজনদের। ঘটনার পর থেকে ওই তরুণী পলাতক।
২ ঘণ্টা আগে
জীবন আছে যার, তার মৃত্যু অনিবার্য। মৃত্যুর পর মানুষের শেষ ঠিকানা কবর। মৃতদেহ গোসল করিয়ে কাফন পরানো হয়, জানাজা শেষে তাকে শায়িত করা হয় চিরনিদ্রার ঘরে। এই কবর খোঁড়ার দায়িত্বটি গ্রামের কিছু মানুষ বহু বছর ধরে স্বেচ্ছায়, বিনা পারিশ্রমিকে পালন করে আসছেন, যাঁরা সবার কাছে ‘গোরখোদক’ নামে পরিচিত। আল্লাহর
৩ ঘণ্টা আগে
গাজীপুরের শ্রীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে কারখানার ফটকের সামনে বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকেরা। আন্দোলনের মুখে কারখানা কর্তৃপক্ষ প্রধান ফটক তালাবদ্ধ করে সটকে পড়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে শিল্প ও থানা-পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসেছেন। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের সাইটালিয়া গ্রামে
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যার ঘটনায় গৃহকর্মী আয়েশাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার দুপুরে ঝালকাঠি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন তেজগাঁও বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার আব্দুল্লাহ আল মামুন।
মামুন বলেন, গৃহকর্মী আয়েশাকে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঝালকাঠি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত সোমবার সকালে শাহজাহান রোডের ১৪ তলা একটি আবাসিক ভবনের সপ্তম তলায় লায়লা আফরোজ (৪৮) ও তাঁর মেয়ে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজকে (১৫) ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।

গতকাল তাঁদের মরদেহ নাটোরে দাফন করা হয়েছে। মামলার এজাহারে বাসা থেকে মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, স্বর্ণালংকার, নগদ টাকাসহ মূল্যবান জিনিস খোয়া যাওয়ার কথা বলা হয়েছে।
ভবনের ভেতরের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, হত্যাকাণ্ডের পর এক নারী স্কুলড্রেস পরে কাঁধে ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন। চার দিন আগে আয়েশা পরিচয় দিয়ে ওই বাসায় গৃহকর্মীর কাজ নেওয়া তরুণী (২০) এই জোড়া খুনে জড়িত বলে সন্দেহ স্বজনদের। ঘটনার পর থেকে ওই তরুণী পলাতক।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যার ঘটনায় গৃহকর্মী আয়েশাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার দুপুরে ঝালকাঠি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন তেজগাঁও বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার আব্দুল্লাহ আল মামুন।
মামুন বলেন, গৃহকর্মী আয়েশাকে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঝালকাঠি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত সোমবার সকালে শাহজাহান রোডের ১৪ তলা একটি আবাসিক ভবনের সপ্তম তলায় লায়লা আফরোজ (৪৮) ও তাঁর মেয়ে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজকে (১৫) ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।

গতকাল তাঁদের মরদেহ নাটোরে দাফন করা হয়েছে। মামলার এজাহারে বাসা থেকে মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, স্বর্ণালংকার, নগদ টাকাসহ মূল্যবান জিনিস খোয়া যাওয়ার কথা বলা হয়েছে।
ভবনের ভেতরের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, হত্যাকাণ্ডের পর এক নারী স্কুলড্রেস পরে কাঁধে ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন। চার দিন আগে আয়েশা পরিচয় দিয়ে ওই বাসায় গৃহকর্মীর কাজ নেওয়া তরুণী (২০) এই জোড়া খুনে জড়িত বলে সন্দেহ স্বজনদের। ঘটনার পর থেকে ওই তরুণী পলাতক।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ভোররাতে একজনকে, ভোর হতেই আরও একজনকে একই কায়দায় রাস্তায় পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এরপর রটানো হয়, ছিনতাইকারী সন্দেহে গণপিটুনিতে দুই তরুণের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশও একই সুরে গণপিটুনির তথ্য ছড়িয়ে দেয় গণমাধ্যমে।
০৫ অক্টোবর ২০২৫
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে পুকুরে ডুবে শাহবাব মন্ডল (আড়াই বছর) ও আবু তোহা মন্ডল (৩) নামের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের যাদুরচর নতুন গ্রাম এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
জীবন আছে যার, তার মৃত্যু অনিবার্য। মৃত্যুর পর মানুষের শেষ ঠিকানা কবর। মৃতদেহ গোসল করিয়ে কাফন পরানো হয়, জানাজা শেষে তাকে শায়িত করা হয় চিরনিদ্রার ঘরে। এই কবর খোঁড়ার দায়িত্বটি গ্রামের কিছু মানুষ বহু বছর ধরে স্বেচ্ছায়, বিনা পারিশ্রমিকে পালন করে আসছেন, যাঁরা সবার কাছে ‘গোরখোদক’ নামে পরিচিত। আল্লাহর
৩ ঘণ্টা আগে
গাজীপুরের শ্রীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে কারখানার ফটকের সামনে বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকেরা। আন্দোলনের মুখে কারখানা কর্তৃপক্ষ প্রধান ফটক তালাবদ্ধ করে সটকে পড়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে শিল্প ও থানা-পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসেছেন। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের সাইটালিয়া গ্রামে
৩ ঘণ্টা আগেগাংনী (মেহেরপুর) প্রতিনিধি

জীবন আছে যার, তার মৃত্যু অনিবার্য। মৃত্যুর পর মানুষের শেষ ঠিকানা কবর। মৃতদেহ গোসল করিয়ে কাফন পরানো হয়, জানাজা শেষে তাকে শায়িত করা হয় চিরনিদ্রার ঘরে। এই কবর খোঁড়ার দায়িত্বটি গ্রামের কিছু মানুষ বহু বছর ধরে স্বেচ্ছায়, বিনা পারিশ্রমিকে পালন করে আসছেন, যাঁরা সবার কাছে ‘গোরখোদক’ নামে পরিচিত। আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় তাঁরা করে থাকেন এই কাজ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গোরখোদকেরা কোনো পারিশ্রমিক নেন না। গ্রামের যে কেউ মারা যাক, নিজেদের ব্যস্ততা ফেলে তাঁরা ছুটে আসেন কবর খুঁড়তে। তাঁদের এই মানবিক কাজের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে গ্রামের লোকেরা দোয়া করেন—আল্লাহ যেন তাদের সুস্থ ও ভালো রাখেন।
দেবীপুর গ্রামের বাসিন্দা গোরখোদক মজিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ৫৫ বছর ধরে কবর খুঁড়ছি। যত দিন সুস্থ থাকব, এই কাজ চালিয়ে যাব। আমাদের গ্রাম ছাড়াও অন্য গ্রাম থেকে কেউ ডাকলে সেখানেও যাই। ছোটবেলায় ওস্তাদের কাছে ডালি ধরেই শিখেছি। গরিব মানুষ, মাঠে কাজ করি; কিন্তু কেউ মারা গেলে দ্বিধা করি না—এই কাজ আমার নেশায় পরিণত হয়েছে।’
মজিরুল আরও জানান, এখন তিনি তরুণদেরও এই কাজ শেখাচ্ছেন।

গোরখোদক শাকের আলী বলেন, ‘আমরা নিঃস্বার্থভাবে কাজ করি। কখনো কোনো টাকা নিই না। যেখানেই থাকি, গ্রামের কারও মৃত্যুর সংবাদ শুনলে দ্রুত কবর খুঁড়তে চলে আসি।’
গোরখোদক ফুয়াদ হোসেন বলেন, ‘অন্য গ্রাম থেকে ডাক এলেও আমরা যাই। আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই করি এই কাজ। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’
স্থানীয় বাসিন্দা শাজাহান আলী বলেন, ‘কবর খোঁড়া বড় দায়িত্বের কাজ। গ্রামের এসব মানুষ খবর পেলেই দৌড়ে আসে। আমরা তাদের জন্য দোয়া করি।’
মাওলানা মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘মৃত ব্যক্তির জন্য কবর খোঁড়া নিঃসন্দেহে সওয়াবের কাজ। হাদিসে এসেছে—যাঁরা কবর খোঁড়েন, আল্লাহ তাদের জন্য জান্নাতে ঘর নির্মাণ করবেন।’

জীবন আছে যার, তার মৃত্যু অনিবার্য। মৃত্যুর পর মানুষের শেষ ঠিকানা কবর। মৃতদেহ গোসল করিয়ে কাফন পরানো হয়, জানাজা শেষে তাকে শায়িত করা হয় চিরনিদ্রার ঘরে। এই কবর খোঁড়ার দায়িত্বটি গ্রামের কিছু মানুষ বহু বছর ধরে স্বেচ্ছায়, বিনা পারিশ্রমিকে পালন করে আসছেন, যাঁরা সবার কাছে ‘গোরখোদক’ নামে পরিচিত। আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় তাঁরা করে থাকেন এই কাজ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গোরখোদকেরা কোনো পারিশ্রমিক নেন না। গ্রামের যে কেউ মারা যাক, নিজেদের ব্যস্ততা ফেলে তাঁরা ছুটে আসেন কবর খুঁড়তে। তাঁদের এই মানবিক কাজের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে গ্রামের লোকেরা দোয়া করেন—আল্লাহ যেন তাদের সুস্থ ও ভালো রাখেন।
দেবীপুর গ্রামের বাসিন্দা গোরখোদক মজিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ৫৫ বছর ধরে কবর খুঁড়ছি। যত দিন সুস্থ থাকব, এই কাজ চালিয়ে যাব। আমাদের গ্রাম ছাড়াও অন্য গ্রাম থেকে কেউ ডাকলে সেখানেও যাই। ছোটবেলায় ওস্তাদের কাছে ডালি ধরেই শিখেছি। গরিব মানুষ, মাঠে কাজ করি; কিন্তু কেউ মারা গেলে দ্বিধা করি না—এই কাজ আমার নেশায় পরিণত হয়েছে।’
মজিরুল আরও জানান, এখন তিনি তরুণদেরও এই কাজ শেখাচ্ছেন।

গোরখোদক শাকের আলী বলেন, ‘আমরা নিঃস্বার্থভাবে কাজ করি। কখনো কোনো টাকা নিই না। যেখানেই থাকি, গ্রামের কারও মৃত্যুর সংবাদ শুনলে দ্রুত কবর খুঁড়তে চলে আসি।’
গোরখোদক ফুয়াদ হোসেন বলেন, ‘অন্য গ্রাম থেকে ডাক এলেও আমরা যাই। আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই করি এই কাজ। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’
স্থানীয় বাসিন্দা শাজাহান আলী বলেন, ‘কবর খোঁড়া বড় দায়িত্বের কাজ। গ্রামের এসব মানুষ খবর পেলেই দৌড়ে আসে। আমরা তাদের জন্য দোয়া করি।’
মাওলানা মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘মৃত ব্যক্তির জন্য কবর খোঁড়া নিঃসন্দেহে সওয়াবের কাজ। হাদিসে এসেছে—যাঁরা কবর খোঁড়েন, আল্লাহ তাদের জন্য জান্নাতে ঘর নির্মাণ করবেন।’

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ভোররাতে একজনকে, ভোর হতেই আরও একজনকে একই কায়দায় রাস্তায় পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এরপর রটানো হয়, ছিনতাইকারী সন্দেহে গণপিটুনিতে দুই তরুণের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশও একই সুরে গণপিটুনির তথ্য ছড়িয়ে দেয় গণমাধ্যমে।
০৫ অক্টোবর ২০২৫
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে পুকুরে ডুবে শাহবাব মন্ডল (আড়াই বছর) ও আবু তোহা মন্ডল (৩) নামের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের যাদুরচর নতুন গ্রাম এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
ভবনের ভেতরের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, হত্যাকাণ্ডের পর এক নারী স্কুলড্রেস পরে কাঁধে ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন। চার দিন আগে আয়েশা পরিচয় দিয়ে ওই বাসায় গৃহকর্মীর কাজ নেওয়া তরুণী (২০) এই জোড়া খুনে জড়িত বলে সন্দেহ স্বজনদের। ঘটনার পর থেকে ওই তরুণী পলাতক।
২ ঘণ্টা আগে
গাজীপুরের শ্রীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে কারখানার ফটকের সামনে বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকেরা। আন্দোলনের মুখে কারখানা কর্তৃপক্ষ প্রধান ফটক তালাবদ্ধ করে সটকে পড়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে শিল্প ও থানা-পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসেছেন। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের সাইটালিয়া গ্রামে
৩ ঘণ্টা আগেশ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি

গাজীপুরের শ্রীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে কারখানার ফটকের সামনে বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকেরা। আন্দোলনের মুখে কারখানা কর্তৃপক্ষ প্রধান ফটক তালাবদ্ধ করে সটকে পড়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে শিল্প ও থানা-পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসেছেন। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের সাইটালিয়া গ্রামে ক্যাটেক্স ফ্যাশন ক্লোথিং লিমিটেড কারখানায় এই ঘটনা ঘটে।
কারখানার নারী শ্রমিক মিনারা আক্তার বলেন, ‘অক্টোবর ও নভেম্বর মাসের বেতন পরিশোধ করে নাই। এক মাসের বেতন না পেলে আমাদের চলা খুবই কঠিন হয়। আমাদের নাওয়া-খাওয়া বন্ধ হয়। আর সেখানে কারখানা কর্তৃপক্ষ দুই মাসের বেতনভাতা বকেয়া রেখেছে। আজ সকালে শ্রমিকেরা জড়ো হলে তারা পালিয়ে যায়।’
মিন্টু নামের এক শ্রমিক বলেন, ‘এই কারখানায় আমরা তিন বছর ধরে চাকরি করছি। আমাদের বেতনের বাইরে কোনো সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে না। তবু পেটের দায়ে চাকরি করি। দুই মাসের বেতন বকেয়া। আমাদের তো পেট আছে, সন্তান-সংসার আছে। এক মাস দোকান বাকি পরিশোধ করতে না পারলে পরের মাসে আর দোকানি বাকি দেয় না। আমরা কী অবস্থায় আছি, একবার ভাবুন। বেতন পরিশোধ না করে তারা পালিয়ে গেছে।’

মেহেদী হাসান বলেন, ‘এত দিন ধরে ঋণ করে বলে-কয়ে দোকান থেকে বাকি নিয়ে চলছি। আর পারছি না। এখন দোকান বাকি দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। অক্টোবর মাসের বকেয়া বেতন নিয়ে কমপক্ষে ১০টি তারিখ দিছে। কিন্তু কারখানা কর্তৃপক্ষ বেতন পরিশোধ করেনি। শেষে আজ বেতন পরিশোধের কথা ছিল। কিন্তু তারা কারখানা ফটকে তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে গেছে।’
কারখানার হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. বুলবুল হাসান বলেন, ‘ব্যাংকের সমস্যার কারণে বেতন-ভাতা পরিশোধ করা যাচ্ছে না। আশা করি, আজকের মধ্যে নভেম্বর মাসের বেতন পরিশোধ করতে পারব।’ বিনা নোটিশে কারখানার ফটক কেন তালাবদ্ধ? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমি বলতে পারব না।’
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নাছির আহমদ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

গাজীপুরের শ্রীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে কারখানার ফটকের সামনে বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকেরা। আন্দোলনের মুখে কারখানা কর্তৃপক্ষ প্রধান ফটক তালাবদ্ধ করে সটকে পড়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে শিল্প ও থানা-পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসেছেন। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের সাইটালিয়া গ্রামে ক্যাটেক্স ফ্যাশন ক্লোথিং লিমিটেড কারখানায় এই ঘটনা ঘটে।
কারখানার নারী শ্রমিক মিনারা আক্তার বলেন, ‘অক্টোবর ও নভেম্বর মাসের বেতন পরিশোধ করে নাই। এক মাসের বেতন না পেলে আমাদের চলা খুবই কঠিন হয়। আমাদের নাওয়া-খাওয়া বন্ধ হয়। আর সেখানে কারখানা কর্তৃপক্ষ দুই মাসের বেতনভাতা বকেয়া রেখেছে। আজ সকালে শ্রমিকেরা জড়ো হলে তারা পালিয়ে যায়।’
মিন্টু নামের এক শ্রমিক বলেন, ‘এই কারখানায় আমরা তিন বছর ধরে চাকরি করছি। আমাদের বেতনের বাইরে কোনো সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে না। তবু পেটের দায়ে চাকরি করি। দুই মাসের বেতন বকেয়া। আমাদের তো পেট আছে, সন্তান-সংসার আছে। এক মাস দোকান বাকি পরিশোধ করতে না পারলে পরের মাসে আর দোকানি বাকি দেয় না। আমরা কী অবস্থায় আছি, একবার ভাবুন। বেতন পরিশোধ না করে তারা পালিয়ে গেছে।’

মেহেদী হাসান বলেন, ‘এত দিন ধরে ঋণ করে বলে-কয়ে দোকান থেকে বাকি নিয়ে চলছি। আর পারছি না। এখন দোকান বাকি দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। অক্টোবর মাসের বকেয়া বেতন নিয়ে কমপক্ষে ১০টি তারিখ দিছে। কিন্তু কারখানা কর্তৃপক্ষ বেতন পরিশোধ করেনি। শেষে আজ বেতন পরিশোধের কথা ছিল। কিন্তু তারা কারখানা ফটকে তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে গেছে।’
কারখানার হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. বুলবুল হাসান বলেন, ‘ব্যাংকের সমস্যার কারণে বেতন-ভাতা পরিশোধ করা যাচ্ছে না। আশা করি, আজকের মধ্যে নভেম্বর মাসের বেতন পরিশোধ করতে পারব।’ বিনা নোটিশে কারখানার ফটক কেন তালাবদ্ধ? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমি বলতে পারব না।’
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নাছির আহমদ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ভোররাতে একজনকে, ভোর হতেই আরও একজনকে একই কায়দায় রাস্তায় পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এরপর রটানো হয়, ছিনতাইকারী সন্দেহে গণপিটুনিতে দুই তরুণের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশও একই সুরে গণপিটুনির তথ্য ছড়িয়ে দেয় গণমাধ্যমে।
০৫ অক্টোবর ২০২৫
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে পুকুরে ডুবে শাহবাব মন্ডল (আড়াই বছর) ও আবু তোহা মন্ডল (৩) নামের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের যাদুরচর নতুন গ্রাম এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
ভবনের ভেতরের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, হত্যাকাণ্ডের পর এক নারী স্কুলড্রেস পরে কাঁধে ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন। চার দিন আগে আয়েশা পরিচয় দিয়ে ওই বাসায় গৃহকর্মীর কাজ নেওয়া তরুণী (২০) এই জোড়া খুনে জড়িত বলে সন্দেহ স্বজনদের। ঘটনার পর থেকে ওই তরুণী পলাতক।
২ ঘণ্টা আগে
জীবন আছে যার, তার মৃত্যু অনিবার্য। মৃত্যুর পর মানুষের শেষ ঠিকানা কবর। মৃতদেহ গোসল করিয়ে কাফন পরানো হয়, জানাজা শেষে তাকে শায়িত করা হয় চিরনিদ্রার ঘরে। এই কবর খোঁড়ার দায়িত্বটি গ্রামের কিছু মানুষ বহু বছর ধরে স্বেচ্ছায়, বিনা পারিশ্রমিকে পালন করে আসছেন, যাঁরা সবার কাছে ‘গোরখোদক’ নামে পরিচিত। আল্লাহর
৩ ঘণ্টা আগে