Ajker Patrika

প্রাইভেট কার নিয়ে ওয়ার্কশপে যাওয়া যুবকের লাশ মিলল হানিফ ফ্লাইওভারে

ঢামেক প্রতিবেদক
আপডেট : ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৫: ৪৪
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

নিখোঁজের এক দিন পর রাজধানীর যাত্রাবাড়ী মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারে থেকে সোহেল মিয়া (৩৮) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

আজ শুক্রবার ভোর ৬টার দিকে দোলাইর পাড় হানিফ ফ্লাইওভারের ওপর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে যাত্রাবাড়ী থানার পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ আমির হোসেন বলেন, আজ ভোরে খবর পেয়ে দোলাইর পাড় হানিফ ফ্লাইওভারের ওপরে যাত্রাবাড়ী–গুলিস্তান সড়ক থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়।

তিনি আরও বলেন, সোহেলের স্ত্রী শারমিন সুলতানার মাধ্যমে জানতে পেরেছি, সোহেল প্রাইভেট কারের চালক ছিলেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রাইভেট কার নিয়ে সবুজবাগ বাসাবো এলাকায় একটি ওয়ার্কশপে যান। বিকেল পর্যন্ত বাসায় না ফেরায় স্ত্রী ওয়ার্কশপে যান। ওয়ার্কশপের মালিক জানান, সোহেল গাড়ি রেখে বাসায় চলে গেছে। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে রাত ১১টার দিকে সবুজবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। ওয়ার্কশপের কিছু জায়গায় রক্ত পড়ে থাকতে দেখেছেন তিনি। তাঁর স্ত্রী ওয়ার্কশপের মালিক ও কর্মচারীকে সন্দেহ করছেন। সোহেলের মাথায় ভোঁতা কোনো কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। মাথায় গভীর ক্ষতচিহ্ন রয়েছে।

এসআই আমির হোসেন বলেন, যেহেতু সবুজবাগ থানায় জিডি হয়েছে, সেহেতু মামলা ও তদন্ত সবুজবাগ থানার পুলিশ করবে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গের সামনে সোহেলের শ্যালক মো. কামাল ঢালী বলেন, তাঁদের বাড়ি শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলার আকনকান্দি গ্রামে। সোহেলের বাবা মৃত মোকলেছুর রহমান। বাসাবো কদমতলায় স্ত্রী শারমিন সুলতানা এবং এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন। নিজের প্রাইভেট কার ভাড়ায় চালাতেন।

কামাল আরও বলেন, কয়েক দিন ধরে সোহেল জ্বরে ভুগছিলেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে বাসা থেকে প্রাইভেট কার নিয়ে উত্তর বাসাবো ঝিলপাড় এলাকায় এসএসও অটোমোবাইল ওয়ার্কশপে যান মেরামত করাতে। বিকেল ৪টার দিকে স্ত্রী শারমিন সোহেলকে ওয়ার্কশপে খুঁজতে যান। কিন্তু ওয়ার্কশপ মালিক নাসিরুজ্জামান রুবেল বলেন, সোহেলের শরীর খারাপ ছিল। একটা ডাব খাইয়ে বাসায় পাঠিয়ে দেই। পরে স্ত্রী শারমিন বাসায় এসে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে। কিন্তু কোথাও খুঁজে পায় না সোহেলকে। পরে রাত ১১টার দিকে সবুজবাগ থানায় জিডি করে। রাতে আমরা কয়েকজন মিলে আবার ওই ওয়ার্কশপে যাই। সেখানে কয়েক জায়গায় রক্তের দাগ দেখতে পাই। আমাদের ধারণা, কোনো বিষয় নিয়ে ওয়ার্কশপ মালিক ও কর্মচারীরা মিলে সোহেলকে হত্যা করে লাশ যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভারের ওপর ফেলে রেখে আসে। তবে সোহেলের প্রাইভেট কারটি ওয়ার্কশপেই আছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ডিএনসিসির পদ ছাড়লেন এস্তোনিয়ার নাগরিক আমিনুল ইসলাম

ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল নিয়ে ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা, চ্যালেঞ্জের মুখে বাংলাদেশ

এনআইডির নাম ও জন্মতারিখ সংশোধনের দায়িত্বে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা

কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর অতর্কিত গুলি, নিহত ২৬

পদত্যাগ করব না, আলোচনা করে সমাধান করব: কুয়েট উপাচার্য

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত