Ajker Patrika

৬৪ কেজি সোনা চোরাচালান মামলায় চারজনকে দশ বছরের কারাদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৭ মে ২০২৩, ১৭: ৪৬
৬৪ কেজি সোনা চোরাচালান মামলায় চারজনকে দশ বছরের কারাদণ্ড

ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৬৪ কেজি সোনা আটকের ঘটনায় দায়ের করা চোরাচালান মামলায় চার আসামিকে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার অষ্টম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ও বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক সৈয়দা হাফসা ঝুমা এই রায় দেন। রায়ে অপর পাঁচ আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ফিউচার ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ আল আমিন, সৃষ্টি ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী জালাল আহম্মেদ, কাউসার আহম্মেদ ওরফে বাপ্পী ও জলিল মিয়া প্রকাশ জালাল।

কারাদণ্ডের পাশাপাশি চার আসামির প্রত্যেককে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন আদালত। জরিমানার টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হলে আসামিদের আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে বলে রায়ে বলা হয়।

এই মামলায় আসামি সিঙ্গাপুর প্রবাসী মো. হাশেম ওরফে আবুল হাশেম ও আলমগীর হোসেন ওরফে মো. আজিজুল হক, মো. ফরহাদুল ইসলাম সুমন, জুয়েল রানা ও আবদুল লতিফকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) মো. মাজহারুল হক রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিশাল চোরাচালান মামলায় পাঁচ আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে। চারজনকে সাজা দেওয়া হয়েছে।

সিঙ্গাপুর প্রবাসী আবুল হাশেম, আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ফিউচার ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ আল আমিন, সৃষ্টি ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী জালাল আহম্মেদ, কাউসার আহম্মেদ ওরফে বাপ্পী ও মো. ফরহাদুল ইসলাম সুমন পলাতক রয়েছেন। এর মধ্যে আবুল হাশেম ও ফরহাদুল ইসলামের বিরুদ্ধে জারি থাকা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ফেরত নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁরা গ্রেপ্তার হওয়ার পর অথবা ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করার পর সাজা কার্যকর হবে।

কারাগারে থাকা চার আসামিকে রায়ের সময় ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। রায় শেষে আবার তাঁদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়। খালাস প্রাপ্ত আসামি আলমগীর হোসেন ওরফে আজিজুল হক, জুয়েল রানা ও আব্দুল লতিফকে অন্য কোনো মামলায় প্রয়োজন না হলে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

ঘটনার বিবরণে বলা হয়, ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের সিঙ্গাপুর থেকে ঢাকায় আসা একটি বিমানে আমদানি করা কাঠের ক্যারেট আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সে আটক করে শুল্ক কর্তৃপক্ষ। চারটি কাঠের ক্যারেট তল্লাশি করে তার মধ্যে তৈরি করা বিশেষ কোটরে ৬৪০ পিস সোনার বার পাওয়া যায়। যার তখনকার বাজার মূল্য ছিল ৩২ কোটি টাকা।

আমদানিকারক কোনো ব্যক্তিকে না পেয়ে ঢাকা কাস্টমস হাউসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা প্রিভেনটিভ মো. আকরামুল হক নিটোল ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে পরদিন বিমানবন্দর থানায় মামলা করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, এয়ার ওয়ে বিল মোতাবেক উক্ত কাঠের ক্যারেটের আমদানিকারক ছিল ফিউচার ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস লিমিটেড, ডাই জিএম- ইঞ্জিনিয়ারিং এবং এমএম এইচএসআইএ নামক আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান।

মামলাটি তদন্ত করেন বিমানবন্দর থানার পুলিশ পরিদর্শক নূর মোহাম্মদ। তিনি ২০২০ সালের ৬ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

অভিযোগপত্রে সিঙ্গাপুর প্রবাসী মো. হাশেম ওরফে আবুল হাশেম ও মো. আলমগীর ওরফে মো. আজিজুল হক এবং আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ফিউচার ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ আল আমিন, সৃষ্টি ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী জালাল আহম্মেদ, জলিল মিয়া প্রকাশ জালাল, কাউসার আহম্মেদ ওরফে বাপ্পী, মো. জুয়েল রানা ওরফে সদর, আব্দুল লতিফ ও মো. ফরহাদুল ইসলাম সুমনকে আসামি করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

প্রয়াত মন্ত্রী নাসিমের স্ত্রী, দুই ছেলেসহ ৫ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
প্রয়াত মন্ত্রী নাসিমের স্ত্রী, দুই ছেলেসহ ৫ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

আওয়ামী সরকারের সাবেক মন্ত্রী ও দলটির সভাপতিমণ্ডলীর প্রয়াত সদস্য মো. নাসিমের স্ত্রী লায়লা আরজুমান্দ বানু, তাঁর দুই ছেলেসহ পাঁচজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. সাব্বির ফয়েজ এ নির্দেশ দেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ নিষেধাজ্ঞা দেন বলে জানান দুদকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) তানজির আহমেদ।

অন্য যাঁদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে তাঁরা হলেন নাসিমের ছেলে ও সিরাজগঞ্জ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য তানভির শাকিল জয়, আরেক ছেলে তমাল মনসুর, জয়ের স্ত্রী সাবরিনা সুলতানা চৌধুরী এবং নাসিমের একান্ত সচিব মীর মোশাররফ হোসেন।

দুদকের উপপরিচালক আফরোজা হক খান তাঁদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়েছে, তানভির শাকিল জয় ক্ষমতার অপব্যবহার, নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করে অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। এই সম্পদ তিনি নিজে ও তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দখলে রয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া তাঁরা তাঁদের ব্যাংক হিসাবগুলোর লেনদেন করে অর্থ পাচার করেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগ দুদক অনুসন্ধান করছে।

অনুসন্ধানকালে গোপন সূত্রে জানা যায়, অভিযোগসংশ্লিষ্টরা বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। তাঁরা বিদেশে পালিয়ে গেলে সাক্ষ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করতে বিলম্ব হবে এবং অনুসন্ধান কাজ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ জন্য তাঁদের বিদেশগমনে নিষেধাজ্ঞা প্রয়োজন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিকের ১১৯ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিকের ১১৯ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের মামলা

জ্বালানি তেল খাতে সরকারি মালিকানাধীন স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) ১১৯ কোটি ২৪ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ওই তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের (মানি লন্ডারিং) অভিযোগও আনা হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে এ মামলা করেন।

চট্টগ্রাম নগরের পতেঙ্গার গুপ্তখাল এলাকায় অবস্থিত এসএওসিএল বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) একটি অঙ্গপ্রতিষ্ঠান। মামলায় আসামি করা হয়েছে প্রতিষ্ঠানের তিন কর্মকর্তা ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মো. মোশারফ হোসেন, ব্যবস্থাপক (হিসাব ও নিরীক্ষা) বেলায়েত হোসেন ও উপব্যবস্থাপক (হিসাব ও নিরীক্ষা) আতিকুর রহমানকে।

মামলার বিষয়টি আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) নিশ্চিত করেছেন দুদক চট্টগ্রামের উপপরিচালক সুবেল আহমেদ।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণা ও অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গের মাধ্যমে কোম্পানির বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। কোম্পানির তৎকালীন পরিচালক মঈন উদ্দিন আহমেদের মালিকানাধীন আরেক প্রতিষ্ঠান এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এওসিএল) কাছে এসএওসিএলের পাওনা ছিল ১১৯ কোটি ২৪ লাখ ৮৭ হাজার ৮৪৯ টাকা। মামলায় মঈন উদ্দিন আহমেদের আসামি হওয়ার কথা থাকলেও সম্প্রতি তিনি মারা যাওয়ায় তাঁকে মামলার দায় থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

মামলার এজাহারে থাকা তথ্যমতে, আসামিরা ওই পাওনার টাকা ব্যাংকে জমা না করে হিসাব বইয়ে জমা দেখান। সংশ্লিষ্ট চেকগুলো ব্যাংকে জমা না দিয়ে আদায় দেখানো হয়, আবার পরে ‘চেক প্রত্যাখ্যাত’ দেখিয়ে ফেরত দেওয়া হয়। এতে প্রতিষ্ঠানটির অর্থ অনাদায়ী থেকে যায় বলেও এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিএনপি নেতার নাম থাকায় মামলায় আপত্তি, থানার গেটে কান্না নারীর

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালত চত্বরে আজ রোববার মামলার বাদীপক্ষকে মারধর করা হয়। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া
নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালত চত্বরে আজ রোববার মামলার বাদীপক্ষকে মারধর করা হয়। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

নারায়ণগঞ্জে আদালত এলাকায় বাদীপক্ষের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা দায়েরে থানা-পুলিশের বিরুদ্ধে গড়িমসির অভিযোগ উঠেছে। এজাহারে নগর বিএনপির আহ্বায়ক ও আসামিপক্ষের আইনজীবী সাখাওয়াত হোসেন খানের নাম থাকায় মামলা নিতে রাজি হয়নি পুলিশ। তাঁর নাম বাদ দিয়ে মামলা দায়ের করতে বাদীর ওপর চাপ দেওয়ার কথা জানায় ভুক্তভোগী পরিবার।

এর আগে রোববার একটি মামলার বাদী ইরফান মিয়া (৪২) নামের এক ব্যক্তি আদালতে হাজিরা দিতে গেলে তাঁর ওপর হামলা চালান ওই বিএনপি নেতার জুনিয়র আইনজীবী ও মুহুরি। এতে আহত হন মো. ইরফান মিয়া, তাঁর স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা (৩৮) ও তাঁদের দুই সন্তান। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

রাতেই রাজিয়া সুলতানা বাদী হয়ে আইনজীবী সাখাওয়াত হোসেনসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তবে মামলা করতে গেলে এজাহারে আপত্তি জানায় পুলিশ।

পরে রাত ২টার দিকে ফতুল্লা থানা গেটের সামনে শিশুসন্তানকে নিয়ে বসে কান্নাকাটি করতে থাকেন রাজিয়া সুলতানা। এ সময় তিনি বলতে থাকেন, ‘নারায়ণগঞ্জের এসপি, সার্কেল এসপি, ওসি কেউ আমার মামলা নেয় নাই। এখানে কেউ আসবেন না, এখানে কোনো বিচার নাই।’

জানতে চাইলে রাজিয়া সুলতানা বলেন, ‘ওই মামলা করার পর থেকেই সাখাওয়াত হোসেন খান মামলা তুলে নেওয়ার জন্য আমাদের চাপ দিয়ে আসছিল। এমনকি আমার স্বামীকে কেটে নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ারও হুমকি দেয়। তার কথা না শুনে আদালতে যাওয়ায় তার জুনিয়র ও মুহুরি আমাদের ওপর হামলা চালায়।’

তিনি বলেন, ‘আজকে আমরা মামলা করতে চাইলে পুলিশ মামলা নিচ্ছে না। সাখাওয়াত হোসেন খানের নাম বাদ দিয়ে মামলা দিতে বলে। কিন্তু যার নির্দেশে হামলা হয়েছে, তার নাম কেন বাদ দিব আমরা? পুলিশ স্পষ্টভাবে সাখাওয়াত হোসেন খানকে বাঁচাতে চাচ্ছে। এখন শুনতে পাচ্ছি, আমাদের নামে উল্টো মামলা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।’

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজ (মঙ্গলবার) রাতের মধ্যেই মামলা হবে। একই ঘটনায় দুটি এজাহার দায়ের করা হয়েছে। যার কারণে আমরা যাছাই-বাছাই করছিলাম; আসলে ঘটনা কী? ঘটনার সত্যতা আছে, ঘটনা ঘটছে। মামলা নিয়ে নিব। কে কতটুকু কী করছে, না করছে—মামলা নিলে বাকিটা তদন্তের পর বেরিয়ে আসবে।’

এদিকে ভুক্তভোগীর মামলা না নেওয়ার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) জেলা সভাপতি ধীমান সাহা জুয়েল। তিনি বলেন, ‘এটা ঠিক না। যেই ঘটনা ঘটেছে, তা নিন্দনীয়। এরপর ভুক্তভোগী মামলা করতে গেলে প্রভাবশালীর নাম আছে বিধায় মামলা নেওয়া হবে না—এটা বাজে দৃষ্টান্ত। মামলা অবশ্যই নিতে হবে, এরপর পুলিশ তদন্ত করে সত্য-মিথ্যা বের করবে। কিন্তু প্রভাবশালীদের নাম থাকলে মামলা নেওয়া হবে না, এমন চর্চা থেকে বের হয়ে আসা জরুরি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চাটমোহরে ট্রাকচাপায় অটোভ্যানের চালক নিহত

চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি
দুর্ঘটনাকবলিত ভ্যান। ছবি: আজকের পত্রিকা
দুর্ঘটনাকবলিত ভ্যান। ছবি: আজকের পত্রিকা

পাবনার চাটমোহরে ট্রাকের চাপায় পিষ্ট হয়ে মোহাম্মদ নওশের প্রামাণিক (৬৫) নামের এক অটোভ্যানচালক নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) বেলা আড়াইটার দিকে উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের ভবানীপুর কানখোলা মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নওশের উপজেলার রেলবাজার বালুদিয়ার গ্রামের মৃত নজু প্রামাণিক ছেলে।

এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, আজ মঙ্গলবার দুপুরে নিহত নওশের অটোভ্যান নিয়ে আটঘরিয়া থেকে চাটমোহরে ফিরছিলেন। পথিমধ্যে কানখোলা মোড়ে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক অটোভ্যানটিকে ধাক্কা দেয়। এতে নওশের ট্রাকের পেছনের চাকার নিচে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।

চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুরুল আলম দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে আজকের পত্রিকাকে জানান, ঘটনার পরপরই ট্রাকের চালক পালিয়েছেন। ট্রাকটি পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত