Ajker Patrika

এ যেন এক অচেনা মাওয়ার গল্প

মারুফ কিবরিয়া, মাওয়া থেকে
আপডেট : ২৪ জুন ২০২২, ১৬: ১৪
Thumbnail image

দুপুর ১২টা। মাওয়া ঘাটের চারপাশে কিছু যাত্রীবাহী বাসের সারি। তবে চলাচল বন্ধ। অলস সময় কাটছে পরিবহনশ্রমিকদের। আরেকটু এগিয়ে গিয়ে দেখা মিলল পুরো ঘাটের চেহারা। শিমুলিয়ার কিছু স্থানীয় বাসিন্দার চলাচল। কেউ সেলফি তুলছেন। কেউবা চায়ের চুমুকে জমিয়েছেন আড্ডা। ঘাট থেকে বিশেষ ব্যবস্থা ছাড়া কোনো ফেরি ছেড়ে যাচ্ছে না। পদ্মার ওপাশ থেকেও আসছে না। যাত্রীদের নিত্যদিনের আসা-যাওয়া নেই। শিমুলিয়ার এই দৃশ্য যেন একেবারেই অচেনা।

এমন দৃশ্যের কারণও অবশ্য সবার জানা। স্বপ্নের সেতু পদ্মার উদ্বোধন কেবলই সময়ের ব্যাপার। রাত পোহালেই সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে চালু হবে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। তাই চলাচলে এই সীমাবদ্ধতা।

সেতু উদ্বোধন নিয়ে শিমুলিয়া ঘাটের স্থানীয় মানুষের ব্যাকুলতার শেষ নেই। সময় যেন কাটছে না তাঁদের। যে পদ্মার বুকে বয়ে ফেরিতে পার হতে সময় লাগত ঘণ্টার পর ঘণ্টা। সেখানে সেতুর ওপর দিয়ে যেতে লাগবে খুবই স্বল্প সময়, যা ভাবতেই অনেকে আপ্লুত হচ্ছেন।

শিমুলিয়া ঘাটে ভ্রাম্যমাণ চায়ের দোকানে আড্ডা চলছে তিন যুবকের। তাঁদের মধ্যে মামুন নামের একজন বলেন, ‘এটা আমাদের জন্য পরম ভাগ্য। এই পদ্মা সেতু হবে ভাবতেও পারিনি। প্রধানমন্ত্রী একটা ধন্যবাদ পেতেই পারেন। বাড়িতে যেতে কত কষ্ট হতো। এখন অল্প সময়ে ভোগান্তি ছাড়া যেতে পারব।’ 

এদিকে পদ্মা সেতু উদ্বোধন সামনে রেখে জনসাধারণের চলাচলে সীমাবদ্ধতায় শিমুলিয়ার চিত্র প্রসঙ্গে আলীম নামের এক ভ্রাম্যমাণ দোকানি বলেন, ‘প্রতিদিন এখানে হাজার হাজার মানুষ থাকে। কত বেচাকেনা হয়। আজকে মানুষই নাই।’ 

ঘাটে আসা পারুল নামের এক তরুণী বলেন, ‘আমার বাড়ি পাশেই। গ্রামের বাড়ি মাদারীপুর। কাল তো সেতু চালু হবে। তাই আজকে ছবি তোলার জন্য আসছি। বিকেলের পর নাকি এদিকে আর আসা যাবে না।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত