Ajker Patrika

নিরাপদ সড়ক প্রশ্নে বারবার কেন ফুটওভার ব্রিজের প্রতিশ্রুতি

গোলাম ওয়াদুদ, ঢাকা
আপডেট : ২৮ নভেম্বর ২০২১, ২৩: ৩১
নিরাপদ সড়ক প্রশ্নে বারবার কেন ফুটওভার ব্রিজের প্রতিশ্রুতি

২০১৯ সালের ১৯ মার্চ এবং ২০২১ সালের ২৪ নভেম্বর দুটি আলাদা তারিখ হলেও একটা মিল আছে। দুটি তারিখ বিশেষ হয়ে আছে দুটি মৃত্যু এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে। মজার বিষয় হলো দুটি আন্দোলন থেকেই শিক্ষার্থীরা ঘরে ফিরেছে ফুটওভার ব্রিজ বা পদচারী-সেতু তৈরির প্রতিশ্রুতি শুনে। যেন দুর্ঘটনাস্থলে ফুটওভার ব্রিজ হলেই সড়ক নিরাপদ হয়ে যাবে। 

প্রথম ঘটনার দিকে তাকানো যাক, ২০১৯ সালের ১৯ মার্চ প্রতিদিনের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার জন্য ভোর ৭টার দিকে রাজধানীর প্রগতি সরণিতে বসুন্ধরার গেটে অপেক্ষা করছিলেন আবরার আহমেদ চৌধুরী। তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস আসার আগেই তাঁকে চাপা দেয় সুপ্রভাত পরিবহনের একটি বাস। আবরারকে সেদিন বাসে তুলে দিতে সঙ্গে এসেছিলেন তাঁর বাবা। আবরার পড়তেন ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসে (বিউপি)। এ ঘটনায় গুলশান থানায় একটি মামলা করেন আবরারের বাবা। 

আবরার নিহত হওয়ার পর তাঁর সহপাঠীরা রাস্তা বন্ধ করে এর বিচারের দাবিতে আন্দোলন করে। সেই আন্দোলন প্রগতি সরণি ছাপিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে ছড়িয়ে পড়ে। আন্দোলনের মধ্যেই বাসচালক সিরাজুলকে (২৯) আটক করে পুলিশ। আন্দোলনের দ্বিতীয় দিন ঘটনাস্থলে যান ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে সেদিন তিনি আবরার আহমেদ চৌধুরী নামে সর্বোচ্চ তিন মাসের মধ্যে ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন। 

নাঈম হাসানএর দুই বছর পর রাজধানীর গুলিস্তানে নটর ডেম শিক্ষার্থী নাঈম হাসানকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের গাড়ি ধাক্কা দিলে সেখানেই মারা যায় নাঈম। তাঁর মৃত্যুর বিচারের দাবিতে রাস্তায় নামেন শিক্ষার্থীরা। একে একে সেই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে পুরো রাজধানীতে। এবারও আন্দোলনের মূল দাবি নিরাপদ সড়ক।

এর মধ্যেই গত বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ফজলে নূর তাপস ঘোষণা দেন, যেখানে নাঈমের মৃত্যু হয়েছে সেখানে ‘শহীদ নাঈম’ নামে একটি ফুটওভার ব্রিজ তৈরি করে দেওয়া হবে। 

উভয় প্রতিশ্রুতির পর শিক্ষার্থীরা ঘরে ফিরেছেন। তাঁদের ফিরতে হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকেও এই প্রতিশ্রুতিকে এমনভাবে সামনে হাজির করা হয়েছে, যেন ফুটওভার ব্রিজ করে দেওয়া হলেই সড়ক নিরাপদ হয়ে যাবে। শুধু এ দুই ক্ষেত্রেই নয়, দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রায়ই সড়ক দুর্ঘটনা হচ্ছে। রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের এক জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে গত ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত শুধু রাজধানীতে ১১৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১১৯ জন নিহত হয়েছে।

এর মধ্যে পথচারী ৬২ জন, মোটরসাইকেলচালক ও আরোহী ৩৩ জন এবং অন্যান্য যানবাহনের যাত্রী ও আরোহী ২৪ জন। এই প্রতিটি মৃত্যুতে মানুষ ফুঁসে ওঠেনি। যে দু-একটিতে মানুষ ফুঁসে ওঠে, তাতে ফুটওভার ব্রিজ ও স্পিড ব্রেকার বা গতিরোধক স্থাপনের মতো প্রতিশ্রুতি আসে সমাধান হিসেবে। 

সঙ্গে আরও নানা কথা বলা হয়। এই যেমন ২০১৯ সালে দু-তিন দিনের মধ্যে ফুটওভার ব্রিজ স্থাপনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ডিএনসিসির মেয়র। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেছিলেন, ‘এ ঘটনায় আপনাদের মাঝ থেকে ২-৫ জনকে নিয়ে আমরা একটি কমিটি গঠন করব। প্রয়োজনে আপনাদের সঙ্গে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাব। আপনাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে আলোচনা করব।’ বলেছিলেন, ‘এ ধরনের সড়ক দুর্ঘটনা রোধে বাসের মালিকদের সংযুক্ত করা হবে। এ ছাড়া সড়কে শৃঙ্খলা আনা সম্ভব না। এ কাজটি আমরা খুব দ্রুত করব।’ 

কথিত সেই ফুটওভার ব্রিজের উদ্বোধনও করেছিলেন মেয়র। কিন্তু বাকি কোনো কিছুই আর সামনে আসেনি। সেই কমিটি, বাসমালিকদের সংযুক্ত করে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ বা সড়কে শৃঙ্খলা আনয়ন—কোনোটিই হয়নি। এবারও নাঈমের মৃত্যুর পর প্রায় একই প্রতিশ্রুতি সামনে এসেছে। কিন্তু এই ফুটওভার ব্রিজ বা স্পিড ব্রেকারই কি সড়ককে নিরাপদ করার জন্য যথেষ্ট? 

এ বিষয়ে নিরাপদ সড়ক চাইয়ের (নিসচা) প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘ফুটওভার ব্রিজ নিরাপদ সড়কের জন্য যথেষ্ট নয়। সমস্যা হচ্ছে, তাঁরা শুধু মুখ দিয়ে কথাই বলেন, কাজ করেন না। সিটি করপোরেশনের গাড়িচালকদেরই ঠিক করতে পারলেন না তাঁরা, আবার মানুষকে ঠিক করবেন কীভাবে। নেতারা সারা জীবনই খালি মুখ দিয়ে মানুষকে সান্ত্বনা দিয়ে যান।’ তিনি বলেন, ‘আর দেখুন সিটি করপোরেশনের গাড়ি রাতে চলার কথা। কিন্তু তারা সব সময় চালায়। তারা একেকজন পাওয়ার দেখায় যে, তারা মেয়রের লোক।’ 

আবার বহু গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ফুটওভার ব্রিজ থাকলেও পথচারীদের সেগুলো ব্যবহার করতে দেখা যায় কম। অনেক সময় ফুটওভার ব্রিজ থাকলেও ঝুঁকি নিয়ে পথচারীদের রাস্তা পার হতে দেখা যায়। রাস্তা পারাপারকে ঝুঁকিমুক্ত রাখতে ফুটওভার ব্রিজকে সমাধান হিসেবে দেখতে নারাজ ইলিয়াস কাঞ্চন। তিনি বলেন, ‘ফুটওভার ব্রিজগুলো মানুষের জন্য খুব কষ্টদায়ক। আমি সব সময় সাজেস্ট করি আন্ডারপাস করার জন্য। আন্ডারপাস করলে মানুষের কষ্ট অর্ধেক হয়ে যায়। ফুটওভার ব্রিজ করতে নানা দিক ভাবতে হয়, বাস, ট্রাক ইত্যাদি, ট্রাকের ওপর মালপত্র নেয়। এগুলোর কথা চিন্তা করে এগুলো উঁচু করা হয়। তাই মানুষের উঠতে কষ্ট হয়। আর যদি আপনি আন্ডারগ্রাউন্ড করেন, একটা মানুষের যে উচ্চতা, তার থেকে ২ ফুট উঁচু রাখলেই চলে, যা মানুষের কষ্ট অর্ধেকে নামিয়ে আনতে পারে।’ 

২০১৯ সালের ১৯ মার্চ প্রগতি সারণিতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের শিক্ষার্থী আবরার আহমেদ চৌধুরীদুর্ঘটনা ঘটলেই যে সমাধান হিসেবে ফুটওভার ব্রিজের কথা সামনে আসে—এ নিয়েও সমালোচনা করেন কাঞ্চন। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘এটা তাঁদের পলিসি। শহরে দুর্ঘটনা ঘটলে বলে ফুটওভার ব্রিজ; আর গ্রামে হলে স্পিড ব্রেকার। এগুলো তাৎক্ষণিকভাবে মানুষকে শান্ত করার জন্য তারা বলে। যখন শান্ত হয়ে যায়, তখন আর এসবের দরকার পড়ে না। আবার যখন কেউ মরবে, তখন আবার উত্তপ্ত হয়ে যাবে। জনগণ তো বারবার একত্র হতে পারবে না। মেয়র সাহেবদের সময় পাঁচ বছর। যদি দুবার এই ঘটনা ঘটে, তাহলে তো দুবার ফুটওভার ব্রিজের কথা বলে সময় পার করে দিতে পারেন।’ 

নিরাপদ সড়ক নিয়ে দীর্ঘদিন আন্দোলন করে যাওয়া কর্মীরাও মনে করেন এই প্রতিশ্রুতিগুলো আদতে মানুষকে তাৎক্ষণিকভাবে শান্ত করার জন্যই করা হয়। সড়ক নিরাপদ করার কোনো উদ্যোগ প্রশাসনের নেই। এ ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের ওপরও কিছুটা দায় চাপাতে চান তাঁরা। তাঁদের ভাষ্য, মানুষ সবকিছুতেই তাৎক্ষণিক ফল চায়। তাঁরা ভাবেন, এক দিন ধর্মঘট করলেই, অবরোধ করলেই সমাধান আসবে। প্রশাসন এই সুযোগটিই নেয়। যেনতেনভাবে একটা সমাধান হাজির করে তারা। অথচ জনগণ এক হয়ে দীর্ঘস্থায়ী দুর্ভোগ মেনে নিতে পারলে সমস্যা দূর হতো। না হলে বারবার ফুটওভার ব্রিজের মতো সমাধানই আসবে।  

২০১৮ সালে রাজধানীতে শুরু হওয়া নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েআবরার বা নাঈমের পরিবার কি এতে তাদের সন্তান হারানোর বেদনা ভুলে থাকতে পারছেন? ভুলে থাকতে পারছে রাজীব ও দিয়ার পরিবার? সেটা অবশ্য ২০১৮ সালের ঘটনা। ২০১৮ সালে ২৯ জুলাই রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে দ্রুতগতির দুই বাসের সংঘর্ষে রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী রাজীব ও দিয়া নিহত হয় এবং ১০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়। এই সড়ক দুর্ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নিহত দুই কলেজ শিক্ষার্থীর সহপাঠীদের মাধ্যমে শুরু হওয়া বিক্ষোভ পরে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে এবং নৌমন্ত্রীর পদত্যাগসহ ৯ দফা দাবিতে শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নামে। সেই আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীরা যে সংকট পেয়েছিল, সেই একই সংকট ২০২১ সালের শেষে এসেও বিদ্যমান। এখনো প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের গাড়িতে লাইসেন্সবিহীন চালক থাকে। এখনো বেপরোয়া যানবাহনের গতির প্রতিযোগিতায় জিম্মি সাধারণ যাত্রী ও পথচারী। নিরাপদ সড়কের যে প্রতিশ্রুতি ২০১৮ সালে সরকার দিয়েছিল, তা এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। বাস্তবায়ন হলে নাঈমকে চাপা দেওয়া গাড়িটি চালকই চালাতেন এবং তাঁর লাইসেন্সও থাকত। বাস্তবায়ন হলে ফিটনেসবিহীন গাড়ি এখনো রাস্তায় চলত না। 

এ বিষয়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. শামসুল হক বলেন, ‘আগে সিস্টেমটাকে সুশৃঙ্খল করতে হবে। আমাদের এখানে লিজ সিস্টেমে গাড়ি চলে, ব্যবসাটা করে চালক; মালিক এখানে নাই বললেই চলে। যখন চালক আয়ের চাপে গাড়ি চালান, তখন তিনি রাস্তার দিকে তাকাবেন নাকি যাত্রীর দিকে তাকাবেন? ওটাকে ঠিক না করে আমি যতই ফুটওভার ব্রিজ বানাই না কেন, তা হচ্ছে আনাড়িপনা।’ 

এসব প্রতিশ্রুতি সম্পর্কে ড. শামসুল হক বলেন, ‘আমরা যত ধরনের প্রতিশ্রুতি দেখি, তা উপসর্গ ধরে; কিন্তু রিফর্ম দরকার, এখানে বিনিয়োগ দরকার। পরিবহনে রিফর্ম দরকার। কেন চালক ব্যবসায় থাকবেন, তাঁকে তো সব সময় রাস্তার দিকে নজর রাখতে হবে। তাঁর তো একজন বেতনভোগী কর্মচারী হওয়ার কথা। কেন এটা হচ্ছে না, তার উত্তর জেনে যদি সাজানো যায় হাতিরঝিলের মতো; অবশ্য সেখানে কিছু সমস্যা থাকলেও বিশৃঙ্খলা হয় না।’ তিনি বলেন, ‘পরিকল্পনাটা আমরা সুন্দর করলাম, সেলফ এনফোর্স হলো। এতে পুলিশ অত্যন্ত বেজার হয়ে গেছে। তার একটা ইনকাম ছিল, তা সেখানে নেই।’ 

বুয়েটের এই অধ্যাপক বলেন, ‘আমরা প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছি, তাই রাস্তায় তারা প্রতিযোগিতা করছে। প্রতিযোগিতাবিহীন গণপরিবহনের প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি ওপরমহলের লোক যদি না বোঝে, তাহলে সম্ভব না। বিশেষ করে মেয়র হচ্ছেন নগরপতি। তাঁর সব বোঝার দরকার নাই, তাঁর তো কিছু থিংক ট্যাংক থাকার কথা, যা দিয়ে তিনি দৃশ্যমান উন্নতি দেখাতে পারবেন।’ 

নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীরা বারবার রাস্তায় নেমে এলেও কিছু প্রতিশ্রুতি সম্বল করেই তাদের বাড়ি ফিরতে হচ্ছেসবচেয়ে সরল জিনিস হলো অবকাঠামোর উন্নয়ন। এই অবকাঠামো উন্নয়নের মধ্যে কিছু দৃশ্যমান উন্নয়নের দিকেই অধিকাংশের নজর রয়েছে উল্লেখ করে ড. শামসুল হক বলেন, ‘আন্দোলনকে ঠেকা দেওয়ার জন্য ফুটওভার ব্রিজ সামনে আসে। আমরা মুভমেন্ট করছি, আমাদের বিবেকের ভিত নড়ে গেছে, তোমরা দেখিয়ে দিয়েছ—এসবই বোঝানো হয়। (সে সময়) আমার সবচেয়ে বেশি আগ্রহটা ছিল পুলিশের বিষয়ে। এর আগে যে বড় মুভমেন্ট হলো, তখন পুলিশের আইজিপি বলল, তাঁরা একটা মডেল করিডর করছেন, নির্দিষ্ট বাসের জায়গায় চিহ্ন দেওয়া হবে, সেখানেই দাঁড়াতে হবে, পুলিশের নিজস্ব লোক থাকবে। ধাপে ধাপে এগিয়ে নেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু তা হয়নি।’ 

 এ ক্ষেত্রে দুর্নীতির প্রসঙ্গটিও জড়িত একটু ঘুরপথে। বিষয়টি সামনে আনলেন পুরকৌশল বিভাগের এই অধ্যাপকই। তিনি বলেন, ‘বড় সমস্যাটা হচ্ছে, আমাদের পরিকল্পনায় অভাব আছে অনেক; কিন্তু কেউ বলছে না—এটা ঠিক করা যাবে না। সবাই বলছে ঠিক হবে। এখানেই সমস্যা। তখন আপনারা-আমরা কথা বললে সরকারের উচ্চপর্যায়ের লোকেরা মনে করে—“এরা উন্নয়ন চায় না, আমাদের লোকেরা তো সব ঠিকই করবে বলছে। ” আমাদের বিশৃঙ্খল অবস্থা রেখে যারা উন্নয়নের কথা বলে তারা এনজিওদের মতো। একসময় আমাদের অপুষ্টি দেখিয়ে বিদেশ থেকে লোন আনত তারা। যখন পুষ্টি সমস্যার সমাধান হলো, তখন তাদের ঝামেলা হয়ে গেল। সুতরাং যানজট বিশৃঙ্খলা যদি চলে যায়, তাহলে বিনিয়োগ তো আসবে না। কেন আমি হাতির ঝিলের মতো করব? পুলিশও এটা চাইবে না, যারা নেতা আছে, তাঁরাও এমনটা চাইবেন না। কারণ, চাঁদা তুলতে পারবে না।’ 

আরও পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হঠাৎ পদত্যাগ করলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার

‘মোন্থা’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে, আঘাত হানবে কোথায়

দুশ্চিন্তা, হতাশা দূর হবে হাদিসে বর্ণিত এই চার দোয়ায়

গায়ে থুতু পড়া নিয়ে ড্যাফোডিল ও সিটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের রাতভর সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ

নির্বাচনে যেতে চায় জাপার একাংশ, কৌশল তুলে ধরবে জাতির সামনে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নার্সকে ক্লিনিকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ, চিকিৎসক কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
রাজশাহীতে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ। ছবি: সংগৃহীত
রাজশাহীতে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ। ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহীতে বিয়ের আশ্বাসে নার্সকে (২৫) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গতকাল রোববার ওই চিকিৎসককে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। এর আগে তাঁকে নগরীর লক্ষ্মীপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

অভিযুক্ত চিকিৎসকের নাম আহসান হাবিব (২৯)। তিনি লক্ষ্মীপুর এলাকার আল-আরাফাহ ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের আবাসিক চিকিৎসক। তাঁর বাড়ি নওগাঁ জেলায়।

গত ৮ সেপ্টেম্বর রাতে ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। পরে ২৩ সেপ্টেম্বর নগরীর রাজপাড়া থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী।

জানা যায়, নগরীর অন্য একটি বেসরকারি ক্লিনিকের নার্স পদে চাকরি করেন ভুক্তভোগী। ঘটনার দিন বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ভুক্তভোগীকে চিকিৎসক আহসান হাবিব নিজের চেম্বারে ডেকে এনে ধর্ষণ করেন।

পরে ভুক্তভোগী রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসা ও শারীরিক পরীক্ষা শেষে তিনি মামলা করেন।

জানতে চাইলে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানি না। মামলায় ঘটনাস্থল হিসেবে আমাদের ক্লিনিকের নাম আছে বলে জেনেছি। এরপর সঙ্গে সঙ্গেই আহসান হাবিবকে ক্লিনিক থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।’

এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রাজপাড়া থানার পরিদর্শক আব্দুল আলিম জানান, ঘটনার পর ভুক্তভোগী নার্স রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসা ও শারীরিক পরীক্ষা শেষে তিনি মামলা করেন।

তিনি আরও জানান, মামলা হওয়ার পর গতকাল রোববার আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদিন বিকেলেই তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলাটির তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হঠাৎ পদত্যাগ করলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার

‘মোন্থা’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে, আঘাত হানবে কোথায়

দুশ্চিন্তা, হতাশা দূর হবে হাদিসে বর্ণিত এই চার দোয়ায়

গায়ে থুতু পড়া নিয়ে ড্যাফোডিল ও সিটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের রাতভর সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ

নির্বাচনে যেতে চায় জাপার একাংশ, কৌশল তুলে ধরবে জাতির সামনে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ও পাঁচ বছরের শিশু ধর্ষণের দুই মামলায় তিনজনের যাবজ্জীবন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইলে ১২ বছরের এক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীকে ধর্ষণের দায়ে দুই আসামিকে ও রামপুরায় পাঁচ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের দায়ে একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩-এর বিচারক মো. গোলাম কবীর পৃথক দুই মামলায় এ রায় দেন।

বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীকে ধর্ষণের দায়ে দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন ঘটনাস্থলের বাড়ির ব্যবস্থাপক আব্দুল গাফফার ও তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু মো. বাচ্চু। রাজধানীর রামপুরায় পাঁচ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের দায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত হলেন বাচ্চু মিয়া হাওলাদার।

উভয় মামলায় প্রত্যেক আসামিকে দণ্ডের পাশাপাশি এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা পরিশোধে ব্যর্থ হলে প্রত্যেককে অনাদায়ে আরও ছয় মাস করে কারাভোগ করতে হবে বলে রায়ে বলা হয়েছে।

ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী রাশেদুল ইসলাম দুটি মামলার রায়ের বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন।

বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীর মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০২০ সালের ১৬ অক্টোবর ওই বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীর মা-বাবা কর্মস্থলে যান। বেলা ৩টার দিকে আসামিরা যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইলের হাশেম রোডের বাসায় ১২ বছরের এক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীকে ধর্ষণ করেন। ঘটনার বিষয়ে কাউকে কিছু বললে তাঁরা তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেন।

পরে একই বছরের ৩০ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭টার দিকে আব্দুল গাফফার তাকে ডেকে নিয়ে তার সঙ্গে যেতে বলেন। তখন ভুক্তভোগী তাঁর সঙ্গে না গিয়ে বিষয়টি তার মাকে জানায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা ১ নভেম্বর যাত্রাবাড়ী থানায় দুজনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে দুজনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের পরিদর্শক তাসলিমা আক্তার। ২০২১ সালের ১৮ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। মামলার বিচার চলাকালে ১৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন ট্রাইব্যুনাল।

রায়ের সময় আসামি বাচ্চুকে কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। রায় শেষে তাঁকে সাজা পরোয়ানাসহ কারাগারে ফেরত পাঠানো হয়। অপর আসামি গাফফার পলাতক থাকায় তাঁর বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

অপর দিকে শিশু ধর্ষণ মামলার বিবরণে জানা যায়, ওই শিশুর মা রামপুরা টিভি সেন্টার রোডে একটি গ্যারেজে রান্না করতেন। ২০১৯ সালের ২১ এপ্রিল বেলা ২টার দিকে বাচ্চু মিয়া হাওলাদার শিশুকে দোকান থেকে ঠান্ডা পানি এনে দিতে বলেন। শিশুটি তাঁর কাছে গেলে বাচ্চু মিয়া হাওলাদার তাকে রুমে নিয়ে ধর্ষণ করেন। মেয়ের ফিরে আসতে দেরি হওয়ায় তার মা তাকে খুঁজতে যান। সেখানে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি দেখতে পান তিনি। পরে মেয়েটি মাকে সব খুলে বলে। এ ঘটনায় শিশুটির মা ওই দিনই রামপুরা থানায় মামলা করেন।

মামলাটি তদন্ত করে ওই বছরের ৩১ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন রামপুরা থানার উপপরিদর্শক এস এম মুকুল মিয়া। ১৬ নভেম্বর আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়। মামলার বিচার চলাকালে ট্রাইব্যুনাল ১৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্য নেন।

আসামি বাচ্চু মিয়া হাওলাদারকে রায়ের সময় কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। রায় শেষে তাঁকে সাজা পরোয়ানাসহ কারাগারে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হঠাৎ পদত্যাগ করলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার

‘মোন্থা’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে, আঘাত হানবে কোথায়

দুশ্চিন্তা, হতাশা দূর হবে হাদিসে বর্ণিত এই চার দোয়ায়

গায়ে থুতু পড়া নিয়ে ড্যাফোডিল ও সিটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের রাতভর সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ

নির্বাচনে যেতে চায় জাপার একাংশ, কৌশল তুলে ধরবে জাতির সামনে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ইতালিপ্রবাসী স্ত্রীকে ভিডিও কলে রেখে যুবকের আত্মহত্যা

বালিয়াডাঙ্গী (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি 
শামীম আকতার। ছবি: সংগৃহীত
শামীম আকতার। ছবি: সংগৃহীত

ইতালিপ্রবাসী স্ত্রীকে ভিডিও কলে রেখে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন শামীম আকতার (৪০) নামের এক যুবক। আজ সোমবার উপজেলার বড়বাড়ী ইউনিয়নের কাশিডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

শামীম আকতার ওই গ্রামের পজির উদ্দীনের ছেলে। তিনি স্থানীয় নাট্যমঞ্চে অভিনয়ের কারণে এলাকায় নাট্যকর্মী হিসেবে পরিচিত।

শামীমের ভাই জাপান জানান, ইতালি থেকে ভাবি মোবাইলে জানান যে শামীম ঘরের ভেতর গলায় ফাঁস দেওয়ার চেষ্টা করছে। বাজার থেকে ছুটে আসার আগেই মারা যায় শামীম। দরজা ও জানালার গ্রিল বন্ধ ছিল। পরে দরজা ভেঙে ঘরের ভেতর ঢুকে দেখি ঝুলন্ত অবস্থায় আছে শামীম।

স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দুই মাস আগে ৩০ লাখ টাকা খরচ করে ইতালিতে যাওয়ার চেষ্টা করেন শামীম ও তাঁর স্ত্রী মুক্তা আক্তার। ভিসা জটিলতার কারণে স্ত্রী চলে গেলেও স্বামী আটকে যান। চেষ্টা করছিলেন ভিসা জটিলতা কাটিয়ে স্ত্রীর কাছে যাওয়ার।

এ ছাড়া ইতালিতে মুক্তা আক্তার কাজে যোগ দিতে পারেননি। তাঁর ভরণপোষণের জন্য প্রতি মাসে ৭০ হাজার টাকা পাঠাতে হতো। টাকার জন্য খুব চাপে ছিলেন শামীম।

বালিয়াডাঙ্গী টাইগার নাট্যগোষ্ঠীর সদস্য আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘শামীম সচেতন ব্যক্তি ছিলেন। তাঁর অভিনয় দেখে আমরা অনুপ্রাণিত হই। সেই শামীম এমন অঘটন ঘটাবেন। আমরা ভাবতে পারি না। তাঁর মৃত্যুতে সবাই শোকাহত।’

এ বিষয়ে বালিয়াডাঙ্গী থানার তদন্ত কর্মকর্তা দিবাকর অধিকারী জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদনের কাজ করছে। পরিবারের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলার পর এ বিষয়ে বলা যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হঠাৎ পদত্যাগ করলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার

‘মোন্থা’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে, আঘাত হানবে কোথায়

দুশ্চিন্তা, হতাশা দূর হবে হাদিসে বর্ণিত এই চার দোয়ায়

গায়ে থুতু পড়া নিয়ে ড্যাফোডিল ও সিটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের রাতভর সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ

নির্বাচনে যেতে চায় জাপার একাংশ, কৌশল তুলে ধরবে জাতির সামনে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাজধানীতে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের ৮ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
রাজধানীতে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের ৮ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার
প্রতীকী ছবি

রাজধানীতে ঝটিকা মিছিলে অংশ নেওয়ার অভিযোগে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের আট নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গত রবি সন্ধ্যা থেকে গতকাল সোমবার পর্যন্ত পৃথক অভিযানে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গতকাল এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।

গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন ফেনীর দাগনভূঞা থানার আলিপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক একরাম হোসেন (২৫), দাগনভূঞা উপজেলা ছাত্রলীগের তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক আদনান পিপুল (২৫), তেজগাঁও কলেজ ছাত্রলীগের সদস্য মো. আসিবুল হক অর্ণব (২৫), দাগনভূঞার পূর্ব চন্দ্রপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সজিব রহিম পলক (২৫), ইকবাল মেমোরিয়াল কলেজ ছাত্রলীগের সদস্য সাকের আলম (২৪), চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের সদস্য মো. জহুরুল ইসলাম (৪৩), যাত্রাবাড়ী ৬৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মোকাররম হোসেন (৪৮) এবং ওয়ারী থানা ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াসমিন রহমান (৪৮)।

ডিবি সূত্রে জানা যায়, রোববার সন্ধ্যায় ডিবি উত্তরা বিভাগের একটি দল মোহাম্মদপুরের কাদেরাবাদ হাউজিং এলাকা থেকে একরাম, আদনান, অর্ণব, সজিব ও সাকেরকে গ্রেপ্তার করে। একই দিন বিকেলে ডিবি রমনা বিভাগ গাবতলী এলাকা থেকে জহুরুল ইসলামকে এবং রাতে ডিবি মতিঝিল বিভাগ যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে মোকাররম হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। বিকেলে টিকাটুলির কে এম দাস লেন এলাকা থেকে ইয়াসমিন রহমানকে গ্রেপ্তার করে ডিবি লালবাগ বিভাগের কোতোয়ালি জোনাল টিম।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা স্বীকার করেছেন যে তাঁরা কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের ব্যানারে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মিছিলসহ সংঘটিত কার্যক্রমে অংশ নিয়েছেন।

ডিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হঠাৎ পদত্যাগ করলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার

‘মোন্থা’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে, আঘাত হানবে কোথায়

দুশ্চিন্তা, হতাশা দূর হবে হাদিসে বর্ণিত এই চার দোয়ায়

গায়ে থুতু পড়া নিয়ে ড্যাফোডিল ও সিটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের রাতভর সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ

নির্বাচনে যেতে চায় জাপার একাংশ, কৌশল তুলে ধরবে জাতির সামনে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত