Ajker Patrika

প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটে বিশ্ব ডিম দিবস পালন

‘অধিক ডিম উৎপাদনশীল মুরগির জাত উদ্ভাবন করতে হবে’

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
বিশ্ব ডিম দিবসে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট র‍্যালি আয়োজন করে। ছবি: বিজ্ঞপ্তি
বিশ্ব ডিম দিবসে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট র‍্যালি আয়োজন করে। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটে (বিএলআরআই) বর্ণাঢ্য আয়োজনে পালিত হয়েছে বিশ্ব ডিম দিবস ২০২৫। ইনস্টিটিউটের পোলট্রি রিসার্চ সেন্টারের উদ্যোগে এবং ‘পোলট্রি গবেষণা ও উন্নয়ন জোরদারকরণ প্রকল্পের’ অর্থায়নে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, গবেষক ও কর্মকর্তারা অংশ নেন।

দিবসটিতে শুক্রবার (১০ অক্টোবর) বেলা ৩টা ৩০ মিনিটে বিএলআরআই প্রাঙ্গণ থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‍্যালি বের করা হয়। মহাপরিচালক ড. শাকিলা ফারুকের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত র‍্যালিতে ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর এবং বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। র‍্যালি শেষে দুস্থ ও পথচারীদের মধ্যে ডিম বিতরণ করা হয়।

পরে বিকেল ৪টার দিকে বিএলআরআই ভবনের সম্মেলনকক্ষে সেমিনার ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএলআরআইয়ের মহাপরিচালক ড. শাকিলা ফারুক। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের আওতাধীন বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানার উপপরিচালক বেগম মানছুরা হাছিন এবং আলোচক ছিলেন সাবেক মহাপরিচালক ও কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ড. নাথু রাম সরকার। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও পোলট্রি রিসার্চ সেন্টারের দপ্তরপ্রধান ড. মো. সাজেদুল করিম সরকার।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বিএলআরআইয়ের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও ডেইরি রিসার্চ সেন্টারের দপ্তর প্রধান ড. মো. রাকিবুল হাসান। এরপর ‘Nutritional Properties of Eggs for Building a Healthy Nation’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড. মো. সাজেদুল করিম সরকার। তিনি ডিমের পুষ্টিগুণ, স্বাস্থ্য উপকারিতা এবং বাংলাদেশে পোলট্রিশিল্পের অগ্রগতি তুলে ধরেন।

বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের র‍্যালি শেষে ডিম বিতরণ করা হয়। ছবি: বিজ্ঞপ্তি
বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের র‍্যালি শেষে ডিম বিতরণ করা হয়। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

বিশেষজ্ঞ আলোচনায় ড. নাথু রাম সরকার বলেন, ‘ডিম দিবস পালনের উদ্দেশ্য দুটি। একটি হলো ডিমের উপকারিতা সম্পর্কে সবাইকে জানানো, আর দ্বিতীয় হলো ডিম উৎপাদকদের উৎসাহিত করা, সরকারি বিভিন্ন সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি করা। বিগত বছরগুলোতে ডিমের উৎপাদন উল্লেখযোগ্য হারে বাড়লেও আমাদের ভবিষ্যৎ চাহিদা পূরণে ডিমের উৎপাদন আরও বাড়াতে হবে। এ জন্য ডিমের উৎপাদন খরচ কমানোর লক্ষ্যে পোলট্রি ফিড তৈরির বিকল্প উৎস খুঁজতে হবে; পাশাপাশি গবেষণার মাধ্যমে দেশীয় আবহাওয়া উপযোগী অধিক ডিম উৎপাদনশীল মুরগির জাত উদ্ভাবন করতে হবে।’

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বেগম মানছুরা হাছিন বলেন, ‘মুরগির শরীরে থাকা সব পুষ্টি উপাদান ডিমের মধ্যে আসে বলে পোলট্রির ফিড প্রিপারেশনের ওপরই ডিমের পুষ্টি নির্ভর করে। তাই এ বিষয়ে আমাদের গুরুত্ব দিতে হবে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরও পোলট্রির ফিড কস্টিং কমানোর লক্ষ্যে এবং দেশে পোলট্রি খাদ্যের অন্যতম উপাদান ভুট্টার চাষ বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে।’

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. শাকিলা ফারুক বলেন, ‘মেধাবী ও বুদ্ধিদীপ্ত জাতি গঠনে প্রাণিজ আমিষ, তথা ডিমের বিকল্প নেই। প্রোটিনের অন্যান্য উৎসের সঙ্গে তুলনামূলক বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ডিম হলো প্রোটিন ও পুষ্টির সাশ্রয়ী উৎস। ডিমে এলডিএল অনেক কম থাকে এবং এইচডিএল বেশি থাকে বলে ডিমের স্বাস্থ্যঝুঁকিও অনেক কম। ডিম নিয়ে অনেক ভ্রান্ত ধারণা আছে, যা আসলে অমূলক। আমাদের উচিত এসব অপপ্রচারকে আমলে না নিয়ে ডিমের পুষ্টিগুণ বিচার করে দৈনিক অন্তত একটি ডিম খাওয়া।’

প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি ও আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও বিএলআরআই আঞ্চলিক কেন্দ্র, রাজশাহীর স্টেশন ইনচার্জ ড. মোহাম্মদ আব্দুর রশিদ।

এ ছাড়া ডিম দিবস উপলক্ষে বিকেলে সাভারের গেরুয়ায় অবস্থিত মাদ্রাসা ও এতিমখানার সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মধ্যেও ডিম বিতরণ করা হয়।

ডিমের পুষ্টিগুণ ও গুরুত্ব সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল এগ কমিশন (আইইসি) ১৯৯৬ সালে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় প্রথম ‘বিশ্ব ডিম দিবস’ পালনের আয়োজন করে, যা পরবর্তী সময়ে প্রতিবছর অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় শুক্রবার পালিত হয়ে আসছে। বিশ্বের অপরাপর দেশের মতো বাংলাদেশ তথা বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটও দিবসটি পালন করে আসছে। এ বছর ডিম দিবসের প্রতিপাদ্য হলো, ‘ডিমে আছে প্রোটিন, খেতে হবে প্রতিদিন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বাগেরহাটে স্বেচ্ছাশ্রমে জেলখানা পুকুরের কচুরিপানা পরিষ্কার

বাগেরহাট প্রতিনিধি
স্বেচ্ছাশ্রমে জেলখানা পুকুরের কচুরিপানা পরিষ্কার করছেন রেড ক্রিসেন্ট সদস্যরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
স্বেচ্ছাশ্রমে জেলখানা পুকুরের কচুরিপানা পরিষ্কার করছেন রেড ক্রিসেন্ট সদস্যরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাগেরহাট শহরের প্রাণকেন্দ্রে পুরোনো জেলখানা পুকুরে থাকা কচুরিপানা স্বেচ্ছাশ্রমে পরিষ্কার করছেন রেড ক্রিসেন্ট সদস্যরা। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক গোলাম মো. বাতেন। এ সময় বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি বাগেরহাট ইউনিটের সহসভাপতি অধ্যাপক মোস্তাহিদুল আলম রবি, সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান টুটুলসহ রেড ক্রিসেন্ট সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বাগেরহাট শহরের প্রাণকেন্দ্রের পুকুরটি শহরের জন্য নানা কারণে গুরুত্বপূর্ণ। পুকুরের পূর্ব পাশে পুরোনো শিল্পকলা, পশ্চিমে পুরোনো জেলখানা জামে মসজিদ, দক্ষিণে স্বাধীনতা উদ্যান এবং উত্তরে শহীদ মিনার। তিন পাশে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক রয়েছে।

ছয় বছরের বেশি সময় ধরে পুকুরটি কচুরিপানায় পরিপূর্ণ। অথচ একসময় জেলখানা মসজিদে নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিরা এবং আশপাশের হোটেলগুলোয় এই পুকুরের স্বচ্ছ পানি ব্যবহার করা হতো। দীর্ঘদিন পর হলেও রেড ক্রিসেন্ট সদস্যদের এমন উদ্যোগে খুশি স্থানীয় বাসিন্দারা।

স্থানীয় বাসিন্দা শুকুর আলী বলেন, ‘পুকুরটি আমাদের জন্য খুব প্রয়োজন। এই পুকুর থেকেই আমরা নিত্যপ্রয়োজনীয় পানির চাহিদা পূরণ করি। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে পানির সমস্যা থাকলেও সমাধানে কেউ এগিয়ে আসেনি। রেড ক্রিসেন্ট সদস্যরা স্বেচ্ছাশ্রমে কচুরিপানা পরিষ্কারের যে উদ্যোগ নিয়েছেন, এ জন্য আমরা খুবই আনন্দিত।’

বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি বাগেরহাট ইউনিটের সহসভাপতি অধ্যাপক মোস্তাহিদুল আলম রবি বলেন, ‘সকাল থেকে রেড ক্রিসেন্টের শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক কচুরিপানা পরিষ্কার করছেন। ধারণা করছি, বিকেল নাগাদ পুকুরের কচুরিপানা পরিষ্কার সম্পন্ন হয়ে যাবে। ভবিষ্যতে শহরের সকল জলাশয়ের পানি যাতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকে, সেই ব্যবস্থা করা হবে।’ সেই সঙ্গে হাসপাতাল, মসজিদ, মন্দিরসহ সকল গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার আশপাশ পরিষ্কার করা হবে বলে জানান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নারায়ণগঞ্জে এক বাসায় বিস্ফোরণ, শিশুসহ দগ্ধ ৪

ঢামেক প্রতিবেদক
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

আগারগাঁওয়ে সরকারি কোয়ার্টারে গ্যাস বিস্ফোরণের পর এবার নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও এলাকার একটি বাসায় বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। এ বিস্ফোরণে একই পরিবারের চারজন দগ্ধ হয়েছেন। তাদের জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, গ্যাসের চুলা থেকে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।

আজ শনিবার (৬ ডিসেম্বর) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে সোনারগাঁওয়ের পাটাত্তা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। দগ্ধরা হলেন, আলাউদ্দিন (৩৫), তাঁর দুই মেয়ে শিফা আক্তার (১৪) ও সিমলা আক্তার (৪) এবং আলাউদ্দিনের মা জরিনা বেগম (৬৫)।

দগ্ধ আলাউদ্দিনের বোন সালমা আক্তার জানান, তাঁর মা, ভাই ও ভাইয়ের দুই মেয়ে ওই বাসার নিচতলায় ভাড়া থাকে। ভোরে তাঁর ভাই আলাউদ্দিন ওয়াশরুমে যায়। এ সময় তাদের রান্না ঘরে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। তাঁর ভাই রুমে ঢুকতেই আগুনে ঝলসে যায়। এ সময় ঘরে থাকা তিনজন দগ্ধ হয়। পরে তাঁদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে উদ্ধার করে বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসে।

সালমা আরও বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, রান্না ঘরে গ্যাসের চুলা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।

জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান জানান, সকালে নারায়ণগঞ্জের একটি বাসায় গ্যাসের চুলার আগুন থেকে ৪ জন দগ্ধ হয়ে বার্ন ইনস্টিটিউটে এসেছে। এদের মধ্যে আলাউদ্দিনের ৪০ শতাংশ, শিফার ১২ শতাংশ, শিমলার ৩০ শতাংশ ও জরিনা বেগমের ২০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। চারজনকে ওয়ার্ডে ভর্তি রাখা রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মাগুরায় পেট্রলবোমা হামলায় দুই সরকারি অফিসে অগ্নিকাণ্ড

মাগুরা প্রতিনিধি 
মাগুরা সদর উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয় ও সরকারি সাবরেজিস্ট্রার অফিসে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
মাগুরা সদর উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয় ও সরকারি সাবরেজিস্ট্রার অফিসে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

মাগুরায় আলাদা স্থানে পেট্রলবোমা হামলায় দুটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি দপ্তরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ক্ষতিগ্রস্ত দপ্তর দুটি হলো মাগুরা সদর উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয় ও সরকারি সাবরেজিস্ট্রার অফিস। শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে অজ্ঞাত দুষ্কৃতকারীরা পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে আগুন লাগিয়ে দেয়।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসমা আক্তার বলেন, রাতের আঁধারে দুষ্কৃতকারীরা অফিসের পেছনের জানালা ভেঙে ভেতরে পেট্রলবোমা ছোড়ে। এতে নিচতলায় থাকা কম্পিউটার, আসবাবসহ জমি-সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ দলিল ও নথিপত্র পুড়ে যায়।

অন্যদিকে শহরের ইসলামপুর পাড়ার সাবরেজিস্ট্রার অফিসেও একইভাবে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সাবরেজিস্ট্রার শুভ্রা রানী দাস বলেন, পেট্রলবোমায় রেজিস্ট্রি অফিসের সামনে দলিল লেখকদের ঘর এবং নিচতলা পুড়ে গেছে। এতে জমি-সংক্রান্ত দলিল, প্রয়োজনীয় নথি ও দলিল লেখকদের কাগজপত্র ছাই হয়ে গেছে।

মাগুরা ফায়ার সার্ভিস স্টেশন লিডার মো. আলিম মোল্লা বলেন, শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে পরপর দুটি স্থানে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে তাঁরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করেই আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

‎টঙ্গীতে ছিনতাকারীর ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত

টঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

গাজীপুরের টঙ্গীতে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে এক যুবক নিহত হয়েছেন। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল পৌনে ৮টার দিকে বিআরটি প্রকল্পের উড়ালসেতুর বাটাগেট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

‎নিহত ব্যক্তির নাম সিদ্দিকুর রহমান (৫৭)। তিনি বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ থানার মৃত ইসমাইল ফকিরের ছেলে। সিদ্দিক টঙ্গীর মধুমিতা এলাকার একটি ভাড়া বাসায় পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে বসবাস করতেন।

‎‎থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মেহেদী হাসান লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠিয়েছেন।

‎‎স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, সিদ্দিকুর রহমান ঢাকার কেরানীগঞ্জ এলাকায় বিদ্যুৎ বিভাগে চাকরি করতেন। শনিবার সকালে অফিসে যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হন তিনি। সিদ্দিকুর বিআরটি প্রকল্পের উড়ালসেতুর ওপর বাসের অপেক্ষায় ছিলেন। এ সময় কয়েকজন ছিনতাইকারী তাঁর কাছে থাকা নগদ টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। তারা তাঁকে ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।

‎ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। ‎‎টঙ্গী পূর্ব থানা-পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আতিকুর রহমান বলেন, এই ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত