শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
গাজীপুরের শ্রীপুরে আব্দুল্লাহ নামের এক যুবককে তুলে নিয়ে খুনের মামলায় একাধিক নির্দোষ ব্যক্তিকেও আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। আগের ছোটখাটো শত্রুতা ও অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্যই এ কাজ করা হয়েছে বলে দাবি এলাকাবাসীর।
সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কয়েক বছর ধরে আব্দুল্লাহ পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করতেন। ছোটখাটো অপরাধী ও মাদক কারবারিদের ধরিয়ে দিতেন তিনি। ৯ মাস আগে শহিদুল ইসলাম শহীদকে মাদকসহ আটক করে পুলিশ। এ ঘটনায় আব্দুল্লাহকে সন্দেহ করেন শহিদ। কারাগার থেকে জামিনে বেরিয়ে এসে তাঁর সঙ্গে কয়েক দফা বাগ্বিতণ্ডা হয়। হাতাহাতিও হয়েছে কয়েকবার। মূলত এ কারণে তাঁদের মধ্যে শত্রুতার সৃষ্টি হয়।
এর আগে আব্দুল্লাহর বাবা শহিদুল ইসলাম শহিদকে জমি কিনে দিতে জন্য ৫ লাখ টাকা দেন। তাঁদের মধ্যে সম্পর্কের ফাটল ধরার পরপর সেই টাকা দিতে অস্বীকার করেন শহীদ। মূলত এ কারণে শহীদ ও তাঁর ছেলে এহসানুল হক স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া অনুষ্ঠান থেকে তুলে নিয়ে ছুরিকাঘাতে তাঁকে খুন করেন।
স্থানীয়রা বলেন, মূলত শহীদ আর আব্দুল্লাহর মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণে খুনোখুনি হয়েছে। এই মামলায় বাবা-ছেলে বাদে অন্যদের আসামি করা ছোটখাটো শত্রুতার কারণে। দুজনকে আসামি করা হয়েছে বিনা অপরাধে।
স্থানীয় বাসিন্দা চম্পা আক্তার বলেন, ‘আমরা যত দূর জানি, মামলার চার নম্বর আসামি ইমরুল একজন প্রতিষ্ঠিত ও ভালো ব্যবসায়ী। তিনি বেশ কিছুদিন ধরে তাঁর ছোট ছেলেকে নিয়ে দেশ-বিদেশে চিকিৎসকদের কাছে দৌড়াদৌড়ি করছেন। তিনি হত্যাকাণ্ডের এক সপ্তাহ আগে থেকে বাঁশবাড়ি বাজারে তাঁর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আসছেন না।’
নাম না প্রকাশ করার শর্তে বাঁশবাড়ি বাজারের এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘হত্যা মামলায় ইমরুলসহ আর দুজনকে আসামি করা হয়েছে একেবারে বিনা কারণে। যদিও খুনি শহীদের আত্মীয় ইমরুল। কিন্তু চলাচল সামাজিক মর্যাদা একেবারে আকাশ-পাতাল তফাত। বিনা কারণে হত্যা মামলার আসামি করা হয়রানি ছাড়া কিছু নয়। প্রকৃত আসামি তো ওরা বাবা-ছেলে। ওরা তো পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে।’
ইমরুলের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের কর্মচারী মো. মোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘স্যার কয়েক দিন ধরে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে আসছেন না। ওনার ছোট ছেলে খুবই অসুস্থ। কয়েকবার বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা করিয়েছেন। আবার নিয়ে যাবেন, এ জন্য কাগজপত্র ঠিক করতে দৌড়াদৌড়ি করছে। বাজারের সকল ব্যবসায়ীরা এক বাক্যে বলবে তিনি এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নয়। হয়তোবা কেউ ভালো চলুক এটা অনেকেই চায় না। তা ছাড়া স্যার তো বাঁশবাড়ি থাকে না। উনি থাকেন মাওনা চৌরাস্তা এলাকায়। স্যারের এত টাকা কেন হলো এটাই সমস্যা। সবার লোভ স্যারের টাকার প্রতি।
স্থানীয় বাসিন্দা আওলাদ হোসেন বলেন, ‘খুনি শহীদ ও তাঁর ছেলে এহসানুল হক মাদক কারবারি। এরা আমাদের সমাজ ধ্বংস করে দিচ্ছে। এদের কঠিন শাস্তি চাই। কিন্তু এর সঙ্গে কয়েকজন ভালো মানুষকে আসামি করা হয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক। আমার প্রতিবেশী খারাপ হলে এর দায়ভার কি আমাকে নিতে হবে? অসৎ উদ্দেশ্যে কাউকে হয়রানি করা উচিত না। ইমরুল আর মোস্তফা খুবই ভালো মানুষ।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. ইসলাম মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, এ ঘটনায় দুজন আসামি কারাগারে রয়েছেন। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। নির্দোষ মানুষকে আসামি করা হয়েছে কিনা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
উল্লেখ্য, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে গত ৯ মার্চ একটি বিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলাকালে আব্দুল্লাহকে তুলে নিয়ে ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করে খুন করা হয়। এ ঘটনায় আটজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করেছেন নিহত আব্দুল্লাহর বাবা মোহাম্মদ শাহাদাত আলী।
গাজীপুরের শ্রীপুরে আব্দুল্লাহ নামের এক যুবককে তুলে নিয়ে খুনের মামলায় একাধিক নির্দোষ ব্যক্তিকেও আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। আগের ছোটখাটো শত্রুতা ও অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্যই এ কাজ করা হয়েছে বলে দাবি এলাকাবাসীর।
সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কয়েক বছর ধরে আব্দুল্লাহ পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করতেন। ছোটখাটো অপরাধী ও মাদক কারবারিদের ধরিয়ে দিতেন তিনি। ৯ মাস আগে শহিদুল ইসলাম শহীদকে মাদকসহ আটক করে পুলিশ। এ ঘটনায় আব্দুল্লাহকে সন্দেহ করেন শহিদ। কারাগার থেকে জামিনে বেরিয়ে এসে তাঁর সঙ্গে কয়েক দফা বাগ্বিতণ্ডা হয়। হাতাহাতিও হয়েছে কয়েকবার। মূলত এ কারণে তাঁদের মধ্যে শত্রুতার সৃষ্টি হয়।
এর আগে আব্দুল্লাহর বাবা শহিদুল ইসলাম শহিদকে জমি কিনে দিতে জন্য ৫ লাখ টাকা দেন। তাঁদের মধ্যে সম্পর্কের ফাটল ধরার পরপর সেই টাকা দিতে অস্বীকার করেন শহীদ। মূলত এ কারণে শহীদ ও তাঁর ছেলে এহসানুল হক স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া অনুষ্ঠান থেকে তুলে নিয়ে ছুরিকাঘাতে তাঁকে খুন করেন।
স্থানীয়রা বলেন, মূলত শহীদ আর আব্দুল্লাহর মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণে খুনোখুনি হয়েছে। এই মামলায় বাবা-ছেলে বাদে অন্যদের আসামি করা ছোটখাটো শত্রুতার কারণে। দুজনকে আসামি করা হয়েছে বিনা অপরাধে।
স্থানীয় বাসিন্দা চম্পা আক্তার বলেন, ‘আমরা যত দূর জানি, মামলার চার নম্বর আসামি ইমরুল একজন প্রতিষ্ঠিত ও ভালো ব্যবসায়ী। তিনি বেশ কিছুদিন ধরে তাঁর ছোট ছেলেকে নিয়ে দেশ-বিদেশে চিকিৎসকদের কাছে দৌড়াদৌড়ি করছেন। তিনি হত্যাকাণ্ডের এক সপ্তাহ আগে থেকে বাঁশবাড়ি বাজারে তাঁর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আসছেন না।’
নাম না প্রকাশ করার শর্তে বাঁশবাড়ি বাজারের এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘হত্যা মামলায় ইমরুলসহ আর দুজনকে আসামি করা হয়েছে একেবারে বিনা কারণে। যদিও খুনি শহীদের আত্মীয় ইমরুল। কিন্তু চলাচল সামাজিক মর্যাদা একেবারে আকাশ-পাতাল তফাত। বিনা কারণে হত্যা মামলার আসামি করা হয়রানি ছাড়া কিছু নয়। প্রকৃত আসামি তো ওরা বাবা-ছেলে। ওরা তো পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে।’
ইমরুলের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের কর্মচারী মো. মোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘স্যার কয়েক দিন ধরে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে আসছেন না। ওনার ছোট ছেলে খুবই অসুস্থ। কয়েকবার বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা করিয়েছেন। আবার নিয়ে যাবেন, এ জন্য কাগজপত্র ঠিক করতে দৌড়াদৌড়ি করছে। বাজারের সকল ব্যবসায়ীরা এক বাক্যে বলবে তিনি এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নয়। হয়তোবা কেউ ভালো চলুক এটা অনেকেই চায় না। তা ছাড়া স্যার তো বাঁশবাড়ি থাকে না। উনি থাকেন মাওনা চৌরাস্তা এলাকায়। স্যারের এত টাকা কেন হলো এটাই সমস্যা। সবার লোভ স্যারের টাকার প্রতি।
স্থানীয় বাসিন্দা আওলাদ হোসেন বলেন, ‘খুনি শহীদ ও তাঁর ছেলে এহসানুল হক মাদক কারবারি। এরা আমাদের সমাজ ধ্বংস করে দিচ্ছে। এদের কঠিন শাস্তি চাই। কিন্তু এর সঙ্গে কয়েকজন ভালো মানুষকে আসামি করা হয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক। আমার প্রতিবেশী খারাপ হলে এর দায়ভার কি আমাকে নিতে হবে? অসৎ উদ্দেশ্যে কাউকে হয়রানি করা উচিত না। ইমরুল আর মোস্তফা খুবই ভালো মানুষ।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. ইসলাম মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, এ ঘটনায় দুজন আসামি কারাগারে রয়েছেন। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। নির্দোষ মানুষকে আসামি করা হয়েছে কিনা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
উল্লেখ্য, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে গত ৯ মার্চ একটি বিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলাকালে আব্দুল্লাহকে তুলে নিয়ে ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করে খুন করা হয়। এ ঘটনায় আটজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করেছেন নিহত আব্দুল্লাহর বাবা মোহাম্মদ শাহাদাত আলী।
রাষ্ট্রীয় বাহিনীর মদদে জুলাই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের সেইফ এক্সিট (নিরাপদে দেশ ছাড়া) দেওয়ার প্রতিবাদে ও ব্যর্থতার দায় নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিসহ ৪ দফা দাবিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাও করতে যাচ্ছে ইনকিলাব মঞ্চ।
১০ মিনিট আগেনেত্রকোনা সদরের দক্ষিণ মদনপুর এলাকা থেকে এক যুবকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টার দিকে সদর উপজেলার দক্ষিণ মদনপুর সড়কের পাশ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য ক্ষতচিহ্ন রয়
১৩ মিনিট আগেসিলেটের গোয়াইনঘাটসহ বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারত থেকে আসা ৮০ লাখ টাকার চোরাই পণ্য জব্দ করেছে বিজিবি। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ রোববার সকালে সিলেট বিজিবি ব্যাটালিয়ন (৪৮ বিজিবি) এসব জব্দ করে।
২১ মিনিট আগেদিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতাকে মারধরের মামলায় দুই ইউনিয়ন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে উপজেলার এলুয়াড়ী ইউনিয়নের নিজ বাড়ি থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
২৪ মিনিট আগে