Ajker Patrika

শাহবাগে ব্যারিকেড ভেঙে শিক্ষকদের অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
শাহবাগে অবরোধের কারণে পায়ে হেঁটে গন্তব্যে যান অনেকে। ছবি: আজকের পত্রিকা
শাহবাগে অবরোধের কারণে পায়ে হেঁটে গন্তব্যে যান অনেকে। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ানোসহ তিন দফা দাবি আদায়ে লাগাতার আন্দোলনের চতুর্থ দিনে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে তিন ঘণ্টা ধরে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করে রেখেছেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা।

আজ বুধবার বেলা দেড়টার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে মিছিল নিয়ে শাহবাগে এসে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সড়ক অবরোধ করেন তাঁরা। এতে শাহবাগসহ আশপাশের এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গত রোববার মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ানো, চিকিৎসা ভাতা ৫০০ থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৫০০ টাকা করা এবং উৎসব ভাতা মূল বেতনের ৫০ থেকে বাড়িয়ে ৭৫ শতাংশ করার দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোট’। সেদিন আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে পুলিশ। একই সঙ্গে তাঁদের লাঠিপেটা করা হয়। এতে আহত হন কয়েকজন শিক্ষক।

তিন দফা দাবি আদায়ে গতকাল মঙ্গলবার সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। বিকেল ৪টার দিকে তাঁরা সচিবালয়ের দিকে এগোলে হাইকোর্টের মাজার গেটের সামনে পুলিশ তাঁদের আটকে দেয়।

পরে আন্দোলনরত শিক্ষক-কর্মচারীরা ঘোষণা দেন, আজ দুপুর ১২টার মধ্যে দাবি মেনে প্রজ্ঞাপন জারি না করলে ‘শাহবাগ ব্লকেড’ কর্মসূচি পালন করা হবে।

সে লক্ষ্যে আজ সকাল থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জড়ো হন শত শত শিক্ষক-কর্মচারী। এরপর সেখান থেকে মিছিল নিয়ে বেলা ২টার দিকে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন তাঁরা।

আন্দোলনকারীরা বলছেন, দাবি আদায় না হলে এক দফা জাতীয়করণের দাবিতে যেতে বাধ্য হবেন তাঁরা। পাশাপাশি আগামীকাল বৃহস্পতিবার ‘লংমার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচি পালন করবেন তাঁরা।

এদিকে তিন ঘণ্টা ধরে সড়ক অবরোধ থাকায় জনভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে। কেউ পায়ে হেঁটে গন্তব্যে যাচ্ছেন, কেউবা সড়ক অবরোধ তুলে নেওয়ার অপেক্ষায় আছেন।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন অ্যান্ড রেফারেল সেন্টার থেকে রিপোর্ট নিয়ে নারায়ণগঞ্জ যাচ্ছিলেন এস সি সাহা। শাহবাগে আটকা পড়েন তিনি।

এস সি সাহা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এক ঘণ্টার কাছাকাছি এখানে আটকে আছি। সড়ক অবরোধ না করে অন্য জায়গায় শিক্ষক-কর্মচারীদের অবস্থান করা উচিত। লোক চলাচলের জায়গা ছেড়ে মাঠে বসে আন্দোলন করলে ভালো হতো। তাতে জনগণের ভোগান্তি কমে যেত। কত মানুষ কত সমস্যায় আছে, এতে তাদের ভ্রূক্ষেপ নেই। আন্দোলনে তো বাধা দিচ্ছে না কেউ। আমাদের ভোগান্তি করার কোনো যুক্তি এখানে তো দেখি না। সাধারণ মানুষকে কেন ভোগান্তিতে ফেলা হচ্ছে?’

ঢাকার মোহাম্মদপুর থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথের যাত্রী মো. আবু রায়হান বলেন, ‘যত দ্রুত সম্ভব, শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি মেনে নিক। কিন্তু শিক্ষকেরা রাস্তা ব্লকেড করে জনগণের ভোগান্তির কোনো মানে হয় না। আমি জরুরি প্রয়োজনে চট্টগ্রামে নিজের বাসায় যাচ্ছিলাম। শাহবাগে এসে দেখি, অবরোধ করে রেখেছেন শিক্ষকেরা।’

জনভোগান্তির বিষয়ে ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোট’-এর সমন্বয়ক শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা কাউকে কষ্ট দিয়ে আন্দোলন করতে চাই না। কিন্তু সরকার আমাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নিচ্ছে না। সরকার যদি আমাদের দাবি মেনে নিত, তাহলে আমরা আন্দোলন করতে আসতাম না। এখনই প্রজ্ঞাপন জারি করুক, আমরা এখনি চলে যাব। দাবি না মানলে আমরা মার্চ টু যমুনা কর্মসূচি পালন করব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

যুক্তরাষ্ট্রে প্রভাবশালী ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ গ্রেপ্তার

জুলাই সনদে স্বাক্ষর নিয়ে শেষ মুহূর্তে এসে অনিশ্চয়তা, সন্ধ্যায় ‘অতি জরুরি’ বৈঠক

বিহার নির্বাচন: লড়বেন না প্রশান্ত কিশোর, ‘নিশ্চিত পরাজয়’ দেখছেন বিজেপি জোটের

ইতিহাসের সর্ববৃহৎ ক্রিপ্টো কেলেঙ্কারি, ১৪ বিলিয়ন ডলারের কয়েন জব্দ

প্রাপ্তবয়স্কদের কনটেন্ট চালু করছে চ্যাটজিপিটি, শিশুদের নিরাপত্তা কোথায়

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত