উত্তরা (ঢাকা) প্রতিনিধি

রাজধানীর তুরাগে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের আড্ডার অভিযোগে একটি উন্মুক্ত লাইব্রেরিতে হামলা ও ভাঙচুরের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতারা মামলা করেছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতাদের ওপর হামলায় অভিযোগে এই মামলা করা হয়। তবে লাইব্রেরি ভাঙচুর এবং লুটপাটের অভিযোগের বিষয়ে পুলিশ কিছুই জানে না বলে জানিয়েছে।
ডিএমপির তুরাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম আজ শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) আজকের পত্রিকাকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে তুরাগের ১৮ নম্বর সেক্টরের রাজউক উত্তরা অ্যাপার্টমেন্ট প্রকল্প (রুয়াপ) সেন্ট্রাল মাঠসংলগ্ন কামিনী ভবনের সামনে বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। রুয়াপের ভেতরের লাইব্রেরিতে আওয়ামী লীগের দোসররা আড্ডা দেয়—এমন অভিযোগ তুলে ভাঙচুর চালানো হয়। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
হামলায় আহতরা হলেন বৈষম্যবিরোধীর তুরাগ থানার সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক রিফাত হাসান সান (২৬), রাসেল হোসাইন (২৫), হাবিবুল বাশার (২৭), সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব আবরার হানিফ (২৭), খন্দকার সাকিবুল ইসলাম (২৪) ও শাহিন (২৫)। তাঁদের মধ্যে বাশার, রাসেল, সান ও আবরার গুরুতর আহত হয়। আহতরা প্রথমে উত্তরার কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন, পরে তাঁরা উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান।
এদিকে ভাঙচুরের সময় লাইব্রেরিতে থাকা বই, চেয়ার-টেবিল ও আসবাব লুটেরও অভিযোগ উঠেছে। লাইব্রেরিটি পরিচালনা করত ইউনাইটেড ব্রাদার্স ক্লাব।
এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতাদের ওপর হামলার ঘটনায় শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে আহত হাবিবুল বাশার বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলায় বেআইনি জনতাবদ্ধ হয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করে হাড় ভেঙে দেওয়া, কাটা, রক্তাক্ত করা ও জখমের অভিযোগ আনা হয়। মামলায় মোস্তাফিজ হাফিজ সুনম (৪০), সাফিন হাসান অপূর্ব (২৮), শাহেদ বিন অনন্ত (২৪), রাকিব (২৭), তনয় (২৩), রক্সি (৪২), অনিক (৩০), মুসা (২৩) ও জীবনসহ (২২) অজ্ঞাতনামা ২৫-৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
অপরদিকে লাইব্রেরি ভাঙচুরের ঘটনায় পরদিনই ইউনাইটেড ব্রাদার্স ক্লাবের সভাপতি আব্দুল্লাহ ফাহাদ তুরাগ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগে বলা হয়, উন্মুক্ত লাইব্রেরি ও ইউনাইটেড ক্লাবের অস্থায়ী অফিসকক্ষে ভাঙচুর চালিয়ে লাইব্রেরিতে থাকা বই, ৪০টি চেয়ার, ৫টি টেবিল, ৪টি সিসিটিভি ক্যামেরা, একটি হার্ডডিস্ক, একটি রাউটার, ক্লাবের মাঠের ৩০টি ফ্লাডলাইট, ক্রিকেট খেলার সামগ্রীসহ প্রায় আড়াই লাখ টাকার মালপত্র লুট করা হয়েছে। তা ছাড়া অফিসকক্ষ ও লাইব্রেরি ভাঙচুরে আনুমানিক ৩ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
থানা-পুলিশের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশ কর্মকর্তা ও রুয়াপের একাধিক বাসিন্দা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বের জেরে “আওয়ামী লীগের দোসররা লাইব্রেরিতে আড্ডা দেয়” ট্যাগ দিয়ে উন্মুক্ত লাইব্রেরিতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে।’

মারামারি, হামলা ও ভাঙচুরের বিষয়ে তুরাগ থানার ওসি মনিরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উত্তরা ১৮ নম্বর সেক্টরে মারামারির ঘটনায় গত রাতে (শুক্রবার দিবাগত) মামলা হয়েছে। ওই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
লাইব্রেরি ভাঙচুরের অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ওসি বলেন, ‘এমন কোনো ঘটনা আমার জানা নাই।’
মারামারির প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ওসি মনিরুল বলেন, ‘সন্ধ্যায় চায়ের দোকানে বসাবসি নিয়ে একটি গ্রুপের সঙ্গে গন্ডগোল হয়েছিল। পরে আবার মিউচুয়াল (সমঝোতা) হয়েছিল। পরে আবার রাতে মারামারি হয়েছিল। মারামারির পর এক গ্রুপ হাসপাতালে ভর্তি ছিল। ওই ঘটনায় মামলা হয়েছে।’
অপরদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তুরাগ থানার সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সিফাত হাসান মুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রুয়াপের ৫ নম্বর গেটের সামনে একটি দোকান আছে, সেখানে আমরা চা-টা খাই। সেখানে উত্তরার কামারপাড়া থেকে এক ছোট ভাই পারভেজ হাসান এসে চা খাচ্ছিল। ওই সময় ওই দোকানের একটি ছেলে সাইকেল নিয়ে তার টুলের (বেঞ্চ) ওপর তুলে দেয়। ছোট ভাই এ নিয়ে প্রতিবাদ করলে দোকানের ছেলেটা পোলাপান ডাকিয়ে নিয়ে এসে ছোট ভাইয়ের ওপর হামলা করে। তারপর ছোট ভাইটি আমাদের ফোন দিলে আমাদের প্রতিনিধিরা পঞ্চবটী থেকে সেখানে গিয়ে বিষয়টি মীমাংসা করে।’
সিফাত হাসান মুন আরও বলেন, ‘ওই সময়ে ছাত্রলীগের পোলাপান সুনম ও তাঁর সহযোগীরা গিয়ে ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে হামলা, এটা-সেটা করার হুমকি দেয়। তখন আমাদের প্রতিনিধিরা বলে, আপনারা ছেলেটাকে ধরে মারছেন, আবার আপনারাই মামলা করেন, তাহলে বিষয়টি কী রকম হয়ে গেল না। পরে আমাদের প্রতিনিধিরা চলে আসে।’
সিফাত হাসান মুন আরও বলেন, ‘চলে আসার পর তারা (সুনমরা) আমাদের বৈষম্যবিরোধীর হাবিবুল বাশারকে হুমকি দিয়ে বলে, ‘৫ আগস্টের আগে ছাত্রলীগ ও ছাত্রদল ছিল, এরাই এখানকার রাজত্ব করতে পারবে। বৈষম্যবিরোধী বলতে কোনো কিছু থাকবে না। সবকিছু আমাদের রাজত্বে হবে।’ তখন গালি দিয়ে বাশার বলে, ‘তোমরা...। ৫ আগস্টের পূর্বে খুঁজে পাওয়া যায় নাই। এখন তোমরা নেতা হইছো।’ একপর্যায়ে সুনমরা থ্রেট (হুমকি) দেয়। পরে আমাদের ভাইয়েরা রুয়াপে ঢুকলে তাদের ওপর ওরা ১৫-২০ মিলে অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। হামলাকারীরা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের পদধারী নেতা।’
সিফাত হাসান মুন আরও বলেন, ‘হামলাকালে সুনম কোমর থেকে কাপড়ে মোড়ানো অবস্থায় পিস্তল বের করে বাশারকে গুলি করতে যায়। তখন বৈষম্যবিরোধীর যুগ্ম আহ্বায়ক রাসেল তাকে (সুনমকে) বলে, ‘ভাই, আমরা তো নিরস্ত্র, আপনি কি এভাবে আমাদের মারতে পারেন?’ তখন সুনম বলে, ‘সানমুন, রাসেল, বাশারসহ পাঁচটা আছে, এদের ক্লিয়ার করতে পারলে বৈষম্যবিরোধী বলতে কিছু থাকবে না।’ এদিকে আমাদের লোকজন চলে আসলে ওরা (সুনমরা) দৌড়ে পালিয়ে যায়।’
সিফাত হাসান মুন আরও বলেন, পরে ওরা লাইব্রেরি থেকে চাপাতি, রামদা, লাঠিসোঁটা নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করে। এদিকে হামলার বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে উত্তরা থেকে অনেক লোক এসে লাইব্রেরিসহ আশপাশের সব জায়গা তল্লাশি করে। তারপর তাদের খুঁজে পাচ্ছিল না। ওই সময় দেখা যায়, লাইব্রেরির ভেতরে অস্ত্র (চাপাতি, রামদা, স্ট্যাম্প, হকিস্টিক)। তখন লাইব্রেরিটি ভেঙে ফেলা হয়।’
মুন আরও দাবি করেন, ‘এই ক্লাবটাকে কেন্দ্র করে গন্ডগোল। বাইরে বইয়ের সারি রাখছে, আর ভেতরে ছিল মাদকের আখড়া। কিশোরেরা এসে এখানে মাদক সেবন করত। ক্লাবটা ভাঙাটাও খারাপ হইছে। যদিও এটি অবৈধ, অস্থায়ী। যদি ক্লাবের ভেতর থেকে আমাদের ভাইদের ওপর হামলা করা হইছে। কিন্তু ক্লাবের পোলাপান হামলা করেনি।’

রাজধানীর তুরাগে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের আড্ডার অভিযোগে একটি উন্মুক্ত লাইব্রেরিতে হামলা ও ভাঙচুরের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতারা মামলা করেছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতাদের ওপর হামলায় অভিযোগে এই মামলা করা হয়। তবে লাইব্রেরি ভাঙচুর এবং লুটপাটের অভিযোগের বিষয়ে পুলিশ কিছুই জানে না বলে জানিয়েছে।
ডিএমপির তুরাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম আজ শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) আজকের পত্রিকাকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে তুরাগের ১৮ নম্বর সেক্টরের রাজউক উত্তরা অ্যাপার্টমেন্ট প্রকল্প (রুয়াপ) সেন্ট্রাল মাঠসংলগ্ন কামিনী ভবনের সামনে বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। রুয়াপের ভেতরের লাইব্রেরিতে আওয়ামী লীগের দোসররা আড্ডা দেয়—এমন অভিযোগ তুলে ভাঙচুর চালানো হয়। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
হামলায় আহতরা হলেন বৈষম্যবিরোধীর তুরাগ থানার সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক রিফাত হাসান সান (২৬), রাসেল হোসাইন (২৫), হাবিবুল বাশার (২৭), সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব আবরার হানিফ (২৭), খন্দকার সাকিবুল ইসলাম (২৪) ও শাহিন (২৫)। তাঁদের মধ্যে বাশার, রাসেল, সান ও আবরার গুরুতর আহত হয়। আহতরা প্রথমে উত্তরার কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন, পরে তাঁরা উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান।
এদিকে ভাঙচুরের সময় লাইব্রেরিতে থাকা বই, চেয়ার-টেবিল ও আসবাব লুটেরও অভিযোগ উঠেছে। লাইব্রেরিটি পরিচালনা করত ইউনাইটেড ব্রাদার্স ক্লাব।
এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতাদের ওপর হামলার ঘটনায় শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে আহত হাবিবুল বাশার বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলায় বেআইনি জনতাবদ্ধ হয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করে হাড় ভেঙে দেওয়া, কাটা, রক্তাক্ত করা ও জখমের অভিযোগ আনা হয়। মামলায় মোস্তাফিজ হাফিজ সুনম (৪০), সাফিন হাসান অপূর্ব (২৮), শাহেদ বিন অনন্ত (২৪), রাকিব (২৭), তনয় (২৩), রক্সি (৪২), অনিক (৩০), মুসা (২৩) ও জীবনসহ (২২) অজ্ঞাতনামা ২৫-৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
অপরদিকে লাইব্রেরি ভাঙচুরের ঘটনায় পরদিনই ইউনাইটেড ব্রাদার্স ক্লাবের সভাপতি আব্দুল্লাহ ফাহাদ তুরাগ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগে বলা হয়, উন্মুক্ত লাইব্রেরি ও ইউনাইটেড ক্লাবের অস্থায়ী অফিসকক্ষে ভাঙচুর চালিয়ে লাইব্রেরিতে থাকা বই, ৪০টি চেয়ার, ৫টি টেবিল, ৪টি সিসিটিভি ক্যামেরা, একটি হার্ডডিস্ক, একটি রাউটার, ক্লাবের মাঠের ৩০টি ফ্লাডলাইট, ক্রিকেট খেলার সামগ্রীসহ প্রায় আড়াই লাখ টাকার মালপত্র লুট করা হয়েছে। তা ছাড়া অফিসকক্ষ ও লাইব্রেরি ভাঙচুরে আনুমানিক ৩ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
থানা-পুলিশের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশ কর্মকর্তা ও রুয়াপের একাধিক বাসিন্দা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বের জেরে “আওয়ামী লীগের দোসররা লাইব্রেরিতে আড্ডা দেয়” ট্যাগ দিয়ে উন্মুক্ত লাইব্রেরিতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে।’

মারামারি, হামলা ও ভাঙচুরের বিষয়ে তুরাগ থানার ওসি মনিরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উত্তরা ১৮ নম্বর সেক্টরে মারামারির ঘটনায় গত রাতে (শুক্রবার দিবাগত) মামলা হয়েছে। ওই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
লাইব্রেরি ভাঙচুরের অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ওসি বলেন, ‘এমন কোনো ঘটনা আমার জানা নাই।’
মারামারির প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ওসি মনিরুল বলেন, ‘সন্ধ্যায় চায়ের দোকানে বসাবসি নিয়ে একটি গ্রুপের সঙ্গে গন্ডগোল হয়েছিল। পরে আবার মিউচুয়াল (সমঝোতা) হয়েছিল। পরে আবার রাতে মারামারি হয়েছিল। মারামারির পর এক গ্রুপ হাসপাতালে ভর্তি ছিল। ওই ঘটনায় মামলা হয়েছে।’
অপরদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তুরাগ থানার সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সিফাত হাসান মুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রুয়াপের ৫ নম্বর গেটের সামনে একটি দোকান আছে, সেখানে আমরা চা-টা খাই। সেখানে উত্তরার কামারপাড়া থেকে এক ছোট ভাই পারভেজ হাসান এসে চা খাচ্ছিল। ওই সময় ওই দোকানের একটি ছেলে সাইকেল নিয়ে তার টুলের (বেঞ্চ) ওপর তুলে দেয়। ছোট ভাই এ নিয়ে প্রতিবাদ করলে দোকানের ছেলেটা পোলাপান ডাকিয়ে নিয়ে এসে ছোট ভাইয়ের ওপর হামলা করে। তারপর ছোট ভাইটি আমাদের ফোন দিলে আমাদের প্রতিনিধিরা পঞ্চবটী থেকে সেখানে গিয়ে বিষয়টি মীমাংসা করে।’
সিফাত হাসান মুন আরও বলেন, ‘ওই সময়ে ছাত্রলীগের পোলাপান সুনম ও তাঁর সহযোগীরা গিয়ে ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে হামলা, এটা-সেটা করার হুমকি দেয়। তখন আমাদের প্রতিনিধিরা বলে, আপনারা ছেলেটাকে ধরে মারছেন, আবার আপনারাই মামলা করেন, তাহলে বিষয়টি কী রকম হয়ে গেল না। পরে আমাদের প্রতিনিধিরা চলে আসে।’
সিফাত হাসান মুন আরও বলেন, ‘চলে আসার পর তারা (সুনমরা) আমাদের বৈষম্যবিরোধীর হাবিবুল বাশারকে হুমকি দিয়ে বলে, ‘৫ আগস্টের আগে ছাত্রলীগ ও ছাত্রদল ছিল, এরাই এখানকার রাজত্ব করতে পারবে। বৈষম্যবিরোধী বলতে কোনো কিছু থাকবে না। সবকিছু আমাদের রাজত্বে হবে।’ তখন গালি দিয়ে বাশার বলে, ‘তোমরা...। ৫ আগস্টের পূর্বে খুঁজে পাওয়া যায় নাই। এখন তোমরা নেতা হইছো।’ একপর্যায়ে সুনমরা থ্রেট (হুমকি) দেয়। পরে আমাদের ভাইয়েরা রুয়াপে ঢুকলে তাদের ওপর ওরা ১৫-২০ মিলে অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। হামলাকারীরা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের পদধারী নেতা।’
সিফাত হাসান মুন আরও বলেন, ‘হামলাকালে সুনম কোমর থেকে কাপড়ে মোড়ানো অবস্থায় পিস্তল বের করে বাশারকে গুলি করতে যায়। তখন বৈষম্যবিরোধীর যুগ্ম আহ্বায়ক রাসেল তাকে (সুনমকে) বলে, ‘ভাই, আমরা তো নিরস্ত্র, আপনি কি এভাবে আমাদের মারতে পারেন?’ তখন সুনম বলে, ‘সানমুন, রাসেল, বাশারসহ পাঁচটা আছে, এদের ক্লিয়ার করতে পারলে বৈষম্যবিরোধী বলতে কিছু থাকবে না।’ এদিকে আমাদের লোকজন চলে আসলে ওরা (সুনমরা) দৌড়ে পালিয়ে যায়।’
সিফাত হাসান মুন আরও বলেন, পরে ওরা লাইব্রেরি থেকে চাপাতি, রামদা, লাঠিসোঁটা নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করে। এদিকে হামলার বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে উত্তরা থেকে অনেক লোক এসে লাইব্রেরিসহ আশপাশের সব জায়গা তল্লাশি করে। তারপর তাদের খুঁজে পাচ্ছিল না। ওই সময় দেখা যায়, লাইব্রেরির ভেতরে অস্ত্র (চাপাতি, রামদা, স্ট্যাম্প, হকিস্টিক)। তখন লাইব্রেরিটি ভেঙে ফেলা হয়।’
মুন আরও দাবি করেন, ‘এই ক্লাবটাকে কেন্দ্র করে গন্ডগোল। বাইরে বইয়ের সারি রাখছে, আর ভেতরে ছিল মাদকের আখড়া। কিশোরেরা এসে এখানে মাদক সেবন করত। ক্লাবটা ভাঙাটাও খারাপ হইছে। যদিও এটি অবৈধ, অস্থায়ী। যদি ক্লাবের ভেতর থেকে আমাদের ভাইদের ওপর হামলা করা হইছে। কিন্তু ক্লাবের পোলাপান হামলা করেনি।’
উত্তরা (ঢাকা) প্রতিনিধি

রাজধানীর তুরাগে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের আড্ডার অভিযোগে একটি উন্মুক্ত লাইব্রেরিতে হামলা ও ভাঙচুরের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতারা মামলা করেছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতাদের ওপর হামলায় অভিযোগে এই মামলা করা হয়। তবে লাইব্রেরি ভাঙচুর এবং লুটপাটের অভিযোগের বিষয়ে পুলিশ কিছুই জানে না বলে জানিয়েছে।
ডিএমপির তুরাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম আজ শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) আজকের পত্রিকাকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে তুরাগের ১৮ নম্বর সেক্টরের রাজউক উত্তরা অ্যাপার্টমেন্ট প্রকল্প (রুয়াপ) সেন্ট্রাল মাঠসংলগ্ন কামিনী ভবনের সামনে বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। রুয়াপের ভেতরের লাইব্রেরিতে আওয়ামী লীগের দোসররা আড্ডা দেয়—এমন অভিযোগ তুলে ভাঙচুর চালানো হয়। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
হামলায় আহতরা হলেন বৈষম্যবিরোধীর তুরাগ থানার সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক রিফাত হাসান সান (২৬), রাসেল হোসাইন (২৫), হাবিবুল বাশার (২৭), সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব আবরার হানিফ (২৭), খন্দকার সাকিবুল ইসলাম (২৪) ও শাহিন (২৫)। তাঁদের মধ্যে বাশার, রাসেল, সান ও আবরার গুরুতর আহত হয়। আহতরা প্রথমে উত্তরার কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন, পরে তাঁরা উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান।
এদিকে ভাঙচুরের সময় লাইব্রেরিতে থাকা বই, চেয়ার-টেবিল ও আসবাব লুটেরও অভিযোগ উঠেছে। লাইব্রেরিটি পরিচালনা করত ইউনাইটেড ব্রাদার্স ক্লাব।
এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতাদের ওপর হামলার ঘটনায় শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে আহত হাবিবুল বাশার বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলায় বেআইনি জনতাবদ্ধ হয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করে হাড় ভেঙে দেওয়া, কাটা, রক্তাক্ত করা ও জখমের অভিযোগ আনা হয়। মামলায় মোস্তাফিজ হাফিজ সুনম (৪০), সাফিন হাসান অপূর্ব (২৮), শাহেদ বিন অনন্ত (২৪), রাকিব (২৭), তনয় (২৩), রক্সি (৪২), অনিক (৩০), মুসা (২৩) ও জীবনসহ (২২) অজ্ঞাতনামা ২৫-৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
অপরদিকে লাইব্রেরি ভাঙচুরের ঘটনায় পরদিনই ইউনাইটেড ব্রাদার্স ক্লাবের সভাপতি আব্দুল্লাহ ফাহাদ তুরাগ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগে বলা হয়, উন্মুক্ত লাইব্রেরি ও ইউনাইটেড ক্লাবের অস্থায়ী অফিসকক্ষে ভাঙচুর চালিয়ে লাইব্রেরিতে থাকা বই, ৪০টি চেয়ার, ৫টি টেবিল, ৪টি সিসিটিভি ক্যামেরা, একটি হার্ডডিস্ক, একটি রাউটার, ক্লাবের মাঠের ৩০টি ফ্লাডলাইট, ক্রিকেট খেলার সামগ্রীসহ প্রায় আড়াই লাখ টাকার মালপত্র লুট করা হয়েছে। তা ছাড়া অফিসকক্ষ ও লাইব্রেরি ভাঙচুরে আনুমানিক ৩ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
থানা-পুলিশের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশ কর্মকর্তা ও রুয়াপের একাধিক বাসিন্দা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বের জেরে “আওয়ামী লীগের দোসররা লাইব্রেরিতে আড্ডা দেয়” ট্যাগ দিয়ে উন্মুক্ত লাইব্রেরিতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে।’

মারামারি, হামলা ও ভাঙচুরের বিষয়ে তুরাগ থানার ওসি মনিরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উত্তরা ১৮ নম্বর সেক্টরে মারামারির ঘটনায় গত রাতে (শুক্রবার দিবাগত) মামলা হয়েছে। ওই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
লাইব্রেরি ভাঙচুরের অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ওসি বলেন, ‘এমন কোনো ঘটনা আমার জানা নাই।’
মারামারির প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ওসি মনিরুল বলেন, ‘সন্ধ্যায় চায়ের দোকানে বসাবসি নিয়ে একটি গ্রুপের সঙ্গে গন্ডগোল হয়েছিল। পরে আবার মিউচুয়াল (সমঝোতা) হয়েছিল। পরে আবার রাতে মারামারি হয়েছিল। মারামারির পর এক গ্রুপ হাসপাতালে ভর্তি ছিল। ওই ঘটনায় মামলা হয়েছে।’
অপরদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তুরাগ থানার সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সিফাত হাসান মুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রুয়াপের ৫ নম্বর গেটের সামনে একটি দোকান আছে, সেখানে আমরা চা-টা খাই। সেখানে উত্তরার কামারপাড়া থেকে এক ছোট ভাই পারভেজ হাসান এসে চা খাচ্ছিল। ওই সময় ওই দোকানের একটি ছেলে সাইকেল নিয়ে তার টুলের (বেঞ্চ) ওপর তুলে দেয়। ছোট ভাই এ নিয়ে প্রতিবাদ করলে দোকানের ছেলেটা পোলাপান ডাকিয়ে নিয়ে এসে ছোট ভাইয়ের ওপর হামলা করে। তারপর ছোট ভাইটি আমাদের ফোন দিলে আমাদের প্রতিনিধিরা পঞ্চবটী থেকে সেখানে গিয়ে বিষয়টি মীমাংসা করে।’
সিফাত হাসান মুন আরও বলেন, ‘ওই সময়ে ছাত্রলীগের পোলাপান সুনম ও তাঁর সহযোগীরা গিয়ে ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে হামলা, এটা-সেটা করার হুমকি দেয়। তখন আমাদের প্রতিনিধিরা বলে, আপনারা ছেলেটাকে ধরে মারছেন, আবার আপনারাই মামলা করেন, তাহলে বিষয়টি কী রকম হয়ে গেল না। পরে আমাদের প্রতিনিধিরা চলে আসে।’
সিফাত হাসান মুন আরও বলেন, ‘চলে আসার পর তারা (সুনমরা) আমাদের বৈষম্যবিরোধীর হাবিবুল বাশারকে হুমকি দিয়ে বলে, ‘৫ আগস্টের আগে ছাত্রলীগ ও ছাত্রদল ছিল, এরাই এখানকার রাজত্ব করতে পারবে। বৈষম্যবিরোধী বলতে কোনো কিছু থাকবে না। সবকিছু আমাদের রাজত্বে হবে।’ তখন গালি দিয়ে বাশার বলে, ‘তোমরা...। ৫ আগস্টের পূর্বে খুঁজে পাওয়া যায় নাই। এখন তোমরা নেতা হইছো।’ একপর্যায়ে সুনমরা থ্রেট (হুমকি) দেয়। পরে আমাদের ভাইয়েরা রুয়াপে ঢুকলে তাদের ওপর ওরা ১৫-২০ মিলে অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। হামলাকারীরা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের পদধারী নেতা।’
সিফাত হাসান মুন আরও বলেন, ‘হামলাকালে সুনম কোমর থেকে কাপড়ে মোড়ানো অবস্থায় পিস্তল বের করে বাশারকে গুলি করতে যায়। তখন বৈষম্যবিরোধীর যুগ্ম আহ্বায়ক রাসেল তাকে (সুনমকে) বলে, ‘ভাই, আমরা তো নিরস্ত্র, আপনি কি এভাবে আমাদের মারতে পারেন?’ তখন সুনম বলে, ‘সানমুন, রাসেল, বাশারসহ পাঁচটা আছে, এদের ক্লিয়ার করতে পারলে বৈষম্যবিরোধী বলতে কিছু থাকবে না।’ এদিকে আমাদের লোকজন চলে আসলে ওরা (সুনমরা) দৌড়ে পালিয়ে যায়।’
সিফাত হাসান মুন আরও বলেন, পরে ওরা লাইব্রেরি থেকে চাপাতি, রামদা, লাঠিসোঁটা নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করে। এদিকে হামলার বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে উত্তরা থেকে অনেক লোক এসে লাইব্রেরিসহ আশপাশের সব জায়গা তল্লাশি করে। তারপর তাদের খুঁজে পাচ্ছিল না। ওই সময় দেখা যায়, লাইব্রেরির ভেতরে অস্ত্র (চাপাতি, রামদা, স্ট্যাম্প, হকিস্টিক)। তখন লাইব্রেরিটি ভেঙে ফেলা হয়।’
মুন আরও দাবি করেন, ‘এই ক্লাবটাকে কেন্দ্র করে গন্ডগোল। বাইরে বইয়ের সারি রাখছে, আর ভেতরে ছিল মাদকের আখড়া। কিশোরেরা এসে এখানে মাদক সেবন করত। ক্লাবটা ভাঙাটাও খারাপ হইছে। যদিও এটি অবৈধ, অস্থায়ী। যদি ক্লাবের ভেতর থেকে আমাদের ভাইদের ওপর হামলা করা হইছে। কিন্তু ক্লাবের পোলাপান হামলা করেনি।’

রাজধানীর তুরাগে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের আড্ডার অভিযোগে একটি উন্মুক্ত লাইব্রেরিতে হামলা ও ভাঙচুরের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতারা মামলা করেছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতাদের ওপর হামলায় অভিযোগে এই মামলা করা হয়। তবে লাইব্রেরি ভাঙচুর এবং লুটপাটের অভিযোগের বিষয়ে পুলিশ কিছুই জানে না বলে জানিয়েছে।
ডিএমপির তুরাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম আজ শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) আজকের পত্রিকাকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে তুরাগের ১৮ নম্বর সেক্টরের রাজউক উত্তরা অ্যাপার্টমেন্ট প্রকল্প (রুয়াপ) সেন্ট্রাল মাঠসংলগ্ন কামিনী ভবনের সামনে বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। রুয়াপের ভেতরের লাইব্রেরিতে আওয়ামী লীগের দোসররা আড্ডা দেয়—এমন অভিযোগ তুলে ভাঙচুর চালানো হয়। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
হামলায় আহতরা হলেন বৈষম্যবিরোধীর তুরাগ থানার সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক রিফাত হাসান সান (২৬), রাসেল হোসাইন (২৫), হাবিবুল বাশার (২৭), সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব আবরার হানিফ (২৭), খন্দকার সাকিবুল ইসলাম (২৪) ও শাহিন (২৫)। তাঁদের মধ্যে বাশার, রাসেল, সান ও আবরার গুরুতর আহত হয়। আহতরা প্রথমে উত্তরার কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন, পরে তাঁরা উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান।
এদিকে ভাঙচুরের সময় লাইব্রেরিতে থাকা বই, চেয়ার-টেবিল ও আসবাব লুটেরও অভিযোগ উঠেছে। লাইব্রেরিটি পরিচালনা করত ইউনাইটেড ব্রাদার্স ক্লাব।
এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতাদের ওপর হামলার ঘটনায় শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে আহত হাবিবুল বাশার বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলায় বেআইনি জনতাবদ্ধ হয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করে হাড় ভেঙে দেওয়া, কাটা, রক্তাক্ত করা ও জখমের অভিযোগ আনা হয়। মামলায় মোস্তাফিজ হাফিজ সুনম (৪০), সাফিন হাসান অপূর্ব (২৮), শাহেদ বিন অনন্ত (২৪), রাকিব (২৭), তনয় (২৩), রক্সি (৪২), অনিক (৩০), মুসা (২৩) ও জীবনসহ (২২) অজ্ঞাতনামা ২৫-৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
অপরদিকে লাইব্রেরি ভাঙচুরের ঘটনায় পরদিনই ইউনাইটেড ব্রাদার্স ক্লাবের সভাপতি আব্দুল্লাহ ফাহাদ তুরাগ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগে বলা হয়, উন্মুক্ত লাইব্রেরি ও ইউনাইটেড ক্লাবের অস্থায়ী অফিসকক্ষে ভাঙচুর চালিয়ে লাইব্রেরিতে থাকা বই, ৪০টি চেয়ার, ৫টি টেবিল, ৪টি সিসিটিভি ক্যামেরা, একটি হার্ডডিস্ক, একটি রাউটার, ক্লাবের মাঠের ৩০টি ফ্লাডলাইট, ক্রিকেট খেলার সামগ্রীসহ প্রায় আড়াই লাখ টাকার মালপত্র লুট করা হয়েছে। তা ছাড়া অফিসকক্ষ ও লাইব্রেরি ভাঙচুরে আনুমানিক ৩ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
থানা-পুলিশের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশ কর্মকর্তা ও রুয়াপের একাধিক বাসিন্দা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বের জেরে “আওয়ামী লীগের দোসররা লাইব্রেরিতে আড্ডা দেয়” ট্যাগ দিয়ে উন্মুক্ত লাইব্রেরিতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে।’

মারামারি, হামলা ও ভাঙচুরের বিষয়ে তুরাগ থানার ওসি মনিরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উত্তরা ১৮ নম্বর সেক্টরে মারামারির ঘটনায় গত রাতে (শুক্রবার দিবাগত) মামলা হয়েছে। ওই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
লাইব্রেরি ভাঙচুরের অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ওসি বলেন, ‘এমন কোনো ঘটনা আমার জানা নাই।’
মারামারির প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ওসি মনিরুল বলেন, ‘সন্ধ্যায় চায়ের দোকানে বসাবসি নিয়ে একটি গ্রুপের সঙ্গে গন্ডগোল হয়েছিল। পরে আবার মিউচুয়াল (সমঝোতা) হয়েছিল। পরে আবার রাতে মারামারি হয়েছিল। মারামারির পর এক গ্রুপ হাসপাতালে ভর্তি ছিল। ওই ঘটনায় মামলা হয়েছে।’
অপরদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তুরাগ থানার সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সিফাত হাসান মুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রুয়াপের ৫ নম্বর গেটের সামনে একটি দোকান আছে, সেখানে আমরা চা-টা খাই। সেখানে উত্তরার কামারপাড়া থেকে এক ছোট ভাই পারভেজ হাসান এসে চা খাচ্ছিল। ওই সময় ওই দোকানের একটি ছেলে সাইকেল নিয়ে তার টুলের (বেঞ্চ) ওপর তুলে দেয়। ছোট ভাই এ নিয়ে প্রতিবাদ করলে দোকানের ছেলেটা পোলাপান ডাকিয়ে নিয়ে এসে ছোট ভাইয়ের ওপর হামলা করে। তারপর ছোট ভাইটি আমাদের ফোন দিলে আমাদের প্রতিনিধিরা পঞ্চবটী থেকে সেখানে গিয়ে বিষয়টি মীমাংসা করে।’
সিফাত হাসান মুন আরও বলেন, ‘ওই সময়ে ছাত্রলীগের পোলাপান সুনম ও তাঁর সহযোগীরা গিয়ে ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে হামলা, এটা-সেটা করার হুমকি দেয়। তখন আমাদের প্রতিনিধিরা বলে, আপনারা ছেলেটাকে ধরে মারছেন, আবার আপনারাই মামলা করেন, তাহলে বিষয়টি কী রকম হয়ে গেল না। পরে আমাদের প্রতিনিধিরা চলে আসে।’
সিফাত হাসান মুন আরও বলেন, ‘চলে আসার পর তারা (সুনমরা) আমাদের বৈষম্যবিরোধীর হাবিবুল বাশারকে হুমকি দিয়ে বলে, ‘৫ আগস্টের আগে ছাত্রলীগ ও ছাত্রদল ছিল, এরাই এখানকার রাজত্ব করতে পারবে। বৈষম্যবিরোধী বলতে কোনো কিছু থাকবে না। সবকিছু আমাদের রাজত্বে হবে।’ তখন গালি দিয়ে বাশার বলে, ‘তোমরা...। ৫ আগস্টের পূর্বে খুঁজে পাওয়া যায় নাই। এখন তোমরা নেতা হইছো।’ একপর্যায়ে সুনমরা থ্রেট (হুমকি) দেয়। পরে আমাদের ভাইয়েরা রুয়াপে ঢুকলে তাদের ওপর ওরা ১৫-২০ মিলে অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। হামলাকারীরা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের পদধারী নেতা।’
সিফাত হাসান মুন আরও বলেন, ‘হামলাকালে সুনম কোমর থেকে কাপড়ে মোড়ানো অবস্থায় পিস্তল বের করে বাশারকে গুলি করতে যায়। তখন বৈষম্যবিরোধীর যুগ্ম আহ্বায়ক রাসেল তাকে (সুনমকে) বলে, ‘ভাই, আমরা তো নিরস্ত্র, আপনি কি এভাবে আমাদের মারতে পারেন?’ তখন সুনম বলে, ‘সানমুন, রাসেল, বাশারসহ পাঁচটা আছে, এদের ক্লিয়ার করতে পারলে বৈষম্যবিরোধী বলতে কিছু থাকবে না।’ এদিকে আমাদের লোকজন চলে আসলে ওরা (সুনমরা) দৌড়ে পালিয়ে যায়।’
সিফাত হাসান মুন আরও বলেন, পরে ওরা লাইব্রেরি থেকে চাপাতি, রামদা, লাঠিসোঁটা নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করে। এদিকে হামলার বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে উত্তরা থেকে অনেক লোক এসে লাইব্রেরিসহ আশপাশের সব জায়গা তল্লাশি করে। তারপর তাদের খুঁজে পাচ্ছিল না। ওই সময় দেখা যায়, লাইব্রেরির ভেতরে অস্ত্র (চাপাতি, রামদা, স্ট্যাম্প, হকিস্টিক)। তখন লাইব্রেরিটি ভেঙে ফেলা হয়।’
মুন আরও দাবি করেন, ‘এই ক্লাবটাকে কেন্দ্র করে গন্ডগোল। বাইরে বইয়ের সারি রাখছে, আর ভেতরে ছিল মাদকের আখড়া। কিশোরেরা এসে এখানে মাদক সেবন করত। ক্লাবটা ভাঙাটাও খারাপ হইছে। যদিও এটি অবৈধ, অস্থায়ী। যদি ক্লাবের ভেতর থেকে আমাদের ভাইদের ওপর হামলা করা হইছে। কিন্তু ক্লাবের পোলাপান হামলা করেনি।’

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নাকুগাঁও সীমান্ত দিয়ে ছয় বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের হস্তান্তর করা হয়।
৩৪ মিনিট আগে
গতকাল মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) কারওয়ান বাজারের বিএফডিসি রেলগেট এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে এই দুজনকে গ্রেপ্তার করে সেনাবাহিনীর ৬ স্বতন্ত্র এডি ব্রিগেডের অধীনস্থ উত্তরা আর্মি ক্যাম্প।
১ ঘণ্টা আগে
টানা পাঁচ দিন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে থাকায় পঞ্চগড়ে শীতের তীব্রতা আরও বেড়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ, যা শীতের অনুভূতিকে আরও বাড়িয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, যাতায়াতের সময় অস্থায়ী সাঁকোটি প্রায়ই কেঁপে ওঠে। বৃষ্টি বা পাহাড়ি স্রোত এলে ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়। এই সাঁকো দিয়েই প্রতিদিন দুই ইউনিয়নের বাসিন্দারা চলাচল করে। বাজার, চিকিৎসা, স্কুল—সবকিছুর জন্যই এটি তাঁদের একমাত্র পথ। ২০২৩ সালে এই সাঁকো থেকে পড়ে এক স্কুলছাত্র আহত হয়েছিল।
২ ঘণ্টা আগেনালিতাবাড়ী (শেরপুর) প্রতিনিধি

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নাকুগাঁও সীমান্ত দিয়ে ছয় বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের হস্তান্তর করা হয়।
হস্তান্তর হওয়া মৎস্যজীবীরা কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলার বাসিন্দা। তাঁরা হলেন আবুল হোসেনের ছেলে রাসেল মিয়া (৩৫), বাহাদুর মিয়ার ছেলে বিপ্লব মিয়া (৪৫), ইসহাক আলীর ছেলে মীর জাফর আলী (৪৫), ইছাক আলীর ছেলে বকুল মিয়া (৩২), ফকির আলীর ছেলে আমের আলী (৩৫), সলিমুদ্দিন ব্যাপারীর ছেলে চাঁন মিয়া (৬০)।
বিজিবি ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৪ নভেম্বর জিঞ্জিরাম নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে ভুলক্রমে সীমান্ত অতিক্রম করে তাঁরা ভারতের ভেতরে প্রবেশ করেন। এ সময় স্থানীয় পুলিশ ও বিএসএফ সদস্যরা তাঁদের আটক করে। অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে তাঁরা সেখানে প্রায় ১৩ মাস সাজা ভোগ করেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সন্ধ্যায় শেরপুর ৩৯ বিজিবির দায়িত্বে থাকা এলাকার হাতিপাগার বিজিবি কোয়ার্টার মাস্টার মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে ভারতের কিল্লাপাড়া বিএসএফ ক্যাম্পের সঙ্গে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে বিএসএফ ছয় বাংলাদেশি নাগরিককে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে। এ সময় নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান বলেন, আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর তাঁদেরকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নাকুগাঁও সীমান্ত দিয়ে ছয় বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের হস্তান্তর করা হয়।
হস্তান্তর হওয়া মৎস্যজীবীরা কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলার বাসিন্দা। তাঁরা হলেন আবুল হোসেনের ছেলে রাসেল মিয়া (৩৫), বাহাদুর মিয়ার ছেলে বিপ্লব মিয়া (৪৫), ইসহাক আলীর ছেলে মীর জাফর আলী (৪৫), ইছাক আলীর ছেলে বকুল মিয়া (৩২), ফকির আলীর ছেলে আমের আলী (৩৫), সলিমুদ্দিন ব্যাপারীর ছেলে চাঁন মিয়া (৬০)।
বিজিবি ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৪ নভেম্বর জিঞ্জিরাম নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে ভুলক্রমে সীমান্ত অতিক্রম করে তাঁরা ভারতের ভেতরে প্রবেশ করেন। এ সময় স্থানীয় পুলিশ ও বিএসএফ সদস্যরা তাঁদের আটক করে। অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে তাঁরা সেখানে প্রায় ১৩ মাস সাজা ভোগ করেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সন্ধ্যায় শেরপুর ৩৯ বিজিবির দায়িত্বে থাকা এলাকার হাতিপাগার বিজিবি কোয়ার্টার মাস্টার মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে ভারতের কিল্লাপাড়া বিএসএফ ক্যাম্পের সঙ্গে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে বিএসএফ ছয় বাংলাদেশি নাগরিককে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে। এ সময় নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান বলেন, আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর তাঁদেরকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

রাজধানীর তুরাগে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের আড্ডার অভিযোগে লাইব্রেরিতে হামলা ও ভাঙচুরের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতারা মামলা করেছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতাদের ওপর হামলায় অভিযোগে এই মামলা করা হয়। তবে লাইব্রেরি ভাঙচুর এবং লুটপাটের অভিযোগের বিষয়ে পুলিশ কিছুই জানে না বলে জানিয়েছে।
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
গতকাল মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) কারওয়ান বাজারের বিএফডিসি রেলগেট এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে এই দুজনকে গ্রেপ্তার করে সেনাবাহিনীর ৬ স্বতন্ত্র এডি ব্রিগেডের অধীনস্থ উত্তরা আর্মি ক্যাম্প।
১ ঘণ্টা আগে
টানা পাঁচ দিন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে থাকায় পঞ্চগড়ে শীতের তীব্রতা আরও বেড়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ, যা শীতের অনুভূতিকে আরও বাড়িয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, যাতায়াতের সময় অস্থায়ী সাঁকোটি প্রায়ই কেঁপে ওঠে। বৃষ্টি বা পাহাড়ি স্রোত এলে ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়। এই সাঁকো দিয়েই প্রতিদিন দুই ইউনিয়নের বাসিন্দারা চলাচল করে। বাজার, চিকিৎসা, স্কুল—সবকিছুর জন্যই এটি তাঁদের একমাত্র পথ। ২০২৩ সালে এই সাঁকো থেকে পড়ে এক স্কুলছাত্র আহত হয়েছিল।
২ ঘণ্টা আগেউত্তরা-বিমানবন্দর (ঢাকা) প্রতিনিধি

রাজধানীর কারওয়ান বাজার থেকে বিদেশি পিস্তল, গুলিসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনী। তাঁরা হলেন মো. আবু বক্কর সিদ্দিক ওরফে কালা সিদ্দিক এবং মো. মিলন।
সেনাবাহিনী জানায়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজে জড়িত ছিলেন।
গতকাল মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) কারওয়ান বাজারের বিএফডিসি রেলগেট এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে এই দুজনকে গ্রেপ্তার করে সেনাবাহিনীর ৬ স্বতন্ত্র এডি ব্রিগেডের অধীনস্থ উত্তরা আর্মি ক্যাম্প।
উত্তরা আর্মি ক্যাম্প থেকে আজ বুধবার পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে কারওয়ান বাজারের বিএফডিসি রেলগেট সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদক সেবনরত অবস্থায় শীর্ষ সন্ত্রাসী আবু বক্কর সিদ্দিক ওরফে কালা সিদ্দিক এবং মিলনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই স্থানে তল্লাশি চালিয়ে তাঁদের কাছ থেকে একটি স্প্যানিশ পিস্তল ও তিনটি গুলি উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এই দুজনকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে সেনাবাহিনী।

রাজধানীর কারওয়ান বাজার থেকে বিদেশি পিস্তল, গুলিসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনী। তাঁরা হলেন মো. আবু বক্কর সিদ্দিক ওরফে কালা সিদ্দিক এবং মো. মিলন।
সেনাবাহিনী জানায়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজে জড়িত ছিলেন।
গতকাল মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) কারওয়ান বাজারের বিএফডিসি রেলগেট এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে এই দুজনকে গ্রেপ্তার করে সেনাবাহিনীর ৬ স্বতন্ত্র এডি ব্রিগেডের অধীনস্থ উত্তরা আর্মি ক্যাম্প।
উত্তরা আর্মি ক্যাম্প থেকে আজ বুধবার পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে কারওয়ান বাজারের বিএফডিসি রেলগেট সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদক সেবনরত অবস্থায় শীর্ষ সন্ত্রাসী আবু বক্কর সিদ্দিক ওরফে কালা সিদ্দিক এবং মিলনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই স্থানে তল্লাশি চালিয়ে তাঁদের কাছ থেকে একটি স্প্যানিশ পিস্তল ও তিনটি গুলি উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এই দুজনকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে সেনাবাহিনী।

রাজধানীর তুরাগে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের আড্ডার অভিযোগে লাইব্রেরিতে হামলা ও ভাঙচুরের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতারা মামলা করেছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতাদের ওপর হামলায় অভিযোগে এই মামলা করা হয়। তবে লাইব্রেরি ভাঙচুর এবং লুটপাটের অভিযোগের বিষয়ে পুলিশ কিছুই জানে না বলে জানিয়েছে।
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নাকুগাঁও সীমান্ত দিয়ে ছয় বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের হস্তান্তর করা হয়।
৩৪ মিনিট আগে
টানা পাঁচ দিন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে থাকায় পঞ্চগড়ে শীতের তীব্রতা আরও বেড়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ, যা শীতের অনুভূতিকে আরও বাড়িয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, যাতায়াতের সময় অস্থায়ী সাঁকোটি প্রায়ই কেঁপে ওঠে। বৃষ্টি বা পাহাড়ি স্রোত এলে ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়। এই সাঁকো দিয়েই প্রতিদিন দুই ইউনিয়নের বাসিন্দারা চলাচল করে। বাজার, চিকিৎসা, স্কুল—সবকিছুর জন্যই এটি তাঁদের একমাত্র পথ। ২০২৩ সালে এই সাঁকো থেকে পড়ে এক স্কুলছাত্র আহত হয়েছিল।
২ ঘণ্টা আগেপঞ্চগড় প্রতিনিধি

টানা পাঁচ দিন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে থাকায় পঞ্চগড়ে শীতের তীব্রতা আরও বেড়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ, যা শীতের অনুভূতিকে আরও বাড়িয়েছে।
আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহে পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা ছিল বুধবার ১০ দশমিক ৭, মঙ্গলবার ১০ দশমিক ৭, সোমবার ১০ দশমিক ৬, রোববার ১০ দশমিক ৫, শনিবার ১০ দশমিক ৫, শুক্রবার ১২, বৃহস্পতিবার ১২ দশমিক ৫ এবং গত বুধবার ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সকালে সূর্য ওঠার পর কিছুটা উষ্ণতা ফিরে আসে। তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে থাকলেও দিনের বেলা তেমন শীত অনুভূত হয় না বললে চলে। তবে সন্ধ্যার পর নেমে আসে শীতের তীব্রতা, আর তা চলতে থাকে পরদিন সকালে সূর্য উঁকি না দেওয়া পর্যন্ত।
সদর উপজেলার ভ্যানচালক আবুল হোসেন বলেন, ‘ভাই, এই শীতটা একদম সওয়া যায় না। ভোরে ভ্যান লইয়া বের হইলেই হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যায়। কুয়াশার মধ্যে রাস্তা দেখা যায় না ঠিকমতো। বেলা বাড়লে তহন একটু আরাম লাগে, কিন্তু সন্ধ্যার লগে লগে আবার জমাট শীত। কাম-কাজ না করলেও চলে না।’
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, আজ তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ, যা শীতের অনুভূতি আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে।

টানা পাঁচ দিন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে থাকায় পঞ্চগড়ে শীতের তীব্রতা আরও বেড়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ, যা শীতের অনুভূতিকে আরও বাড়িয়েছে।
আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহে পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা ছিল বুধবার ১০ দশমিক ৭, মঙ্গলবার ১০ দশমিক ৭, সোমবার ১০ দশমিক ৬, রোববার ১০ দশমিক ৫, শনিবার ১০ দশমিক ৫, শুক্রবার ১২, বৃহস্পতিবার ১২ দশমিক ৫ এবং গত বুধবার ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সকালে সূর্য ওঠার পর কিছুটা উষ্ণতা ফিরে আসে। তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে থাকলেও দিনের বেলা তেমন শীত অনুভূত হয় না বললে চলে। তবে সন্ধ্যার পর নেমে আসে শীতের তীব্রতা, আর তা চলতে থাকে পরদিন সকালে সূর্য উঁকি না দেওয়া পর্যন্ত।
সদর উপজেলার ভ্যানচালক আবুল হোসেন বলেন, ‘ভাই, এই শীতটা একদম সওয়া যায় না। ভোরে ভ্যান লইয়া বের হইলেই হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যায়। কুয়াশার মধ্যে রাস্তা দেখা যায় না ঠিকমতো। বেলা বাড়লে তহন একটু আরাম লাগে, কিন্তু সন্ধ্যার লগে লগে আবার জমাট শীত। কাম-কাজ না করলেও চলে না।’
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, আজ তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ, যা শীতের অনুভূতি আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে।

রাজধানীর তুরাগে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের আড্ডার অভিযোগে লাইব্রেরিতে হামলা ও ভাঙচুরের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতারা মামলা করেছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতাদের ওপর হামলায় অভিযোগে এই মামলা করা হয়। তবে লাইব্রেরি ভাঙচুর এবং লুটপাটের অভিযোগের বিষয়ে পুলিশ কিছুই জানে না বলে জানিয়েছে।
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নাকুগাঁও সীমান্ত দিয়ে ছয় বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের হস্তান্তর করা হয়।
৩৪ মিনিট আগে
গতকাল মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) কারওয়ান বাজারের বিএফডিসি রেলগেট এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে এই দুজনকে গ্রেপ্তার করে সেনাবাহিনীর ৬ স্বতন্ত্র এডি ব্রিগেডের অধীনস্থ উত্তরা আর্মি ক্যাম্প।
১ ঘণ্টা আগে
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, যাতায়াতের সময় অস্থায়ী সাঁকোটি প্রায়ই কেঁপে ওঠে। বৃষ্টি বা পাহাড়ি স্রোত এলে ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়। এই সাঁকো দিয়েই প্রতিদিন দুই ইউনিয়নের বাসিন্দারা চলাচল করে। বাজার, চিকিৎসা, স্কুল—সবকিছুর জন্যই এটি তাঁদের একমাত্র পথ। ২০২৩ সালে এই সাঁকো থেকে পড়ে এক স্কুলছাত্র আহত হয়েছিল।
২ ঘণ্টা আগেবান্দরবান প্রতিনিধি

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নে ১৩ বছর ধরে ভাঙা অবস্থায় পড়ে আছে একটি গুরুত্বপূর্ণ সেতু। পাহাড়ি ছড়া বেয়ে নেমে আসা বন্যার পানির তোড়ে ২০১২ সালে গর্জনিয়া উত্তর বড়বিল-দক্ষিণ বাইশারী সংযোগ সেতুটি ভেঙে যায়। এর পর থেকে কাঠ-বাঁশের অস্থায়ী সাঁকো দিয়ে চলাচল করছে দুই ইউনিয়নের মানুষ। দীর্ঘদিন ধরে সেতুটি পুনর্নির্মাণ না হওয়ায় ভোগান্তির শেষ নেই।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, যাতায়াতের সময় অস্থায়ী সাঁকোটি প্রায়ই কেঁপে ওঠে। বৃষ্টি বা পাহাড়ি স্রোত এলে ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়। এই সাঁকো দিয়েই প্রতিদিন দুই ইউনিয়নের বাসিন্দারা চলাচল করে। বাজার, চিকিৎসা, স্কুল—সবকিছুর জন্য এটি তাঁদের একমাত্র পথ। ২০২৩ সালে এই সাঁকো থেকে পড়ে এক স্কুলছাত্র আহত হয়েছিল।
বাইশারী ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. জমির বলেন, ‘১৩ বছর ধরে একটি ব্রিজ কীভাবে পড়ে থাকে, তা আমাদের জানা ছিল না। মানুষের জীবন নিয়ে যেন কারও কোনো ভাবনাই নেই!’
স্থানীয় বাসিন্দা মো. ইউসুফ বলেন, ‘ব্রিজটির দুরবস্থা নিয়ে আমরা বারবার বলেছি, লিখেছি, কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। ব্রিজ না থাকায় আমাদের কৃষিপণ্য বাজারে নিতে সমস্যা হচ্ছে।’
জানা যায়, ১৯৯৬ সালে নির্মিত সেতুটি ধসে যাওয়ার পর একাধিকবার বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন-নিবেদন করলেও এখন পর্যন্ত কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দাদের ক্ষোভ, ১৩ বছর ধরে তাঁরা চলাচল করছেন ঝুঁকি নিয়ে, কিন্তু এটি পুনর্নির্মাণে এলজিইডি বা পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি।
অন্যদিকে গর্জনিয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের স্থানীয় বাসিন্দা মো. সিরাজ বলেন, ‘গর্জনিয়া থেকে উৎপাদিত শাকসবজি ও তরিতরকারি বাইশারী বাজারে আনতে ঝুঁকি নিয়ে পার হতে হয়। মাঝেমধ্যে ভাঙা ব্রিজের ওপরের সাঁকো ভেঙে গেলে কয়েক দিনের জন্য আমাদের যাতায়াত বন্ধ থাকে।’

নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারী ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. নুরুল কবির বলেন, ‘দুই ইউনিয়নের হাজারো মানুষের যাতায়াতের কী দুর্ভোগ তা আমি জানি। শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছে। দ্রুত এই ব্রিজ পুনর্নির্মাণ করতে কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
গর্জনিয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. ফিরোজ আহমদ বলেন, ‘অনেকবার বিভিন্ন কর্মকর্তা এসে দেখে গেছেন। সাংবাদিকেরা লেখালেখি করেছেন, কিন্তু ফল হয়নি।’
বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আলম বলেন, ‘ব্রিজটি পুনর্নির্মাণের জন্য আমি বান্দরবান জেলা পরিষদে আবেদন করেছি। কিন্তু এখনো কোনো অগ্রগতি চোখে পড়েনি।’
এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা প্রকৌশলী মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ব্রিজটি ঠিক কোন উপজেলার আওতাধীন তা নিশ্চিত নই। যে উপজেলার অধীনে পড়বে, তাদেরই কাজটি করতে হবে। যদি নাইক্ষ্যংছড়ির অন্তর্ভুক্ত হয়, তাহলে আমরা যাচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সেতুটি দুই জেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় হওয়ায় দায়িত্বের প্রশ্নে প্রশাসনের গাফিলতি চলছে। ফলে বছরের পর বছর অবহেলায় পড়ে আছে সেতুটি; আর মানুষকে পোহাতে হচ্ছে দুর্ভোগ।
স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, কক্সবাজারের রামু উপজেলার গর্জনিয়া ও বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারীর মধ্যে সংযোগ স্থাপনকারী সেতুটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দুই উপজেলা প্রশাসন বসে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে এটি পুনর্নির্মাণ করা প্রয়োজন।

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নে ১৩ বছর ধরে ভাঙা অবস্থায় পড়ে আছে একটি গুরুত্বপূর্ণ সেতু। পাহাড়ি ছড়া বেয়ে নেমে আসা বন্যার পানির তোড়ে ২০১২ সালে গর্জনিয়া উত্তর বড়বিল-দক্ষিণ বাইশারী সংযোগ সেতুটি ভেঙে যায়। এর পর থেকে কাঠ-বাঁশের অস্থায়ী সাঁকো দিয়ে চলাচল করছে দুই ইউনিয়নের মানুষ। দীর্ঘদিন ধরে সেতুটি পুনর্নির্মাণ না হওয়ায় ভোগান্তির শেষ নেই।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, যাতায়াতের সময় অস্থায়ী সাঁকোটি প্রায়ই কেঁপে ওঠে। বৃষ্টি বা পাহাড়ি স্রোত এলে ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়। এই সাঁকো দিয়েই প্রতিদিন দুই ইউনিয়নের বাসিন্দারা চলাচল করে। বাজার, চিকিৎসা, স্কুল—সবকিছুর জন্য এটি তাঁদের একমাত্র পথ। ২০২৩ সালে এই সাঁকো থেকে পড়ে এক স্কুলছাত্র আহত হয়েছিল।
বাইশারী ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. জমির বলেন, ‘১৩ বছর ধরে একটি ব্রিজ কীভাবে পড়ে থাকে, তা আমাদের জানা ছিল না। মানুষের জীবন নিয়ে যেন কারও কোনো ভাবনাই নেই!’
স্থানীয় বাসিন্দা মো. ইউসুফ বলেন, ‘ব্রিজটির দুরবস্থা নিয়ে আমরা বারবার বলেছি, লিখেছি, কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। ব্রিজ না থাকায় আমাদের কৃষিপণ্য বাজারে নিতে সমস্যা হচ্ছে।’
জানা যায়, ১৯৯৬ সালে নির্মিত সেতুটি ধসে যাওয়ার পর একাধিকবার বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন-নিবেদন করলেও এখন পর্যন্ত কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দাদের ক্ষোভ, ১৩ বছর ধরে তাঁরা চলাচল করছেন ঝুঁকি নিয়ে, কিন্তু এটি পুনর্নির্মাণে এলজিইডি বা পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি।
অন্যদিকে গর্জনিয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের স্থানীয় বাসিন্দা মো. সিরাজ বলেন, ‘গর্জনিয়া থেকে উৎপাদিত শাকসবজি ও তরিতরকারি বাইশারী বাজারে আনতে ঝুঁকি নিয়ে পার হতে হয়। মাঝেমধ্যে ভাঙা ব্রিজের ওপরের সাঁকো ভেঙে গেলে কয়েক দিনের জন্য আমাদের যাতায়াত বন্ধ থাকে।’

নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারী ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. নুরুল কবির বলেন, ‘দুই ইউনিয়নের হাজারো মানুষের যাতায়াতের কী দুর্ভোগ তা আমি জানি। শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছে। দ্রুত এই ব্রিজ পুনর্নির্মাণ করতে কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
গর্জনিয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. ফিরোজ আহমদ বলেন, ‘অনেকবার বিভিন্ন কর্মকর্তা এসে দেখে গেছেন। সাংবাদিকেরা লেখালেখি করেছেন, কিন্তু ফল হয়নি।’
বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আলম বলেন, ‘ব্রিজটি পুনর্নির্মাণের জন্য আমি বান্দরবান জেলা পরিষদে আবেদন করেছি। কিন্তু এখনো কোনো অগ্রগতি চোখে পড়েনি।’
এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা প্রকৌশলী মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ব্রিজটি ঠিক কোন উপজেলার আওতাধীন তা নিশ্চিত নই। যে উপজেলার অধীনে পড়বে, তাদেরই কাজটি করতে হবে। যদি নাইক্ষ্যংছড়ির অন্তর্ভুক্ত হয়, তাহলে আমরা যাচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সেতুটি দুই জেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় হওয়ায় দায়িত্বের প্রশ্নে প্রশাসনের গাফিলতি চলছে। ফলে বছরের পর বছর অবহেলায় পড়ে আছে সেতুটি; আর মানুষকে পোহাতে হচ্ছে দুর্ভোগ।
স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, কক্সবাজারের রামু উপজেলার গর্জনিয়া ও বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারীর মধ্যে সংযোগ স্থাপনকারী সেতুটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দুই উপজেলা প্রশাসন বসে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে এটি পুনর্নির্মাণ করা প্রয়োজন।

রাজধানীর তুরাগে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের আড্ডার অভিযোগে লাইব্রেরিতে হামলা ও ভাঙচুরের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতারা মামলা করেছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতাদের ওপর হামলায় অভিযোগে এই মামলা করা হয়। তবে লাইব্রেরি ভাঙচুর এবং লুটপাটের অভিযোগের বিষয়ে পুলিশ কিছুই জানে না বলে জানিয়েছে।
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নাকুগাঁও সীমান্ত দিয়ে ছয় বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের হস্তান্তর করা হয়।
৩৪ মিনিট আগে
গতকাল মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) কারওয়ান বাজারের বিএফডিসি রেলগেট এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে এই দুজনকে গ্রেপ্তার করে সেনাবাহিনীর ৬ স্বতন্ত্র এডি ব্রিগেডের অধীনস্থ উত্তরা আর্মি ক্যাম্প।
১ ঘণ্টা আগে
টানা পাঁচ দিন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে থাকায় পঞ্চগড়ে শীতের তীব্রতা আরও বেড়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ, যা শীতের অনুভূতিকে আরও বাড়িয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে