Ajker Patrika

কারাগারে বসেই দল গোছাতেন ডাকাত সর্দারেরা: ডিবি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৭ জুলাই ২০২২, ১৪: ২৩
কারাগারে বসেই দল গোছাতেন ডাকাত সর্দারেরা: ডিবি

লালবাগসহ রাজধানী ঢাকার পাশের বিভিন্ন এলাকায় স্বর্ণের দোকান, বাস ও পণ্যবাহী ট্রাকে ডাকাতি করে আসছিল একটি চক্র। বিভিন্ন আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে ডাকাতির সময় হত্যার মতো ঘটনা ঘটিয়েছে চক্রের সদস্যরা। এরই ধারাবাহিকতায় আন্তজেলা ডাকাত চক্রটিকে ধরতে কাজ শুরু করে ঢাকা গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের লালবাগ বিভাগ। পরে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পুরান ঢাকার মিটফোর্ড এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতির সময় অভিযান চালিয়ে ডাকাত দলের ১১ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সুমন চৌকিদার ওরফে সুমন মিয়া (৩৪), মো. মোস্তফা (৩২), মো. আরিফ হোসেন (৩৪), মো. পলাশ (৩২), মো. করিম (২৫), মো. হাসান (১৮), রিপন ওরফে আকাশ (২৪), জয়নাল আবেদিন (৩১), মো. ওমর ফারুক ফয়সাল (২০), রাসেল (২৪), মো. হাফিজুল ইসলাম (৩৩)। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, দুই রাউন্ড গুলি, বড় ছোরা, রামদা, দুটি চাপাতি, পাটের রশি, গামছা এবং পাঁচটি সিএনজি ও একটি পিকআপ ভ্যান উদ্ধার করা হয়। এ সকল গাড়ি তাঁরা বিভিন্ন সময় ডাকাতি করে নিজেরাই ব্যবহার করছিল।

হারুন অর রশিদ বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে একটি ডাকাত দল রাজধানীর লালবাগ, নারায়ণগঞ্জ, কেরানীগঞ্জ, সাভার, গাজীপুর এলাকায় আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে স্বর্ণের দোকান, বাস ও ট্রাকে ডাকাতি করে আসছিল। তাঁদের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি অভিযোগ আসে গোয়েন্দা পুলিশের হাতে। পরে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের লালবাগ বিভাগ অভিযান চালিয়ে বুধবার (২৭ জুলাই) ভোররাতে পুরান ঢাকার মিটফোর্ড এলাকা থেকে ডাকাতির প্রস্তুতির সময়ে অস্ত্রসহ ১১ জনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার চক্রের মূল হোতা সুমিন চৌকিদার ওরফে সুমন মিয়া ডাকাতি করতে গিয়ে একটি স্বর্ণের দোকানের কর্মচারীকে হত্যা করেছে। ডাকাত দলের প্রধান সুমনের বিরুদ্ধে হত্যা ডাকাতিসহ বিভিন্ন থানায় ১৬টি মামলা ও ৫টি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। পাশাপাশি গ্রেপ্তার দলের অন্য সদস্যদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডাকাতি ও হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। তাঁদের আদালতের মাধ্যমে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে বিস্তারিত পাওয়া যাবে।

ডাকাত দলগুলো কীভাবে বিদেশি অস্ত্র পাচ্ছে জানতে চাইলে ডিবি প্রধান বলেন, ‘তাঁরা অস্ত্র কীভাবে পেলেন জানার জন্য রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’

ডাকাত প্রতিরোধে থানা-পুলিশের পাশাপাশি ডিবি সতর্ক আছে জানিয়ে হারুন অর রশিদ বলেন, ‘গোয়েন্দা পুলিশসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে যাওয়া ডাকাত সরদাররা নতুন করে দল গোছায়। তাঁরা বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে নতুন নতুন সদস্যদের নিয়ে দল গড়ে আবারও ডাকাতি করছে। জেলে বসে বিভিন্ন অপরাধে বন্দী থাকা সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে। করোনার কারণে চাকরিতে বেতন কম, কিন্তু মাসে একটা ডাকাতি করলে তার চেয়ে বেশি টাকা পাওয়া যাবে এমন প্রলোভন দেখায়। গ্রেপ্তারকৃতদের পরবর্তী জিজ্ঞাসাবাদে জানা এ বিষয় বিস্তারিত জানা যাবে।

গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে ডিএমপির কোতোয়ালি থানায় দুটি ডাকাতি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

পাগল বেশে রাস্তায় মেয়েদের উত্ত্যক্ত করা কন্টেন্ট ক্রিয়েটর সম্পর্কে যা জানা গেল

হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজের উপাধ্যক্ষকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা

প্রধান উপদেষ্টার নতুন বিশেষ সহকারী কে এই আনিসুজ্জামান চৌধুরী

সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে জাতিসংঘের ফলকার তুর্কের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানাল আইএসপিআর

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত