Ajker Patrika

স্কুলছাত্রীকে বিবস্ত্র করে ছবি ধারণ: যুব মহিলা লীগ নেত্রীর বিরুদ্ধে চার্জশিট

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
Thumbnail image

এক কিশোরীকে অনৈতিক কাজে বাধ্য করতে না পেরে বিবস্ত্র করে ছবি ধারণ ও নির্যাতনের পর বাড়ির ছাদ থেকে ফেল দেন ঢাকা জেলা উত্তর যুব মহিলা লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহনাজ তাবাসসুম মিশু ও তার স্বামী আতিকুর রহমান। সম্প্রতি যুব মহিলা লীগ নেত্রী মিশু ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে আদালতে দাখিল করা অভিযোগপত্রে একথা উল্লেখ করা হয়েছে। 

ঘটনার পাঁচ মাস পর সম্প্রতি এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাভার থানার এসআই মো. জহুরুল ইসলাম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অতিরিক্ত পিপি আনোয়ারুল কবীর বাবুল অভিযোগপত্র দাখিলের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। 

মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, ওই কিশোরী মিশু ও তার স্বামীর বিভিন্ন কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তাকে প্রায়ই নির্যাতন করা হতো। মিশুর স্বামীও বিভিন্ন সময় কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হন। 

মামলার চার্জশিটে আরও বলা হয়েছে, পড়ালেখার কারণে মিশুদের বাসায় ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরী ভাড়াটিয়া হিসেবে একা থাকতো। মিশুর সঙ্গে তার পরিচয় ও সম্পর্ক গড়ে উঠে। এক পর্যায়ে মিশু তাকে প্রস্তাব দিয়ে বলেন যে, বড়লোকের ছেলেদের সঙ্গে মেলামেশা করলে অনেক টাকা পাওয়া যাবে। প্রস্তাবে রাজি না হলেও জোরপূর্বক তাকে বিভিন্ন ছেলেদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলতে বাধ্য করতেন। 

আসামি মিশু ও তার স্বামী আতিকুর রহমান ওই কিশোরীকে দিয়ে বিভিন্ন লোকদের সঙ্গে খারাপ কাজ করাতে না পারায় তারা প্রচুর মারধর করতেন। মাঝে মধ্যেই ভুক্তভোগীকে সিগারেটের আগুন দিয়ে ছ্যাকা দিতেন। আসামি আতিকুর রহমান বিভিন্ন সময় তাকে বিভিন্ন সময় জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করেন। কিশোরী যাতে কারোর সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারেন সেজন্য আসামি মিশু মোবাইল ফোন কেড়ে নেন। 

কিছু দিন পর গত বছরের ২৪ জুলাই মিশু ও তার স্বামী আতিকুর জোরপূর্বক ভুক্তভোগী কিশোরীর নগ্ন ছবি ধারণ করার চেষ্টা করেন। তখন কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন আসামি আতিকুর। পরদিন ২৫ জুলাই রাতে কিশোরীকে অপরিচিত ছেলেদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করার জন্য জোর করেন তারা। 

রাজি না হওয়ায় তখন আতিকুর সিগারেটের আগুন দিয়ে তাকে ছ্যাকা দেন এবং মারধর করেন। পরে মিশু ও আতিকুর ভোর ৬টায় কিশোরীকে হত্যার উদ্দেশ্যে বাসার ৫ম তলার বেলকুনি থেকে নিচে ফেলে দেন। ভুক্তভোগী বেঁচে গেলেও তার কোমরের হাড় ভেঙে যায়। 

স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। দীর্ঘদিন চিকিৎসা শেষে কিশোরী বাড়িতে ফেরার পর তার মা বাদী হয়ে গত বছর ১৯ আগস্ট সাভার থানায় মিশু ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। 

গত বছরের ১৯ আগস্ট সাভার উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন নিজ বাড়ি থেকে মিশুকে গ্রেপ্তার করা হয়। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। মিশু বর্তমানে উচ্চ আদালত থেকে জামিনে আছেন। তার স্বামী কারাগারে রয়েছেন। 

অতিরিক্ত পিপি আনোয়ারুল কবীর বাবুল বলেন, মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে করা এই মামলা বিচারের জন্য শিগগিরই স্থানান্তর হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ঋণের ১৩০০ কোটির এক টাকাও দেননি হলিডে ইনের মালিক

নারীদের খেলায় আর নাক গলাবে না, দেশ ও বিশ্ববাসীর কাছে ক্ষমা চাইল ভাঙচুরকারীরা

ইতালি নেওয়ার কথা বলে লিবিয়ায় ফরিদপুরের ২ জনকে গুলি করে হত্যা

গণ–সমাবেশে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিলেন বিএনপি নেতা

হেফাজতে যুবদল নেতার মৃত্যু, সেনা ক্যাম্প কমান্ডারকে প্রত্যাহার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত