Ajker Patrika

‘খাদ্য অধিকার নিশ্চিত করতে আইন প্রণয়ন জরুরি’

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আজ বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ’ নেটওয়ার্ক আয়োজিত ‘বাংলাদেশের দারিদ্র্য পরিস্থিতি এবং খাদ্য ব্যবস্থাপনায় চ্যালেঞ্জ ও করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা। ছবি: সংগৃহীত
আজ বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ’ নেটওয়ার্ক আয়োজিত ‘বাংলাদেশের দারিদ্র্য পরিস্থিতি এবং খাদ্য ব্যবস্থাপনায় চ্যালেঞ্জ ও করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা। ছবি: সংগৃহীত

অর্থনৈতিক সংকট ও উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর খাদ্যনিরাপত্তা চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে নিম্ন আয়ের পরিবারগুলোর দৈনন্দিন খাবারের তালিকা ছোট হয়ে আসছে। বর্তমানে প্রতি ১০টি নিম্ন আয়ের পরিবারের মধ্যে ছয়টি পরিবার পর্যাপ্ত খাবার খেতে পারছে না। এই পরিস্থিতিতে সামাজিক ও অর্থনৈতিক বৈষম্য নিরসনে এবং খাদ্য অধিকার নিশ্চিত করতে একটি আইন প্রণয়ন জরুরি।

আজ বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ’ নেটওয়ার্ক আয়োজিত ‘বাংলাদেশের দারিদ্র্য পরিস্থিতি এবং খাদ্য ব্যবস্থাপনায় চ্যালেঞ্জ ও করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব বলেন। ‘বিশ্ব খাদ্য দিবস-২০২৫’ উপলক্ষে নেটওয়ার্কের পক্ষ থেকে সারা দেশে সপ্তাহব্যাপী প্রচারাভিযান কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ সভা আয়োজন করা হয়।

খাদ্য অধিকার বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক ও ওয়েভ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মহসিন আলীর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. এম এম আকাশ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ মোহাম্মদ শাহান, সমাজসেবা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক শিলা রানী দাস, বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) গবেষণা পরিচালক ড. এস এম জুলফিকার আলী, ক্রিশ্চিয়ান এইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর নুজহাত জাবিন এবং ওয়েল্ট হাঙ্গার হিলফে (ডব্লিউএইচএইচ) বাংলাদেশের হেড অব প্রজেক্ট মো. মামুনুর রশিদ।

ড. এম এম আকাশ বলেন, ক্ষুধা, খাদ্য ও পুষ্টি—এ তিন বিষয়ের মধ্যে সূক্ষ্ম পার্থক্য রয়েছে। তবে খাদ্যনিরাপত্তার মূল সমস্যা হচ্ছে সুষম বণ্টনের অভাব। বিগত সরকারের লুটপাট ও দুর্নীতির কারণে খাদ্যের যথাযথ বণ্টনে অনেক সমস্যা ছিল। তাঁর মতে, শুধু উৎপাদন ও বণ্টন সুষম হলেই খাদ্যে সব মানুষের অভিগম্যতা নিশ্চিত করা সম্ভব। সর্বোপরি, খাদ্য অধিকার নিশ্চিতকরণে একটি আইন প্রণয়ন আশু প্রয়োজন। যেখানে দুটি পক্ষ থাকবে, একটি পক্ষ উপকারভোগী ও অপর পক্ষ ডিউটি বেয়ারার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে।

সভাপতির বক্তব্যে মহসিন আলী পার্শ্ববর্তী ভারত, পাকিস্তান, নেপালসহ অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের খাদ্য পরিস্থিতির তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরে বলেন, ‘আমাদের দেশের খাদ্য পরিস্থিতির উন্নয়নে ‘‘খাদ্য অধিকার আইন’’ প্রণয়নের কোনো বিকল্প নেই। খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক দীর্ঘদিন ধরে এ প্রক্রিয়া ত্বরান্বিতকরণে কাজ করে যাচ্ছে।’ এই আইন সুনির্দিষ্টভাবে প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে তিনি সব পক্ষকে সহযোগিতার আহ্বান জানান।

অধ্যাপক ড. আসিফ মোহাম্মদ শাহান বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী সরকার জনগণের খাদ্য অধিকার বাস্তবায়নের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। তিনি নগর দরিদ্রদের জন্য বিশেষ সুবিধার ব্যবস্থা রেখে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি পুনরায় পর্যালোচনার সুপারিশ করেন এবং ভবিষ্যৎ নীতিতে খাদ্য অধিকারকে অগ্রাধিকার দিতে রাজনৈতিক অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনার কথা বলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই সনদে স্বাক্ষর নিয়ে শেষ মুহূর্তে এসে অনিশ্চয়তা, সন্ধ্যায় ‘অতি জরুরি’ বৈঠক

ইতিহাসের সর্ববৃহৎ ক্রিপ্টো কেলেঙ্কারি, ১৪ বিলিয়ন ডলারের কয়েন জব্দ

আসামি গ্রেপ্তারে র‍্যাবকে ভুল তথ্য, বগুড়া ডিবির ওসিসহ ৩ কর্মকর্তা প্রত্যাহার

পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে হত্যা করে লাশ ফ্রিজে রাখেন নজরুল: পুলিশ

৬ মাসের সংসার, ৭ দিনের চাকরি—মর্গে নিথর স্বামী-স্ত্রীর লাশ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত