ঢাবি প্রতিনিধি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি মুছে ধর্ষণ ও নিপীড়নবিরোধী গ্রাফিতি অঙ্কনকারী দুই শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ বাতিলের দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক। আজ রোববার ‘বহিষ্কারাদেশ’ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে নেটওয়ার্কের ৫৮ শিক্ষক এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান।
শিক্ষকদের পক্ষে বিবৃতি দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপন ড. গীতি আরা নাসরীন।
৭ ফেব্রুয়ারি রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানবিকী অনুষদ ভবনের দেয়ালে পূর্বে আঁকা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি মুছে একটি ধর্ষণ ও নিপীড়নবিরোধী চিত্র অঙ্কন করেন ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের একাংশের নেতা-কর্মীরা। এ ঘটনায় ২০ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের এক সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি অমর্ত্য রায় ও সাধারণ সম্পাদক ঋদ্ধ অনিন্দ্য গাঙ্গুলীকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অমর্ত্য রায় ও ঋদ্ধ অনিন্দ্য গাঙ্গুলীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলাভবনের দেয়ালের একটি পুরোনো দেয়ালচিত্র মুছে ধর্ষণবিরোধী গ্রাফিতি অঙ্কনের অভিযোগে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এই বহিষ্কারাদেশ ও বহিষ্কারকরণ প্রক্রিয়ার আমরা (শিক্ষক নেটওয়ার্ক) তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোতে এমন অনানুষ্ঠানিক দেয়ালচিত্র অঙ্কন, তা মুছে ফেলে নতুন চিত্র অঙ্কন, পুরোনো বা ছেঁড়া পোস্টারের ওপরে নতুন পোস্টার সাঁটানো একটি নিত্য ঘটমান বাস্তবতা। সেই বাস্তবতায় এই দুজন ছাত্রনেতার একটি গ্রাফিতি অঙ্কনে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগে এক বছরের বহিষ্কারাদেশের মতো দণ্ড যুক্তিসংগত ও বোধগম্য নয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন উদ্দেশ্যমূলকভাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতো সম্মানীয় ব্যক্তিত্বের ইমেজকে এই ইস্যুতে ঢাল হিসেবে ‘ব্যবহার’ করার চেষ্টা করছে, যা অত্যন্ত লজ্জাজনক, বিব্রতকর ও নিন্দনীয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এই তদন্ত কমিটির প্রধান যে শিক্ষক, তিনি নিজেও বিভাগের সহকর্মীকে যৌন নিপীড়নের দায়ে অভিযুক্ত হয়ে নৈতিক স্খলনের দায়ে পদাবনতির মুখোমুখি হয়েছিলেন। এমন একজন ব্যক্তিকে এ ধরনের গুরুতর তদন্ত কমিটির প্রধান করায়, তদন্ত কমিটির নৈতিক অবস্থান নিয়েও স্বভাবতই প্রশ্ন এসে যায়। ফলে, তদন্ত কমিটির যেকোনো সুপারিশই আসলে প্রত্যাখ্যানযোগ্য।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন, উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক কাজী মারুফুল ইসলাম, ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তাসনীম সিরাজ মাহবুব, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোশাহিদা সুলতানা, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা, অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রুশাদ ফরিদী, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, সহযোগী অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক খান, সহযোগী অধ্যাপক কাজলী সেহরীন ইসলাম, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান, নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জোবাইদা নাসরীন, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম।
ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের প্রভাষক অলিউর সান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক আ-আল মামুন।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সৈয়দ মইনুল আলম নিজার, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক মো. মাসউদ ইমরান, নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মানস চৌধুরী, দর্শন বিভাগের অধ্যাপক রায়হান রাইন, নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মাহমুদুল সুমন, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক সুমন সাজ্জাদ, দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাহমুদা আকন্দ, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাবিকুন নাহার, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক পারভীন জলী,
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব জেনারেল এডুকেশন সহকারী অধ্যাপক সৌমিত জয়দ্বীপ, প্রভাষক মিম আরাফাত, স্কুল অব জেনারেল এডুকেশন সিনিয়র লেকচারার ইসমাইল সাদী, স্কুল অফ জেনারেল এডুকেশনের প্রভাষক আর এ এম হাসান তালুকদার, ইএসএস সহকারী অধ্যাপক শরৎ চৌধুরী।
স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শেখ নাহিদ নিয়াজী। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ইমরান কামাল, উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামজীর আহমেদ, ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মাহফুজ হাসান ভূঁইয়া, বাংলা বিভাগের সিনিয়র লেকচারার মিজানুর রহমান খান।
ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর আর্কিওলজিক্যাল স্টাডিজের প্রভাষক কাব্য কৃত্তিকা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আরাফাত রহমান। যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর এক্সপেরিমেন্টাল হিউম্যানিটিজ ভিজিটিং প্রফেসর ফাহমিদুল হক।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মির্জা তাসলিমা সুলতানা, নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাঈদ ফেরদৌস, নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আইনুন নাহার, নৃবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক সহযোগী অধ্যাপক সায়েমা খাতুন, নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রেজওয়ানা করিম স্নিগ্ধা, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক স্বাধীন সেন, অর্থনীতি বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মনিরুল ইসলাম, যুক্তরাষ্ট্রের সাউথ এশিয়ান ল্যাঙ্গুয়েজেস অ্যান্ড সিভিলাইজেশনস, ইউনিভার্সিটি অব শিকাগো পোস্ট-ডক্টরাল ফেলো তৈমুর রেজা। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোশরেকা অদিতি হক, ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জি এইচ হাবীব, সমাজতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাইদুল ইসলাম, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক সৌভিক রেজা, নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক খাদিজা মিতু, যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সায়মা আলম।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সৌম্য সরকার, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক অভিনু কিবরিয়া ইসলাম। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জাকিয়া সুলতানা মুক্তা, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জীবন কৃষ্ণ মোদক, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শাকিলা আলম।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি মুছে ধর্ষণ ও নিপীড়নবিরোধী গ্রাফিতি অঙ্কনকারী দুই শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ বাতিলের দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক। আজ রোববার ‘বহিষ্কারাদেশ’ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে নেটওয়ার্কের ৫৮ শিক্ষক এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান।
শিক্ষকদের পক্ষে বিবৃতি দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপন ড. গীতি আরা নাসরীন।
৭ ফেব্রুয়ারি রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানবিকী অনুষদ ভবনের দেয়ালে পূর্বে আঁকা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি মুছে একটি ধর্ষণ ও নিপীড়নবিরোধী চিত্র অঙ্কন করেন ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের একাংশের নেতা-কর্মীরা। এ ঘটনায় ২০ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের এক সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি অমর্ত্য রায় ও সাধারণ সম্পাদক ঋদ্ধ অনিন্দ্য গাঙ্গুলীকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অমর্ত্য রায় ও ঋদ্ধ অনিন্দ্য গাঙ্গুলীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলাভবনের দেয়ালের একটি পুরোনো দেয়ালচিত্র মুছে ধর্ষণবিরোধী গ্রাফিতি অঙ্কনের অভিযোগে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এই বহিষ্কারাদেশ ও বহিষ্কারকরণ প্রক্রিয়ার আমরা (শিক্ষক নেটওয়ার্ক) তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোতে এমন অনানুষ্ঠানিক দেয়ালচিত্র অঙ্কন, তা মুছে ফেলে নতুন চিত্র অঙ্কন, পুরোনো বা ছেঁড়া পোস্টারের ওপরে নতুন পোস্টার সাঁটানো একটি নিত্য ঘটমান বাস্তবতা। সেই বাস্তবতায় এই দুজন ছাত্রনেতার একটি গ্রাফিতি অঙ্কনে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগে এক বছরের বহিষ্কারাদেশের মতো দণ্ড যুক্তিসংগত ও বোধগম্য নয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন উদ্দেশ্যমূলকভাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতো সম্মানীয় ব্যক্তিত্বের ইমেজকে এই ইস্যুতে ঢাল হিসেবে ‘ব্যবহার’ করার চেষ্টা করছে, যা অত্যন্ত লজ্জাজনক, বিব্রতকর ও নিন্দনীয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এই তদন্ত কমিটির প্রধান যে শিক্ষক, তিনি নিজেও বিভাগের সহকর্মীকে যৌন নিপীড়নের দায়ে অভিযুক্ত হয়ে নৈতিক স্খলনের দায়ে পদাবনতির মুখোমুখি হয়েছিলেন। এমন একজন ব্যক্তিকে এ ধরনের গুরুতর তদন্ত কমিটির প্রধান করায়, তদন্ত কমিটির নৈতিক অবস্থান নিয়েও স্বভাবতই প্রশ্ন এসে যায়। ফলে, তদন্ত কমিটির যেকোনো সুপারিশই আসলে প্রত্যাখ্যানযোগ্য।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন, উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক কাজী মারুফুল ইসলাম, ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তাসনীম সিরাজ মাহবুব, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোশাহিদা সুলতানা, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা, অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রুশাদ ফরিদী, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, সহযোগী অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক খান, সহযোগী অধ্যাপক কাজলী সেহরীন ইসলাম, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান, নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জোবাইদা নাসরীন, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম।
ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের প্রভাষক অলিউর সান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক আ-আল মামুন।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সৈয়দ মইনুল আলম নিজার, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক মো. মাসউদ ইমরান, নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মানস চৌধুরী, দর্শন বিভাগের অধ্যাপক রায়হান রাইন, নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মাহমুদুল সুমন, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক সুমন সাজ্জাদ, দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাহমুদা আকন্দ, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাবিকুন নাহার, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক পারভীন জলী,
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব জেনারেল এডুকেশন সহকারী অধ্যাপক সৌমিত জয়দ্বীপ, প্রভাষক মিম আরাফাত, স্কুল অব জেনারেল এডুকেশন সিনিয়র লেকচারার ইসমাইল সাদী, স্কুল অফ জেনারেল এডুকেশনের প্রভাষক আর এ এম হাসান তালুকদার, ইএসএস সহকারী অধ্যাপক শরৎ চৌধুরী।
স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শেখ নাহিদ নিয়াজী। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ইমরান কামাল, উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামজীর আহমেদ, ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মাহফুজ হাসান ভূঁইয়া, বাংলা বিভাগের সিনিয়র লেকচারার মিজানুর রহমান খান।
ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর আর্কিওলজিক্যাল স্টাডিজের প্রভাষক কাব্য কৃত্তিকা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আরাফাত রহমান। যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর এক্সপেরিমেন্টাল হিউম্যানিটিজ ভিজিটিং প্রফেসর ফাহমিদুল হক।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মির্জা তাসলিমা সুলতানা, নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাঈদ ফেরদৌস, নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আইনুন নাহার, নৃবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক সহযোগী অধ্যাপক সায়েমা খাতুন, নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রেজওয়ানা করিম স্নিগ্ধা, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক স্বাধীন সেন, অর্থনীতি বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মনিরুল ইসলাম, যুক্তরাষ্ট্রের সাউথ এশিয়ান ল্যাঙ্গুয়েজেস অ্যান্ড সিভিলাইজেশনস, ইউনিভার্সিটি অব শিকাগো পোস্ট-ডক্টরাল ফেলো তৈমুর রেজা। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোশরেকা অদিতি হক, ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জি এইচ হাবীব, সমাজতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাইদুল ইসলাম, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক সৌভিক রেজা, নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক খাদিজা মিতু, যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সায়মা আলম।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সৌম্য সরকার, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক অভিনু কিবরিয়া ইসলাম। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জাকিয়া সুলতানা মুক্তা, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জীবন কৃষ্ণ মোদক, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শাকিলা আলম।
ঢাবি প্রতিনিধি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি মুছে ধর্ষণ ও নিপীড়নবিরোধী গ্রাফিতি অঙ্কনকারী দুই শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ বাতিলের দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক। আজ রোববার ‘বহিষ্কারাদেশ’ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে নেটওয়ার্কের ৫৮ শিক্ষক এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান।
শিক্ষকদের পক্ষে বিবৃতি দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপন ড. গীতি আরা নাসরীন।
৭ ফেব্রুয়ারি রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানবিকী অনুষদ ভবনের দেয়ালে পূর্বে আঁকা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি মুছে একটি ধর্ষণ ও নিপীড়নবিরোধী চিত্র অঙ্কন করেন ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের একাংশের নেতা-কর্মীরা। এ ঘটনায় ২০ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের এক সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি অমর্ত্য রায় ও সাধারণ সম্পাদক ঋদ্ধ অনিন্দ্য গাঙ্গুলীকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অমর্ত্য রায় ও ঋদ্ধ অনিন্দ্য গাঙ্গুলীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলাভবনের দেয়ালের একটি পুরোনো দেয়ালচিত্র মুছে ধর্ষণবিরোধী গ্রাফিতি অঙ্কনের অভিযোগে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এই বহিষ্কারাদেশ ও বহিষ্কারকরণ প্রক্রিয়ার আমরা (শিক্ষক নেটওয়ার্ক) তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোতে এমন অনানুষ্ঠানিক দেয়ালচিত্র অঙ্কন, তা মুছে ফেলে নতুন চিত্র অঙ্কন, পুরোনো বা ছেঁড়া পোস্টারের ওপরে নতুন পোস্টার সাঁটানো একটি নিত্য ঘটমান বাস্তবতা। সেই বাস্তবতায় এই দুজন ছাত্রনেতার একটি গ্রাফিতি অঙ্কনে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগে এক বছরের বহিষ্কারাদেশের মতো দণ্ড যুক্তিসংগত ও বোধগম্য নয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন উদ্দেশ্যমূলকভাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতো সম্মানীয় ব্যক্তিত্বের ইমেজকে এই ইস্যুতে ঢাল হিসেবে ‘ব্যবহার’ করার চেষ্টা করছে, যা অত্যন্ত লজ্জাজনক, বিব্রতকর ও নিন্দনীয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এই তদন্ত কমিটির প্রধান যে শিক্ষক, তিনি নিজেও বিভাগের সহকর্মীকে যৌন নিপীড়নের দায়ে অভিযুক্ত হয়ে নৈতিক স্খলনের দায়ে পদাবনতির মুখোমুখি হয়েছিলেন। এমন একজন ব্যক্তিকে এ ধরনের গুরুতর তদন্ত কমিটির প্রধান করায়, তদন্ত কমিটির নৈতিক অবস্থান নিয়েও স্বভাবতই প্রশ্ন এসে যায়। ফলে, তদন্ত কমিটির যেকোনো সুপারিশই আসলে প্রত্যাখ্যানযোগ্য।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন, উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক কাজী মারুফুল ইসলাম, ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তাসনীম সিরাজ মাহবুব, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোশাহিদা সুলতানা, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা, অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রুশাদ ফরিদী, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, সহযোগী অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক খান, সহযোগী অধ্যাপক কাজলী সেহরীন ইসলাম, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান, নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জোবাইদা নাসরীন, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম।
ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের প্রভাষক অলিউর সান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক আ-আল মামুন।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সৈয়দ মইনুল আলম নিজার, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক মো. মাসউদ ইমরান, নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মানস চৌধুরী, দর্শন বিভাগের অধ্যাপক রায়হান রাইন, নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মাহমুদুল সুমন, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক সুমন সাজ্জাদ, দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাহমুদা আকন্দ, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাবিকুন নাহার, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক পারভীন জলী,
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব জেনারেল এডুকেশন সহকারী অধ্যাপক সৌমিত জয়দ্বীপ, প্রভাষক মিম আরাফাত, স্কুল অব জেনারেল এডুকেশন সিনিয়র লেকচারার ইসমাইল সাদী, স্কুল অফ জেনারেল এডুকেশনের প্রভাষক আর এ এম হাসান তালুকদার, ইএসএস সহকারী অধ্যাপক শরৎ চৌধুরী।
স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শেখ নাহিদ নিয়াজী। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ইমরান কামাল, উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামজীর আহমেদ, ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মাহফুজ হাসান ভূঁইয়া, বাংলা বিভাগের সিনিয়র লেকচারার মিজানুর রহমান খান।
ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর আর্কিওলজিক্যাল স্টাডিজের প্রভাষক কাব্য কৃত্তিকা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আরাফাত রহমান। যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর এক্সপেরিমেন্টাল হিউম্যানিটিজ ভিজিটিং প্রফেসর ফাহমিদুল হক।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মির্জা তাসলিমা সুলতানা, নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাঈদ ফেরদৌস, নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আইনুন নাহার, নৃবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক সহযোগী অধ্যাপক সায়েমা খাতুন, নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রেজওয়ানা করিম স্নিগ্ধা, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক স্বাধীন সেন, অর্থনীতি বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মনিরুল ইসলাম, যুক্তরাষ্ট্রের সাউথ এশিয়ান ল্যাঙ্গুয়েজেস অ্যান্ড সিভিলাইজেশনস, ইউনিভার্সিটি অব শিকাগো পোস্ট-ডক্টরাল ফেলো তৈমুর রেজা। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোশরেকা অদিতি হক, ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জি এইচ হাবীব, সমাজতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাইদুল ইসলাম, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক সৌভিক রেজা, নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক খাদিজা মিতু, যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সায়মা আলম।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সৌম্য সরকার, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক অভিনু কিবরিয়া ইসলাম। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জাকিয়া সুলতানা মুক্তা, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জীবন কৃষ্ণ মোদক, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শাকিলা আলম।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি মুছে ধর্ষণ ও নিপীড়নবিরোধী গ্রাফিতি অঙ্কনকারী দুই শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ বাতিলের দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক। আজ রোববার ‘বহিষ্কারাদেশ’ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে নেটওয়ার্কের ৫৮ শিক্ষক এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান।
শিক্ষকদের পক্ষে বিবৃতি দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপন ড. গীতি আরা নাসরীন।
৭ ফেব্রুয়ারি রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানবিকী অনুষদ ভবনের দেয়ালে পূর্বে আঁকা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি মুছে একটি ধর্ষণ ও নিপীড়নবিরোধী চিত্র অঙ্কন করেন ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের একাংশের নেতা-কর্মীরা। এ ঘটনায় ২০ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের এক সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি অমর্ত্য রায় ও সাধারণ সম্পাদক ঋদ্ধ অনিন্দ্য গাঙ্গুলীকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অমর্ত্য রায় ও ঋদ্ধ অনিন্দ্য গাঙ্গুলীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলাভবনের দেয়ালের একটি পুরোনো দেয়ালচিত্র মুছে ধর্ষণবিরোধী গ্রাফিতি অঙ্কনের অভিযোগে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এই বহিষ্কারাদেশ ও বহিষ্কারকরণ প্রক্রিয়ার আমরা (শিক্ষক নেটওয়ার্ক) তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোতে এমন অনানুষ্ঠানিক দেয়ালচিত্র অঙ্কন, তা মুছে ফেলে নতুন চিত্র অঙ্কন, পুরোনো বা ছেঁড়া পোস্টারের ওপরে নতুন পোস্টার সাঁটানো একটি নিত্য ঘটমান বাস্তবতা। সেই বাস্তবতায় এই দুজন ছাত্রনেতার একটি গ্রাফিতি অঙ্কনে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগে এক বছরের বহিষ্কারাদেশের মতো দণ্ড যুক্তিসংগত ও বোধগম্য নয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন উদ্দেশ্যমূলকভাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতো সম্মানীয় ব্যক্তিত্বের ইমেজকে এই ইস্যুতে ঢাল হিসেবে ‘ব্যবহার’ করার চেষ্টা করছে, যা অত্যন্ত লজ্জাজনক, বিব্রতকর ও নিন্দনীয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এই তদন্ত কমিটির প্রধান যে শিক্ষক, তিনি নিজেও বিভাগের সহকর্মীকে যৌন নিপীড়নের দায়ে অভিযুক্ত হয়ে নৈতিক স্খলনের দায়ে পদাবনতির মুখোমুখি হয়েছিলেন। এমন একজন ব্যক্তিকে এ ধরনের গুরুতর তদন্ত কমিটির প্রধান করায়, তদন্ত কমিটির নৈতিক অবস্থান নিয়েও স্বভাবতই প্রশ্ন এসে যায়। ফলে, তদন্ত কমিটির যেকোনো সুপারিশই আসলে প্রত্যাখ্যানযোগ্য।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন, উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক কাজী মারুফুল ইসলাম, ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তাসনীম সিরাজ মাহবুব, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোশাহিদা সুলতানা, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা, অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রুশাদ ফরিদী, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, সহযোগী অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক খান, সহযোগী অধ্যাপক কাজলী সেহরীন ইসলাম, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান, নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জোবাইদা নাসরীন, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম।
ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের প্রভাষক অলিউর সান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক আ-আল মামুন।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সৈয়দ মইনুল আলম নিজার, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক মো. মাসউদ ইমরান, নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মানস চৌধুরী, দর্শন বিভাগের অধ্যাপক রায়হান রাইন, নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মাহমুদুল সুমন, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক সুমন সাজ্জাদ, দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাহমুদা আকন্দ, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাবিকুন নাহার, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক পারভীন জলী,
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব জেনারেল এডুকেশন সহকারী অধ্যাপক সৌমিত জয়দ্বীপ, প্রভাষক মিম আরাফাত, স্কুল অব জেনারেল এডুকেশন সিনিয়র লেকচারার ইসমাইল সাদী, স্কুল অফ জেনারেল এডুকেশনের প্রভাষক আর এ এম হাসান তালুকদার, ইএসএস সহকারী অধ্যাপক শরৎ চৌধুরী।
স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শেখ নাহিদ নিয়াজী। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ইমরান কামাল, উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামজীর আহমেদ, ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মাহফুজ হাসান ভূঁইয়া, বাংলা বিভাগের সিনিয়র লেকচারার মিজানুর রহমান খান।
ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর আর্কিওলজিক্যাল স্টাডিজের প্রভাষক কাব্য কৃত্তিকা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আরাফাত রহমান। যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর এক্সপেরিমেন্টাল হিউম্যানিটিজ ভিজিটিং প্রফেসর ফাহমিদুল হক।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মির্জা তাসলিমা সুলতানা, নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাঈদ ফেরদৌস, নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আইনুন নাহার, নৃবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক সহযোগী অধ্যাপক সায়েমা খাতুন, নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রেজওয়ানা করিম স্নিগ্ধা, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক স্বাধীন সেন, অর্থনীতি বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মনিরুল ইসলাম, যুক্তরাষ্ট্রের সাউথ এশিয়ান ল্যাঙ্গুয়েজেস অ্যান্ড সিভিলাইজেশনস, ইউনিভার্সিটি অব শিকাগো পোস্ট-ডক্টরাল ফেলো তৈমুর রেজা। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোশরেকা অদিতি হক, ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জি এইচ হাবীব, সমাজতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাইদুল ইসলাম, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক সৌভিক রেজা, নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক খাদিজা মিতু, যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সায়মা আলম।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সৌম্য সরকার, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক অভিনু কিবরিয়া ইসলাম। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জাকিয়া সুলতানা মুক্তা, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জীবন কৃষ্ণ মোদক, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শাকিলা আলম।

চট্টগ্রামের আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও যুবদলের নেতা-কর্মীসহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন এক নারী। এতে তিনি পুলিশের বিরুদ্ধে তাঁর ছেলেকে হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যু আইনে এবং অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ করেন। আজ সোমবার চট্টগ্রাম মহানগর ও দায়রা জজ আদালতে মামলাটি...
১৪ মিনিট আগে
জামায়াতের আমির শফিকুর রহমানের বক্তব্যের একটি ফটোকার্ড শেয়ার করা হয়। বক্তব্যটি ছিল—‘সনদ স্বাক্ষরের দিনেও জুলাই যোদ্ধাদের আবার আন্দোলনে নামতে হয়েছে, এটা লজ্জাজনক।’ ওই কার্ডের নিচে ওসি আমিরুল ইসলাম মুরাদ মন্তব্য করেন, ‘আগে গণভোট দরকার যে স্বাধীনতা বিরোধীরা এ দেশে রাজনীতি করার অধিকার আছে কি না?’
২২ মিনিট আগে
নাটোর সদরের হালসা বাজারে ইজারার টাকা ভাগাভাগি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে পাঁচজন আহত হয়েছেন। আজ সোমবার বিকেলে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, হালসা বাজারের ইজারার টাকা ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে দুই ভাই হালসা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজেদ মণ্ডল ও হালসা ইউনিয়নের ৯ নম্বর...
২৯ মিনিট আগে
হতাহত ব্যক্তিদের পরিবারের দাবি, চরাঞ্চলে জমির দখল ঘিরে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার কথিত ‘কাকন বাহিনী’র লোকজন হামলার ঘটনা ঘটিয়েছেন। লোকজন নিয়ে চর এলাকায় আগাছা পরিষ্কার করার সময় কাকন বাহিনীর লোকজন সেই জমি দখল নিতে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকেন।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামের আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও যুবদলের নেতা-কর্মীসহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন এক নারী। এতে তিনি পুলিশের বিরুদ্ধে তাঁর ছেলেকে হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যু আইনে এবং অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ করেন।
আজ সোমবার চট্টগ্রাম মহানগর ও দায়রা জজ আদালতে মামলাটি করেন সাজু বেগম নামের ওই নারী। তিনি আকবর শাহ থানার বিশ্ব কলোনির বাসিন্দা এবং মারা যাওয়া ওই যুবকের মা বলে জানিয়েছেন।
মামলায় অভিযুক্ত চার পুলিশ সদস্য হলেন চট্টগ্রামের আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুর রহমান, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সাইফ উল্লাহ, কনস্টেবল নুর মোহাম্মদ শাহাদাত ও সোহেল চাকমা। এজাহারে উল্লিখিত অন্য অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন আকবর শাহ থানা এলাকার জহুরুল ইসলাম লিটন, মো. রিপন, রুবেল, সুমন পারভেজ ও বিপ্লব। তাঁরা আকবর শাহ থানা যুবদলের নেতা-কর্মী বলে জানা গেছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা ১৫-২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
বাদীপক্ষের আইনজীবী আসাদুল আলম সালেক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যাসহ দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় এবং হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যু আইনে অভিযোগ আনা হয়েছে। আদালত শুনানি শেষে মামলাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দিয়েছেন।’
মামলার আরজিতে বলা হয়, বাদী পরিবারসহ বিশ্ব কলোনি এম-ব্লকে ভাড়া বাসায় থাকেন। তাঁর স্বামী পেশায় রিকশাচালক। তাঁদের একমাত্র সন্তান রাকিব হোসেনকে (২১) ২ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে বিভিন্ন সময় হুমকি দিয়ে আসছিলেন আসামিরা। ১৬ অক্টোবর আসামি স্থানীয় পাঁচজন যুবক পুনরায় বাদীর ছেলে রাকিবের কাছে চাঁদা দাবি করেন। এ সময় চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে আসামিরা তাঁকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ওই এলাকার একটি মার্কেটের অফিসে নিয়ে যান। অফিসটি আসামি জহুরুল ইসলাম লিটনের।
বাদী উল্লেখ করেন, রাকিবকে সেখানে দড়ি দিয়ে বেঁধে হকিস্টিক, হাতুড়ি ও লোহার রড দিয়ে আঘাত করা হয়। খবর পেয়ে রাকিবের বাবা ঘটনাস্থলে ছুটে গেলে তাঁকেও মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। পরে জহিরুল ইসলাম লিটন থানায় ফোন কল করে ঘটনাস্থলে পুলিশ এনে রাকিবকে তাঁদের হাতে তুলে দেন।
আরজিতে আরও বলা হয়, রাকিবকে আকবর শাহ থানায় নিয়ে যাওয়ার পর পুলিশ সেখানে আরেক দফায় শারীরিক নির্যাতন চালায়। পরে থানা-পুলিশ তাঁকে নন-এফআইআর মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করে। ওই দিন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের একটি আদালত রাকিবকে দুই হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে পাঁচ দিনের কারাদণ্ড দেন। কিন্তু রাকিবের পক্ষে জরিমানার টাকা না দিতে পারায় তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।
বাদীর অভিযোগ, কারাগারে থাকা অবস্থায় রাকিব অসুস্থ হয়ে পড়লে কারা কর্তৃপক্ষ তাঁর মা-বাবাকে খবর দেয়। পরে ১৮ অক্টোবর চট্টগ্রাম কারাগার থেকে তাঁকে চমেক হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে ২১ অক্টোবর চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাকিব মারা যান। তাঁকে আটকের আগে নির্যাতন ও আহত হওয়ার কোনো তথ্য আদালতে উত্থাপন করেনি পুলিশ।
আকবর শাহ থানার ওসির মোবাইল ফোনে কল করা হলে অন্য প্রান্ত থেকে থানার ডিউটি অফিসার পরিচয়ে আরেকজন ধরেন। মামলার বিষয়ে তাঁর কাছে জানতে চাইলে বলেন, ‘মামলার বিষয়টি জানা আছে। এখন ওসি মহোদয় মিটিংয়ে আছেন, কথা বলা যাবে না।’
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের (সিএমপি) পশ্চিম জোনের উপকমিশনার (ডিসি) হোসাইন মোহাম্মদ কবির ভূঁইয়া বলেন, ‘মামলার বিষয়টি আপনার কাছ থেকে শুনেছি। তবে ওই যুবক কারাগারে থাকা অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং পরে সেখানে তিনি কোনো কারণে মারা যান।’ তিনি আরও বলেন, ‘পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারের পর কাস্টডি বা হেফাজতে থাকা অবস্থায় কিন্তু ওই যুবকের মৃত্যু ঘটেনি। তাই মামলায় হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যু আইনে পুলিশের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা এক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। এরপরও ঘটনার বিষয়ে আমরা তদন্ত করে দেখব।’

চট্টগ্রামের আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও যুবদলের নেতা-কর্মীসহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন এক নারী। এতে তিনি পুলিশের বিরুদ্ধে তাঁর ছেলেকে হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যু আইনে এবং অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ করেন।
আজ সোমবার চট্টগ্রাম মহানগর ও দায়রা জজ আদালতে মামলাটি করেন সাজু বেগম নামের ওই নারী। তিনি আকবর শাহ থানার বিশ্ব কলোনির বাসিন্দা এবং মারা যাওয়া ওই যুবকের মা বলে জানিয়েছেন।
মামলায় অভিযুক্ত চার পুলিশ সদস্য হলেন চট্টগ্রামের আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুর রহমান, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সাইফ উল্লাহ, কনস্টেবল নুর মোহাম্মদ শাহাদাত ও সোহেল চাকমা। এজাহারে উল্লিখিত অন্য অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন আকবর শাহ থানা এলাকার জহুরুল ইসলাম লিটন, মো. রিপন, রুবেল, সুমন পারভেজ ও বিপ্লব। তাঁরা আকবর শাহ থানা যুবদলের নেতা-কর্মী বলে জানা গেছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা ১৫-২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
বাদীপক্ষের আইনজীবী আসাদুল আলম সালেক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যাসহ দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় এবং হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যু আইনে অভিযোগ আনা হয়েছে। আদালত শুনানি শেষে মামলাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দিয়েছেন।’
মামলার আরজিতে বলা হয়, বাদী পরিবারসহ বিশ্ব কলোনি এম-ব্লকে ভাড়া বাসায় থাকেন। তাঁর স্বামী পেশায় রিকশাচালক। তাঁদের একমাত্র সন্তান রাকিব হোসেনকে (২১) ২ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে বিভিন্ন সময় হুমকি দিয়ে আসছিলেন আসামিরা। ১৬ অক্টোবর আসামি স্থানীয় পাঁচজন যুবক পুনরায় বাদীর ছেলে রাকিবের কাছে চাঁদা দাবি করেন। এ সময় চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে আসামিরা তাঁকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ওই এলাকার একটি মার্কেটের অফিসে নিয়ে যান। অফিসটি আসামি জহুরুল ইসলাম লিটনের।
বাদী উল্লেখ করেন, রাকিবকে সেখানে দড়ি দিয়ে বেঁধে হকিস্টিক, হাতুড়ি ও লোহার রড দিয়ে আঘাত করা হয়। খবর পেয়ে রাকিবের বাবা ঘটনাস্থলে ছুটে গেলে তাঁকেও মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। পরে জহিরুল ইসলাম লিটন থানায় ফোন কল করে ঘটনাস্থলে পুলিশ এনে রাকিবকে তাঁদের হাতে তুলে দেন।
আরজিতে আরও বলা হয়, রাকিবকে আকবর শাহ থানায় নিয়ে যাওয়ার পর পুলিশ সেখানে আরেক দফায় শারীরিক নির্যাতন চালায়। পরে থানা-পুলিশ তাঁকে নন-এফআইআর মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করে। ওই দিন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের একটি আদালত রাকিবকে দুই হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে পাঁচ দিনের কারাদণ্ড দেন। কিন্তু রাকিবের পক্ষে জরিমানার টাকা না দিতে পারায় তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।
বাদীর অভিযোগ, কারাগারে থাকা অবস্থায় রাকিব অসুস্থ হয়ে পড়লে কারা কর্তৃপক্ষ তাঁর মা-বাবাকে খবর দেয়। পরে ১৮ অক্টোবর চট্টগ্রাম কারাগার থেকে তাঁকে চমেক হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে ২১ অক্টোবর চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাকিব মারা যান। তাঁকে আটকের আগে নির্যাতন ও আহত হওয়ার কোনো তথ্য আদালতে উত্থাপন করেনি পুলিশ।
আকবর শাহ থানার ওসির মোবাইল ফোনে কল করা হলে অন্য প্রান্ত থেকে থানার ডিউটি অফিসার পরিচয়ে আরেকজন ধরেন। মামলার বিষয়ে তাঁর কাছে জানতে চাইলে বলেন, ‘মামলার বিষয়টি জানা আছে। এখন ওসি মহোদয় মিটিংয়ে আছেন, কথা বলা যাবে না।’
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের (সিএমপি) পশ্চিম জোনের উপকমিশনার (ডিসি) হোসাইন মোহাম্মদ কবির ভূঁইয়া বলেন, ‘মামলার বিষয়টি আপনার কাছ থেকে শুনেছি। তবে ওই যুবক কারাগারে থাকা অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং পরে সেখানে তিনি কোনো কারণে মারা যান।’ তিনি আরও বলেন, ‘পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারের পর কাস্টডি বা হেফাজতে থাকা অবস্থায় কিন্তু ওই যুবকের মৃত্যু ঘটেনি। তাই মামলায় হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যু আইনে পুলিশের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা এক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। এরপরও ঘটনার বিষয়ে আমরা তদন্ত করে দেখব।’

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি মুছে ধর্ষণ ও নিপীড়নবিরোধী গ্রাফিতি অঙ্কনকারী দুই শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ বাতিলের দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক। আজ রোববার ‘বহিষ্কারাদেশ’ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে নেটওয়ার্কের ৫৮ শিক্ষক এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান।
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
জামায়াতের আমির শফিকুর রহমানের বক্তব্যের একটি ফটোকার্ড শেয়ার করা হয়। বক্তব্যটি ছিল—‘সনদ স্বাক্ষরের দিনেও জুলাই যোদ্ধাদের আবার আন্দোলনে নামতে হয়েছে, এটা লজ্জাজনক।’ ওই কার্ডের নিচে ওসি আমিরুল ইসলাম মুরাদ মন্তব্য করেন, ‘আগে গণভোট দরকার যে স্বাধীনতা বিরোধীরা এ দেশে রাজনীতি করার অধিকার আছে কি না?’
২২ মিনিট আগে
নাটোর সদরের হালসা বাজারে ইজারার টাকা ভাগাভাগি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে পাঁচজন আহত হয়েছেন। আজ সোমবার বিকেলে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, হালসা বাজারের ইজারার টাকা ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে দুই ভাই হালসা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজেদ মণ্ডল ও হালসা ইউনিয়নের ৯ নম্বর...
২৯ মিনিট আগে
হতাহত ব্যক্তিদের পরিবারের দাবি, চরাঞ্চলে জমির দখল ঘিরে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার কথিত ‘কাকন বাহিনী’র লোকজন হামলার ঘটনা ঘটিয়েছেন। লোকজন নিয়ে চর এলাকায় আগাছা পরিষ্কার করার সময় কাকন বাহিনীর লোকজন সেই জমি দখল নিতে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকেন।
১ ঘণ্টা আগেগাজীপুর প্রতিনিধি

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে জামায়াতের রাজনীতি নিয়ে মন্তব্য করে তোপের মুখে পড়েছেন গাজীপুরের পুবাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিরুল ইসলাম মুরাদ। এ মন্তব্যের জন্য তাঁর বিচারের দাবি জানিয়ে পুলিশ কমিশনারের কাছে ২০ অক্টোবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে দলটি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার (ভারপ্রাপ্ত) জাহিদুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জামায়াতের পক্ষ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটি একজন এডিসিকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমরা বিষয়টি যাচাই-বাছাই করে দেখছি, সত্যতা প্রমাণ পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যমুনা টেলিভিশনের পেজ থেকে জামায়াতের আমির শফিকুর রহমানের বক্তব্যের একটি ফটোকার্ড শেয়ার করা হয়। বক্তব্যটি ছিল—‘সনদ স্বাক্ষরের দিনেও জুলাই যোদ্ধাদের আবার আন্দোলনে নামতে হয়েছে, এটা লজ্জাজনক।’ ওই কার্ডের নিচে ওসি আমিরুল ইসলাম মুরাদ মন্তব্য করেন, ‘আগে গণভোট দরকার যে স্বাধীনতা বিরোধীরা এ দেশে রাজনীতি করার অধিকার আছে কি না?’
এ মন্তব্যের জেরে পুবাইল থানার ওসির বিচারের দাবিতে পুলিশ কমিশনারের কাছে ২০ অক্টোবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার বরাবর আরও একটি অভিযোগ দেন গাজীপুর নগর জামায়াতের মজলিশে শুরার সদস্য অধ্যাপক মো. আমজাদ হোসেন খান।
এতে তিনি পুবাইল থানার ওসি বিধিবহির্ভূত পন্থায় রাজনৈতিক দলকে হেয় করার জন্য বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন।
অভিযোগে বলা হয়েছে, ‘পুবাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিরুল ইসলাম মুরাদ পুবাইল থানায় যোগদানের পর থেকে একটি রাজনৈতিক দলের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন এবং আমাদের রাজনৈতিক দল ও নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়ে আসছেন। আমরা ব্যক্তিগতভাবে তার শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবে অনেকবার পরামর্শ দিয়েছি—রাজনৈতিক দলের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ না করার এবং কোনো রাজনৈতিক বক্তব্য না দেওয়ার জন্য।

‘তদুপরি তিনি নির্দিষ্ট একটি দলের কর্মসূচি ও অনুষ্ঠানে নিজে যোগদান করে ও অপ্রয়োজনে নেতাদের পুলিশ প্রটোকল দিয়ে যাচ্ছেন। সম্প্রতি তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের একটি বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে মন্তব্য করেছেন—জামায়াতের লোকেরা স্বাধীনতাবিরোধী এবং তাদের বাংলাদেশে রাজনীতি করার অধিকার আছে কি না, সেটার জন্য গণভোটও হওয়া প্রয়োজন।
‘এ ধরনের ধৃষ্টতাপূর্ণ ও রাজনৈতিক বক্তব্য পুলিশ প্রশাসনের জন্য মারাত্মক শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণ। আমরা পুবাইলবাসীর পক্ষ থেকে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রত্যাশা করছি। শুধু বর্তমান স্থান থেকে বদলি নয়, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া প্রয়োজন। তার এই বক্তব্য পুবাইলবাসীকে মারাত্মকভাবে ক্ষুব্ধ ও আহত করেছে। এমতাবস্থায় তার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।’
জানতে চাইলে পুবাইল থানা জামায়াতের আমির আশরাফ আলী কাজল বলেন, ‘একজন সরকারি কর্মকর্তা হয়ে তিনি এ ধরনের মন্তব্য করতে পারেন না। এ জন্য আমরা কমিশনার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছি।’
এ বিষয়ে অভিযুক্ত পুবাইল থানার ওসি আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি আমার আইডি থেকে এই মন্তব্য করিনি। এটি তদন্ত চলছে, তদন্তে যদি প্রমাণিত হয়, আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবে, আমার এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য নেই।’
আর একটি বিশেষ দলকে সুবিধা দেওয়ার বিষয়ে ওসি বলেন, ‘গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি ফজলুল হক মিলন সম্প্রতি কয়েকটি পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে আসেন, আমি পূজামণ্ডপের নিরাপত্তা দিতে সেখানে উপস্থিত ছিলাম। সেটা কোনো রাজনৈতিক প্রোগ্রাম ছিল না।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে জামায়াতের রাজনীতি নিয়ে মন্তব্য করে তোপের মুখে পড়েছেন গাজীপুরের পুবাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিরুল ইসলাম মুরাদ। এ মন্তব্যের জন্য তাঁর বিচারের দাবি জানিয়ে পুলিশ কমিশনারের কাছে ২০ অক্টোবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে দলটি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার (ভারপ্রাপ্ত) জাহিদুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জামায়াতের পক্ষ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটি একজন এডিসিকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমরা বিষয়টি যাচাই-বাছাই করে দেখছি, সত্যতা প্রমাণ পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যমুনা টেলিভিশনের পেজ থেকে জামায়াতের আমির শফিকুর রহমানের বক্তব্যের একটি ফটোকার্ড শেয়ার করা হয়। বক্তব্যটি ছিল—‘সনদ স্বাক্ষরের দিনেও জুলাই যোদ্ধাদের আবার আন্দোলনে নামতে হয়েছে, এটা লজ্জাজনক।’ ওই কার্ডের নিচে ওসি আমিরুল ইসলাম মুরাদ মন্তব্য করেন, ‘আগে গণভোট দরকার যে স্বাধীনতা বিরোধীরা এ দেশে রাজনীতি করার অধিকার আছে কি না?’
এ মন্তব্যের জেরে পুবাইল থানার ওসির বিচারের দাবিতে পুলিশ কমিশনারের কাছে ২০ অক্টোবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার বরাবর আরও একটি অভিযোগ দেন গাজীপুর নগর জামায়াতের মজলিশে শুরার সদস্য অধ্যাপক মো. আমজাদ হোসেন খান।
এতে তিনি পুবাইল থানার ওসি বিধিবহির্ভূত পন্থায় রাজনৈতিক দলকে হেয় করার জন্য বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন।
অভিযোগে বলা হয়েছে, ‘পুবাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিরুল ইসলাম মুরাদ পুবাইল থানায় যোগদানের পর থেকে একটি রাজনৈতিক দলের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন এবং আমাদের রাজনৈতিক দল ও নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়ে আসছেন। আমরা ব্যক্তিগতভাবে তার শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবে অনেকবার পরামর্শ দিয়েছি—রাজনৈতিক দলের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ না করার এবং কোনো রাজনৈতিক বক্তব্য না দেওয়ার জন্য।

‘তদুপরি তিনি নির্দিষ্ট একটি দলের কর্মসূচি ও অনুষ্ঠানে নিজে যোগদান করে ও অপ্রয়োজনে নেতাদের পুলিশ প্রটোকল দিয়ে যাচ্ছেন। সম্প্রতি তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের একটি বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে মন্তব্য করেছেন—জামায়াতের লোকেরা স্বাধীনতাবিরোধী এবং তাদের বাংলাদেশে রাজনীতি করার অধিকার আছে কি না, সেটার জন্য গণভোটও হওয়া প্রয়োজন।
‘এ ধরনের ধৃষ্টতাপূর্ণ ও রাজনৈতিক বক্তব্য পুলিশ প্রশাসনের জন্য মারাত্মক শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণ। আমরা পুবাইলবাসীর পক্ষ থেকে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রত্যাশা করছি। শুধু বর্তমান স্থান থেকে বদলি নয়, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া প্রয়োজন। তার এই বক্তব্য পুবাইলবাসীকে মারাত্মকভাবে ক্ষুব্ধ ও আহত করেছে। এমতাবস্থায় তার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।’
জানতে চাইলে পুবাইল থানা জামায়াতের আমির আশরাফ আলী কাজল বলেন, ‘একজন সরকারি কর্মকর্তা হয়ে তিনি এ ধরনের মন্তব্য করতে পারেন না। এ জন্য আমরা কমিশনার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছি।’
এ বিষয়ে অভিযুক্ত পুবাইল থানার ওসি আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি আমার আইডি থেকে এই মন্তব্য করিনি। এটি তদন্ত চলছে, তদন্তে যদি প্রমাণিত হয়, আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবে, আমার এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য নেই।’
আর একটি বিশেষ দলকে সুবিধা দেওয়ার বিষয়ে ওসি বলেন, ‘গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি ফজলুল হক মিলন সম্প্রতি কয়েকটি পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে আসেন, আমি পূজামণ্ডপের নিরাপত্তা দিতে সেখানে উপস্থিত ছিলাম। সেটা কোনো রাজনৈতিক প্রোগ্রাম ছিল না।’

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি মুছে ধর্ষণ ও নিপীড়নবিরোধী গ্রাফিতি অঙ্কনকারী দুই শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ বাতিলের দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক। আজ রোববার ‘বহিষ্কারাদেশ’ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে নেটওয়ার্কের ৫৮ শিক্ষক এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান।
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
চট্টগ্রামের আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও যুবদলের নেতা-কর্মীসহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন এক নারী। এতে তিনি পুলিশের বিরুদ্ধে তাঁর ছেলেকে হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যু আইনে এবং অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ করেন। আজ সোমবার চট্টগ্রাম মহানগর ও দায়রা জজ আদালতে মামলাটি...
১৪ মিনিট আগে
নাটোর সদরের হালসা বাজারে ইজারার টাকা ভাগাভাগি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে পাঁচজন আহত হয়েছেন। আজ সোমবার বিকেলে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, হালসা বাজারের ইজারার টাকা ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে দুই ভাই হালসা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজেদ মণ্ডল ও হালসা ইউনিয়নের ৯ নম্বর...
২৯ মিনিট আগে
হতাহত ব্যক্তিদের পরিবারের দাবি, চরাঞ্চলে জমির দখল ঘিরে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার কথিত ‘কাকন বাহিনী’র লোকজন হামলার ঘটনা ঘটিয়েছেন। লোকজন নিয়ে চর এলাকায় আগাছা পরিষ্কার করার সময় কাকন বাহিনীর লোকজন সেই জমি দখল নিতে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকেন।
১ ঘণ্টা আগেনাটোর প্রতিনিধি

নাটোর সদরের হালসা বাজারে ইজারার টাকা ভাগাভাগি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে পাঁচজন আহত হয়েছেন। আজ সোমবার বিকেলে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, হালসা বাজারের ইজারার টাকা ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে দুই ভাই হালসা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজেদ মণ্ডল ও হালসা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জাফর মণ্ডলের লোকদের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। এতে জাফর, পাপ্পু, পলাশ, মাহি ও বেলজু নামের পাঁচজন আহত হন। স্থানীয় বাসিন্দারা আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাঁদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাতে নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুর রহমান জানান, মাজেদ মণ্ডল ও জাফর মণ্ডলের লোকজন বাজারে টাকা তুলতে গেলে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত পাঁচজন আহত হন।

নাটোর সদরের হালসা বাজারে ইজারার টাকা ভাগাভাগি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে পাঁচজন আহত হয়েছেন। আজ সোমবার বিকেলে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, হালসা বাজারের ইজারার টাকা ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে দুই ভাই হালসা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজেদ মণ্ডল ও হালসা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জাফর মণ্ডলের লোকদের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। এতে জাফর, পাপ্পু, পলাশ, মাহি ও বেলজু নামের পাঁচজন আহত হন। স্থানীয় বাসিন্দারা আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাঁদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাতে নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুর রহমান জানান, মাজেদ মণ্ডল ও জাফর মণ্ডলের লোকজন বাজারে টাকা তুলতে গেলে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত পাঁচজন আহত হন।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি মুছে ধর্ষণ ও নিপীড়নবিরোধী গ্রাফিতি অঙ্কনকারী দুই শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ বাতিলের দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক। আজ রোববার ‘বহিষ্কারাদেশ’ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে নেটওয়ার্কের ৫৮ শিক্ষক এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান।
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
চট্টগ্রামের আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও যুবদলের নেতা-কর্মীসহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন এক নারী। এতে তিনি পুলিশের বিরুদ্ধে তাঁর ছেলেকে হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যু আইনে এবং অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ করেন। আজ সোমবার চট্টগ্রাম মহানগর ও দায়রা জজ আদালতে মামলাটি...
১৪ মিনিট আগে
জামায়াতের আমির শফিকুর রহমানের বক্তব্যের একটি ফটোকার্ড শেয়ার করা হয়। বক্তব্যটি ছিল—‘সনদ স্বাক্ষরের দিনেও জুলাই যোদ্ধাদের আবার আন্দোলনে নামতে হয়েছে, এটা লজ্জাজনক।’ ওই কার্ডের নিচে ওসি আমিরুল ইসলাম মুরাদ মন্তব্য করেন, ‘আগে গণভোট দরকার যে স্বাধীনতা বিরোধীরা এ দেশে রাজনীতি করার অধিকার আছে কি না?’
২২ মিনিট আগে
হতাহত ব্যক্তিদের পরিবারের দাবি, চরাঞ্চলে জমির দখল ঘিরে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার কথিত ‘কাকন বাহিনী’র লোকজন হামলার ঘটনা ঘটিয়েছেন। লোকজন নিয়ে চর এলাকায় আগাছা পরিষ্কার করার সময় কাকন বাহিনীর লোকজন সেই জমি দখল নিতে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকেন।
১ ঘণ্টা আগেবাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি

রাজশাহীর বাঘায় পদ্মার চরের জমি দখলকে কেন্দ্র করে হামলা ও গুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে স্থানীয় দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। ঘটনার জন্য কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার কথিত ‘কাকন বাহিনী’কে দায়ী করছেন এলাকাবাসী।
গুলিতে নিহত দুজন হলেন আমান মণ্ডল (৩৬) ও নাজমুল মণ্ডল (২৬)। আর আহত হয়েছেন মুনতাজ মণ্ডল (৩২) ও রাবিক হোসেন (১৮)। হতাহত ব্যক্তিরা সবাই বাঘা উপজেলার চরাঞ্চল নীচ খানপুর গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ সোমবার বেলা ১১টায় কাকন বাহিনীর লোকজন চরের জমিতে কাজ করার সময় নীচ খানপুর গ্রামের বাসিন্দাদের ওপর হামলা চালান। তাঁদের এলোপাতাড়ি গুলিতে গুরুতর আহত হন এই চারজন।
গুলির তীব্রতার কারণে আহত ব্যক্তিদের উদ্ধারে প্রথমে বেশ বেগ পেতে হয়, পরে আরও গ্রামবাসী ঘটনাস্থলে পৌঁছালে কাকন বাহিনী সরে যায়। তখন আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে আমান মণ্ডল মারা যান। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেওয়ার পথে নাজমুলও মারা যান।
আমান মণ্ডলের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে চিকিৎসক নিহার চন্দ্র মণ্ডল আজকের পত্রিকাকে বলেন, মুনতাজের শরীরের বিভিন স্থানে অন্তত শতাধিক, রাকিবের শরীরে প্রায় ৮০, নাজমুলের শরীরে প্রায় ৩৫ এবং আমানের মাথাসহ শরীরের পাঁচ জায়গায় গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। ক্ষতস্থান দেখে ধারণা করা যায়, পিস্তল ও রাবার বুলেটে হতাহত হতে পারেন।
রামেক হাসপাতালের মুখপাত্র শংকর কুমার বিশ্বাস নাজমুল মণ্ডলের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, রাত ৯টা পর্যন্ত লাশ মেডিকেল কলেজের সামনে অ্যাম্বুলেন্সে রাখা ছিল। অন্য আহত দুজনের অস্ত্রোপচার চলছে। তাঁদের অবস্থা গুরুতর।
হতাহত ব্যক্তিদের পরিবারের দাবি, চরাঞ্চলে জমির দখল ঘিরে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার কথিত ‘কাকন বাহিনী’র লোকজন হামলার ঘটনা ঘটিয়েছেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী নীচ খানপুর গ্রামের বেলাল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, তাঁরা লোকজন নিয়ে চর এলাকায় আগাছা পরিষ্কার করছিলেন। এ সময় কাকন বাহিনীর লোকজন সেই জমি দখল নিতে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকেন।
বাঘা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুপ্রভাত মণ্ডল জানান, হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ আগামীকাল মঙ্গলবার রামেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।

রাজশাহীর বাঘায় পদ্মার চরের জমি দখলকে কেন্দ্র করে হামলা ও গুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে স্থানীয় দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। ঘটনার জন্য কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার কথিত ‘কাকন বাহিনী’কে দায়ী করছেন এলাকাবাসী।
গুলিতে নিহত দুজন হলেন আমান মণ্ডল (৩৬) ও নাজমুল মণ্ডল (২৬)। আর আহত হয়েছেন মুনতাজ মণ্ডল (৩২) ও রাবিক হোসেন (১৮)। হতাহত ব্যক্তিরা সবাই বাঘা উপজেলার চরাঞ্চল নীচ খানপুর গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ সোমবার বেলা ১১টায় কাকন বাহিনীর লোকজন চরের জমিতে কাজ করার সময় নীচ খানপুর গ্রামের বাসিন্দাদের ওপর হামলা চালান। তাঁদের এলোপাতাড়ি গুলিতে গুরুতর আহত হন এই চারজন।
গুলির তীব্রতার কারণে আহত ব্যক্তিদের উদ্ধারে প্রথমে বেশ বেগ পেতে হয়, পরে আরও গ্রামবাসী ঘটনাস্থলে পৌঁছালে কাকন বাহিনী সরে যায়। তখন আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে আমান মণ্ডল মারা যান। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেওয়ার পথে নাজমুলও মারা যান।
আমান মণ্ডলের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে চিকিৎসক নিহার চন্দ্র মণ্ডল আজকের পত্রিকাকে বলেন, মুনতাজের শরীরের বিভিন স্থানে অন্তত শতাধিক, রাকিবের শরীরে প্রায় ৮০, নাজমুলের শরীরে প্রায় ৩৫ এবং আমানের মাথাসহ শরীরের পাঁচ জায়গায় গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। ক্ষতস্থান দেখে ধারণা করা যায়, পিস্তল ও রাবার বুলেটে হতাহত হতে পারেন।
রামেক হাসপাতালের মুখপাত্র শংকর কুমার বিশ্বাস নাজমুল মণ্ডলের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, রাত ৯টা পর্যন্ত লাশ মেডিকেল কলেজের সামনে অ্যাম্বুলেন্সে রাখা ছিল। অন্য আহত দুজনের অস্ত্রোপচার চলছে। তাঁদের অবস্থা গুরুতর।
হতাহত ব্যক্তিদের পরিবারের দাবি, চরাঞ্চলে জমির দখল ঘিরে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার কথিত ‘কাকন বাহিনী’র লোকজন হামলার ঘটনা ঘটিয়েছেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী নীচ খানপুর গ্রামের বেলাল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, তাঁরা লোকজন নিয়ে চর এলাকায় আগাছা পরিষ্কার করছিলেন। এ সময় কাকন বাহিনীর লোকজন সেই জমি দখল নিতে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকেন।
বাঘা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুপ্রভাত মণ্ডল জানান, হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ আগামীকাল মঙ্গলবার রামেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি মুছে ধর্ষণ ও নিপীড়নবিরোধী গ্রাফিতি অঙ্কনকারী দুই শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ বাতিলের দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক। আজ রোববার ‘বহিষ্কারাদেশ’ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে নেটওয়ার্কের ৫৮ শিক্ষক এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান।
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
চট্টগ্রামের আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও যুবদলের নেতা-কর্মীসহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন এক নারী। এতে তিনি পুলিশের বিরুদ্ধে তাঁর ছেলেকে হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যু আইনে এবং অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ করেন। আজ সোমবার চট্টগ্রাম মহানগর ও দায়রা জজ আদালতে মামলাটি...
১৪ মিনিট আগে
জামায়াতের আমির শফিকুর রহমানের বক্তব্যের একটি ফটোকার্ড শেয়ার করা হয়। বক্তব্যটি ছিল—‘সনদ স্বাক্ষরের দিনেও জুলাই যোদ্ধাদের আবার আন্দোলনে নামতে হয়েছে, এটা লজ্জাজনক।’ ওই কার্ডের নিচে ওসি আমিরুল ইসলাম মুরাদ মন্তব্য করেন, ‘আগে গণভোট দরকার যে স্বাধীনতা বিরোধীরা এ দেশে রাজনীতি করার অধিকার আছে কি না?’
২২ মিনিট আগে
নাটোর সদরের হালসা বাজারে ইজারার টাকা ভাগাভাগি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে পাঁচজন আহত হয়েছেন। আজ সোমবার বিকেলে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, হালসা বাজারের ইজারার টাকা ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে দুই ভাই হালসা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজেদ মণ্ডল ও হালসা ইউনিয়নের ৯ নম্বর...
২৯ মিনিট আগে