Ajker Patrika

সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় সাবেক সচিব শহীদ খান কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭: ৪৩
সাবেক সচিব আবু আলম শহীদ খান। ছবি: সংগৃহীত
সাবেক সচিব আবু আলম শহীদ খান। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ‘মঞ্চ ৭১’ আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠককে কেন্দ্র করে রাজধানীর শাহবাগ থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় গ্রেপ্তার সাবেক সচিব আবু আলম শহীদ খানকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজ্জামান কারাগারে পাঠানোর এ নির্দেশ দেন।

দুপুরের পর সাবেক এ সচিবকে আদালতে হাজির করে শাহবাগ থানা-পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই তৌফিক হাসান তাঁকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

গতকাল রোববার রাতে রাজধানীর ইস্কাটন এলাকা থেকে শহীদ খানকে আটক করা হয়। পরে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।

গত ২৮ আগস্ট দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ‘মঞ্চ ৭১’ নামে একটি প্ল্যাটফর্ম আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠককে কেন্দ্র করে সেখানে বাধার সৃষ্টি করে কিছু ব্যক্তি। পরে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।

এ ঘটনায় লতিফ সিদ্দিকীসহ অন্তত ১৬ জনকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। পরে তাঁদের আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরে তাঁদের ডিবি হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। রাতে শাহবাগ থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করে পুলিশ।

শাহবাগ থানার এসআই মো. আমিরুল ইসলাম মামলাটি করেন।

মামলায় বলা হয়, ২৮ আগস্ট বেলা ১১টার দিকে মামলার বাদী দেখতে পান, বেশ কিছু লোক ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির অডিটরিয়ামে কিছু লোককে ঘেরাও করে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট বলে স্লোগান দিচ্ছে এবং আবদুল লতিফ সিদ্দিকী বক্তব্য দিচ্ছেন। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি বন্ধে গত ৫ আগস্ট ‘মঞ্চ ৭১’ নামে একটি সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটে। ওই সংগঠনের উদ্দেশ্য—জাতির অর্জনকে মুছে ফেলার সব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে বাংলাদেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আত্মত্যাগের প্রস্তুতি নেওয়া। প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ২৮ আগস্ট সকাল ১০টায় একটি গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায়, গোলটেবিল বৈঠকে গ্রেপ্তার হওয়া আসামিরাসহ আরও ৭০-৮০ জন অংশ নেন। পরে পুলিশ তাঁদের হেফাজতে নেয়।

উপস্থিত লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, লতিফ সিদ্দিকী মঞ্চ ৭১-এর ব্যানারকে পুঁজি করে প্রকৃতপক্ষে দেশকে সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে অস্থিতিশীল করে অন্তর্বর্তী সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্র ও উপস্থিত অন্যদের প্ররোচিত করে বক্তব্য দিচ্ছিলেন।

গত ২৯ আগস্ট সাবেক মন্ত্রী ও সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, শেখ হাফিজুর রহমান কার্জনসহ ১৬ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর বিভিন্ন তারিখে তাঁদের জামিন নামঞ্জুর হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সংসদ নির্বাচন: মনোনয়নের সংকেত পেয়ে প্রচারে বিএনপির প্রার্থীরা

নতুন যুগের ১০টি সম্ভাবনাময় পেশা

জাকির নায়েক বিতর্কে ভারতের প্রতিক্রিয়ার যে জবাব দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

সকাল থেকে রাজধানীতে তীব্র যানজট, কারণ জানাল ডিএমপি

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সিংগাইরে শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ

সিংগাইর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
আজ দুপুরে বিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থী মানিকগঞ্জ-হেমায়েতপুর আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করে। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ দুপুরে বিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থী মানিকগঞ্জ-হেমায়েতপুর আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করে। ছবি: আজকের পত্রিকা

মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার জয়মন্টপ উচ্চবিদ্যালয়ে আল রোমান নামের এক শিক্ষককে শ্রেণিকক্ষে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেছে শিক্ষার্থীরা। রোববার (২ নভেম্বর) দুপুরে বিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থী মানিকগঞ্জ-হেমায়েতপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের জয়মন্টপ এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করে। এতে মহাসড়কের উভয় পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।

শিক্ষার্থীরা জানায়, বিদ্যালয়ের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে শিক্ষক আল রোমানকে শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করে স্থানীয় সাদ্দাম হোসেনসহ একদল বহিরাগত ব্যক্তি শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। এই ঘটনার প্রতিবাদে তারা বিক্ষোভে নামে এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে।

খবর পেয়ে পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেয়। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌফিক আজম বলেন, বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফিরেছে। বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। খুব দ্রুত শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সংসদ নির্বাচন: মনোনয়নের সংকেত পেয়ে প্রচারে বিএনপির প্রার্থীরা

নতুন যুগের ১০টি সম্ভাবনাময় পেশা

জাকির নায়েক বিতর্কে ভারতের প্রতিক্রিয়ার যে জবাব দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

সকাল থেকে রাজধানীতে তীব্র যানজট, কারণ জানাল ডিএমপি

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খুলনায় ২২ বোতল উইন কোরেক্স ও ১০৫টি ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার ২

খুলনা প্রতিনিধি
মাদকসহ গ্রেপ্তার মো. আবুল কালাম সরদার। ছবি: সংগৃহীত
মাদকসহ গ্রেপ্তার মো. আবুল কালাম সরদার। ছবি: সংগৃহীত

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ও খালিশপুর থানা-পুলিশ আলাদাভাবে দুটি অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্যসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। গতকাল শনিবার রাতে এই অভিযান দুটি পরিচালিত হয়।

কেএমপির মিডিয়া শাখা থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মহানগর ডিবি পুলিশের একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে খালিশপুর থানাধীন নুরনগর মেইন রোড এলাকায় অভিযান চালায়।

মাদকসহ গ্রেপ্তার মো. আবুল কালাম সরদার। ছবি: সংগৃহীত
মাদকসহ গ্রেপ্তার মো. আবুল কালাম সরদার। ছবি: সংগৃহীত

অভিযানে মো. আবুল কালাম সরদার (৩৫) নামের এক ব্যক্তির শয়নকক্ষের খাটের নিচ থেকে ২২ বোতল কোডিন ফসফেটযুক্ত উইন কোরেক্স উদ্ধার করা হয় এবং তাঁকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার আবুল কালাম ঝালকাঠি জেলার ভাংগাদেওলা গ্রামের মৃত আমির আলী সরদারের ছেলে।

পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার করা ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে খুলনা মহানগর এলাকায় এই মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় করছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে খালিশপুর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে।

এদিকে কেএমপির অপর এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, খালিশপুর থানা-পুলিশ একই রাতে খালিশপুর হাউজিং এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১০৫টি ইয়াবাসহ জয় কাজী ওরফে জুবায়ের (২৫) নামের এক মাদক বিক্রেতাকে গ্রেপ্তার করে। তিনি ফরিদপুর জেলার রতনদিয়া গ্রামের ইসহাক কাজীর ছেলে। এই ঘটনায়ও সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে।

কেএমপির সহকারী পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) খোন্দকার হোসেন আহম্মদ এই বিষয়ে বলেন, ‘মাদক নিয়ন্ত্রণ অভিযানের অংশ হিসেবে পৃথক পৃথকভাবে এই অভিযান দুটি পরিচালিত হয়। সমাজে মাদকের বিস্তার রোধে আমাদের এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সংসদ নির্বাচন: মনোনয়নের সংকেত পেয়ে প্রচারে বিএনপির প্রার্থীরা

নতুন যুগের ১০টি সম্ভাবনাময় পেশা

জাকির নায়েক বিতর্কে ভারতের প্রতিক্রিয়ার যে জবাব দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

সকাল থেকে রাজধানীতে তীব্র যানজট, কারণ জানাল ডিএমপি

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ঢাকায় থাকেন শিক্ষিকা, ‘ভাড়াটে শিক্ষক’ দিয়ে পাঠদান ও হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর

নেত্রকোনা প্রতিনিধি
আপডেট : ০২ নভেম্বর ২০২৫, ১৫: ৩১
অভিযুক্ত শিক্ষক নাজমা আক্তার। ছবি: সংগৃহীত
অভিযুক্ত শিক্ষক নাজমা আক্তার। ছবি: সংগৃহীত

শিক্ষক নাজমা আক্তার দীর্ঘদিন ধরে ঢাকায় বসবাস করায় বিদ্যালয়ে যান না। কিন্তু বিদ্যালয়ে না গেলেও শিক্ষক হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর হচ্ছে নিয়মিত। এতে বেতন-ভাতাসহ সব ধরনের সুযোগ-সুবিধাও মিলছে তাঁর। তবে নাজমা আক্তারের হয়ে স্কুলে ক্লাস নিচ্ছেন স্নাতকপড়ুয়া হেপি আক্তার নামের এক শিক্ষার্থী। খাতায় নাজমা আক্তারের স্বাক্ষর করছেন হেপি। এমন ঘটনা নেত্রকোনা জেলার খালিয়াজুরী উপজেলার রোকেয়া সাত্তার চৌধুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, ধনু নদের তীরঘেঁষা নূরারীপুর গ্রামে ২০১৮ সালে স্থাপিত হয় রোকেয়া সাত্তার চৌধুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে ৭৪ শিক্ষার্থী ও ৫ জন শিক্ষক রয়েছেন।

ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নাজমা আক্তার। তিনি ২০২৪ সালের ২৯ এপ্রিল বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। অভিযোগ রয়েছে, যোগদানের পর থেকে বিদ্যালয়ে অনিয়মিত তিনি। বিদ্যালয়ে না গেলেও শিক্ষক হাজিরা খাতায় নিয়মিত স্বাক্ষর করছেন নাজমা আক্তার। সঙ্গে নিয়মিত বেতন-ভাতাসহ সব ধরনের সুযোগ-সুবিধাও নিচ্ছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে নাজমা আক্তার ঢাকায় বসবাস করেন। তবে স্নাতকপড়ুয়া হেপি আক্তার নামের এক শিক্ষার্থী নাজমা আক্তারের ‘ভাড়াটিয়া শিক্ষক’। ওই শিক্ষার্থী নাজমা আক্তারের হয়ে পাঠদানসহ শিক্ষক হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেন। আর এই কাজে সাহায্য করছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শরীফা আক্তার।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এই বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা নিয়মিত বিদ্যালয়ে না আসায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। এর মধ্যে নাজমা আক্তার ঢাকায় থাকেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষও এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেয় না।

গত ২৮ অক্টোবর ওই বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষকের মধ্যে দুজন উপস্থিত। আর অভিযুক্ত শিক্ষক নাজমা আক্তার বিদ্যালয়ে হাজির না থাকলেও শিক্ষক হাজিরা খাতায় তিনি উপস্থিত রয়েছেন। জানতে চাইলে স্নাতকপড়ুয়া শিক্ষার্থী হেপি আক্তার বলেন, ‘নাজমা ম্যাডাম ঢাকায় আছেন। এ জন্য কয়েক মাস তাঁর ক্লাস আমি নিচ্ছি। ম্যাডাম বলাতে তাঁর শিক্ষক হাজিরা খাতায় আমি “নাজমা” লিখে স্বাক্ষর করছি। এটা আমার ভুল হয়েছে।’

প্রধান শিক্ষক শরীফা আক্তার বলেন, ‘নাজমা আক্তার আমাকে বিভিন্নভাবে চাপ সৃষ্টি করে অবৈধভাবে সুযোগ-সুবিধা নিচ্ছে। আমি ভয়ে শিক্ষা অফিসারকে বিষয়টি জানাইনি।’

অভিযুক্ত শিক্ষক নাজমা আক্তার মোবাইল ফোনে বলেন, ‘আমি অসুস্থ থাকার কারণে ঢাকায় আছি। হেপি আক্তারকে দিয়ে আমার শিক্ষক হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করানো ঠিক হয়নি।’

খালিয়াজুরী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ আবু রায়হান বলেন, ‘নাজমা আক্তার নামের এক শিক্ষক ঢাকায় আছেন। বিদ্যালয়ে না এসেও অন্যজনকে দিয়ে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করাচ্ছেন বলে শুনেছি। এটি নিয়মবহির্ভূত। নাজমা আক্তারসহ বিদ্যালয়ের যারা এই কাজে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার জন্য সুপারিশ করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সংসদ নির্বাচন: মনোনয়নের সংকেত পেয়ে প্রচারে বিএনপির প্রার্থীরা

নতুন যুগের ১০টি সম্ভাবনাময় পেশা

জাকির নায়েক বিতর্কে ভারতের প্রতিক্রিয়ার যে জবাব দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

সকাল থেকে রাজধানীতে তীব্র যানজট, কারণ জানাল ডিএমপি

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পাইকগাছায় হাত-পা বাঁধা অবস্থায় যুবককে উদ্ধার

পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

খুলনার পাইকগাছায় হাত-পা বাঁধা অবস্থায় রিপোন মাখাল (৩৫) নামের এক যুবককে উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ রোববার সকালে পাইকগাছা থানার পাশে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অফিসের সামনের একটি ডোবা থেকে তাঁকে উদ্ধার করা হয়। তবে সেখানে তখন পানি ছিল না।

উদ্ধারের পর পুলিশ রিপোনকে পাইকগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। তবে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে দ্রুত খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। রিপোন মাখাল পৌর সদরের খ্রিষ্টানপাড়ার বাসিন্দা মিখায়েল মাখালের ছেলে।

যুবকের বাবা মিখায়েল মাখাল বলেন, ‘আমাদের ভাইদের মধ্যে জমি-সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। গত ১৮ অক্টোবর ভাইদের মধ্যে দ্বন্দ্ব হয়। তখন আমার ছেলেকে আমার ভাই ও ভাইপোরা বসতঘরে মারধর করে। তখন আমার ছেলে রিপোন ৯৯৯ নম্বরে কল করলে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পরে আমি গিয়ে ছেলেকে থানা থেকে নিয়ে আসি।’

ছেলেকে পুনরায় মারধর করা হতে পারে আশঙ্কায় তিনি রিপোনকে অন্য কোথাও চলে যেতে বলেন। এর পর থেকে ছেলে ঠিকমতো বাড়িতে যেত না। মিখায়েল মাখালের ভাষ্য অনুযায়ী, পারিবারিক বিরোধের জেরে এই কাজ করা হতে পারে।

পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক নিরাপদ মন্ডল জানান, পুলিশ রিপোন নামের এক যুবককে রোববার সকালে হাসপাতালে ভর্তি করে। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

পাইকগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রিয়াদ মাহমুদ বলেন, হাত-পা বাঁধা অবস্থায় যুবককে উদ্ধার করে পাইকগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, সে বিষয়ে তদন্ত চলছে এবং তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সংসদ নির্বাচন: মনোনয়নের সংকেত পেয়ে প্রচারে বিএনপির প্রার্থীরা

নতুন যুগের ১০টি সম্ভাবনাময় পেশা

জাকির নায়েক বিতর্কে ভারতের প্রতিক্রিয়ার যে জবাব দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

সকাল থেকে রাজধানীতে তীব্র যানজট, কারণ জানাল ডিএমপি

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত