Ajker Patrika

মুক্তিযুদ্ধকালীন চিকিৎসা ব্যবস্থার নিরীক্ষাধর্মী বই ‘মুক্তিযুদ্ধের চিকিৎসা ইতিহাস’ 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
মুক্তিযুদ্ধকালীন চিকিৎসা ব্যবস্থার নিরীক্ষাধর্মী বই ‘মুক্তিযুদ্ধের চিকিৎসা ইতিহাস’ 

মুক্তিযুদ্ধ বিভিন্ন সময় নানান আঙ্গিকে আলোচনা, গবেষণা হলেও মুক্তিযুদ্ধের সময় চিকিৎসাক্ষেত্রে যে বিপুল প্রয়াস তা নিয়ে স্বাধীনতার ৫০ বছরেও তেমন কোনো গবেষণামূলক নিবন্ধ বা তথ্যসমৃদ্ধ গ্রন্থ ছিল না। দীর্ঘদিনের গবেষণায় ইতিহাসের এই দিকটি ‘মুক্তিযুদ্ধের চিকিৎসা ইতিহাস’ বইয়ে তুলে এনেছেন বইটির লেখক শাহাদুজ্জামান ও খায়রুল ইসলাম। প্রথমা প্রকাশন থেকে প্রকাশিত এই বইটি ভবিষ্যতে একটি প্রামাণ্য দলিল হিসেবে কাজে দেবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

বুধবার বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির এক্সপেরিমেন্টাল হলে বইটির প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। লেখকদের সঙ্গে বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশ হাসপাতালের অন্যতম সংগঠক ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বাংলাদেশ হাসপাতালের নার্স পদ্মা রহমান, ডা. কাজী মিসবাহুন নাহার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম ও প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান। 

বইটি প্রসঙ্গে লেখক খায়রুল ইসলাম বলেন, মুক্তিযুদ্ধের প্রথম প্রহরে রাজারবাগ, পিলখানা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় যখন গণহত্যা শুরু হয় তখন থেকেই চিকিৎসকেরা চিকিৎসা যুদ্ধের সূচনা করেছিল। বইটিতে ১১টি অধ্যায় আছে। এসব অধ্যায়ে চিকিৎসা যুদ্ধের শুরু, বাংলাদেশ হাসপাতাল, জিঞ্জিরা গণহত্যা ও পল্লি চিকিৎসকদের ভূমিকা, ঢাকার বাইরের চিকিৎসা যুদ্ধ, নারীরা কীভাবে এগিয়ে এসেছেন সেসব তুলে ধরা হয়েছে। ডাক্তার, মেডিকেল ছাত্ররা কীভাবে বিভিন্ন সেক্টরে, যুদ্ধক্ষেত্রে কাজ করেছে, খালেদ মোশাররফের সার্জারি, শরণার্থীশিবিরে চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য-পুষ্টির যুদ্ধ, পরিবেশগত বিপর্যয়, শরণার্থী ব্যবস্থাপনা, ওষুধ ব্যবস্থাপনা নিয়ে বইটিতে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। এ সময় তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় যেসব চিকিৎসকেরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যুদ্ধক্ষেত্রে কাজ করেছেন সরকারিভাবে তাদের তালিকা তৈরির আহ্বান জানান। 

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্ট্রি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, এই প্রথম মুক্তিযুদ্ধের সময়কার চিকিৎসা ইতিহাস নিয়ে একটি তথ্যবহুল বই তৈরি হয়েছে। বর্তমান সময়ে বইটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশের সকল চিকিৎসক ও মেডিকেল শিক্ষার্থীদের বইটি পাঠ্য হওয়া উচিত। যুদ্ধের ইতিহাস এভাবে তুলে আনাটা খুব কঠিন কাজ। লেখকদ্বয় কঠিন কাজটি করতে পেরেছেন। 

তবে বইটি এখনো কিছুটা অসম্পূর্ণ জানিয়ে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, দেশের এম এন নন্দী, জোহরা কাজী, ওমর জামাল, সিরাজুল্লাহসহ ভারতীয় অনেক ডাক্তাদের মুক্তিযুদ্ধে অবদান আছে। তারা সেসময় যেভাবে ছুটে বেড়িয়েছেন তা অকল্পনীয়। দ্বিতীয় মুদ্রণে বইটি আরও সম্পূর্ণ করার অনুরোধ রইল।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম বলেন, দুজন ডাক্তার মুক্তিযুদ্ধে ডাক্তারদের অবদান এবং সেই সময়কার চিকিৎসা ব্যবস্থা তুলে ধরেছেন।

প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান বলেন, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অসংখ্য বই বাজারে আছে। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এই বইটি প্রামাণ্য দলিল হিসেবে কাজ করবে। ঐতিহাসিক বই লেখার পদ্ধতি অনুসরণ করে বইটি লেখা হয়েছে। এটা একটা গবেষণামূলক গ্রন্থ। স্বাধীনতার ৫০ বছর পর এগুলো খুঁজে বের করা অত্যন্ত কঠিন। বইটির সাহিত্যমান অত্যন্ত চমৎকার। বইটির আরও সংশোধন হতেই পারে।

প্রথম আলোর সম্পাদক আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আমরা শুরু থেকেই কাজ করছি। মুক্তিযুদ্ধকে নানা আঙ্গিকে দেখার, তুলে ধরার চেষ্টা করছি। 

উল্লেখ, বইটির কয়েকটি নিবন্ধ ২০২০ ও ২০২১ সালে দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল। নিবন্ধগুলোর জন্য লেখকদ্বয় বজলুর রহমান স্মৃতিপদকে ভূষিত হয়েছিলেন। বইটির মূল্য ৬৫০ টাকা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক, মস্তিষ্ক মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত, ফুসফুসেও আঘাত: মেডিকেল বোর্ড

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

টঙ্গীতে বিকাশকর্মীকে গুলি করে ১৫ লাখ টাকা ছিনতাই, আহত ২

টঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

গাজীপুরের টঙ্গীতে বিকাশকর্মীকে গুলি করে ১৫ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় অপর একজন ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন। ‎শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে টঙ্গী বাজার আনারকলি রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

‎গুলিবিদ্ধ ওই ব্যক্তির নাম আরিফ হোসেন (৩১)। তিনি টঙ্গীর দত্তপাড়া হাউজ বিল্ডিং এলাকার বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেনের ছেলে। তিনি বিকাশের একজন বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত। একই সময় তাঁর সহকর্মী আজাদ হাওলাদার (৩০) ছুরিকাঘাতে আহত হন।

‎প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, আরিফ হোসেন ও আজাদ হাওলাদার দিনভর টঙ্গী এলাকার বিভিন্ন বিকাশ এজেন্টের কাছ থেকে বিকাশের টাকা সংগ্রহ শেষে ডিস্ট্রিবিউশন (পরিবেশক) অফিসে যাওয়ার উদ্দেশে রওনা হন। তাঁরা আনারকলি রোড এলাকায় পৌঁছালে একটি মোটরসাইকেলে থাকা দুজন ছিনতাকারী তাঁদের গতিরোধ করে টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। বাধা দিলে আরিফকে লক্ষ্য করে দুটি গুলি ছোড়ে। আর আজাদকে ছুরিকাঘাত করে। তখন ছিনতাইকারীরা টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

স্থানীয়রা আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। গুলিবিদ্ধ আরিফ হোসেনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন। এ সময় তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেন। আহত আজাদ প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরে যান।

‎জেএ অ্যান্ড সন্স নামক বিকাশের টঙ্গী এলাকার পরিবেশক আফজাল হোসেন সেতু বলেন, ‘আমাদের প্রতিষ্ঠানের একজন কর্মীকে গুলি করে ১৫ লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে ছিনতাইকারীরা। আরেক কর্মীকে ছুরিকাঘাত করেছে। আমি মামলা করব।’

‎টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মেহেদী হাসান বলেন, ‘ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের জন্য কাজ চলছে। ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসি ক্যামেরা ফুটেজ সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক, মস্তিষ্ক মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত, ফুসফুসেও আঘাত: মেডিকেল বোর্ড

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

লেদ কারখানা থেকে উদ্ধার যন্ত্রাংশ দিয়ে ৩০ অস্ত্র তৈরি করা যেত: পুলিশ

খুলনা প্রতিনিধি
খুলনা নগরীর জোড়া গেট এলাকায় আজ শনিবার সন্ধ্যায় লেদ কারখানায় অভিযানে উদ্ধার আগ্নেয়াস্ত্রের সরঞ্জাম। ছবি: আজকের পত্রিকা
খুলনা নগরীর জোড়া গেট এলাকায় আজ শনিবার সন্ধ্যায় লেদ কারখানায় অভিযানে উদ্ধার আগ্নেয়াস্ত্রের সরঞ্জাম। ছবি: আজকের পত্রিকা

খুলনা নগরীর জোড়া গেট এলাকায় লেদ কারখানায় অভিযান চালিয়ে অন্তত ৩০টি আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। এসব যন্ত্রাংশ অপর একটি লেদ কারখানায় পাঠানো হতো। পরে সেগুলো দিয়ে পিস্তল ও ওয়ান শুটারগান তৈরি করে বিক্রি হতো অপরাধীদের কাছে।

খুলনা নগরীর জোড়া গেট এলাকায় লেদ কারখানা থেকে আগ্নেয়াস্ত্রের সরঞ্জাম উদ্ধারকালে আটক ব্যক্তিরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
খুলনা নগরীর জোড়া গেট এলাকায় লেদ কারখানা থেকে আগ্নেয়াস্ত্রের সরঞ্জাম উদ্ধারকালে আটক ব্যক্তিরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

আজ শনিবার সন্ধ্যায় খুলনা মহানগর পুলিশের (কেএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) জোড় গেট এলাকায় দোহা আয়রন ফাউন্ডেশন ওয়ার্কশপে অভিযান চালায়। অবৈধ কর্মকাণ্ডের অভিযোগে সেখান থেকে অস্ত্র তৈরির কারিগরসহ চারজনকে আটক করেছে।

আটক ব্যক্তিরা হলেন ওয়ার্কশপের মালিক নজরুল এবং কারিগর পিকলু, শহীদুল ও আকবর। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁদের ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে।

কেএমপির উপকমিশনার (ডিসি) মোহাম্মাদ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘জোড়া গেট থেকে অস্ত্রের যে যন্ত্রাংশ উদ্ধার করা হয়েছে, তা দিয়ে ৩০টি অস্ত্র তৈরি করা যেত। লোহার ছাঁচের মধ্যে যন্ত্রাংশ তৈরি করা হচ্ছিল। যন্ত্রাংশগুলো অন্য স্থানে নিয়ে পূর্ণাঙ্গভাবে অস্ত্র তৈরি করা হতো। ডিবির একটি দল ওই কারখানার সন্ধান পেতে কাজ করছে। সেখান থেকে কাউকে পাওয়া গেলে আমরা জানতে পারব, খুলনার তৈরি হওয়া অস্ত্র কোথায় কোথায় যায়।’

তাজুল ইসলাম আরও বলেন, ‘খুলনার একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান এই জোড় গেট এলাকা। এখানে এ ধরনের অস্ত্র তৈরির কারাখানা থাকবে, এটা আমাদের জন্য লজ্জার বিষয়। কিছুদিন আগে এ ধরনের যন্ত্রাংশের চালান বিভিন্ন স্থানে গেছে।’

কেএমপির ডিসি আরও বলেন, ‘বর্তমানে খুলনায় সন্ত্রাসীদের তৎপরতা উদ্বেগজনক হারে বেড়ে গেছে। আমরা অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়েছি। জলদস্যু এবং স্থানীয় উঠতি সন্ত্রাসীরা এখন থেকে অস্ত্র নিয়ে যায়।’

খুলনা ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৈমুর ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে আমরা এখানে রেকি (নজরদারি) করেছি। লেদ কারখানার পাশাপাশি তাঁরা (মালিক ও কারিগর) পিস্তল এবং ওয়ান শুটারের যন্ত্রাংশ তৈরি করতেন, এমন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা এখানে অভিযান চালিয়েছি। যে যন্ত্রাংশ উদ্ধার করা হয়েছে, তা দিয়ে ৩০টি অস্ত্র তৈরি করা যেত। আটক ব্যক্তিদের আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করছি। খুব শিগগির আমরা ভালো সংবাদ দিতে পারব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক, মস্তিষ্ক মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত, ফুসফুসেও আঘাত: মেডিকেল বোর্ড

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় বিএনপির প্রার্থীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
নাজমুল মোস্তফা আমিন। ছবি: সংগৃহীত
নাজমুল মোস্তফা আমিন। ছবি: সংগৃহীত

নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী নাজমুল মোস্তফা আমিনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এ জরিমানা করেন।

চট্টগ্রাম জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার টাকা ইতিমধ্যে পরিশোধও করা হয়েছে।’

সংশ্লিষ্ট তথ্যমতে, শনিবার বিশাল মোটরসাইকেল শোডাউন ও গাড়িবহর নিয়ে নির্বাচনী এলাকায় প্রবেশ করেন বিএনপির প্রার্থী নাজমুল মোস্তফা আমিন। সাতকানিয়ার বটতলী এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত শুনানি শেষে তাঁকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। নির্বাচন কমিশন ঘোষিত রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধি, ২০২৫-এর ৯ ধারা লঙ্ঘনের দায়ে ২৭ ধারার বিধান অনুযায়ী এ অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, জনগণের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা অনুযায়ী একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে যা যা প্রয়োজন, সবই করা হবে। নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করলে কাউকে ছাড় নয়।

বিএনপির মনোনীত প্রার্থী নাজমুল মোস্তফা আমিনের বক্তব্য জানার জন্য ফোন করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।

এদিকে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা খোন্দকার মাহমুদুল হাসান স্বাক্ষরিত নোটিশে উল্লেখ করা হয়, শনিবার বেলা ২টার দিকে কর্ণফুলী থেকে লোহাগাড়া পর্যন্ত মোটরযান/যান্ত্রিক বাহনে নির্বাচনী শোডাউন করেন নাজমুল মোস্তফা আমিন।

অভিযোগের প্রমাণ হিসেবে তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজে দেওয়া লাইভ ভিডিও সংযুক্ত করা হয়েছে। এর কয়েক ঘণ্টা পরই লোহাগাড়ায় প্রশাসনের কড়াকড়ির মুখে পড়েন বিএনপির এই মনোনীত প্রার্থী। বিকেলে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে তাঁকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। ভ্রাম্যমাণ আদালতের এ অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মং এছান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক, মস্তিষ্ক মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত, ফুসফুসেও আঘাত: মেডিকেল বোর্ড

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হলুদ সরিষা ফুলে ভরে উঠেছে মাঠ, কৃষকের বাড়তি লাভের আশা

ফকিরহাট (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
সরিষা ফুলের খেত। ফকিরহাটের বেতাগা গ্রামে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা
সরিষা ফুলের খেত। ফকিরহাটের বেতাগা গ্রামে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা

মাঠজুড়ে বাতাসে দোল খাচ্ছে সরিষার হলুদ ফুল। ফুলে ফুলে উড়ে বেড়াচ্ছে মৌমাছি। মাঠে কাজে ব্যস্ত কৃষক। আজ শনিবার সকালে বাগেরহাটের ফকিরহাটের বেতাগা গ্রামে এই দৃশ্য দেখা যায়।

আমন ধান কাটার আগেই বিনা চাষে ও রিলে পদ্ধতিতে আগাম সরিষা চাষ করে কৃষকেরা এবার বাড়তি লাভের স্বপ্ন দেখছেন। মাঠজুড়ে ভরে ওঠা সরিষা ফুল ভালো ফলনের ইঙ্গিত দিচ্ছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত বছর ফকিরহাটে ১৬৩.৫ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছিল। চলতি মৌসুমে আবাদ লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে ১৮০ হেক্টর নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতি হেক্টরে গড় উৎপাদন ১ দশমিক ২ টন ধরে মোট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২১৬ টন। তবে মাঠের বর্তমান অবস্থা বিবেচনায় কৃষক ও কৃষি কর্মকর্তারা আশা করছেন, এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি উৎপাদন হবে। উপজেলার ৩০০ জন কৃষককে বিনা মূল্যে ১ কেজি সরিষা বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি পটাশ সার বিতরণ করা হয়েছে। চলতি মৌসুমে আবাদ হওয়া উল্লেখযোগ্য জাতগুলোর মধ্যে রয়েছে বারি সরিষা-১৪, বারি সরিষা-১৭, বারি সরিষা-২০, বিনা সরিষা-৯ ও বিনা সরিষা-১১।

ফকিরহাটের বিভিন্ন ব্লকের কৃষক জসিম শেখ, মিঠুন দাস ও তপন দাস জানান, একই জমিতে বারবার এক ফসল চাষ করলে জমির উর্বরতা কমে যায়। কৃষি অফিসের পরামর্শে তাঁরা আমন ও বোরো ধানের মাঝখানে সরিষা চাষ শুরু করেছেন। এতে মাটির উর্বরতা বজায় থাকছে, পাশাপাশি কম শ্রম ও কম খরচে বাড়তি ফসল ঘরে তোলা সম্ভব হচ্ছে।

বেতাগা গ্রামের কৃষক পরেশ দাস ও সুধাংশু দাস জানান, আমন ধান থাকা অবস্থাতেই তাঁরা জমিতে বিনা চাষে সরিষা বীজ ছিটিয়ে দেন। সেই সরিষায় এরই মধ্যে ফুল এসেছে। যখন অন্য কৃষকেরা জমি চাষ শুরু করছেন, তখন তাঁদের খেতে সরিষার ফুল ও ফলন গঠন শুরু হয়েছে। আগাম সরিষা আহরণের পর একই জমিতে আবার বোরো ধান চাষ করবেন তাঁরা। এতে বছরে একটি অতিরিক্ত ফসল পাওয়ার পাশাপাশি বাড়তি চাষ, সার এবং ওষুধের খরচও কমবে।

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা বিপুল মজুমদার জানান, অধিক লাভজনক হওয়ায় বিনা চাষে সরিষা আবাদে কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। যাঁরা এই পদ্ধতিতে চাষ করে সফল হয়েছেন, তাঁদের দেখে অন্য কৃষকেরাও উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শেখ সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘সরিষা এখন কৃষকের জন্য লাভজনক একটি মধ্যবর্তী ফসল। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার ফলন ভালো হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকদের আগ্রহও বেড়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক, মস্তিষ্ক মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত, ফুসফুসেও আঘাত: মেডিকেল বোর্ড

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত