তৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা
পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীবাহী বাসগুলো গাবতলী না সায়েদাবাদ টার্মিনাল থেকে ছেড়ে যাবে, সে ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি পরিবহন-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। পরিবহনের মালিকেরা বলছেন, এসব বাস সায়েদাবাদ থেকেই ছেড়ে যাবে। কিন্তু বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) বলছে, এ জন্য নতুন রুট পারমিট নিতে হবে। কিন্তু এখনো কেউ নতুন রুটের জন্য আবেদনই করেনি।
সরকার আগেই ঘোষণা করেছে, ২৫ জুন খুলে যাবে স্বপ্নের সেতু। ধারণা করা হচ্ছে, এ সেতু খুলে গেলে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের কমপক্ষে ২১টি জেলার যাত্রীবাহী বাস চলবে এ পথ ব্যবহার করে।
এত দিন ঢাকা থেকে এসব জেলার সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে দুটো টার্মিনাল ব্যবহার করা হতো। এর একটি হলো গাবতলী, অন্যটি হলো সায়েদাবাদ। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া অঞ্চলের সহকারী ব্যবস্থাপক মহিউদ্দিন রাসেল বলেন, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ফেরিঘাট ব্যবহার করে প্রতিদিন সাড়ে ৬০০ বাস যাতায়াত করে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে। সেই হিসাবে মাসে প্রায় ২০ হাজারের মতো বাস যায় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে। কিন্তু পদ্মা সেতু চালু হলে বেশির ভাগ বাসই গাবতলী থেকে চলে যাবে সায়েদাবাদ টার্মিনালে। প্রশ্ন উঠেছে, এত বাসের সংকুলানের ব্যবস্থা কি সায়েদাবাদে আছে? তার ওপর পদ্মা সেতুকে কেন্দ্র করে অনেকেই নতুন বাস নামাচ্ছে। সে ক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনাটা কী হবে?
বিআরটিএর চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যে গাড়ি এখন ফেরি পারাপার হয়ে দক্ষিণাঞ্চলে যায়, সেই গাড়ি পদ্মা সেতু দিয়ে যেতে হলে নতুন করে রুট পারমিট নিতে হবে। রুট পারমিট না নিলে পদ্মা সেতু দিয়ে যেতে পারবে না। তবে দক্ষিণাঞ্চলের গাড়ি কোথা থেকে ছাড়বে সে বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
হানিফ পরিবহনের জেনারেল ম্যানেজার মোশারফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, পদ্মা সেতু চালু হলে গোটা দক্ষিণবঙ্গের গাড়ি পদ্মা সেতু দিয়ে যাবে। দক্ষিণবঙ্গের বাস সায়েদাবাদ থেকেই ছাড়ার চিন্তাভাবনা আছে তাদের। কিছু বাস গাবতলী থেকে যেতে পারে।
ঢাকা মহানগর ট্রাফিক পুলিশের কর্মকর্তারা বলছেন, শহরের মধ্যে বড় বাস চলার ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটা নির্দেশনা আছে, ঢাকা শহরের মধ্যে সকাল ৭টা পর্যন্ত এবং রাত ৯টার পরে বড় বাস চলাচল করতে পারে। বাকি সময়টাতে বড় বাস শহরে ঢোকার অনুমতি নেই।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, ‘গাবতলী থেকে দক্ষিণাঞ্চলগামী গাড়ি ঢাকা শহরের মধ্য দিয়ে চলতে দেবে বলে আমি মনে করি না। তবে এই বিষয়ে বিআরটিএ এখনো কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি।’
পরিবহন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঢাকা থেকে যেসব বাস আরিচা হয়ে দক্ষিণাঞ্চলে যেত, তারা এখন রুট বদলাবে। তা ছাড়া পদ্মা সেতুর জন্য এখন নতুন নতুন যানবাহনও আসবে। এতে করে ঢাকা শহরে চাপ বাড়বে।
জানতে চাইলে পরিবহন বিশেষজ্ঞ ও বুয়েটের অধ্যাপক ড. শামসুল হক আজকের পত্রিকা’কে বলেন, এ সমস্যার সমাধানে ঢাকায় রিংরোড বাড়াতে হবে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে সড়কগুলো এখনো প্রস্তুত নয়, সেগুলো প্রস্তুত করতে হবে। তা না হলে পদ্মা সেতু নিয়ে মানুষের যে প্রত্যাশা, সেটি পূরণ হবে না।
যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরীও একই সুরে কথা বলেছেন। তিনি বলেন, পদ্মা সেতুকে কেন্দ্র করে ঢাকা শহরের রোড পুনর্বিন্যাস করতে হবে। না হলে রাজধানীর পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে। ঢাকা শহরে যানজট আরও বাড়বে।
জানতে চাইলে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক নীলিমা আক্তার বলেন, সেতু উদ্বোধনের পরে ঢাকা শহরের যে অবস্থা হবে, সেটা নিয়ে সবার সঙ্গে কথা বলেই করণীয় ঠিক করা হবে।
বাসভাড়া পুনর্নির্ধারণ
এদিকে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির পক্ষ থেকে গত ৩১ মে পদ্মা সেতুতে চলাচলকারী বাসভাড়া পুনর্নির্ধারণ করার আবেদন জানিয়ে বিআরটিএর কাছে চিঠি দিয়েছে। খন্দকার এনায়েত উল্যাহ স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, ২৫ জুন পদ্মা সেতু চালু হবে। পদ্মা সেতুতে গাড়ি পারাপারের টোল নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন হয়েছে। এ টোলের সঙ্গে ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের ভাড়াও যুক্ত করা হবে।
স্বপ্নের পদ্মা সেতু সম্পর্কে সবশেষ খবর পেতে - এখানে ক্লিক করুন
জানতে চাইলে বিআরটিএর চেয়ারম্যান বলেছেন, এই রুটের বাসভাড়া পুনর্নির্ধারণ করা হচ্ছে। আগের চেয়ে প্রতিটা বাসের ভাড়া ১০ টাকা বাড়তে পারে।
পদ্মা সেতু সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীবাহী বাসগুলো গাবতলী না সায়েদাবাদ টার্মিনাল থেকে ছেড়ে যাবে, সে ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি পরিবহন-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। পরিবহনের মালিকেরা বলছেন, এসব বাস সায়েদাবাদ থেকেই ছেড়ে যাবে। কিন্তু বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) বলছে, এ জন্য নতুন রুট পারমিট নিতে হবে। কিন্তু এখনো কেউ নতুন রুটের জন্য আবেদনই করেনি।
সরকার আগেই ঘোষণা করেছে, ২৫ জুন খুলে যাবে স্বপ্নের সেতু। ধারণা করা হচ্ছে, এ সেতু খুলে গেলে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের কমপক্ষে ২১টি জেলার যাত্রীবাহী বাস চলবে এ পথ ব্যবহার করে।
এত দিন ঢাকা থেকে এসব জেলার সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে দুটো টার্মিনাল ব্যবহার করা হতো। এর একটি হলো গাবতলী, অন্যটি হলো সায়েদাবাদ। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া অঞ্চলের সহকারী ব্যবস্থাপক মহিউদ্দিন রাসেল বলেন, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ফেরিঘাট ব্যবহার করে প্রতিদিন সাড়ে ৬০০ বাস যাতায়াত করে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে। সেই হিসাবে মাসে প্রায় ২০ হাজারের মতো বাস যায় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে। কিন্তু পদ্মা সেতু চালু হলে বেশির ভাগ বাসই গাবতলী থেকে চলে যাবে সায়েদাবাদ টার্মিনালে। প্রশ্ন উঠেছে, এত বাসের সংকুলানের ব্যবস্থা কি সায়েদাবাদে আছে? তার ওপর পদ্মা সেতুকে কেন্দ্র করে অনেকেই নতুন বাস নামাচ্ছে। সে ক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনাটা কী হবে?
বিআরটিএর চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যে গাড়ি এখন ফেরি পারাপার হয়ে দক্ষিণাঞ্চলে যায়, সেই গাড়ি পদ্মা সেতু দিয়ে যেতে হলে নতুন করে রুট পারমিট নিতে হবে। রুট পারমিট না নিলে পদ্মা সেতু দিয়ে যেতে পারবে না। তবে দক্ষিণাঞ্চলের গাড়ি কোথা থেকে ছাড়বে সে বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
হানিফ পরিবহনের জেনারেল ম্যানেজার মোশারফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, পদ্মা সেতু চালু হলে গোটা দক্ষিণবঙ্গের গাড়ি পদ্মা সেতু দিয়ে যাবে। দক্ষিণবঙ্গের বাস সায়েদাবাদ থেকেই ছাড়ার চিন্তাভাবনা আছে তাদের। কিছু বাস গাবতলী থেকে যেতে পারে।
ঢাকা মহানগর ট্রাফিক পুলিশের কর্মকর্তারা বলছেন, শহরের মধ্যে বড় বাস চলার ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটা নির্দেশনা আছে, ঢাকা শহরের মধ্যে সকাল ৭টা পর্যন্ত এবং রাত ৯টার পরে বড় বাস চলাচল করতে পারে। বাকি সময়টাতে বড় বাস শহরে ঢোকার অনুমতি নেই।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, ‘গাবতলী থেকে দক্ষিণাঞ্চলগামী গাড়ি ঢাকা শহরের মধ্য দিয়ে চলতে দেবে বলে আমি মনে করি না। তবে এই বিষয়ে বিআরটিএ এখনো কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি।’
পরিবহন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঢাকা থেকে যেসব বাস আরিচা হয়ে দক্ষিণাঞ্চলে যেত, তারা এখন রুট বদলাবে। তা ছাড়া পদ্মা সেতুর জন্য এখন নতুন নতুন যানবাহনও আসবে। এতে করে ঢাকা শহরে চাপ বাড়বে।
জানতে চাইলে পরিবহন বিশেষজ্ঞ ও বুয়েটের অধ্যাপক ড. শামসুল হক আজকের পত্রিকা’কে বলেন, এ সমস্যার সমাধানে ঢাকায় রিংরোড বাড়াতে হবে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে সড়কগুলো এখনো প্রস্তুত নয়, সেগুলো প্রস্তুত করতে হবে। তা না হলে পদ্মা সেতু নিয়ে মানুষের যে প্রত্যাশা, সেটি পূরণ হবে না।
যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরীও একই সুরে কথা বলেছেন। তিনি বলেন, পদ্মা সেতুকে কেন্দ্র করে ঢাকা শহরের রোড পুনর্বিন্যাস করতে হবে। না হলে রাজধানীর পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে। ঢাকা শহরে যানজট আরও বাড়বে।
জানতে চাইলে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক নীলিমা আক্তার বলেন, সেতু উদ্বোধনের পরে ঢাকা শহরের যে অবস্থা হবে, সেটা নিয়ে সবার সঙ্গে কথা বলেই করণীয় ঠিক করা হবে।
বাসভাড়া পুনর্নির্ধারণ
এদিকে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির পক্ষ থেকে গত ৩১ মে পদ্মা সেতুতে চলাচলকারী বাসভাড়া পুনর্নির্ধারণ করার আবেদন জানিয়ে বিআরটিএর কাছে চিঠি দিয়েছে। খন্দকার এনায়েত উল্যাহ স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, ২৫ জুন পদ্মা সেতু চালু হবে। পদ্মা সেতুতে গাড়ি পারাপারের টোল নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন হয়েছে। এ টোলের সঙ্গে ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের ভাড়াও যুক্ত করা হবে।
স্বপ্নের পদ্মা সেতু সম্পর্কে সবশেষ খবর পেতে - এখানে ক্লিক করুন
জানতে চাইলে বিআরটিএর চেয়ারম্যান বলেছেন, এই রুটের বাসভাড়া পুনর্নির্ধারণ করা হচ্ছে। আগের চেয়ে প্রতিটা বাসের ভাড়া ১০ টাকা বাড়তে পারে।
পদ্মা সেতু সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
গাজীপুরের টঙ্গীতে ঢাকনাবিহীন ম্যানহোলে পড়ে মারা যাওয়া ফারিয়া তাসনিম জ্যোতির (৩২) দাফন সম্পন্ন হয়েছে। তিনি চুয়াডাঙ্গা শহরের বাগানপাড়া এলাকার বাসিন্দা ও পৌরসভার সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার মৃত বাবলুর মেয়ে। গতকাল মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে চুয়াডাঙ্গা শহরে জ্যোতির মরদেহ নিয়ে পৌঁছান স্বজনেরা। এ সময় স্বজনদের...
২৮ মিনিট আগেচাঁদাবাজি, দখলদারি, ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ নানা অপরাধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির তিন নেতাকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব ধরনের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে বিএনপির বেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। বিজ্ঞপ্তিতে...
৩৭ মিনিট আগেময়মনসিংহের ত্রিশালে সাবেক সংসদ সদস্য রুহুল আমীন মাদানীর নামে প্রতিষ্ঠিত একটি মসজিদের উন্নয়নে দুই অর্থবছরে তিনটি প্রকল্পের আওতায় প্রায় কোটি টাকা বরাদ্দ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো প্রকল্পের কাজই পূর্ণতা পায়নি। একটির কাজ করাই হয়নি, অন্যটির কাজ আংশিক হয়ে থেমে আছে, আরেকটিতে কেবল নামফলক বসিয়েই..
১ ঘণ্টা আগেবগুড়ার শেরপুর পৌরসভায় গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) কর্মসূচির আওতায় বরাদ্দ পাওয়া সাতটি প্রকল্পের কাজের মেয়াদ শেষ হলেও এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান হয়নি অধিকাংশ প্রকল্পের কাজ। যদিও দাপ্তরিক নথিতে সব প্রকল্পই ‘প্রায় সম্পন্ন’ হিসেবে দেখানো হয়েছে, তবে মাঠপর্যায়ে বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্ন।
৩ ঘণ্টা আগে