Ajker Patrika

বিচারকের বাসায় ‘ঈদ সালামি’ নিতে গিয়েছিলেন দলবদ্ধ ধর্ষণ মামলার আসামি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৫ এপ্রিল ২০২৩, ২২: ৩৬
বিচারকের বাসায় ‘ঈদ সালামি’ নিতে গিয়েছিলেন দলবদ্ধ ধর্ষণ মামলার আসামি

ঈদের সালামির নামে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে গ্রেপ্তার হন দুই যুবক। পরে জানা যায়, তাঁদের একজন এক পোশাককর্মীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ মামলার আসামি। অপরজনের নামে অস্ত্র মামলা রয়েছে। গতকাল সোমবার বিকেলে মিরপুর মডেল থানার বড়বাগ বসতি আবাসিক এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। আজ মঙ্গলবার তাঁদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। 

জানা গেছে, তাঁরা এক বিচারকের বাসায় ‘ঈদ সালামি’ নিতে গিয়েছিলেন। সালামি না দিলে ‘সমস্যা হবে’ বলেও হুমকি দেন তাঁরা। 

গ্রেপ্তার দুজন হলেন শাকিল আহমেদ (৩০) ও মো. আশফাকুর রহমান সজীব (২৮)। শাকিল ২০১৬ সালে এক পোশাককর্মীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ মামলার আসামি। 

আজ ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোশারফ হোসেন দুই আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। 

বিকেলে তাঁদের আদালতে হাজির করে মিরপুর থানা-পুলিশ। তদন্ত কর্মকর্তা মো. মোক্তার হোসেন খান তাঁদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। অন্যদিকে তাঁদের পক্ষে আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। 

পুলিশ জানিয়েছে, শাকিল ও আশফাক মিরপুর এলাকার চিহ্নিত চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসী। তাঁরা ঈদ সালামির নামে বড়বাগ বসতি আবাসিক এলাকায় চাঁদাবাজি করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ‘সমস্যা হবে’ বলেও হুমকি দেন। 

গতকাল সোমবার বড়বাগ বসতি আবাসিক এলাকায় এক অতিরিক্ত জেলা জজের বাসার নিচে এসে নিরাপত্তা রক্ষীর কাছে ঈদ সালামি দাবি করেন এই দুজন। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় রক্ষীকে ভয়ভীতি দেখান, মারধর করার চেষ্টা করেন এবং দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। ঘটনাটি জানালে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে গিয়ে দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে মিরপুর মডেল থানার এসআই মো. আমিনুল হক দ্রুত বিচার আইনে মামলা করেন। 

উল্লেখ্য, আসামি শাকিলের বিরুদ্ধে মিরপুর থানায় পাঁচটি মামলা রয়েছে। আসামি আশফাকুরের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলাসহ দুটি মামলা রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত