Ajker Patrika

সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলা: অধিকতর যুক্তিতর্ক শুনানি ২৮ এপ্রিল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৬: ৩৯
সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলা: অধিকতর যুক্তিতর্ক শুনানি ২৮ এপ্রিল

চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলায় অধিকতর যুক্তিতর্ক শুনানির জন্য আগামী ২৮ এপ্রিল দিন ধার্য করা হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক মাসফিকুর রহমান এই তারিখ ধার্য করেন।

এর আগে গত ১৯ মার্চ রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষ যুক্তিতর্ক শুনানি করেন। পরে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সাদিয়া আফরোজ শিল্পী ট্রাইবুনালকে বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ আইনগত বিষয়ে আরও শুনানি করতে ইচ্ছুক। এরপর ট্রাইবুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক জেসমিন আরা বেগম ৩ এপ্রিল শুনানির তারিখ ধার্য করেন।

আজ শুনানের দিন আবারও বিচারক পরিবর্তন হওয়ায় ভারপ্রাপ্ত বিচারক নতুন তারিখ ধার্য করেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সাদিয়া আফরোজ শিল্পী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

আসামিদের মধ্যে আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী, তারিক সাঈদ মামুন, ফারুক আব্বাসী জামিনে থেকে হাজিরা দেন। সানজিদুল ইসলাম ইমনকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।

অপর আসামি ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজ, ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম, সেলিম খান, হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন ওরফে বস লিটন ও আদনান সিদ্দিকী পলাতক রয়েছেন।

গত ২৮ জানুয়ারি মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত ঘোষণা করেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর তৎকালীন বিচারক এম আলী আহমেদ। এরপর আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য তারিখ ধার্য করেন। গত ১১ ফেব্রুয়ারি আসামিরা আত্মপক্ষ সমর্থন করে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন। মামলাটির ৩৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্য নিয়েছেন আদালত।

দীর্ঘদিন ধরে এই মামলার নথি গায়েব হয়েছিল। ২০২২ সালের ২৩ জানুয়ারি দৈনিক আজকের পত্রিকায় ‘নায়ক খুনের মামলা গুম’ শীর্ষক অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ছাপা হওয়ার পর বিষয়টি হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়ায়। নথি খুঁজে বের করার দাবিতে রিট আবেদন হয়। পরে নথি পাওয়া যায়। মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়। কিন্তু এই মামলার কেস ডকেট (সিডি) খুঁজে না পাওয়ায় কয়েক মাস অতিবাহিত হয়। শেষ পর্যন্ত কেস ডাকেট ছাড়াই সাক্ষ্য গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেন ট্রাইবুনাল। 

১৯৯৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর বনানীর ট্রাম্পস ক্লাবের সামনে গুলি করে হত্যা করা হয় সোহেল চৌধুরীকে। ঘটনার পর সোহেলের ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী বাদী হয়ে গুলশান থানায় হত্যা মামলা করেন। ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবুল কাশেম ব্যাপারী ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ নয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। বিতর্কিত ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সঙ্গে বাদানুবাদই এ হত্যার নেপথ্য কারণ বলে মামলার অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত