Ajker Patrika

পরীমণিকে সশরীরে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ চেয়ে আবেদন রাষ্ট্রপক্ষের

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৬: ৩৫
Thumbnail image

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমণিকে সশরীরে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ চেয়ে আবেদন করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। আজ রোববার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০-এ এই আবেদন করেন সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মাহবুবুল হাসান।

বিচারক মো. নজরুল ইসলাম এ বিষয়ে কোনো আদেশ না দিয়ে আবেদনটি নথিতে সংরক্ষণের নির্দেশ দেন। পরীমণি অন্তঃসত্ত্বা থাকায় তাঁর ব্যক্তিগত হাজিরা মওকুফ করা হয়েছিল। বর্তমানে তিনি সন্তানের মা হওয়ায় এবং সুস্থ থাকায় রাষ্ট্রপক্ষ ব্যক্তিগত হাজিরা মওকুফের আদেশ প্রত্যাহারপূর্বক সশরীরে হাজিরার নির্দেশ চেয়ে আবেদন করে।

অন্যদিকে পরীমণিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে বাদীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। আজ মামলার বাদী র‍্যাবের উপসহকারী পরিচালক মো. মজিবুর রহমানের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। পরিমণির আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভী আজকের পত্রিকাকে জানান, এই সাক্ষীকে পরীমণির পক্ষে পুনরায় জেরা করার আবেদন জানানোর পর আজ আদালতে হাজির হলে পরীমণির পক্ষে জেরা সম্পন্ন হয়।

পরে অন্য সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১৩ অক্টোবর দিন ধার্য করেন আদালত। মো. মজিবুর রহমান গত ১ মার্চ আদালতে সাক্ষ্য দেওয়ার পর মামলার বিচার শুরু হয়। 

মামলার দুই আসামি আশরাফুল ইসলাম দিপু ও কবির হোসেন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরীমণি আইনজীবীর মাধ্যমে হাজিরা দেন। 
গত ৫ জানুয়ারি পরীমণিসহ তিনজনের বিরুদ্ধ অভিযোগ গঠন করেন আদালত।

গত বছরের ৪ আগস্ট রাজধানীর বনানীতে পরীমণির বাসায় অভিযান চালায় র‍্যাব। পরে তাঁকে গুলশান থানায় করা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। গত বছরের ৩১ আগস্ট ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন পরীমণির জামিন মঞ্জুর করেন। এ মামলায় গত বছরের ৪ অক্টোবর পরীমণিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, পরীমণির বাসা থেকে জব্দ করা মাদকদ্রব্যের বৈধ কোনো কাগজপত্র ছিল না। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে সিআইডিকে জানানো হয়, ২০১৯-২০ অর্থবছরে পরীমণির নামে মদজাতীয় পানীয় সেবনের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল। গত বছরের ৩০ জুন ওই লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়। পরীমণি এই মামলার দুই আসামি আশরাফুল ইসলাম ও কবির হোসেনের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থান থেকে অবৈধ মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে বাসায় রেখেছিলেন। মাদকদ্রব্য রাখার বিষয়ে তিনি কোনো সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি। পরীমণি তাঁর গাড়িটি মাদকদ্রব্য বহনের কাজে ব্যবহার করতেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত