Ajker Patrika

কোটা আন্দোলনের সমন্বয়ক আরিফের জামিন, শিক্ষক আসিফের নামঞ্জুর

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
কোটা আন্দোলনের সমন্বয়ক আরিফের জামিন, শিক্ষক আসিফের নামঞ্জুর

রাজধানীর বনানীর সেতু ভবনে হামলা, আগুন, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় করা মামলায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক আরিফ সোহেলকে জামিন দেওয়া হয়েছে। আজ শনিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শান্ত ইসলাম মল্লিক এই আদেশ দেন।

অন্যদিকে এ মামলায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক আসিফ মাহতাব উৎসর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ছয় দিনের রিমান্ড শেষে তাদের আদালতে হাজির করে ডিবি পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের ক্যান্টনমেন্ট জোনাল টিমের পরিদর্শক আবু সাইদ মিয়া মামলার তদন্ত শেষে না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। 

এ সময় তাদের আইনজীবী জয়নাল আবেদীন মেজবাহ জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত আরিফ সোহেলের জামিন মঞ্জুর করেন এবং আসিফ মাহতাবের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে গত ২৯ জুলাই ৬ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। আগের দিন তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন মেজবাহ ও আদালতের বনানী থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই শাহ আলম আরিফকে জামিন দেওয়া ও মাহতাবকে কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ১৮ জুলাই প্রতিদিনের মতো সেতু ভবনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যথারীতি অফিসের কাজ করছিলেন। চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী অজ্ঞাতপরিচয়ের ২৫০–৩০০ জন কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও নাশকতা করার লক্ষে বেআইনি জনতাবদ্ধে আবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্র, লাঠিসোঁটা, ইটপাটকেল নিয়ে অফিসের সামনে এসে সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। সেতু ভবনের সিনিয়র সচিবসহ কর্মকর্তাদের পদ পদবি উল্লেখ করে খোঁজাখুঁজি করে হুমকি প্রদর্শন ও ত্রাস সৃষ্টির মাধ্যমে অন্তর্ঘাতমূলক ভীতি সৃষ্টি করে সেতু ভবন লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে।

একপর্যায়ে আসামিরা অফিসের মূল ফটক ভেঙে অনধিকার প্রবেশ করে সেতু ভবনের নিচ তলায় ভবনের সামনে রক্ষিত জিপ, কার, বাস, মিনিবাস, মাইক্রোবাস, পিকআপ, মোটরসাইকেল, নিরাপত্তা ভবন, সিসি ক্যামেরা, পার্কিং শেড, ক্যানটিন, গাড়িচালকদের কক্ষ, আনসার শেড, মুজিব কর্নার, জেনারেটরস কক্ষসহ মূল ভবন ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ ঘটায়। 

তারা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মারধর করে। অফিসের বিভিন্ন কাগজপত্র পুড়িয়ে ফেলে এবং বিভিন্ন আসবাবপত্র লুট করে নিয়ে যায়। সন্ত্রাসীদের দেওয়া আগুনে প্রায় ৩০০ কোটি টাকার মালামাল ভস্মীভূত হয়।

এ ঘটনায় সেতু ভবনের তত্ত্বাবধায়ক (কেয়ারটেকার) রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে বনানী থানায় মামলা করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত