Ajker Patrika

গাড়িচাপায় নারীর মৃত্যু: ‘একাকী জীবন অসুস্থ আজহার জাফরের, বাসায় স্বজনরা কেউ যেত না’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০২২, ২০: ১৬
গাড়িচাপায় নারীর মৃত্যু: ‘একাকী জীবন অসুস্থ আজহার জাফরের, বাসায় স্বজনরা কেউ যেত না’

এক নারীকে গাড়ির নিচে চাপা দিয়ে হত্যার ঘটনায় আলোচিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক শিক্ষক আজহার জাফর শাহ ছাত্রদের সঙ্গে অপেশাদার আচরণের দায়ে বহিষ্কার হওয়ার পর একরকম নিঃসঙ্গ জীবন-যাপন করতেন। এমনিতেও সহকর্মীদের সঙ্গে তার মেলামেশা ছিল খুবই কম। শিক্ষকদের কেউ কেউ তাঁকে অহংকারী বলছেন।   

গত ২ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের (আইআর) সাবেক এই সহকারী অধ্যাপক বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় রুবিনা আক্তার রুবি নামে এক নারীকে প্রাইভেট কারের নিচে চাপা দেন। ওই নারী গাড়ির নিচে আটকে যান। ওই অবস্থায় তাকে ছেঁচড়ে নিয়ে তার গাড়ি নীলক্ষেত পর্যন্ত যায়। সেখানে জনতা তাঁর গাড়ি আটকে দিয়ে তাঁকে মারধর করেন। আর ওই নারী ততক্ষণে মারা যান। মারধরে আহত শিক্ষক গুরুতর অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন।

ঘটনার দিন শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে রাজধানীর আজিমপুরে মায়ের কবর জিয়ারতে যাচ্ছিলেন বলে ওই শিক্ষকের গৃহকর্মী মাহমুদা আক্তার মণির ভাষ্য।

আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান ছিলেন জাফর শাহ। ব্যক্তিগত জীবনে নিঃসঙ্গ ছিলেন। ৪০ বছর আগে স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্স হয়ে যায় তাঁর। পরে তাঁর স্ত্রী অন্যত্র বিয়ে করেছেন। ১৩ বছর আগে তাঁর মা মারা যান এবং তারও আগে বাবা মারা যায়। তবে গত আট বছরে তিনি তাঁর বাসায় কোনো আত্মীয়-স্বজনকেও আসতে দেখেননি।’ 

ওই শিক্ষকের বাসায় দীর্ঘদিন কাজ করে আসা মনি বলেন, ‘জাফর শাহ শুক্রবার সকালে তাকে বলেছেন, তাঁর মাকে স্বপ্নে দেখেছেন। দুপুর দুইটার মধ্যেই তাকে খাবার দিতে বলেন। কারণ খাবার খেয়ে তিনি আজিমপুর মায়ের কবর জিয়ারত করতে যাবেন।’ 

মনি আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চাকরি যাওয়ার পরে যে টাকা পেয়েছেন তা বিভিন্ন ব্যবসায় লাগিয়েছেন। সেখান থেকে আয়ের টাকায় তিনি চলতেন। গত বছর তাঁর হার্টের অপারেশন করে রিং বসানো হয়। তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। তাঁর সহায়-সম্পত্তি বিভিন্ন সময় বেদখল হয়ে যাওয়ায় এখন শুধু বাড়িটাই আছে।’ 

গণমাধ্যমে খবর দেখে জাফর শাহকে দেখতে আসেন গুলশান আজাদ মসজিদের খাদেম আইয়ুব আলী। তিনি বলেন, ‘আমার স্ত্রী জাফর শাহের মায়ের মৃত্যুর পর গোসল করিয়েছেন। তারপর থেকে তাঁর (জাফর শাহ) সঙ্গে আমার ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তিনি বাসা থেকে তেমন বের হতেন না। অসুস্থ ছিলেন তিনি। গত তিন মাস আগে তাঁর সঙ্গে আমার দেখা হয়েছিল।’ 

আজহার জাফর শাহ যখন সহকারী অধ্যাপক ছিলেন সেই সময়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রধান ছিলেন অধ্যাপক রুকসানা কিবরিয়া। তিনি বলেন, ‘জাফর শাহকে নিয়ে আমি ব্যক্তিগতভাবে কিছু বলতে পারব না। প্রফেশনাল ছাড়া তাঁর সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত আলাপ ছিল না।’ 

আপনার সময়ে শিক্ষার্থীদের শূন্য নাম্বার দেওয়ার অভিযোগে চাকরি যায় কি-না? জানতে চাইলে রুকসানা বলেন, ‘আমি ২০০৬ সালের নভেম্বর থেকে ২০০৯ সালের অক্টোবর পর্যন্ত আইআর বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। যতদূর মনে পরে, ২০০৭ সালের দিকে এই ঘটনা ঘটে। তবে আমার কাছে কোনো অভিযোগ আসেনি। শিক্ষার্থীরা একাডেমিক কাউন্সিল কমিটিতে অভিযোগ দেয়। তারপর থেকে তাকে (জাফর শাহ) ক্লাস ও পরীক্ষা নিতে দেওয়া হতো না। কিন্তু তখনো তার চাকরি চলে যায়নি। এরপর আর তাঁর বিষয়ে কিছু বলতে পারব না। পরে শুনেছি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাঁর চাকরি চলে যায়। তবে চাকরি যাওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি নিয়মিত বেতন পেতেন বলে জানি।’ 

আজহার জাফর শাহর শিক্ষার্থী ছিলেন ঢাবির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. লাইলুফার ইয়াসমিন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তিনি ভালো পড়াতেন। আমি উনাকে শিক্ষক হিসেবে পেয়েছি। আমি শিক্ষক হিসেবে যুক্ত হওয়ার কিছুদিন পরে আমি বাইরে পড়তে যাই, বিদেশ থেকে এসেও উনাকে পেয়েছি। তবে প্রফেশনাল সম্পর্কের বাইরে ব্যক্তিগত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল না, উনি একা থাকতেন, তবে মানুষের সঙ্গে খুব বেশি মিশতেন এ রকমও না।’ 

আইআর বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ২০০৭ সালে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে তাঁর বিরুদ্ধে অশিক্ষকসুলভ এবং অপেশাদারিত্বমূলক আচরণ ও বিভিন্ন পরীক্ষার নম্বর দেওয়ায় পক্ষপাতিত্ব করার অভিযোগ করা হয়। ক্ষোভের জেরে ৮০ জন শিক্ষার্থীকে শূন্য দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। সেই সময় বিভাগ থেকে আত্মপক্ষ সমর্থন করে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হলেও তিনি তোয়াক্কা-ই করেননি। তখন তাকে ক্লাস-পরীক্ষা নিতে বারণ করে কর্তৃপক্ষ। তখন থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভাগের সঙ্গে কোনো ধরনের যোগাযোগ রাখেননি তিনি। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম (সিন্ডিকেট) তাকে চাকরিচ্যুত করার সিদ্ধান্ত নেয়। 

এদিকে আজহার জাফর শাহকে একমাত্র আসামি করে মামলা করেছেন রুবিনা আক্তার রুবির বড় ভাই জাকির হোসেন মিলন। তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে শাহবাগ থানা-পুলিশ। বর্তমানে পুলিশি পাহারায় চিকিৎসা চলছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর মোহাম্মদ বলেন, তিনি (শিক্ষক) এখনো চিকিৎসাধীন। পুরোপুরি সুস্থ হলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বর্তমানে পুলিশ পাহারায় ঢামেকে ভর্তি আছেন। 

চিকিৎসাধীন অবস্থায় গ্রেপ্তার জাফর শাহ’র শারীরিক অবস্থার কথা জানতে চাইল ঢামেকের নিউরোসার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, আহত আজহার জাফর শাহ এর অবস্থা এখনো শঙ্কামুক্ত না। মাথার দুই পাশে থেঁতলানো জখম আছে। তাঁর জ্ঞান আছে, তবে সুস্থ মানুষের চেয়ে কম আছে। আরও তিন চার দিন গেলে তাঁর অবস্থা বোঝা যাবে। তাঁর হার্টেও রিং পড়ানো আছে। 

আরো পড়ৃন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘সাকিবের পোস্টার স্টেডিয়ামে ঢুকবে কি না, বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি দেখবে’

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

‘তোমার জন্যই খুন করেছি’, স্ত্রীকে হত্যার পর প্রেমিকাকে সার্জনের বার্তা

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

জোটেই ভোট করবে জামায়াত, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা শিগগির

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

৩৬ বছরের কর্মজীবন শেষে আবেগঘন বিদায়ে অশ্রুসিক্ত শায়েস্তা খাতুন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘ ৩৬ বছর ধরে নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার ১৬৬ নম্বর খলিলাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন শায়েস্তা খাতুন। আজ মঙ্গলবার ছিল তাঁর চাকরির শেষ কর্মদিবস। দিনটি উপলক্ষে বিদ্যালয়টির সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থী, সহকর্মী এবং এলাকার সাধারণ মানুষ তাঁকে বিদায় সংবর্ধনা জানিয়েছেন। এ সময় তাঁকে সম্মাননা স্মারক, উপহারসামগ্রী, ফুলেল শুভেচ্ছাসহ আবেগঘন বিদায় জানায় গ্রামবাসী। বিদায়বেলায় সবার ভালোবাসায় অশ্রুসিক্ত হন শায়েস্তা খাতুন।

আজ দুপুরে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এই আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এ সময় অনুষ্ঠানে ২০২২ সালে ঢাকা বিভাগের শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক ও মিয়াজানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এমদাদুল হকসহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক, গ্রামের শিক্ষাবিদ, রাজনৈতিক ব্যক্তি ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ বক্তব্য দেন।

বক্তারা বলেন, প্রায় ৩৬ বছর আগে খলিলাবাদ গ্রামটিতে শিক্ষার কোনো ব্যবস্থা ছিল না। তখন গ্রামের লোকজন মিলে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করলে শুরু থেকেই শায়েস্তা খাতুন নিরলসভাবে পাঠদান দিতেন। দীর্ঘ ৩৬ বছর ধরে দায়িত্ব পালন করে তিনি শুধু বিদ্যালয় নয়, গ্রামের মানুষকেও আলোকিত করেছেন।

বক্তারা আরও বলেন, তাঁর আন্তরিকতা ও মানবিক মূল্যবোধ পাঠ্যবইয়ের শিক্ষার বাইরেও অনেক শিক্ষার্থীকে আলোকিত করেছে। তাঁর বহু শিক্ষার্থী সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় কর্মরত রয়েছেন। তাঁর এই দীর্ঘ কর্মজীবনের শিক্ষা অনেক শিক্ষার্থীর হৃদয়ে রয়ে যাবে। পুরো অনুষ্ঠানে সবার বক্তব্যে আবেগঘন পরিবেশ তৈরি হয়। বক্তারা বিদায়ী প্রধান শিক্ষকের সুস্থ ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন।

বিদায়ী অনুষ্ঠানে শায়েস্তা খাতুন তাঁর অনুভূতির কথা ব্যক্ত করে বলেন, ‘বিদায় অনেক কষ্টের। আমি বিদায় নিতে চাই না। আমার কোমলমতি শিক্ষার্থী, সহকর্মী ও এলাকাবাসীরা আমাকে যে সম্মান দিয়েছে, তাতে আমি আবেগাপ্লুত, মুগ্ধ। সবার কাছ থেকে একজন শিক্ষকের এমন সম্মান পাওয়া সত্যিই গর্বের। শিক্ষকের প্রতি এমন সম্মান সমাজে ছড়িয়ে পড়ুক। বিদ্যালয়ের যেকোনো প্রয়োজনে আমি পাশে থাকব।’

তিনি এ সময় অভিভাবকদের ছেলেমেয়েদের পড়ালেখার প্রতি যত্নশীল হওয়া এবং স্কুলে এসে পড়ালেখার খোঁজ নেওয়ারও আহ্বান জানান।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ১৯৮৯ সালে খলিলাবাদ গ্রামে শিক্ষা বিস্তারের জন্য গ্রামের মানুষ খলিলাবাদ বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নামে একটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। সে সময় আবুল হোসেনকে প্রধান শিক্ষক এবং আব্দুর রব, রানু বেগম, জোহরা খাতুনকে সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।

১৯৯৭ সালে প্রধান শিক্ষক আবুল হোসেন চাকরি ছেড়ে দিলে শায়েস্তা খাতুন বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান এবং তখন থেকে দায়িত্ব পালন করেন। পরে দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো জাতীয়করণ করা হলে ২০১৩ সালে এ বিদ্যালয়ও সরকারি হয়ে যায়।

শায়েস্তা খাতুনের দীর্ঘ ৩৬ বছরের শিক্ষকতা জীবনে বিদ্যালয়টিতে পড়ালেখা করা শিক্ষার্থীরা পরবর্তীতে দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করে বর্তমানে দেশ-বিদেশে কর্মরত রয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘সাকিবের পোস্টার স্টেডিয়ামে ঢুকবে কি না, বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি দেখবে’

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

‘তোমার জন্যই খুন করেছি’, স্ত্রীকে হত্যার পর প্রেমিকাকে সার্জনের বার্তা

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

জোটেই ভোট করবে জামায়াত, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা শিগগির

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কুমিল্লায় মনোনয়নবঞ্চিত হওয়ায় মশাল মিছিল

কুমিল্লা প্রতিনিধি
নগরীর কান্দিরপাড় পূবালী চত্বরে সড়ক মশাল মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
নগরীর কান্দিরপাড় পূবালী চত্বরে সড়ক মশাল মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

কুমিল্লা-৬ (সদর, সদর দক্ষিণ ও সিটি করপোরেশন) আসনে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে বিক্ষোভ করেছেন সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিনের অনুসারীরা। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাঁরা ধর্মসাগরপাড়ে দলীয় কার্যালয় থেকে মশাল মিছিল বের করেন এবং নগরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পূবালী চত্বরে গিয়ে অবস্থান নেন।

মিছিল ও সমাবেশে নেতা-কর্মীরা হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিনের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেন। এ সময় তাঁরা ‘অবৈধ প্রার্থী মানি না মানব না’; ‘আমি কে তুমি কে, ইয়াছিন ভাই ইয়াছিন ভাই”; ‘জেল-জুলুম, কারাগারে ইয়াছিন ভাই’; ‘কুমিল্লার ঘরে ঘরে ইয়াছিন ভাই’ এবং ‘নেতা-কর্মীদের সুখে-দুখে ইয়াছিন ভাই’ বলে স্লোগান তোলেন। নেতা-কর্মীদের দাবি, তাঁদের নেতা ইয়াছিন দীর্ঘদিন ধরে জেলা বিএনপির নেতৃত্বে সক্রিয়। তাঁকে মনোনয়ন না দেওয়ায় তৃণমূল নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

গতকাল সোমবার রাতেও ইয়াছিন সমর্থকেরা কান্দিরপাড় এলাকায় টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করেন। এরপর আলেখারচর এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন তাঁরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘সাকিবের পোস্টার স্টেডিয়ামে ঢুকবে কি না, বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি দেখবে’

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

‘তোমার জন্যই খুন করেছি’, স্ত্রীকে হত্যার পর প্রেমিকাকে সার্জনের বার্তা

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

জোটেই ভোট করবে জামায়াত, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা শিগগির

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সোনা চোরাচালান: ৫ জনকে অপহরণের মামলায় দুই সন্দেহভাজন গ্রেপ্তার

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি­
গ্রেপ্তার আজিজুল হক ও আমিরুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত
গ্রেপ্তার আজিজুল হক ও আমিরুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার গোয়ালপাড়া গ্রামের পাঁচ ব্যক্তিকে অপহরণের ঘটনায় সন্দেহভাজন দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে তাঁরা এজাহারনামীয় আসামি নন। আজ মঙ্গলবার তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার দুজন হলেন জীবননগরের হরিহরনগর গ্রামের বাসিন্দা আজিজুল হক (৪৫) ও আমিরুল ইসলাম (৩৭)।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১৩ ও ১৪ অক্টোবর গোয়ালপাড়া গ্রামের স্বপন, হাসান, আবুল হোসেন, আনার হোসেন ও তাঁর ছেলে শফি রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন। তাঁদের স্বজনদের অভিযোগ, একটি সোনা চোরাচালানকে কেন্দ্র করে এই পাঁচজনকে অপহরণ করা হয়েছে। নিখোঁজ ব্যক্তিদের মধ্যে তিনজন—স্বপন, হাসান ও আবুল হোসেন ওই সোনা চোরাচালানের সময় মাঠে ঘাস কাটছিলেন।

ওই ঘটনায় নিখোঁজ হাসানের বাবা শওকত আলী বাদী হয়ে জীবননগর থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন। ​মামলা করার পরও পুলিশ মূল আসামিদের গ্রেপ্তার ও অপহৃত ব্যক্তিদের উদ্ধারে গড়িমসি করছিল অভিযোগ তুলে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে।

চুয়াডাঙ্গার সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) আনোয়ারুল কবির বলেন, অপহরণ মামলার পর সন্দেহভাজন দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তাঁদের আদালতে সোপর্দ করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘সাকিবের পোস্টার স্টেডিয়ামে ঢুকবে কি না, বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি দেখবে’

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

‘তোমার জন্যই খুন করেছি’, স্ত্রীকে হত্যার পর প্রেমিকাকে সার্জনের বার্তা

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

জোটেই ভোট করবে জামায়াত, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা শিগগির

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সভা শেষে ফেরার পথে ট্রাকচাপায় ৩ বিএনপি কর্মী নিহত

বাগেরহাট প্রতিনিধি
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

বাগেরহাটের রামপালে ট্রাকচাপায় তিন মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় খুলনা-মোংলা মহাসড়কের বেলাই ব্রিজ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন রামপাল উপজেলার রাজনগর ইউনিয়ন বিএনপি কর্মী জামির ইজাদ্দার (৫০), মিজান ব্যাপারী (৪৫) ও হরিপদ রায় (৪০)।

তাঁরা বিকেলে ভাগা বালুর মাঠে অনুষ্ঠিত বিএনপির কেন্দ্রীয় গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক ও কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীমের এক নির্বাচনী সভা শেষে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যার দিকে বাবুরবাড়ি এলাকায় পৌঁছালে পেছন দিক থেকে আসা একটি যাত্রীবাহী বাস তাঁদের ধাক্কা দেয়। পরে পেছন থেকে একটি ট্রাক তাঁদের চাপা দেয়। এতে মোটরসাইকেলটি দুমড়েমুচড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই তিনজন মারা যান।

কাটাখালী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাফর আহমেদ বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ রয়েছে। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

মোংলা ইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার এমরান হোসেন বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে আমরা পুলিশকে হস্তান্তর করেছি। সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।’

রামপাল উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাফিজুর রহমান তুহিন বলেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনায় যে তিনজন মারা গেছেন, তাঁরা আমাদের দলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। একটি দলীয় সভা থেকে ফেরার পথে এ দুর্ঘটনার শিকার হন তাঁরা। তাঁদের মৃত্যুতে আমরা গভীর শোক প্রকাশ করছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘সাকিবের পোস্টার স্টেডিয়ামে ঢুকবে কি না, বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি দেখবে’

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

‘তোমার জন্যই খুন করেছি’, স্ত্রীকে হত্যার পর প্রেমিকাকে সার্জনের বার্তা

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

জোটেই ভোট করবে জামায়াত, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা শিগগির

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত