Ajker Patrika

বাজেট আওয়ামী লীগের ইশতেহারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয়েছে: সিপিডি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৭ জুন ২০২৪, ১৯: ১৬
বাজেট আওয়ামী লীগের ইশতেহারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয়েছে: সিপিডি

দুর্নীতি প্রতিরোধ এবং মানুষের জীবনযাত্রা সহজীকরণের উদ্দেশ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ যে ইশতেহার ঘোষণা করেছিল, সেটি এই বাজেটের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে মন্তব্য করেছেন বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো অধ্যাপক মুস্তাফিজুর রহমান।

আজ শুক্রবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট বিশ্লেষণ–সংক্রান্ত সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।

মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার, আমার ভুল না হলে-অধ্যায় ৩–এ স্পষ্টভাবে দুর্বৃত্তায়ন, করখেলাপি, ঋণখেলাপি ইত্যাদির বিরুদ্ধে শূন্য সহিষ্ণুতার (জিরো টলারেন্স) কথা বলা হয়েছে। এখন যেটা (বাজেট) দেওয়া হচ্ছে, এটা অবশ্যই সাংঘর্ষিক। আওয়ামী লীগ একটি ঐতিহ্যবাহী দল, যে ধরনের দর্শন নিয়ে চলে, তার সঙ্গে আমরা মনে করি, এটা একেবারেই বিপরীত।’ 

তিনি বলেন, ‘করখেলাপি, ঋণখেলাপি থেকে শুরু করে দেশ থেকে টাকা পাচার—এই যে বড় ধরনের দুষ্টচক্র বাংলাদেশের তৈরি হয়েছে, তাদের মাথায় হাত বুলিয়ে প্রতিবছর কিছু সুবিধা দিয়ে অর্থনীতিতে এই টাকাটা নিয়ে আসার রাস্তায় যাব, না কি আমরা আওয়ামী লীগের ইশতেহারের ঘোষিত দুর্বৃত্তায়নের বিরুদ্ধে জিহাদের দিকে যাব, এখানে একটা দৃষ্টিভঙ্গির ব্যাপার রয়েছে। আমরা দেখলাম, বাজেটে এটা কোন দিকে গেল, এটা খুবই দুঃখজনক।’

১৫ শতাংশ কর দিয়ে টাকা বৈধ করার সুযোগের সমালোচনা করে মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আগে যেখানে একটু অস্পষ্টতা ছিল, যেমন ট্যাক্সের টাকা দিয়ে কালোটাকা সাদা করলেও দুদক তাদেরকে ধরতে পারত। এ রকম একটা আশঙ্কা ছিল। এবারে কিন্তু সেটাই একেবারে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অন্য কেউই এটা নিয়ে আর প্রশ্ন করতে পারবে না। এই লাইন যোগ করা হয়েছে বাজেটে, এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’

নৈতিকভাবে এটা অগ্রহণযোগ্য উল্লেখ করে সিপিডির এই ফেলো বলেন, ‘অর্থনৈতিকভাবেও এটা খুব ফলপ্রসূ নয়। বছরের পর বছর এই সুবিধা দিয়েও খুব বড় অঙ্কের টাকা আসছে, এমন নয়।’

সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বাজেট বিশ্লেষণে বলেন, ‘গত দুই বছর ধরে বাংলাদেশের অর্থনীতি প্রচণ্ড ধরনের চাপের মুখে রয়েছে। যার কারণে সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ছিল, সেখান থেকে আমরা অনেকখানি সরে আসায় অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নড়বড়ে হয়ে গেছে। অর্থনীতির প্রায় সবগুলো সূচকে ক্ষত দেখা দিয়েছে।’

বাজেটের দুটি বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ যে তলানিতে যাচ্ছে, সেটা ঠেকানো। এই দুটি বিষয়ে নজর দিয়ে আস্তে আস্তে অন্য অর্থনৈতিক সূচকগুলো ঠিক করা যেত।’ 

ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘বাজেটে এমন প্রক্ষেপণ করা হয়েছে, যেগুলো বাস্তবতার সঙ্গে মিল নেই। জিডিপি ৬ দশমিক ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধির হার নির্ধারণ করা উচ্চাকাঙ্ক্ষা। এটা কোথায় থেকে আসবে?’ 

 ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটের সমালোচনা করে সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ‘আমাদের কাছে এই বাজেটকে একটি নতুন সরকারের নতুন বাজেট বলে মনে হয়নি। নতুন সরকারের একটা পুরোনো বাজেট মনে হয়েছে।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘আরও সুস্পষ্ট করে যদি বলি, নতুন অর্থমন্ত্রী এবং একজন নতুন অর্থ প্রতিমন্ত্রীর কাছ থেকে বাজেট প্রণয়নে আমরা যে ধরনের মুনশিয়ানা প্রত্যাশা করেছিলাম, সেটা দেখাতে নতুন চিফ এক্সিকিউটিভস, যাঁরা দায়িত্ব নিয়েছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের, তাঁরা দেখাতে পারেননি। এটা এক দিক থেকে জনগণের জন্য দুর্ভাগ্যের কারণ।’

সিপিডি বলছে, স্থিতিশীলতা অর্জনের জন্য ব্যয় সংকোচন প্রয়োজন। তবে এটা সাধারণ মানুষের ওপর যতটা চাপানো হচ্ছে, সরকারি ব্যয়ের পর এর প্রভাব পড়ছে না।

এ প্রসঙ্গে ড. মোয়াজ্জেম বলেন, ‘সরকারের ব্যয় সংকোচনটা কবে হবে? একদিকে সাধারণ মানুষের ওপরে সংকোচনের চাপ, অন্যদিকে সরকারের সম্প্রসারিত বলছি না, কিছুটা সীমিত আকারের ব্যয়, এটি কখনোই অর্থনীতিকে মূলধারায় ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে যথেষ্ট হবে না।’

এবারের বাজেটে সাধারণ মানুষের জন্য খাদ্য–বহির্ভূত মূল্যস্ফীতি মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াবে বলে মন্তব্য করেন খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। তিনি বলেন, ‘এটা আপনারা দেখতে পাবেন, তাঁরা (সাধারণ মানুষ) যে সমস্ত পণ্য কেনেন, সেগুলোর অনেকগুলোর ওপরে ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে। নতুন পণ্য উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট আরোপ হয়েছে। অনেক সেবা, যেগুলো সাধারণ মানুষ নেন, সেগুলোর ওপর ভ্যাট হয়েছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি এবং বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি। এগুলো যোগ করলে পুরোটাই হচ্ছে খাদ্য–বহির্ভূত মূল্যস্ফীতির অংশ।’

তিনি বলেন, ‘এগুলো বিশ্লেষণ করে আমাদের কাছে মনে হয়, মূল্যস্ফীতি কমানো তো দূরে থাক, চরম মূল্যস্ফীতিকে উসকে দিতে পারে এই বাজেট।’

সংবাদ সম্মেলনে সিপিডির জ্যেষ্ঠ গবেষণা ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান, মুনতাসির কামাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

আরপিও সংশোধন থেকে সরলে লন্ডন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া মনে করবে এনসিপি: আখতার

ভারতের ইন্দোরে শ্লীলতাহানির শিকার অস্ট্রেলিয়ার দুই নারী ক্রিকেটার

আজকের রাশিফল: মেজাজ সামলে রাখুন, ফেসবুকে দার্শনিকতা বন্ধ করুন

বাড়ি ফেরার পথে লালনশিল্পীকে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

তিস্তায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করলেন ইউএনও

 গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি
রংপুরের গঙ্গাচড়ায় অভিযান চালিয়ে বালু উত্তোলনের যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
রংপুরের গঙ্গাচড়ায় অভিযান চালিয়ে বালু উত্তোলনের যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

রংপুরের গঙ্গাচড়ায় তিস্তার বুকে দিনদুপুরে চলছিল প্রকাশ্যে বালু লুট। অবশেষে আজ শনিবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে বালু উত্তোলনের যন্ত্রপাতি জব্দ ও জরিমানা করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদুল হাসান মৃধা। আলমবিদিতর ইউনিয়নের পাইকান ডাক্তারপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইউএনও এক যুবককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ড দেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই এলাকার জামায়াত নেতা মোকলেছুর রহমান ও বালু ব্যবসায়ী হামিদুল ইসলাম মিলে দীর্ঘদিন ধরে তিস্তা নদীর বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় হামিদুল ইসলাম রাজনৈতিক প্রভাব খাঁটিয়ে একইভাবে বালু উত্তোলন করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

গতকাল শুক্রবার বিকেলে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, তিস্তার ডান তীরে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন চলছে। কাজের দায়িত্বে থাকা শ্রমিক বাদল চন্দ্র রায় জানান, মোকলেছুর নামের এক ব্যক্তি হামিদুলের মেশিন দিয়ে বালু তুলছেন। অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য রিপন মিয়া বলেন, ‘এখানে প্রায় দেড় লাখ সেফটি বালু তোলা হচ্ছে। এতে ফসলি জমি, তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অন্তত ৪০টি পরিবারের ঘরবাড়ি হুমকির মুখে পড়বে।’

জানতে চাইলে বালু ব্যবসায়ী হামিদুল ইসলাম বলেন, ‘অনেক মামলা খেয়েছি, ব্যবসা বন্ধ ছিল। তাই আবার শুরু করেছি।’ পরে সাংবাদিককে ‘বিকাশ নম্বর দিতে’ বলেও বিব্রতকর প্রস্তাব দেন তিনি।

এ বিষয়ে ইউএনও মাহমুদুল হাসান মৃধা বলেন, ‘অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা ঘটনাস্থলে যাই। বালু উত্তোলনের যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে এবং জড়িত একজনকে জরিমানা ও কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে এ বিষয়ে স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

আরপিও সংশোধন থেকে সরলে লন্ডন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া মনে করবে এনসিপি: আখতার

ভারতের ইন্দোরে শ্লীলতাহানির শিকার অস্ট্রেলিয়ার দুই নারী ক্রিকেটার

আজকের রাশিফল: মেজাজ সামলে রাখুন, ফেসবুকে দার্শনিকতা বন্ধ করুন

বাড়ি ফেরার পথে লালনশিল্পীকে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

দুই শিক্ষকসহ নিয়োগ পরীক্ষায় ডিভাইস চক্রের ৩ সদস্য গ্রেপ্তার

দিনাজপুর প্রতিনিধি
গ্রেপ্তার ডিভাইস চক্রের সদস্যরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
গ্রেপ্তার ডিভাইস চক্রের সদস্যরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

দিনাজপুরে উপখাদ্য পরিদর্শক পদে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের উদ্দেশ্যে ডিভাইস ব্যবহারকারী একটি চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার বেলা ২টার দিকে শহরের ফকিরপাড়া এলাকার স্বপ্নচূড়া ছাত্রাবাসে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশের ধারণা, গ্রেপ্তারকৃতরা একটি সংগঠিত চক্রের সদস্য, যারা আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে সরকারি নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি করে আসছে। তাদের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।

এর আগে শহরের কেরি মেমোরিয়াল স্কুল পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে পরীক্ষার্থী কৃষ্ণপদ রায়কে (২৫) ডিভাইসসহ হাতেনাতে আটক করে পুলিশ। তাঁর দেওয়া তথ্যে পরে স্বপ্নচূড়া ছাত্রাবাসে অভিযান চালিয়ে দুজন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সুন্দর রায় ওরফে সবুজ (৩২) ও মামুনুর রশিদ মামুনকে (৩৩) গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযানে পাঁচটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস, একাধিক সিম, বিভিন্ন ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড ও বেশ কয়েকটি স্ট্যাম্প জব্দ করেছে পুলিশ।

দিনাজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘প্রথমে কৃষ্ণপদ রায়কে পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে ডিভাইসসহ ধরা হয়। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ছাত্রাবাসে অভিযান চালিয়ে আরও দুজনকে আটক করা হয়। সেখানে ডিভাইসসহ পরীক্ষায় ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। এই চক্রের সঙ্গে আরও কয়েকজন জড়িত থাকতে পারে। তাদের নাম-পরিচয় শনাক্তে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তদন্তে প্রমাণ মিললে সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

আরপিও সংশোধন থেকে সরলে লন্ডন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া মনে করবে এনসিপি: আখতার

ভারতের ইন্দোরে শ্লীলতাহানির শিকার অস্ট্রেলিয়ার দুই নারী ক্রিকেটার

আজকের রাশিফল: মেজাজ সামলে রাখুন, ফেসবুকে দার্শনিকতা বন্ধ করুন

বাড়ি ফেরার পথে লালনশিল্পীকে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নিয়োগ পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে এসে আটক ব্যাংক কর্মকর্তা

রংপুর প্রতিনিধি
ছবি: গোলাম রব্বানী। আজকের পত্রিকা
ছবি: গোলাম রব্বানী। আজকের পত্রিকা

খাদ্য বিভাগের উপপরিদর্শক পরীক্ষায় প্রক্সি দেওয়ায় গোলাম রব্বানী নামে জনতা ব্যাংকের এক কর্মকর্তাকে আটকের পর এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

শনিবার (২৫ অক্টোবর) রংপুর নগরীর সিদ্দিক মেমোরিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে এই আদেশ দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শেখ মাহবুবে সোবহানী।

দণ্ডপ্রাপ্ত গোলাম রব্বানী জনতা ব্যাংক রংপুর করপোরেট শাখার কর্মকর্তা। তাঁর বাড়ি রংপুরের পীরগঞ্জের টিওরমারী গ্রামে। তিনি ওই কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী রাহাদুজ্জামান সুজন নামে এক পরীক্ষার্থীর সঙ্গে মোট অঙ্কের টাকার বিনিময়ে তাঁর প্রক্সি হিসেবে পরীক্ষায় অংশ নেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শেখ মাহবুবে সোবহানী জানান, পরীক্ষার্থী রাহাদুজ্জামান সুজনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তিনি খাদ্য বিভাগের আর কোনো পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন না।

রংপুরে ৪৬টি কেন্দ্রে সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত খাদ্য অধিদপ্তরের উপখাদ্য পরিদর্শক পদে এ পরীক্ষা হয়। ৫০ হাজার ৭৭৫ জন পরীক্ষার্থী এতে অংশ নেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

আরপিও সংশোধন থেকে সরলে লন্ডন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া মনে করবে এনসিপি: আখতার

ভারতের ইন্দোরে শ্লীলতাহানির শিকার অস্ট্রেলিয়ার দুই নারী ক্রিকেটার

আজকের রাশিফল: মেজাজ সামলে রাখুন, ফেসবুকে দার্শনিকতা বন্ধ করুন

বাড়ি ফেরার পথে লালনশিল্পীকে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অটোরিকশা রক্ষায় যুবকের আপ্রাণ চেষ্টার ভিডিও ভাইরাল, শনাক্ত হয়নি ছিনতাইকারীরা

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া
ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

নারায়ণগঞ্জে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ছিনতাই ও চালককে ছুরিকাঘাতের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ঘটনাটি কোথায় এবং কবে ঘটেছে সেই বিষয়ে পুলিশ নিশ্চিতভাবে কিছু বলতে পারেনি।

শুক্রবার সকাল থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয় ছিনতাইয়ের ভিডিওটি।

নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) তারেক আল মেহেদী বলেন, ‘প্রকাশিত ভিডিও দেখে মদনপুর সিএনজিস্ট্যান্ডসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় আমাদের পুলিশি তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত ওই অটোরিকশাটি বা ছিনতাইকারী চক্রের কাউকে শনাক্ত করা যায়নি। থানায় এ-সংক্রান্ত কোনো অভিযোগও কেউ করেননি।’

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে কক্সবাজারগামী একটি বাসের যাত্রী নাজির উদ্দিন শাহ তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ভিডিওটি প্রকাশ করেন। ভিডিওর ক্যাপশনে উল্লেখ করেন, ঘটনাটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মদনপুর এলাকায় রাত ১২টা ২০ মিনিটে ধারণ করা হয়েছে।

প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, চলন্ত সিএনজির পেছনে এক ব্যক্তি ঝুলে আছেন। ভেতর থেকে দরজা খুলে দুই ব্যক্তি তাঁকে ছুরিকাঘাত করার চেষ্টা করছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওটি প্রকাশ করা ব্যক্তির দাবি, ঝুলে থাকা ব্যক্তিটি সিএনজিচালক। তাঁর অটোরিকশা ছিনতাইকারীদের থেকে রক্ষায় ঝুলে আছেন। আর ভেতর থেকে ছিনতাইকারীরা তাঁকে আঘাত করে যাচ্ছে।’

কাঁচপুর হাইওয়ে থানা-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াহিদ মোর্শেদ বলেন, ‘ভিডিওটি আমরা দেখেছি। তবে ঘটনাস্থল শনাক্ত করতে ও সংশ্লিষ্টদের খুঁজে বের করতে তদন্ত চলছে। এ ঘটনায় কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ দেননি। ঘটনাটি কবে এবং কোথায় ঘটেছে, তা যাচাই চলছে।’

তবে ভিডিওতে দেখা যায়, সিএনজি অটোরিকশাটি সড়কের একটি লেন পরিবর্তন করে সোজা এগিয়ে যাচ্ছে। কিছু দূর এগোতেই ওপরে সালাম স্টিলের একটি আলোকিত বিজ্ঞাপন দেখা যায়। রাস্তা এবং বিজ্ঞাপনস্থল দেখে পুলিশ কর্মকর্তারা ধারণা করছেন স্থানটি মদনপুর বাসস্ট্যান্ড এবং সড়কটি চট্টগ্রামমুখী।

এর আগেও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড, চিটাগাং রোড এলাকায় রাতের আঁধারে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। প্রাইভেট কার থামিয়ে যাত্রীদের সর্বস্ব লুটে নেওয়ার ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে বাসযাত্রীদের মাধ্যমে।

এ ছাড়া গত বছরের ডিসেম্বরে মহাসড়কের সোনারগাঁ মোগড়াপাড়া এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের গাড়িতে হামলা চালিয়ে মোবাইল ও ব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছিল। সে সময় পুলিশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করলেও মহাসড়কে স্বস্তি ফেরেনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

আরপিও সংশোধন থেকে সরলে লন্ডন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া মনে করবে এনসিপি: আখতার

ভারতের ইন্দোরে শ্লীলতাহানির শিকার অস্ট্রেলিয়ার দুই নারী ক্রিকেটার

আজকের রাশিফল: মেজাজ সামলে রাখুন, ফেসবুকে দার্শনিকতা বন্ধ করুন

বাড়ি ফেরার পথে লালনশিল্পীকে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত