উত্তরা (ঢাকা) প্রতিনিধি
রাজধানীর উত্তরায় বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাসের দাবিতে গার্মেন্টস মালিকের বাসার সামনে টানা রাত-দিন অবস্থান করেছে টিএম কম্পোজিট নীট লি. নামক গার্মেন্টসের শ্রমিকেরা। এ সময় শ্রমিকদের ওপর এলাকার স্থানীয় মাস্তানদের দিয়ে ধাওয়া ও হামলার অভিযোগ করেছেন শ্রমিকেরা।
উত্তরা ১৪ নম্বর সেক্টরের ১৭ নম্বর রোডের ১০৯ নম্বর বাসার সামনে গতকাল শনিবার বিকেল থেকে রোববার বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা অবস্থান করেছেন শ্রমিকেরা। গাজীপুর সদরদের চক্রবর্তী এলাকার টিএম কম্পোজিট নীট লি. নামক গার্মেন্টসের মালিক টুটুলের বাসায় তাঁরা এই অবস্থান নেন।
আন্দোলনরত শ্রমিকেরা আজকের পত্রিকাকে জানান, তাঁরা এক মাস ওই গার্মেন্টসে কাজ করেছেন। কিন্তু গত ১৪ এপ্রিল তাঁদের ৬০/৭০ জন শ্রমিককে বেতন ও ঈদ বোনাস না দিয়ে বের করে দেওয়া হয়েছে। পরে তাঁরা গতকাল শনিবার গার্মেন্টসের সামনে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করেন। কিন্তু মালিককে না পেয়ে খোঁজখবর নিয়ে উত্তরা ১৪ নম্বর সেক্টরের মালিকের বাসার সামনে বিকেল থেকে অবস্থান করেন। পরে রাত ১১টার দিকে গার্মেন্টসের মালিক তাঁদেরকে স্থানীয় সন্ত্রাসী দিয়ে ধাওয়া করেন। এ সময় শিল্পী নামে তাঁদের একজন গর্ভবতী শ্রমিকের ওপর হামলা চালানো হয়। পরে তাঁরা ওই এলাকার আশপাশের রাস্তায় অবস্থান নেন।
শ্রমিকেরা আরও জানানা, রোজা রেখেই বেতনের আশায় অবস্থান নিয়েছিলেন তাঁরা। রাতে রাস্তার মধ্যেই সাহরি করেছেন। পরে আবার সকাল থেকে মালিকের বাসার সামনে অবস্থান করেন। তখন খবর পেয়ে পুলিশ আসে।
ওই গার্মেন্টসের আব্দুল ছালাম হাওলাদার নামের একজন অপারেটর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মার্চ মাসের ১৪ তারিখে আমরা ওই গার্মেন্টসে ঢুকেছিলাম। সেখানে আমরা ৩০০ জন শ্রমিক কর্মরত ছিলাম। পরে বেতন ভাতা, ঈদ বোনাস না দিয়ে এপ্রিল মাসের ১৪ তারিখে আমাদের ৭০ জনকে বের করে দিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এপ্রিল মাসের ১৬ তারিখে আমাদের গার্মেন্টসের শ্রমিকদের বেতন দিয়েছে। কিন্তু তার আগের দিন আমাদেরকে ছাটাই করে দিয়েছে। তখন মালিক বলেছিল-‘‘তোমরা কালকে আইসো, বেতন দিয়ে দিব।’’ কিন্তু পরে গেলে আর বেতন দেয় নাই। গেটের ভেতরেই ঢুকতে দেয় নাই। কিন্তু যারা ভেতরে কাজ করছে, তারা বেতন পাইছে। আমরা আর বেতন পাই নাই। ওই দিন বলছে এপ্রিল মাসের ২৮ তারিখে বেতন ভাতা শোধ করে দিবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত বেতন দেয় নাই।’
আন্দোলনরত শ্রমিকেরা আরো জানান, তারা শনিবার সকাল ১০টা গার্মেন্টসের সামনে আন্দোলন শুরু করেন। কিন্তু গার্মেন্টসের মালিককে না পেয়ে তাঁর বাসার ঠিকানা সংগ্রহ করেন। পরে বিকেল থেকে বাসার সামনে এসে টানা ২৪ ঘণ্টা অবস্থান করেন। কিন্তু বেতন ভাতার পরবর্তীতে হামলার স্বীকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন তাঁরা।
ওই গার্মেন্টসের সিনিয়র অপারেটর সাথী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা বেতন ভাতার জন্য যাওয়ার পর রাতের আঁধারে আমাদেরকে ধাওয়া দেওয়া হয়েছে। আমাদেরকে ওপর হামলা চালানো হয়েছে। প্রথমে বেতন না দিয়ে আমাকে বলেছে, বেতন দিয়েছে। কিন্তু পরে আবার তারাই বলছে, যে আমি চাকরি করছি তার ফিঙ্গারই হয় নাই। আমাকে কিসের বেতন দিবে।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘আমি চাকরি করছি। ফিঙ্গার দিছি। কিন্তু মালিক কি করছে না করছে, এখন আমি কীভাবে বলব। তারা কারসাজি করে এখন বলছে, কোনো কাজ করি নাই।’
এ বিষয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত উত্তরা পশ্চিম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বুরজাহান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সকাল ১১টার দিকে ওসি স্যার আমাকে বলেছেন, সেখানে ঝামেলা হচ্ছে। পরে আমি সেখানে যাই, গিয়ে ২০/২৫ জন শ্রমিক পাই। তাঁরা গাজীপুরের টিএম কম্পোজিট নীট লি. গার্মেন্টসের ছাঁটাইকৃত শ্রমিক। পরে গার্মেন্টসের মালিক সবাইকে দুই হাজার টাকা করে দিয়েছেন। বাকি টাকা আগামী ১৪ মে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। পরে শ্রমিকেরা চলে গেছেন।’
রাজধানীর উত্তরায় বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাসের দাবিতে গার্মেন্টস মালিকের বাসার সামনে টানা রাত-দিন অবস্থান করেছে টিএম কম্পোজিট নীট লি. নামক গার্মেন্টসের শ্রমিকেরা। এ সময় শ্রমিকদের ওপর এলাকার স্থানীয় মাস্তানদের দিয়ে ধাওয়া ও হামলার অভিযোগ করেছেন শ্রমিকেরা।
উত্তরা ১৪ নম্বর সেক্টরের ১৭ নম্বর রোডের ১০৯ নম্বর বাসার সামনে গতকাল শনিবার বিকেল থেকে রোববার বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা অবস্থান করেছেন শ্রমিকেরা। গাজীপুর সদরদের চক্রবর্তী এলাকার টিএম কম্পোজিট নীট লি. নামক গার্মেন্টসের মালিক টুটুলের বাসায় তাঁরা এই অবস্থান নেন।
আন্দোলনরত শ্রমিকেরা আজকের পত্রিকাকে জানান, তাঁরা এক মাস ওই গার্মেন্টসে কাজ করেছেন। কিন্তু গত ১৪ এপ্রিল তাঁদের ৬০/৭০ জন শ্রমিককে বেতন ও ঈদ বোনাস না দিয়ে বের করে দেওয়া হয়েছে। পরে তাঁরা গতকাল শনিবার গার্মেন্টসের সামনে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করেন। কিন্তু মালিককে না পেয়ে খোঁজখবর নিয়ে উত্তরা ১৪ নম্বর সেক্টরের মালিকের বাসার সামনে বিকেল থেকে অবস্থান করেন। পরে রাত ১১টার দিকে গার্মেন্টসের মালিক তাঁদেরকে স্থানীয় সন্ত্রাসী দিয়ে ধাওয়া করেন। এ সময় শিল্পী নামে তাঁদের একজন গর্ভবতী শ্রমিকের ওপর হামলা চালানো হয়। পরে তাঁরা ওই এলাকার আশপাশের রাস্তায় অবস্থান নেন।
শ্রমিকেরা আরও জানানা, রোজা রেখেই বেতনের আশায় অবস্থান নিয়েছিলেন তাঁরা। রাতে রাস্তার মধ্যেই সাহরি করেছেন। পরে আবার সকাল থেকে মালিকের বাসার সামনে অবস্থান করেন। তখন খবর পেয়ে পুলিশ আসে।
ওই গার্মেন্টসের আব্দুল ছালাম হাওলাদার নামের একজন অপারেটর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মার্চ মাসের ১৪ তারিখে আমরা ওই গার্মেন্টসে ঢুকেছিলাম। সেখানে আমরা ৩০০ জন শ্রমিক কর্মরত ছিলাম। পরে বেতন ভাতা, ঈদ বোনাস না দিয়ে এপ্রিল মাসের ১৪ তারিখে আমাদের ৭০ জনকে বের করে দিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এপ্রিল মাসের ১৬ তারিখে আমাদের গার্মেন্টসের শ্রমিকদের বেতন দিয়েছে। কিন্তু তার আগের দিন আমাদেরকে ছাটাই করে দিয়েছে। তখন মালিক বলেছিল-‘‘তোমরা কালকে আইসো, বেতন দিয়ে দিব।’’ কিন্তু পরে গেলে আর বেতন দেয় নাই। গেটের ভেতরেই ঢুকতে দেয় নাই। কিন্তু যারা ভেতরে কাজ করছে, তারা বেতন পাইছে। আমরা আর বেতন পাই নাই। ওই দিন বলছে এপ্রিল মাসের ২৮ তারিখে বেতন ভাতা শোধ করে দিবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত বেতন দেয় নাই।’
আন্দোলনরত শ্রমিকেরা আরো জানান, তারা শনিবার সকাল ১০টা গার্মেন্টসের সামনে আন্দোলন শুরু করেন। কিন্তু গার্মেন্টসের মালিককে না পেয়ে তাঁর বাসার ঠিকানা সংগ্রহ করেন। পরে বিকেল থেকে বাসার সামনে এসে টানা ২৪ ঘণ্টা অবস্থান করেন। কিন্তু বেতন ভাতার পরবর্তীতে হামলার স্বীকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন তাঁরা।
ওই গার্মেন্টসের সিনিয়র অপারেটর সাথী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা বেতন ভাতার জন্য যাওয়ার পর রাতের আঁধারে আমাদেরকে ধাওয়া দেওয়া হয়েছে। আমাদেরকে ওপর হামলা চালানো হয়েছে। প্রথমে বেতন না দিয়ে আমাকে বলেছে, বেতন দিয়েছে। কিন্তু পরে আবার তারাই বলছে, যে আমি চাকরি করছি তার ফিঙ্গারই হয় নাই। আমাকে কিসের বেতন দিবে।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘আমি চাকরি করছি। ফিঙ্গার দিছি। কিন্তু মালিক কি করছে না করছে, এখন আমি কীভাবে বলব। তারা কারসাজি করে এখন বলছে, কোনো কাজ করি নাই।’
এ বিষয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত উত্তরা পশ্চিম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বুরজাহান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সকাল ১১টার দিকে ওসি স্যার আমাকে বলেছেন, সেখানে ঝামেলা হচ্ছে। পরে আমি সেখানে যাই, গিয়ে ২০/২৫ জন শ্রমিক পাই। তাঁরা গাজীপুরের টিএম কম্পোজিট নীট লি. গার্মেন্টসের ছাঁটাইকৃত শ্রমিক। পরে গার্মেন্টসের মালিক সবাইকে দুই হাজার টাকা করে দিয়েছেন। বাকি টাকা আগামী ১৪ মে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। পরে শ্রমিকেরা চলে গেছেন।’
একসময় রাজশাহী নগরে পানি সরবরাহের জন্য প্রতিটি পাম্পে একাধিক অপারেটর থাকতে হতো। প্রযুক্তির কল্যাণে এখন পানি সরবরাহ ও পয়োনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষের (ওয়াসা) কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকেই এই পাম্প নিয়ন্ত্রণ করা হয়। তারপরও পাম্পগুলোয় দুই থেকে তিনজন করে পাম্প অপারেটর রাখা হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগেসিলেটের কানাইঘাটের দরিদ্র পরিবারের সন্তান মো. জাহাঙ্গীর আলম। ২০০৯ সালে যোগ দেন ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা সহকারী (ইউএফপিএ) পদে। এরপর ‘জাল-জালিয়াতি, বদলি, নিয়োগ-বাণিজ্যসহ অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে’ ১৭ বছরে তৃতীয় শ্রেণির এই কর্মচারী বাড়ি-গাড়িসহ নামে-বেনামে অঢেল সম্পত্তির মালিক হন।
৬ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে নারীদের স্বাভাবিক সন্তান প্রসবের প্রবণতা বেড়েছে। গত বছরের ১ জুলাই থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ছয় মাসে সিজারিয়ান সেকশন (‘সিজার’ বলে পরিচিত) অস্ত্রোপচারের চেয়ে স্বাভাবিক প্রসব ১ হাজার ৫৫২টি বেশি হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগেপ্রতিবছরের মতো এবারও পবিত্র রমজানের শুরু থেকে দেশের বৃহত্তম ইফতার মাহফিল চলছে সাতক্ষীরার কালীগঞ্জের নলতা আহ্ছানিয়া মিশনে। প্রায় ৮ হাজার মানুষের ইফতার মাহফিল যেন মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে