Ajker Patrika

দুই মামলায় আকতার-আকরামসহ ছাত্র অধিকারের ৮ জনের জামিন

নিজস্ব প্রতিবেদক ঢাকা
দুই মামলায় আকতার-আকরামসহ ছাত্র অধিকারের ৮ জনের জামিন

রাজধানীর শাহবাগ থানায় ছাত্রলীগের দুই নেতার করা মামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি আকতার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক আকরাম হোসেনসহ আট জনকে জামিন দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামান তাদের জামিনের আদেশ দেন। 

জামিন পাওয়া অপর আসামিরা হলেন সাদ্দাম হোসেন, আব্দুল কাদের, তরিকুল ইসলাম, আসিফ মাহমুদ, জাহিদ হোসেন ও সানাউল্লাহ। 

আসামিপক্ষের আইনজীবী মুজাহিদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে জানান, দুই মামলায় জামিন পাওয়ায় এই আটজনের কারামুক্তিতে আর কোনো বাধা নেই। 

মারধর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে রাজধানীর শাহবাগ থানায় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা নাজিম উদ্দিন ও আমিনুর রহমানের দায়ের করা মামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি আকতার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক আকরামসহ ২৪ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয় গত ৭ অক্টোবর। পরদিন তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে গত ২০ ও ২৫ অক্টোবর দুই মামলায় জামিনের আবেদন করা হলে তাদের আবেদন নামঞ্জুর করা হয়। এরপর দুই ভাগে ঢাকার মহানগর দায়রা আদালতে জামিনের আবেদন করা হয়। 

আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জানান, বাকি ১৬ আসামের জামিনের আবেদন শুনানির জন্য আগামী ১৪ ও ২০ নভেম্বর দিন ধার্য রয়েছে। 

মামলায় অভিযোগ করা হয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার তৃতীয় বার্ষিকীতে গত ৭ অক্টোবর ঢাবিতে সমাবেশের আয়োজন করে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ। সেখানে আসামিরা কাউকে কিছু না জানিয়েই পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার উদ্দেশ্যে বেআইনিভাবে সমাবেত হয়ে উচ্ছৃঙ্খল বক্তব্য ও স্লোগান দিতে থাকেন। 

আসামিরা তাদের বক্তব্যে সরকার, সরকার প্রধান ও বিভিন্ন মন্ত্রী, রাজনৈতিক নেতাদের উদ্দেশ্যে কুরুচিকর মন্তব্য করেন। তখন ছাত্রলীগ প্রতিবাদ করলে আসামিরা রড, হকিস্টিক, বাঁশের লাঠি দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাথাড়ি মারধর করেন। এসময় আসামিরা সাড়ে দশ হাজার টাকা চুরি করে নেন। 

এ ঘটনায় ৮ অক্টোবর ছাত্রলীগ নেতা নাজিম উদ্দিন ও আমিনুর রহমান বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় দুটি মামলা করেন। 

মামলায় আসামি করা হয় ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি আকতার হোসেনসহ ২৫ জনকে। এছাড়া অজ্ঞাতনামা দেড়শ জনকে আসামি করা হয়েছে। পরে ২৪ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। 

উল্লেখ্য ছাত্র অধিকার পরিশোধ থেকে অভিযোগ করা হয়, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে থাকা চেয়ার ও মাইক ভাঙচুর করেন। পুড়িয়ে দেওয়া হয় ছাত্র অধিকার পরিষদের ব্যানার ও ফেস্টুন। এতে পণ্ড হয়ে যায় সমাবেশ। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত