সৌগত বসু, ঢাকা
রাতে রাজধানীর জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ ধরে আসাদ গেটের দিকে এগোতেই হঠাৎ চোখে পড়ে আলোর ঝলকানি। স্বাভাবিক আলো থেকে কড়া এই আলো চোখে পড়তেই ব্রেক কষলেন চালক। পেছনে অন্য গাড়ির ধাক্কা খাওয়ার উপক্রম।
ট্রাফিক সিগন্যালে নয়, মাঝপথে সড়কের পাশে বড় ওই ডিজিটাল বিলবোর্ড। শুধু আসাদ গেটে নয়, রাজধানীর প্রধান সড়কের একটা বড় অংশে রয়েছে এমন অ্যানালগ (অ্যানাফ্লেক্স রোমান ব্যানার) ও ডিজিটাল (এলইডি) বিলবোর্ড।
গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনের কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রধান সড়কের বিভাজক থেকে শুরু করে পাশে এবং মোড়গুলোতে বড় ডিজিটাল ও অ্যানালগ বিলবোর্ড স্থাপন করা হয়েছে। এর বাইরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকেও ট্রাফিক বক্সেও বিলবোর্ড দেখা যায়। মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বর, রামপুরা, মালিবাগ, নয়াবাজার, পান্থপথ, কাঁটাবন মোড়, বিজয় সরণি মোড়, আসাদ গেট, মৌচাক মোড়, বনানী, তেজগাঁও, গুলশান এলাকা ছোট-বড় এলইডি বিলবোর্ডে ভরা।
রাজধানীর ব্যস্ততম সড়ক কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউতে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের পাশে সাকুরা বারের ওপরে রয়েছে বড় দুটি বিলবোর্ড। একটি আয়তাকার এবং অন্যটি লম্বাকৃতির। এই দুটি বিলবোর্ড ‘মডার্ন বিজ্ঞাপনী’ সংস্থার। এই সংস্থার কর্মী মো. রাজু জানান, আয়তাকার আকৃতির বিলবোর্ডটির দৈর্ঘ্য ৩০ ফুট ও উচ্চতা ১৫ ফুট। আর এটির ভাড়া এক বছরের জন্য আট লাখ টাকা। অন্যদিকে লম্বাকৃতির বিলবোর্ডের দৈর্ঘ্য ৮০ ফুট, উচ্চতা ৭ ফুট। এটির ভাড়া এক বছরে ছয় লাখ টাকা।রাজু দাবি করেন, তাঁদের বিলবোর্ড সিটি করপোরেশন অনুমোদিত। হাতিরঝিল এলাকায় অবস্থিত পুলিশ প্লাজার সীমানা ঘেঁষে রাস্তার সঙ্গেই ১০টির বেশি ছোট বিলবোর্ড ভাড়া দেওয়ার বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে ট্রাফিক বক্সেও বিলবোর্ড রয়েছে।
অথচ ৯ বছর আগে বিলবোর্ড, ব্যানার-ফেস্টুন লাগানো অবৈধ ঘোষণা করেছিল ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে ডিএসসিসির আওতাভুক্ত সব বিলবোর্ড, ব্যানার-ফেস্টুন অপসারণ করা হয়। তখন ডিএসসিসি কর্তৃপক্ষ বলেছিল, নীতিমালা তৈরি করে এ খাতে শৃঙ্খলা নিশ্চিত করা হবে। কিন্তু দীর্ঘ সময়েও সেই নীতিমালা হয়নি।
অন্যদিকে ২০১৬ সালের শুরুতে সৌন্দর্যবর্ধনের বিনিময়ে বিজ্ঞাপন প্রচার করা যাবে এমন ৪৫টি স্থান ও সড়ক নির্ধারণ করে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। সেখানে চারটি বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠানকে সার্ক ফোয়ারা, বিজয় সরণি থেকে খেজুরবাগান, মহাখালী উড়ালসড়ক, বনানীর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউ থেকে গুলশান-২ নম্বর পর্যন্ত সড়কের সৌন্দর্যবর্ধন করে বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের অনুমতি দেওয়া হয়। তবে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক বিলবোর্ডে ভরে গেলেও দুই সিটি করপোরেশনের কোনো তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. শামছুল হক বলেন, ‘এসব বিলবোর্ড রাস্তার নিরাপত্তার জন্য হুমকি। ডিজিটাল বিলবোর্ড চালককে ঝুঁকির মুখে ফেলে, আবার অ্যানালগ বিলবোর্ড চলাচলকারীদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলে। বিলবোর্ড লাগানোর ক্ষেত্রে যেসব বিজ্ঞান কাজ করে, তা পরখ না করেই এগুলো লাগানো হচ্ছে।’
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক বলেন, সিটি করপোরেশন-নির্ধারিত দুই ধরনের বিলবোর্ড রয়েছে। একটি অ্যানাফেক্স রোমান ব্যানার, অন্যটি এলইডি ব্যানার। অ্যানালগ নামে কোনো ব্যানার নেই।
উত্তর সিটি করপোরেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘আমরা এখন বড় বিলবোর্ডের অনুমোদন দিচ্ছি না। তবে ছোট ছোট এলইডি বিজ্ঞাপনের অনুমোদন দেওয়া হয়।’
বিলবোর্ডগুলো নিয়মনীতি মেনে স্থাপন করা হয়েছে কি না, তা দেখবেন বলে তিনি জানান।
রাতে রাজধানীর জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ ধরে আসাদ গেটের দিকে এগোতেই হঠাৎ চোখে পড়ে আলোর ঝলকানি। স্বাভাবিক আলো থেকে কড়া এই আলো চোখে পড়তেই ব্রেক কষলেন চালক। পেছনে অন্য গাড়ির ধাক্কা খাওয়ার উপক্রম।
ট্রাফিক সিগন্যালে নয়, মাঝপথে সড়কের পাশে বড় ওই ডিজিটাল বিলবোর্ড। শুধু আসাদ গেটে নয়, রাজধানীর প্রধান সড়কের একটা বড় অংশে রয়েছে এমন অ্যানালগ (অ্যানাফ্লেক্স রোমান ব্যানার) ও ডিজিটাল (এলইডি) বিলবোর্ড।
গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনের কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রধান সড়কের বিভাজক থেকে শুরু করে পাশে এবং মোড়গুলোতে বড় ডিজিটাল ও অ্যানালগ বিলবোর্ড স্থাপন করা হয়েছে। এর বাইরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকেও ট্রাফিক বক্সেও বিলবোর্ড দেখা যায়। মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বর, রামপুরা, মালিবাগ, নয়াবাজার, পান্থপথ, কাঁটাবন মোড়, বিজয় সরণি মোড়, আসাদ গেট, মৌচাক মোড়, বনানী, তেজগাঁও, গুলশান এলাকা ছোট-বড় এলইডি বিলবোর্ডে ভরা।
রাজধানীর ব্যস্ততম সড়ক কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউতে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের পাশে সাকুরা বারের ওপরে রয়েছে বড় দুটি বিলবোর্ড। একটি আয়তাকার এবং অন্যটি লম্বাকৃতির। এই দুটি বিলবোর্ড ‘মডার্ন বিজ্ঞাপনী’ সংস্থার। এই সংস্থার কর্মী মো. রাজু জানান, আয়তাকার আকৃতির বিলবোর্ডটির দৈর্ঘ্য ৩০ ফুট ও উচ্চতা ১৫ ফুট। আর এটির ভাড়া এক বছরের জন্য আট লাখ টাকা। অন্যদিকে লম্বাকৃতির বিলবোর্ডের দৈর্ঘ্য ৮০ ফুট, উচ্চতা ৭ ফুট। এটির ভাড়া এক বছরে ছয় লাখ টাকা।রাজু দাবি করেন, তাঁদের বিলবোর্ড সিটি করপোরেশন অনুমোদিত। হাতিরঝিল এলাকায় অবস্থিত পুলিশ প্লাজার সীমানা ঘেঁষে রাস্তার সঙ্গেই ১০টির বেশি ছোট বিলবোর্ড ভাড়া দেওয়ার বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে ট্রাফিক বক্সেও বিলবোর্ড রয়েছে।
অথচ ৯ বছর আগে বিলবোর্ড, ব্যানার-ফেস্টুন লাগানো অবৈধ ঘোষণা করেছিল ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে ডিএসসিসির আওতাভুক্ত সব বিলবোর্ড, ব্যানার-ফেস্টুন অপসারণ করা হয়। তখন ডিএসসিসি কর্তৃপক্ষ বলেছিল, নীতিমালা তৈরি করে এ খাতে শৃঙ্খলা নিশ্চিত করা হবে। কিন্তু দীর্ঘ সময়েও সেই নীতিমালা হয়নি।
অন্যদিকে ২০১৬ সালের শুরুতে সৌন্দর্যবর্ধনের বিনিময়ে বিজ্ঞাপন প্রচার করা যাবে এমন ৪৫টি স্থান ও সড়ক নির্ধারণ করে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। সেখানে চারটি বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠানকে সার্ক ফোয়ারা, বিজয় সরণি থেকে খেজুরবাগান, মহাখালী উড়ালসড়ক, বনানীর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউ থেকে গুলশান-২ নম্বর পর্যন্ত সড়কের সৌন্দর্যবর্ধন করে বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের অনুমতি দেওয়া হয়। তবে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক বিলবোর্ডে ভরে গেলেও দুই সিটি করপোরেশনের কোনো তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. শামছুল হক বলেন, ‘এসব বিলবোর্ড রাস্তার নিরাপত্তার জন্য হুমকি। ডিজিটাল বিলবোর্ড চালককে ঝুঁকির মুখে ফেলে, আবার অ্যানালগ বিলবোর্ড চলাচলকারীদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলে। বিলবোর্ড লাগানোর ক্ষেত্রে যেসব বিজ্ঞান কাজ করে, তা পরখ না করেই এগুলো লাগানো হচ্ছে।’
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক বলেন, সিটি করপোরেশন-নির্ধারিত দুই ধরনের বিলবোর্ড রয়েছে। একটি অ্যানাফেক্স রোমান ব্যানার, অন্যটি এলইডি ব্যানার। অ্যানালগ নামে কোনো ব্যানার নেই।
উত্তর সিটি করপোরেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘আমরা এখন বড় বিলবোর্ডের অনুমোদন দিচ্ছি না। তবে ছোট ছোট এলইডি বিজ্ঞাপনের অনুমোদন দেওয়া হয়।’
বিলবোর্ডগুলো নিয়মনীতি মেনে স্থাপন করা হয়েছে কি না, তা দেখবেন বলে তিনি জানান।
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) পাঁচটি স্থাপনার নতুন নামকরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ক্যাম্পাসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একাডেমিক ভবন ও শেখ হাসিনা ছাত্রী হলসহ ওই পরিবারের চার সদস্যের নামে চারটি স্থাপনা রয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের সম্মেলনকক্ষে রিজেন্ট বোর্ডের সভা
১৭ মিনিট আগেফুলবাড়ী সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের অধিনায়ক পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার উপজেলার কুরুষা ফেরুষা সীমান্তের ৯৩৬ নম্বর প্রধান পিলারের পাশে ভারতীয় বসকোটাল এলাকার নো ম্যানস ল্যান্ডে এ বৈঠক হয়।
১ ঘণ্টা আগেব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে চালতপাড় ডিগ্রি কলেজে ৯ সদস্যের আংশিক কমিটি দিয়েছে ছাত্রদল। কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ ৭ জনই নারী। কমিটিতে নারী শিক্ষার্থীদের প্রাধান্য দেওয়ায় প্রশংসায় ভাসছে ছাত্রদল। গতকাল শুক্রবার জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শাহীনুর রহমান ও সদস্যসচিব সমীর চক্রবর্তী স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে
১ ঘণ্টা আগেবান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার নিকুছড়ি সীমান্তের জিরোপয়েন্টে স্থলমাইন বিস্ফোরণে এক বাংলাদেশি আহত হয়েছেন। আজ শনিবার বিকেল ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। মাইনে আহত মো. নুরুন্নবী (৪৮) সদর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের লম্বাবিলের মৃত শফিকুর রহমানের ছেলে। তিনি আনসার-ভিডিপির সদস্য বলে জানা গেছে।
১ ঘণ্টা আগে