Ajker Patrika

সম্মাননা পেলেন ঢাকা বিভাগের পাঁচ অদম্য নারী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ছবি: আজকের পত্রিকা
ছবি: আজকের পত্রিকা

আত্মশক্তিতে উজ্জীবিত ঢাকা বিভাগের সংগ্রামী পাঁচজন নারী পেয়েছেন ‘অদম্য নারী পুরস্কার-২০২৪ ’। পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন—অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী ক্যাটাগরিতে রাজবাড়ির স্বপ্না রানী ঘোষ, শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে নারায়ণগঞ্জের মাসুদা আক্তার, সফল জননী ক্যাটাগরিতে কিশোরগঞ্জের সেলিনা মজিদ, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করায় ফরিদপুরের লিপি বেগম এবং সমাজ উন্নয়নে অবদান রাখায় ফরিদপুরের সামর্তবান।

আজ বুধবার রাজধানীর দোয়েল চত্বরে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এই পাঁচ নারীকে পুরস্কার তুলে দেন সমাজকল্যাণ এবং নারী ও শিশু বিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ।

ঢাকা বিভাগের ১৩ জেলার ৫৮ জন অদম্য নারী পুরস্কার-২০২৪ এর জন্য মনোনয়ন পান। সেখান থেকে ৫ জনকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়। পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রত্যেককে সম্মাননা ক্রেস্ট, সার্টিফিকেট এবং ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশীদ বলেন, ‘মেয়েদের কথা বলতে গেলে আমরা নারীর অসহায়ত্বের কথা বেশি বলি। কিন্তু যদি এই দেশের ইতিহাসের দিকে তাকাই, তাহলে আমি নারীর বীরত্বকে দেখি। একাত্তরের দিকে তাকালেই আমি বীর নারীদের দেখতে পাই। আমাদের দেশের প্রবর্তনের পেছনে, দুর্যোগে, সংকটে সব সময় আমাদের নারীরা পুরুষের পাশে উজ্জ্বল হয়ে থেকেছেন।’

উপদেষ্টা শারমীন মুরশিদ বলেন, অর্থনীতি, কৃষি, পরিবার সর্বক্ষেত্রে নারীরা মেরুদণ্ড হয়ে আছেন। গৃহস্থালি কাজে নারীরা দিনে গড়ে ১৮ ঘণ্টা সময় দেন। নারীরা এত অবদান রাখার পরেও স্বীকৃতি পান না। অর্থনীতিতে এর কোনো স্বীকৃতি দেওয়া হয় না।

একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও চব্বিশের অভ্যুত্থানে নারীদের অবদান তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, একাত্তরে নারীর অবদান আমরা কজন মনে রেখেছি? দেশ যখন স্বাধীন হলো, তখন সারা দেশ বীরের বেশে ছেলেদের স্বাগত জানাল, আলিঙ্গন করল। কিন্তু যেই মেয়েটি সশস্ত্র যুদ্ধ করেছিল, সেই মেয়েটি নিজের সমাজে নিজের পরিবারে স্থান পায়নি।

উপদেষ্টা বলেন, ‘জুলাইয়ের আন্দোলনেও প্রথম সারিতে থাকা নারীরা হারিয়ে যাচ্ছেন। চব্বিশের মাঠের আন্দোলনে যারা ছিলেন, তার মধ্যে ৬০ শতাংশ ছিল মেয়ে। এই আন্দোলনে ১১টি মেয়ে শহীদ হয়েছে। আমরা কি তাদের কথা বলি? এবার আমরা নিশ্চিত করব, আমাদের জুলাই কন্যারা যেন হারিয়ে না যায়।’

নারী ও শিশু বিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের ভুলে যাওয়ার প্রবণতা থেকে সরে আসতে হবে। আমাদের গল্পগুলো কেন নারী বিবর্জিত না হয়ে যায়। একচোখা এক রোখা একপেশে সমাজকে পরিবর্তন করতে হবে।’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন— মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মমতাজ আহমেদ, মহিলা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কেয়া খানসহ আরও অনেকে। নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে সবাইকে এক সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান বক্তারা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত