Ajker Patrika

চিরচেনা ভিড় নেই গাবতলী বাস টার্মিনালে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ৩০ এপ্রিল ২০২২, ১৩: ৫৭
চিরচেনা ভিড় নেই গাবতলী বাস টার্মিনালে

ঈদের আগে ঘরে ফেরা মানুষের যে উপচে পড়া ভিড় থাকে, সেটি নেই। কাউন্টারগুলোতে গাদাগাদি, হুড়োহুড়ি কিংবা ধস্তাধস্তি করে টিকিট সংগ্রহ করতে হচ্ছে না। বাসের জন্য যাত্রীদের দীর্ঘ সময় অপেক্ষাও করতে হচ্ছে না, দুই-একটি ব্যতিক্রম ছাড়া। বেশির ভাগ অগ্রিম টিকিটের যাত্রী হলেও কাউন্টার থেকে তাৎক্ষণিক টিকিটও সংগ্রহ করা যাচ্ছে। তবে তাৎক্ষণিক টিকিট সংগ্রহের জন্য যাত্রীদের গুনতে হচ্ছে বাড়তি টাকা। আজ শনিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত এমনই ছিল গাবতলী আন্তজেলা বাস টার্মিনালের চিত্র। 

হানিফ পরিবহনের ঢাকা-বরিশাল-কুয়াকাটা সড়কে চলাচল করা বাস কাউন্টারে গল্পগুজব করে সময় পার করছিলেন টিকিট মাস্টাররা। ঈদযাত্রায় ব্যস্ততা কেমন জানতে চাইলে তিনজনই সমস্বরে জানালেন, ‘চাপ নাই।’ তাঁদের একজন শাওন হোসেন বলেন, ‘প্রথম সকাল থেকে ১০টা পর্যন্ত একটু চাপ ছিল। তারপর থেকে মোটামুটি গল্পগুজব করেই সময় পার করছি আমরা। মাঝে মাঝে দু-একজন যাত্রী আসে, তাদের সঙ্গে কথা বলি। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে টিকিটও বিক্রি করি। বরিশাল রোডের মানুষ লঞ্চে বেশি যাতায়াত করে বলে এই কাউন্টারে যাত্রীর সংখ্যা অন্যান্য কাউন্টারের চেয়ে তুলনামূলক কম বলেও জানালেন তাঁরা। 

ঢাকা-সাতক্ষীরা সড়কে চলাচল করা ঈগল পরিবহনের কাউন্টারের সামনে দুজন যাত্রী ও টিকিটমাস্টারের সঙ্গে টিকিটের দাম নিয়ে দর-কষাকষি করতে দেখা গেল। অতিরিক্ত ভাড়া চাওয়ায় মনির আহমেদ নামের এক যাত্রী কিছু টাকা কম রাখার আবদার করলে কাউন্টার মাস্টার ৫০ টাকা কমানোর আশ্বাস দিলেন। বিষয়টা মনঃপূত না হওয়ায় এই যাত্রী অন্য কাউন্টারের পথে পা বাড়ালেন। 

শুভ বসুন্ধরা ও যমুনা লাইন পরিবহনের টিকিট মাস্টার মীর্জা মাজেদ হাকডাক দিয়েও যাত্রী পাচ্ছিলেন না। আজকের পরিস্থিতি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘গতকালের (শুক্রবার) মতো আজকেও যাত্রীদের ভিড় নাই। তবে দেরিতে হলেও যাত্রী ভরেই ঢাকা ছাড়ছে আমাদের বাস। দীর্ঘ ছুটির কারণে এবার একসঙ্গে একই সময়ে ঢাকা ছাড়ছে না মানুষ। তাই অন্যান্যবারের মতো ভিড় নেই বলে মনে করেন এই পরিবহনশ্রমিক।’ 

নীলফামারীর ডোমারগামী দুই যাত্রী আব্দুল্লাহ ও শাহিন টার্মিনালে ঘুরছেন অপেক্ষাকৃত কম দামে টিকিট পাওয়ার আশায়। কথা হলে শাহিন জানান, আধা ঘণ্টার বেশি সময় তাঁরা উত্তরবঙ্গের কয়েকটি কাউন্টার ঘুরে দেখেছেন সবগুলোতেই ১২০০ টাকা চাইছে টিকিটের মূল্য। ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকার মধ্যে টিকিটের প্রত্যাশা তাঁদের। 

আব্দুল্লাহ বলেন, ‘অন্যবার তো গাড়ির টিকিটই পাওয়া যায় না। এবার যেহেতু ভিড় কম, তাই আমরা অতিরিক্ত টাকা দিয়ে টিকিট না নেওয়ার চেষ্টাই করছি। রাস্তায় তেমন যানজট না থাকায় সময়ও আছে হাতে। তাই একটু ঘুরেফিরে দেখছি কোথায় কম দামে টিকিট পাওয়া যায়।’ 

কাউন্টারগুলোতে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, মোটামুটি সব দূরপাল্লার বাসই সময়মতো ঢাকায় পৌঁছাতে পারছে। তাই সময়মতোই ঢাকা ছেড়ে নির্দিষ্ট গন্তব্যের উদ্দেশে রওনাও দিতে পারছে। আধা থেকে এক ঘণ্টা বিলম্ব হচ্ছে কোনো কোনো বাস ছাড়তে। এ ছাড়া বড় কোনো শিডিউল বিভ্রাট নেই বললেই চলে। অতিরিক্ত ভাড়ার বিষয়টি বাদ দিলে যাত্রীরাও এমন ঈদযাত্রায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত