নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
টাঙ্গুয়ার হাওর বাঁচানোর দাবিসহ ছয় দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে ঢাকাস্থ হাওর অঞ্চলবাসী। আজ বুধবার সকালে (১৮ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকাস্থ হাওর অঞ্চলবাসীর ব্যানারে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন হাওর অঞ্চলবাসীর প্রধান সমন্বয়ক ড. হালিম দাদ খান। মেনন চৌধুরীর সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সাবেক অতিরিক্ত সচিব সৈয়দ উমর খৈয়াম, সাবেক অতিরিক্ত সচিব ড. গোলাম শফিক, হাওর উন্নয়ন পরিষদের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট ফরিদ উদ্দিন, হাওর অঞ্চলবাসীর সমন্বয়ক জাকিয়া শিশির, হাওর অঞ্চলবাসীর সদস্য জেসমিন নূর প্রিয়াঙ্কা, হাওর অঞ্চলবাসীর সদস্য বোরহান উদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক আব্দুল মান্নান চৌধুরী, প্রাণী ও প্রকৃতিরক্ষা ফাউন্ডেশনের ইবনুল সাঈদ রানা, হাওর অঞ্চলবাসী ঢাকা জেলার সদস্যসচিব কামরুল হাসান ও সাংবাদিক নেতা শেখ মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
এ সময় বক্তারা বলেন, সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওর বিশেষ বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন এলাকা, অন্যতম রামসার সাইট। সেখানে অবাধে পাখি উড়ে বেড়ায়, মাছেরা সাঁতার কাটে নির্বিঘ্নে। বর্তমানে অপরিকল্পিত, অনিয়ন্ত্রিত ও অব্যবস্থিত পর্যটন ব্যবসার ফলে এই চিত্র উধাও হতে চলেছে।
তাঁরা আরও বলেন, এই হাওরে প্রায় ২০০ হাউসবোটে হাজার হাজার পর্যটক সময়ে-অসময়ে যত্রতত্র ঘুরে বেড়াচ্ছে, রাত্রি যাপন করছে। তাঁদের সঙ্গে করে নিয়ে আসা পলিথিন, প্লাস্টিক, বোতল ও মনুষ্যবর্জ্য পানিতে পড়ে ও মাটিতে আটকে গিয়ে স্বচ্ছ পানিকে দূষিত করছে। মাছ মরে পানিতে ভেসে উঠছে। কৃষিকাজেরও অসুবিধা হচ্ছে। এ ছাড়া উচ্চশব্দের গান-বাজনা, উদ্দাম নৃত্য, রাতের উজ্জ্বল আলোর কারণে বিরূপ প্রভাব পড়ছে বলে জানান তাঁরা।
বক্তারা আরও বলেন, ২০১৮ সালের পাখিশুমারি অনুযায়ী টাঙ্গুয়ার হাওরে জলচর পাখির সংখ্যা ছিল ৬০ হাজার, বর্তমানে তা কমতে কমতে এসে দাঁড়িয়েছে ২৩ হাজারে। মাছের পরিমাণও ক্রমে হ্রাস পাচ্ছে। এই অবস্থা মেনে নেওয়া যায় না। টাঙ্গুয়ার হাওর বাঁচলে প্রকৃতির প্রাণ ফিরে পাবে, দেশের সম্পদ রক্ষা পাবে।
টাঙ্গুয়ার হাওরকে রক্ষার জন্য ঢাকাস্থ হাওর অঞ্চলবাসীর দাবিসমূহ—
১. হাইসবোটের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আরোপিত শর্ত মেনে হাউসবোট পরিচালনা করতে হবে।
২. ব্যবহৃত পলিথিন, প্লাস্টিক, বোতল প্রভৃতি পর্যটন ব্যবসায়ীদের উদ্যোগে সংগ্রহ করে সরকার-নির্ধারিত স্থানে ফেলতে হবে বা রিসাইকেল করতে হবে।
৩. অবিলম্বে সরকারি উদ্যোগে টাঙ্গুয়ার হাওরের জন্য সুনির্দিষ্ট দায়দায়িত্বসহ পরিবেশবান্ধব ব্যবস্থাপনা নীতিমালা প্রকাশ ও প্রচার করতে হবে।
৪. জেলা প্রশাসকের সহায়তায় পর্যটন ব্যবসায়ীদের উদ্যোগে মনুষ্যবর্জ্য ব্যবস্থাপনা করতে হবে।
৫.মানুষের চলাচল, অবস্থান, শব্দ, আলো প্রভৃতি যাতে পাখি, মাছ ও অন্যান্য জলজ প্রাণীর ক্ষতি না করে, সেরূপ ব্যবস্থা নিতে হবে। অর্থাৎ সবক্ষেত্রে পরিবেশদূষিত না করার নীতি অবলম্বন করতে হবে।
৬. জেলা প্রশাসন কর্তৃক নিয়মিত মনিটরিং করতে হবে।
টাঙ্গুয়ার হাওর বাঁচানোর দাবিসহ ছয় দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে ঢাকাস্থ হাওর অঞ্চলবাসী। আজ বুধবার সকালে (১৮ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকাস্থ হাওর অঞ্চলবাসীর ব্যানারে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন হাওর অঞ্চলবাসীর প্রধান সমন্বয়ক ড. হালিম দাদ খান। মেনন চৌধুরীর সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সাবেক অতিরিক্ত সচিব সৈয়দ উমর খৈয়াম, সাবেক অতিরিক্ত সচিব ড. গোলাম শফিক, হাওর উন্নয়ন পরিষদের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট ফরিদ উদ্দিন, হাওর অঞ্চলবাসীর সমন্বয়ক জাকিয়া শিশির, হাওর অঞ্চলবাসীর সদস্য জেসমিন নূর প্রিয়াঙ্কা, হাওর অঞ্চলবাসীর সদস্য বোরহান উদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক আব্দুল মান্নান চৌধুরী, প্রাণী ও প্রকৃতিরক্ষা ফাউন্ডেশনের ইবনুল সাঈদ রানা, হাওর অঞ্চলবাসী ঢাকা জেলার সদস্যসচিব কামরুল হাসান ও সাংবাদিক নেতা শেখ মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
এ সময় বক্তারা বলেন, সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওর বিশেষ বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন এলাকা, অন্যতম রামসার সাইট। সেখানে অবাধে পাখি উড়ে বেড়ায়, মাছেরা সাঁতার কাটে নির্বিঘ্নে। বর্তমানে অপরিকল্পিত, অনিয়ন্ত্রিত ও অব্যবস্থিত পর্যটন ব্যবসার ফলে এই চিত্র উধাও হতে চলেছে।
তাঁরা আরও বলেন, এই হাওরে প্রায় ২০০ হাউসবোটে হাজার হাজার পর্যটক সময়ে-অসময়ে যত্রতত্র ঘুরে বেড়াচ্ছে, রাত্রি যাপন করছে। তাঁদের সঙ্গে করে নিয়ে আসা পলিথিন, প্লাস্টিক, বোতল ও মনুষ্যবর্জ্য পানিতে পড়ে ও মাটিতে আটকে গিয়ে স্বচ্ছ পানিকে দূষিত করছে। মাছ মরে পানিতে ভেসে উঠছে। কৃষিকাজেরও অসুবিধা হচ্ছে। এ ছাড়া উচ্চশব্দের গান-বাজনা, উদ্দাম নৃত্য, রাতের উজ্জ্বল আলোর কারণে বিরূপ প্রভাব পড়ছে বলে জানান তাঁরা।
বক্তারা আরও বলেন, ২০১৮ সালের পাখিশুমারি অনুযায়ী টাঙ্গুয়ার হাওরে জলচর পাখির সংখ্যা ছিল ৬০ হাজার, বর্তমানে তা কমতে কমতে এসে দাঁড়িয়েছে ২৩ হাজারে। মাছের পরিমাণও ক্রমে হ্রাস পাচ্ছে। এই অবস্থা মেনে নেওয়া যায় না। টাঙ্গুয়ার হাওর বাঁচলে প্রকৃতির প্রাণ ফিরে পাবে, দেশের সম্পদ রক্ষা পাবে।
টাঙ্গুয়ার হাওরকে রক্ষার জন্য ঢাকাস্থ হাওর অঞ্চলবাসীর দাবিসমূহ—
১. হাইসবোটের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আরোপিত শর্ত মেনে হাউসবোট পরিচালনা করতে হবে।
২. ব্যবহৃত পলিথিন, প্লাস্টিক, বোতল প্রভৃতি পর্যটন ব্যবসায়ীদের উদ্যোগে সংগ্রহ করে সরকার-নির্ধারিত স্থানে ফেলতে হবে বা রিসাইকেল করতে হবে।
৩. অবিলম্বে সরকারি উদ্যোগে টাঙ্গুয়ার হাওরের জন্য সুনির্দিষ্ট দায়দায়িত্বসহ পরিবেশবান্ধব ব্যবস্থাপনা নীতিমালা প্রকাশ ও প্রচার করতে হবে।
৪. জেলা প্রশাসকের সহায়তায় পর্যটন ব্যবসায়ীদের উদ্যোগে মনুষ্যবর্জ্য ব্যবস্থাপনা করতে হবে।
৫.মানুষের চলাচল, অবস্থান, শব্দ, আলো প্রভৃতি যাতে পাখি, মাছ ও অন্যান্য জলজ প্রাণীর ক্ষতি না করে, সেরূপ ব্যবস্থা নিতে হবে। অর্থাৎ সবক্ষেত্রে পরিবেশদূষিত না করার নীতি অবলম্বন করতে হবে।
৬. জেলা প্রশাসন কর্তৃক নিয়মিত মনিটরিং করতে হবে।
সিলেট জেলায় অবৈধভাবে পাহাড় ও টিলা কাটা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে সিলেটের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারওয়ার আলম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।
২ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ডাকসু নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হওয়ার পর ভোট গণনার কাজ চলছে। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে শুরু হওয়া এ ভোট গ্রহণ শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেফরিদপুরে ভাঙ্গা উপজেলায় মহাসড়কে এক পা আর ক্রাচে ভর দিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটছিলেন আনার আলী। হাঁটতে হাঁটতে ক্লান্ত হয়ে মাঝেমধ্যে সড়কে বসেও পড়ছিলেন তিনি। তাঁর সঙ্গে থাকা বৃদ্ধ স্ত্রীর চোখেমুখে উদ্বেগের ছাপ।
২ ঘণ্টা আগেদেশের অন্যতম শীর্ষ চাল ব্যবসায়ী ও বাংলাদেশ অটো মেজর অ্যান্ড হাসকিং মিল মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুর রশিদকে আবারও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বটতৈল মোড় এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২ ঘণ্টা আগে