Ajker Patrika

‘কৃষকদের সমবায় দুর্বল হয়ে ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট শক্তিশালী হয়েছে’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১১ নভেম্বর ২০২৩, ১৭: ২২
‘কৃষকদের সমবায় দুর্বল হয়ে ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট শক্তিশালী হয়েছে’

খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত ও কৃষকদের অধিকার রক্ষায় কৃষি সমবায় জরুরি বলে মত দিয়েছেন বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রাজেকুজ্জামান রতন। তিনি বলেন, ‘খাদ্যনিরাপত্তায় কৃষক সমবায়ের বিকল্প নেই। কিন্তু দুঃখজনকভাবে কৃষকদের সমবায় দুর্বল হয়ে গেছে। বিপরীতে ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের সমবায় শক্তিশালী হয়েছে।’ 
 
আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে অনুষ্ঠিত ‘খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে কৃষি সমবায়ের গুরুত্ব’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। সেমিনারের আয়োজন করে বাংলাদেশ কৃষি ফার্ম শ্রমিক ফেডারেশন ও জাতীয় কিষানি শ্রমিক সমিতি। 

রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, ‘কৃষিকাজ একা একা করা যায় না। একা উৎপাদন করা যায় না, বিতরণ করা যায় না। এমনকি খাওয়াও যায় না। এটাকে একটি সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করতে হবে। আর এটি সম্ভব সমবায়ের মাধ্যমে। আমরা যদি চাষের জায়গাটা একসঙ্গে করি, তাহলে উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। শুধু দেশে জমির মাঝে থাকা আইল তুলে দিলে বগুড়া জেলার মতো বড় আয়তনের নতুন আবাদি জমি পাওয়া যাবে। এতে উৎপাদন বহু গুনে বেড়ে যাবে। এটির জন্য প্রয়োজন সমবায়।’ 

সিন্ডিকেটের ক্ষতিকর দিক তুলে ধরে এই শ্রমিকনেতা বলেন, ‘খাদ্য থাকলেই আপনি পাবেন, সেটা নিশ্চিত নয়। আমাদের শ্রম বিক্রি করে পাওয়া অর্থে তা কিনে খেতে হয়। সেখানেও সিন্ডিকেটরা সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করে। গ্রামের একজন সাধারণ কৃষক ১১ টাকা কেজি আলু বিক্রয় করে, সেই টাকা দিয়ে ২৫ গ্রামের চিপস কিনে নাতিকে দেয়। ২৫ টাকায় এক কেজি কাঁচা হলুদ বিক্রি করে ৫০ গ্রাম রাঁধুনির হলুদ গুঁড়া কিনতে হয় ৩০ টাকায়। এই লাভ পুরোটাই সিন্ডিকেটের পকেটে যাচ্ছে।’ 

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি ফার্ম শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক গোলাম সারওয়ার। তিনি বলেন, বাংলাদেশকে অনেক সময় খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ একটি দেশ হিসেবে দাবি করা হলেও, প্রায়ই দেখা যার যে অতি প্রয়োজনীয় অনেক খাবার বা কৃষিপণ্যের ক্ষেত্রেই আমাদের ভীষণভাবে আমদানির ওপর নির্ভর করতে হয়। ফলে দ্রব্যমূল্যের অনিয়ন্ত্রিত ঊর্ধ্বগতি যেমন একদিকে সাধারণ ভোক্তা শ্রেণির জন্য যন্ত্রণা নিয়ে আসে, অন্যদিকে দেশের কৃষকও পড়েন নানা ধরনের সংকটে। বাজার ব্যবস্থার ত্রুটির কারণে কৃষক তাঁর ন্যায্যমূল্য পান না, আবার সাধারণ ভোক্তাও বঞ্চিত হন যথাযথ মূল্যে প্রয়োজনীয় পণ্য সংগ্রহে।’ 

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কৃষি ফার্ম শ্রমিক ফেডারেশনের সহসভাপতি মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন সহসাধারণ সম্পাদক মামুন হোসাইন, জাতীয় কিষানি শ্রমিক সমিতির সভাপতি শারমিন সুলতানা প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

আজকের রাশিফল: অতিরিক্ত রাগ লজ্জায় ফেলবে, ঘরে শান্তি চাইলে রান্না নিয়ে চুপ থাকুন

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ২

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বন্দিবিনিময় চুক্তি: ভারত থেকে এল ৩২ জেলে, ফিরে গেল ৪৭ জেলে

মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
বন্দিবিনিময় চুক্তিতে ৩২ জেলেকে ফেরত পাঠিয়েছে ভারত। ছবি: আজকের পত্রিকা
বন্দিবিনিময় চুক্তিতে ৩২ জেলেকে ফেরত পাঠিয়েছে ভারত। ছবি: আজকের পত্রিকা

বন্দিবিনিময় চুক্তিতে ৩২ জেলেকে ফেরত পাঠিয়েছে ভারত। আর বাংলাদেশ থেকে ৪৭ জেলেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সমঝোতায় সমুদ্রপথে দুই দেশের বন্দিবিনিময় কার্যক্রমে সম্পৃক্ত রয়েছে উভয় দেশের কোস্ট গার্ড।

আজ বুধবার দুপুরে কোস্ট গার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

সিয়াম-উল-হক বলেন, বাংলাদেশ-ভারত আন্তর্জাতিক সমুদ্র সীমারেখাসংলগ্ন বাংলাদেশ জলসীমার মধ্যে অবৈধভাবে মৎস্য আহরণরত অবস্থায় বাংলাদেশ নৌবাহিনী গত ১২ জুলাই ও ২ আগস্ট তিনটি ভারতীয় ফিশিং বোটসহ (এফবি মা মঙ্গল চন্ডি-৩৮, এফবি ঝড়, এফবি পারমিতা-৪) ৪৭ জন ভারতীয় জেলেকে আটক করে।

অপরদিকে, ১২ ও ১৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ-ভারত আন্তর্জাতিক সমুদ্র সীমারেখা অতিক্রম করে ভারতীয় জলসীমায় মৎস্য আহরণের অভিযোগে দুটি বাংলাদেশি ফিশিং বোটসহ ৩২ জন জেলেকে আটক করে দেশটির কোস্ট গার্ড।

এরপর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দ্বিপক্ষীয় সমঝোতার মাধ্যমে আটক থাকা জেলেদের বন্দিবিনিময়ের সিদ্ধান্ত হয়। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় আটক জেলেদের হস্তান্তর/গ্রহণের কার্যক্রম সম্পন্ন করার দায়িত্ব পায় বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড।

এরই ধারাবাহিকতায় ৯ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ-ভারত আন্তর্জাতিক মেরিটাইম বাউন্ডারি লাইনে বাংলাদেশে আটক ৪৭ জন ভারতীয় জেলেকে তিনটি ফিশিং বোটসহ ভারতীয় কোস্ট গার্ডের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

একই সঙ্গে ভারতে আটক ৩২ জন বাংলাদেশি জেলেসহ একটি ফিশিং বোট এফবি মায়ের দোয়া ভারতীয় কোস্ট গার্ড থেকে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড গ্রহণ করে। আর অপর একটি বোট গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

বাংলাদেশি এসব জেলেরা ভারতের কারাগারে ছিল তিন মাস। আর ভারতীয় জেলেরা বাংলাদেশের কারাগারে ছিল চার মাস। আজ বুধবার দুপুরে বাংলাদেশি জেলেদের বোটসহ কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোন সদর দপ্তরে (মোংলা) এনে তাদের নিজ নিজ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

আজকের রাশিফল: অতিরিক্ত রাগ লজ্জায় ফেলবে, ঘরে শান্তি চাইলে রান্না নিয়ে চুপ থাকুন

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ২

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পাঁচ দফা দাবিতে কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের অবস্থান

ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি 
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী সরকারি কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন। ছবি: আজকের পত্রিকা
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী সরকারি কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন। ছবি: আজকের পত্রিকা

শিক্ষক-কর্মচারী আত্তীকরণ বিধিমালার সব কালো আইন বাতিল ও বৈষম্য নিরসনের দাবিতে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী সরকারি কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন। আজ বুধবার দুপুরে কলেজমাঠে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। সরকারি কলেজশিক্ষক সমিতির (সকশিস) কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বানে এ কর্মসূচি পালিত হয়। এ সময় সব কালো আইন বাতিল ও বৈষম্য নিরসনে শিক্ষা উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়।

শিক্ষক-কর্মচারীদের পাঁচ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে দ্রুত পদ সোপান তৈরি করে পদোন্নতি দেওয়া, আত্তীকৃত শিক্ষক-কর্মচারীদের পে-প্রোটেকশন দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন, দ্রুততম সময়ে সহজে চাকরি স্থায়ীকরণ সম্পন্ন করা, চাকরি বদলিযোগ্য করা ও একাধিক কলেজে চাকরি করা সময়কালকে গণনায় অন্তর্ভুক্ত করে কার্যকর চাকরিকাল নির্ধারণ করা।

অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তারা শিক্ষক-কর্মচারী আত্তীকরণ বিধিমালা, ২০১৮-এর সব কালো আইন বাতিল ও বৈষম্য নিরসন করে বঞ্চিত শিক্ষক-কর্মচারীদের ন্যায্য দাবি দ্রুত বাস্তবায়ন করার আহ্বান জানান। দাবি আদায় না হলে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলার ঘোষণা দেন।

শিক্ষক পরিষদের সহসাধারণ সম্পাদক মোজাফফর হোসেন বলেন, ‘আমরা এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে চাইনি। একটি কালো আইন তৈরি করে আমাদের সপ্তম গ্রেড থেকে নবম গ্রেডে নামিয়ে অবহেলার আস্তাকুঁড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে।’

সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আজিজুর রহমান সরকার বলেন, মানুষকে তার ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হলে মানুষ ক্ষিপ্ত হয়। নীতি-নৈতিকতার প্রশ্নে তখন তার বিবেক আর সায় দেয় না। রাজপথে নামতে বাধ্য হয়। তিনি অন্তর্বর্তী সরকারকে অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

আজকের রাশিফল: অতিরিক্ত রাগ লজ্জায় ফেলবে, ঘরে শান্তি চাইলে রান্না নিয়ে চুপ থাকুন

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ২

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভূমিদস্যুদের কবল থেকে জমি উদ্ধারের দাবি

ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি 
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় তিস্তার চরে ভূমিদস্যুদের কবল থেকে জমি উদ্ধারের দাবিতে মানববন্ধন। ছবি: আজকের পত্রিকা
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় তিস্তার চরে ভূমিদস্যুদের কবল থেকে জমি উদ্ধারের দাবিতে মানববন্ধন। ছবি: আজকের পত্রিকা

নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় তিস্তার চরে ভূমিদস্যুদের কবল থেকে জমি উদ্ধারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা। আজ বুধবার দুপুরে উপজেলার টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের টাপুর চরের তিস্তা নদীর পাড়ে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে দুই শতাধিক মানুষ অংশ নেন।

মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, এলাকার চিহ্নিত ভূমিদস্যু আব্দুল মোতালেব ওরফে পানচু, মনির মাস্টার, রহিম বাদশা, ফারুক, আলমগীরসহ একটি প্রভাবশালী চক্র জাল দলিল তৈরি করে ২৫ থেকে ৩০ একর জমি দখল করে রেখেছে। বক্তাদের দাবি, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এসব জমি ভোগদখল করে আসছে ওই চক্র।

ভুক্তভোগীরা বলেন, নিজেদের জমিতে যেতে চাইলে ভূমিদস্যুরা মারধর ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। এতে বহু পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছে এবং জীবিকার পথ হারাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তাঁরা।

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া জমির মালিক মুসা ভান্ডারী, মাইনুদ্দিন, সাইজুদ্দিন, নিয়ত আলীসহ অনেকে দ্রুত এসব জমি উদ্ধার করে দখলদারদের আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ দাবি করেন। ভুক্তভোগী জমির মালিকদের কয়েকজন মানববন্ধনে বক্তব্য দেন এবং তাঁদের দীর্ঘদিনের হয়রানি ও জমি হারানোর অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

আজকের রাশিফল: অতিরিক্ত রাগ লজ্জায় ফেলবে, ঘরে শান্তি চাইলে রান্না নিয়ে চুপ থাকুন

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ২

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ময়লার গাড়িতে সরকারি ওষুধ পাচারের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন

শরীয়তপুর প্রতিনিধি
শরীয়তপুরের ১০০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতাল।
শরীয়তপুরের ১০০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতাল।

শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল থেকে সরকারি ওষুধ ময়লার গাড়িতে করে পাচারের ঘটনায় সাত সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) হাসপাতালের চিকিৎসক মিজানুর রহমানকে প্রধান করে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের সমন্বয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে হাসপাতালের প্রধান ফটকে তল্লাশি চালিয়ে ওষুধসহ হাসপাতালটির দুই কর্মচারীকে আটক করেন আনসার সদস্যরা। পরে তাঁদের পুলিশে দেওয়া হয়। আটক কর্মচারীরা হলেন হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতাকর্মী টুবেল হরিজন (৩৫) ও ডোম সহকারী ইবাদুল মিয়া (৫৫)।

পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বিকেলে হাসপাতালের প্রধান ফটকে দায়িত্ব পালন করছিলেন আনসার সদস্য আব্দুর রাজ্জাক। এ সময় টুবেল ও ইবাদুলকে একটি ময়লার ভ্যানগাড়িতে হাসপাতালের বিভিন্ন ব্যবহৃত সরঞ্জাম বহন করতে দেখে তাঁর সন্দেহ হয়। আনসার সদস্য আব্দুর রাজ্জাক ময়লার ভ্যানটি তল্লাশি করেন। তল্লাশিকালে ভ্যান থেকে সলবিয়ন ভিটামিন ওষুধের ১৮০টি বক্স উদ্ধার করা হয়। প্রতিটি বক্সে ৫০ পিস করে মোট ৯ হাজার পিস সরকারি ওষুধ পাওয়া যায়। উদ্ধার হওয়া ওষুধের মেয়াদ ২০২৭ সালের এপ্রিল পর্যন্ত উল্লেখ রয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক দুজন আনসার সদস্যকে জানান, তাঁরা ওষুধগুলো হাসপাতালের বাইরে নিয়ে যাচ্ছিলেন। ঘটনাটি তাৎক্ষণিকভাবে ক্যাম্প কমান্ডারকে জানান আনসার সদস্য আব্দুর রাজ্জাক। পরে পালং থানা-পুলিশে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পালং মডেল থানার মোবাইল ডিউটি টিম ঘটনাস্থলে এসে ওষুধসহ দুজনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়। পরে মুচলেকা নিয়ে পুলিশ তাঁদের ছেড়ে দেয়।

এ বিষয়ে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. হাবিবুর রহমান বলেন, মিজানুর রহমানকে সভাপতি করে সাত সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে জেলা প্রশাসন ও সিভিল সার্জন অফিসের প্রতিনিধি রয়েছেন। সাত দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত শেষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

আজকের রাশিফল: অতিরিক্ত রাগ লজ্জায় ফেলবে, ঘরে শান্তি চাইলে রান্না নিয়ে চুপ থাকুন

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ২

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত