Ajker Patrika

জাবি ক্যাম্পাসে মারধরের শিকার সাবেক ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু

জাবি প্রতিনিধি
আপডেট : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২: ২৩
Thumbnail image

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে মারধরের শিকার সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শামীম আহমেদ ওরফে শামীম মোল্লা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে তিনি সাভারের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানা-পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কামাল হোসেন। 

তিনি বলেন, ‘চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি (শামীম) মারা গেছেন।’ 

গত ১৫ জুলাই রাতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ক্যাম্পাস শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহমেদ ওরফে শামীম মোল্লাকে মারধর করা হয়। বুধবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জয় বাংলা ফটক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির হাতে তুলে দেওয়া হয়। 

প্রত্যক্ষদর্শী ও নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সূত্রে জানা যায়, বুধবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জয় বাংলা ফটকসংলগ্ন একটি দোকানে অবস্থান করছিলেন শামীম মোল্লা। বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী সেখানে গিয়ে তাঁকে আটক করে গণধোলাই দেন। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম উপস্থিত হয়। একপর্যায়ে নিরাপত্তাকর্মীদের সহায়তায় তাঁকে নিরাপত্তা শাখায় নিয়ে আসা হয়। এরপর প্রক্টরিয়াল টিমের খবর দিলে আশুলিয়া থানা-পুলিশের একটি দল আসে। এ সময় পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল টিম শামীমকে ১৫ জুলাই রাতে উপাচার্যের বাসভবনে হামলার ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে তাঁকে আশুলিয়া থানা–পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। 

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শামীম মোল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের এলাকাতে থাকেন। আশপাশের এলাকায় মাদক সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ, জমিদখল, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। তাঁর বিরুদ্ধে চারটি মামলাও রয়েছে বলে জানা গেছে। গত ১৫ জুলাই রাতে উপাচার্যের বাসভবনে অবস্থানরত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগ ও বহিরাগত সন্ত্রাসীরা যে হামলা চালায়, শামীম ওই ঘটনায় সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখার প্রধান কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহীন বলেন, বিকেলে খবর পেয়ে নিরাপত্তা শাখার কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে যান। সেখানে ৩৯ ব্যাচের সাবেক ওই ছাত্রকে উদ্ধার করে প্রক্টর অফিসে নিয়ে আসা হয়। পরে তাঁর সঙ্গে কথাবার্তা বলে আগের মামলায় তাঁকে আশুলিয়া থানা–পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

রাত ৯টায় হাসপাতালে আনা হয় জানিয়ে গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সেলিমুজ্জামান সেলিম বলেন, ‘আমাদের এখানে যখন আনা হয় তখন আমরা পরীক্ষা করে দেখি যে তিনি মৃত। অর্থাৎ তাঁকে আমাদের এখানে মৃত অবস্থায় আনা হয়। তাঁর শরীরে সেরকম গুরুতর কোনো ক্ষত পাওয়া যায়নি। আর কী কারণে মারা গেছে এটা জানার জন্য ময়নাতদন্ত করতে হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত