নিজস্ব প্রতিবেদক, সাভার

ঢাকার সাভারে এক মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ওই মাদ্রাসার এক শিক্ষার্থীকে (১২) নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নির্যাতনের শিকার ওই শিক্ষার্থী স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। চিকিৎসক বলছেন, শিশুর দুই পায়ে পচন ধরেছে এবং তার ফুসফুসসহ দেহের অন্য অঙ্গেও সমস্যা দেখা দিয়েছে। এসব কারণে তার শ্বাসকষ্ট হচ্ছে এবং সে স্বাভাবিকভাবে মূত্র ত্যাগ করতে পারছে না।
আহত ঈশান সাভারের আমিনবাজার ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের আফসার আলীর ছোট ছেলে। সে একই ইউনিয়নের পাঁচগাছিয়া জামিয়া মদীনাতুল উলুম মাদ্রাসার উর্দু বিভাগের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র।
লেখাপড়ায় কিছুটা অমনোযোগী হওয়ায় তাকে এক বছর ধরে শিক্ষক মুফতি হোসাইন আহম্মদ দুই পায়ের হাঁটু ও হাঁটুর নিচে প্রতিদিন বেত দিয়ে আঘাত করতেন বলে ওই শিক্ষার্থী ও তার পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে।
প্রতিনিয়ত বেত্রাঘাতের কারণে ঈশান হোসেনের দুই পায়ে পচন ধরেছে এবং এর জের ধরে তার ফুসফুসসহ দেহের অন্য অঙ্গে সমস্যা দেখা দিয়েছে বলে দাবি বড় বোন আফসানা আক্তার।
আফছানা আক্তার বলেন, ‘গত ৬ অক্টোবর আমার ভাই ঈশানের দুই পায়ের হাঁটুর নিচে হঠাৎ ফুলে ওঠে। ফুলে ওঠা স্থানের ব্যথা থেকে তার জ্বর হয়। প্রথমে স্থানীয়ভাবে তার চিকিৎসা করানো হয়। এতে কাজ না হয়ে বরং অবস্থার আরও অবনতি হতে থাকে। একপর্যায়ে তাকে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী ও ইবনে সিনা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই দুই হাসপাতালের চিকিৎসকেরা তার দুই পায়ে অপারেশন করার পরামর্শ দেন এবং এ জন্য অনেক টাকা খরচ হবে বলে জানান। টাকার কথা চিন্তা করে আমরা প্রথমে ১২ অক্টোবর সকালে ঈশানকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করি। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার অবস্থার আরও অবনতি ঘটে। তার শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। কিন্তু চিকিৎসকেরা তা নিরসনে তেমন কোনো ব্যবস্থা নেননি।’
আফছানা আক্তার আরও বলেন, ‘ঢামেকে ভালো চিকিৎসা না পেয়ে ওই দিন (১২ অক্টোবর) বিকেলে আমার ভাইকে রাজধানীর দারুসালাম এলাকার ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশন পরিচালিত বিআইএইচএস জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করি। ওই দিনই তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়। আইসিইউতে ৫ দিন রাখার পর তার শ্বাসকষ্টের কিছুটা উন্নতি হলে তাকে বেডে দেওয়া হয়। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য ২২ অক্টোবর তাকে আমরা এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভর্তি করি। বর্তমানে ওই হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগে ভর্তি রয়েছে। গত কয়েক দিনের চিকিৎসায় কিছুটা উন্নতি হলেও তার শ্বাসকষ্ট রয়েছে এবং সে স্বাভাবিক প্রস্রাব করতে পারছে না।’
ঈশান বলে, ‘হোম ওয়ার্ক না করলে এবং পড়া না পারলেই হোসাইন হুজুর আমাকে বেত দিয়ে পায়ে পেটাতেন। এভাবে প্রায় এক বছর ধরে প্রতিদিনই স্যার আমাকে পিটিয়েছেন। এ সময় তিনি আমাকে বলতেন, ‘‘তোর দাঁত উচা কেন, তুই কালো কেন’’? এসব কথা বাড়িতে বললে স্যার আমাকে পাঁচতলার ছাদ থেকে ফেলে দেওয়ার হুমকি দিতেন। তাই ভয়ে বাড়িতে কিছু বলিনি।’
ঈশানের মা রোকেয়া বেগম বলেন, ‘একজন শিক্ষক হয়ে কারণে-অকারণে আমার ছেলের ওপর যে অমানবিক নির্যাতন চালিয়েছেন তা মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানাবে। আমি ওই শিক্ষকসহ জড়িত সবার বিচার দাবি করছি।’
রোকেয়া বেগম আরও বলেন, ‘আমার স্বামী সামান্য একজন ইলেকট্রিক মিস্ত্রি। তার আয়ে আমাদের সংসার চালানোই কষ্টকর। এর মধ্যে ছেলের চিকিৎসার জোগান দিতে হিমশিম খাচ্ছি। মাদ্রাসা থেকে কিছু আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন আর তারা কোনো সহায়তা দেবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছে।’
ঈশানকে মারধরের সঙ্গে জড়িত শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন কিনা জানতে চাইলে রোকেয়া বেগম বলেন, ‘আমরা চিন্তা ভাবনা করছি। ঈশান সুস্থ হলে তাকে নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত সবার বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মুফতি হোসাইন আহম্মদ বলেন, ‘শ্রেণিকক্ষে সাধারণত বেত ব্যবহার করা হয় না। তবে পড়া না পারলে মাঝেমধ্যে বেত ব্যবহার করা হয়। সেই ক্ষেত্রে হাতের তালু ছড়া অন্য কোথাও আঘাত করা হয় না।’
মুফতি হোসাইন আহমদ বলেন, ‘গত ৬ অক্টোবর শিক্ষার্থীদের একটি বিষয়ে লিখতে বলা হয়েছিল। ঈশানসহ কয়েকজন লিখতে পারেনি। এ জন্য তাদের দুই হাতের বাহুতে বেদ দিয়ে আঘাত করা হয়। কোনো শিক্ষার্থীর পায়ে আঘাত করা হয়নি। এরপরের দিন থেকেই ঈশান আর মাদ্রাসায় আসছে না। পরে জানতে পেরেছি সে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। হাতে আঘাতের কারণে কারও পায়ে পচন ধরতে পারে তা আমার কাছে বোধগম্য নয়।’
মারধরের অভিযোগে তদন্ত কমিটি
মাদ্রাসার শিক্ষাসচিব আব্দুর রহিম কাসেমী বলেন, ‘ঈশানের পরিবার থেকে শিক্ষক হোসাইন আহম্মেদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ করার পর মাদ্রাসার পক্ষ থেকে ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ওই তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষাসচিব আব্দুল ওয়াহাব। তারা তদন্ত করে ঈশানের ওপর নির্যাতনের কোনো প্রমাণ পাননি।’
আব্দুর রহিম কাসেমী আরও বলেন, ‘আমি শুনেছি শ্রেণিকক্ষে না লেখার কারণে শিক্ষক হোসাইন আহমদ তার দুই বাহুতে বেত দিয়ে আঘাত করেছিলেন। এরপর দুপুরে মাদ্রাসা ছুটি হলে ঈশান সুস্থ অবস্থায় বাড়ি চলে যায়। বিকেলে আবার সে মাদ্রাসায় আসে। কিন্তু আসরের নামাজ না পড়েই দেয়াল টপকে মাদ্রাসা থেকে বের হয়ে যায়। সম্ভবত দেয়াল টপকে যাওয়ার সময় পড়ে গিয়ে সে দুই পায়ে আঘাত পেয়েছিল। এ কারণে তার এ অবস্থা হতে পারে।’
আব্দুর রহিম কাসেমী আরও বলেন, ‘ঈশান অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। মাদ্রাসার পক্ষ থেকে তার চিকিৎসায় যথাসাধ্য আর্থিক সহায়তা করা হচ্ছে। সব সময় তার খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।’
চিকিৎসক যা বলছেন
এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক মো. কাইয়ুম রিজভী বলেন, ‘ঈশানের দুই পায়ে পচন ধরেছে এবং তার ফুসফুসসহ দেহের অন্যান্য অঙ্গে সমস্যা দেখা দিয়েছে। এসব কারণে তার শ্বাসকষ্ট হচ্ছে এবং সে স্বাভাবিকভাবে মূত্র ত্যাগ করতে পারছে না।’
চিকিৎসক কাইয়ুম রিজভী আরও বলেন, ‘ঈশানের দুই পায়ে অস্ত্রোপচার করতে হবে। কিন্তু তার দুই পায়ের যে অবস্থা তাতে এই মুহূর্তে সেখানে অস্ত্রোপচার করা সম্ভব নয়। অস্ত্রোপচার উপযোগী হলেই তার পায়ে অস্ত্রোপচার করা হবে।’

ঢাকার সাভারে এক মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ওই মাদ্রাসার এক শিক্ষার্থীকে (১২) নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নির্যাতনের শিকার ওই শিক্ষার্থী স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। চিকিৎসক বলছেন, শিশুর দুই পায়ে পচন ধরেছে এবং তার ফুসফুসসহ দেহের অন্য অঙ্গেও সমস্যা দেখা দিয়েছে। এসব কারণে তার শ্বাসকষ্ট হচ্ছে এবং সে স্বাভাবিকভাবে মূত্র ত্যাগ করতে পারছে না।
আহত ঈশান সাভারের আমিনবাজার ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের আফসার আলীর ছোট ছেলে। সে একই ইউনিয়নের পাঁচগাছিয়া জামিয়া মদীনাতুল উলুম মাদ্রাসার উর্দু বিভাগের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র।
লেখাপড়ায় কিছুটা অমনোযোগী হওয়ায় তাকে এক বছর ধরে শিক্ষক মুফতি হোসাইন আহম্মদ দুই পায়ের হাঁটু ও হাঁটুর নিচে প্রতিদিন বেত দিয়ে আঘাত করতেন বলে ওই শিক্ষার্থী ও তার পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে।
প্রতিনিয়ত বেত্রাঘাতের কারণে ঈশান হোসেনের দুই পায়ে পচন ধরেছে এবং এর জের ধরে তার ফুসফুসসহ দেহের অন্য অঙ্গে সমস্যা দেখা দিয়েছে বলে দাবি বড় বোন আফসানা আক্তার।
আফছানা আক্তার বলেন, ‘গত ৬ অক্টোবর আমার ভাই ঈশানের দুই পায়ের হাঁটুর নিচে হঠাৎ ফুলে ওঠে। ফুলে ওঠা স্থানের ব্যথা থেকে তার জ্বর হয়। প্রথমে স্থানীয়ভাবে তার চিকিৎসা করানো হয়। এতে কাজ না হয়ে বরং অবস্থার আরও অবনতি হতে থাকে। একপর্যায়ে তাকে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী ও ইবনে সিনা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই দুই হাসপাতালের চিকিৎসকেরা তার দুই পায়ে অপারেশন করার পরামর্শ দেন এবং এ জন্য অনেক টাকা খরচ হবে বলে জানান। টাকার কথা চিন্তা করে আমরা প্রথমে ১২ অক্টোবর সকালে ঈশানকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করি। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার অবস্থার আরও অবনতি ঘটে। তার শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। কিন্তু চিকিৎসকেরা তা নিরসনে তেমন কোনো ব্যবস্থা নেননি।’
আফছানা আক্তার আরও বলেন, ‘ঢামেকে ভালো চিকিৎসা না পেয়ে ওই দিন (১২ অক্টোবর) বিকেলে আমার ভাইকে রাজধানীর দারুসালাম এলাকার ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশন পরিচালিত বিআইএইচএস জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করি। ওই দিনই তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়। আইসিইউতে ৫ দিন রাখার পর তার শ্বাসকষ্টের কিছুটা উন্নতি হলে তাকে বেডে দেওয়া হয়। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য ২২ অক্টোবর তাকে আমরা এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভর্তি করি। বর্তমানে ওই হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগে ভর্তি রয়েছে। গত কয়েক দিনের চিকিৎসায় কিছুটা উন্নতি হলেও তার শ্বাসকষ্ট রয়েছে এবং সে স্বাভাবিক প্রস্রাব করতে পারছে না।’
ঈশান বলে, ‘হোম ওয়ার্ক না করলে এবং পড়া না পারলেই হোসাইন হুজুর আমাকে বেত দিয়ে পায়ে পেটাতেন। এভাবে প্রায় এক বছর ধরে প্রতিদিনই স্যার আমাকে পিটিয়েছেন। এ সময় তিনি আমাকে বলতেন, ‘‘তোর দাঁত উচা কেন, তুই কালো কেন’’? এসব কথা বাড়িতে বললে স্যার আমাকে পাঁচতলার ছাদ থেকে ফেলে দেওয়ার হুমকি দিতেন। তাই ভয়ে বাড়িতে কিছু বলিনি।’
ঈশানের মা রোকেয়া বেগম বলেন, ‘একজন শিক্ষক হয়ে কারণে-অকারণে আমার ছেলের ওপর যে অমানবিক নির্যাতন চালিয়েছেন তা মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানাবে। আমি ওই শিক্ষকসহ জড়িত সবার বিচার দাবি করছি।’
রোকেয়া বেগম আরও বলেন, ‘আমার স্বামী সামান্য একজন ইলেকট্রিক মিস্ত্রি। তার আয়ে আমাদের সংসার চালানোই কষ্টকর। এর মধ্যে ছেলের চিকিৎসার জোগান দিতে হিমশিম খাচ্ছি। মাদ্রাসা থেকে কিছু আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন আর তারা কোনো সহায়তা দেবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছে।’
ঈশানকে মারধরের সঙ্গে জড়িত শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন কিনা জানতে চাইলে রোকেয়া বেগম বলেন, ‘আমরা চিন্তা ভাবনা করছি। ঈশান সুস্থ হলে তাকে নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত সবার বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মুফতি হোসাইন আহম্মদ বলেন, ‘শ্রেণিকক্ষে সাধারণত বেত ব্যবহার করা হয় না। তবে পড়া না পারলে মাঝেমধ্যে বেত ব্যবহার করা হয়। সেই ক্ষেত্রে হাতের তালু ছড়া অন্য কোথাও আঘাত করা হয় না।’
মুফতি হোসাইন আহমদ বলেন, ‘গত ৬ অক্টোবর শিক্ষার্থীদের একটি বিষয়ে লিখতে বলা হয়েছিল। ঈশানসহ কয়েকজন লিখতে পারেনি। এ জন্য তাদের দুই হাতের বাহুতে বেদ দিয়ে আঘাত করা হয়। কোনো শিক্ষার্থীর পায়ে আঘাত করা হয়নি। এরপরের দিন থেকেই ঈশান আর মাদ্রাসায় আসছে না। পরে জানতে পেরেছি সে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। হাতে আঘাতের কারণে কারও পায়ে পচন ধরতে পারে তা আমার কাছে বোধগম্য নয়।’
মারধরের অভিযোগে তদন্ত কমিটি
মাদ্রাসার শিক্ষাসচিব আব্দুর রহিম কাসেমী বলেন, ‘ঈশানের পরিবার থেকে শিক্ষক হোসাইন আহম্মেদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ করার পর মাদ্রাসার পক্ষ থেকে ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ওই তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষাসচিব আব্দুল ওয়াহাব। তারা তদন্ত করে ঈশানের ওপর নির্যাতনের কোনো প্রমাণ পাননি।’
আব্দুর রহিম কাসেমী আরও বলেন, ‘আমি শুনেছি শ্রেণিকক্ষে না লেখার কারণে শিক্ষক হোসাইন আহমদ তার দুই বাহুতে বেত দিয়ে আঘাত করেছিলেন। এরপর দুপুরে মাদ্রাসা ছুটি হলে ঈশান সুস্থ অবস্থায় বাড়ি চলে যায়। বিকেলে আবার সে মাদ্রাসায় আসে। কিন্তু আসরের নামাজ না পড়েই দেয়াল টপকে মাদ্রাসা থেকে বের হয়ে যায়। সম্ভবত দেয়াল টপকে যাওয়ার সময় পড়ে গিয়ে সে দুই পায়ে আঘাত পেয়েছিল। এ কারণে তার এ অবস্থা হতে পারে।’
আব্দুর রহিম কাসেমী আরও বলেন, ‘ঈশান অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। মাদ্রাসার পক্ষ থেকে তার চিকিৎসায় যথাসাধ্য আর্থিক সহায়তা করা হচ্ছে। সব সময় তার খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।’
চিকিৎসক যা বলছেন
এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক মো. কাইয়ুম রিজভী বলেন, ‘ঈশানের দুই পায়ে পচন ধরেছে এবং তার ফুসফুসসহ দেহের অন্যান্য অঙ্গে সমস্যা দেখা দিয়েছে। এসব কারণে তার শ্বাসকষ্ট হচ্ছে এবং সে স্বাভাবিকভাবে মূত্র ত্যাগ করতে পারছে না।’
চিকিৎসক কাইয়ুম রিজভী আরও বলেন, ‘ঈশানের দুই পায়ে অস্ত্রোপচার করতে হবে। কিন্তু তার দুই পায়ের যে অবস্থা তাতে এই মুহূর্তে সেখানে অস্ত্রোপচার করা সম্ভব নয়। অস্ত্রোপচার উপযোগী হলেই তার পায়ে অস্ত্রোপচার করা হবে।’

রাজশাহীতে বিয়ের আশ্বাসে নার্সকে (২৫) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গতকাল রোববার ওই চিকিৎসককে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। এর আগে তাঁকে নগরীর লক্ষ্মীপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
১৪ মিনিট আগে
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইলে ১২ বছরের এক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীকে ধর্ষণের দায়ে দুই আসামিকে ও রামপুরায় পাঁচ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের দায়ে একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩-এর বিচারক মো. গোলাম কবীর পৃথক দুই মামলায় এ রায় দেন।
১৯ মিনিট আগে
ইতালিপ্রবাসী স্ত্রীকে ভিডিও কলে রেখে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন শামীম আকতার (৪০) নামের এক যুবক। আজ সোমবার উপজেলার বড়বাড়ী ইউনিয়নের কাশিডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
৩৩ মিনিট আগে
রাজধানীতে ঝটিকা মিছিলে অংশ নেওয়ার অভিযোগে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের আট নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গত রবি সন্ধ্যা থেকে গতকাল সোমবার পর্যন্ত পৃথক অভিযানে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহীতে বিয়ের আশ্বাসে নার্সকে (২৫) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গতকাল রোববার ওই চিকিৎসককে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। এর আগে তাঁকে নগরীর লক্ষ্মীপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অভিযুক্ত চিকিৎসকের নাম আহসান হাবিব (২৯)। তিনি লক্ষ্মীপুর এলাকার আল-আরাফাহ ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের আবাসিক চিকিৎসক। তাঁর বাড়ি নওগাঁ জেলায়।
গত ৮ সেপ্টেম্বর রাতে ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। পরে ২৩ সেপ্টেম্বর নগরীর রাজপাড়া থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী।
জানা যায়, নগরীর অন্য একটি বেসরকারি ক্লিনিকের নার্স পদে চাকরি করেন ভুক্তভোগী। ঘটনার দিন বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ভুক্তভোগীকে চিকিৎসক আহসান হাবিব নিজের চেম্বারে ডেকে এনে ধর্ষণ করেন।
পরে ভুক্তভোগী রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসা ও শারীরিক পরীক্ষা শেষে তিনি মামলা করেন।
জানতে চাইলে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানি না। মামলায় ঘটনাস্থল হিসেবে আমাদের ক্লিনিকের নাম আছে বলে জেনেছি। এরপর সঙ্গে সঙ্গেই আহসান হাবিবকে ক্লিনিক থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।’
এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রাজপাড়া থানার পরিদর্শক আব্দুল আলিম জানান, ঘটনার পর ভুক্তভোগী নার্স রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসা ও শারীরিক পরীক্ষা শেষে তিনি মামলা করেন।
তিনি আরও জানান, মামলা হওয়ার পর গতকাল রোববার আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদিন বিকেলেই তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলাটির তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

রাজশাহীতে বিয়ের আশ্বাসে নার্সকে (২৫) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গতকাল রোববার ওই চিকিৎসককে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। এর আগে তাঁকে নগরীর লক্ষ্মীপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অভিযুক্ত চিকিৎসকের নাম আহসান হাবিব (২৯)। তিনি লক্ষ্মীপুর এলাকার আল-আরাফাহ ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের আবাসিক চিকিৎসক। তাঁর বাড়ি নওগাঁ জেলায়।
গত ৮ সেপ্টেম্বর রাতে ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। পরে ২৩ সেপ্টেম্বর নগরীর রাজপাড়া থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী।
জানা যায়, নগরীর অন্য একটি বেসরকারি ক্লিনিকের নার্স পদে চাকরি করেন ভুক্তভোগী। ঘটনার দিন বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ভুক্তভোগীকে চিকিৎসক আহসান হাবিব নিজের চেম্বারে ডেকে এনে ধর্ষণ করেন।
পরে ভুক্তভোগী রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসা ও শারীরিক পরীক্ষা শেষে তিনি মামলা করেন।
জানতে চাইলে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানি না। মামলায় ঘটনাস্থল হিসেবে আমাদের ক্লিনিকের নাম আছে বলে জেনেছি। এরপর সঙ্গে সঙ্গেই আহসান হাবিবকে ক্লিনিক থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।’
এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রাজপাড়া থানার পরিদর্শক আব্দুল আলিম জানান, ঘটনার পর ভুক্তভোগী নার্স রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসা ও শারীরিক পরীক্ষা শেষে তিনি মামলা করেন।
তিনি আরও জানান, মামলা হওয়ার পর গতকাল রোববার আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদিন বিকেলেই তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলাটির তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ঈশান আরও বলে, ‘প্রায় এক বছর ধরে প্রতিদিনই স্যার আমাকে পিটিয়েছেন। আমাকে বলতেন, ‘‘তোর দাঁত উঁচা কেন, তুই কালো কেন?
২৯ অক্টোবর ২০২৪
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইলে ১২ বছরের এক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীকে ধর্ষণের দায়ে দুই আসামিকে ও রামপুরায় পাঁচ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের দায়ে একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩-এর বিচারক মো. গোলাম কবীর পৃথক দুই মামলায় এ রায় দেন।
১৯ মিনিট আগে
ইতালিপ্রবাসী স্ত্রীকে ভিডিও কলে রেখে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন শামীম আকতার (৪০) নামের এক যুবক। আজ সোমবার উপজেলার বড়বাড়ী ইউনিয়নের কাশিডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
৩৩ মিনিট আগে
রাজধানীতে ঝটিকা মিছিলে অংশ নেওয়ার অভিযোগে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের আট নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গত রবি সন্ধ্যা থেকে গতকাল সোমবার পর্যন্ত পৃথক অভিযানে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইলে ১২ বছরের এক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীকে ধর্ষণের দায়ে দুই আসামিকে ও রামপুরায় পাঁচ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের দায়ে একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩-এর বিচারক মো. গোলাম কবীর পৃথক দুই মামলায় এ রায় দেন।
বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীকে ধর্ষণের দায়ে দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন ঘটনাস্থলের বাড়ির ব্যবস্থাপক আব্দুল গাফফার ও তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু মো. বাচ্চু। রাজধানীর রামপুরায় পাঁচ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের দায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত হলেন বাচ্চু মিয়া হাওলাদার।
উভয় মামলায় প্রত্যেক আসামিকে দণ্ডের পাশাপাশি এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা পরিশোধে ব্যর্থ হলে প্রত্যেককে অনাদায়ে আরও ছয় মাস করে কারাভোগ করতে হবে বলে রায়ে বলা হয়েছে।
ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী রাশেদুল ইসলাম দুটি মামলার রায়ের বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন।
বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীর মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০২০ সালের ১৬ অক্টোবর ওই বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীর মা-বাবা কর্মস্থলে যান। বেলা ৩টার দিকে আসামিরা যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইলের হাশেম রোডের বাসায় ১২ বছরের এক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীকে ধর্ষণ করেন। ঘটনার বিষয়ে কাউকে কিছু বললে তাঁরা তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেন।
পরে একই বছরের ৩০ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭টার দিকে আব্দুল গাফফার তাকে ডেকে নিয়ে তার সঙ্গে যেতে বলেন। তখন ভুক্তভোগী তাঁর সঙ্গে না গিয়ে বিষয়টি তার মাকে জানায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা ১ নভেম্বর যাত্রাবাড়ী থানায় দুজনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে দুজনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের পরিদর্শক তাসলিমা আক্তার। ২০২১ সালের ১৮ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। মামলার বিচার চলাকালে ১৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন ট্রাইব্যুনাল।
রায়ের সময় আসামি বাচ্চুকে কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। রায় শেষে তাঁকে সাজা পরোয়ানাসহ কারাগারে ফেরত পাঠানো হয়। অপর আসামি গাফফার পলাতক থাকায় তাঁর বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
অপর দিকে শিশু ধর্ষণ মামলার বিবরণে জানা যায়, ওই শিশুর মা রামপুরা টিভি সেন্টার রোডে একটি গ্যারেজে রান্না করতেন। ২০১৯ সালের ২১ এপ্রিল বেলা ২টার দিকে বাচ্চু মিয়া হাওলাদার শিশুকে দোকান থেকে ঠান্ডা পানি এনে দিতে বলেন। শিশুটি তাঁর কাছে গেলে বাচ্চু মিয়া হাওলাদার তাকে রুমে নিয়ে ধর্ষণ করেন। মেয়ের ফিরে আসতে দেরি হওয়ায় তার মা তাকে খুঁজতে যান। সেখানে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি দেখতে পান তিনি। পরে মেয়েটি মাকে সব খুলে বলে। এ ঘটনায় শিশুটির মা ওই দিনই রামপুরা থানায় মামলা করেন।
মামলাটি তদন্ত করে ওই বছরের ৩১ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন রামপুরা থানার উপপরিদর্শক এস এম মুকুল মিয়া। ১৬ নভেম্বর আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়। মামলার বিচার চলাকালে ট্রাইব্যুনাল ১৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্য নেন।
আসামি বাচ্চু মিয়া হাওলাদারকে রায়ের সময় কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। রায় শেষে তাঁকে সাজা পরোয়ানাসহ কারাগারে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইলে ১২ বছরের এক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীকে ধর্ষণের দায়ে দুই আসামিকে ও রামপুরায় পাঁচ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের দায়ে একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩-এর বিচারক মো. গোলাম কবীর পৃথক দুই মামলায় এ রায় দেন।
বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীকে ধর্ষণের দায়ে দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন ঘটনাস্থলের বাড়ির ব্যবস্থাপক আব্দুল গাফফার ও তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু মো. বাচ্চু। রাজধানীর রামপুরায় পাঁচ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের দায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত হলেন বাচ্চু মিয়া হাওলাদার।
উভয় মামলায় প্রত্যেক আসামিকে দণ্ডের পাশাপাশি এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা পরিশোধে ব্যর্থ হলে প্রত্যেককে অনাদায়ে আরও ছয় মাস করে কারাভোগ করতে হবে বলে রায়ে বলা হয়েছে।
ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী রাশেদুল ইসলাম দুটি মামলার রায়ের বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন।
বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীর মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০২০ সালের ১৬ অক্টোবর ওই বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীর মা-বাবা কর্মস্থলে যান। বেলা ৩টার দিকে আসামিরা যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইলের হাশেম রোডের বাসায় ১২ বছরের এক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীকে ধর্ষণ করেন। ঘটনার বিষয়ে কাউকে কিছু বললে তাঁরা তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেন।
পরে একই বছরের ৩০ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭টার দিকে আব্দুল গাফফার তাকে ডেকে নিয়ে তার সঙ্গে যেতে বলেন। তখন ভুক্তভোগী তাঁর সঙ্গে না গিয়ে বিষয়টি তার মাকে জানায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা ১ নভেম্বর যাত্রাবাড়ী থানায় দুজনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে দুজনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের পরিদর্শক তাসলিমা আক্তার। ২০২১ সালের ১৮ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। মামলার বিচার চলাকালে ১৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন ট্রাইব্যুনাল।
রায়ের সময় আসামি বাচ্চুকে কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। রায় শেষে তাঁকে সাজা পরোয়ানাসহ কারাগারে ফেরত পাঠানো হয়। অপর আসামি গাফফার পলাতক থাকায় তাঁর বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
অপর দিকে শিশু ধর্ষণ মামলার বিবরণে জানা যায়, ওই শিশুর মা রামপুরা টিভি সেন্টার রোডে একটি গ্যারেজে রান্না করতেন। ২০১৯ সালের ২১ এপ্রিল বেলা ২টার দিকে বাচ্চু মিয়া হাওলাদার শিশুকে দোকান থেকে ঠান্ডা পানি এনে দিতে বলেন। শিশুটি তাঁর কাছে গেলে বাচ্চু মিয়া হাওলাদার তাকে রুমে নিয়ে ধর্ষণ করেন। মেয়ের ফিরে আসতে দেরি হওয়ায় তার মা তাকে খুঁজতে যান। সেখানে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি দেখতে পান তিনি। পরে মেয়েটি মাকে সব খুলে বলে। এ ঘটনায় শিশুটির মা ওই দিনই রামপুরা থানায় মামলা করেন।
মামলাটি তদন্ত করে ওই বছরের ৩১ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন রামপুরা থানার উপপরিদর্শক এস এম মুকুল মিয়া। ১৬ নভেম্বর আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়। মামলার বিচার চলাকালে ট্রাইব্যুনাল ১৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্য নেন।
আসামি বাচ্চু মিয়া হাওলাদারকে রায়ের সময় কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। রায় শেষে তাঁকে সাজা পরোয়ানাসহ কারাগারে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ঈশান আরও বলে, ‘প্রায় এক বছর ধরে প্রতিদিনই স্যার আমাকে পিটিয়েছেন। আমাকে বলতেন, ‘‘তোর দাঁত উঁচা কেন, তুই কালো কেন?
২৯ অক্টোবর ২০২৪
রাজশাহীতে বিয়ের আশ্বাসে নার্সকে (২৫) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গতকাল রোববার ওই চিকিৎসককে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। এর আগে তাঁকে নগরীর লক্ষ্মীপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
১৪ মিনিট আগে
ইতালিপ্রবাসী স্ত্রীকে ভিডিও কলে রেখে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন শামীম আকতার (৪০) নামের এক যুবক। আজ সোমবার উপজেলার বড়বাড়ী ইউনিয়নের কাশিডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
৩৩ মিনিট আগে
রাজধানীতে ঝটিকা মিছিলে অংশ নেওয়ার অভিযোগে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের আট নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গত রবি সন্ধ্যা থেকে গতকাল সোমবার পর্যন্ত পৃথক অভিযানে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেবালিয়াডাঙ্গী (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি

ইতালিপ্রবাসী স্ত্রীকে ভিডিও কলে রেখে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন শামীম আকতার (৪০) নামের এক যুবক। আজ সোমবার উপজেলার বড়বাড়ী ইউনিয়নের কাশিডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
শামীম আকতার ওই গ্রামের পজির উদ্দীনের ছেলে। তিনি স্থানীয় নাট্যমঞ্চে অভিনয়ের কারণে এলাকায় নাট্যকর্মী হিসেবে পরিচিত।
শামীমের ভাই জাপান জানান, ইতালি থেকে ভাবি মোবাইলে জানান যে শামীম ঘরের ভেতর গলায় ফাঁস দেওয়ার চেষ্টা করছে। বাজার থেকে ছুটে আসার আগেই মারা যায় শামীম। দরজা ও জানালার গ্রিল বন্ধ ছিল। পরে দরজা ভেঙে ঘরের ভেতর ঢুকে দেখি ঝুলন্ত অবস্থায় আছে শামীম।
স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দুই মাস আগে ৩০ লাখ টাকা খরচ করে ইতালিতে যাওয়ার চেষ্টা করেন শামীম ও তাঁর স্ত্রী মুক্তা আক্তার। ভিসা জটিলতার কারণে স্ত্রী চলে গেলেও স্বামী আটকে যান। চেষ্টা করছিলেন ভিসা জটিলতা কাটিয়ে স্ত্রীর কাছে যাওয়ার।
এ ছাড়া ইতালিতে মুক্তা আক্তার কাজে যোগ দিতে পারেননি। তাঁর ভরণপোষণের জন্য প্রতি মাসে ৭০ হাজার টাকা পাঠাতে হতো। টাকার জন্য খুব চাপে ছিলেন শামীম।
বালিয়াডাঙ্গী টাইগার নাট্যগোষ্ঠীর সদস্য আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘শামীম সচেতন ব্যক্তি ছিলেন। তাঁর অভিনয় দেখে আমরা অনুপ্রাণিত হই। সেই শামীম এমন অঘটন ঘটাবেন। আমরা ভাবতে পারি না। তাঁর মৃত্যুতে সবাই শোকাহত।’
এ বিষয়ে বালিয়াডাঙ্গী থানার তদন্ত কর্মকর্তা দিবাকর অধিকারী জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদনের কাজ করছে। পরিবারের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলার পর এ বিষয়ে বলা যাবে।

ইতালিপ্রবাসী স্ত্রীকে ভিডিও কলে রেখে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন শামীম আকতার (৪০) নামের এক যুবক। আজ সোমবার উপজেলার বড়বাড়ী ইউনিয়নের কাশিডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
শামীম আকতার ওই গ্রামের পজির উদ্দীনের ছেলে। তিনি স্থানীয় নাট্যমঞ্চে অভিনয়ের কারণে এলাকায় নাট্যকর্মী হিসেবে পরিচিত।
শামীমের ভাই জাপান জানান, ইতালি থেকে ভাবি মোবাইলে জানান যে শামীম ঘরের ভেতর গলায় ফাঁস দেওয়ার চেষ্টা করছে। বাজার থেকে ছুটে আসার আগেই মারা যায় শামীম। দরজা ও জানালার গ্রিল বন্ধ ছিল। পরে দরজা ভেঙে ঘরের ভেতর ঢুকে দেখি ঝুলন্ত অবস্থায় আছে শামীম।
স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দুই মাস আগে ৩০ লাখ টাকা খরচ করে ইতালিতে যাওয়ার চেষ্টা করেন শামীম ও তাঁর স্ত্রী মুক্তা আক্তার। ভিসা জটিলতার কারণে স্ত্রী চলে গেলেও স্বামী আটকে যান। চেষ্টা করছিলেন ভিসা জটিলতা কাটিয়ে স্ত্রীর কাছে যাওয়ার।
এ ছাড়া ইতালিতে মুক্তা আক্তার কাজে যোগ দিতে পারেননি। তাঁর ভরণপোষণের জন্য প্রতি মাসে ৭০ হাজার টাকা পাঠাতে হতো। টাকার জন্য খুব চাপে ছিলেন শামীম।
বালিয়াডাঙ্গী টাইগার নাট্যগোষ্ঠীর সদস্য আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘শামীম সচেতন ব্যক্তি ছিলেন। তাঁর অভিনয় দেখে আমরা অনুপ্রাণিত হই। সেই শামীম এমন অঘটন ঘটাবেন। আমরা ভাবতে পারি না। তাঁর মৃত্যুতে সবাই শোকাহত।’
এ বিষয়ে বালিয়াডাঙ্গী থানার তদন্ত কর্মকর্তা দিবাকর অধিকারী জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদনের কাজ করছে। পরিবারের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলার পর এ বিষয়ে বলা যাবে।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ঈশান আরও বলে, ‘প্রায় এক বছর ধরে প্রতিদিনই স্যার আমাকে পিটিয়েছেন। আমাকে বলতেন, ‘‘তোর দাঁত উঁচা কেন, তুই কালো কেন?
২৯ অক্টোবর ২০২৪
রাজশাহীতে বিয়ের আশ্বাসে নার্সকে (২৫) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গতকাল রোববার ওই চিকিৎসককে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। এর আগে তাঁকে নগরীর লক্ষ্মীপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
১৪ মিনিট আগে
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইলে ১২ বছরের এক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীকে ধর্ষণের দায়ে দুই আসামিকে ও রামপুরায় পাঁচ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের দায়ে একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩-এর বিচারক মো. গোলাম কবীর পৃথক দুই মামলায় এ রায় দেন।
১৯ মিনিট আগে
রাজধানীতে ঝটিকা মিছিলে অংশ নেওয়ার অভিযোগে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের আট নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গত রবি সন্ধ্যা থেকে গতকাল সোমবার পর্যন্ত পৃথক অভিযানে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীতে ঝটিকা মিছিলে অংশ নেওয়ার অভিযোগে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের আট নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গত রবি সন্ধ্যা থেকে গতকাল সোমবার পর্যন্ত পৃথক অভিযানে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গতকাল এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন ফেনীর দাগনভূঞা থানার আলিপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক একরাম হোসেন (২৫), দাগনভূঞা উপজেলা ছাত্রলীগের তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক আদনান পিপুল (২৫), তেজগাঁও কলেজ ছাত্রলীগের সদস্য মো. আসিবুল হক অর্ণব (২৫), দাগনভূঞার পূর্ব চন্দ্রপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সজিব রহিম পলক (২৫), ইকবাল মেমোরিয়াল কলেজ ছাত্রলীগের সদস্য সাকের আলম (২৪), চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের সদস্য মো. জহুরুল ইসলাম (৪৩), যাত্রাবাড়ী ৬৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মোকাররম হোসেন (৪৮) এবং ওয়ারী থানা ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াসমিন রহমান (৪৮)।
ডিবি সূত্রে জানা যায়, রোববার সন্ধ্যায় ডিবি উত্তরা বিভাগের একটি দল মোহাম্মদপুরের কাদেরাবাদ হাউজিং এলাকা থেকে একরাম, আদনান, অর্ণব, সজিব ও সাকেরকে গ্রেপ্তার করে। একই দিন বিকেলে ডিবি রমনা বিভাগ গাবতলী এলাকা থেকে জহুরুল ইসলামকে এবং রাতে ডিবি মতিঝিল বিভাগ যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে মোকাররম হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। বিকেলে টিকাটুলির কে এম দাস লেন এলাকা থেকে ইয়াসমিন রহমানকে গ্রেপ্তার করে ডিবি লালবাগ বিভাগের কোতোয়ালি জোনাল টিম।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা স্বীকার করেছেন যে তাঁরা কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের ব্যানারে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মিছিলসহ সংঘটিত কার্যক্রমে অংশ নিয়েছেন।
ডিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

রাজধানীতে ঝটিকা মিছিলে অংশ নেওয়ার অভিযোগে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের আট নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গত রবি সন্ধ্যা থেকে গতকাল সোমবার পর্যন্ত পৃথক অভিযানে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গতকাল এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন ফেনীর দাগনভূঞা থানার আলিপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক একরাম হোসেন (২৫), দাগনভূঞা উপজেলা ছাত্রলীগের তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক আদনান পিপুল (২৫), তেজগাঁও কলেজ ছাত্রলীগের সদস্য মো. আসিবুল হক অর্ণব (২৫), দাগনভূঞার পূর্ব চন্দ্রপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সজিব রহিম পলক (২৫), ইকবাল মেমোরিয়াল কলেজ ছাত্রলীগের সদস্য সাকের আলম (২৪), চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের সদস্য মো. জহুরুল ইসলাম (৪৩), যাত্রাবাড়ী ৬৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মোকাররম হোসেন (৪৮) এবং ওয়ারী থানা ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াসমিন রহমান (৪৮)।
ডিবি সূত্রে জানা যায়, রোববার সন্ধ্যায় ডিবি উত্তরা বিভাগের একটি দল মোহাম্মদপুরের কাদেরাবাদ হাউজিং এলাকা থেকে একরাম, আদনান, অর্ণব, সজিব ও সাকেরকে গ্রেপ্তার করে। একই দিন বিকেলে ডিবি রমনা বিভাগ গাবতলী এলাকা থেকে জহুরুল ইসলামকে এবং রাতে ডিবি মতিঝিল বিভাগ যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে মোকাররম হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। বিকেলে টিকাটুলির কে এম দাস লেন এলাকা থেকে ইয়াসমিন রহমানকে গ্রেপ্তার করে ডিবি লালবাগ বিভাগের কোতোয়ালি জোনাল টিম।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা স্বীকার করেছেন যে তাঁরা কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের ব্যানারে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মিছিলসহ সংঘটিত কার্যক্রমে অংশ নিয়েছেন।
ডিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ঈশান আরও বলে, ‘প্রায় এক বছর ধরে প্রতিদিনই স্যার আমাকে পিটিয়েছেন। আমাকে বলতেন, ‘‘তোর দাঁত উঁচা কেন, তুই কালো কেন?
২৯ অক্টোবর ২০২৪
রাজশাহীতে বিয়ের আশ্বাসে নার্সকে (২৫) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গতকাল রোববার ওই চিকিৎসককে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। এর আগে তাঁকে নগরীর লক্ষ্মীপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
১৪ মিনিট আগে
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইলে ১২ বছরের এক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীকে ধর্ষণের দায়ে দুই আসামিকে ও রামপুরায় পাঁচ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের দায়ে একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩-এর বিচারক মো. গোলাম কবীর পৃথক দুই মামলায় এ রায় দেন।
১৯ মিনিট আগে
ইতালিপ্রবাসী স্ত্রীকে ভিডিও কলে রেখে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন শামীম আকতার (৪০) নামের এক যুবক। আজ সোমবার উপজেলার বড়বাড়ী ইউনিয়নের কাশিডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
৩৩ মিনিট আগে