নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নেট দুনিয়ায় এবার বাঙালির কাচ্চির ঘ্রাণ। কাচ্চির মাংস নিয়ে গত দুই দিন সরগরম ফেসবুক। ঘটনার শুরু সুলতান ডাইনের কাচ্চি নিয়ে এক ব্যক্তির অভিযোগ তোলার পর। অভিযোগ ছিল কাচ্চির মাংস নিয়ে। ইতিমধ্যে সুলতান’স ডাইনের গুলশান-২ শাখায় অভিযানও পরিচালনা করেছে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। তবু আলোচনা কমছে না।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের একান্ত সচিব অভিরূপ সাহা আজকের পত্রিকাকে বলেন, যে বিষয়ে (মাংস) অভিযোগ উঠেছে, তার কোনো আলামত সুলতান’স ডাইনে পাওয়া যায়নি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে বিষয় নিয়ে (অন্য প্রাণীর মাংস) আলোচনা হচ্ছে, তার কোনো আলামত নেই।
তবে এই কর্মকর্তা সুলতান’স ডাইনের অন্যান্য বিষয় নিয়ে বলেন, মাংস নিয়ে কোনো সমস্যা না থাকলেও নিরাপদ খাদ্য নিয়ে কিছু বিষয় ছিল।
মার্চের ২০ তারিখ পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে সুলতান’স ডাইনকে। এর মধ্যে যদি তারা বিষয়গুলো ঠিক না করে, তবে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সুলতান’স ডাইনে অভিযানে মাংস নিয়ে কোনো ঝামেলা না হলেও তাদের বানানো ফিরনি অননুমোদিত ছিল। বিএসটিআইয়ের লাইসেন্স ছিল না। থালাবাসন পরিষ্কার করার জায়গা পরিষ্কার ছিল না। এ ছাড়া মসলা রাখার পাত্র ফুড গ্রেডের মধ্যে পড়ে না।
ঘটনার সূত্রপাত বুধবার সন্ধ্যায়। কনক রহমান খান নামে এক ব্যক্তি ফেসবুকে সুলতান’স ডাইনের অর্ডার করা কাচ্চির ছবি পোস্ট করে মাংস নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। কনক ফেসবুকে জানান, সাত প্যাকেট কাচ্চি অর্ডার করার পর মাংসের হাড় দেখে সন্দেহ হয়েছে। সুলতান ডাইনে যোগাযোগ করলে নতুন কাচ্চির প্যাকেট নিয়ে আসেন এজিএম আশরাফ। তখন দুই অর্ডারের মাংস নিয়ে তুলনা করতে বলা হয় তাঁদের।
কনকের অভিযোগ, তাঁর অর্ডার করা কাচ্চির মাংসের হাড় খাসির (ছাগল) মাংসের মতো নয়। অর্ডার করা মাংসের হাড় অনেক চিকন। সুলতান’স ডাইন থেকে তাঁকে টাকা অফার করা হয় বিষয়টি মিটিয়ে ফেলতে।
এই পোস্ট খুব অল্প সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। দুটি পক্ষ তৈরি হয় দেশের নেটিজেনদের মধ্যে। কোনো রকম যাচাই-বাছাই ছাড়া মাংস নিয়ে এমন পোস্টে দুই ধরনের বিতর্ক শুরু হয়।
একপক্ষ ফেসবুকে সুলতান’স ডাইনের পক্ষ নিয়ে এমন অভিযোগ প্রচারের নিন্দা করেন। আরেক পক্ষ সুলতান’স ডাইনের মাংস নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। সুলতান’স ডাইনের গুলশান-২ শাখার মার্কেটিং কমিউনিকেশন কর্মকর্তা ববি রানী দাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের কাচ্চির মাংস নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। তবে গতকাল (বুধবার) কাজল নামে এক নারী আমাদের এখানে বিকেলে ফোন করে মাংস নিয়ে অভিযোগ করেন।’ ববি বলেন, এখান থেকে বিরিয়ানি পার্সেল করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। অভিযোগ করার পর শুরুতে সুলতান’স ডাইন থেকে এক প্যাকেট নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে তাদের ওখানে গেলে ঝামেলা শুরু হয়। তাদের (কাজল) অভিযোগ এটা নাকি বিড়ালের মাংস।
ফোন করে অভিযোগকারী (কাজল) একটি বেসরকারি ব্যাংকে কর্মরত হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। আর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছেন একজন পুরুষ (কনক)। অভিযোগকারীরা তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন এবং মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানায় সুলতান’স ডাইন।
সুলতান’স ডাইন থেকে পাওয়া অভিযোগকারীর (কাজল) নম্বরে কল দিলেও তা কেটে দেওয়া হয়। পরে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের মনিটরিং শাখা থেকে বলা হয়েছে, প্রতিষ্ঠানটি স্বপ্রণোদিত হয়ে বৃহস্পতিবার সুলতান’স ডাইনে অভিযান পরিচালনা করেছে। এ সময় সুলতান’স ডাইন থেকে কাচ্চি নিয়ে অভিযোগকারীর (কাজল) একটি নম্বর নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তরকে দেওয়া হয়। তবে সেই নম্বর বন্ধ পাওয়া গেছে। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ থেকে অভিযোগকারীর সঙ্গে এখনো কোনো যোগাযোগ হয়নি। এটা নিয়ে তদন্ত চলছে।
গত বছর ২ ডিসেম্বর ডালিয়া আফরোজ নামে এক নারী সুলতান’স ডাইনের কাচ্চিতে তেলাপোকাসহ পরিবেশন করা হয়েছে এমন অভিযোগ তুলে ফেসবুকে পোস্ট দেন। সেটি ছিল প্রতিষ্ঠানটির বসুন্ধরা শাখার ঘটনা।

নেট দুনিয়ায় এবার বাঙালির কাচ্চির ঘ্রাণ। কাচ্চির মাংস নিয়ে গত দুই দিন সরগরম ফেসবুক। ঘটনার শুরু সুলতান ডাইনের কাচ্চি নিয়ে এক ব্যক্তির অভিযোগ তোলার পর। অভিযোগ ছিল কাচ্চির মাংস নিয়ে। ইতিমধ্যে সুলতান’স ডাইনের গুলশান-২ শাখায় অভিযানও পরিচালনা করেছে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। তবু আলোচনা কমছে না।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের একান্ত সচিব অভিরূপ সাহা আজকের পত্রিকাকে বলেন, যে বিষয়ে (মাংস) অভিযোগ উঠেছে, তার কোনো আলামত সুলতান’স ডাইনে পাওয়া যায়নি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে বিষয় নিয়ে (অন্য প্রাণীর মাংস) আলোচনা হচ্ছে, তার কোনো আলামত নেই।
তবে এই কর্মকর্তা সুলতান’স ডাইনের অন্যান্য বিষয় নিয়ে বলেন, মাংস নিয়ে কোনো সমস্যা না থাকলেও নিরাপদ খাদ্য নিয়ে কিছু বিষয় ছিল।
মার্চের ২০ তারিখ পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে সুলতান’স ডাইনকে। এর মধ্যে যদি তারা বিষয়গুলো ঠিক না করে, তবে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সুলতান’স ডাইনে অভিযানে মাংস নিয়ে কোনো ঝামেলা না হলেও তাদের বানানো ফিরনি অননুমোদিত ছিল। বিএসটিআইয়ের লাইসেন্স ছিল না। থালাবাসন পরিষ্কার করার জায়গা পরিষ্কার ছিল না। এ ছাড়া মসলা রাখার পাত্র ফুড গ্রেডের মধ্যে পড়ে না।
ঘটনার সূত্রপাত বুধবার সন্ধ্যায়। কনক রহমান খান নামে এক ব্যক্তি ফেসবুকে সুলতান’স ডাইনের অর্ডার করা কাচ্চির ছবি পোস্ট করে মাংস নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। কনক ফেসবুকে জানান, সাত প্যাকেট কাচ্চি অর্ডার করার পর মাংসের হাড় দেখে সন্দেহ হয়েছে। সুলতান ডাইনে যোগাযোগ করলে নতুন কাচ্চির প্যাকেট নিয়ে আসেন এজিএম আশরাফ। তখন দুই অর্ডারের মাংস নিয়ে তুলনা করতে বলা হয় তাঁদের।
কনকের অভিযোগ, তাঁর অর্ডার করা কাচ্চির মাংসের হাড় খাসির (ছাগল) মাংসের মতো নয়। অর্ডার করা মাংসের হাড় অনেক চিকন। সুলতান’স ডাইন থেকে তাঁকে টাকা অফার করা হয় বিষয়টি মিটিয়ে ফেলতে।
এই পোস্ট খুব অল্প সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। দুটি পক্ষ তৈরি হয় দেশের নেটিজেনদের মধ্যে। কোনো রকম যাচাই-বাছাই ছাড়া মাংস নিয়ে এমন পোস্টে দুই ধরনের বিতর্ক শুরু হয়।
একপক্ষ ফেসবুকে সুলতান’স ডাইনের পক্ষ নিয়ে এমন অভিযোগ প্রচারের নিন্দা করেন। আরেক পক্ষ সুলতান’স ডাইনের মাংস নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। সুলতান’স ডাইনের গুলশান-২ শাখার মার্কেটিং কমিউনিকেশন কর্মকর্তা ববি রানী দাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের কাচ্চির মাংস নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। তবে গতকাল (বুধবার) কাজল নামে এক নারী আমাদের এখানে বিকেলে ফোন করে মাংস নিয়ে অভিযোগ করেন।’ ববি বলেন, এখান থেকে বিরিয়ানি পার্সেল করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। অভিযোগ করার পর শুরুতে সুলতান’স ডাইন থেকে এক প্যাকেট নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে তাদের ওখানে গেলে ঝামেলা শুরু হয়। তাদের (কাজল) অভিযোগ এটা নাকি বিড়ালের মাংস।
ফোন করে অভিযোগকারী (কাজল) একটি বেসরকারি ব্যাংকে কর্মরত হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। আর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছেন একজন পুরুষ (কনক)। অভিযোগকারীরা তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন এবং মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানায় সুলতান’স ডাইন।
সুলতান’স ডাইন থেকে পাওয়া অভিযোগকারীর (কাজল) নম্বরে কল দিলেও তা কেটে দেওয়া হয়। পরে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের মনিটরিং শাখা থেকে বলা হয়েছে, প্রতিষ্ঠানটি স্বপ্রণোদিত হয়ে বৃহস্পতিবার সুলতান’স ডাইনে অভিযান পরিচালনা করেছে। এ সময় সুলতান’স ডাইন থেকে কাচ্চি নিয়ে অভিযোগকারীর (কাজল) একটি নম্বর নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তরকে দেওয়া হয়। তবে সেই নম্বর বন্ধ পাওয়া গেছে। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ থেকে অভিযোগকারীর সঙ্গে এখনো কোনো যোগাযোগ হয়নি। এটা নিয়ে তদন্ত চলছে।
গত বছর ২ ডিসেম্বর ডালিয়া আফরোজ নামে এক নারী সুলতান’স ডাইনের কাচ্চিতে তেলাপোকাসহ পরিবেশন করা হয়েছে এমন অভিযোগ তুলে ফেসবুকে পোস্ট দেন। সেটি ছিল প্রতিষ্ঠানটির বসুন্ধরা শাখার ঘটনা।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নেট দুনিয়ায় এবার বাঙালির কাচ্চির ঘ্রাণ। কাচ্চির মাংস নিয়ে গত দুই দিন সরগরম ফেসবুক। ঘটনার শুরু সুলতান ডাইনের কাচ্চি নিয়ে এক ব্যক্তির অভিযোগ তোলার পর। অভিযোগ ছিল কাচ্চির মাংস নিয়ে। ইতিমধ্যে সুলতান’স ডাইনের গুলশান-২ শাখায় অভিযানও পরিচালনা করেছে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। তবু আলোচনা কমছে না।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের একান্ত সচিব অভিরূপ সাহা আজকের পত্রিকাকে বলেন, যে বিষয়ে (মাংস) অভিযোগ উঠেছে, তার কোনো আলামত সুলতান’স ডাইনে পাওয়া যায়নি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে বিষয় নিয়ে (অন্য প্রাণীর মাংস) আলোচনা হচ্ছে, তার কোনো আলামত নেই।
তবে এই কর্মকর্তা সুলতান’স ডাইনের অন্যান্য বিষয় নিয়ে বলেন, মাংস নিয়ে কোনো সমস্যা না থাকলেও নিরাপদ খাদ্য নিয়ে কিছু বিষয় ছিল।
মার্চের ২০ তারিখ পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে সুলতান’স ডাইনকে। এর মধ্যে যদি তারা বিষয়গুলো ঠিক না করে, তবে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সুলতান’স ডাইনে অভিযানে মাংস নিয়ে কোনো ঝামেলা না হলেও তাদের বানানো ফিরনি অননুমোদিত ছিল। বিএসটিআইয়ের লাইসেন্স ছিল না। থালাবাসন পরিষ্কার করার জায়গা পরিষ্কার ছিল না। এ ছাড়া মসলা রাখার পাত্র ফুড গ্রেডের মধ্যে পড়ে না।
ঘটনার সূত্রপাত বুধবার সন্ধ্যায়। কনক রহমান খান নামে এক ব্যক্তি ফেসবুকে সুলতান’স ডাইনের অর্ডার করা কাচ্চির ছবি পোস্ট করে মাংস নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। কনক ফেসবুকে জানান, সাত প্যাকেট কাচ্চি অর্ডার করার পর মাংসের হাড় দেখে সন্দেহ হয়েছে। সুলতান ডাইনে যোগাযোগ করলে নতুন কাচ্চির প্যাকেট নিয়ে আসেন এজিএম আশরাফ। তখন দুই অর্ডারের মাংস নিয়ে তুলনা করতে বলা হয় তাঁদের।
কনকের অভিযোগ, তাঁর অর্ডার করা কাচ্চির মাংসের হাড় খাসির (ছাগল) মাংসের মতো নয়। অর্ডার করা মাংসের হাড় অনেক চিকন। সুলতান’স ডাইন থেকে তাঁকে টাকা অফার করা হয় বিষয়টি মিটিয়ে ফেলতে।
এই পোস্ট খুব অল্প সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। দুটি পক্ষ তৈরি হয় দেশের নেটিজেনদের মধ্যে। কোনো রকম যাচাই-বাছাই ছাড়া মাংস নিয়ে এমন পোস্টে দুই ধরনের বিতর্ক শুরু হয়।
একপক্ষ ফেসবুকে সুলতান’স ডাইনের পক্ষ নিয়ে এমন অভিযোগ প্রচারের নিন্দা করেন। আরেক পক্ষ সুলতান’স ডাইনের মাংস নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। সুলতান’স ডাইনের গুলশান-২ শাখার মার্কেটিং কমিউনিকেশন কর্মকর্তা ববি রানী দাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের কাচ্চির মাংস নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। তবে গতকাল (বুধবার) কাজল নামে এক নারী আমাদের এখানে বিকেলে ফোন করে মাংস নিয়ে অভিযোগ করেন।’ ববি বলেন, এখান থেকে বিরিয়ানি পার্সেল করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। অভিযোগ করার পর শুরুতে সুলতান’স ডাইন থেকে এক প্যাকেট নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে তাদের ওখানে গেলে ঝামেলা শুরু হয়। তাদের (কাজল) অভিযোগ এটা নাকি বিড়ালের মাংস।
ফোন করে অভিযোগকারী (কাজল) একটি বেসরকারি ব্যাংকে কর্মরত হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। আর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছেন একজন পুরুষ (কনক)। অভিযোগকারীরা তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন এবং মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানায় সুলতান’স ডাইন।
সুলতান’স ডাইন থেকে পাওয়া অভিযোগকারীর (কাজল) নম্বরে কল দিলেও তা কেটে দেওয়া হয়। পরে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের মনিটরিং শাখা থেকে বলা হয়েছে, প্রতিষ্ঠানটি স্বপ্রণোদিত হয়ে বৃহস্পতিবার সুলতান’স ডাইনে অভিযান পরিচালনা করেছে। এ সময় সুলতান’স ডাইন থেকে কাচ্চি নিয়ে অভিযোগকারীর (কাজল) একটি নম্বর নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তরকে দেওয়া হয়। তবে সেই নম্বর বন্ধ পাওয়া গেছে। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ থেকে অভিযোগকারীর সঙ্গে এখনো কোনো যোগাযোগ হয়নি। এটা নিয়ে তদন্ত চলছে।
গত বছর ২ ডিসেম্বর ডালিয়া আফরোজ নামে এক নারী সুলতান’স ডাইনের কাচ্চিতে তেলাপোকাসহ পরিবেশন করা হয়েছে এমন অভিযোগ তুলে ফেসবুকে পোস্ট দেন। সেটি ছিল প্রতিষ্ঠানটির বসুন্ধরা শাখার ঘটনা।

নেট দুনিয়ায় এবার বাঙালির কাচ্চির ঘ্রাণ। কাচ্চির মাংস নিয়ে গত দুই দিন সরগরম ফেসবুক। ঘটনার শুরু সুলতান ডাইনের কাচ্চি নিয়ে এক ব্যক্তির অভিযোগ তোলার পর। অভিযোগ ছিল কাচ্চির মাংস নিয়ে। ইতিমধ্যে সুলতান’স ডাইনের গুলশান-২ শাখায় অভিযানও পরিচালনা করেছে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। তবু আলোচনা কমছে না।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের একান্ত সচিব অভিরূপ সাহা আজকের পত্রিকাকে বলেন, যে বিষয়ে (মাংস) অভিযোগ উঠেছে, তার কোনো আলামত সুলতান’স ডাইনে পাওয়া যায়নি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে বিষয় নিয়ে (অন্য প্রাণীর মাংস) আলোচনা হচ্ছে, তার কোনো আলামত নেই।
তবে এই কর্মকর্তা সুলতান’স ডাইনের অন্যান্য বিষয় নিয়ে বলেন, মাংস নিয়ে কোনো সমস্যা না থাকলেও নিরাপদ খাদ্য নিয়ে কিছু বিষয় ছিল।
মার্চের ২০ তারিখ পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে সুলতান’স ডাইনকে। এর মধ্যে যদি তারা বিষয়গুলো ঠিক না করে, তবে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সুলতান’স ডাইনে অভিযানে মাংস নিয়ে কোনো ঝামেলা না হলেও তাদের বানানো ফিরনি অননুমোদিত ছিল। বিএসটিআইয়ের লাইসেন্স ছিল না। থালাবাসন পরিষ্কার করার জায়গা পরিষ্কার ছিল না। এ ছাড়া মসলা রাখার পাত্র ফুড গ্রেডের মধ্যে পড়ে না।
ঘটনার সূত্রপাত বুধবার সন্ধ্যায়। কনক রহমান খান নামে এক ব্যক্তি ফেসবুকে সুলতান’স ডাইনের অর্ডার করা কাচ্চির ছবি পোস্ট করে মাংস নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। কনক ফেসবুকে জানান, সাত প্যাকেট কাচ্চি অর্ডার করার পর মাংসের হাড় দেখে সন্দেহ হয়েছে। সুলতান ডাইনে যোগাযোগ করলে নতুন কাচ্চির প্যাকেট নিয়ে আসেন এজিএম আশরাফ। তখন দুই অর্ডারের মাংস নিয়ে তুলনা করতে বলা হয় তাঁদের।
কনকের অভিযোগ, তাঁর অর্ডার করা কাচ্চির মাংসের হাড় খাসির (ছাগল) মাংসের মতো নয়। অর্ডার করা মাংসের হাড় অনেক চিকন। সুলতান’স ডাইন থেকে তাঁকে টাকা অফার করা হয় বিষয়টি মিটিয়ে ফেলতে।
এই পোস্ট খুব অল্প সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। দুটি পক্ষ তৈরি হয় দেশের নেটিজেনদের মধ্যে। কোনো রকম যাচাই-বাছাই ছাড়া মাংস নিয়ে এমন পোস্টে দুই ধরনের বিতর্ক শুরু হয়।
একপক্ষ ফেসবুকে সুলতান’স ডাইনের পক্ষ নিয়ে এমন অভিযোগ প্রচারের নিন্দা করেন। আরেক পক্ষ সুলতান’স ডাইনের মাংস নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। সুলতান’স ডাইনের গুলশান-২ শাখার মার্কেটিং কমিউনিকেশন কর্মকর্তা ববি রানী দাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের কাচ্চির মাংস নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। তবে গতকাল (বুধবার) কাজল নামে এক নারী আমাদের এখানে বিকেলে ফোন করে মাংস নিয়ে অভিযোগ করেন।’ ববি বলেন, এখান থেকে বিরিয়ানি পার্সেল করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। অভিযোগ করার পর শুরুতে সুলতান’স ডাইন থেকে এক প্যাকেট নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে তাদের ওখানে গেলে ঝামেলা শুরু হয়। তাদের (কাজল) অভিযোগ এটা নাকি বিড়ালের মাংস।
ফোন করে অভিযোগকারী (কাজল) একটি বেসরকারি ব্যাংকে কর্মরত হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। আর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছেন একজন পুরুষ (কনক)। অভিযোগকারীরা তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন এবং মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানায় সুলতান’স ডাইন।
সুলতান’স ডাইন থেকে পাওয়া অভিযোগকারীর (কাজল) নম্বরে কল দিলেও তা কেটে দেওয়া হয়। পরে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের মনিটরিং শাখা থেকে বলা হয়েছে, প্রতিষ্ঠানটি স্বপ্রণোদিত হয়ে বৃহস্পতিবার সুলতান’স ডাইনে অভিযান পরিচালনা করেছে। এ সময় সুলতান’স ডাইন থেকে কাচ্চি নিয়ে অভিযোগকারীর (কাজল) একটি নম্বর নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তরকে দেওয়া হয়। তবে সেই নম্বর বন্ধ পাওয়া গেছে। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ থেকে অভিযোগকারীর সঙ্গে এখনো কোনো যোগাযোগ হয়নি। এটা নিয়ে তদন্ত চলছে।
গত বছর ২ ডিসেম্বর ডালিয়া আফরোজ নামে এক নারী সুলতান’স ডাইনের কাচ্চিতে তেলাপোকাসহ পরিবেশন করা হয়েছে এমন অভিযোগ তুলে ফেসবুকে পোস্ট দেন। সেটি ছিল প্রতিষ্ঠানটির বসুন্ধরা শাখার ঘটনা।

প্রশ্ন শুনে মুচকি হাসলেন রহিম। জানালেন, তাঁর দাঁত পড়েনি, এমনকি নড়বড়েও হয়নি। আলাপচারিতার মাঝেই পান-সুপারি মুখে দিয়ে কাপড়ের পোঁটলা থেকে চুনের ডিব্বা বের করলেন। তিনি জানান, তাঁর বয়স এখন ১০৫ বছর। মুক্তিযুদ্ধের সময় তাঁর বয়স ছিল ৫১ বছর।
৩ মিনিট আগে
সাপের বিষের প্রতিষেধক (অ্যান্টিভেনম) তৈরি হচ্ছে চট্টগ্রামে অবস্থিত গবেষণা প্রতিষ্ঠান ভেনম রিসার্চ সেন্টারে। এ সেন্টারে ইতিমধ্যে বিষধর রাসেলস ভাইপারের অ্যান্টিভেনম তৈরির পর ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শেষ হয়েছে। এতে সাফল্যও পাওয়া গেছে বলে গবেষকেরা জানিয়েছেন।
৫ ঘণ্টা আগে
কিশোরগঞ্জে মাথায় কোপ দিয়ে হত্যাচেষ্টার একটি মামলায় আদালতের আদেশে ২৬ দিন কারাভোগ করেছেন নজরুল ইসলাম নামের এক ব্যবসায়ী। তাঁর অভিযোগ, বাদীপক্ষ সিটি স্ক্যানের জাল রিপোর্টের মাধ্যমে কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা সনদ নিয়ে আদালতে দাখিল করেন।
৫ ঘণ্টা আগে
নাটোরের লালপুর উপজেলায় বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে। ফলে সেচ প্রকল্পে ব্যবহৃত ট্রান্সফরমার নিয়ে গ্রাহকদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। গত ছয় মাসে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ৩০টি ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে, যার বাজারমূল্য ২১ লাখ টাকার বেশি।
৫ ঘণ্টা আগেমিঠাপুকুর (রংপুর) প্রতিনিধি

১০৫ বছর বয়স। কিন্তু নড়বড়ে হয়নি একটি দাঁতও, পরতে হয় না চশমা। এই বয়সেও দিব্যি হেঁটে চলাফেরা করেন রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার লতিবপুর ইউনিয়নের নিঝাল গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রহিম।
গতকাল শুক্রবার সকালে উপজেলা সদরের মোহনা হোটেলের সামনে বসে ভিক্ষা করছিলেন বৃদ্ধ আব্দুর রহিম। তিনি একটি চাকু দিয়ে সুপারি কাটছিলেন। তাঁর কাছে গিয়ে জানতে চাওয়া হয়, এই বয়সেও কি সুপারি চিবোতে পারেন?
প্রশ্ন শুনে মুচকি হাসলেন রহিম। জানালেন, তাঁর দাঁত পড়েনি, এমনকি নড়বড়েও হয়নি। আলাপচারিতার মাঝেই পান-সুপারি মুখে দিয়ে কাপড়ের পোঁটলা থেকে চুনের ডিব্বা বের করলেন। তিনি জানান, তাঁর বয়স এখন ১০৫ বছর। মুক্তিযুদ্ধের সময় তাঁর বয়স ছিল ৫১ বছর।
পাঁচ ছেলে ও তিন মেয়ের জনক আব্দুর রহিম এখনো বেশ সক্ষম। তিনি বলেন, তাঁর ছেলে-মেয়েদের দেখলে তাঁদেরই বয়স বেশি মনে হবে। তাঁর আপন চার ছোট ভাই অনেক আগে মারা গেছেন। মাথার চুল দেখিয়ে তিনি বললেন, এখনো কিছুটা চুল কালো রয়েছে।
এত বয়সেও শারীরিক সক্ষমতা ঠিক থাকার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ভিক্ষা করি বটে, তবে ভালো খাবার খাই। নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করি, মাথায় তেল দিই। ডিম ও কলা খাই। নিয়মিত গোসল করি এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায়ের চেষ্টা করি।’
৯ ছেলে-মেয়ে থাকতেও কেন ভিক্ষা করেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ছেলে-মেয়েদের সংসার ঠিকমতো চলে না। কেউ চট্টগ্রাম, কেউ ঢাকায় থাকে, অন্যরা কৃষিশ্রমিকের কাজ করে। আমার স্ত্রী বেঁচে আছেন, তবে তিনি এখন অচল হয়ে পড়েছেন।’
জীবনের এই দীর্ঘ পথ পাড়ি দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ধনদৌলত, হায়াত-মৌত আল্লাহর হাতে। তাঁর (স্রষ্টার) রহমতেই এখনো বেঁচে আছি এবং ভালো আছি। তবে আমার টাকার দরকার।’

১০৫ বছর বয়স। কিন্তু নড়বড়ে হয়নি একটি দাঁতও, পরতে হয় না চশমা। এই বয়সেও দিব্যি হেঁটে চলাফেরা করেন রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার লতিবপুর ইউনিয়নের নিঝাল গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রহিম।
গতকাল শুক্রবার সকালে উপজেলা সদরের মোহনা হোটেলের সামনে বসে ভিক্ষা করছিলেন বৃদ্ধ আব্দুর রহিম। তিনি একটি চাকু দিয়ে সুপারি কাটছিলেন। তাঁর কাছে গিয়ে জানতে চাওয়া হয়, এই বয়সেও কি সুপারি চিবোতে পারেন?
প্রশ্ন শুনে মুচকি হাসলেন রহিম। জানালেন, তাঁর দাঁত পড়েনি, এমনকি নড়বড়েও হয়নি। আলাপচারিতার মাঝেই পান-সুপারি মুখে দিয়ে কাপড়ের পোঁটলা থেকে চুনের ডিব্বা বের করলেন। তিনি জানান, তাঁর বয়স এখন ১০৫ বছর। মুক্তিযুদ্ধের সময় তাঁর বয়স ছিল ৫১ বছর।
পাঁচ ছেলে ও তিন মেয়ের জনক আব্দুর রহিম এখনো বেশ সক্ষম। তিনি বলেন, তাঁর ছেলে-মেয়েদের দেখলে তাঁদেরই বয়স বেশি মনে হবে। তাঁর আপন চার ছোট ভাই অনেক আগে মারা গেছেন। মাথার চুল দেখিয়ে তিনি বললেন, এখনো কিছুটা চুল কালো রয়েছে।
এত বয়সেও শারীরিক সক্ষমতা ঠিক থাকার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ভিক্ষা করি বটে, তবে ভালো খাবার খাই। নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করি, মাথায় তেল দিই। ডিম ও কলা খাই। নিয়মিত গোসল করি এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায়ের চেষ্টা করি।’
৯ ছেলে-মেয়ে থাকতেও কেন ভিক্ষা করেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ছেলে-মেয়েদের সংসার ঠিকমতো চলে না। কেউ চট্টগ্রাম, কেউ ঢাকায় থাকে, অন্যরা কৃষিশ্রমিকের কাজ করে। আমার স্ত্রী বেঁচে আছেন, তবে তিনি এখন অচল হয়ে পড়েছেন।’
জীবনের এই দীর্ঘ পথ পাড়ি দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ধনদৌলত, হায়াত-মৌত আল্লাহর হাতে। তাঁর (স্রষ্টার) রহমতেই এখনো বেঁচে আছি এবং ভালো আছি। তবে আমার টাকার দরকার।’

নেট দুনিয়ায় এবার বাঙালির কাচ্চির ঘ্রাণ। কাচ্চির মাংস নিয়ে গত দুই দিন সরগরম ফেসবুক। ঘটনার শুরু সুলতান’স ডাইনের কাচ্চি নিয়ে এক ব্যক্তির অভিযোগ তোলার পর। অভিযোগ ছিল কাচ্চির মাংস নিয়ে। ইতিমধ্যে সুলতান’স ডাইনের গুলশান-২ শাখায় অভিযানও পরিচালনা করেছে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। তবু আলোচনা কমছে না।
১০ মার্চ ২০২৩
সাপের বিষের প্রতিষেধক (অ্যান্টিভেনম) তৈরি হচ্ছে চট্টগ্রামে অবস্থিত গবেষণা প্রতিষ্ঠান ভেনম রিসার্চ সেন্টারে। এ সেন্টারে ইতিমধ্যে বিষধর রাসেলস ভাইপারের অ্যান্টিভেনম তৈরির পর ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শেষ হয়েছে। এতে সাফল্যও পাওয়া গেছে বলে গবেষকেরা জানিয়েছেন।
৫ ঘণ্টা আগে
কিশোরগঞ্জে মাথায় কোপ দিয়ে হত্যাচেষ্টার একটি মামলায় আদালতের আদেশে ২৬ দিন কারাভোগ করেছেন নজরুল ইসলাম নামের এক ব্যবসায়ী। তাঁর অভিযোগ, বাদীপক্ষ সিটি স্ক্যানের জাল রিপোর্টের মাধ্যমে কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা সনদ নিয়ে আদালতে দাখিল করেন।
৫ ঘণ্টা আগে
নাটোরের লালপুর উপজেলায় বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে। ফলে সেচ প্রকল্পে ব্যবহৃত ট্রান্সফরমার নিয়ে গ্রাহকদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। গত ছয় মাসে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ৩০টি ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে, যার বাজারমূল্য ২১ লাখ টাকার বেশি।
৫ ঘণ্টা আগেসবুর শুভ, চট্টগ্রাম

সাপের বিষের প্রতিষেধক (অ্যান্টিভেনম) তৈরি হচ্ছে চট্টগ্রামে অবস্থিত গবেষণা প্রতিষ্ঠান ভেনম রিসার্চ সেন্টারে। এ সেন্টারে ইতিমধ্যে বিষধর রাসেলস ভাইপারের অ্যান্টিভেনম তৈরির পর ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শেষ হয়েছে। এতে সাফল্যও পাওয়া গেছে বলে গবেষকেরা জানিয়েছেন।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) ক্যাম্পাসে পরিত্যক্ত দ্বিতল একটি ভবনের নিচতলায় ‘ভেনম রিসার্চ সেন্টার’ পরিচালিত হচ্ছে। প্রায় আট বছর আগে চারটি সাপ দিয়ে শুরু হয় গবেষণা। পরে সেন্টারটিতে সাপের ডিম থেকে বাচ্চা ফুটেছে। সাপের সংখ্যা বেড়ে ৪০০টিতে দাঁড়িয়েছে। এগুলো ১০ প্রজাতির। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিষধর সাপ সংগ্রহ করা হয়। ভেনম রিসার্চ সেন্টারে পোষা সাপের বিষ দিয়েই সাপে কাটা রোগীর জন্য তৈরি হচ্ছে প্রতিষেধক। এই রিসার্চ সেন্টারের প্রধান গবেষক হিসেবে আছেন চমেক হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. অনিরুদ্ধ ঘোষ। চমেক হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. আবদুল্লাহ আবু সাঈদ রয়েছেন ভেনম রিসার্চ সেন্টারের প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে। ৬ জনের এ গবেষণা দলে সহযোগী গবেষক হিসেবে রয়েছেন মিজানুর রহমান, মো. নোমান, রফিকুল ইসলাম ও আবদুল আউয়াল।
ভেনম রিসার্চ সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালের মার্চ মাসে চমেক ক্যাম্পাসে ভেনম রিসার্চ সেন্টারের যাত্রা শুরু হয়। প্রতিষ্ঠানটি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অপারেশনাল প্ল্যান কার্যক্রমের আওতায় পরিচালিত। এ গবেষণা কেন্দ্রে ইতিমধ্যে সাপের বিষ থেকে সংগৃহীত অ্যান্টিবডি ইঁদুরের শরীরে ক্লিনিক্যালি ট্রায়াল করা হয়েছে। এতে সাফল্য এসেছে। বর্তমানে এ কেন্দ্রে বিষধর সাপের মধ্যে রয়েছে পদ্মগোখরা, খৈয়া গোখরা, কালকেউটে, শঙ্খিনী, দুই প্রজাতির সবুজ বোড়া।
দেশে প্রতিবছর বর্ষায় চন্দ্রবোড়া, গোখরা, কালকেউটে, কিং কোবরা ও সবুজ বোড়ার মতো সাপের কামড়ের ঘটনা বাড়ে। আক্রান্তদের অনেকে চিকিৎসকের বদলে কবিরাজ বা ওঝার কাছে যান। ফলে অনেককে আর বাঁচানো যায় না। এভাবে দেশে প্রতিবছর ৬ হাজারের বেশি সাপে কাটা রোগী মারা যায়।
চমেক হাসপাতালের তথ্য বলছে, এ হাসপাতালে ২০২৪ সালে সাপে কাটা রোগী ভর্তি হয় ১ হাজার ২৮৩ জন। এর মধ্যে মারা গেছে তিনজন। অ্যান্টিভেনম পেয়েছিল মাত্র ৫২ জন। ২০২৩ সালে ভর্তি ছিল ১ হাজার ৩৬৮ জন। এর মধ্যে মারা যায় দুজন।
ভেনম রিসার্চ সেন্টারের প্রধান গবেষক অধ্যাপক ডা. অনিরুদ্ধ ঘোষ বলেন, ‘রাসেলস ভাইপারের অ্যান্টি ভেনম তৈরি করে ইতিমধ্যে আমরা ইঁদুরের শরীরে প্রবেশ করিয়েছি। পরীক্ষামূলক কাজ শেষ করে সফলও হয়েছি।’ এ নিয়ে তৈরি করা গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশ হলে দেশে অ্যান্টিভেনম তৈরির একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে বলেও প্রত্যাশা করেন এ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।
এই সেন্টারের প্রধান সমন্বয়ক সহকারী অধ্যাপক ডা. আবদুল্লাহ আবু সাঈদ বলেন, সাপের কামড় একটি গ্রামীণ সমস্যা। অতীতে এর চিকিৎসা শহরকেন্দ্রিক থাকলেও এখন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও মিলছে চিকিৎসা। দেশে বর্তমানে ভারতের তৈরি পলিভ্যালেন্ট অ্যান্টিভেনম ব্যবহার করা হয় বলেও জানান তিনি।

সাপের বিষের প্রতিষেধক (অ্যান্টিভেনম) তৈরি হচ্ছে চট্টগ্রামে অবস্থিত গবেষণা প্রতিষ্ঠান ভেনম রিসার্চ সেন্টারে। এ সেন্টারে ইতিমধ্যে বিষধর রাসেলস ভাইপারের অ্যান্টিভেনম তৈরির পর ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শেষ হয়েছে। এতে সাফল্যও পাওয়া গেছে বলে গবেষকেরা জানিয়েছেন।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) ক্যাম্পাসে পরিত্যক্ত দ্বিতল একটি ভবনের নিচতলায় ‘ভেনম রিসার্চ সেন্টার’ পরিচালিত হচ্ছে। প্রায় আট বছর আগে চারটি সাপ দিয়ে শুরু হয় গবেষণা। পরে সেন্টারটিতে সাপের ডিম থেকে বাচ্চা ফুটেছে। সাপের সংখ্যা বেড়ে ৪০০টিতে দাঁড়িয়েছে। এগুলো ১০ প্রজাতির। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিষধর সাপ সংগ্রহ করা হয়। ভেনম রিসার্চ সেন্টারে পোষা সাপের বিষ দিয়েই সাপে কাটা রোগীর জন্য তৈরি হচ্ছে প্রতিষেধক। এই রিসার্চ সেন্টারের প্রধান গবেষক হিসেবে আছেন চমেক হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. অনিরুদ্ধ ঘোষ। চমেক হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. আবদুল্লাহ আবু সাঈদ রয়েছেন ভেনম রিসার্চ সেন্টারের প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে। ৬ জনের এ গবেষণা দলে সহযোগী গবেষক হিসেবে রয়েছেন মিজানুর রহমান, মো. নোমান, রফিকুল ইসলাম ও আবদুল আউয়াল।
ভেনম রিসার্চ সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালের মার্চ মাসে চমেক ক্যাম্পাসে ভেনম রিসার্চ সেন্টারের যাত্রা শুরু হয়। প্রতিষ্ঠানটি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অপারেশনাল প্ল্যান কার্যক্রমের আওতায় পরিচালিত। এ গবেষণা কেন্দ্রে ইতিমধ্যে সাপের বিষ থেকে সংগৃহীত অ্যান্টিবডি ইঁদুরের শরীরে ক্লিনিক্যালি ট্রায়াল করা হয়েছে। এতে সাফল্য এসেছে। বর্তমানে এ কেন্দ্রে বিষধর সাপের মধ্যে রয়েছে পদ্মগোখরা, খৈয়া গোখরা, কালকেউটে, শঙ্খিনী, দুই প্রজাতির সবুজ বোড়া।
দেশে প্রতিবছর বর্ষায় চন্দ্রবোড়া, গোখরা, কালকেউটে, কিং কোবরা ও সবুজ বোড়ার মতো সাপের কামড়ের ঘটনা বাড়ে। আক্রান্তদের অনেকে চিকিৎসকের বদলে কবিরাজ বা ওঝার কাছে যান। ফলে অনেককে আর বাঁচানো যায় না। এভাবে দেশে প্রতিবছর ৬ হাজারের বেশি সাপে কাটা রোগী মারা যায়।
চমেক হাসপাতালের তথ্য বলছে, এ হাসপাতালে ২০২৪ সালে সাপে কাটা রোগী ভর্তি হয় ১ হাজার ২৮৩ জন। এর মধ্যে মারা গেছে তিনজন। অ্যান্টিভেনম পেয়েছিল মাত্র ৫২ জন। ২০২৩ সালে ভর্তি ছিল ১ হাজার ৩৬৮ জন। এর মধ্যে মারা যায় দুজন।
ভেনম রিসার্চ সেন্টারের প্রধান গবেষক অধ্যাপক ডা. অনিরুদ্ধ ঘোষ বলেন, ‘রাসেলস ভাইপারের অ্যান্টি ভেনম তৈরি করে ইতিমধ্যে আমরা ইঁদুরের শরীরে প্রবেশ করিয়েছি। পরীক্ষামূলক কাজ শেষ করে সফলও হয়েছি।’ এ নিয়ে তৈরি করা গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশ হলে দেশে অ্যান্টিভেনম তৈরির একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে বলেও প্রত্যাশা করেন এ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।
এই সেন্টারের প্রধান সমন্বয়ক সহকারী অধ্যাপক ডা. আবদুল্লাহ আবু সাঈদ বলেন, সাপের কামড় একটি গ্রামীণ সমস্যা। অতীতে এর চিকিৎসা শহরকেন্দ্রিক থাকলেও এখন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও মিলছে চিকিৎসা। দেশে বর্তমানে ভারতের তৈরি পলিভ্যালেন্ট অ্যান্টিভেনম ব্যবহার করা হয় বলেও জানান তিনি।

নেট দুনিয়ায় এবার বাঙালির কাচ্চির ঘ্রাণ। কাচ্চির মাংস নিয়ে গত দুই দিন সরগরম ফেসবুক। ঘটনার শুরু সুলতান’স ডাইনের কাচ্চি নিয়ে এক ব্যক্তির অভিযোগ তোলার পর। অভিযোগ ছিল কাচ্চির মাংস নিয়ে। ইতিমধ্যে সুলতান’স ডাইনের গুলশান-২ শাখায় অভিযানও পরিচালনা করেছে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। তবু আলোচনা কমছে না।
১০ মার্চ ২০২৩
প্রশ্ন শুনে মুচকি হাসলেন রহিম। জানালেন, তাঁর দাঁত পড়েনি, এমনকি নড়বড়েও হয়নি। আলাপচারিতার মাঝেই পান-সুপারি মুখে দিয়ে কাপড়ের পোঁটলা থেকে চুনের ডিব্বা বের করলেন। তিনি জানান, তাঁর বয়স এখন ১০৫ বছর। মুক্তিযুদ্ধের সময় তাঁর বয়স ছিল ৫১ বছর।
৩ মিনিট আগে
কিশোরগঞ্জে মাথায় কোপ দিয়ে হত্যাচেষ্টার একটি মামলায় আদালতের আদেশে ২৬ দিন কারাভোগ করেছেন নজরুল ইসলাম নামের এক ব্যবসায়ী। তাঁর অভিযোগ, বাদীপক্ষ সিটি স্ক্যানের জাল রিপোর্টের মাধ্যমে কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা সনদ নিয়ে আদালতে দাখিল করেন।
৫ ঘণ্টা আগে
নাটোরের লালপুর উপজেলায় বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে। ফলে সেচ প্রকল্পে ব্যবহৃত ট্রান্সফরমার নিয়ে গ্রাহকদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। গত ছয় মাসে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ৩০টি ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে, যার বাজারমূল্য ২১ লাখ টাকার বেশি।
৫ ঘণ্টা আগেসাজন আহম্মেদ পাপন, কিশোরগঞ্জ

কিশোরগঞ্জে মাথায় কোপ দিয়ে হত্যাচেষ্টার একটি মামলায় আদালতের আদেশে ২৬ দিন কারাভোগ করেছেন নজরুল ইসলাম নামের এক ব্যবসায়ী। তাঁর অভিযোগ, বাদীপক্ষ সিটি স্ক্যানের জাল রিপোর্টের মাধ্যমে কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা সনদ নিয়ে আদালতে দাখিল করেন। যেখানে গুরুতর আঘাত উল্লেখ করা হয়েছে। ওই মিথ্যা সনদের কারণে তাঁকে ২৬ দিন কারাভোগ করতে হয়েছে।
এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক বোর্ডের সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে গত বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্যসচিবের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন নজরুল ইসলাম। একই দিনে তিনি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
এর আগের দিন গত বুধবার চিকিৎসা সনদ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কিশোরগঞ্জের সিভিল সার্জনের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী নজরুল। তাঁর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ককে ঘটনাটি খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের কমিটি করে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
অভিযোগকারী নজরুল ইসলাম কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার জয়কা ইউনিয়নের উত্তর কান্দাইল কুকিমাদল গ্রামের বাসিন্দা। তিনি গত ২৮ মে কিশোরগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিনের আবেদন করলে শুনানি শেষে বিচারক আরিফুল ইসলাম তাঁর জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন। ২৬ দিন কারাভোগের পর গত ২৩ জুন তিনি জামিন পান।
আসামি ও বাদীপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি সকালে করিমগঞ্জের কুকিমাদল গ্রামের ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম তাঁর এক সন্তানকে অপহরণের অভিযোগ তোলেন। ওই দিন দুপুরে তাঁর সন্তান উদ্ধার হয়। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিলেও মামলা নেয়নি পুলিশ। বিষয়টি নিয়ে বেশ কয়েক দিন আদালতে মামলা করার জন্য আইনি পরামর্শ নিতে গেলে প্রতিপক্ষের লোকজন গত ১ মার্চ নজরুলকে মারধর, তাঁর বাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে লুটপাট চালান।
পরদিন গত ২ মার্চ নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে কিশোরগঞ্জ আদালতে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে লুটপাটের অভিযোগে মামলার আরজি করেন। ৩ মার্চ আদালতে অপহরণের অভিযোগে মামলার আরজি করেন নজরুলের স্ত্রী মোছা. রোকেয়া। একই দিন নজরুল ইসলামকে মারধরের অভিযোগেও আদালতে আরেকটি মামলা করেন রোকেয়া।
মামলার পর গত ৬ মার্চ নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে করিমগঞ্জ থানায় হত্যাচেষ্টার মামলা করেন প্রতিপক্ষ জয়কা ইউনিয়নের এমদাদুল হকের স্ত্রী মোছা. হোসনা। এতে নজরুলসহ ১১ জনকে আসামি করা হয়। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ৩ মার্চ সন্ধ্যায় এমদাদুল হককে রামদা দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় কোপ দিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। তাঁকে চিকিৎসার জন্য কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার চাহিদাপত্রের (রিকুইজিশন) পরিপ্রেক্ষিতে কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল বোর্ডের সদস্য ও চিকিৎসা কর্মকর্তা দিলরুবা সুলতানা শোভা রোগীকে গত ২৪ এপ্রিল মেডিকেল সনদ দেন। জখম নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার বিষয়ে তিনি এই সনদ দেন। যেখানে সাধারণ জখমের কথা উল্লেখ করা হয়। এরপর দিন ২৫ এপ্রিল রোগীর স্বজনেরা মেডিস্ক্যান স্পেশালাইজড ইমেজিং সেন্টার থেকে সিটি স্ক্যানের আরেকটি রিপোর্ট জমা দিলে মেডিকেল বোর্ড থেকে আঘাতের ধরন ‘গুরুতর’ উল্লেখ করে সংশোধিত সনদ দেওয়া হয়; যা পরবর্তীকালে আসামিপক্ষ আদালতে উপস্থাপন করে।
নজরুল ইসলাম বলেন, জাল রিপোর্টের ভিত্তিতে জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল বোর্ডে গুরুতর ‘আঘাত’ উল্লেখ করে পুনরায় মেডিকেল সনদ ইস্যু করা হয়। এ ছাড়া ওই সিটি স্ক্যান রিপোর্টে রোগী পুরুষ হওয়া সত্ত্বেও ‘স্ত্রী লিঙ্গ’ লেখা ছিল।
নজরুলের স্ত্রী রোকেয়া আক্তার বলেন, ‘সন্তানকে অপহরণ ও স্বামীর ওপর হামলার বিচার পাইনি, উল্টো জাল সিটি স্ক্যান রিপোর্টের ভিত্তিতে স্বামীকে জেলে যেতে হয়েছে। পুলিশও যাচাই না করে অভিযোগপত্র দিয়েছে।’
নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আদালতে অপহরণের মামলার আইনি পরামর্শ নেওয়ার সময় আমাদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা করে প্রতিপক্ষ। পরে মিথ্যা মামলায় আমাকে জেলে পাঠানো হয়। এখনো পরিবার নিয়ে ভয়ে থাকতে হচ্ছে। আমাদের সন্তান ভয়ে স্কুলেও যেতে পারছে না।’
অভিযোগের বিষয়ে এমদাদুল হকের সঙ্গে কথা বলতে মোবাইল ফোনে কল দিলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার ছোট ভাই বলতে পারবে।’
এরপর এমদাদুল হকের ছোট ভাই মোকাররমকে কল দিলে তিনি বলেন, ‘তাঁরা (আসামিপক্ষ) বলতেই পারেন, সার্টিফিকেট জাল। চিকিৎসক সার্টিফিকেট দিয়েছেন, তা জাল না সঠিক—চিকিৎসক বলতে পারবেন। আর বিষয়টি দেখার দায়িত্ব জজ সাহেবের।’
করিমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ মাহবুব মোরশেদ বলেন, ‘মেডিকেল সনদের ভিত্তিতে আদালতে মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে।
আর অপহরণ মামলায় যথাযথ তদন্তের পর আসামিদের অব্যাহতি দেওয়া হয়।’
অভিযোগের বিষয়ে মেডিস্ক্যান স্পেশালাইজড ইমেজিং সেন্টারের পরিচালক এ এস এম নুরুল্লাহ বলেন, ‘আমাদের কাছে রিপোর্টগুলো পাঁচ বছর পর্যন্ত সংরক্ষিত থাকে। তাঁরা রিপোর্ট নিয়ে কী করেছেন, তা আমাদের জানা নেই। যথাযথ কর্তৃপক্ষ তদন্ত করলে সত্য বেরিয়ে আসবে।’
কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ও মেডিকেল বোর্ডের সদস্যসচিব দেবাশীষ ভৌমিক বলেন, ‘সিটি স্ক্যান রিপোর্টটি জাল বলে আগেই সন্দেহ হয়েছিল। যাঁদের দিয়ে যাচাই করিয়েছি, তাঁরা মিথ্যা বলেছেন। প্রয়োজনে আমি আদালতে গিয়ে বলব।’
কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি আমি দেখব।’
সিভিল সার্জন অভিজিৎ শর্মা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কিশোরগঞ্জ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক বরাবর চিঠি দিয়েছি তিন সদস্যের কমিটি করে সাত দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য। প্রতিবেদন যদি ঠিক না থাকে, তাহলে আমরা আমাদের পক্ষ থেকে তদন্ত করব।’
কিশোরগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মো. জালাল উদ্দিন বলেন, ‘কোনো চিকিৎসক যদি ভুয়া মেডিকেল রিপোর্ট ইস্যু করেন এবং বিষয়টি আদালতকে জানালে তাঁর রেজিস্ট্রেশন বাতিলসহ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার বিধান রয়েছে।’

কিশোরগঞ্জে মাথায় কোপ দিয়ে হত্যাচেষ্টার একটি মামলায় আদালতের আদেশে ২৬ দিন কারাভোগ করেছেন নজরুল ইসলাম নামের এক ব্যবসায়ী। তাঁর অভিযোগ, বাদীপক্ষ সিটি স্ক্যানের জাল রিপোর্টের মাধ্যমে কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা সনদ নিয়ে আদালতে দাখিল করেন। যেখানে গুরুতর আঘাত উল্লেখ করা হয়েছে। ওই মিথ্যা সনদের কারণে তাঁকে ২৬ দিন কারাভোগ করতে হয়েছে।
এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক বোর্ডের সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে গত বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্যসচিবের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন নজরুল ইসলাম। একই দিনে তিনি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
এর আগের দিন গত বুধবার চিকিৎসা সনদ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কিশোরগঞ্জের সিভিল সার্জনের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী নজরুল। তাঁর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ককে ঘটনাটি খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের কমিটি করে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
অভিযোগকারী নজরুল ইসলাম কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার জয়কা ইউনিয়নের উত্তর কান্দাইল কুকিমাদল গ্রামের বাসিন্দা। তিনি গত ২৮ মে কিশোরগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিনের আবেদন করলে শুনানি শেষে বিচারক আরিফুল ইসলাম তাঁর জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন। ২৬ দিন কারাভোগের পর গত ২৩ জুন তিনি জামিন পান।
আসামি ও বাদীপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি সকালে করিমগঞ্জের কুকিমাদল গ্রামের ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম তাঁর এক সন্তানকে অপহরণের অভিযোগ তোলেন। ওই দিন দুপুরে তাঁর সন্তান উদ্ধার হয়। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিলেও মামলা নেয়নি পুলিশ। বিষয়টি নিয়ে বেশ কয়েক দিন আদালতে মামলা করার জন্য আইনি পরামর্শ নিতে গেলে প্রতিপক্ষের লোকজন গত ১ মার্চ নজরুলকে মারধর, তাঁর বাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে লুটপাট চালান।
পরদিন গত ২ মার্চ নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে কিশোরগঞ্জ আদালতে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে লুটপাটের অভিযোগে মামলার আরজি করেন। ৩ মার্চ আদালতে অপহরণের অভিযোগে মামলার আরজি করেন নজরুলের স্ত্রী মোছা. রোকেয়া। একই দিন নজরুল ইসলামকে মারধরের অভিযোগেও আদালতে আরেকটি মামলা করেন রোকেয়া।
মামলার পর গত ৬ মার্চ নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে করিমগঞ্জ থানায় হত্যাচেষ্টার মামলা করেন প্রতিপক্ষ জয়কা ইউনিয়নের এমদাদুল হকের স্ত্রী মোছা. হোসনা। এতে নজরুলসহ ১১ জনকে আসামি করা হয়। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ৩ মার্চ সন্ধ্যায় এমদাদুল হককে রামদা দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় কোপ দিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। তাঁকে চিকিৎসার জন্য কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার চাহিদাপত্রের (রিকুইজিশন) পরিপ্রেক্ষিতে কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল বোর্ডের সদস্য ও চিকিৎসা কর্মকর্তা দিলরুবা সুলতানা শোভা রোগীকে গত ২৪ এপ্রিল মেডিকেল সনদ দেন। জখম নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার বিষয়ে তিনি এই সনদ দেন। যেখানে সাধারণ জখমের কথা উল্লেখ করা হয়। এরপর দিন ২৫ এপ্রিল রোগীর স্বজনেরা মেডিস্ক্যান স্পেশালাইজড ইমেজিং সেন্টার থেকে সিটি স্ক্যানের আরেকটি রিপোর্ট জমা দিলে মেডিকেল বোর্ড থেকে আঘাতের ধরন ‘গুরুতর’ উল্লেখ করে সংশোধিত সনদ দেওয়া হয়; যা পরবর্তীকালে আসামিপক্ষ আদালতে উপস্থাপন করে।
নজরুল ইসলাম বলেন, জাল রিপোর্টের ভিত্তিতে জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল বোর্ডে গুরুতর ‘আঘাত’ উল্লেখ করে পুনরায় মেডিকেল সনদ ইস্যু করা হয়। এ ছাড়া ওই সিটি স্ক্যান রিপোর্টে রোগী পুরুষ হওয়া সত্ত্বেও ‘স্ত্রী লিঙ্গ’ লেখা ছিল।
নজরুলের স্ত্রী রোকেয়া আক্তার বলেন, ‘সন্তানকে অপহরণ ও স্বামীর ওপর হামলার বিচার পাইনি, উল্টো জাল সিটি স্ক্যান রিপোর্টের ভিত্তিতে স্বামীকে জেলে যেতে হয়েছে। পুলিশও যাচাই না করে অভিযোগপত্র দিয়েছে।’
নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আদালতে অপহরণের মামলার আইনি পরামর্শ নেওয়ার সময় আমাদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা করে প্রতিপক্ষ। পরে মিথ্যা মামলায় আমাকে জেলে পাঠানো হয়। এখনো পরিবার নিয়ে ভয়ে থাকতে হচ্ছে। আমাদের সন্তান ভয়ে স্কুলেও যেতে পারছে না।’
অভিযোগের বিষয়ে এমদাদুল হকের সঙ্গে কথা বলতে মোবাইল ফোনে কল দিলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার ছোট ভাই বলতে পারবে।’
এরপর এমদাদুল হকের ছোট ভাই মোকাররমকে কল দিলে তিনি বলেন, ‘তাঁরা (আসামিপক্ষ) বলতেই পারেন, সার্টিফিকেট জাল। চিকিৎসক সার্টিফিকেট দিয়েছেন, তা জাল না সঠিক—চিকিৎসক বলতে পারবেন। আর বিষয়টি দেখার দায়িত্ব জজ সাহেবের।’
করিমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ মাহবুব মোরশেদ বলেন, ‘মেডিকেল সনদের ভিত্তিতে আদালতে মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে।
আর অপহরণ মামলায় যথাযথ তদন্তের পর আসামিদের অব্যাহতি দেওয়া হয়।’
অভিযোগের বিষয়ে মেডিস্ক্যান স্পেশালাইজড ইমেজিং সেন্টারের পরিচালক এ এস এম নুরুল্লাহ বলেন, ‘আমাদের কাছে রিপোর্টগুলো পাঁচ বছর পর্যন্ত সংরক্ষিত থাকে। তাঁরা রিপোর্ট নিয়ে কী করেছেন, তা আমাদের জানা নেই। যথাযথ কর্তৃপক্ষ তদন্ত করলে সত্য বেরিয়ে আসবে।’
কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ও মেডিকেল বোর্ডের সদস্যসচিব দেবাশীষ ভৌমিক বলেন, ‘সিটি স্ক্যান রিপোর্টটি জাল বলে আগেই সন্দেহ হয়েছিল। যাঁদের দিয়ে যাচাই করিয়েছি, তাঁরা মিথ্যা বলেছেন। প্রয়োজনে আমি আদালতে গিয়ে বলব।’
কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি আমি দেখব।’
সিভিল সার্জন অভিজিৎ শর্মা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কিশোরগঞ্জ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক বরাবর চিঠি দিয়েছি তিন সদস্যের কমিটি করে সাত দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য। প্রতিবেদন যদি ঠিক না থাকে, তাহলে আমরা আমাদের পক্ষ থেকে তদন্ত করব।’
কিশোরগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মো. জালাল উদ্দিন বলেন, ‘কোনো চিকিৎসক যদি ভুয়া মেডিকেল রিপোর্ট ইস্যু করেন এবং বিষয়টি আদালতকে জানালে তাঁর রেজিস্ট্রেশন বাতিলসহ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার বিধান রয়েছে।’

নেট দুনিয়ায় এবার বাঙালির কাচ্চির ঘ্রাণ। কাচ্চির মাংস নিয়ে গত দুই দিন সরগরম ফেসবুক। ঘটনার শুরু সুলতান’স ডাইনের কাচ্চি নিয়ে এক ব্যক্তির অভিযোগ তোলার পর। অভিযোগ ছিল কাচ্চির মাংস নিয়ে। ইতিমধ্যে সুলতান’স ডাইনের গুলশান-২ শাখায় অভিযানও পরিচালনা করেছে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। তবু আলোচনা কমছে না।
১০ মার্চ ২০২৩
প্রশ্ন শুনে মুচকি হাসলেন রহিম। জানালেন, তাঁর দাঁত পড়েনি, এমনকি নড়বড়েও হয়নি। আলাপচারিতার মাঝেই পান-সুপারি মুখে দিয়ে কাপড়ের পোঁটলা থেকে চুনের ডিব্বা বের করলেন। তিনি জানান, তাঁর বয়স এখন ১০৫ বছর। মুক্তিযুদ্ধের সময় তাঁর বয়স ছিল ৫১ বছর।
৩ মিনিট আগে
সাপের বিষের প্রতিষেধক (অ্যান্টিভেনম) তৈরি হচ্ছে চট্টগ্রামে অবস্থিত গবেষণা প্রতিষ্ঠান ভেনম রিসার্চ সেন্টারে। এ সেন্টারে ইতিমধ্যে বিষধর রাসেলস ভাইপারের অ্যান্টিভেনম তৈরির পর ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শেষ হয়েছে। এতে সাফল্যও পাওয়া গেছে বলে গবেষকেরা জানিয়েছেন।
৫ ঘণ্টা আগে
নাটোরের লালপুর উপজেলায় বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে। ফলে সেচ প্রকল্পে ব্যবহৃত ট্রান্সফরমার নিয়ে গ্রাহকদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। গত ছয় মাসে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ৩০টি ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে, যার বাজারমূল্য ২১ লাখ টাকার বেশি।
৫ ঘণ্টা আগেইমাম হাসান মুক্তি, লালপুর (নাটোর)

নাটোরের লালপুর উপজেলায় বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে। ফলে সেচ প্রকল্পে ব্যবহৃত ট্রান্সফরমার নিয়ে গ্রাহকদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। গত ছয় মাসে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ৩০টি ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে, যার বাজারমূল্য ২১ লাখ টাকার বেশি।
বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ), বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি), পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ও লালপুর থানা সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি চোর চক্রের দৌরাত্ম্যে গত ১০ দিনেই উপজেলায় ৯টি ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা ঘটেছে। এতে সেচব্যবস্থায় ব্যাঘাত ঘটায় বিপাকে পড়েছেন কৃষকেরা।
স্থানীয় কৃষকেরা জানিয়েছেন, ধারাবাহিকভাবে এসব চুরির ঘটনায় তাঁরা বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। অনেকেই বাধ্য হয়ে কয়েক গুণ বেশি খরচ করে বিকল্প সেচের ব্যবস্থা করছেন। এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে আগামী মৌসুমে সেচ কার্যক্রম ব্যাহত হয়ে ফসল উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
উপজেলার কেশববাড়িয়া গ্রামের কৃষক সাইদুর রহমান (৫৫) বলেন, ‘চারপাশে ট্রান্সফরমার চুরি হচ্ছে শুনে পাহারা বসিয়েছিলাম। তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি। গত ২৫ অক্টোবর রাতে আমার নলকূপের তিনটি ট্রান্সফরমারের সব যন্ত্রাংশ খুলে নিয়ে গেছে চোরেরা।’
এর আগে ২৪ অক্টোবর দুড়দুড়িয়া ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর গ্রামের গোলাম আযম, ১০ অক্টোবর ঢুষপাড়া গ্রাম থেকে লালপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক পলাশ, ৭ সেপ্টেম্বর রামানন্দপুর (গোবরপুর) গ্রাম থেকে লালপুর কলেজের প্রাক্তন শিক্ষক মো. শফিউল্লাহ ও ছোট বিলশলিয়া গ্রামের বাকিব উদ্দিনের গভীর নলকূপ থেকে ট্রান্সফরমার চুরি হয়। এ ছাড়া গত জুলাই ও আগস্ট মাসে আরও ৯টি ট্রান্সফরমার চুরি হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে।
জানতে চাইলে আড়বাব ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামের নাজমুল হক বলেন, ‘আমার দুই দফায় মোট ৫টি ট্রান্সফরমার চুরি গেছে। প্রতিটি নতুন করে কিনতে বিএমডিএ অফিসে ৭০ হাজার টাকা ও নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ অফিসে পরীক্ষার জন্য সাড়ে তিন হাজার টাকা করে দিতে হয়েছে। নতুন ট্রান্সফরমার কিনে কেন আবার পরীক্ষার নামে হয়রানি করা হচ্ছে, বুঝতে পারছি না।’
রামানন্দপুর গ্রামের প্রাক্তন শিক্ষক মো. শফিউল্লাহ বলেন, ‘চুরি ঠেকাতে ট্রান্সফরমারের গায়ে দোয়া লিখেছিলাম, যাতে চোরেরা আল্লাহর ভয়ে চুরি না করে। এ ছাড়া খুঁটির ফাঁকা জায়গা বন্ধ করে কাঁটাতারের বেষ্টনীও দিয়েছিলাম। তাতেও কোনো লাভ হয়নি। ৭ সেপ্টেম্বর রাতে আমার নলকূপের দুটি ট্রান্সফরমার চুরি হয়, যার বাজারমূল্য প্রায় ২ লাখ টাকা।’
গ্রাহকেরা অভিযোগ করে বলেন, পল্লী বিদ্যুতের নিজস্ব ট্রান্সফরমার সাধারণত চুরি হয় না। বেছে বেছে ব্যক্তিমালিকানাধীন ট্রান্সফরমারই চুরি হচ্ছে। এক্সপার্ট ছাড়া এ ধরনের চুরি সম্ভব নয়। চোর চক্রের সঙ্গে পল্লী বিদ্যুৎ বা প্রশাসনের যোগসাজশ থাকতে পারে বলে তাঁদের সন্দেহ।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২, লালপুর জোনাল অফিসের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘একটি সংঘবদ্ধ চক্র পরিকল্পিতভাবে এসব চুরি করছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। গ্রাহকদের সতর্ক থাকার অনুরোধ করছি।’
বিএমডিএ বড়াইগ্রাম জোনের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. আবুল বাশার বলেন, ‘আমরা সব সময় কৃষকদের স্বার্থ রক্ষার চেষ্টা করি। বুয়েট থেকে টেস্ট করে ট্রান্সফরমার ক্রয় করা হয়। তবে পল্লী বিদ্যুতের নিয়ম অনুযায়ী আবারও পরীক্ষা করাতে হয়। নিয়ম অনুসারে ট্রান্সফরমার গ্রাহকদের নিজ দায়িত্বে সংরক্ষণ করতে হয়। চুরির বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’
এ বিষয়ে লালপুর উপজেলা সেচ কমিটির সদস্যসচিব ও বিএডিসি বড়াইগ্রাম জোনের সহকারী প্রকৌশলী মো. জিয়াউল হক বলেন, ‘সেচ প্রকল্পে ব্যবহৃত ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। লালপুর উপজেলায় বিএডিসির আওতায় ৪টি গভীর নলকূপ রয়েছে, এখন পর্যন্ত সেখানে কোনো ট্রান্সফরমার চুরি হয়নি। তবে বড়াইগ্রামে
অনেক ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে। কৃষকদের সতর্ক থাকতে আমরা নিয়মিত পরামর্শ দিচ্ছি।’
লালপুর থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনায় থানায় কয়েকটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। চুরি যাওয়া মালপত্র উদ্ধার ও চোর চক্রকে গ্রেপ্তারে পুলিশের তৎপরতা চলছে।

নাটোরের লালপুর উপজেলায় বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে। ফলে সেচ প্রকল্পে ব্যবহৃত ট্রান্সফরমার নিয়ে গ্রাহকদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। গত ছয় মাসে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ৩০টি ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে, যার বাজারমূল্য ২১ লাখ টাকার বেশি।
বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ), বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি), পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ও লালপুর থানা সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি চোর চক্রের দৌরাত্ম্যে গত ১০ দিনেই উপজেলায় ৯টি ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা ঘটেছে। এতে সেচব্যবস্থায় ব্যাঘাত ঘটায় বিপাকে পড়েছেন কৃষকেরা।
স্থানীয় কৃষকেরা জানিয়েছেন, ধারাবাহিকভাবে এসব চুরির ঘটনায় তাঁরা বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। অনেকেই বাধ্য হয়ে কয়েক গুণ বেশি খরচ করে বিকল্প সেচের ব্যবস্থা করছেন। এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে আগামী মৌসুমে সেচ কার্যক্রম ব্যাহত হয়ে ফসল উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
উপজেলার কেশববাড়িয়া গ্রামের কৃষক সাইদুর রহমান (৫৫) বলেন, ‘চারপাশে ট্রান্সফরমার চুরি হচ্ছে শুনে পাহারা বসিয়েছিলাম। তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি। গত ২৫ অক্টোবর রাতে আমার নলকূপের তিনটি ট্রান্সফরমারের সব যন্ত্রাংশ খুলে নিয়ে গেছে চোরেরা।’
এর আগে ২৪ অক্টোবর দুড়দুড়িয়া ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর গ্রামের গোলাম আযম, ১০ অক্টোবর ঢুষপাড়া গ্রাম থেকে লালপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক পলাশ, ৭ সেপ্টেম্বর রামানন্দপুর (গোবরপুর) গ্রাম থেকে লালপুর কলেজের প্রাক্তন শিক্ষক মো. শফিউল্লাহ ও ছোট বিলশলিয়া গ্রামের বাকিব উদ্দিনের গভীর নলকূপ থেকে ট্রান্সফরমার চুরি হয়। এ ছাড়া গত জুলাই ও আগস্ট মাসে আরও ৯টি ট্রান্সফরমার চুরি হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে।
জানতে চাইলে আড়বাব ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামের নাজমুল হক বলেন, ‘আমার দুই দফায় মোট ৫টি ট্রান্সফরমার চুরি গেছে। প্রতিটি নতুন করে কিনতে বিএমডিএ অফিসে ৭০ হাজার টাকা ও নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ অফিসে পরীক্ষার জন্য সাড়ে তিন হাজার টাকা করে দিতে হয়েছে। নতুন ট্রান্সফরমার কিনে কেন আবার পরীক্ষার নামে হয়রানি করা হচ্ছে, বুঝতে পারছি না।’
রামানন্দপুর গ্রামের প্রাক্তন শিক্ষক মো. শফিউল্লাহ বলেন, ‘চুরি ঠেকাতে ট্রান্সফরমারের গায়ে দোয়া লিখেছিলাম, যাতে চোরেরা আল্লাহর ভয়ে চুরি না করে। এ ছাড়া খুঁটির ফাঁকা জায়গা বন্ধ করে কাঁটাতারের বেষ্টনীও দিয়েছিলাম। তাতেও কোনো লাভ হয়নি। ৭ সেপ্টেম্বর রাতে আমার নলকূপের দুটি ট্রান্সফরমার চুরি হয়, যার বাজারমূল্য প্রায় ২ লাখ টাকা।’
গ্রাহকেরা অভিযোগ করে বলেন, পল্লী বিদ্যুতের নিজস্ব ট্রান্সফরমার সাধারণত চুরি হয় না। বেছে বেছে ব্যক্তিমালিকানাধীন ট্রান্সফরমারই চুরি হচ্ছে। এক্সপার্ট ছাড়া এ ধরনের চুরি সম্ভব নয়। চোর চক্রের সঙ্গে পল্লী বিদ্যুৎ বা প্রশাসনের যোগসাজশ থাকতে পারে বলে তাঁদের সন্দেহ।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২, লালপুর জোনাল অফিসের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘একটি সংঘবদ্ধ চক্র পরিকল্পিতভাবে এসব চুরি করছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। গ্রাহকদের সতর্ক থাকার অনুরোধ করছি।’
বিএমডিএ বড়াইগ্রাম জোনের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. আবুল বাশার বলেন, ‘আমরা সব সময় কৃষকদের স্বার্থ রক্ষার চেষ্টা করি। বুয়েট থেকে টেস্ট করে ট্রান্সফরমার ক্রয় করা হয়। তবে পল্লী বিদ্যুতের নিয়ম অনুযায়ী আবারও পরীক্ষা করাতে হয়। নিয়ম অনুসারে ট্রান্সফরমার গ্রাহকদের নিজ দায়িত্বে সংরক্ষণ করতে হয়। চুরির বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’
এ বিষয়ে লালপুর উপজেলা সেচ কমিটির সদস্যসচিব ও বিএডিসি বড়াইগ্রাম জোনের সহকারী প্রকৌশলী মো. জিয়াউল হক বলেন, ‘সেচ প্রকল্পে ব্যবহৃত ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। লালপুর উপজেলায় বিএডিসির আওতায় ৪টি গভীর নলকূপ রয়েছে, এখন পর্যন্ত সেখানে কোনো ট্রান্সফরমার চুরি হয়নি। তবে বড়াইগ্রামে
অনেক ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে। কৃষকদের সতর্ক থাকতে আমরা নিয়মিত পরামর্শ দিচ্ছি।’
লালপুর থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনায় থানায় কয়েকটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। চুরি যাওয়া মালপত্র উদ্ধার ও চোর চক্রকে গ্রেপ্তারে পুলিশের তৎপরতা চলছে।

নেট দুনিয়ায় এবার বাঙালির কাচ্চির ঘ্রাণ। কাচ্চির মাংস নিয়ে গত দুই দিন সরগরম ফেসবুক। ঘটনার শুরু সুলতান’স ডাইনের কাচ্চি নিয়ে এক ব্যক্তির অভিযোগ তোলার পর। অভিযোগ ছিল কাচ্চির মাংস নিয়ে। ইতিমধ্যে সুলতান’স ডাইনের গুলশান-২ শাখায় অভিযানও পরিচালনা করেছে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। তবু আলোচনা কমছে না।
১০ মার্চ ২০২৩
প্রশ্ন শুনে মুচকি হাসলেন রহিম। জানালেন, তাঁর দাঁত পড়েনি, এমনকি নড়বড়েও হয়নি। আলাপচারিতার মাঝেই পান-সুপারি মুখে দিয়ে কাপড়ের পোঁটলা থেকে চুনের ডিব্বা বের করলেন। তিনি জানান, তাঁর বয়স এখন ১০৫ বছর। মুক্তিযুদ্ধের সময় তাঁর বয়স ছিল ৫১ বছর।
৩ মিনিট আগে
সাপের বিষের প্রতিষেধক (অ্যান্টিভেনম) তৈরি হচ্ছে চট্টগ্রামে অবস্থিত গবেষণা প্রতিষ্ঠান ভেনম রিসার্চ সেন্টারে। এ সেন্টারে ইতিমধ্যে বিষধর রাসেলস ভাইপারের অ্যান্টিভেনম তৈরির পর ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শেষ হয়েছে। এতে সাফল্যও পাওয়া গেছে বলে গবেষকেরা জানিয়েছেন।
৫ ঘণ্টা আগে
কিশোরগঞ্জে মাথায় কোপ দিয়ে হত্যাচেষ্টার একটি মামলায় আদালতের আদেশে ২৬ দিন কারাভোগ করেছেন নজরুল ইসলাম নামের এক ব্যবসায়ী। তাঁর অভিযোগ, বাদীপক্ষ সিটি স্ক্যানের জাল রিপোর্টের মাধ্যমে কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা সনদ নিয়ে আদালতে দাখিল করেন।
৫ ঘণ্টা আগে