Ajker Patrika

সনদ জালিয়াতি: কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের স্ত্রীর জামিন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৪ মে ২০২৪, ১৯: ১৪
সনদ জালিয়াতি: কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের স্ত্রীর জামিন

সনদবাণিজ্যে জড়িত থাকার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আলী আকবর খানের স্ত্রী শেহেলা পারভীনকে জামিন দেওয়া হয়েছে। 

আজ মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সুলতান সোহাগ উদ্দিন তাঁকে জামিন দেন। 

ঢাকার আদালতের প্রসিকিউশন দপ্তরের মিরপুর থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই জালাল উদ্দিন জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

গত ২৩ এপ্রিল শেহেলা পারভীনকে কারাগারে পাঠানো হয়। ওই দিন দুই দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করার পর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল্লাহ কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। 

গত ২০ এপ্রিল শেহেলা পারভীনকে আটক করা হয়। রিমান্ড আবেদন ও রিমান্ডে শেষে আদালতে পাঠানো তদন্ত কর্মকর্তার প্রতিবেদনে বলা হয়, কারিগরি বোর্ডের সনদবাণিজ্য মামলার প্রধান আসামি এ টি এম শামসুজ্জামান এবং সহযোগী আসামি সানজিদা আক্তার ওরফে কলি ইতিমধ্যে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। 

শামসুজ্জামান জবানবন্দিতে বলেছেন, তাঁকে পরিদর্শন শাখা থেকে কম্পিউটার সেলের সিস্টেম অ্যানালিস্ট হিসেবে পোস্টিংয়ের জন্য সাড়ে ৫ লাখ টাকা এবং পরবর্তীতে জাল সার্টিফিকেট তৈরি করলে কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে না মর্মে তিন লাখ টাকা শেহেলা পারভীনকে দিয়েছেন। 

এই মামলায় কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম অ্যানালিস্ট শামসুজ্জামান, সাবেক কর্মচারী ও বর্তমানে শামসুজ্জামানের সনদ তৈরির নিজস্ব কারখানায় নিয়োজিত কম্পিউটারম্যান ফয়সাল হোসেন, গড়াই সার্ভে ইনস্টিটিউটের পরিচালক সানজিদা আক্তার ওরফে কলি, হিলফুল ফুজুল নামের কারিগরি প্রতিষ্ঠানের প্রিন্সিপাল সরদার গোলাম মোস্তফা ও যাত্রাবাড়ীর ঢাকা পলিটেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিচালক মাকসুদুর রহমানকে আগেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

এর আগে গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগের একাধিক দল গত ১ এপ্রিল ভোররাত থেকে নজরদারিতে রেখে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মিরপুরের দক্ষিণ ও মধ্য পীরেরবাগ এবং আগারগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম অ্যানালিস্ট একেএম শামসুজ্জামান এবং তাঁর সহযোগী ফয়সাল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় কাছাকাছি দুটি বাসায় তাঁদের হেফাজত থেকে একাধিক কম্পিউটার, ল্যাপটপ, প্রিন্টার, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে চুরি করে নেওয়া হাজার হাজার অরিজিনাল সার্টিফিকেট, মার্কশিটের ব্লাঙ্ক কপি, তৈরি করা শতাধিক সনদ, ট্রান্সক্রিপ্ট, বায়োডাটা এবং গুরুত্বপূর্ণ দলিল উদ্ধার করা হয়। এসব কম্পিউটার প্রিন্টার ল্যাপটপ দিয়ে গত কয়েক বছরে পাঁচ হাজারের বেশি আসল সনদ, মার্কশিট বানিয়ে ভুয়া লোকদের কাছে বিক্রি করা হয়েছে। 

নকল সার্টিফিকেটও ওয়েবসাইটে দেখা যেত

এ ছাড়া সরকারি ওয়েবসাইটে, সরকারি পাসওয়ার্ড, অথরাইজেশন ব্যবহার করে ভুয়া লোকদের কাছে বিক্রি করা সনদগুলোকে বাংলাদেশ সরকারের কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে। ফলে বাংলাদেশসহ পৃথিবীর যেকোনো দেশে বসে এই ওয়েবসাইটে গিয়ে রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বরগুলোকে সার্চ করলে সার্টিফিকেটগুলো সঠিক বলে প্রমাণিত হবে। 

এ ঘটনায় গোয়েন্দা পুলিশ বাদী হয়ে ১ এপ্রিল মিরপুর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা দায়ের করে।

আরও পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের ৪ বিচারকের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিল যুক্তরাষ্ট্র

প্রধান উপদেষ্টার নির্বাচনের সময়সীমা ঘোষণার পর যা বলল ইইউ

আপনাদের সঙ্গে হাত মেলাব না, বিস্ফোরক তামিম

কাগজে-কলমে মেয়র হওয়ায় দায়িত্ব পালন করলাম: জাতীয় ঈদগাহ পরিদর্শন শেষে ইশরাক

এপ্রিলে নির্বাচন ঘোষণায় বিএনপি ও জাতির প্রত্যাশা পূরণ হয়নি: সালাহউদ্দিন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত