Ajker Patrika

সংসদের শেষ অধিবেশনেই সংখ্যালঘু কমিশন গঠনের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সংসদের শেষ অধিবেশনেই সংখ্যালঘু কমিশন গঠনের দাবি

সংসদের শেষ অধিবেশনেই জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠনের বিল উত্থাপন ও পাসের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ। আজ বুধবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের নেতারা এ দাবির কথা জানান। 

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নির্বাচনী ইশতেহারে আওয়ামী লীগ সংখ্যালঘু স্বার্থবান্ধব জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠনের প্রতিশ্রুতি দেয়। পাঁচ বছরেও সেই প্রতিশ্রুতিসহ সংখ্যালঘুদের দেওয়া আরও চারটি প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন হয়নি বলে জানায় হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ। 

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। এ সময় সংখ্যালঘু অধিকার সুরক্ষায় প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের দাবিতে আগামী ১৭ নভেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশের ঘোষণা দেওয়া হয়। 

লিখিত বক্তব্যে রানাদাশ গুপ্ত বলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সরকার ইতিমধ্যে জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠনের ঘোষণা দেবে। কিন্তু সরকারের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠনের ঘোষণা এখন পর্যন্ত আমরা পাইনি, যা ধর্মীয় জাতিগত সংখ্যালঘুদের কাছে অত্যন্ত দুঃখজনক ও হতাশাব্যঞ্জক। আমরা একাদশ জাতীয় সংসদের শেষ অধিবেশনে জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠনের বিল উত্থাপন ও পাস করার জন্য সরকার এবং জাতীয় সংসদের সম্মানিত সদস্যদের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি।’ 

সংসদের অধিবেশন শেষের পথে। এত স্বল্প সময়ে বিল উত্থাপন সম্ভব কিনা জানতে চাইলে রানা দাশগুপ্ত বলেন, ‘সরকারের সদিচ্ছা থাকলে তা সম্ভব। আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান কবির বিন আনোয়ার আমাদের জানিয়েছেন, সংখ্যালঘু কমিশন গঠনের প্রক্রিয়া শেষ পর্যায় রয়েছে। পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের শাসনামলে সংখ্যালঘু সুরক্ষায় যে আইন প্রণীত হয়েছে, তাকে মডেল হিসেবে নিয়ে আমরা এ কমিশন গঠনের রূপরেখা দিয়েছিলাম। এখন তা কোন পর্যায়ে রয়েছে, তা আমরা জানি না। এখন কমিশন গঠনের যে খসড়া হয়েছে, তা চূড়ান্ত করবে সরকার ও আমলারা।’ 

তিনি বলেন, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ এবং ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘু ও আদিবাসী জনগোষ্ঠীর ঐক্যমোর্চা ৪ নভেম্বর ঢাকায় যে মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছিল, দ্বন্দ্বমুখর রাজনৈতিক বাস্তবতায় তা পিছিয়ে ১৭ নভেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে। 

বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এ দেশের ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায় নিদারুণভাবে উদ্বিগ্ন রয়েছে উল্লেখ করে রানা দাশগুপ্ত বলেন, ‘এহেন রাজনৈতিক সহিংসতার সুযোগ নিয়ে দেশের পরিস্থিতিকে অধিকতর অস্থিতিশীল করার জন্য যাতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে টার্গেট করে কোনো ধরনের সহিংসতা চালানোর অপপ্রয়াস মহলবিশেষ করতে না পারে তজ্জন্যে সরকার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সব রাজনৈতিক দল ও সচেতন নাগরিক সমাজের প্রতি আমরা উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।’ 

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন—বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের অন্যতম সভাপতি অধ্যাপক নিমচন্দ্র ভৌমিক, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য রঞ্জন কর্মকার, মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি মনীন্দ্র কুমার নাথ, জাতীয় হিন্দু মহাজোটের একাংশের সাধারণ সম্পাদক এম কে রায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত