ঢাবি সংবাদদাতা
রাজশাহীগামী একটি চলন্ত বাসে ধর্ষণের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীদের একটি দল। এতে সংহতি জানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ।
আজ শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টায় শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে এই বিক্ষোভ সমাবেশ করেন তাঁরা।
বিক্ষোভে শিক্ষার্থীরা ধর্ষণের বিচারহীনতার নিন্দা জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে এর জন্য দায়ী করেন। সমাবেশে নারী সংস্কার কমিশনের সদস্য সুমাইয়া আক্তার বলেন, ‘বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার আন্দোলন সফল হয় ৫ আগস্ট। সেই সাফল্যের পর আজ একুশে ফেব্রুয়ারিতে আমরা নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হচ্ছে। ধর্ষকেরা ছাড় পেয়ে যাচ্ছে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নীরব ভূমিকা পালন করছেন।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী আল ফজলে রাব্বি বলেন, ‘নারীদের প্রতি আমাদের দেশে যত অপরাধ হয় এসবের দায় নিলে বেঁচে থাকা সম্ভব না। বাংলাদেশে ধর্ষণের বহু ঘটনা আছে। আমরা এগুলো নিয়ে কত দিন দাঁড়াব। দায়বদ্ধ প্রতিষ্ঠান যদি এগিয়ে না আসে এগুলো থামবে না।’
ফজলে রাব্বি আরও বলেন, ‘অপরাধীদের আশ্রয় দেয় বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতারা। ফলে প্রশাসন ঘটনাকে ধামাচাপা দিয়ে দেয়।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শামছুন নাহার হলের সাবেক ভিপি তাসনিম আফরোজ ইমি বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর প্রথম রাজপথে নামি তনু ধর্ষণের বিচার চেয়ে, যার সুরাহা এখনো হয়নি। নারীকে ধর্ষণ করলে আমরা তা বলতেও দ্বিধা করি। নারীকে এ দেশ দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হিসেবে বিচার করে। সুযোগ পেলেই ধর্ষণ করে। আমার মাঝে মাঝে মনে হয় জন্মেছি ধর্ষিত হওয়ার জন্যই।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক তাহমিদ আল মুদাসসির চৌধুরী বলেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম নতুন বাংলাদেশে সবার অধিকার থাকবে। নারীদের স্বাধীনতা থাকবে। কিন্তু আমাদের চাওয়া অনুযায়ী দেশ গড়ে ওঠেনি। এটি অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতা। এ সরকারের সময়ে কোনো একটি প্রশাসন ঠিকঠাক কাজ করছে না। ফলে ধর্ষণ স্বাভাবিক ঘটনায় রূপ নিয়েছে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবি জানিয়ে মুদাসসির চৌধুরী আরও বলেন, ‘এসবের দায় নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে অতি দ্রুত পদত্যাগ করতে হবে। যদি সরকার নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়, তবে এদেশে বারবার জুলাই-আগস্ট ফিরে আসবে।’
বিক্ষোভ সমাবেশে ‘স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ঘুম থেকে উঠুন’, ‘চলন্ত বাসে ধর্ষণ কেন?’ ‘অভ্যুত্থানের চেতনা, ধর্ষকের বাংলা না’ ইত্যাদি প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করা হয়। সমাবেশে সংহতি জানিয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরিন, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের সহসভাপতি মুনতাসীর মামুন প্রমুখ।
রাজশাহীগামী একটি চলন্ত বাসে ধর্ষণের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীদের একটি দল। এতে সংহতি জানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ।
আজ শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টায় শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে এই বিক্ষোভ সমাবেশ করেন তাঁরা।
বিক্ষোভে শিক্ষার্থীরা ধর্ষণের বিচারহীনতার নিন্দা জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে এর জন্য দায়ী করেন। সমাবেশে নারী সংস্কার কমিশনের সদস্য সুমাইয়া আক্তার বলেন, ‘বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার আন্দোলন সফল হয় ৫ আগস্ট। সেই সাফল্যের পর আজ একুশে ফেব্রুয়ারিতে আমরা নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হচ্ছে। ধর্ষকেরা ছাড় পেয়ে যাচ্ছে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নীরব ভূমিকা পালন করছেন।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী আল ফজলে রাব্বি বলেন, ‘নারীদের প্রতি আমাদের দেশে যত অপরাধ হয় এসবের দায় নিলে বেঁচে থাকা সম্ভব না। বাংলাদেশে ধর্ষণের বহু ঘটনা আছে। আমরা এগুলো নিয়ে কত দিন দাঁড়াব। দায়বদ্ধ প্রতিষ্ঠান যদি এগিয়ে না আসে এগুলো থামবে না।’
ফজলে রাব্বি আরও বলেন, ‘অপরাধীদের আশ্রয় দেয় বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতারা। ফলে প্রশাসন ঘটনাকে ধামাচাপা দিয়ে দেয়।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শামছুন নাহার হলের সাবেক ভিপি তাসনিম আফরোজ ইমি বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর প্রথম রাজপথে নামি তনু ধর্ষণের বিচার চেয়ে, যার সুরাহা এখনো হয়নি। নারীকে ধর্ষণ করলে আমরা তা বলতেও দ্বিধা করি। নারীকে এ দেশ দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হিসেবে বিচার করে। সুযোগ পেলেই ধর্ষণ করে। আমার মাঝে মাঝে মনে হয় জন্মেছি ধর্ষিত হওয়ার জন্যই।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক তাহমিদ আল মুদাসসির চৌধুরী বলেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম নতুন বাংলাদেশে সবার অধিকার থাকবে। নারীদের স্বাধীনতা থাকবে। কিন্তু আমাদের চাওয়া অনুযায়ী দেশ গড়ে ওঠেনি। এটি অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতা। এ সরকারের সময়ে কোনো একটি প্রশাসন ঠিকঠাক কাজ করছে না। ফলে ধর্ষণ স্বাভাবিক ঘটনায় রূপ নিয়েছে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবি জানিয়ে মুদাসসির চৌধুরী আরও বলেন, ‘এসবের দায় নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে অতি দ্রুত পদত্যাগ করতে হবে। যদি সরকার নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়, তবে এদেশে বারবার জুলাই-আগস্ট ফিরে আসবে।’
বিক্ষোভ সমাবেশে ‘স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ঘুম থেকে উঠুন’, ‘চলন্ত বাসে ধর্ষণ কেন?’ ‘অভ্যুত্থানের চেতনা, ধর্ষকের বাংলা না’ ইত্যাদি প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করা হয়। সমাবেশে সংহতি জানিয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরিন, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের সহসভাপতি মুনতাসীর মামুন প্রমুখ।
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম যেন বিভীষিকাময় হয়ে উঠেছে। ফেসবুকে ঢুকলেই ওই দুর্ঘটনার মন খারাপ করা ছবি ও ভিডিও এড়িয়ে যাওয়ার উপায় নেই। স্ক্রল করতে করতে হঠাৎ চোখ আটকে যায় ‘এসএসসি ০৫-এইচএসসি ০৭’ গ্রুপের একটি পোস্টে।
৪ ঘণ্টা আগেজাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের করিডরে আগের দিনের মতো চিৎকার-চেঁচামেচি ছিল না গতকাল মঙ্গলবার। ছিল না রক্তের জন্য ছোটাছুটি। হাসপাতালজুড়ে কেমন যেন একটা উৎকণ্ঠা। এই উৎকণ্ঠা দগ্ধ শিশুগুলোর স্বজনদের চোখেমুখে। সবার প্রার্থনা, আর যেন কোনো দুঃসংবাদ কানে না আসে, সব শিশু যেন সুস্থ হয়ে ওঠে।
৪ ঘণ্টা আগেশিক্ষার্থীদের প্রতি মমত্ববোধ ও দায়িত্ববোধের অসাধারণ উদাহরণ তৈরি করে গেলেন রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক মাহরীন চৌধুরী। যুদ্ধবিমানটি যখন তাঁর প্রতিষ্ঠানে বিধ্বস্ত হয়, তখনো তিনি অক্ষত ও সুস্থ ছিলেন। কিন্তু বিপদের মুখেই তিনি ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন নিজের সন্তানের মতো ছাত্রছাত্রীদের বাঁচাতে।
৪ ঘণ্টা আগেরাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীদের কোলাহল নেই। বিমানবাহিনীর বিধ্বস্ত প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমানের বিকট শব্দে থেমে গেছে সেই কোলাহল। থামেনি সন্তান বা স্বজনহারাদের বুকফাটা কান্না, মাতম। হাসপাতালে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে আহত ও দগ্ধরা।
৪ ঘণ্টা আগে