প্রতিনিধি, মিরপুর (ঢাকা)
‘সরকার আমাগো ফ্ল্যাট দিবে কইয়া, বড়লোকদের ফ্ল্যাট দিসে। আমাগো থাকোনের জায়গা নাই। আমাগো চিন্তা সরকার করলেও ঘুষখোররা কি আর আমাগো চিন্তা করে। হেরা চিন্তা করে টাকার’। বস্তি উচ্ছেদ করে আধুনিক ভবন নির্মাণ করে তাঁদের জন্য ফ্ল্যাট বরাদ্দের কথা থাকলেও সেই ফ্ল্যাট পেয়েছেন এখন অনেক ভবন মালিকেরা। সেই আক্ষেপ প্রকাশ করেই কথা গুলো বলেন আকলিমা বেগম।
রাজধানীর মিরপুরে বস্তিবাসীদের জন্য ১৪৯ কোটি টাকা ব্যয়ে বহুতল ভবনে ৫৩৩টি আধুনিক ফ্ল্যাট নির্মাণ করেছে সরকার। তবে এসব ফ্ল্যাটের বরাদ্দে রয়েছে অনেক ভবন মালিক। যাদের রয়েছে নিজস্ব দলান ও আর্থিকভাবে সচ্ছলতা।
ফ্ল্যাট বরাদ্দের তালিকায় হালিমা নামের এক ভবন মালিকের নাম রয়েছে। হালিমার স্বামী বলেন, ‘আমার বউর মাধ্যমে আমি একটি তিন তলা বাড়ি পেয়েছি। তা ছাড়া আমার ভাঙারির দোকান আছে।’ স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, হালিমার স্বামী মিন্টু মিয়ার ভাঙ্গারির দোকান নয়, আছে একটি থাই এর দোকান। আগে তাঁর দোকানে চারজন কর্মচারী ছিল। কিন্তু লকডাউনের মধ্যে দোকান না খুলতে পারায় কর্মচারীদের বিদায় দিয়ে এখন সে নিজেই দোকান চালায়।
ভবন নির্মাণের জন্য বাউনিয়া বাঁধ কলাবাগান বস্তির যেসব বাসিন্দাদের উচ্ছেদ করা হয়েছে, তাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভাড়াভিত্তিক ফ্ল্যাট বরাদ্দ দেওয়ার কথা থাকলেও তা করা হয়নি বলে অভিযোগ করেন বস্তিবাসী। এসব অভিযোগের প্রতিকার চেয়ে মঙ্গলবার জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ ঢাকা ডিভিশন ১-এর নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে কলাবাগান বস্তিবাসীর পক্ষে লিখিত অভিযোগ জমা দেন বস্তির বাসিন্দা শেখ জাহাঙ্গীর।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, ২৫ বছর ধরে কলাবাগান বস্তিতে মানবেতর জীবনযাপন করছি। সম্প্রতি বস্তিবাসীর জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহারের যে ৩০০টি ফ্ল্যাট ভাড়ার ভিত্তিতে হস্তান্তর করা হয়েছে, সেখানে আমার মতো অনেক অসহায় গৃহহীন বস্তিবাসীর কপালে ফ্ল্যাট জোটেনি। অথচ যাদের নিজস্ব ৫ তলা, ৬ তলা কিংবা বাড়ি রয়েছে, এদের অনেকেই ফ্ল্যাট বরাদ্দ পেয়েছেন। আবার একই পরিবারের ১২ থেকে ১৯ জন সদস্যও ফ্ল্যাট পেয়েছেন। এর মধ্যে এক চিহ্নিত বিএনপি নেত্রী রয়েছেন, যার পরিবারের ১৯ জন সদস্য রয়েছে। আবার যাদের ভোটার আইডি কার্ডে বস্তি লেখা নেই, তাদেরও ফ্ল্যাট দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি বাউনিয়া বাঁধের ২ হাজার ৬০০ বাস্তুহারা পরিবারের যারা দলিল পেয়েছেন, তাঁদের অনেকে ফ্ল্যাট পেয়েছেন। বস্তিতে যারা একসময় বসবাস করতেন, পরবর্তী সময়ে তাঁরা বস্তি ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন। তাঁদের অনেকে টাকা দিয়ে ফ্ল্যাট বরাদ্দ নিয়েছেন।
অভিযোগ পত্রে শেখ জাহাঙ্গীর কয়েকজন ব্যক্তির নাম উল্লেখ করেন, জাদের রয়েছে নিজস্ব ভবন। তারা হলেন, পারভীন, রেহেনা, হালিমা, আব্দুর রশিদ, শাহজাহান মিয়া, নজরুল ইসলাম নাঈম, সেন্টু, জহির, রফিক, হাবু, জাহাঙ্গীর, আকরাম, আক্কাস, মোশারফ ও তাছলিমা।
এসব নামের তালিকা ধরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হালিমা ২ নম্বর ভবনের ৮ম তলায় একটি ফ্ল্যাটের বরাদ্দপত্র পেয়েছেন। হালিমার স্বামীর নাম মিন্টু। তাদের বাউনিয়া বাঁধ ই ব্লকে ১১ নম্বর লাইনে একটি তিনতলা বাড়ি রয়েছে। রেহেনার বাউনিয়া বাঁধ বি ব্লকের ২১ নম্বর লাইনে একটি ছয়তলা বাড়ি রয়েছে। রেহেনার স্বামীর নাম হাকিম। বাসা নম্বর ৬। আক্কাসের বি ব্লকের ২১ নম্বর লাইনে ২ তলা বাড়ি রয়েছে। পিতার নাম ফেলু খাঁ। বাসা নম্বর ৭। আব্দুর রশিদের বি ব্লকের ২০ নম্বর লাইনে ৫ তলা বাড়ি রয়েছে। পিতার নাম সুন্দর আলী বাসা নম্বর ৯। পারভীনের ই ব্লকের ৮ নম্বর লাইনে ৩ তলা বাড়ি রয়েছে। পিতার নাম কালু শিয়ালী। বাসা নম্বর ৯। হালেমার বি ব্লকের ১১ নম্বর লাইনে ৩ তলা বাড়ি রয়েছে। পিতার নাম আলম বাড়ি নম্বর ১।
জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ ঢাকা অঞ্চল ১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী জোয়ারদার তাবেদুন নবী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভাড়াভিত্তিক ৩০০ ফ্ল্যাটের মধ্যে ২৭২টি ফ্ল্যাটের ভাড়াপত্রের তালিকা সংসদ সদস্য থেকেই এসেছে। সে অনুযায়ী আমরা ভাড়া পত্র দিয়েছি তবে এখনো চুক্তি পত্র দেওয়া হয়নি। চুক্তিপত্র দেওয়ার আগে আমরা সঠিকভাবে যাচাই–বাছাই করে হস্তান্তর করব।’
‘সরকার আমাগো ফ্ল্যাট দিবে কইয়া, বড়লোকদের ফ্ল্যাট দিসে। আমাগো থাকোনের জায়গা নাই। আমাগো চিন্তা সরকার করলেও ঘুষখোররা কি আর আমাগো চিন্তা করে। হেরা চিন্তা করে টাকার’। বস্তি উচ্ছেদ করে আধুনিক ভবন নির্মাণ করে তাঁদের জন্য ফ্ল্যাট বরাদ্দের কথা থাকলেও সেই ফ্ল্যাট পেয়েছেন এখন অনেক ভবন মালিকেরা। সেই আক্ষেপ প্রকাশ করেই কথা গুলো বলেন আকলিমা বেগম।
রাজধানীর মিরপুরে বস্তিবাসীদের জন্য ১৪৯ কোটি টাকা ব্যয়ে বহুতল ভবনে ৫৩৩টি আধুনিক ফ্ল্যাট নির্মাণ করেছে সরকার। তবে এসব ফ্ল্যাটের বরাদ্দে রয়েছে অনেক ভবন মালিক। যাদের রয়েছে নিজস্ব দলান ও আর্থিকভাবে সচ্ছলতা।
ফ্ল্যাট বরাদ্দের তালিকায় হালিমা নামের এক ভবন মালিকের নাম রয়েছে। হালিমার স্বামী বলেন, ‘আমার বউর মাধ্যমে আমি একটি তিন তলা বাড়ি পেয়েছি। তা ছাড়া আমার ভাঙারির দোকান আছে।’ স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, হালিমার স্বামী মিন্টু মিয়ার ভাঙ্গারির দোকান নয়, আছে একটি থাই এর দোকান। আগে তাঁর দোকানে চারজন কর্মচারী ছিল। কিন্তু লকডাউনের মধ্যে দোকান না খুলতে পারায় কর্মচারীদের বিদায় দিয়ে এখন সে নিজেই দোকান চালায়।
ভবন নির্মাণের জন্য বাউনিয়া বাঁধ কলাবাগান বস্তির যেসব বাসিন্দাদের উচ্ছেদ করা হয়েছে, তাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভাড়াভিত্তিক ফ্ল্যাট বরাদ্দ দেওয়ার কথা থাকলেও তা করা হয়নি বলে অভিযোগ করেন বস্তিবাসী। এসব অভিযোগের প্রতিকার চেয়ে মঙ্গলবার জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ ঢাকা ডিভিশন ১-এর নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে কলাবাগান বস্তিবাসীর পক্ষে লিখিত অভিযোগ জমা দেন বস্তির বাসিন্দা শেখ জাহাঙ্গীর।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, ২৫ বছর ধরে কলাবাগান বস্তিতে মানবেতর জীবনযাপন করছি। সম্প্রতি বস্তিবাসীর জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহারের যে ৩০০টি ফ্ল্যাট ভাড়ার ভিত্তিতে হস্তান্তর করা হয়েছে, সেখানে আমার মতো অনেক অসহায় গৃহহীন বস্তিবাসীর কপালে ফ্ল্যাট জোটেনি। অথচ যাদের নিজস্ব ৫ তলা, ৬ তলা কিংবা বাড়ি রয়েছে, এদের অনেকেই ফ্ল্যাট বরাদ্দ পেয়েছেন। আবার একই পরিবারের ১২ থেকে ১৯ জন সদস্যও ফ্ল্যাট পেয়েছেন। এর মধ্যে এক চিহ্নিত বিএনপি নেত্রী রয়েছেন, যার পরিবারের ১৯ জন সদস্য রয়েছে। আবার যাদের ভোটার আইডি কার্ডে বস্তি লেখা নেই, তাদেরও ফ্ল্যাট দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি বাউনিয়া বাঁধের ২ হাজার ৬০০ বাস্তুহারা পরিবারের যারা দলিল পেয়েছেন, তাঁদের অনেকে ফ্ল্যাট পেয়েছেন। বস্তিতে যারা একসময় বসবাস করতেন, পরবর্তী সময়ে তাঁরা বস্তি ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন। তাঁদের অনেকে টাকা দিয়ে ফ্ল্যাট বরাদ্দ নিয়েছেন।
অভিযোগ পত্রে শেখ জাহাঙ্গীর কয়েকজন ব্যক্তির নাম উল্লেখ করেন, জাদের রয়েছে নিজস্ব ভবন। তারা হলেন, পারভীন, রেহেনা, হালিমা, আব্দুর রশিদ, শাহজাহান মিয়া, নজরুল ইসলাম নাঈম, সেন্টু, জহির, রফিক, হাবু, জাহাঙ্গীর, আকরাম, আক্কাস, মোশারফ ও তাছলিমা।
এসব নামের তালিকা ধরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হালিমা ২ নম্বর ভবনের ৮ম তলায় একটি ফ্ল্যাটের বরাদ্দপত্র পেয়েছেন। হালিমার স্বামীর নাম মিন্টু। তাদের বাউনিয়া বাঁধ ই ব্লকে ১১ নম্বর লাইনে একটি তিনতলা বাড়ি রয়েছে। রেহেনার বাউনিয়া বাঁধ বি ব্লকের ২১ নম্বর লাইনে একটি ছয়তলা বাড়ি রয়েছে। রেহেনার স্বামীর নাম হাকিম। বাসা নম্বর ৬। আক্কাসের বি ব্লকের ২১ নম্বর লাইনে ২ তলা বাড়ি রয়েছে। পিতার নাম ফেলু খাঁ। বাসা নম্বর ৭। আব্দুর রশিদের বি ব্লকের ২০ নম্বর লাইনে ৫ তলা বাড়ি রয়েছে। পিতার নাম সুন্দর আলী বাসা নম্বর ৯। পারভীনের ই ব্লকের ৮ নম্বর লাইনে ৩ তলা বাড়ি রয়েছে। পিতার নাম কালু শিয়ালী। বাসা নম্বর ৯। হালেমার বি ব্লকের ১১ নম্বর লাইনে ৩ তলা বাড়ি রয়েছে। পিতার নাম আলম বাড়ি নম্বর ১।
জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ ঢাকা অঞ্চল ১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী জোয়ারদার তাবেদুন নবী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভাড়াভিত্তিক ৩০০ ফ্ল্যাটের মধ্যে ২৭২টি ফ্ল্যাটের ভাড়াপত্রের তালিকা সংসদ সদস্য থেকেই এসেছে। সে অনুযায়ী আমরা ভাড়া পত্র দিয়েছি তবে এখনো চুক্তি পত্র দেওয়া হয়নি। চুক্তিপত্র দেওয়ার আগে আমরা সঠিকভাবে যাচাই–বাছাই করে হস্তান্তর করব।’
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে প্রধান শিক্ষক ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে চলছে ১১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা। প্রধান শিক্ষকবিহীন এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে। অভিযোগ রয়েছে, যেসব ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হচ্ছে, তাঁদের অনেকেরই প্রধান শিক্ষক হওয়ার যোগ
৬ ঘণ্টা আগেদুই দশক কিছুটা শান্ত থাকার পর কুড়িগ্রামের চিলমারী-রৌমারী-রাজিবপুর নৌপথে আবার ডাকাতের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। এক মাসের ব্যবধানে দুবার ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ দুই ঘটনায় আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রতিরোধেও কার্যকর উদ্যোগ নেই স্থানীয় প্রশাসনের। আবার ডাকাতি শুরু হওয়ায় ১৪ কিলোমিটার এই নৌপথের নৌযান, যাত্রী
৭ ঘণ্টা আগেরাত ১০টার দিকে ওই দুই যুবক মোটরসাইকেলে করে আড়ংঘাটা থানার লতার বাইপাস মোড় লিংক রোড থেকে বাইপাস মহাসড়ক পার হচ্ছিলেন। এ সময়ে আফিলগেট থেকে খুলনাগামী একটি বাস তাঁদের ধাক্কা দেয়।
৮ ঘণ্টা আগেনোয়াখালীর হাতিয়ায় গভীর রাতে বসতঘরে আগুন লেগে নিমাই চন্দ্র মজুমদার ও তাঁর স্ত্রী মিলনবালার মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারী) চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে বিকেল ৫টায় নিমাই চন্দ্রের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে পৌছার পর রাত ৯টার দিকে মিলন বালাও মারা যান।
৮ ঘণ্টা আগে