Ajker Patrika

নির্বাচনে নৌকার কর্মীকে মিথ্যা মামলায় হয়রানির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪: ২০
Thumbnail image

নৌকার প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাফিজ আল আসাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও মুন্সিগঞ্জ-২ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করা অ্যাডভোকেট সোহানা তাহমিনার বিরুদ্ধে। 

জেলার লৌহজং ও টঙ্গিবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগ ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা এই অভিযোগ তুলেছেন। 

আজ শনিবার সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে লৌহজং ও টঙ্গিবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এসব অভিযোগ করেন টঙ্গিবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ কে এম আসুনাল কবির। 

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বিগত সংসদ নির্বাচনে অ্যাডভোকেট সোহানা তাহমিনা জেলা আওয়ামী লীগের প্রভাব খাঁটিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থীর পক্ষে প্রচার-প্রচারণায় অংশগ্রহণকারী আওয়ামী লীগের প্রত্যেক নেতা-কর্মীকে হুমকি-ধমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। এ ছাড়া যাঁরা ট্রাকের নির্বাচন করবেন না, জাতীয় নির্বাচনের পর জেলা আওয়ামী লীগের সহযোগিতায় তাঁদের কমিটি ভেঙে দেওয়ার হুমকিও দিয়েছেন তিনি।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সোহানা তাহমিনা টঙ্গিবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাফিজ আল আসাদের বিরুদ্ধে মুন্সিগঞ্জ কোর্টে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন। আমরা লৌহজং ও টঙ্গিবাড়ীর উপজেলা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং এলাকারবাসী এই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, যড়যন্ত্রমূলক ও মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। পাশাপাশি আমাদের অত্যন্ত ভদ্র ও সৎ সভাপতির বিরুদ্ধে অ্যাডভোকেট সোহানা তাহমিনা কতিপয় প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়াকে মিথ্যা তথ্য প্রকাশে প্ররোচিত করেছেন, যা অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় ও মানহানিকর।’ 

এ কে এম আসুনাল কবির আরও বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের নয়নের মণি এবং আমরা তাঁর আদর্শের সৈনিক। শেখ হাসিনা যাকে নৌকা মার্কা দিয়েছেন; আমরা তার পক্ষে কাজ করেছি। আমরা নৌকার পক্ষে কাজ করেছি বিধায় স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচনের সময় জেলা আওয়ামী লীগ ও আইনজীবীর প্রভাব খাঁটিয়ে লৌহজং ও টঙ্গিবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। যার ফলে নেতা-কর্মীরা নির্বাচন রেখে মামলা নিয়ে কোর্টে দৌড়াদৌড়িতে ব্যস্ত থাকেন এবং ভোট চাওয়ার সুযোগ কম পেয়েছেন।’ 

তা ছাড়া তিনি নির্বাচনের সময় প্রশাসনের বিরুদ্ধেও মিথ্যা মামলা করার জন্য উদ্যোগী হয়েছিলেন, কিন্তু থানা মামলা নেয়নি বলেও জানান তিনি। 

স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নৌকা মার্কার বিরুদ্ধে নির্বাচনে পরাজিত হয়ে আওয়ামী লীগ ও নৌকা মার্কার প্রত্যেক নেতা-কর্মীকে সামাজিক, আর্থিক ও রাজনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ও হেয় প্রতিপন্ন করতে তাহমিনা উঠেপড়ে লেগেছেন বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তারই ফলে হাফিজ আল আসাদের বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগ এনে ১০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ চেয়ে মিথ্যা মামলা করেছেন। তিনি জনতার এই রায়কে স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতে না পেরে এ ধরনের উন্মাদের মতো কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছেন। সোহানা তাহমিনার ওপরে বর্ণিত অশুভ অপতৎপরতা এবং কথায় কথায় কমিটি ভেঙে দেওয়ার হুমকি-ধমকি থেকে লৌহজং ও টঙ্গিবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের রক্ষা করার জন্য, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে আকুল আবেদন জানাচ্ছি।’ 

এদিকে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে পালটা অভিযোগ করেছেন অ্যাডভোকেট সোহানা তাহমিনা। তিনি বলেন, ‘তারাই আগে আমাকে নিয়ে অসৌজন্যমূলক ও মানহানিকর বক্তব্য দিয়েছেন বিভিন্ন জায়গায়, যা নির্বাচনের আচরণবিধি ভঙ্গ করে। আমি তার বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে মানহানির মামলা করেছি। এটা আরও বেশি করার দরকার ছিল।’ 


সংবাদ সম্মেলনে লৌহজং ও টঙ্গিবাড়ীর উপজেলা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের প্রায় অর্ধশত নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত