সিরাজদিখান (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি
মুন্সিগঞ্জে ছেলের জন্মদিনে মা-বাবাকে দাওয়াত না করায় স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল রোববার রাত দেড়টার দিকে সদর উপজেলার বাঘাইকান্দী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে তাঁর স্বামী পলাতক রয়েছেন। পুলিশ ওই গৃহবধূর শাশুড়ি ও ননদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে।
নিহত গৃহবধূ রুমানা বেগম (২১) বাঘাইকান্দি এলাকার প্রবাসী রুহুল আমিনের মেয়ে। তাঁর স্বামী একই এলাকার নাদিম দেওয়ান (৩০)। ২০২০ সালে পারিবারিকভাবে নাদিম ও রুমানার বিয়ে হয়। তাঁদের ঘরে দুই বছরের একটি ছেলেসন্তান রয়েছে।
রুমানার স্বজনেরা জানান, গতকাল রোববার নাদিম-রুমানা দম্পতির একমাত্র ছেলের জন্মদিন ছিল। রুমানা তাঁর ছেলেকে নিয়ে বাবার বাড়ি ছিলেন। জন্মদিন উপলক্ষে সন্ধ্যায় সেখানে মিলাদের আয়োজন করা হয়। নাদিম সন্ধ্যায় রুমানাদের বাড়ি যান। ছেলের জন্মদিনে নাদিমের মা-বাবাকে কেন দাওয়াত করা হয়নি, এ নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে ছেলেকে নিয়ে বাড়ি চলে আসেন নাদিম।
রাত ৯টার দিকে রুমানা তাঁর ছেলেকে আনতে তাঁর মামাকে নাদিমদের বাড়ি পাঠান। নাদিম ছেলেকে দেবেন না বলে জানান। পরে রাত সাড়ে ১২টার দিকে ছেলেকে আনতে নাদিমদের বাড়ি যান রুমানা। সেখানে আবার দুজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে রুমানাকে ছুরিকাঘাত করেন নাদিম। গুরুতর আহত অবস্থায় রুমানাকে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান স্বজনেরা। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রুহুল আমিন বলেন, গতকাল রাত পৌনে ২টার দিকে ওই নারীকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তাঁর শরীরে ও গলায় ছুরিকাঘাতের চিহ্ন ছিল।
রুমানার ছোট ভাই রনি ব্যাপারী বলেন, ‘আমরা দুই ভাই-বোন ছিলাম। রুমানা বড় ছিলেন। তাঁর সংসারে আমার বাবা টাকাপয়সা দিয়ে সহযোগিতা করতেন। গতকাল শুধু নাদিমের মা-বাবাকে দাওয়াত না করার জের ধরে আমার বোনকে মেরে ফেলা হলো। আমি আমার বোনের হত্যাকারীর বিচার চাই।’
নিহত রুমানার ফুফু সাথী বেগম বলেন, ‘পারিবারিকভাবে কত আনন্দ-ফুর্তি করে তিন বছর আগে আমাদের একমাত্র ভাতিজিকে নাদিমের সঙ্গে বিয়ে দিয়েছিলাম। বিয়ের এক বছর পর্যন্ত তাদের সংসার ভালোই চলছিল। ছেলে হওয়ার পর থেকেই নাদিম ঝগড়াঝাঁটি শুরু করে। গতকালও বিনা কারণে ঝগড়াঝাঁটি করে মেয়েটিকে মেরে ফেলা হলো।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) থান্দার খাইরুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত নাদিম পলাতক রয়েছেন। এ ঘটনায় অভিযুক্তের মা ও বোনকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।
এ ঘটনায় নাদিমের মা ও বোনকে আটক করার কারণ জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, ক্ষুব্ধ লোকজন তাঁদের ঘিরে রেখেছিল। এ কারণে পুলিশ তাঁদের থানায় নিয়ে আসে। জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা পাওয়া না গেলে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হবে।
মুন্সিগঞ্জে ছেলের জন্মদিনে মা-বাবাকে দাওয়াত না করায় স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল রোববার রাত দেড়টার দিকে সদর উপজেলার বাঘাইকান্দী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে তাঁর স্বামী পলাতক রয়েছেন। পুলিশ ওই গৃহবধূর শাশুড়ি ও ননদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে।
নিহত গৃহবধূ রুমানা বেগম (২১) বাঘাইকান্দি এলাকার প্রবাসী রুহুল আমিনের মেয়ে। তাঁর স্বামী একই এলাকার নাদিম দেওয়ান (৩০)। ২০২০ সালে পারিবারিকভাবে নাদিম ও রুমানার বিয়ে হয়। তাঁদের ঘরে দুই বছরের একটি ছেলেসন্তান রয়েছে।
রুমানার স্বজনেরা জানান, গতকাল রোববার নাদিম-রুমানা দম্পতির একমাত্র ছেলের জন্মদিন ছিল। রুমানা তাঁর ছেলেকে নিয়ে বাবার বাড়ি ছিলেন। জন্মদিন উপলক্ষে সন্ধ্যায় সেখানে মিলাদের আয়োজন করা হয়। নাদিম সন্ধ্যায় রুমানাদের বাড়ি যান। ছেলের জন্মদিনে নাদিমের মা-বাবাকে কেন দাওয়াত করা হয়নি, এ নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে ছেলেকে নিয়ে বাড়ি চলে আসেন নাদিম।
রাত ৯টার দিকে রুমানা তাঁর ছেলেকে আনতে তাঁর মামাকে নাদিমদের বাড়ি পাঠান। নাদিম ছেলেকে দেবেন না বলে জানান। পরে রাত সাড়ে ১২টার দিকে ছেলেকে আনতে নাদিমদের বাড়ি যান রুমানা। সেখানে আবার দুজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে রুমানাকে ছুরিকাঘাত করেন নাদিম। গুরুতর আহত অবস্থায় রুমানাকে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান স্বজনেরা। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রুহুল আমিন বলেন, গতকাল রাত পৌনে ২টার দিকে ওই নারীকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তাঁর শরীরে ও গলায় ছুরিকাঘাতের চিহ্ন ছিল।
রুমানার ছোট ভাই রনি ব্যাপারী বলেন, ‘আমরা দুই ভাই-বোন ছিলাম। রুমানা বড় ছিলেন। তাঁর সংসারে আমার বাবা টাকাপয়সা দিয়ে সহযোগিতা করতেন। গতকাল শুধু নাদিমের মা-বাবাকে দাওয়াত না করার জের ধরে আমার বোনকে মেরে ফেলা হলো। আমি আমার বোনের হত্যাকারীর বিচার চাই।’
নিহত রুমানার ফুফু সাথী বেগম বলেন, ‘পারিবারিকভাবে কত আনন্দ-ফুর্তি করে তিন বছর আগে আমাদের একমাত্র ভাতিজিকে নাদিমের সঙ্গে বিয়ে দিয়েছিলাম। বিয়ের এক বছর পর্যন্ত তাদের সংসার ভালোই চলছিল। ছেলে হওয়ার পর থেকেই নাদিম ঝগড়াঝাঁটি শুরু করে। গতকালও বিনা কারণে ঝগড়াঝাঁটি করে মেয়েটিকে মেরে ফেলা হলো।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) থান্দার খাইরুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত নাদিম পলাতক রয়েছেন। এ ঘটনায় অভিযুক্তের মা ও বোনকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।
এ ঘটনায় নাদিমের মা ও বোনকে আটক করার কারণ জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, ক্ষুব্ধ লোকজন তাঁদের ঘিরে রেখেছিল। এ কারণে পুলিশ তাঁদের থানায় নিয়ে আসে। জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা পাওয়া না গেলে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হবে।
ঢাকার সাভারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। আজ সোমবার তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ জানায়, ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল আজ সোমবার ভোরে গাজীপুরের কালীগঞ্জে অভিযান চালিয়ে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি সোহেল রোজারিওকে...
২৩ মিনিট আগেবাড়িভাড়া ভাতা বাড়ানোসহ তিন দফা দাবিতে নতুন কর্মসূচি হিসেবে আগামীকাল মঙ্গলবার মুখে কালো কাপড় বেঁধে মিছিল করবেন আন্দোলনরত এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা। আজ সোমবার দাবি আদায়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থানরত শিক্ষকেরা আমরণ অনশন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন।
৪৪ মিনিট আগেসাগরতীরের কাশবন থেকে হাত-পায়ের রগ কাটা অবস্থায় শামীম মাকসুদ খান জয় (২৬) নামের এক শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় নগরীর আনন্দবাজার এলাকায় আউটার রিংরোডসংলগ্ন সাগরতীর থেকে ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করা হয়। পরে তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক...
১ ঘণ্টা আগেসিংড়ায় অনলাইন জুয়া নিয়ে বিরোধের জেরে মিঠুন আলী (৩৩) নামের এক যুবক ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার উপজেলার পেট্রোবাংলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগে