Ajker Patrika

ভুল গ্রুপের রক্ত দেওয়ায় প্রসূতির মৃত্যু, ডায়াগনস্টিকের পরিচালকসহ গ্রেপ্তার ৬ 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৪ আগস্ট ২০২২, ১৮: ০১
ভুল গ্রুপের রক্ত দেওয়ায় প্রসূতির মৃত্যু, ডায়াগনস্টিকের পরিচালকসহ গ্রেপ্তার ৬ 

গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ থানার জনসেবা জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে শরীরে ভুল গ্রুপের রক্ত দেওয়ায় প্রসূতির মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ডায়াগনস্টিকের পরিচালক, চিকিৎসক ও নার্সসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। 

র‍্যাব জানায়, অপারেশনের পরে প্রসূতির শরীরে এবি পজিটিভ রক্তের পরিবর্তে বি পজিটিভ রক্ত প্রবেশ করানো হয়। এতেই রোগীর অবস্থার অবনতি হয়। পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় আনার পথে অ্যাম্বুলেন্সেই রোগীর মৃত্যু হয়। 

গ্রেপ্তাররা হলেন-হাসপাতাল পরিচালক বন্যা আক্তার (৩১), ওটি বয় মো. আশিকুর রহমান (২৫), সিনিয়র নার্স সংগিতা তেরেজা কস্তা (৩৩), জুনিয়র নার্স মেরী গমেজ (৪০), নার্স সীমা আক্তার (৩৪) ও রিসিপশনিস্ট শামীমা আক্তার (৩২)। 

আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‍্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সংস্থাটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‍্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানখন্দকার আল মঈন জানান, গত ২১ আগস্ট সকালে গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ থানার তুমুলিয়া ইউনিয়নের আব্দুর রাজ্জাকের স্ত্রী শিরিন বেগমের (৩২) প্রসব বেদনা উঠে। তাঁকে একই ইউনিয়নের জনসেবা জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বন্যা আক্তারের মাধ্যমে হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশনের জন্য ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে ওটি বয় আশিকের তত্ত্বাবধানে রোগীর প্রাথমিক চিকিৎসা ও আল্ট্রাসনোগ্রাম করার পর সিজারের জন্য রোগীকে অপারেশন রুমে (ওটি) নেওয়া হয়। পরবর্তীতে ডাক্তার মাসুদ গাইনোকলজিস্ট না হয়েও রোগীর সিজার করেন। অপারেশন শেষে রোগীর রক্ত বন্ধ না হওয়ায় ডাক্তার মাসুদের পরামর্শে আশিক ও বন্যা রোগীর পরিবারকে এবি পজিটিভ রক্ত সংগ্রহের কথা বলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রথমে ভিকটিমের ভাই ও ননদের ছেলের এবি পজিটিভ গ্রুপের রক্ত হওয়ায় তাদের কাছ থেকে রক্ত সংগ্রহ করা হয়। প্রথমে ভিকটিমের ভাইয়ের শরীর থেকে এক ব্যাগ রক্ত সংগ্রহ করে রোগীর শরীরে পুশ করা হয়। আরও এক ব্যাগ রক্তের প্রয়োজনে ননদের ছেলের শরীর থেকে রক্ত সংগ্রহের উদ্দেশ্যে তাঁকে হাসপাতালের বেডে শোয়ানো হয়। এরই মধ্যে হাসপাতালের কর্তব্যরত নার্সরা ভিকটিমের শরীরে বি পজিটিভ গ্রুপের রক্ত পুশ করে। ভুল গ্রুপের রক্ত প্রবেশ করানোর ফলে প্রসূতির খিঁচুনি উঠলে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের অনুপস্থিতে আশিকের তত্ত্বাবধানে রোগীর চিকিৎসা চলতে থাকে। একপর্যায়ে রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে সন্ধ্যার দিকে আশিক ও বন্যা তড়িঘড়ি করে রোগীকে ঢাকায় পাঠায়। পথে রোগীর অবস্থার অবনতি হওয়ায় ঢাকার উত্তরার একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রোগী অ্যাম্বুলেন্সে থাকাবস্থায় প্রাথমিক পরীক্ষায় রোগী মৃত বলে জানায়। 

ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় উপজেলা স্বাস্থ্য অফিসের নির্দেশনায় কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গাইনি ডাক্তার সানজিদা পারভীনকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এই ঘটনায় হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) রাতে র‍্যাব-১ এর অভিযানে পরিচালকসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় চিকিৎসা সংক্রান্ত তথ্য ও হাসপাতাল পরিচালনার মেয়াদ উত্তীর্ণ নথিপত্র উদ্ধার করা হয়। 

প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে কমান্ডার খন্দকার মঈন জানান, জনসেবা জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়মিত কোনো ডাক্তার ছিল না। মেয়াদোত্তীর্ণ কাগজে চিকিৎসা সেবা চালিয়ে যাচ্ছিল হাসপাতালটি। হাসপাতালটিতে গড়ে প্রতি মাসে ২৫ থেকে ৩০টি সিজারিয়ান অপারেশনসহ প্রায় ৫০ টির অধিক বিভিন্ন অপারেশন করা হতো। এ ক্ষেত্রে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগী প্রাপ্তি সাপেক্ষে অন কলে থাকা বিভিন্ন ডাক্তারদের ডাকা হতো। সিজারিয়ান অপারেশনের ক্ষেত্রে একজন গাইনোকোলজিষ্টের অপারেশন চার্জ ছিল ৩ হাজার টাকা এবং এনেস্থলজিষ্টের দেড় হাজার টাকা সর্বমোট সাড়ে চার হাজার টাকা। ক্লিনিক কর্তৃক রোগী ভেদে বিভিন্ন প্যাকেজে ১০-১৫ হাজার টাকা নেওয়া হতো। হাসপাতালে কর্মরত সকল নার্স এবং স্টাফদের প্রতি মাসে মোট বেতন ছিল দেড় লাখ টাকা। আর ডাক্তারদের রোগী প্রাপ্তি সাপেক্ষে ভিজিট দেওয়া হতো। এছাড়াও হাসপাতালটিতে অল্প কিছু টেস্টের ব্যবস্থাও ছিল।

গ্রেপ্তার বন্যা আক্তারকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে খন্দকার মঈন জানান, বন্যা ডিগ্রি পাস। হাসপাতালের অন্যতম অংশীদার ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তাঁর কোনো নার্সিং ডিগ্রি নেই। তবে সে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ৭ বছর নার্সিং ও আড়াই বছর ম্যানেজার হিসেবে কাজ করেছিল। পরবর্তীতে সে ২০১৮ সালে আটজনের যৌথ মালিকানায় এই ডায়াগনস্টিক সেন্টার চালু করে। বর্তমানে হাসপাতালটির মালিক তিনজন বলে জানা যায়।

খন্দকার মঈন আরও জানান, জনসেবা জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কাগজপত্র বিশ্লেষণে জানা যায়, হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্সের মেয়াদ ২০২১ সালের ৩০ জুন শেষ হয়েছে। এছাড়া ট্রেড লাইসেন্স চলতি বছরের ৩০ জুন শেষ হয়েছে। এছাড়া হাসপাতালটির ফায়ার লাইসেন্স ও শিল্প প্রতিষ্ঠান লাইসেন্স মেয়াদ উত্তীর্ণ। তবে হাসপাতালের কোনো পরিবেশগত ছাড়পত্র পাওয়া যায়নি। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

আজকের রাশিফল: চায়ের বিল না দেওয়া বন্ধুদের সাহায্য করুন, সন্ধ্যার দিকে ভালো খবর

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

৪ দিন পর উৎপাদনে ফিরল কর্ণফুলী পেপার মিল

কাপ্তাই (রাঙামাটি) প্রতিনিধি
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনায় অবস্থিত রাষ্ট্রায়ত্ত কাগজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী পেপার মিল। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনায় অবস্থিত রাষ্ট্রায়ত্ত কাগজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী পেপার মিল। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনায় অবস্থিত রাষ্ট্রায়ত্ত কাগজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী পেপার মিল (কেপিএম) চার দিন পর উৎপাদনে ফিরেছে। ওয়াগ্গা পানির পাম্প হাউসের কারিগরি ত্রুটির কারণে চার দিন উৎপাদন সাময়িক বন্ধ থাকে। আজ শনিবার সকালে পুনরায় কাগজ উৎপাদনে শুরু হয়।

কেপিএমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শহীদ উল্লাহ জানান, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালট ছাপানোর জন্য বাংলাদেশ স্টেশনারি অফিসের (বিএসও) মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন কেপিএম থেকে ৯১৫ টন বাদামি, গোলাপি ও সবুজ রঙের কাগজের চাহিদা দিয়েছে। এর মধ্যে কেপিএম থেকে ৫৩৭ টন কাগজ সরবরাহ করা হয়েছে। অবশিষ্ট ৩৭৮ টন কাগজ পর্যায়ক্রমে সরবরাহ করবে প্রতিষ্ঠানটি।

শহীদ উল্লাহ বলেন, ‘কারখানার কর্ণফুলী নদীসংলগ্ন ওয়াগ্গা পানি উত্তোলন পাম্প হাউসের কারিগরি সমস্যার কারণে চার দিন ধরে উৎপাদন সাময়িক বন্ধ ছিল।’

শহীদ উল্লাহ আরও বলেন, ‘কেপিএমের কাগজ উৎপাদনে প্রচুর পানির প্রয়োজন হয়। এর পুরোটাই কর্ণফুলী নদী থেকে তোলা হয়। শুষ্ক মৌসুম শুরু হওয়ায় ভাটার সময় নদীর পানির স্তর অনেক নিচে নেমে যায়। এতে পর্যাপ্ত পানি উত্তোলন বাধাপ্রাপ্ত হয়। বর্তমানে পানি প্রবেশপথ ম্যানুয়ালি খননের মাধ্যমে এবং বালু উত্তোলন পাইপলাইন ব্যবহার করে আরও গভীর করে উৎপাদন সচল করা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

আজকের রাশিফল: চায়ের বিল না দেওয়া বন্ধুদের সাহায্য করুন, সন্ধ্যার দিকে ভালো খবর

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হাদিকে গুলি: মৌলভীবাজার সীমান্তে বিজিবির একাধিক বিশেষ চেকপোস্ট স্থাপন

মৌলভীবাজার, প্রতিনিধি
সীমান্ত এলাকায় বিজিবির তল্লাশি। ছবি: আজকের পত্রিকা
সীমান্ত এলাকায় বিজিবির তল্লাশি। ছবি: আজকের পত্রিকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় জড়িতরা যেন সীমান্ত অতিক্রম করে পালাতে না পারে, সে জন্য মৌলভীবাজারে সীমান্ত এলাকায় বিশেষ চেকপোস্ট ও তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে বিজিবি। মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ, জুড়ী, বড়লেখা, কুলাউড়া ও শ্রীমঙ্গল উপজেলার ২৭১ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকায় বিজিবির টহল জোরদার করা হয়েছে।

বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, জেলার পাঁচটি উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় একাধিক বিশেষ চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে এবং তল্লাশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। একই সঙ্গে গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে এবং সীমান্ত এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি ও সাধারণ জনগণের মাঝে হাদিকে গুলির ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত সন্দেহভাজনদের ছবি প্রদর্শনের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে, যাতে দুষ্কৃতকারীকে আটক এবং যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বিয়ানীবাজার ব্যাটালিয়ন (৫২ বিজিবি) পরিচালক (অধিনায়ক) লে. কর্নেল মোহাম্মদ আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, সীমান্ত এলাকায় বিশেষ চেকপোস্ট ও তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে বিজিবি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

আজকের রাশিফল: চায়ের বিল না দেওয়া বন্ধুদের সাহায্য করুন, সন্ধ্যার দিকে ভালো খবর

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতি, ছুরিকাঘাতে দুজন আহত

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলায় সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতি। ছবি: আজকের পত্রিকা
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলায় সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতি। ছবি: আজকের পত্রিকা

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলায় সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ডাকাতের হামলায় ছুরিকাহত হয়েছেন দুই পথচারী। এ ছাড়া তাঁদের কাছে থাকা টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায় ডাকাত দল।

গতকাল শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাতে রহনপুর-আড্ডা সড়কের নজরপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত দুই পথচারী হলেন রুবেল ও নাজিম উদ্দীন। তাঁদেরকে উদ্ধার করে গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের চিকিৎসক।

এ বিষয়ে গোমস্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বারিক বলেন, ‘এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ পেয়েছি। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

আজকের রাশিফল: চায়ের বিল না দেওয়া বন্ধুদের সাহায্য করুন, সন্ধ্যার দিকে ভালো খবর

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কেরানীগঞ্জে সাড়ে ১১ ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে

কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) সংবাদদাতা
কেরানীগঞ্জে ভবনে আগুন।  ছবি: আজকের পত্রিকা
কেরানীগঞ্জে ভবনে আগুন। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঢাকার কেরানীগঞ্জের আগানগর এলাকায় জাবালে নূর টাওয়ারে লাগা আগুন সাড়ে ১১ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে এখনো ভবনের ভেতরে ধোঁয়া রয়েছে।

শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ভোর আনুমানিক ৫টার দিকে মার্কেটের নিচতলায় থাকা কাপড়ের ঝুট গোডাউন থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। মুহূর্তেই আগুন পুরো মার্কেটে ছড়িয়ে পড়ে। ভবনটি আবাসিক ও বাণিজ্যিক হওয়ায় এলাকায় ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।

খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১৪টি ইউনিটসহ মোট ২০টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। বেজমেন্টে দোকান ও ঝুট গোডাউন থাকায় আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয়েছে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় এখনো ধোঁয়া রয়েছে এবং কিছু জায়গায় এখনো আগুন দেখা যাচ্ছে। আগুন যাতে পাশের ভবনে ছড়িয়ে না পড়ে সে জন্য সর্বোচ্চ সতর্কতা নেওয়া হয়েছে।

পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী, পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবিসহ বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা একযোগে কাজ করছেন। দিন গড়িয়ে গেলেও আগুন আশপাশের দোকান ও গুদামে ছড়িয়ে পড়ায় ক্ষতির আশঙ্কা বাড়ছে।

দোকানমালিকেরা জানান, ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা নিরাপত্তার কারণে ভেতরে প্রবেশ করতে না দেওয়ায় অনেক মালামাল বের করা সম্ভব হয়নি। ভবনটিতে প্রায় পাঁচ শতাধিক দোকান ও ফ্ল্যাট রয়েছে। তাঁদের দাবি, আগুনে শতকোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।

একটি দোকানের মালিক কুমিল্লার রুবেল বলেন, ‘মুহূর্তেই আমার ১৭ বছরের অর্জন সব শেষ।’ রায়হান নামে একজন বলেন, ‘আমার দুই কোটি টাকার দোকান আগুনে পুড়ে গেছে।’ আর জুরাইনের সালাম বলেন, ‘আমার বাবার জমি বিক্রির কোটি টাকায় কেনা শীতের কাপড় পুড়ে গেছে।’

ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, অগ্নিকাণ্ডের সময় ভবনের ভেতরে আটকা পড়া ৪২ জনকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। আগুনে ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত শেষে নির্ধারণ করা হবে।

কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওমর ফারুক জানান, ১২তলা ভবনটির আটতলা পর্যন্ত আবাসিক হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ভবনটির মালিক হাজি নূর আলম। ভবন নির্মাণ ও ব্যবহারে নিয়ম মানা হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক অপারেশন লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. তাজুল ইসলাম চৌধুরী জানান, প্রায় সাড়ে ১১ ঘণ্টা সময় পর আগুন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে ভবনের ভেতরে ধোঁয়া থাকায় উদ্ধার ও পর্যবেক্ষণ কাজ চালিয়ে যেতে বেগ পেতে হচ্ছে। বেজমেন্টে দোকান ও ঝুট গোডাউন থাকায় ধোঁয়ার মাত্রা বেশি ছিল। দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় এখনো ধোঁয়া ও কিছু স্থানে আগুন দেখা যাচ্ছে। এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। আগুন যাতে পাশের ভবনে ছড়িয়ে না পড়ে, সে জন্য ফায়ার সার্ভিসের ইউনিটগুলো সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ক্ষতির পরিমাণ এখনই বলা সম্ভব নয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

আজকের রাশিফল: চায়ের বিল না দেওয়া বন্ধুদের সাহায্য করুন, সন্ধ্যার দিকে ভালো খবর

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত