Ajker Patrika

উন্নয়নে ঢাকা সিঙ্গাপুরকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে, বললেন বুয়েটের ভিসি

ঢাবি প্রতিনিধি
উন্নয়নে ঢাকা সিঙ্গাপুরকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে, বললেন বুয়েটের ভিসি

উন্নয়নের দিক দিয়ে ঢাকা সিঙ্গাপুরকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার। ‘পদ্মা সেতু নির্মাণে বুয়েটের ভূমিকা’ শীর্ষক রচনা প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। 

আজ মঙ্গলবার বিকেলে কাউন্সিল ভবনে বুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তর এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য। 

ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন মুক্তিযোদ্ধা ও একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক অজয় দাশ গুপ্ত, বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বুয়েটের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল জব্বার খান। 

অনুষ্ঠানে ভিসি অধ্যাপক সত্য প্রসাদ মজুমদার বলেন, ‘পদ্মানদীর আসল রূপ অনেকেই দেখেনি। আমি দেখেছি। পদ্মানদী আর বিদেশের নদী এক নয়। বিদেশি কনসালট্যান্ট এসে পদ্মা নদীতে কাজ করতে পারবে না। তারা যে নদী দেখেছে আর পদ্মানদীর প্রেক্ষাপট এক না। তারা কোনো কল্পনা করতে পারবে না পদ্মা নদী কী!’ এ সময় প্রমত্তা পদ্মার ভয়ংকর রূপ নিয়ে স্মৃতি রোমন্থন করেন উপাচার্য। 

বুয়েট উপাচার্য আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবকিছু করছেন চ্যালেঞ্জ নিয়ে। চ্যালেঞ্জ নিয়ে তিনি এগিয়ে যাচ্ছেন। একটি সুন্দর সাহসী ভূমিকা পালন করেছেন বলেই আজ পদ্মা সেতু রূপ পেয়েছে। ওনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আরও অনেক দূর এগিয়ে যাবে। ঢাকার যে উন্নয়ন হচ্ছে তা সিঙ্গাপুরকে ছাড়িয়ে যাবে এবং ছাড়িয়ে যাচ্ছে। এই উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় বুয়েট সব সময় অবদান রাখবে বলে আশা করি।’ 

আলোচকেরা পদ্মা সেতু নির্মাণে বুয়েটের যেসব প্রকৌশলী অবদান রেখেছেন তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। ‘প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্ব ও সাহসী সিদ্ধান্তের’ জন্য যে নিজেদের অর্থে পদ্মা সেতু নির্মাণ সম্ভব হয়েছে সে জন্য প্রধানমন্ত্রীকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানান তাঁরা। ২০১৪ সালে যে স্বপ্নযাত্রার শুরু হয়, আগামী ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী সেতু উদ্বোধনের মাধ্যমে সে মধুর স্বপ্নযাত্রার পরিসমাপ্তি ঘটবে বলেও উল্লেখ করেন বক্তারা। 

একই সঙ্গে বক্তারা পদ্মাসেতু নির্মাণে বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী, প্রকৌশলী ড. এসএম শফিউল্লাহ, পুরকৌশলী ড. আলমগীর হাবিব, অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাতসহ অন্য বুয়েটিয়ানদের অবদানের কথা উল্লেখ করেন। 

আলোচনা শেষে রচনা প্রতিযোগিতায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারীসহ ১৬ জনকে পুরস্কার দেওয়া হয়। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত