আজকের পত্রিকা ডেস্ক
জলবায়ু ন্যায্যতা রক্ষায় দুই দিনব্যাপী সম্মেলন শুরু হয়েছে। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে দ্বিতীয়বারের সম্মেলনটি আয়োজন করে পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক নাগরিক সংগঠন ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা)।
আজ শনিবার সকালে সমাবেশের উদ্বোধন করেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ। আগামীকাল ৮ ডিসেম্বর সমাবেশের দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। সমাবেশ শেষে বিকেল সাড়ে ৩টায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠিত হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন মুরশিদ বলেন, ‘আমরা যদি জলবায়ু পরিবর্তনকে প্রতিহত না করতে পারি, তাহলে এই পরিবর্তন এই সভ্যতাকে ধ্বংস করে দেবে। আমরা যে সভ্যতা গড়ে তুলেছি তা অত্যন্ত সংকটে নিমজ্জিত। জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় এই সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। এই সরকার চায় দেশটা যেন সবুজ দেশ হয়। আমরা আইনের শাসন চাই। পরিবেশ, নদী রক্ষায় আইন প্রয়োগ করব। পরিবেশ ধ্বংস, মানুষ ধ্বংস, শিশু ধ্বংস সবকিছুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। জুলাই অভ্যুত্থান আমাদের এই শিক্ষাই দিয়েছে।’
গেস্ট অব অনার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন আমরাদের কৃষি, খাদ্য এবং জীবন-জীবিকাকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করছে। আমরা দেখেছি এবার ইলিশ মাছের ডিম কম এসেছে। এর পেছনে কারণ হিসাবে দেখা গেছে- সময়মতো বৃষ্টি হয়নি। নদীগুলো ভরাট-দখল হয়ে যাওয়ার ফলে মাছের চলাচলের রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পরিবেশ বিনষ্ট করে হাওরের ভেতর দিয়ে রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। প্রয়োজনে এই রাস্তাগুলো আমাদের ভাঙতে হবে। ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোডাকশনের চেয়ে আমাদেরকে কৃষির দিকে গুরুত্ব দিতে হবে। তাহলে এগুলো আমাদের খাদ্য সংকট মোকাবিলায় ভূমিকা রাখবে। জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার আমাদের জন্য ক্ষতিই বয়ে আনবে। তাই অবশ্যই টেকসই ভবিষ্যতের জন্য আমাদেরকে অবশ্যই নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে রূপান্তর করতে হবে।’
সভাপতির বক্তব্যে ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, ‘সুজলা-সুফলা, শস্য-শ্যামলা বাংলাকে এখন আর দেখি না। ইতিমধ্যে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় শীর্ষে এবং এর জন্য আমাদের কোনো দায় নেই। পশ্চিমা এবং উন্নত দেশগুলো জলবায়ু উষ্ণায়নের জন্য দায়ী। যে সকল দায়ী দেশগুলো উষ্ণায়নে ভূমিকা রাখছে, তাদেরকেই ক্ষতিপূরণ করতে হবে। আমাদেরকে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পগুলো বন্ধ করে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে রূপান্তরের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।’
কি নোট স্পিকার লিডি ন্যাকপিল বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন কৃষি এবং খাদ্যকে প্রভাবিত করছে যা অর্থনৈতিক চাপ তৈরি করছে পৃথিবীর দক্ষিণের দেশগুলোতে। আমরা বিশ্বব্যাপী জলবায়ু সমস্যার সমাধানের জন্য চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছি। জলবায়ুর পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলায় তহবিল জরুরি। কপ-২৯ এই তহবিল আদায়ে জন্য ব্যর্থ হয়েছে। এই তহবিল তৈরির জন্য আমাদেরকে অনেক শক্তিশালী হয়ে কাজ করতে হবে।’
তারা ফাউন্ডেশনের ডেপুটি রিজিওনাল প্রোগ্রাম ডিরেক্টর কাইনান হগটন বলেন, ‘বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নতুন যে জ্বালানি নীতি গ্রহণ করছে, তা অবশ্যই আশাব্যঞ্জক। টেকসই ভবিষ্যতের জন্য বাংলাদেশকে অবশ্যই পরিচ্ছন্ন জ্বালানিতে রূপান্তরিত হতে হবে। এর জন্য জীবাশ্ম জ্বালানির পরিবর্তে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে রূপান্তর করতে হবে। আমরা এই জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পেরে আনন্দিত বোধ করছি। সমাবেশের সাফল্য কামনা করছি।’
সমাবেশ আয়োজক কমিটির সদস্যসচিব শরীফ জামিল বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতের ফলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় বাংলাদেশ প্রথম সারিতে। জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ নামের এমন আয়োজন পৃথিবীতে এইটাই প্রথম। আমরা বাংলাদেশে দ্বিতীয়বারের মতো এটি আয়োজন করছি। এই আয়োজনে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের অংশগ্রহণই সবচেয়ে বেশি। তারা তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবি নিয়ে এখানে উপস্থিত হয়েছেন। তাদের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন— বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ, মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক, সেন্টার ফর পলিসি রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (সিপিআরডি) চিফ এক্সিকিউটিভ মো. শামসুদ্দোহা, সেন্টার ফর রিনিউবেল এনার্জি সার্ভিসেস লিমিটেডের (সিআরইএসএল) চেয়ারম্যান শাহরিয়ার আহমেদ চৌধুরী, শরিয়তপুর ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির (এসডিএস) নির্বাহী পরিচালক রাবেয়া বেগম প্রমুখ।
বিদেশি অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন—ডোনা লিসেনবি, সিইও, রিভারফক্স এনভায়রনমেন্টাল; আয়ান রিভেরা, ন্যাশনাল কো–অর্ডিনেটর, ফিলিপাইন মুভমেন্ট ফর ক্লাইমেট জাস্টিস (পিএমসিজে); সাঈদ বেলুচ, সাধারণ সম্পাদক, পাকিস্তান ফিশারফোক ফোরাম; ইয়ুকি তানাবি, প্রোগ্রাম ডিরেক্টর, জেএসিএসইএস; আয়ুমি ফুকাকুসা, এফওই জাপান (ভার্চুয়াল); মালো তাবুইস নুয়েরা, সিনিয়র এনার্জি ক্যাম্পেইনার, এপিএমডিডি; মাকিকো আরিমা, জাপান ফাইন্যান্স ক্যাম্পেইনার, অয়েল চেঞ্জ ইন্টারন্যাশনাল ও ফসিল ফ্রি জাপান।
আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ও ধরা’র উপদেষ্টা ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা ফারিদা আখতার। সমাবেশে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন এপিএমডিডি ফিলিপাইনের সমন্বয়ক লিডি ন্যাকপিল। এতে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন সমাবেশ আয়োজক কমিটি এবং ধরা’র সদস্যসচিব শরীফ জামিল।
জলবায়ু ন্যায্যতা রক্ষায় দুই দিনব্যাপী সম্মেলন শুরু হয়েছে। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে দ্বিতীয়বারের সম্মেলনটি আয়োজন করে পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক নাগরিক সংগঠন ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা)।
আজ শনিবার সকালে সমাবেশের উদ্বোধন করেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ। আগামীকাল ৮ ডিসেম্বর সমাবেশের দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। সমাবেশ শেষে বিকেল সাড়ে ৩টায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠিত হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন মুরশিদ বলেন, ‘আমরা যদি জলবায়ু পরিবর্তনকে প্রতিহত না করতে পারি, তাহলে এই পরিবর্তন এই সভ্যতাকে ধ্বংস করে দেবে। আমরা যে সভ্যতা গড়ে তুলেছি তা অত্যন্ত সংকটে নিমজ্জিত। জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় এই সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। এই সরকার চায় দেশটা যেন সবুজ দেশ হয়। আমরা আইনের শাসন চাই। পরিবেশ, নদী রক্ষায় আইন প্রয়োগ করব। পরিবেশ ধ্বংস, মানুষ ধ্বংস, শিশু ধ্বংস সবকিছুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। জুলাই অভ্যুত্থান আমাদের এই শিক্ষাই দিয়েছে।’
গেস্ট অব অনার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন আমরাদের কৃষি, খাদ্য এবং জীবন-জীবিকাকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করছে। আমরা দেখেছি এবার ইলিশ মাছের ডিম কম এসেছে। এর পেছনে কারণ হিসাবে দেখা গেছে- সময়মতো বৃষ্টি হয়নি। নদীগুলো ভরাট-দখল হয়ে যাওয়ার ফলে মাছের চলাচলের রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পরিবেশ বিনষ্ট করে হাওরের ভেতর দিয়ে রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। প্রয়োজনে এই রাস্তাগুলো আমাদের ভাঙতে হবে। ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোডাকশনের চেয়ে আমাদেরকে কৃষির দিকে গুরুত্ব দিতে হবে। তাহলে এগুলো আমাদের খাদ্য সংকট মোকাবিলায় ভূমিকা রাখবে। জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার আমাদের জন্য ক্ষতিই বয়ে আনবে। তাই অবশ্যই টেকসই ভবিষ্যতের জন্য আমাদেরকে অবশ্যই নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে রূপান্তর করতে হবে।’
সভাপতির বক্তব্যে ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, ‘সুজলা-সুফলা, শস্য-শ্যামলা বাংলাকে এখন আর দেখি না। ইতিমধ্যে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় শীর্ষে এবং এর জন্য আমাদের কোনো দায় নেই। পশ্চিমা এবং উন্নত দেশগুলো জলবায়ু উষ্ণায়নের জন্য দায়ী। যে সকল দায়ী দেশগুলো উষ্ণায়নে ভূমিকা রাখছে, তাদেরকেই ক্ষতিপূরণ করতে হবে। আমাদেরকে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পগুলো বন্ধ করে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে রূপান্তরের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।’
কি নোট স্পিকার লিডি ন্যাকপিল বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন কৃষি এবং খাদ্যকে প্রভাবিত করছে যা অর্থনৈতিক চাপ তৈরি করছে পৃথিবীর দক্ষিণের দেশগুলোতে। আমরা বিশ্বব্যাপী জলবায়ু সমস্যার সমাধানের জন্য চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছি। জলবায়ুর পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলায় তহবিল জরুরি। কপ-২৯ এই তহবিল আদায়ে জন্য ব্যর্থ হয়েছে। এই তহবিল তৈরির জন্য আমাদেরকে অনেক শক্তিশালী হয়ে কাজ করতে হবে।’
তারা ফাউন্ডেশনের ডেপুটি রিজিওনাল প্রোগ্রাম ডিরেক্টর কাইনান হগটন বলেন, ‘বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নতুন যে জ্বালানি নীতি গ্রহণ করছে, তা অবশ্যই আশাব্যঞ্জক। টেকসই ভবিষ্যতের জন্য বাংলাদেশকে অবশ্যই পরিচ্ছন্ন জ্বালানিতে রূপান্তরিত হতে হবে। এর জন্য জীবাশ্ম জ্বালানির পরিবর্তে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে রূপান্তর করতে হবে। আমরা এই জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পেরে আনন্দিত বোধ করছি। সমাবেশের সাফল্য কামনা করছি।’
সমাবেশ আয়োজক কমিটির সদস্যসচিব শরীফ জামিল বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতের ফলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় বাংলাদেশ প্রথম সারিতে। জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ নামের এমন আয়োজন পৃথিবীতে এইটাই প্রথম। আমরা বাংলাদেশে দ্বিতীয়বারের মতো এটি আয়োজন করছি। এই আয়োজনে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের অংশগ্রহণই সবচেয়ে বেশি। তারা তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবি নিয়ে এখানে উপস্থিত হয়েছেন। তাদের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন— বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ, মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক, সেন্টার ফর পলিসি রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (সিপিআরডি) চিফ এক্সিকিউটিভ মো. শামসুদ্দোহা, সেন্টার ফর রিনিউবেল এনার্জি সার্ভিসেস লিমিটেডের (সিআরইএসএল) চেয়ারম্যান শাহরিয়ার আহমেদ চৌধুরী, শরিয়তপুর ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির (এসডিএস) নির্বাহী পরিচালক রাবেয়া বেগম প্রমুখ।
বিদেশি অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন—ডোনা লিসেনবি, সিইও, রিভারফক্স এনভায়রনমেন্টাল; আয়ান রিভেরা, ন্যাশনাল কো–অর্ডিনেটর, ফিলিপাইন মুভমেন্ট ফর ক্লাইমেট জাস্টিস (পিএমসিজে); সাঈদ বেলুচ, সাধারণ সম্পাদক, পাকিস্তান ফিশারফোক ফোরাম; ইয়ুকি তানাবি, প্রোগ্রাম ডিরেক্টর, জেএসিএসইএস; আয়ুমি ফুকাকুসা, এফওই জাপান (ভার্চুয়াল); মালো তাবুইস নুয়েরা, সিনিয়র এনার্জি ক্যাম্পেইনার, এপিএমডিডি; মাকিকো আরিমা, জাপান ফাইন্যান্স ক্যাম্পেইনার, অয়েল চেঞ্জ ইন্টারন্যাশনাল ও ফসিল ফ্রি জাপান।
আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ও ধরা’র উপদেষ্টা ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা ফারিদা আখতার। সমাবেশে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন এপিএমডিডি ফিলিপাইনের সমন্বয়ক লিডি ন্যাকপিল। এতে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন সমাবেশ আয়োজক কমিটি এবং ধরা’র সদস্যসচিব শরীফ জামিল।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক
জলবায়ু ন্যায্যতা রক্ষায় দুই দিনব্যাপী সম্মেলন শুরু হয়েছে। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে দ্বিতীয়বারের সম্মেলনটি আয়োজন করে পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক নাগরিক সংগঠন ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা)।
আজ শনিবার সকালে সমাবেশের উদ্বোধন করেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ। আগামীকাল ৮ ডিসেম্বর সমাবেশের দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। সমাবেশ শেষে বিকেল সাড়ে ৩টায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠিত হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন মুরশিদ বলেন, ‘আমরা যদি জলবায়ু পরিবর্তনকে প্রতিহত না করতে পারি, তাহলে এই পরিবর্তন এই সভ্যতাকে ধ্বংস করে দেবে। আমরা যে সভ্যতা গড়ে তুলেছি তা অত্যন্ত সংকটে নিমজ্জিত। জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় এই সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। এই সরকার চায় দেশটা যেন সবুজ দেশ হয়। আমরা আইনের শাসন চাই। পরিবেশ, নদী রক্ষায় আইন প্রয়োগ করব। পরিবেশ ধ্বংস, মানুষ ধ্বংস, শিশু ধ্বংস সবকিছুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। জুলাই অভ্যুত্থান আমাদের এই শিক্ষাই দিয়েছে।’
গেস্ট অব অনার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন আমরাদের কৃষি, খাদ্য এবং জীবন-জীবিকাকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করছে। আমরা দেখেছি এবার ইলিশ মাছের ডিম কম এসেছে। এর পেছনে কারণ হিসাবে দেখা গেছে- সময়মতো বৃষ্টি হয়নি। নদীগুলো ভরাট-দখল হয়ে যাওয়ার ফলে মাছের চলাচলের রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পরিবেশ বিনষ্ট করে হাওরের ভেতর দিয়ে রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। প্রয়োজনে এই রাস্তাগুলো আমাদের ভাঙতে হবে। ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোডাকশনের চেয়ে আমাদেরকে কৃষির দিকে গুরুত্ব দিতে হবে। তাহলে এগুলো আমাদের খাদ্য সংকট মোকাবিলায় ভূমিকা রাখবে। জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার আমাদের জন্য ক্ষতিই বয়ে আনবে। তাই অবশ্যই টেকসই ভবিষ্যতের জন্য আমাদেরকে অবশ্যই নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে রূপান্তর করতে হবে।’
সভাপতির বক্তব্যে ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, ‘সুজলা-সুফলা, শস্য-শ্যামলা বাংলাকে এখন আর দেখি না। ইতিমধ্যে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় শীর্ষে এবং এর জন্য আমাদের কোনো দায় নেই। পশ্চিমা এবং উন্নত দেশগুলো জলবায়ু উষ্ণায়নের জন্য দায়ী। যে সকল দায়ী দেশগুলো উষ্ণায়নে ভূমিকা রাখছে, তাদেরকেই ক্ষতিপূরণ করতে হবে। আমাদেরকে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পগুলো বন্ধ করে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে রূপান্তরের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।’
কি নোট স্পিকার লিডি ন্যাকপিল বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন কৃষি এবং খাদ্যকে প্রভাবিত করছে যা অর্থনৈতিক চাপ তৈরি করছে পৃথিবীর দক্ষিণের দেশগুলোতে। আমরা বিশ্বব্যাপী জলবায়ু সমস্যার সমাধানের জন্য চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছি। জলবায়ুর পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলায় তহবিল জরুরি। কপ-২৯ এই তহবিল আদায়ে জন্য ব্যর্থ হয়েছে। এই তহবিল তৈরির জন্য আমাদেরকে অনেক শক্তিশালী হয়ে কাজ করতে হবে।’
তারা ফাউন্ডেশনের ডেপুটি রিজিওনাল প্রোগ্রাম ডিরেক্টর কাইনান হগটন বলেন, ‘বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নতুন যে জ্বালানি নীতি গ্রহণ করছে, তা অবশ্যই আশাব্যঞ্জক। টেকসই ভবিষ্যতের জন্য বাংলাদেশকে অবশ্যই পরিচ্ছন্ন জ্বালানিতে রূপান্তরিত হতে হবে। এর জন্য জীবাশ্ম জ্বালানির পরিবর্তে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে রূপান্তর করতে হবে। আমরা এই জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পেরে আনন্দিত বোধ করছি। সমাবেশের সাফল্য কামনা করছি।’
সমাবেশ আয়োজক কমিটির সদস্যসচিব শরীফ জামিল বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতের ফলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় বাংলাদেশ প্রথম সারিতে। জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ নামের এমন আয়োজন পৃথিবীতে এইটাই প্রথম। আমরা বাংলাদেশে দ্বিতীয়বারের মতো এটি আয়োজন করছি। এই আয়োজনে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের অংশগ্রহণই সবচেয়ে বেশি। তারা তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবি নিয়ে এখানে উপস্থিত হয়েছেন। তাদের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন— বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ, মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক, সেন্টার ফর পলিসি রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (সিপিআরডি) চিফ এক্সিকিউটিভ মো. শামসুদ্দোহা, সেন্টার ফর রিনিউবেল এনার্জি সার্ভিসেস লিমিটেডের (সিআরইএসএল) চেয়ারম্যান শাহরিয়ার আহমেদ চৌধুরী, শরিয়তপুর ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির (এসডিএস) নির্বাহী পরিচালক রাবেয়া বেগম প্রমুখ।
বিদেশি অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন—ডোনা লিসেনবি, সিইও, রিভারফক্স এনভায়রনমেন্টাল; আয়ান রিভেরা, ন্যাশনাল কো–অর্ডিনেটর, ফিলিপাইন মুভমেন্ট ফর ক্লাইমেট জাস্টিস (পিএমসিজে); সাঈদ বেলুচ, সাধারণ সম্পাদক, পাকিস্তান ফিশারফোক ফোরাম; ইয়ুকি তানাবি, প্রোগ্রাম ডিরেক্টর, জেএসিএসইএস; আয়ুমি ফুকাকুসা, এফওই জাপান (ভার্চুয়াল); মালো তাবুইস নুয়েরা, সিনিয়র এনার্জি ক্যাম্পেইনার, এপিএমডিডি; মাকিকো আরিমা, জাপান ফাইন্যান্স ক্যাম্পেইনার, অয়েল চেঞ্জ ইন্টারন্যাশনাল ও ফসিল ফ্রি জাপান।
আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ও ধরা’র উপদেষ্টা ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা ফারিদা আখতার। সমাবেশে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন এপিএমডিডি ফিলিপাইনের সমন্বয়ক লিডি ন্যাকপিল। এতে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন সমাবেশ আয়োজক কমিটি এবং ধরা’র সদস্যসচিব শরীফ জামিল।
জলবায়ু ন্যায্যতা রক্ষায় দুই দিনব্যাপী সম্মেলন শুরু হয়েছে। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে দ্বিতীয়বারের সম্মেলনটি আয়োজন করে পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক নাগরিক সংগঠন ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা)।
আজ শনিবার সকালে সমাবেশের উদ্বোধন করেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ। আগামীকাল ৮ ডিসেম্বর সমাবেশের দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। সমাবেশ শেষে বিকেল সাড়ে ৩টায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠিত হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন মুরশিদ বলেন, ‘আমরা যদি জলবায়ু পরিবর্তনকে প্রতিহত না করতে পারি, তাহলে এই পরিবর্তন এই সভ্যতাকে ধ্বংস করে দেবে। আমরা যে সভ্যতা গড়ে তুলেছি তা অত্যন্ত সংকটে নিমজ্জিত। জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় এই সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। এই সরকার চায় দেশটা যেন সবুজ দেশ হয়। আমরা আইনের শাসন চাই। পরিবেশ, নদী রক্ষায় আইন প্রয়োগ করব। পরিবেশ ধ্বংস, মানুষ ধ্বংস, শিশু ধ্বংস সবকিছুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। জুলাই অভ্যুত্থান আমাদের এই শিক্ষাই দিয়েছে।’
গেস্ট অব অনার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন আমরাদের কৃষি, খাদ্য এবং জীবন-জীবিকাকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করছে। আমরা দেখেছি এবার ইলিশ মাছের ডিম কম এসেছে। এর পেছনে কারণ হিসাবে দেখা গেছে- সময়মতো বৃষ্টি হয়নি। নদীগুলো ভরাট-দখল হয়ে যাওয়ার ফলে মাছের চলাচলের রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পরিবেশ বিনষ্ট করে হাওরের ভেতর দিয়ে রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। প্রয়োজনে এই রাস্তাগুলো আমাদের ভাঙতে হবে। ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোডাকশনের চেয়ে আমাদেরকে কৃষির দিকে গুরুত্ব দিতে হবে। তাহলে এগুলো আমাদের খাদ্য সংকট মোকাবিলায় ভূমিকা রাখবে। জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার আমাদের জন্য ক্ষতিই বয়ে আনবে। তাই অবশ্যই টেকসই ভবিষ্যতের জন্য আমাদেরকে অবশ্যই নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে রূপান্তর করতে হবে।’
সভাপতির বক্তব্যে ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, ‘সুজলা-সুফলা, শস্য-শ্যামলা বাংলাকে এখন আর দেখি না। ইতিমধ্যে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় শীর্ষে এবং এর জন্য আমাদের কোনো দায় নেই। পশ্চিমা এবং উন্নত দেশগুলো জলবায়ু উষ্ণায়নের জন্য দায়ী। যে সকল দায়ী দেশগুলো উষ্ণায়নে ভূমিকা রাখছে, তাদেরকেই ক্ষতিপূরণ করতে হবে। আমাদেরকে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পগুলো বন্ধ করে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে রূপান্তরের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।’
কি নোট স্পিকার লিডি ন্যাকপিল বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন কৃষি এবং খাদ্যকে প্রভাবিত করছে যা অর্থনৈতিক চাপ তৈরি করছে পৃথিবীর দক্ষিণের দেশগুলোতে। আমরা বিশ্বব্যাপী জলবায়ু সমস্যার সমাধানের জন্য চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছি। জলবায়ুর পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলায় তহবিল জরুরি। কপ-২৯ এই তহবিল আদায়ে জন্য ব্যর্থ হয়েছে। এই তহবিল তৈরির জন্য আমাদেরকে অনেক শক্তিশালী হয়ে কাজ করতে হবে।’
তারা ফাউন্ডেশনের ডেপুটি রিজিওনাল প্রোগ্রাম ডিরেক্টর কাইনান হগটন বলেন, ‘বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নতুন যে জ্বালানি নীতি গ্রহণ করছে, তা অবশ্যই আশাব্যঞ্জক। টেকসই ভবিষ্যতের জন্য বাংলাদেশকে অবশ্যই পরিচ্ছন্ন জ্বালানিতে রূপান্তরিত হতে হবে। এর জন্য জীবাশ্ম জ্বালানির পরিবর্তে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে রূপান্তর করতে হবে। আমরা এই জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পেরে আনন্দিত বোধ করছি। সমাবেশের সাফল্য কামনা করছি।’
সমাবেশ আয়োজক কমিটির সদস্যসচিব শরীফ জামিল বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতের ফলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় বাংলাদেশ প্রথম সারিতে। জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ নামের এমন আয়োজন পৃথিবীতে এইটাই প্রথম। আমরা বাংলাদেশে দ্বিতীয়বারের মতো এটি আয়োজন করছি। এই আয়োজনে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের অংশগ্রহণই সবচেয়ে বেশি। তারা তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবি নিয়ে এখানে উপস্থিত হয়েছেন। তাদের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন— বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ, মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক, সেন্টার ফর পলিসি রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (সিপিআরডি) চিফ এক্সিকিউটিভ মো. শামসুদ্দোহা, সেন্টার ফর রিনিউবেল এনার্জি সার্ভিসেস লিমিটেডের (সিআরইএসএল) চেয়ারম্যান শাহরিয়ার আহমেদ চৌধুরী, শরিয়তপুর ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির (এসডিএস) নির্বাহী পরিচালক রাবেয়া বেগম প্রমুখ।
বিদেশি অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন—ডোনা লিসেনবি, সিইও, রিভারফক্স এনভায়রনমেন্টাল; আয়ান রিভেরা, ন্যাশনাল কো–অর্ডিনেটর, ফিলিপাইন মুভমেন্ট ফর ক্লাইমেট জাস্টিস (পিএমসিজে); সাঈদ বেলুচ, সাধারণ সম্পাদক, পাকিস্তান ফিশারফোক ফোরাম; ইয়ুকি তানাবি, প্রোগ্রাম ডিরেক্টর, জেএসিএসইএস; আয়ুমি ফুকাকুসা, এফওই জাপান (ভার্চুয়াল); মালো তাবুইস নুয়েরা, সিনিয়র এনার্জি ক্যাম্পেইনার, এপিএমডিডি; মাকিকো আরিমা, জাপান ফাইন্যান্স ক্যাম্পেইনার, অয়েল চেঞ্জ ইন্টারন্যাশনাল ও ফসিল ফ্রি জাপান।
আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ও ধরা’র উপদেষ্টা ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা ফারিদা আখতার। সমাবেশে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন এপিএমডিডি ফিলিপাইনের সমন্বয়ক লিডি ন্যাকপিল। এতে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন সমাবেশ আয়োজক কমিটি এবং ধরা’র সদস্যসচিব শরীফ জামিল।
রংপুরের তারাগঞ্জে একটি হিমাগারের নৈশপ্রহরীকে বেঁধে রেখে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ২টার উপজেলার ইকরচালী ইউনিয়নের এন এন হিমাগারে এ ঘটনা ঘটে।
৪ মিনিট আগেনীলফামারীতে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে পথচারীকে আটকিয়ে দেহ তল্লাশি, মারধর ও ৫০ হাজার টাকা কেড়ে নেওয়ার অভিযোগে দুজনকে আটক করেছে জনতা। পরে তাঁদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
১৬ মিনিট আগেপ্রতিষ্ঠার প্রায় সাত বছর পর ডাকাতিয়া নদীর পাড়ে চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের স্থায়ী ক্যাম্পাসের অবকাঠামো নির্মাণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণের চূড়ান্ত কাজ চলছে। প্রস্তাবিত জমির শ্রেণি যাচাই-বাছাই শেষে ওই এলাকায় ৩০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হবে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে চাঁদপুর সদর উপজেলার বাগাদি ইউনিয়নের নিজ....
১৮ মিনিট আগেবৈষম্যমূলক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সংশোধনসহ তিন দফা দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পালন করছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে তাঁরা বিভাগের সভাপতির অপসারণেরও দাবি জানান। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিভাগের সামনে তালা ঝুলিয়ে অবস্থান নেন শিক্ষা
২৫ মিনিট আগেরংপুর প্রতিনিধি
রংপুরের তারাগঞ্জে একটি হিমাগারের নৈশপ্রহরীকে বেঁধে রেখে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ২টার উপজেলার ইকরচালী ইউনিয়নের এন এন হিমাগারে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও হিমাগার কর্তৃপক্ষ জানায়, ডাকাত দল রাত ২টার দিকে হিমাগারে প্রবেশ করে। এরপর হিমাগারের নৈশপ্রহরী সোহেল রানা, মেশিন অপারেটর মঞ্জুরুল ইসলাম ও সুজন বাবুকে অস্ত্রের মুখে বেঁধে ফেলেন। ডাকাতেরা অফিস কক্ষে প্রবেশ করে সিন্দুক ভেঙে ১২ লাখ ৫৪ হাজার ৯২০ টাকা, ৪২ ইঞ্চি রঙিন টেলিভিশন এবং সিসি ক্যামেরার হার্ডডিস্ক নিয়ে যায়।
সরেজমিন দেখা গেছে, পুরো অফিস কক্ষের ড্রয়ার ফাঁকা পড়ে আছে। মেঝেতে কাগজপত্র ছড়িয়ে-ছিটিয়ে। ভাঙা সিন্দুকটি মেঝেতে পড়ে আছে। সেখানে বাঁশের লাঠি ও লোহার পাইপ দেখা যায়।
হিমাগারের মেশিন অপারেটর মঞ্জরুল ইসলাম বলেন, ‘ডাকাতেরা হিমাগারের পেছন দিয়ে প্রবেশ করে মেশিন রুমে এসে আমাদের দুজনকে অস্ত্রের মুখে বেঁধে ফেলে। এরপর আমাকে নিয়ে অফিসের দিকে যায়। ডাকাতদের দিকে তাকানোয় আমাকে বেধড়ক মারধর করেন। এরপর প্রহরী সোহেল রানাকে বেঁধে ফেলে। তালা কেটে আমাদের দুজনকে অফিস কক্ষে নিয়ে আসেন। পরে মেশিন রুম থেকে সাবল আনতে গিয়ে সুজনকেও অফিস কক্ষ নিয়ে আসে ডাকাতেরা। সেখানে সিন্দুক ভেঙে টাকা, টিভি, সিসিটিভির মেশিন নিয়ে চলে যায়। তাদের মুখ মাংকি টুপি দিয়ে ঢাকা ছিল।’
এন এন হিমাগারের ব্যবস্থাপক শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘রাত ২টা ৫০ মিনিটের দিকে হিমাগার থেকে ফোন করে জানায় হিমাগারে ডাকাত পড়েছে। খবর পেয়ে বিষয়টি পুলিশকে জানাই এবং ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। পরে ওসি সাহেবও ঘটনাস্থলে এসে তদন্ত করেন।’
তারাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ ফারুক বলেন, ‘খবর পেয়ে ভোর সাড়ে ৪টার দিকে ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
রংপুরের তারাগঞ্জে একটি হিমাগারের নৈশপ্রহরীকে বেঁধে রেখে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ২টার উপজেলার ইকরচালী ইউনিয়নের এন এন হিমাগারে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও হিমাগার কর্তৃপক্ষ জানায়, ডাকাত দল রাত ২টার দিকে হিমাগারে প্রবেশ করে। এরপর হিমাগারের নৈশপ্রহরী সোহেল রানা, মেশিন অপারেটর মঞ্জুরুল ইসলাম ও সুজন বাবুকে অস্ত্রের মুখে বেঁধে ফেলেন। ডাকাতেরা অফিস কক্ষে প্রবেশ করে সিন্দুক ভেঙে ১২ লাখ ৫৪ হাজার ৯২০ টাকা, ৪২ ইঞ্চি রঙিন টেলিভিশন এবং সিসি ক্যামেরার হার্ডডিস্ক নিয়ে যায়।
সরেজমিন দেখা গেছে, পুরো অফিস কক্ষের ড্রয়ার ফাঁকা পড়ে আছে। মেঝেতে কাগজপত্র ছড়িয়ে-ছিটিয়ে। ভাঙা সিন্দুকটি মেঝেতে পড়ে আছে। সেখানে বাঁশের লাঠি ও লোহার পাইপ দেখা যায়।
হিমাগারের মেশিন অপারেটর মঞ্জরুল ইসলাম বলেন, ‘ডাকাতেরা হিমাগারের পেছন দিয়ে প্রবেশ করে মেশিন রুমে এসে আমাদের দুজনকে অস্ত্রের মুখে বেঁধে ফেলে। এরপর আমাকে নিয়ে অফিসের দিকে যায়। ডাকাতদের দিকে তাকানোয় আমাকে বেধড়ক মারধর করেন। এরপর প্রহরী সোহেল রানাকে বেঁধে ফেলে। তালা কেটে আমাদের দুজনকে অফিস কক্ষে নিয়ে আসেন। পরে মেশিন রুম থেকে সাবল আনতে গিয়ে সুজনকেও অফিস কক্ষ নিয়ে আসে ডাকাতেরা। সেখানে সিন্দুক ভেঙে টাকা, টিভি, সিসিটিভির মেশিন নিয়ে চলে যায়। তাদের মুখ মাংকি টুপি দিয়ে ঢাকা ছিল।’
এন এন হিমাগারের ব্যবস্থাপক শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘রাত ২টা ৫০ মিনিটের দিকে হিমাগার থেকে ফোন করে জানায় হিমাগারে ডাকাত পড়েছে। খবর পেয়ে বিষয়টি পুলিশকে জানাই এবং ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। পরে ওসি সাহেবও ঘটনাস্থলে এসে তদন্ত করেন।’
তারাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ ফারুক বলেন, ‘খবর পেয়ে ভোর সাড়ে ৪টার দিকে ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জলবায়ু ন্যায্যতা রক্ষায় দুই দিনব্যাপী সম্মেলন শুরু হয়েছে। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে দ্বিতীয়বারের সম্মেলনটি আয়োজন করে পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক নাগরিক সংগঠন ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা)...
০৭ ডিসেম্বর ২০২৪নীলফামারীতে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে পথচারীকে আটকিয়ে দেহ তল্লাশি, মারধর ও ৫০ হাজার টাকা কেড়ে নেওয়ার অভিযোগে দুজনকে আটক করেছে জনতা। পরে তাঁদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
১৬ মিনিট আগেপ্রতিষ্ঠার প্রায় সাত বছর পর ডাকাতিয়া নদীর পাড়ে চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের স্থায়ী ক্যাম্পাসের অবকাঠামো নির্মাণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণের চূড়ান্ত কাজ চলছে। প্রস্তাবিত জমির শ্রেণি যাচাই-বাছাই শেষে ওই এলাকায় ৩০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হবে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে চাঁদপুর সদর উপজেলার বাগাদি ইউনিয়নের নিজ....
১৮ মিনিট আগেবৈষম্যমূলক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সংশোধনসহ তিন দফা দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পালন করছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে তাঁরা বিভাগের সভাপতির অপসারণেরও দাবি জানান। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিভাগের সামনে তালা ঝুলিয়ে অবস্থান নেন শিক্ষা
২৫ মিনিট আগেনীলফামারী প্রতিনিধি
নীলফামারীতে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে পথচারীকে আটকে দেহ তল্লাশি, মারধর ও ৫০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে দুজনকে আটক করেছে জনতা। পরে তাঁদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার বিকেলে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার পুটিমারী ইউনিয়নের দক্ষিণ ভেড়ভেড়ী এসডিএফ অফিসসংলগ্ন এলাকায়। বিষয়টি আজ বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) সকালে নিশ্চিত করেন কিশোরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল কুদ্দুস।
আটক দুজন হলেন নীলফামারী সদরের কিশামত পঞ্চপুকুর গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে হেদায়াতুল্লাহ সুজন (৩২) এবং একই উপজেলার বেড়াডাঙ্গা ব্রমোতর গ্রামের সুরত আলীর ছেলে নুর আলম (২৮)।
পুলিশ কর্মকর্তা আব্দুল কুদ্দুস জানান, গতকাল বিকেলে পুটিমারীর চৌধুরীবাজার থেকে ভ্যানে বাড়ি ফিরছিলেন তোহা ইসলাম নামের এক ব্যক্তি। এ সময় দক্ষিণ ভেড়ভেড়ী এসডিএফ অফিসসংলগ্ন রাস্তায় তাঁকে পাঁচ-ছয় ব্যক্তি নিজেদের ডিবি সদস্য পরিচয় দিয়ে আটক করে দেহ তল্লাশি করেন। এতে বাধা দিলে তোহাকে তাঁরা মারধর শুরু করেন এবং পকেটে থাকা ৫০ হাজার টাকা বের করে নেন। এ সময় তাঁর চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে এলে ডিবি পরিচয়দানকারীরা মোটরসাইকেলে করে পালানোর চেষ্টা করেন। এলাকাবাসী এ সময় দুজনকে আটক করে। অন্যরা পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় তোহা ইসলামের ভাই ফরহাদ হোসেন বাদী হয়ে আজ বৃহস্পতিবার থানায় একটি মামলা করেন। দুপুরে ওই মামলায় পুলিশ তাঁদের আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে প্রেরণ করে।
নীলফামারীতে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে পথচারীকে আটকে দেহ তল্লাশি, মারধর ও ৫০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে দুজনকে আটক করেছে জনতা। পরে তাঁদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার বিকেলে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার পুটিমারী ইউনিয়নের দক্ষিণ ভেড়ভেড়ী এসডিএফ অফিসসংলগ্ন এলাকায়। বিষয়টি আজ বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) সকালে নিশ্চিত করেন কিশোরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল কুদ্দুস।
আটক দুজন হলেন নীলফামারী সদরের কিশামত পঞ্চপুকুর গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে হেদায়াতুল্লাহ সুজন (৩২) এবং একই উপজেলার বেড়াডাঙ্গা ব্রমোতর গ্রামের সুরত আলীর ছেলে নুর আলম (২৮)।
পুলিশ কর্মকর্তা আব্দুল কুদ্দুস জানান, গতকাল বিকেলে পুটিমারীর চৌধুরীবাজার থেকে ভ্যানে বাড়ি ফিরছিলেন তোহা ইসলাম নামের এক ব্যক্তি। এ সময় দক্ষিণ ভেড়ভেড়ী এসডিএফ অফিসসংলগ্ন রাস্তায় তাঁকে পাঁচ-ছয় ব্যক্তি নিজেদের ডিবি সদস্য পরিচয় দিয়ে আটক করে দেহ তল্লাশি করেন। এতে বাধা দিলে তোহাকে তাঁরা মারধর শুরু করেন এবং পকেটে থাকা ৫০ হাজার টাকা বের করে নেন। এ সময় তাঁর চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে এলে ডিবি পরিচয়দানকারীরা মোটরসাইকেলে করে পালানোর চেষ্টা করেন। এলাকাবাসী এ সময় দুজনকে আটক করে। অন্যরা পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় তোহা ইসলামের ভাই ফরহাদ হোসেন বাদী হয়ে আজ বৃহস্পতিবার থানায় একটি মামলা করেন। দুপুরে ওই মামলায় পুলিশ তাঁদের আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে প্রেরণ করে।
জলবায়ু ন্যায্যতা রক্ষায় দুই দিনব্যাপী সম্মেলন শুরু হয়েছে। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে দ্বিতীয়বারের সম্মেলনটি আয়োজন করে পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক নাগরিক সংগঠন ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা)...
০৭ ডিসেম্বর ২০২৪রংপুরের তারাগঞ্জে একটি হিমাগারের নৈশপ্রহরীকে বেঁধে রেখে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ২টার উপজেলার ইকরচালী ইউনিয়নের এন এন হিমাগারে এ ঘটনা ঘটে।
৪ মিনিট আগেপ্রতিষ্ঠার প্রায় সাত বছর পর ডাকাতিয়া নদীর পাড়ে চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের স্থায়ী ক্যাম্পাসের অবকাঠামো নির্মাণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণের চূড়ান্ত কাজ চলছে। প্রস্তাবিত জমির শ্রেণি যাচাই-বাছাই শেষে ওই এলাকায় ৩০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হবে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে চাঁদপুর সদর উপজেলার বাগাদি ইউনিয়নের নিজ....
১৮ মিনিট আগেবৈষম্যমূলক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সংশোধনসহ তিন দফা দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পালন করছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে তাঁরা বিভাগের সভাপতির অপসারণেরও দাবি জানান। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিভাগের সামনে তালা ঝুলিয়ে অবস্থান নেন শিক্ষা
২৫ মিনিট আগেচাঁদপুর প্রতিনিধি
প্রতিষ্ঠার প্রায় সাত বছর পর ডাকাতিয়া নদীর পাড়ে চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের স্থায়ী ক্যাম্পাসের অবকাঠামো নির্মাণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণের চূড়ান্ত কাজ চলছে। প্রস্তাবিত জমির শ্রেণি যাচাই-বাছাই শেষে ওই এলাকায় ৩০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হবে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে চাঁদপুর সদর উপজেলার বাগাদি ইউনিয়নের নিজ গাছতলা গ্রামে ব্রিজসংলগ্ন এলাকা থেকে পূর্ব দিকে দেওয়ানবাড়ি পর্যন্ত ডাকাতিয়া নদীর পাড়ের জমিগুলোর শ্রেণি সঠিক আছে কি না তা পরিদর্শন করা হয়।
এ সময় চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) একরামুল সিদ্দিক, চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ও সহকারী প্রকল্প পরিচালক হারুন অর রশিদ, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বাপ্পি দত্ত রনি উপস্থিত ছিলেন।
একরামুল সিদ্দিক বলেন, ‘চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের জন্য এর আগেও জমির শ্রেণি সঠিক আছে কি না, তা দেখা হয়েছে। আমাদের নিজস্ব সার্ভেয়ারদের মাধ্যমে এখন আবার অধিকতর যাচাই করা হলো। কারণ, এর সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকদের আর্থিক বিষয় জড়িত। যাচাই শেষে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন পাঠানো হবে। এরপর প্রাক্কলন তৈরি করা হবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে এসব কাজ সম্পন্ন হবে এবং আমরা দুটি মৌজায় মেডিকেলের জন্য এখানে ৩০ একর জমি অধিগ্রহণ করব।’
সহকারী প্রকল্প পরিচালক হারুন অর রশিদ বলেন, ‘২০১৮ সালে চাঁদপুর মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার পর ইতিমধ্যে দুটি ব্যাচের শিক্ষার্থীরা পাস করে বের হয়েছেন। চাঁদপুর সদর হাসপাতালে বর্তমানে মেডিকেল কলেজের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এতে জেলা ও আশপাশে অনেক রোগী সেবা নিতে পাচ্ছেন।’
হারুন অর রশিদ আরও বলেন, ‘জমি অধিগ্রহণের জন্য চূড়ান্ত পর্যায়ে শ্রেণি যাচাই-বাছাই কাজের মাধ্যমে অবকাঠামো উন্নয়নকাজ এগিয়ে চলছে। মেডিকেলের অবকাঠামো নির্মাণকাজ শেষ হলে শিক্ষার্থীদের বহুদিনের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হবে।’
প্রতিষ্ঠার প্রায় সাত বছর পর ডাকাতিয়া নদীর পাড়ে চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের স্থায়ী ক্যাম্পাসের অবকাঠামো নির্মাণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণের চূড়ান্ত কাজ চলছে। প্রস্তাবিত জমির শ্রেণি যাচাই-বাছাই শেষে ওই এলাকায় ৩০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হবে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে চাঁদপুর সদর উপজেলার বাগাদি ইউনিয়নের নিজ গাছতলা গ্রামে ব্রিজসংলগ্ন এলাকা থেকে পূর্ব দিকে দেওয়ানবাড়ি পর্যন্ত ডাকাতিয়া নদীর পাড়ের জমিগুলোর শ্রেণি সঠিক আছে কি না তা পরিদর্শন করা হয়।
এ সময় চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) একরামুল সিদ্দিক, চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ও সহকারী প্রকল্প পরিচালক হারুন অর রশিদ, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বাপ্পি দত্ত রনি উপস্থিত ছিলেন।
একরামুল সিদ্দিক বলেন, ‘চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের জন্য এর আগেও জমির শ্রেণি সঠিক আছে কি না, তা দেখা হয়েছে। আমাদের নিজস্ব সার্ভেয়ারদের মাধ্যমে এখন আবার অধিকতর যাচাই করা হলো। কারণ, এর সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকদের আর্থিক বিষয় জড়িত। যাচাই শেষে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন পাঠানো হবে। এরপর প্রাক্কলন তৈরি করা হবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে এসব কাজ সম্পন্ন হবে এবং আমরা দুটি মৌজায় মেডিকেলের জন্য এখানে ৩০ একর জমি অধিগ্রহণ করব।’
সহকারী প্রকল্প পরিচালক হারুন অর রশিদ বলেন, ‘২০১৮ সালে চাঁদপুর মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার পর ইতিমধ্যে দুটি ব্যাচের শিক্ষার্থীরা পাস করে বের হয়েছেন। চাঁদপুর সদর হাসপাতালে বর্তমানে মেডিকেল কলেজের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এতে জেলা ও আশপাশে অনেক রোগী সেবা নিতে পাচ্ছেন।’
হারুন অর রশিদ আরও বলেন, ‘জমি অধিগ্রহণের জন্য চূড়ান্ত পর্যায়ে শ্রেণি যাচাই-বাছাই কাজের মাধ্যমে অবকাঠামো উন্নয়নকাজ এগিয়ে চলছে। মেডিকেলের অবকাঠামো নির্মাণকাজ শেষ হলে শিক্ষার্থীদের বহুদিনের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হবে।’
জলবায়ু ন্যায্যতা রক্ষায় দুই দিনব্যাপী সম্মেলন শুরু হয়েছে। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে দ্বিতীয়বারের সম্মেলনটি আয়োজন করে পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক নাগরিক সংগঠন ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা)...
০৭ ডিসেম্বর ২০২৪রংপুরের তারাগঞ্জে একটি হিমাগারের নৈশপ্রহরীকে বেঁধে রেখে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ২টার উপজেলার ইকরচালী ইউনিয়নের এন এন হিমাগারে এ ঘটনা ঘটে।
৪ মিনিট আগেনীলফামারীতে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে পথচারীকে আটকিয়ে দেহ তল্লাশি, মারধর ও ৫০ হাজার টাকা কেড়ে নেওয়ার অভিযোগে দুজনকে আটক করেছে জনতা। পরে তাঁদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
১৬ মিনিট আগেবৈষম্যমূলক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সংশোধনসহ তিন দফা দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পালন করছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে তাঁরা বিভাগের সভাপতির অপসারণেরও দাবি জানান। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিভাগের সামনে তালা ঝুলিয়ে অবস্থান নেন শিক্ষা
২৫ মিনিট আগেরাবি প্রতিনিধি
বৈষম্যমূলক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সংশোধনসহ তিন দফা দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পালন করছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে তাঁরা বিভাগের সভাপতির অপসারণেরও দাবি জানান।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিভাগের সামনে তালা ঝুলিয়ে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। বেলা ১টার দিকে তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
সমাবেশে বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রাইসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, ‘আমরা তিন দিন ধরে আমাদের ন্যায্য দাবি আদায়ে আন্দোলন করে আসছি। আমরা বিভাগের সভাপতিকে ২৪ ঘণ্টার সময় দিয়েছিলাম। কিন্তু নির্ধারিত সময় অতিবাহিত হওয়ার পরও তিনি আমাদের দাবি মেনে নেননি এবং আমাদের সঙ্গে কোনো ধরনের কথা বলেননি। তিনি আমাদের প্রতি অসহযোগিতা করেছেন।’
রাইসুল ইসলাম মাহমুদ আরও বলেন, ‘আমরা পিএসসিতে চিঠি পাঠানোর জন্য একটি আবেদনপত্র প্রস্তুত করে স্বাক্ষর নিতে গেলে বিভাগের সভাপতি তাতে স্বাক্ষর করেননি। তিনি আমাদের সঙ্গে দেখা করতেও অস্বীকৃতি জানান। এ কারণে আমরা বর্তমান সভাপতির অপসারণ চাই।’
এ বিষয়ে চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক এনামুল হকের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি তা ধরেননি।
এর আগে গত মঙ্গলবার তিন দফা দাবিতে বিভাগে তালা দিয়ে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। তাঁদের তিন দফা দাবিগুলো হলো–বৈষম্যমূলক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সংশোধন, ইন্টার্নশিপ ভাতা চালু করা এবং বিসিএস পরীক্ষায় চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানের টেকনিক্যাল ক্যাডার সংযোজন।
বৈষম্যমূলক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সংশোধনসহ তিন দফা দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পালন করছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে তাঁরা বিভাগের সভাপতির অপসারণেরও দাবি জানান।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিভাগের সামনে তালা ঝুলিয়ে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। বেলা ১টার দিকে তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
সমাবেশে বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রাইসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, ‘আমরা তিন দিন ধরে আমাদের ন্যায্য দাবি আদায়ে আন্দোলন করে আসছি। আমরা বিভাগের সভাপতিকে ২৪ ঘণ্টার সময় দিয়েছিলাম। কিন্তু নির্ধারিত সময় অতিবাহিত হওয়ার পরও তিনি আমাদের দাবি মেনে নেননি এবং আমাদের সঙ্গে কোনো ধরনের কথা বলেননি। তিনি আমাদের প্রতি অসহযোগিতা করেছেন।’
রাইসুল ইসলাম মাহমুদ আরও বলেন, ‘আমরা পিএসসিতে চিঠি পাঠানোর জন্য একটি আবেদনপত্র প্রস্তুত করে স্বাক্ষর নিতে গেলে বিভাগের সভাপতি তাতে স্বাক্ষর করেননি। তিনি আমাদের সঙ্গে দেখা করতেও অস্বীকৃতি জানান। এ কারণে আমরা বর্তমান সভাপতির অপসারণ চাই।’
এ বিষয়ে চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক এনামুল হকের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি তা ধরেননি।
এর আগে গত মঙ্গলবার তিন দফা দাবিতে বিভাগে তালা দিয়ে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। তাঁদের তিন দফা দাবিগুলো হলো–বৈষম্যমূলক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সংশোধন, ইন্টার্নশিপ ভাতা চালু করা এবং বিসিএস পরীক্ষায় চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানের টেকনিক্যাল ক্যাডার সংযোজন।
জলবায়ু ন্যায্যতা রক্ষায় দুই দিনব্যাপী সম্মেলন শুরু হয়েছে। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে দ্বিতীয়বারের সম্মেলনটি আয়োজন করে পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক নাগরিক সংগঠন ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা)...
০৭ ডিসেম্বর ২০২৪রংপুরের তারাগঞ্জে একটি হিমাগারের নৈশপ্রহরীকে বেঁধে রেখে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ২টার উপজেলার ইকরচালী ইউনিয়নের এন এন হিমাগারে এ ঘটনা ঘটে।
৪ মিনিট আগেনীলফামারীতে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে পথচারীকে আটকিয়ে দেহ তল্লাশি, মারধর ও ৫০ হাজার টাকা কেড়ে নেওয়ার অভিযোগে দুজনকে আটক করেছে জনতা। পরে তাঁদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
১৬ মিনিট আগেপ্রতিষ্ঠার প্রায় সাত বছর পর ডাকাতিয়া নদীর পাড়ে চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের স্থায়ী ক্যাম্পাসের অবকাঠামো নির্মাণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণের চূড়ান্ত কাজ চলছে। প্রস্তাবিত জমির শ্রেণি যাচাই-বাছাই শেষে ওই এলাকায় ৩০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হবে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে চাঁদপুর সদর উপজেলার বাগাদি ইউনিয়নের নিজ....
১৮ মিনিট আগে